Logo
শিরোনাম

শব্দদূষণে ঢাকা বিশ্বের শীর্ষে

প্রকাশিত:সোমবার ২৮ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ |

Image

রোকসানা মনোয়ার: শব্দদূষণের শহরের তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে রাজধানী ঢাকার নাম। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারতের মুরাদাবাদ এবং তৃতীয় অবস্থানে আছে পাকিস্তানের ইসলামাবাদ। শব্দদূষণের দিক থেকে বিশ্বের শীর্ষ তিনটি শহরই দক্ষিণ এশিয়ার।

সম্প্রতি জাতিসংঘের পরিবেশবিষয়ক কর্মসূচির সর্বশেষ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

নিউইয়র্ক, হংকং, বার্সেলোনাসহ বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় শহরগুলোর তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে বলে জাতিসংঘের পরিবেশ প্রোগ্রামের নির্বাহী পরিচালক ইনগার অ্যান্ডারসন স্বাক্ষরিত প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

গত ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত জাতিসংঘের এই প্রতিবেদনের তালিকায় বাংলাদেশ থেকে আরও রয়েছে রাজশাহী ও টাঙ্গাইল শহরের নাম।

এই তালিকায় ভারতের অন্যান্য শহরের মধ্যে রয়েছে দিল্লি, কলকাতা, আসানসোল ও জয়পুর। আর দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য শহরের মধ্যে রয়েছে পাকিস্তানের করাচি, শ্রীলঙ্কার কলম্বো, নেপালের কুপন্দোল ও কাঠমান্ডু।

প্রতিবেদনটিতে শব্দের তীব্রতার মাত্রা দুই পর্যায়ে নির্ধারণ করা হয়েছে—আবাসিক ও ট্রাফিক এলাকা। যানবাহনজনিত ট্রাফিক এলাকায় ঢাকায় শব্দের তীব্রতার মাত্রা ১১৯ ডেসিবল এবং আবাসিক এলাকায় ৫৭ ডেসিবল রেকর্ড করা হয়েছে।

রাজশাহীতে ট্রাফিক এলাকায় শব্দের তীব্রতার মাত্রা ১০৩ ডেসিবল এবং আবাসিক এলাকায় ৫৫ ডেসিবল রেকর্ড করা হয়েছে। অন্যদিকে টাঙ্গাইলে ট্রাফিক এলাকায় শব্দের তীব্রতার মাত্রা পাওয়া গেছে ৭৫ ডেসিবল। টাঙ্গাইলের আবাসিক এলাকায় তা ৬৯ ডেসিবল।

প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ১৯৯৯ সালের নির্দেশনা অনুসারে আবাসিক এলাকায় ঘরের বাইরে মানুষের জন্য শব্দসীমা ৫৫ ডেসিবল। ট্রাফিক এলাকায় তা ৭০ ডেসিবল। এরপর ২০১৮ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নতুন এক নির্দেশনায় দিন ও রাতের শব্দসীমা আলাদাভাবে উল্লেখ করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, দিনের বেলায় ট্রাফিক বা বাণিজ্যিক এলাকায় মানুষের জন্য শব্দসীমা ৫৩ ডেসিবল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সব নির্দেশনাকেই সম্প্রতি অতিক্রম করেছে ঢাকায় পাওয়া শব্দের তীব্রতা।

পরিবেশগত শব্দের উৎস যেমন—রাস্তার যানবাহন, বিমান চলাচল, রেলগাড়ি, শিল্প কলকারখানা ইত্যাদি থেকে উৎসারিত শব্দ মানুষের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে বলে জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনটি বিশ্বব্যাপী শহরগুলোর শব্দদূষণের চিত্র তুলে ধরেছে। তাতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে প্রতি ১০ জন গণপরিবহন ব্যবহারকারীর মধ্যে ৯ জনের ক্ষেত্রেই শব্দের মাত্রা (৭০ ডেসিবেল) নির্ধারিত সীমা অতিক্রম করে। ওই শহরের মানুষ শ্রবণশক্তি হ্রাসের চরম ঝুঁকিতে রয়েছে।

অন্যদিকে হংকংয়ে প্রতি পাঁচজনের মধ্যে দুজন এমন পরিবেশে বাস করে, যেখানে শব্দের তীব্রতার মাত্রা অনুমোদিত সীমা অতিক্রম করে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউরোপের বড় বড় শহরের বাসিন্দারা এমন পরিবেশের মধ্যে থাকে, যেখানে শব্দের মাত্রা তাদের স্বাস্থ্যকে ব্যাপক ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিচ্ছে।


