Logo
শিরোনাম

তীব্র গরমে নাকাল দার্জিলিংয়ের পর্যটকরা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০১ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ মে ২০২৫ |

Image

গরমের ছুটিতে বহু পর্যটকের গন্তব্য হয় দার্জিলিং, না হয় সিকিম। কিন্তু এবার গরম থেকে রেহাই পেল না পাহাড়ও। মে মাসে এত গরম কখনো দেখেনি শৈলশহর দার্জিলিং। তাপমাত্রার সব রেকর্ড এবার ভাঙল।

ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, পর পর দুদিন দার্জিলিংয়ের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রির বেশি। মঙ্গলবার ২৫.৪ ও বুধবার ২৫.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের চেয়ে ৬ ডিগ্রি বেশি। মঙ্গলবার কালিম্পংয়ের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পৌঁছেছিল ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।

রেকর্ড ভেঙেছে পড়শি শৈলশহর গ্যাংটকেও। মঙ্গলবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পৌঁছয় ২৫.৯ ডিগ্রিতে, বুধবার পারদ উঠে যায় ২৬.১ ডিগ্রিতে। দার্জিলিংয়ের মতো সর্বকালীন রেকর্ড না ভাঙলেও, বুধবার ২৩ বছরের উষ্ণতম দিন কাটিয়েছে সিকিমের রাজধানী। সর্বশেষ ২০০০ সালের ১৪ মে তাপমাত্রা পৌঁছেছিল ২৬.১ ডিগ্রিতে। তারপর এবার।

ভারতীয় আবহাওয়া ভবনের পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান, অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যাখ্যা, বৃষ্টি হচ্ছে না। আকাশ একেবারে পরিষ্কার। চড়া রোদের ফল এই তাপমাত্রা বৃদ্ধি।

রোদের প্রভাব পড়েছে বাকি অঞ্চলেও। পশ্চিমবঙ্গের মালদহ, উত্তর-দক্ষিণ দিনাজপুর তো বটেই, শিলিগুড়িতেও চল্লিশের উপর তাপমাত্রা। তাপপ্রবাহের মতো পরিস্থিতি জলপাইগুড়ি, কোচবিহারেও।

ভারতের আবহাওয়া দফতরের ইঙ্গিত, জুনের ৬-৭ তারিখের দিকে গরম আরও বাড়তে পারে।


আরও খবর



এপ্রিলে সড়কে ৫৯৩ দুর্ঘটনায় নিহত ৫৮৮

প্রকাশিত:রবিবার ১১ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 |

Image

বিদায়ি এপ্রিল মাসে দেশের সড়কে ৫৯৩টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় ৫৮৮ জন নিহত এবং ১১২৪ জন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৮৬ জন নারী এবং ৭৮ জন শিশু রয়েছে।

এ সময়ে ২১৮টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২২৯ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া ৭টি নৌ-দুর্ঘটনায় ৮ জন নিহত এবং ৪ জন আহত হয়েছেন। ২২টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ২৪ জন নিহত এবং ৬ জন আহত হয়েছেন।

রবিবার (১১ মে) সকালে সংবাদমাধ্যমে রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমানের পাঠানো এপ্রিলের সড়ক দুর্ঘটনার প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশন ৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকা বিভাগে সর্বাধিক ১৭৩টি দুর্ঘটনায় ১৫৪ জন নিহত হয়েছেন। রংপুর বিভাগে সবচেয়ে কম ৩১টি দুর্ঘটনায় ৩২ জন নিহত হয়েছেন। জেলা হিসেবে চট্টগ্রামে ৩৫টি দুর্ঘটনায় ৪৬ জন নিহত হয়েছে। নীলফামারী জেলায় দুর্ঘটনা ঘটলেও প্রাণহানি হয়নি। রাজধানীতে ৩৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৯ জন নিহত এবং ২৭ জন আহত হয়েছেন।

সড়ক দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, বেপরোয়া গতি, চালকদের অদক্ষতা ও মানসিক অসুস্থতা, বেতন-কর্মঘন্টা নির্দিষ্ট না থাকা, মহাসড়কে স্বল্পগতির যান চলাচল, তরুণদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো, জনসাধারণের ট্রাফিক আইন না মানা, দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা এবং বিআরটিএর সক্ষমতার ঘাটতির কথা বলা হয়েছে।

