Logo
শিরোনাম

১১ বছর বয়সী ইউক্রেনীয় শিশু একাই স্লোভাকিয়ায় পৌঁছেছে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৮ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image

দক্ষিণ-পূর্ব ইউক্রেনের জাপোরোজিয়ে শহরের এক ১১ বছর বয়সী ইউক্রেনীয় শিশু একাই প্রতিবেশী দেশ স্লোভাকিয়ায় পৌঁছেছে।

ইউক্রেনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ক মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার জানিয়েছে যে শিশুটি কোনো প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের সঙ্গ ছাড়াই একা স্লোভাকিয়ায় পৌঁছেছে। আরও জানা গেছে যে সে সুস্থ অবস্থাতেই সেখানে পৌঁছেছে।


মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তার হাসি, সাহসিকতা এবং একজন সত্যিকারের নায়কের সংকল্প দিয়ে সবার মন জয় করেছে সে। তার পরিবারের পক্ষে ইউক্রেন ছেড়ে যাওয়া সম্ভব না হওয়ায় সে একাই ভিন দেশে পাড়ি দেয়।

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ৬ মার্চ টুইট করে জানিয়েছেন যে ১০ দিনের ব্যবধানে ইউক্রেনের যুদ্ধ মোট ১.৫ মিলিয়ন মানুষকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করেছে।

ইউক্রেন থেকে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক শরণার্থী গ্রহণ করেছে পোল্যান্ড। ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে প্রায় ১ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন পোল্যান্ডে।

ইউএনএইচসিআর জানিয়েছে, মোট ১,৭৩৫,০৬৮ জন সাধারণ মানুষ এখন পর্যন্ত মধ্য ইউরোপে সীমান্ত অতিক্রম করেছে। এদের মধ্যে বেশিরভাগই মহিলা এবং শিশু। ইউক্রেনের বেশিরভাগ পুরুষ দেশের হয়ে যুদ্ধে যোগ দেয়ার উদ্দেশ্যে দেশেই রয়ে গেছেন। খবর জি নিউজের।


আরও খবর



আগামী সপ্তাহে আবারও তাপপ্রবাহের শঙ্কা

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image

গত দুদিন ধরে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হচ্ছে। চলতি সপ্তাহে দেশের অনেক জেলাতেই তাপপ্রবাহ কিছুটা কমার পাশাপাশি বৃষ্টিপাত বাড়তে পারে।

শনিবার দেশের তিনটি বিভাগে (খুলনা, রাজশাহী ও রংপুর) মৃদু থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে। তবে আগামী সপ্তাহে দেশের বিভিন্ন স্থানে আবারও তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, পশ্চিমা লঘুচাপের প্রভাবে গতকাল সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা ও ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হয়েছে। দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক ছিল। তবে পাবনা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও বাগেরহাট জেলার ওপর দিয়ে গতকালও তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যায়।

চাঁদপুর ও মৌলভীবাজার জেলা এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, রংপুর ও বরিশাল বিভাগ এবং খুলনা বিভাগের বিভিন্ন অংশে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে দিনের এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

আজ রবিবার ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা ও ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্ত শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ জানিয়েছেন, আজ থেকে দেশের কিছু স্থানে যে প্রবল বৃষ্টিপাত শুরু হতে পারে, তা শেষ হওয়ার পরই বাংলাদেশ ও প্রতিবেশী ভারতের ওপর দিয়ে আবারও তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার জোরালো আশঙ্কা রয়েছে।

আজ সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। রাতের তাপমাত্রা কমতে পারে ১ থেকে ২ ডিগ্রি। সোমবার ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা ও ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি হ্রাস পেতে পারে।


আরও খবর



রাজধানীর ১০ থানায় কিশোর গ্যাং বেশি

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, রাজধানীর ৫০ থানার মধ্যে ১০টি থানায় কিশোর গ্যাং সদস্যদের অপরাধ দেখা গেছে। এর মধ্যে মিরপুর, মোহাম্মদপুর, যাত্রাবাড়ী ও উত্তরা এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা বেশি।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির আয়োজনে কিশোর গ্যাং প্রতিরোধে রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও সামাজিক আন্দোলন নিয়ে ছায়া সংসদ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, আজকের কিশোর আগামী দিনের যুবক। তারাই আগামী দিনে দেশের নেতৃত্ব দেবে। ৯ থেকে ১৮ বছর বয়সী কেউ অপরাধ করলে আমরা তাকে কিশোর অপরাধী বলছি। এই বয়সী কিশোররা দলবদ্ধভাবে অপরাধ করলে তাকে আমরা বলছি কিশোর গ্যাং।