আরও খবর



রামগড় সীমান্তে দেড় লক্ষ টাকার ভারতীয় মাদকদ্রব্য জব্দ

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ |

Image

মোহাম্মদ শাহেদ হোসেন রানা

রামগড়(খাগড়াছড়ি :

পার্বত্য জেলার খাগড়াছড়ি রামগড় সীমান্তে ভারতীয় মদ এবং ফেন্সিডেল সহ অন্তত দেড় লক্ষ টাকার অবৈধ মাদকদ্রব্য আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি। 

রামগড় ব্যাটালিয়নের সীমান্তবর্তী বিভিন্ন এলাকায় পহেলা মে বুধবার রাত সাড়ে ৯টায় পর থেকে অভিযান চালিয়ে এসব মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। এসময় চোরাকারবারিরা বিজিবির অভিযানের উপস্থিতিটের পেয়ে মালমাল রেখে পালিয়ে যায়।

বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার রাত ৯টা থেকে জোন আওতাধীন পানুয়া বিওপির হাবিলদার মো.মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি টহল দল ভূঁজপুর থানার রহমতপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মালিকবিহীন ১৯ বোতল ভারতীয় ফেন্সিডেল আটক করে। এছাড়াও একই সময়ে বাগান বাজার বিওপির নায়েব সুবেদার মো.আল মামুন সিকদারের নেতৃত্বে ফেনী নদীর কুল রুহুল আমিনের চরে অভিযান চালিয়ে ৯৬ বোতল ভারতীয় মদ আটক করা হয়। আটককৃত মালামাল ভূ্ঁজপুর থানায় জিড়ি পূর্বক পরবর্তীতে জনসম্মুখে ধ্বংস করার জন্য ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরে রাখা হয়েছে। আটককৃত মাদকদ্রব্যের সিজার মূল্য ১ লক্ষ ৫১ হাজার ৬০০ শত টাকা।

রামগড় ব্যাটালিয়ন ৪৩ বিজিবির জোন অধিনায়ক লে.কর্নেল সৈয়দ ইমাম হোসেন পিএসসি জানান,  সীমান্ত সুরক্ষার পাশাপাশি জোন আওতাধীন এলাকায় চোরাচালান, অপরাধ দমনে বিজিবির অভিযান পরিচালনা অব্যাহত রয়েছে।


আরও খবর



নওগাঁয় ধর্ষণের শিকার শিশু,অভিযুক্ত আটক

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোটার :

নওগাঁয় মাত্র ৫ বছর বয়সি এক শিশুকে খাওয়ানোর প্রলোভন (লোভ) দেখিয়ে বাড়ির ভেতর নিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে। ধর্ষণের শিকার শিশুটিকে স্থানিয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করান শিশুর স্বজনরা। শিশু ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি হলেন, নওগাঁর মান্দা উপজেলার প্রসাদপুর ইউপির গাড়ীক্ষেত্র গ্রাম এলাকার আতাউর রহমান ওরফে চেকু (৫৫)।  

ভিকটিম শিশুটির মা জানান, গত সোমবার সন্ধ্যার আগে আমি বাড়িতে কাজে ব্যস্ত ছিলাম। এ সময় প্রতিবেশী সহপাঠি শিশুদের সাথে আমার মেয়েও খেলা করছিলো। খেলা করাকালে সেখান থেকে খাওয়ানোর লোভ (প্রলোভন) দিয়ে প্রতিবেশি আতাউর রহমান চেকু আমার অবুঝ মেয়ে শিশুকে তার বাড়িতে নিয়ে যায়।

শিশুটির মা আরো জানান, ঘটনার সময় অভিযুক্ত আতাউর রহমান চেকু'র বাড়িতে কেউ ছিল না। এ সুযোগেই সে আমার শিশু মেয়েকে তার বাড়ির ভেতর নিয়ে (খারাপ কাজ) ধর্ষণ করার পর আমার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। আমার শিশু মেয়ে কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি এসে ঘটনাটি জানায় ও অসুস্থতা বোধ করায় মেয়েকে স্থানিয় মান্দা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে দেই। ঘটনার বিষয়ে অভিযুক্ত আতাউর রহমান ওরফে চেকু সংবাদ কর্মীদের কাছে ঘটনায় সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমার ভুল ও অন্যায় হয়েছে। আমাকে মাফ করে দেন। এঘটনায় ভিকটিম শিশুটির মা বাদী হয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মান্দা থানায় মামলা দায়ের করার পরই থানা পুলিশ অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেন। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার এর সত্যতা নিশ্চিত করে মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ

মোজাম্মেল হক কাজী জানান, ভিকটিম শিশুর মা মামলা করেছেন। মামলার পরই থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত আতাউর রহমান কে গ্রেফতার করেন।


আরও খবর



লাফিয়ে বাড়ছে দুর্ঘটনা, মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ |

Image

ঈদুল ফিতর আর বাংলা নববর্ষ মিলিয়ে এবার দীর্ঘ ছুটি ছিল। এমন ছুটিতে গ্রামে যাওয়ার সুযোগ কে হাতছাড়া করে? তবে উসবেও আমাদের একমাত্র উকণ্ঠা হয়ে দাঁড়িয়েছে সড়ক দুর্ঘটনা। পৃথিবীর প্রত্যেক জনপদেই উসব পালিত হয়। কিন্তু কোনো নাশকতা ছাড়া শুধুমাত্র সড়ক দুর্ঘটনায় এত মানুষ হতাহতের নজির বোধ হয় অন্য কোথাও নেই। 

ঈদের ছুটি কাটিয়ে শহরে ফেরার পথে বিষয়টি নিয়ে ভাবছিলাম। এর মধ্যে গাড়ির উচ্চগতি, ওভারটেক, ঝাঁকুনি কিংবা হার্ডব্রেক অবচেতনে ডেকে আনছিল মৃত্যুভয়। তবে শেষমেশ নিরাপদেই ফিরতে পেরেছি। তবে কারো কারো কপালে সে ভাগ্য হয়নি। এবারের ঈদযাত্রায়ও সড়ক দুর্ঘটনার খবর গণমাধ্যমে এসেছে প্রতিদিনই।

গত ১৬ এপ্রিল ফরিদপুরের কানাইপুরে বাস ও পিকআপ ভ্যানের সংঘর্ষে ১৪ জন নিহত হয়েছে। অন্যদিকে ১৭ এপ্রিল ঝালকাঠির গাবখান সেতুর টোল প্লাজায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সিমেন্টবাহী একটি ট্রাকের ধাক্কায় সামনে দাঁড়িয়ে থাকা বিভিন্ন গাড়ির আরও ১৪ আরোহী নিহত হয়। দুর্ঘটনায় নিহতের এ তালিকায় যোগ হয়েছে তরুণ সংগীতশিল্পী মতিউর রহমান হাসান ওরফে পাগল হাসানের নাম। ১৮ এপ্রিল সকালে কনসার্ট থেকে ফেরার পথে সুনামগঞ্জের ছাতক পৌর শহরের সুরমা সেতুর কাছে বাস ও অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে সঙ্গীসহ নিহত হয়েছেন পাগল হাসান।

যাত্রী কল্যাণ সমিতির তথ্য বলছে, ঈদযাত্রা শুরুর দিন (৪ এপ্রিল) থেকে ১৮ এপ্রিল কর্মস্থলে ফেরা পর্যন্ত ১৫ দিনে সড়কে ৩৯৯টি দুর্ঘটনায় ৪০৭ জন নিহত ও এক হাজার ৩৯৮ জন আহত হয়েছে। এই সময়ে রেলপথে ১৮টি দুর্ঘটনায় ২৪ জন নিহত ও ২১ জন আহত হয়েছে। নৌ-পথে দুটি দুর্ঘটনায় ৭ জন নিহত ও ৫ জন আহত হয়েছে। সবমিলিয়ে সড়ক, রেল ও নৌ পথে ৪১৯টি দুর্ঘটনায় ৪৩৮ জন নিহত ও এক হাজার ৪২৪ জন আহত হয়েছে।