সুপারিশ হিসেবে দক্ষ চালক তৈরি, চালকদের বেতন-কর্মঘণ্টা নির্ধারণ, বিআরটিএর সক্ষমতা বৃদ্ধি, পরিবহন মালিক-শ্রমিক ও পথচারীদের ট্রাফিক আইন মানার বাধ্যবাধকতা, মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন বন্ধ এবং আলাদা সার্ভিস রোড তৈরি, মহাসড়কে রোড ডিভাইডার নির্মাণ, গণপরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধ এবং সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ কার্যকর করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

দুর্ঘটনা পর্যালোচনায় বলা হয়েছে, গত মার্চ মাসে ৫৮৭টি দুর্ঘটনায় ৬০৪ জন নিহত হয়েছিলেন। প্রতিদিন গড়ে ১৯.৪৮ জন নিহত হলেও এপ্রিলে এই সংখ্যা ১৯.৬ জনে দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ, প্রাণহানি কমার লক্ষণ নেই। অধিকাংশ দুর্ঘটনা ঘটে অতিরিক্ত গতির কারণে। এই গতি নিয়ন্ত্রণে প্রযুক্তিগত নজরদারি এবং চালকদের মোটিভেশনাল প্রশিক্ষণ জরুরি।

এ ছাড়া পেশাগত সুযোগ-সুবিধার অভাবে যানবাহন চালকরা শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাই সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে চালকদের পেশাগত সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।


আরও খবর



গোপন রোগের কারণে যদি চুলকানি হয়

প্রকাশিত:সোমবার ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ মে ২০২৫ |

Image

ডা. দিদারুল আহসান: কিছু সংক্রামক অসুখ রয়েছে, যেগুলোর মাধ্যমে বিস্তার লাভ করতে পারে কিছু মারাত্মক যৌনরোগ। এমন রোগগুলো একসঙ্গে এসটিডি (ঝঞউ) নামে পরিচিত। উল্লেখযোগ্য কিছু যৌনবাহিত রোগ হলো সিফিলিস বা ফিরিঙ্গি রোগ, গনোরিয়া বা বিষমেহ, ক্ল্যামাইডিয়া, ট্রাইকোমোনিয়াসিস, জেনিটাল হার্পিস, জেনিটাল ওয়ার্টস, হেপাটাইটিস বি এবং সি, এইডস (এইচআইভির জীবাণু), চ্যানক্রয়েড, গ্রানুলোমা ইনগুইনাল, লিম্ফোগ্রানুলোমা ভেনেরিয়াম ইত্যাদি। এসব রোগের কিছুসংখ্যক অন্যান্য প্রক্রিয়ায়ও ছড়িয়ে পড়ে (যেমন এইচআইভি)।

চুলকানি হওয়ার কারণ : পুরুষের নিম্নাঙ্গের নানাস্থানে অনেক সময় তীব্র চুলকানি দেখা দেয়। এর পেছনে ব্যাকটেরিয়া ছাড়াও আরও যেসব কারণ দায়ী তা হলো ছত্রাকের আক্রমণ, ট্রাইকোমোনিয়াসিস প্যারাসাইটের আক্রমণ ছাড়াও যৌনাঙ্গে উঁকুন, খোসপাঁচড়া, মাইকোপ্লাজমা জেনেটালিয়ামের সংক্রমণ। এসবের কারণে নিম্নাঙ্গে চুলকানি হতে পারে। কিছু যৌনরোগ, যেমন সিফিলিস, গনোরিয়া, এইডস ইত্যাদি কারণে যৌনাঙ্গে চুলকানি হতে পারে। বিভিন্ন বিরক্তিকর পদার্থ, যেমন কোনো কোনো ডিটারজেন্ট, কেমিক্যাল, সুগন্ধিযুক্ত সাবান, রঙওয়ালা টিস্যু পেপার, ফেমিনিন হাইজেনিক স্প্রে, ডুশ ইত্যাদি ব্যবহারেও চুলকানি হতে পারে। ডায়াবেটিস, রেনাল ডিজিজ, অ্যাকজিমা ও রক্তে কোনো সমস্যা ও অন্য কোনো রোগ থাকলেও যৌনাঙ্গ চুলকায়। আঁটো পোশাক, যৌনাঙ্গ আর্দ্র হয়ে থাকলে, অপরিষ্কার থাকলেও চুলকানি হওয়া অস্বাভাবিক নয়।

প্রতিকার : ছত্রাকের বা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে অ্যান্টিফাঙ্গাল বা অ্যান্টিবায়োটিক খেতে হয়। অন্যান্য ক্ষেত্রে কারণ নির্ণয় করে চিকিৎসা নিতে হবে। এছাড়া প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, যেন তা আর না হয়।

