Logo
শিরোনাম

ভিকারুননিসার সাবেক অধ্যক্ষের বিরুদ্ধ মামলা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ |

Image


নিজস্ব প্রতিবেদক:


রাজধানীর ভিকারুননিসা স্কুল এন্ড কলেজে অবৈধভাবে ৭২ শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগের ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির সাবেক অধ্যক্ষ কামরুন নাহারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।


 বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মো. রুহল হক বাদী হায়ে মামলাটি দায়ের করেন। দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।



মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে কামরুন নাহার এক আদেশে অবৈধ প্রক্রিয়ার ৭২ জন শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগ প্রধান করে অপরাধমূলক অসদাচরণ করে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।


মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ২০১৬ সালের ২০ এপ্রিল এক আদেশ অবৈধ প্রক্রিয়া শুরু করে ৭২ জন শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগ প্রদান করেছেন। অথচ কোনো বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এডহক কমিটি কোনো শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগ দিতে পারবে না। 


তারপরও কামরুন নাহার নোটিশ বোর্ডে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি করে একক স্বাক্ষরে শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগ প্রদান করেছেন। ২০২২ সালের ১১ জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি মধ্যে ওই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।


এজাহারে বলা হয়েছে, প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত বেশ কয়েকজন শিক্ষক অবসর গ্রহণ করার কারণে নতুন করে এনটিআরসির মাধ্যমে শূন্য পদে স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও নিয়োগ দেয়া হয় অস্থায়ীভাবে। স্কুল ফান্ড থেকে তাদের যাবতীয় বেতনভাতা পরিশোধ করা হয়েছে। 


এই অস্থায়ী নিয়োগ প্রাপ্তদের অব্যাহতি প্রদান বা পরবর্তীতে এনটিআরসির মাধ্যমে স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগের কোনো ধরনের ব্যবস্থা কামরুন নাহার নিজে অধ্যক্ষ থাকাকালীন বা স্কুল কর্তৃপক্ষ অদ্যাবধি গ্রহণ করেননি। যাদের নিয়োগ করা হয়েছে তাদের কোনো ধরনের লিখিত পরীক্ষা বা মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়নি। 



শুধুমাত্র অল্প কয়েকজনের ডেমোলট্রেশন ক্লাস নেওয়া হয়েছিল। স্কুলের শিক্ষকদের নিয়ে নামমাত্র একটি নিয়োগ কমিটি করে এই কমিটির মাধ্যমে শুধু প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ যাচাই করে অধ্যক্ষ কামরুন নাহার এসব নিয়োগ দিয়েছেন।



পরবর্তীতে এসব শিক্ষক কর্মচারীর বেতন প্রদান নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়। নিয়োগের ক্ষেত্রে তিনি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা উপেক্ষা করেছেন।



এনটিআরসির মাধ্যমে শূন্যপদে স্থায়ী নিয়োগ না দিয়ে, কোনো প্রকারের জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না করে, কোনো লিখিত পরীক্ষা না নিয়ে, অভ্যন্তরীণ শিক্ষকদের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করে শুধুমাত্র শিক্ষাগত সনদ যাচাইয়ের মাধ্যমে একক আদেশে মোট ৭২ জন শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগ প্রদান করে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।



আরও খবর



ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে লঞ্চের ধাক্কায় নৌকাডুবি শিশু নিখোঁজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ২৪ মার্চ ২০২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান, ঝালকাঠি প্রতিনিধি:

ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে লঞ্চের ধাক্কায় মাছ ধরা নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে এক শিশু নিখোঁজ রয়েছে। মঙ্গলবার ভোর ৬টার দিকে সুগন্ধা নদীর নলছিটির গৌড়িপাশা অংশে এ ঘটনা ঘটে। ঢাকা থেকে বরগুনাগামী লঞ্চের ধাক্কায় নৌকাটি দ্বিখণ্ডিত হয়ে ডুবে যায় দুর্ঘটনার পর থেকেই নৌকায় থাকা গৌড়িপাশা এলাকার মোহাম্মদ আলী মল্লিকের ৯ বছর বয়সী শিশু রায়হান মল্লিক।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, সকালে নদীতে মাছ ধরা নৌকায় প্রতিবেশী বিপ্লব হাওলাদার নামের এক জেলের সাথে মাছ ধরা দেখতে গিয়েছিল শিশু রায়হান মল্লিক। জাল ফেলার পরে নদীতে অপেক্ষমান থাকা অবস্থায় ঢাকা থেকে বরগুনাগামী একটি লঞ্চ নৌকাটিকে ধাক্কা দেয়। এতে নৌকাটি সেখানেই ডুবে গেলে সেই জেলে সাঁতরে অন্য নৌকায় উঠতে পারলেও শিশুটি নদীর পানিতে তলিয়ে যায়। এ বিষয় নলছিটি থানার অফিসার ইনচার্জ  আব্দুস সালাম বলেন, ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি ইউনিট শিশুটির সন্ধানে কাজ করছে সকাল থেকে । এখনো কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি শিশুটির।