হাবিবুর রহমান বলেন, কিশোর গ্যাং অপরাধ নিয়ন্ত্রণে প্রতিকার ও প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম করে থাকে পুলিশ। মসজিদে মসজিদে জুমার দিনে ওসিরা কিশোর গ্যাং বিষয়ে বক্তব্য দিয়েছেন। কিশোর গ্যাং অপরাধ প্রতিরোধে পুলিশের বিভিন্ন সভা-সমাবেশও করা হয়েছে। স্কুলে-স্কুলে গিয়েও কিশোর গ্যাং অপরাধ প্রতিরোধে বিভিন্ন কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। তবে কিশোর গ্যাং অপরাধ প্রতিরোধে আসল কাজ হবে পরিবার থেকে। মা, বাবা বড় ভাই-বোন এক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করবে। এ ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একজন শিক্ষকও ভূমিকা রাখবেন।

তিনি বলেন, ঢাকা শহরে খেলার মাঠের সংখ্যা কম। মাঠ নিয়ে আন্দোলনও হয়েছে। সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনগুলো খেলাধুলার মাঠের বিষয়ে কাজ করতে পারে।

কিশোর গ্যাংয়ের গড ফাদারদের তালিকা করে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে কি না জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, কিশোর গ্যাংয়ের মদদদাতা যারা রয়েছে তাদের তালিকা করা হয়েছে। কিশোর গ্যাংয়ের অদ্ভুত-অদ্ভুত নাম রয়েছে, তাদের তালিকা করা হয়েছে। যারা মদদদাতা, গড ফাদার তারা ওইভাবে গড ফাদার নয়। তারা যে কিশোর অপরাধের জন্য গ্যাং তৈরি করেছে বিষয়টি এমন নয়। রাজনৈতিকভাবে কিছু লোক কিশোরদের নিয়ে যাচ্ছে বলে তদন্তে উঠে এসেছে।

কিশোর অপরাধ নির্মূলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গাফিলতি আছে কি না জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো গাফিলতি নেই। অভিযোগ এলেই সঙ্গে সঙ্গে মামলা গ্রহণ করা হয় এবং জড়িতদের আইনের আওতায় এনে আদালতে সোপর্দ করা হয়। পরে কিশোর সংশোধনাগারে প্রেরণ করা হয়। কিন্তু প্রাথমিকভাবে কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণে পুলিশের কাজ নয়। প্রাথমিকভাবে স্থানীয় জনসাধারণের কাজ। জনগণ সোচ্চার হলে কিশোর গ্যাং কালচার কমে যাবে।

টিকটকে অশালীন কন্টেন্টের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি অবশ্যই নেতিবাচক। ইতোমধ্যে এমন টিকটকারদের আমাদের সাইবার টিম আইনের আওতায় এনেছে। পুলিশের সাইবার টিম থেকে নিয়মিত বিটিআরসি'র কাছে বিভিন্ন কনটেন্টের তালিকা দেওয়া হয়।

হাবিবুর রহমান বলেন, স্থানীয় কাউন্সিলদের কিছু অনুসারী রয়েছেন যাদের ১৮ বছরের উপরে বয়স। এলাকায় রাজনীতি টিকিয়ে রাখতে কেউ কেউ কিশোরদের ব্যবহার করছে। সরাসরি কোনো কাউন্সিল কিশোরদের নিয়ে অপরাধ করার জন্য গ্যাং তৈরি করেছে এমন তথ্য পাইনি। কাউন্সিলদের সহযোগী রয়েছেন এমন কেউ কেউ আছেন তারা কিশোরদের নিয়ে চলাচল করেন। এসব কিশোরদের বেশিরভাগই ছিন্নমূল। বেশিরভাগ কিশোরদের বাবা নেই। মা থাকলেও দেখা যায় অন্যের বাসায় কাজ করেন। এসব বিষয়েও পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে। তবে আইনের আওতায় পড়লে পুলিশ ব্যবস্থা নিয়ে থাকে। এসব বিষয়ে রাজনৈতিক পাতিনেতাদের বিভিন্ন সময় থানায় ডেকে শাসানো হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, সমাজের ভদ্রলোকরা মনে করেন থানায় অভিযোগ দিতে গেলে বিপদে পড়বেন এজন্য সেই ভয়ে থানায় যান না। এটি সমাজের সবচেয়ে দুর্বলতা এবং নেতিবাচক দিক। যারা সমাজের ভালো মানুষ, শান্তি প্রিয় মানুষ, তারা যদি ঐক্যবদ্ধ হন তবে অনেক কঠিন কাজই সহজ হয়ে যায়। আমি সেটির আহ্বান জানাই। সমাজে ভালো মানুষ যারা তারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান, প্রতিরোধ গড়ে তুলুন।