প্রতিরোধের উপায় : সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে। রঙিন ও বেশি সুগন্ধিযুক্ত টয়লেট টিস্যু ও সাবান ব্যবহার করবেন না। প্রয়োজন ছাড়া ফেমিনিন হাইজিন স্প্রে ও ডুশ ব্যবহার করবেন না। ভেজা কাপড় পরে বেশিক্ষণ থাকবেন না। গোসল বা ব্যায়ামের পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভেজা কাপড়টি পাল্টে নেবেন। দই খান। এতে ল্যাকটোব্যাসিলাস নামক উপকারী ব্যাকটেরিয়া থাকে। সুতির কাপড় দিয়ে তৈরি অন্তর্বাস পরুন। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখুন। ওজন কমান। নিয়মিত গোসল করুন। অন্তর্বাস নিয়মিত রোদে শুকাতে দিন, যাতে ব্যাকটেরিয়া দূর হয়। যারা এ সমস্যায় প্রতিনিয়ত ভুগে থাকেন, তাদের অবশ্যই চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। চিকিৎসকের পরামর্শমতো চিকিৎসাব্যবস্থা গ্রহণ করলে রোগটি থেকে মুক্ত থাকা যায়।

লেখক : চর্ম, যৌন ও অ্যালার্জি রোগ বিশেষজ্ঞ এবং কনসালট্যান্ট, গ্রিন লাইফ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল

রুম-৪৩২ (৪ তলা) গ্রিনরোড, ধানমন্ডি, ঢাকা

০১৭১৫৬১৬২০০, ০১৭৩৩৭১৭৮৯৪


আরও খবর



আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি

প্রকাশিত:সোমবার ১২ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ মে ২০২৫ |

Image

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। সোমবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এ তথ্য জানিয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগের সব ধরনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন এরই মধ্যে হয়ে গেছে। অধ্যাদেশ অনুসারে বিষয়টি বাস্তবায়ন করার দায়িত্ব আমাদের।

জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকার যুক্তিসঙ্গতভাবে মনে করে সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ এবং সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯ এর ধারা-১৮(১) অনুযায়ী আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত দলটি এবং এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা দরকার।

এ অবস্থায় আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের যেকোনো ধরনের প্রকাশনা, গণমাধ্যম, অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যেকোনো ধরনের প্রচারণা, মিছিল, সভা-সমাবেশ, সম্মেলন আয়োজনসহ যাবতীয় কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো।

এতে আরও বলা হয়, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ ও এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সদস্য ও ভিন্নমতের মানুষের ওপর হামলা, গুম, খুন, হত্যা, নির্যাতন ও ধর্ষণসহ বিভিন্ন নিপীড়নমূলক ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সারাদেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে।

এছাড়া, আওয়ামী লীগ ও এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের বিরুদ্ধে গত ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে গুম, খুন, পুড়িয়ে মানুষ হত্যা, গণহত্যা, বেআইনি আটক, অমানবিক নির্যাতন, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, সন্ত্রাসী কাজ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের সুস্পষ্ট অভিযোগ রয়েছে এবং এসব অভিযোগ দেশি ও আন্তর্জাতিক প্রতিবেদনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

উল্লিখিত অপরাধের অভিযোগে আওয়ামী লীগ ও এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এবং দেশের ফৌজদারি আদালতে বহু মামলা বিচারাধীন রয়েছে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।

এসব মামলার বিচারে প্রতিবন্ধকতা তৈরি, জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি, বাংলাদেশের সংহতি, জননিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করতে গত ৫ আগস্টের পর আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী ছাত্র-জনতার ওপর হামলা, উসকানিমূলক মিছিল, রাষ্ট্রবিরোধী লিফলেট বিতরণ এবং অন্যদেশে পলাতক তাদের নেতাসহ অন্য নেতাকর্মী সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে অপরাধমূলক বক্তব্য প্রদান, ব্যক্তি ও প্রজাতন্ত্রের সম্পত্তির ক্ষতিসাধনের চেষ্টাসহ আইন-শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকাণ্ড পরিলক্ষিত হয়েছে।

এসব কর্মকাণ্ডে রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে, দলটি এবং এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার বাদী ও সাক্ষীদের মনে ভীতির সঞ্চার করা হয়েছে ও এভাবে বিচার বিঘ্নিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে এবং সার্বিকভাবে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি হওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।

এছাড়া, সরকারের কাছে যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ আছে যে, আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল ও অকার্যকর করতে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকাসহ জনমনে ভীতি সঞ্চারের উদ্দেশ্যে সন্ত্রাসী সংগঠনের মতো বিভিন্ন বেআইনি কার্যকলাপ ও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।