আরও খবর



ইয়াশ-তটিনীর সঙ্গে তাহসিন

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

দীর্ঘদিন পর সম্প্রতি ঢাকায় এসেছিলেন লাক্স সুন্দরী সিফাত তাহসিন। দেশে ফিরেই অংশ নেন ঈদের নাটকে। অভিনয় করেন মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজের অগ্নিশিখায়। এতে তাহসিনের দুই সহশিল্পী ইয়াশ রোহান ও তানজিম সাইয়ারা তটিনী। গল্পের প্রধান তিনটি চরিত্রে থাকছেন তারা।

দীর্ঘ সাত বছর পর দেশের নাটকে কাজ করা প্রসঙ্গে সিফাত তাহসিন বলেন, আমাদের শুরুর সময় শুটিং হতো এক ভাবে। এখন কাজ করে মনে হলো পিকনিকে মেজাজে ছিলাম! পুরান ঢাকার মতো অতি জনাকীর্ণ জায়গায় কাজ করলেও সেই আবহ টের পাইনি! মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজের ইউনিটের সবকিছুই দারুণ গোছানো ছিল। তিনি প্রযোজক হিসেবে সবার যত্ন নেন। এতে আমি মুগ্ধ। পরিচালক রানা ফুরফুরে মানুষ। আর অগ্নিশিখা চমৎকার একটি গল্প। সব মিলিয়ে মনের মতো একটি কাজ করেছি।

২০০৯ সালে লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতার মধ্যদিয়ে বিনোদন অঙ্গনে পরিচিতি পান সিফাত তাহসিন। সেরা পাঁচে জায়গা করে নেন তিনি। একটা সময় অভিনয়ে নিয়মিত ছিলেন। তবে ২০১৮ সালে বিয়ে করে বিদেশে পাড়ি জমান তাহসিন। আর ২০১৯ সালে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচারিত হয় তার সর্বশেষ নাটক।

সিফাত তাহসিন স্বামী ও চার বছর বয়সী কন্যাসন্তান নিয়ে কানাডার টরন্টোতে থাকেন। গত জানুয়ারি মাসে যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্কের বিভিন্ন স্থানে একটি নাটকের শুটিং করেছেন তিনি। এবার দেশে এসে অভিনয় করলেন।

এদিকে, অগ্নিশিখা রচনা ও পরিচালনা করেছেন কেএম সোহাগ রানা। তাহসিনের অভিনয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সিফাত তাহসিন মানুষ হিসেবে দারুণ। আমাদের মনেই হয়নি প্রথমবার একসঙ্গে কাজ করছি। কানাডার ফ্লাইটে ওঠার আগের দুই দিন অগ্নিশিখার শুটিং করেছেন তিনি। শুটিংয়ের ফাঁকে তার মুখে ইউনিট নিয়ে প্রশংসা শুনেছি। এমনকি বিমানে উঠে মেসেজ দিয়ে নিজের ভালো লাগার কথা জানিয়েছেন তিনি।

ইয়াশ-তটিনী ও তাহসিনের পাশাপাশি এতে আরও অভিনয় করেছেন শিল্পী সরকার অপু, ফখরুল বাশার, মিলি বাশার, বড়দা মিঠু, এমএনইউ রাজু। পুরান ঢাকার সূত্রাপুর ও বুড়িগঙ্গায় এর শুটিং হয়েছে। চিত্রগ্রহণে ফুয়াদ বিন আলমগীর। আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নাটকটি উন্মুক্ত হবে সিনেমাওয়ালা ইউটিউব চ্যানেলে। 


