Logo
শিরোনাম

সিটি নির্বাচন : অগ্নিপরীক্ষায় আওয়ামী লীগ

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগমুহূর্তে পাঁচ সিটিতে নির্বাচন আওয়ামী লীগের জন্য অগ্নিপরীক্ষা। তাই এবার যারা সৎ, যোগ্য, শিক্ষিত, পরিশ্রমী, এলাকায় জনপ্রিয়, তৃণমূলের কর্মী থেকে উঠে আসা নেতা এবং যাদের কোনো নৈতিক স্খলন নেই এমন প্রার্থীদেরই বেছে নিয়েছে ক্ষমতাসীন দলটি। তাই পাঁচ সিটির দুটিতে পুরনো মুখে ভরসা রেখেছে আওয়ামী লীগ; নতুন মুখ বাছাই করেছে তিন সিটিতে। বাদ পড়েছেন গাজীপুরের বহুল আলোচিত জাহাঙ্গীর আলম ও বরিশালের সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ।

দলীয় সূত্র বলছে, টানা তৃতীয় দফায় ক্ষমতায় থাকায় অনেক নেতার গা-ছাড়া ভাব দেখা যাচ্ছে। তাদের কাছে রাজনীতির চেয়ে ক্ষমতার সাধ নেওয়াটাই বেশি জরুরি। এতে স্থানীয় নেতৃত্বে দেখা দিয়েছে চরম দ্বন্দ্ব। তাই পাঁচ সিটি নির্বাচনকে সামনে রেখে নড়েচড়ে বসছে আওয়ামী লীগ। দক্ষ ও পরীক্ষিত প্রার্থীর পাশাপাশি পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির প্রার্থী বেছে নিয়েছে দলটি। কারণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চান সুষ্ঠু ভোটের মাধ্যমে যাতে নৌকার প্রার্থীরা জয়ী হতে পারেন এবং দলকে যেন কোনো বেগ পেতে না হয়।

ইসি ঘোষিত তফসিল অনুসারে আগামী ২৫ মে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভোটগ্রহণ হবে। খুলনা ও বরিশালে ভোট হবে আগামী ১২ জুন। আর ২১ জুন রাজশাহী ও সিলেটে ভোটগ্রহণ হবে।

গাজীপুর সিটি করপোরেশনে মেয়র পদে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লা খান মনোনয়ন পেয়েছেন। তিনি ২০১৩ সালে বিএনপির প্রার্থী এম এ মান্নানের কাছে হেরে যান। পরেরবার জাহাঙ্গীর আলমকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। সেই নির্বাচনে পাঁচ সিটির ৪টিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা জয়ী হলেও সিলেটে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে জয় পান বিএনপির আরিফুল হক। তিনি বদর উদ্দিন আহমদ কামরানকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বার মেয়র হন। বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের মৃত্যু হওয়ায় এবার সিলেটে আওয়ামী লীগ প্রার্থী করেছে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীকে।

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) মেয়র ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের ওপরই ভরসা রেখেছে দল। এবারও তিনি মনোনয়ন পেয়েছেন। খুলনায় তালুকদার আবদুল খালেক একাধিকবার মেয়র হয়েছেন। সেখানেও মনোনয়ন পেয়েছেন তিনি। কারণ, সেখানে অন্য কোনো নেতার তেমন কোনো জোরালো তৎপরতা ছিল না। আর বর্তমান মেয়রদের মধ্যে মাঠের জরিপে সবচেয়ে পিছিয়ে থাকা বরিশালের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ মনোনয়ন পাননি। সেখানে দলীয় কোন্দলও প্রকট। বরিশাল সদর আসনের সংসদ সদস্য ও পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীমের সঙ্গে মেয়রের দ্বন্দ্ব বরিশালের সর্বস্তরে আলোচিত। প্রয়াত মেয়র শওকত হোসেনের (হিরণ) অনুসারীদের কেউ কেউ ভেতরে ভেতরে সাদিক আবদুল্লাহর বিপক্ষে। ফলে সাদিক আবদুল্লাহর আপন চাচা আবুল খায়ের আবদুল্লাহ ওরফে খোকন সেরনিয়াবাতকে মেয়র পদে প্রার্থী করেছে আওয়ামী লীগ, যদিও তার দলীয় পদ নেই। তবে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে তার ভালো সম্পর্ক রয়েছে।

আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা বলেন, আগামী বছরের প্রথম ভাগে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। এতে বাকি রয়েছে আর মাত্র ৮ মাস। ফলে সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ কোনো ঝুঁকি নিতে চায় না। যারা তৃণমূল নেতাকর্মীদের এড়িয়ে চলেন, নৌকা হলেই পাস করে যাবেন এমন মনোভাব পোষণ করেন, দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখেন না, এলাকায়ও কোনো যোগাযোগ রাখেন না তাদের সিটি নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে যারা দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী দাঁড় করিয়েছিলেন, নৌকার বিপক্ষে কাজ করেছেন তাদের বিষয়েও এবার কঠোর মনোভাব দেখিয়েছে দলীয় হাইকমান্ড।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ বলেন, দলের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি সৎ, যোগ্য ও দলের জন্য যারা নিবেদিত তাদেরকেই মনোনয়ন দিয়েছেন।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, সামনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। তাই পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে যোগ্যতা বিবেচনা করেই দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। যাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই, কোনো অনিয়মের সঙ্গে জড়িত নেই, এলাকায় জনপ্রিয়তা রয়েছে, সৎ, যোগ্য, শিক্ষিত, পরিশ্রমী ও ক্লিন ইমেজের প্রার্থী- এমন ব্যক্তিদেরই দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ও দলের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, নির্বাচনের অনেক সময় রয়েছে এখন মাঠে অনেক কিছুই হবে। এখনই সব বলা যাবে না।

 


আরও খবর



৪০০ ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশ করেছে

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image

ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ফিলিস্তিনের গাজায় ৪০০ ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করেছে। ইসরায়েলি সরকারি কার্যক্রমের সমন্বয়কারী সংস্থা ট্রাকগুলো গাজায় প্রবেশের অনুমোদন দেয়।

এক এক্স বার্তায় সংস্থাটি জানায়, যুদ্ধবিধ্বস্ত উত্তর গাজায় বিমান থেকে মানবিক সহায়তা দেওয় হয়েছে। পাশাপাশি ২২ ট্রাক ত্রাণ উত্তর গাজায় সরবরাহ করা হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।

গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, এপ্রিলে প্রতিদিন গড়ে ১৬৩টি ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশের অনুমোদন দিয়েছে ইসরায়েল।

তবে ইসরায়েল যে সংখ্যক ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশের অনুমোদন দিয়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত কম। কারণ অবরুদ্ধ এলাকায় প্রতিদিন এক হাজার ত্রাণবাহী ট্রাক দরকার।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেছেন, মার্কিন সেনাদের ওপর হামলার পরিকল্পনা হামাসের নেই। অর্থাৎ এরকম কোনো ইঙ্গিত তিনি পাননি।

বর্তমানে গাজা উপকূলে সাময়িকভাবে জেটি নির্মাণ করছে যুক্তরাষ্ট্র। যেখানে এক হাজারের মতো মার্কিন সেনা কাজ করছে। মূলত গাজায় ত্রাণ সহায়তা সরবরাহ করতেই এমন জেটি নির্মাণ করা হচ্ছে।

 


আরও খবর



গাজামুখী ট্রাক থেকে ত্রাণ ফেলে দিচ্ছে ইসরাইলিরা !

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজামুখী ত্রাণবাহী ট্রাক আটকে দিয়েছে ইসরাইলি বিক্ষোভকারীরা। শুধু তাই নয়, এ সময় তারা ট্রাক থেকে খাবারের প্যাকেটগুলো ফেলে দেয় এবং শস্যের ব্যাগগুলো ছিঁড়ে ফেলে। অধিকৃত পশ্চিমতীরে এ ঘটনা ঘটে। খবর বিবিসির।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ত্রাণবাহী ট্রাকগুলো জর্ডান থেকে এসেছিল। হেবরনের পশ্চিমে তারকুমিয়া চেকপয়েন্টে ইসরাইলপন্থিরা বিক্ষোভ করছিলেন। তারাই ত্রাণবাহী ট্রাকগুলো আটকে দিয়ে খাবারের প্যাকেটগুলো ফেলে দেয়। এ সময় সেখান থেকে চার বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, বিক্ষোভকারীরা লরি থেকে খাবারের বাক্সগুলো মাটিতে ফেলে সেগুলোতে লাথি দিচ্ছে। এছাড়া অন্য আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, সন্ধ্যার পরে একটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছে। তবে ভিডিওগুলো স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি বিবিসি।