এ অবস্থায় সরকার মনে করে সন্ত্রাসবিরোধী অধ্যাদেশ ২০২৫ এবং সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯ অনুযায়ী আওয়ামী লীগ ও এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বিচারকাজ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দলটি এবং এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা উচিত।


আরও খবর



টানা ৫ দিন যেসব জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে

প্রকাশিত:রবিবার ০৪ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ মে ২০২৫ |

Image

দেশের বেশ কিছু জায়গায় টানা পাঁচদিন বৃষ্টির আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ১২০ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল হয়ে পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এ অবস্থায় শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

রবিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপামাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

সোমবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে।

এ ছাড়া বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ সময়ে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপামাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।


আরও খবর



আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস নিয়ে মাভাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের ভাবনা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০১ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 |

Image

মো: হ্নদয় হোসাইন,মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

যুগে যুগে দেশ ও জাতির উন্নয়নে শ্রমিক শ্রেণির অবদান অনস্বীকার্য। আজকের এই সভ্য সমাজের উঁচু অট্টালিকা, শিল্প-কারখানা কিংবা প্রযুক্তিগত উন্নয়ন—সবকিছুর পেছনেই মেহনতি মানুষের ঘামঝরা শ্রম নিহিত।

এই দিবসটির ঐতিহাসিক ভিত্তি রয়েছে ১৮৮৬ সালের শিকাগো শহরের ‘হে মার্কেট’ আন্দোলনের মধ্যে। সেখানে শ্রমিকেরা দৈনিক ৮ ঘণ্টা কাজের দাবি নিয়ে আন্দোলনে নেমেছিলেন। এ দিনে  অকুতোভয় কিছু শ্রমিক তাঁদের আত্মদানের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন শ্রমিকদের অধিকার, যা পরবর্তীতে বিশ্বজুড়ে শ্রম আইন ও ন্যায্য মজুরির আলোচনার পথপ্রদর্শক হয়। এই অবদানের স্বীকৃতি দিতেই প্রতিবছর ১ মে বিশ্বব্যাপী পালিত হয় আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস, যা মে দিবস নামেও পরিচিত।

এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, কোনো দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধিতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করে শ্রমিক শ্রেণি। দেশের কল-কারখানা, নির্মাণশিল্প, পরিবহন খাত কিংবা কৃষি—প্রতিটি ক্ষেত্রেই শ্রমিকদের কঠোর পরিশ্রমই গতি এনে দেয় অর্থনীতিকে। অথচ দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, এই শ্রমিকরাই সমাজে সবচেয়ে বেশি অবহেলিত ও উপেক্ষিত। প্রতিনিয়ত তারা শোষণ, বঞ্চনা ও বিভিন্ন প্রকার নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। অনেক সময় তাদের ন্যায্য মজুরি থেকে বঞ্চিত করা হয়, কর্মপরিবেশ থাকে অমানবিক, এবং নিরাপত্তার অভাবে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটে। পরিতাপের বিষয় হলো, এখনো শ্রমিকদের নিজেদের ন্যায্য মজুরি ও উপযুক্ত কর্মপরিবেশের জন্য রক্ত দিতে হয়। 

শোষণহীন সমাজ গঠনে শ্রমিকদের অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অপরিহার্য। আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসে কী ভাবছেন মাভাবিপ্রবি  শিক্ষার্থীরা? এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের মতামত তুলে ধরেছেন মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও  ক্যাম্পাস সাংবাদিক মো. হ্নদয় হোসাইন।

ফুড টেকনোলজি অ্যান্ড নিউট্রিশনাল সায়েন্স বিভাগের ২০২২-২৩ বর্ষের  শিক্ষার্থী সমাপ্তি খান  বলেন, শ্রমিকরা আমাদের অর্থনীতির অন্যতম চালিকা শক্তি। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই তারা তাদের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত। মে দিবস আমাদের মনে করিয়ে দেয়, সমাজে সব শ্রেণির মানুষের প্রতি ন্যায্যতা ও মর্যাদা থাকা প্রয়োজন। যারা কঠোর পরিশ্রম করেন, তাদের কষ্ট যেন আমরা বুঝি। আমি বড় হয়ে এমন কিছু করতে চাই, যাতে নারী শ্রমিকরা ন্যায্য বেতন ও সম্মান পান।