আরও খবর



জরিপে এগিয়ে বিএনপি, জামায়াতের পরে তরুণদের দল

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ মার্চ 20২৫ |

Image

এখনই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে বিএনপি সর্বোচ্চ ৪১.৭ শতাংশ ভোট পেতে পারে বলে বেসরকারি উন্নয়ন গবেষণা ও প্রকল্প ব্যবস্থাপনা সংস্থা ইনোভিশন কনসাল্টিং বাংলাদেশের জরিপে উঠে এসেছে।

রাজধানীর দ্য ডেইলি স্টার সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে জরিপের ফলাফল উপস্থাপন করা হয়। এতে জানানো হয়, জরিপ কাজে সহযোগিতা করেছে ব্রেন (BRAIN) এবং মুক্তচিন্তার প্ল্যাটফর্ম ‘ভয়েস ফর রিফর্ম’। চলতি বছরে সারাদেশের আটটি বিভাগের ৬৪টি জেলায় ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩ মার্চ পর্যন্ত ১০ হাজার ৬৯৬ জন এই জরিপ পরিচালনা করা হয়।

জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, এখনই ভোট হলে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা জামায়াতে ইসলামী পাবে ৩১.৬ শতাংশ ভোট। তৃতীয় স্থানে আওয়ামী লীগ ১৩.৯ শতাংশ। আর ছাত্রদের নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) পাবে ৫.১ শতাংশ ভোট।

এ ছাড়া, জরিপের ফল অনুযায়ী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ২.৬ শতাংশ, জাতীয় পার্টি ১ শতাংশ, গণঅধিকার পরিষদ শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ, গণসংগতি আন্দোলন শূন্য দশমিক ২ শতাংশ এবং অন্যান্য দল ৩.৩ শতাংশ ভোট পাবে।

জরিপের বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, জেনারেশন এক্স ও বুমার প্রজন্মের ৪৭ শতাংশ ভোটার বিএনপিকে সমর্থন করছেন। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী যুদ্ধ পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে ৩৫ শতাংশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। দলটি জেনারেশন জি-এর ৩৪ শতাংশ ভোটারের সমর্থন পেয়েছে। ঐতিহ্যগতভাবে রক্ষণশীল দল হিসেবে পরিচিত হলেও জামায়াত তরুণদের মধ্যেও প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হয়েছে বলে জরিপ থেকে ধারণা পাওয়া যাচ্ছে।

এদিকে, গ্রাম ও শহরের ভোটারদের মধ্যে বিএনপি ও জামায়াতের জনপ্রিয়তায় কিছু পার্থক্য লক্ষ্য করা গেছে। বিএনপি গ্রামাঞ্চলে ৪২ শতাংশ এবং শহরে ৪০ শতাংশ ভোটারের সমর্থন পেয়েছে, যা তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল। অন্যদিকে, জামায়াত গ্রামে ৩২ শতাংশ ও শহরে ৩০ শতাংশ ভোটারের সমর্থন পেয়েছে।

লিঙ্গভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বিএনপির সমর্থন পুরুষ ও নারীদের মধ্যে প্রায় সমান। দলটি পুরুষ ভোটারদের মধ্যে ৪২ শতাংশ এবং নারী ভোটারদের মধ্যে ৪১ শতাংশ সমর্থন পেয়েছে। তবে, জামায়াতে ইসলামী পুরুষদের মধ্যে তুলনামূলকভাবে বেশি জনপ্রিয়, যেখানে দলটি ৩৩ শতাংশ পুরুষ এবং ৩০ শতাংশ নারী ভোটারের সমর্থন পেয়েছে।

জরিপের অংশ নেওয়া ৫৮ দশমিক ১৭ শতাংশ ভোটার ২০২৫ সালের মধ্যেই নির্বাচন চান। তাদের মধ্যে ৩১ দশমিক ৬ শতাংশ ভোটার জুনের মধ্যে এবং ২৬ দশমিক ৫ শতাংশ ভোটার ডিসেম্বরে নির্বাচন হওয়ার পক্ষে। ১০ দশমিক ৯ শতাংশ ডিসেম্বরের পর নির্বাচন আয়োজনের পক্ষে ভোট দিয়েছেন।

রাজনৈতিক সংস্কারের বিষয়ে জরিপে অংশ নেওয়া মাত্র ৯ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষ মনে করেন যে, নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক সংস্কারের প্রয়োজন আছে। আর ৫ দশমিক ৩ শতাংশ অংশগ্রহণকারী সংবিধান পরিবর্তনের পক্ষে মত দিয়েছেন।