অন্যদিকে গত বছর ঈদুল ফিতরে ৩০৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২৮ জন নিহত ও ৫৬৫ জন আহত হয়েছিল। গত বছরের তুলনায় এবারের ঈদে সড়ক দুর্ঘটনা ৩১.২৫ শতাংশ, প্রাণহানি ২৪.০৮ শতাংশ ও আহত ১৪৭.৪৩ শতাংশ বেড়েছে। আর এসব দুর্ঘটনায় যথারীতি মোটরসাইকেলই শীর্ষে রয়েছে। এবারের ঈদে ১৯৮টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৬৫ জন নিহত ও ২৪০ জন আহত হয়েছে; যা মোট সড়ক দুর্ঘটনার ৪৯.৬২ শতাংশ, নিহতের ৪০.৫৪ শতাংশ এবং আহতের ৩০.৩৭ শতাংশ প্রায়।

যদিও সব দুর্ঘটনার খবর গণমাধ্যমে আসে না। তাই প্রকৃত দুর্ঘটনার সংখ্যা আরও বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যাত্রী কল্যাণ সমিতির পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৬ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত আট বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় মোট ৬০ হাজার ৮৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহায় তিন হাজার ৮৬২ দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে চার হাজার ৪৭৫ জনের। অর্থা শুধুমাত্র ঈদের মৌসুমেই সড়ক দুর্ঘটনায় ৭.৩৫ শতাংশ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) তথ্য বলছে, গত ১১ এপ্রিল ঈদের দিনে সারা দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। সবমিলিয়ে ঈদের আগে-পরে ছয় দিন এবং ঈদের দিন মিলিয়ে সাত দিনে সারা দেশে মোট ১১৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১২২ জন নিহত এবং আহত হয়েছে আরো অন্তত ১৯৫ জন।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ৩৬ শতাংশের বেশি জাতীয় মহাসড়কে, ৩৪ শতাংশের বেশি আঞ্চলিক সড়কে, ১৮ শতাংশ গ্রামীণ সড়কে এবং প্রায় ১১ শতাংশ শহরের সড়কে সংঘটিত হয়েছে। দুর্ঘটনার তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, বর্তমান সময়ে মোট দুর্ঘটনার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ ঘটে মোটরসাইকেলে। যার মধ্যে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনা ঘটেছে ৫৫.১১ শতাংশ, মুখোমুখি সংঘর্ষে ২১.২৫ শতাংশ, অন্য যানবাহনের সঙ্গে মোটরসাইকেলে ধাক্কা বা চাপায় ২৩.৬২ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটেছে। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের অধিকাংশই উঠতি বয়সী তরুণ।

স্বাধীনতার পর থেকেই বাংলাদেশের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক উন্নয়ন হয়েছে। আর বর্তমান সরকারের সময়ে যে পরিমাণ নতুন রাস্তা নির্মাণ ও সংস্কার হয়েছে তা অতীতের সব রেকর্ড ছাপিয়ে গেছে। ১৯৭১ সালে মাত্র তিন হাজার ৬০০ কিলোমিটারের সড়ক দিয়ে শুরু করা বাংলাদেশে বর্তমানে তিন লাখ ৭৫ হাজার কিলোমিটারে সড়ক রয়েছে। এরমধ্যে জাতীয় ও আঞ্চলিক মিলিয়ে ২২ হাজার কিলোমিটার মহাসড়ক আছে।

এসব সড়ক নিয়ন্ত্রণে কাজ করে হাইওয়ে পুলিশের ৭৩টি ইউনিটের প্রায় তিন হাজার সদস্য। ইতিমধ্যে দেশে অনেকগুলো মহাসড়ক, এক্সপ্রেসওয়ে, ফ্লাইওভার, ওভারপাস, আন্ডারপাস, ওভারব্রিজ নির্মিত হয়েছে। দুই লেনের মহাসড়ক চার লেনে পরিণত হয়েছে আর চার লেনগুলো আট লেনে পরিণত হবে।

অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের ফলে ‘সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮’ প্রণয়ন করা হয়েছে। এত এত অবকাঠামো উন্নয়ন, জনবল মোতায়েন এবং পরিবহন আইন সংস্কার সত্ত্বেও সড়কে শৃঙ্খলার অভাব রয়ে গেছে, যা রোজার ঈদ আর কোরবানির ঈদে প্রকট আকার ধারণ করে।