অর্থনীতি বিভাগের মাস্টার্স ২০২০-২১ বর্ষের শিক্ষার্থী  তৌকির  আহমেদ বলেন, ১লা মে—আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস। এটি কেবল একটি তারিখ নয়, এটি এক ঐতিহাসিক আন্দোলনের প্রতীক, শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের দিন।

এই দিনে আমরা গভীর শ্রদ্ধা জানাই বিশ্বের সকল শ্রমিকদের প্রতি—যারা রোদে-পুড়ে, ঘামে-ভেজা শরীরে দেশের উৎপাদন ব্যবস্থাকে সচল রাখেন। যারা নির্মাণ করেন রাস্তা, ব্রিজ, ভবন—যাদের হাতে গড়ে ওঠে এক একটি জাতির অগ্রগতির ভিত। অথচ আজও আমাদের সমাজে অনেক শ্রমিক বঞ্চিত হচ্ছেন ন্যায্য মজুরি, নিরাপদ কর্মপরিবেশ ও সামাজিক নিরাপত্তা থেকে।

আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসে আমাদের অঙ্গীকার হোক—

১. শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় নীতিনির্ধারক ও নাগরিক সমাজ সক্রিয় থাকবে।

২. শ্রমিক-মালিক সম্পর্ক হবে দায়িত্বশীল ও সম্মানভিত্তিক।

৩. শিশু শ্রম, জোরপূর্বক শ্রম ও শ্রমিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স দেখানো হবে।

আমরা যেন ভুলে না যাই—শ্রমের মর্যাদা মানে মানুষের মর্যাদা। সমাজের প্রতিটি স্তরে শ্রমজীবী মানুষের প্রতি সম্মান ও সহানুভূতির মনোভাব গড়ে তুললেই শ্রমিক দিবসের তাৎপর্য পূর্ণতা পাবে।

শ্রমিকের ঘামে গড়া সমাজে কোনো বৈষম্যের জায়গা নেই।

আসুন, এই দিনে আমরা সমতার সমাজ গড়ার প্রত্যয়ে এগিয়ে যাই।

টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের  ২০২০-২১ বর্ষের  শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান রাকিব বলেন,আমি একজন শিক্ষার্থী। পড়াশোনার ফাঁকে যখন দেখি রোদে-পুড়ে, ঘামে ভিজে কাজ করছেন শ্রমিকরা—তখন মনে হয়, এ সমাজের সত্যিকারের নায়ক তো এঁরাই। আমরা যে ভবনে ক্লাস করি, যে রাস্তায় চলি, তা তো তাঁদের ঘামে গড়া।

তবু কেন তাঁরা থেকে যান প্রান্তে? কেন আজও ন্যায্য মজুরি থেকে বঞ্চিত হন? কেন নিরাপদ কর্মপরিবেশ কিংবা সামাজিক সুরক্ষা তাঁদের প্রাপ্য হয়ে ওঠে না?

আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস আমাকে শেখায়—শ্রম মানেই সম্মান। শ্রমিকদের অধিকার রক্ষা শুধু সরকারের দায়িত্ব নয়, আমাদের সবার। আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন দরকার—শ্রমিক বললেই যেন সম্মান ঝরে পড়ে মনে।

শিক্ষার্থী হিসেবে আমি স্বপ্ন দেখি এক এমন সমাজের, যেখানে শিশুশ্রম থাকবে না, কেউ জোর করে শ্রমে বাধ্য হবে না, শ্রমিক-মালিক সম্পর্ক হবে সৌহার্দ্যপূর্ণ।


ক্রিমিনোলজি এন্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের মাস্টার্স ২০২১-২২ বর্ষের শিক্ষার্থী  আক্তারুজ্জামান সাজু বলেন, শ্রমিক দিবস উপলক্ষে সকল শ্রমিক ভাইদের প্রতি শুভেচ্ছা জানাই। আমি নিজেও একজন শ্রমিকের সন্তান। আমি মনে করি, সভ্যতা নামক জাহাজ শ্রমিকের ঘামের উপর দিয়েই চলে। লক্ষ্যণীয় যে, গত জুলাই বিপ্লবের সময় তথাকথিত সুশীল ও বুদ্ধিজীবীদের আগেই রিকশাওয়ালা, দিনমজুররা রাস্তায় নেমেছিল; তরুণদের প্রতি আস্থা রেখেছিল।

তারুণ্যের এই নতুন বাংলাদেশে আমরা এমন এক রাজনৈতিক বন্দোবস্ত চাই, যেখানে শ্রমিকের মান-মর্যাদা ও ন্যায্য মজুরি সংরক্ষিত থাকবে।


আরও খবর