আরও খবর



তুরস্কে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image

২২শে এপ্রিল, ২০২৪ তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুলে "আন্তর্জাতিক সায়েন্টিফিক সিম্পোজিয়াম"এ বাংলাদেশ থেকে বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন, মাইজভাণ্ডার শরিফের সাজ্জাদানশীন, ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী মাইজভাণ্ডারী। সিম্পোজিয়ামের বিষয় ছিলো " ইসলামি আইন ও বিধি বিধানে প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর আদর্শ অনুসরণের গুরুত্ব"। সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী তার বক্তব্যে বলেন,"প্রিয় নবিজী (সা.) বলেছেন,'তোমরা পবিত্র কুরআন ও আমার সুন্নাহ্কে আঁকড়ে ধরো। আবার এও বলেছেন, তোমরা পবিত্র কুরআন ও আমার আহলে বাইতকে (পরিবারকে) আঁকড়ে ধরে রাখো। তাহলে তোমরা কখনো পথভ্রষ্ট হবে না।' এর অর্থ হলো, প্রিয় নবিজী (সা.) এর আহলে বাইত ও পবিত্র কুরআন হলো ইসলামি বিধান ও আইনের উৎস, যাদেরকে অনুসরণ করলে আমরা কখনো ভুল পথে যাবো না। আল্লাহ্ তায়ালা আমাদেরকে একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন-বিধানের নির্দেশনা দিয়েছেন। এ বিধি-বিধান প্রিয় নবিজী (সা.) এর সুন্নাহ্ থেকে এসেছে। প্রিয় নবিজী (সা.) এর আদর্শের মাঝেই পবিত্র কুরআনের ব্যাখা রয়েছে। যেমন মহান আল্লাহ্ আমাদেরকে নামাজ আদায় করতে বলেছেন আর প্রিয় নবিজী (সা.) কীভাবে নামাজ আদায় করতে হয়, তা শিখিয়েছেন। মহান আল্লাহ্ আমাদেরকে রোজা পালন করতে বলেছেন ; প্রিয় নবিজী (সা.) কীভাবে রোজা রাখতে হবে তা শিখিয়েছেন। এভাবে প্রিয় নবিজী (সা.) এর সুন্নাহর মাধ্যমে আমরা নিজেদের ব্যক্তি জীবনকে কীভাবে সাঁজাবো, কীভাবে আল্লাহর সান্নিধ্য অর্জন করবো, কীভাবে একটি রাষ্ট্র পরিচালনা করবো, কী পদ্ধতিতে একজন অপরাধী শাস্তি পাবে, কীভাবে ইসলামি অর্থনীতি পরিচালিত হবে, কীভাবে পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা যাবে ইত্যাদি সকল বিষয়ে আমরা পূর্ণাঙ্গ দিকনির্দেশনা পেয়েছি। পবিত্র কুরআন এর অনেক আয়াতের ব্যাখা আমরা খুঁজে পেয়েছি প্রিয় নবিজী (সা.) এর সুন্নাহর মাঝে। তাই প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর আদর্শ ব্যতীত আমরা ইসলামি আইন বা বিধানের অস্তিত্ব কল্পনা করতে পারি না।

পাশাপাশি ডক্টর সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী মাইজভাণ্ডারী ফিলিস্তিনের জনগণের ন্যায়সঙ্গত সংগ্রামে দৃঢ় সমর্থন জানিয়ে, অবিলম্বে ফিলিস্তিনের জনগণের অধিকার আদায়ে মুসলিম বিশ্বকে এক হওয়ার আহবান জানান। 