ইসরাইলি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বিক্ষোভকারীদের ডানপন্থি গোষ্ঠী হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে, যারা গাজায় মানবিক সহায়তা সরবরাহ বন্ধ করতে চায়।

বিক্ষোভকারী দলটি জানায়, তারা গাজায় হামাসের হাতে আটক বন্দিদের মুক্তির জন্য বিক্ষোভ করছে।

একজন বিক্ষোভকারী বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, তিনি সোমবার চেকপয়েন্টে ছিলেন, কারণ তিনি শুনেছেন যে ত্রাণবাহী ট্রাকগুলো হামাসের কাছে গিয়ে পৌঁছাবে; যারা তাদের সেনা ও ইসরাইলি নাগরিকদের হত্যার চেষ্টা করছে।

এদিকে, ত্রাণবাহী ট্রাকে এ হামলার নিন্দা করেছে হোয়াইট হাউস। তারা ঘটনাটিকে লুটপাটপুরোপুরি ক্ষোভ হিসেবে বর্ণনা করেছে।

জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) সতর্ক করেছে, উত্তর গাজার ফিলিস্তিনিরা সম্পূর্ণ দুর্ভিক্ষর সম্মুখীন হচ্ছেন। আর দক্ষিণে যেখানে বেশিরভাগ ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছে, সেখানে মানবিক পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে।


আরও খবর



প্রার্থী হওয়ায় ছোট ভাইকে ‘কুলাঙ্গার’ বললেন কাদের মির্জা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image

ডিজিটাল ডেস্ক:

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হওয়ায় আপন ছোট ভাই শাহদাত হোসেনকে ‘কুলাঙ্গার’ বললেন নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল কাদের মির্জা।

কাদের মির্জা একইসঙ্গে বসুরহাট পৌরসভার মেয়রও।

মঙ্গলবার (১৪ মে) সন্ধ্যায় বসুরহাট পৌরসভার সরকারি মিলনায়তনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী গোলাম শরীফ চৌধুরী পিপুলের সমর্থনে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এ কথা বলেন।


তার ছোট ভাই শাহদাত হোসেন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন। তারা দুজনই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই।

‘কুলাঙ্গার’ ছাড়াও শাহদাত হোসেন তার ভাই নন বলে তিনি মন্তব্য করেন কাদের মির্জা। তার বক্তব্যটি স্থানীয় একাধিক সাংবাদিক ফেসবুকে লাইভে প্রচার করেন। ভাইয়ের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে দেওয়া কাদের মির্জার ওই বক্তব্য নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা চলছে।


শাহদাত হোসেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হওয়ার পর হলফনামায় মামলার তথ্য না দেওয়ায় এবং আয়-ব্যয়ের বিবরণী না থাকায় প্রথমে যাচাই-বাছাইয়ে পরবর্তী সময়ে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আপিলে তার প্রার্থিতা বাতিল হয়।

এরপর তিনি হাইকোর্টে রিট আবেদন করে প্রার্থিতা ফিরে পেলেও এখনো প্রতীক বরাদ্দ পাননি। তৃতীয় ধাপে ২৯ মে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল কাদের মির্জা বলেন, আজ ওবায়দুল কাদের ঘুমাতে পারেন না একটা ছেলের জন্য। সে আমার ভাই নয়, ওবায়দুল কাদেরের ভাই নয়। ওবায়দুল কাদের সাহেব স্টেটমেন্ট দিয়ে বলেছেন, কোনো মন্ত্রী-এমপির আত্মীয়-স্বজন নির্বাচনে দাঁড়াতে পারবে না।

আমাদের ভাই নয় এই কুলাঙ্গার শাহদাত। তার কারণে আজ ওবায়দুল কাদের অসহায়, সাংবাদিকদের সামনে গেলে চেহারা কালো হয়ে যায়। শেখ হাসিনার কাছে জবাব দিতে পারে না।