ঈদযাত্রায় দুর্ঘটনা কয়েকগুণ বেড়ে যাওয়ার কারণ বিশ্লেষণে দেখা যায়: ফিটনেসবিহীন যানবাহন, ভাঙাচোরা সড়ক, অদক্ষ চালক, দুর্নীতি, ট্রাফিক তদারকির অভাব, অপ্রশস্ত সড়ক, বেপরোয়া গতি, মহাসড়কে মোটরসাইকেল, তিন চাকার গাড়ি চলাচল ইত্যাদি। পরিবহনের তুলনায় যাত্রী কয়েকগুণ বৃদ্ধি ও পরিবহন মালিকের অতিমুনাফার লোভে ফিটনেসবিহীন গাড়ি ও অদক্ষ চালক রাস্তায় নামানো হয়। সড়ক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিদের কর্তব্যে অবহেলা ও দুর্নীতি সড়ক শৃঙ্খলার অন্তরায়। এমনকি মহাসড়কে অনভ্যস্ত শহুরে সিটি বাসগুলো সড়কে চাপ তৈরি করে। আর অধিক ট্রিপ পাওয়ার আশায় বিরতিহীন ও বেপরোয়া গতিতে গন্তব্যে পৌঁছানোর চেষ্টাও দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ।

 


আরও খবর



হজযাত্রীর ভিসার সময় বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ |

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হজযাত্রীদের ভিসা অনুমোদনের সময় বাড়াতে সৌদি আরবের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসুফ ঈসা আল দুহাইলান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে গণভবনে সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ আহ্বান জানান।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম তাকে (প্রধানমন্ত্রী) উদ্ধৃত করে বলেন, সৌদি আরবের উচিত হজ যাত্রীদের জন্য ভিসা অনুমোদনের সময় বাড়ানো, যাতে তারা পবিত্র হজ পালন করতে পারেন।

নজরুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হজযাত্রীদের ভিসা অনুমোদনের সময় বাড়ানোর বিষয়টি উত্থাপন করেন।

রাষ্ট্রদূত বলেন, যেসব হজযাত্রী এখনো হজ পালনের জন্য ভিসা পাননি তাদের ভিসা দেওয়ার উদ্যোগ নিচ্ছেন তিনি। বিভিন্ন জটিলতায় সৌদি আরব থেকে এখনও ভিসা পাননি ১০ হাজারের বেশি হজযাত্রী।

সৌদি রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে কিছু প্রকল্প বাস্তবায়নে তার দেশের বিনিয়োগকারী ও কোম্পানির আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং সে সব প্রকল্পের একটি তালিকা প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন।

জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, যাচাই-বাছাই এবং পরীক্ষা শেষে বাংলাদেশ পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে। এ প্রসঙ্গে তিনি তাকে আশ্বস্ত করেন, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগ বিষয়টি খতিয়ে দেখবে।

ফিলিস্তিন ইস্যু প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ফিলিস্তিনি জনগণের সহায়তার জন্য আরেকটি চালান প্রস্তুত করছে এবং এরই মধ্যে তার দেশ দুইবার সহায়তা পাঠিয়েছে। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এবং তার কয়েকটি মিত্র ছাড়া পুরো বিশ্ব ফিলিস্তিনের সঙ্গে রয়েছে।

সৌদি রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন, তার দেশে প্রায় ৩২ লাখ বাংলাদেশি রয়েছেন যারা বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের অর্থনীতিতে অবদান রাখছেন।

প্রধানমন্ত্রী সৌদি আরবে বসবাসরত বাংলাদেশিদের বৈধ পন্থায় ঢাকায় রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহিত করার পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য রাষ্ট্রদূতের প্রতি আহ্বান জানান।

এসময় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, অ্যাম্বাসেডর এ্যাট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৭ দিন ছুটি ঘোষণা

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ |

Image

দেশজুড়ে তীব্র গরমের কারণে আগামী ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)।

শনিবার (২০ এপ্রিল) মাউশির পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। পবিত্র রমজান ও ঈদুল ফিতরসহ টানা ২৬ দিন ছুটি কাটিয়ে আগামীকাল রোববার থেকে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু এরই মধ্যে দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। দেশের বিভিন্ন স্থানে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে উঠেছে।

তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে করণীয় ঠিক করতে গত বৃহস্পতিবার বৈঠক করে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। তবে ওইদিনের বৈঠকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

দাবদাহের মধ্যে না খুলে আগামী সাত দিন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার দাবি জানান অভিভাবক ঐক্য ফোরাম। এমন অবস্থার মধ্যে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের কথা জানায় মাউশি।

আগামী ২৮ এপ্রিল থেকে ক্লাস শুরু হবে বলে জানানো হয়।


আরও খবর