সিম্পোজিয়ামে প্রধান অতিথি ছিলেন, ডিস্ট্রিক্ট গভর্নর এরদোয়ান তুরাক এমরিস ক্যাটালকা। সভাপতিত্ব করেন গ্র্যান্ড মুফতি শেইখ আহমেদ আর্কতুর্ক। সার্বিক পরিচালনায় ছিলেন, গাতালজা ইফতা কাউন্সিলের মুফতি আহমেদ মেহমেত আলি ওগলু। 

বিশ্বের প্রায় ৩০টি দেশের শীর্ষ সুফি সাধক, সুফি স্কলার, বুদ্ধিজীবী, তুরস্ক সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ সিম্পোজিয়ামে অংশগ্রহণ করেন।


আরও খবর



নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে জমজমাট গবেষণা মেলা শুরু

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image

হৃদি চিরান, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনধি:

উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখরের উদ্বোধনের মাধ্যমে ৮ মে দুই দিনব্যাপী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে জমজমাট গবেষণা মেলা শুরু হয়েছে।

শিক্ষা, গবেষণা ও উন্নয়ন-এই মটোকে ধারণ করে এগিয়ে যাওয়া জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় দ্বিতীয়বারের মতো দুই দিনব্যাপী গবেষণা মেলা-২০২৪ শুরু হয়েছে।

বুধবার সকাল ১০টায় মেলা শুরু হয়। মেলা শুরু হলে সময়ের সাথে সাথে ছাত্র-শিক্ষক-গবেষকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে মেলা প্রাঙ্গণ। গবেষণাপ্রেমীদের জমজমাট পদচারণায় গবেষণা মেলায় যেন- প্রস্তরের বুক চিরে গবেষণার ফুল ফুটেছে।

বিকাল ৫টায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে মেলার উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর। দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজিত গবেষণা মেলায় তিনি শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও গবেষকদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণকে স্বাগত জানান।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, ‘শিক্ষা, গবেষণা, উন্নয়ন-এটি আমাদের মটো। আমাদের মটো শুধু শব্দমাত্র নয়, বরং এটি একটি ধারণা, বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী, কর্মকর্তা সকলে মুক্তবিহঙ্গের ন্যায় আলস্য পরিত্যাগ করে প্রত্যয় বাস্তবায়নে জন্য কাজ করে যাচ্ছে।


গবেষণা মেলার গুরুত্ব ও প্রেক্ষাপট তুলে ধরে

তিনি আরও বলেন, গবেষণা যে শুধু পদোন্নতির জন্য নয়, ব্যক্তিগত নথিতে আটকে রাখার বিষয় নয় সেই ধারণাকে আমরা চ্যালেঞ্জ করছি। গবেষণা মেলার মধ্যদিয়ে আমরা আমাদের শিক্ষকদের গবেষণাগুলোকে সকলের জন্য উন্মুক্ত করছি। গবেষণা মেলার জন্য শিক্ষকদের মধ্যে একটি প্রতিযোগিতার মনোভাব তৈরি হয়েছে।

ভবিষ্যতে ভালো ও উন্নতমানের গবেষণা পরিচালনার জন্য গবেষকদের প্রণোদনার পাশাপাশি তাদেরকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুরস্কৃতও করা হবে উপাচার্য ঘোষণা দেন।

তিনি আরও বলেন, গবেষণা কার্যক্রমকে প্রকাশের জন্য নিরপেক্ষ মূল্যায়নের মধ্য দিয়ে উচ্চ মানসম্পন্ন গবেষণা জার্নাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশ করা হবে।’

তরুণ গবেষকদের উদ্দেশে উপাচার্য বলেন, ‘আসুন আমরা নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করি, গবেষণা মনস্কতা তৈরি করি যাতে উন্নত আধুনিক স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের অভিযাত্রায় শামিল হই।

গবেষণা ও সম্প্রসারণ কেন্দ্রের পরিচালক প্রফেসর ড. মার্জিয়া আক্তারের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ট্রেজারার প্রফেসর ড. আতাউর রহমান, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুশাররাত শবনম, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রিয়াদ হাসান, চারুকলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. তপন কুমার সরকার, রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীরসহ অন্যরা। সঞ্চালনা করেন ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান রায়হানা আক্তার ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাসুদুর রহমান।