কাদের মির্জা বলেন, সে (শাহদাত) আজ কোর্টে কোর্টে ঘুরছে। কাদের ইঙ্গিতে এ ষড়যন্ত্র হচ্ছে একদিন প্রকাশ হবে ইনশা আল্লাহ। ওবায়দুল কাদেরের ইজ্জত যে ছেলে নষ্ট করে, সে ছেলেকে যদি ভোটে আসে, ভোট দেওয়া যায়?...না। আল্লাহর গজব পড়বে এই ছেলের ওপর।

ছোট ভাইয়ের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে আরও বলেন, একটা সালিস তার জন্য করতে পারি না পৌরসভায়। সালিসে রায় দিলে যে হেরে যায়, সে তার পক্ষ হয়। সালিস বাস্তবায়ন করতে পারি না এই ছেলের কারণে।

এই ছেলেকে ঘৃণাভরে যদি প্রত্যাখ্যান না করেন, ওবায়দুল কাদের সাহেব যদি মারা যান, তার আত্মার শান্তি পাবে না।


আরও খবর



১৫ মে থেকে আবার আসছে তাপপ্রবাহ

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image

বৈশাখে ছিলো না কোনো কালবৈশাখী বা বৃষ্টি। উল্টো পুরো এপ্রিলজুড়ে সারাদেশের মানুষ পুড়েছে তীব্র তাপপ্রবাহে। গরমের তীব্রতা এতই বেশি ছিল যে জনজীবন এলোমেলো হয়ে গিয়েছিলো। সেই তাপপ্রবাহ দুর করে চলতি মাসে শুরু হয় স্বস্তির বৃষ্টি। বর্তমানে অনেকটাই স্বস্তিতে রয়েছে মানুষ। তবে সেই স্বস্তি বেশিদিন থাকবে না বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

আগামী কয়েক দিনে দেশে বৃষ্টির প্রবণতা কমবে; মধ্য মে থেকে গরম বাড়বে। মাসের শেষাংশের পুরোটাজুড়েই থাকতে পারে তাপপ্রবাহ। আবহাওয়াবিদ শাহানাজ সুলতানা এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, এখন বৃষ্টির প্রবণতা অনেকটা কমে গেছে। এটা আরও কমে যাবে। রোববার থেকে দেশের তাপমাত্রা বাড়তে থাকবে। আর ১৫ তারিখের পর থেকে মাসজুড়েই তাপপ্রবাহ থাকতে পারে।

আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন বলেন,  রাতে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে; তবে রোববার থেকে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে থাকবে।

তিনি আরও বলেন, চলতি মাসের ১৫ তারিখ থেকে তাপমাত্রা আরও বাড়বে। তখন রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেটের কিছু কিছু জায়গায় হয়তো বৃষ্টি থাকবে, কিন্তু অন্যান্য জায়গা থেকে কমে যাবে। ১৫ তারিখ থেকে পুরো মাস জুড়েই তাপপ্রবাহ থাকতে পারে।

আরেক আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেন, মে মাসের তাপমাত্রা এপ্রিলের মতো প্রকট হবে না। কারণ, এর মধ্যেই কোনো কোনো দিন বৃষ্টি হবে। তবে মে মাসের শেষের দিকে এবং জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহে তাপমাত্রা বাড়বে আরও এক ধাপ। কারণ, জুনের ১৫ তারিখ থেকে বর্ষাকাল শুরু হয়। এর আগে প্রকৃতি ড্রাইআউট হয়। তখন তাপমাত্রা বাড়বে।


আরও খবর



দেশের ৭ অঞ্চলে ঝড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টির আভাস

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image

দেশের সাত অঞ্চলের ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অধিদফতর। সেইসঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টিও হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি।

শনিবার (৪ মে) দুপুর একটা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া এক পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুকের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা, বরিশাল, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ সময় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাস বলছে, শনিবার দেশের বেশিরভাগ এলাকায় তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। দিনের তাপমাত্রা গতকালের মতোই উষ্ণ থাকতে পারে। রাতের তাপমাত্রাও বৃদ্ধির আশঙ্কা আছে। তবে দেশের কোথাও কোথাও ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে শিলাবৃষ্টিও হতে পারে কিছু জেলায়। ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি হলে তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্ট এলাকায় তাপমাত্রা কমলেও তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হবে না।


আরও খবর