কাকে ভোট দেবেন এমন প্রশ্নে ২৯ দশমিক ৪ শতাংশ ভোটার এখনো সিদ্ধান্ত নেননি যে তারা কাকে ভোট দেবেন। তাদের মধ্যে ৪৯ দশমিক ৩ শতাংশ বলছেন যে তারা প্রার্থী সম্পর্কে জানার পর সিদ্ধান্ত নেবেন। আর ৩৩ দশমিক ৯ শতাংশ ভোটার রাজনৈতিক পরিস্থিতি দেখে সিদ্ধান্ত নিতে চান। এক্ষেত্রে নারী ভোটারদের মধ্যে অনিশ্চয়তা বেশি (৩৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ)। পুরুষদের ক্ষেত্রে এই হার ২৫ দশমিক ৮১ শতাংশ।

সংবাদ সম্মেলনে জরিপের ফলাফল উপস্থাপন করেন ইনোভিশন কনসালটিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বাংলাদেশ স্পিকসর প্রধান মো. রুবাইয়াৎ সারওয়ার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইনোভিশন কনসালটিং বাংলাদেশ-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর কাজী শাহেদ এইচ ফেরদৌস, ইনোভিশনের প্র্যাকটিস এরিয়া লিড আবদুর রব ও বিডিজবসের প্রধান নির্বাহী ফাহিম মাশরুর।


আরও খবর



তীব্র যানজটে নাকাল নগরবাসী

প্রকাশিত:সোমবার ১০ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

রাজধানীর বনানীর চেয়ারম্যান বাড়ি এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় একজন নারী পোশাকশ্রমিক নিহত ও অন্য আরেকজন আহত হয়েছেন। যার জেরে সকাল থেকে পোশাকশ্রমিকরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বনানী, মহাখালী অংশ অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন। এতে যেমন ওই এলাকার সড়কে তীব্র যানজট তৈরি হয়েছে তেমনি সেটি ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়েছে আশপাশের সড়কগুলোতেও। বিশেষ করে ইসিবি চত্বর, মাটিকাটা, শ্যাওড়া, খিলক্ষেত, বিমানবন্দরসহ আশপাশের প্রতিটি সড়কেই যানবাহনের তীব্র চাপ এবং স্থবিরতা দেখা গেছে। এতে করে ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়েছেন কাজে বের হওয়া সাধারণ মানুষ।

সোমবার (১০ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর ইসিবি চত্বর, মাটিকাটা থেকে ফ্লাইওভার হয়ে রেডিসন ব্লু হোটেল পর্যন্ত সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, পুরো সড়কেই গাড়ির তীব্র চাপ। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের যেসব গাড়ি অবরোধের কারণে সামনে যেতে পারছে না সেগুলো ফ্লাইওভার দিয়ে মিরপুরের দিকে প্রবেশের চেষ্টা করছে। অনেকে আবার বিভিন্ন জায়গায় গাড়ি ঘোরানোরও চেষ্টা করছেন। আর ফ্লাইওভারের প্রবেশমুখ, উপরে এবং শেষপ্রান্ত পর্যন্ত উভয় পাশের সড়কেই গাড়ি থেমে আছে। কিছু সময় পরপর সামনে কিছুটা ফাঁকা হলে কয়েকটি গাড়ি সামনে এগিয়ে যেতে পারছে। আর ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বনানী থেকে বিমানবন্দর ছাড়িয়ে উত্তরার জসিমউদ্দীন পর্যন্ত যান চলাচল এক প্রকার স্থবির হয়ে আছে।

এ অবস্থায় ব্যাপক বিপাকে ও ভোগান্তিতে পড়েছেন রোজা রেখে বাইরে বের হওয়া মানুষজন। সড়কে দীর্ঘসময় বাসে বসে থেকে অনেককেই হেঁটে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা করতে দেখা গেছে।

নুরুল ইসলাম নামের এক পথচারী বলেন, দীর্ঘসময় ধরে সড়কে বসে আছি। মহাখালী যাওয়ার উদ্দেশে বের হয়েছিলাম। কিন্তু গাড়ি জায়গা থেকে নড়ছে না। এখন পেছনে ফিরে যাব সে সুযোগও নেই। বাধ্য হয়েই হেঁটে পেছনে যাচ্ছি। দেখি কোন পর্যন্ত গিয়ে গাড়িতে উঠতে পারি।