এসময় বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, দপ্তর প্রধানসহ শিক্ষক, কর্মকর্তা, ছাত্রছাত্রী ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে জিটিআই প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী শিক্ষক গবেষকরা উপস্থিত ছিলেন। মেলার উদ্বোধন করে উপাচার্যসহ অন্যরা মেলার বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন।

সরেজমিনে মেলায় গিয়ে দেখা যায়, দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজিত এই গবেষণা মেলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪টি বিভাগ, আইকিউসি ইন্সটিটিউট অব নজরুল স্টাডিজ, গবেষণা ও সম্প্রসারণ কেন্দ্র অংশ গ্রহণ করেছে। লটারির মাধ্যমে তাদেরকে তাদের স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সকাল থেকেই সেসব স্টলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ, ইনস্টিটিউট ও গবেষণাকেন্দ্রের শিক্ষক ও গবেষকদের প্রকাশিত প্রবন্ধ, গ্রন্থ, জার্নাল, গবেষণা প্রকল্প, উদ্ভাবন, গবেষণা ও প্রকাশনা তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিটি স্টলে তাদের বিভাগের শিক্ষার্থী, গবেষকরা তাদের উপস্থাপনা দিয়ে আগত দর্শনার্থীদের নানা ধরনের কৌতূহল মিটিয়ে দিচ্ছেন।

মেলার দ্বিতীয় দিন (৯ মে) প্রথম পর্ব শুরু হবে বেলা ১১ টায়। এসময় মেলায় অংশগ্রহণকারী ১৪টি বিভাগ/দপ্তর/ইন্সটিটিউট তাদের কার্যক্রম নিয়ে ১০ মিনিট করে ও দ্বিতীয় পর্বে তথা বেলা আড়াইটা থেকে আরও ১৩ টি বিভাগ/দপ্তর/ইন্সটিটিউট ১০ মিনিট করে একটি ব্রিফিংয়ের সুযোগ পাবেন। যাতে করে মেলায় আসা দর্শনার্থীসহ অংশগ্রহণকারী অন্যরা সংশ্লিষ্ট ওই বিভাগ/দপ্তর/ইন্সটিটিউটের কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হতে পারবেন। গবেষণা মেলার সমাপনী আয়োজনে অতিথি হিসেবে থাকবেন বিশিষ্ট গবেষক ও বিজ্ঞানী ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ, প্রাক্তন অধ্যাপক, বুয়েট।


আরও খবর

একাদশের ক্লাস শুরু ৩০ জুলাই

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা নির্দেশনা না মানলে ব্যবস্থা

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সতর্ক করে বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী ও এমপিদের নিকটাত্মীয় এবং স্বজনদের প্রার্থী না হতে দলীয় যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, তা না মানলে সময়মতো সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের দলের এই অবস্থানের কথা জানান।

ওবায়দুল কাদের বলেন, উপজেলা নির্বাচনে প্রথম পর্যায়ে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের সময় পেরিয়ে গেছে। এদের মধ্যে অনেকেই বলেছেন যে, আমরা বিষয়টি আরো আগে অবহিত হলে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হতো। তারপরও কেউ কেউ প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন, কেউ কেউ করেননি। নির্বাচন কমিশনে সময় শেষ হয়ে গেলে কেউ প্রার্থীতা প্রত্যাহার করতে পারেন না।

 এই বিষয়টা চূড়ান্ত হতে নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এখানে কেউ অমান্য করলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ আছে দলে। সময় মতো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের দলে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশনের বিষয়টি আছে। দল যার যার কর্মকাণ্ড বিবেচনায় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কৌশলে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশন নিয়ে থাকে। চূড়ান্ত পর্যায়ে যারা প্রত্যাহার করবে না এ ব্যাপারে দলের সিদ্ধান্ত সময়মতো নেওয়া হবে।

চূড়ান্ত পর্যায়েও কেউ প্রার্থীতা প্রত্যাহার না করলে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সাধারণ ক্ষমা একটা বিশেষ পরিস্থিতিতে দলীয় রণকৌশল, সেটা হতেই পারে। সেটা দলের সভাপতি নিতে পারেন। নির্বাচন হওয়া পর্যন্ত প্রার্থীতা প্রত্যাহারের সুযোগ আছে।


আরও খবর