নাঈম হাসান নামের এক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বলেন, ক্লাসের জন্য বের হয়েছিলাম। ১ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চেষ্টা করেও খিলক্ষেত পার হতে পারিনি। এখন বাসায় ফিরে যাচ্ছি।

জানা গেছে, নিহত পোশাকশ্রমিকের নাম মিনারা আক্তার। আহত আরেক পোশাকশ্রমিকের নাম সুমাইয়া আক্তার। তাকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে ডিএমপি ট্রাফিকের গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. মফুদুল ইসলাম বলেন, শ্রমিকদের আন্দোলনের কারণে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে যাত্রীদের যেন ভোগান্তি না হয় সেজন্য গাড়ি ডাইভারশন করে দিচ্ছি। কিছু গাড়ি ক্যান্টনমেন্টের ভেতর দিয়ে, কিছু গাড়িকে রামপুরা রোড এবং প্রগতি সরণি দিয়ে যেতে দেওয়া হচ্ছে।


আরও খবর

বায়ুদূষণের শীর্ষে ঢাকা

মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫




ব্যাংক আমানতে ফিরছে সুদিন

প্রকাশিত:বুধবার ১২ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ মার্চ 20২৫ |

Image

পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে নজিরবিহীন লুটপাট হয়েছে দেশের ব্যাংকখাতে। এতে দীর্ঘদিন ধরেই আস্থা সংকটে ভুগছিল ব্যাংকগুলো। তবে সম্প্রতি আস্থা ফিরতে শুরু করেছে ব্যাংক খাতে। টানা চার মাস পর জানুয়ারিতে ব্যাংকখাতে আমানতে প্রবৃদ্ধি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়ে ৮ শতাংশ ছাড়িয়েছে। অর্থাৎ গত জানুয়ারি শেষে ব্যাংকখাতে মোট আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৮১ হাজার ২৮৭ কোটি টাকা। আগের বছর একই সময় এই পরিমাণ ছিল ১৬ লাখ ৪৫ হাজার ৪৭ কোটি টাকা। এ হিসাবে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৮ দশমিক ২৮ শতাংশ।বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।

তথ্য বলছে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের সেপ্টেম্বর থেকে ব্যাংক খাতে আমানতে প্রবৃদ্ধি কমতে থাকে, যা ৭ দশমিক ২৬ শতাংশে নেমে যায়। পরবর্তীতে অক্টোবরে তা সামান্য বেড়ে হয় ৭ দশমিক ২৮ শতাংশ। নভেম্বরে আরও কিছুটা বেড়ে হয় ৭ দশমিক ৪৬ শতাংশ এবং ২০২৪ সালে ডিসেম্বরে তা দাঁড়ায় ৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ।

এর আগে ব্যাংকখাতে আমানতে এত কম প্রবৃদ্ধি দেখা গিয়েছিল ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। তখন ৬ দশমিক ৮৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছিল। সবশেষ চার মাসে ব্যাংকগুলোতে আমানতের প্রবৃদ্ধি ছিল ৮ শতাংশের নিচে। এর পেছনে উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও তারল্য হ্রাসের পাশাপাশি রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের সাথে সাথে ব্যাংক খাতের ভঙ্গুর অবস্থার চিত্র সামনে আনা হলে লোকজন ব্যাংকে টাকা জমা রাখা কমিয়ে দেওয়া দিয়েছি।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, ব্যাংকগুলোতে আমানতের প্রবৃদ্ধি স্বাভাবিকভাবেই ১০ শতাংশের ওপর থাকা উচিত। জুলাই অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। তার আগে থেকেই ডলার সংকট, রিজার্ভের পতন, রেমিটেন্স কমে যাওয়াসহ অর্থনীতিতে বিভিন্ন ধরনের সংকট ছিল। আন্দোলনের ধাক্কা সামলে উঠতে অন্তর্বর্তী সরকার বেশ কিছু পদক্ষেপ নিলেও অর্থনীতিতে গতি কম। সরকার পতনের মাস অগাস্টে দেশে ব্যাপক সহিংসতা, বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতেও ব্যাংক আমানতে ৯.৫০ শতাংশ প্রবৃদ্ধির তথ্য দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। মাঝে কিছুটা কমে তা আবারও বাড়ছে যা ইতিবাচক।


আরও খবর