Logo
শিরোনাম

আফগান-পাকিস্তান সীমান্তে গোলাগুলি

প্রকাশিত:সোমবার ১২ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image

আফগান-পাকিস্তান সীমান্তে দেশ দুটির বাহিনীর পাল্টাপাল্টি গুলি ও গোলাবর্ষণে ৬ পাকিস্তানি ও এক আফগান বাহিনীর সদস্য নিহত হয়েছেন।

পাকিস্তান সেনাবাহিনী জানিয়েছে, আফগানিস্তানের সীমান্ত বাহিনী বিনা প্ররোচনায় চামান সীমান্ত ক্রসিংয়ে কামান ও মর্টারসহ ভারি অস্ত্রে নির্বিচারে হামলা চালিয়েছে। পাকিস্তানের সেনাবাহিনী আরও জানায়, হামলায় ৬ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১৭ জন। পাকিস্তানের সেনারা এ হামলার পাল্টা জবাব দিয়েছে বলেও বিবৃতিতে জানিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। আফগানিস্তান জানিয়েছে, গোলাগুলির এই ঘটনা আকস্মিক ঘটেছে এবং উভয় পক্ষের বৈঠকের পর পরিস্থিতি র্ব্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে।  


আরও খবর



এবার ২০ লাখ হাজির সমাগম হতে পারে মক্কায়

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image

এ বছর জুনের মাঝামাঝি সময়ে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। ফলে মের শেষ সময় থেকেই পবিত্র নগরী মক্কায় ভিড় জমানো শুরু করবেন হজযাত্রীরা।

আর এবার মক্কায় রেকর্ড সংখ্যক ২০ লাখ হাজির সমাগম হতে পারেএমন ধারণা নিয়ে প্রস্তুতি শুরু করেছে সৌদি আরব।

সুন্দর ও আরামদায়কভাবে যেন হাজিরা হজ সম্পন্ন করতে পারেন, সে বিষয়টি মাথায় রেখে সৌদির সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো যৌথভাবে কাজ করছে।

হজসংশ্লিষ্ট এজেন্সিগুলো ধারণা করছে, এবার পবিত্র রমজানে রেকর্ড সংখ্যক ৩ কোটি মানুষ ওমরাহ পালন করার পর হজেও মুসল্লির ঢল নামবে।


আরও খবর



করোনার টিকায় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image

করোনা মহামারি শুরুর পর প্রাণঘাতী ভাইরাস থেকে মুক্তি দিয়েছে কোভিড ভ্যাকসিন বা টিকা। এবার সেই টিকা নিয়ে শরীরে বিভিন্ন ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার অভিযোগ উঠছে। এ অবস্থায় সমালোচনার মুখে বাজার থেকে তাদের টিকা তুলে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে তারা বলছে, চাহিদা না থাকায় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। 

জানা গেছে, অ্যাস্ট্রাজেনেকা অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথভাবে করোনার যে টিকা উৎপাদন করে, তার ব্র্যান্ড নাম ভ্যাক্সজেভ্রিয়া। এরপর ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট সেই টিকা উৎপাদনের লাইসেন্স পায়। তারা কোভিশিল্ড নামে সেই টিকা বাংলাদেশসহ কয়েকটি দেশে বাজারজাত করে। সমালেচানার মুখে ইউরোপ মহাদেশে ভ্যাক্সজেভ্রিয়া টিকার বাজারজাতকরণ কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা।

বাংলাদেশের মানুষকে সাড়ে ৫ কোটির বেশি ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা দেওয়া হয়েছে। এই টিকা গ্রহণকারীদের দেহে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে কিনা তা খুঁজে দেখতে বুধবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছে। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার বিষয়টি জোরেশোরে সামনে আসায় উৎকণ্ঠায় আছেন এই টিকা গ্রহীতারা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মহামারি মোকাবিলায় বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে দ্রুত উদ্ভাবিত করোনা টিকা মানবদেহে প্রয়োগ করা হয়। যেসব টিকা ব্যবহার করা হয়েছে তার একটিও যথাযথ নিয়ম হয়নি। তৈরি ও ব্যবহারের অনুমতিও জরুরি ভিত্তিতে হয়েছিল। কারণ মহামারি মোকাবিলাই সবচেয়ে বড় বিষয় ছিল। কিছু টিকার বিরুদ্ধে কোনো আইনি পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না মর্মে বাজারে ছাড়া হয়েছিল। এসব কারণে দীর্ঘমেয়াদি ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল বা রুটিন ভ্যাকসিনের মতো করোনার টিকার অনুমতি দেওয়া হয়নি।

তাছাড়া টিকা গবেষণায়ও তাড়াহুড়া ছিল। জরুরি অবস্থা বিবেচনায় দ্রুত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অনেক মানুষকে দেওয়ার ফলে পার্শপ্রতিক্রিয়ার বিষয় আমলে নেওয়া হয়নি। করোনা আক্রান্ত এবং আক্রান্ত ছাড়াও টিকা দেওয়া হয়েছে। এখন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে বিশ্বব্যাপী অনেক প্রতিবেদন হচ্ছে। তবে করোনার কারণে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া না অন্য কারণে হচ্ছে বলা কঠিন। এজন্য সরকারি অর্থায়ন এবং স্বচ্ছতার সঙ্গে বিশেষজ্ঞ গবেষকদের সমন্বয়ে সঠিক পদ্ধতিতে গবেষণা করতে হবে। তবে যে প্রতিষ্ঠান টিকা দিয়েছে তাদের গবেষণায় রাখা যাবে না।

এদিকে টিকা গ্রহণের ফলে মানবদেহে গুরুতর ক্ষতি এবং মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে অ্যাস্ট্রাজেনেকার বিরুদ্ধে । ব্রিটিশ ফার্মাসিউটিক্যাল জায়ান্ট অ্যাস্ট্রাজেনেকা বিষয়টি স্বীকারও করেছে। 

এক গবেষণা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে কোভিশিল্ড নামে তাদের কোভিড-১৯ টিকা গ্রহণের ফলে থ্রম্বোসিস উইথ থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া সিনড্রোম (টিটিএস) নামে পরিচিত একটি বিরল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। টিটিএস হলো এমন একটি বিরল অবস্থা, যার ফলে শরীরের অস্বাভাবিক কোনো জায়গায় রক্ত জমাট বাঁধে এবং রক্তে প্লাটিলেটের সংখ্যা কমে যায়। টিটিএসের উপসর্গগুলোর মধ্যে রয়েছে গুরুতর মাথাব্যথা, পেটে ব্যথা, পায়ে ফোলাভাব, শ্বাসকষ্ট এবং খিঁচুনির মতো সমস্যা। যদি কেউ টিকা নেওয়ার পর এই লক্ষণগুলো দেখতে পায় তবে তাদের দ্রুত একজন চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করা উচিত।

বাংলাদেশে করোনার বিভিন্ন ব্র্যান্ডের টিকা গ্রহণ পরবর্তী শারীরিক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হচ্ছে এমন একাধিক ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে অনেকের মনে রাখার ক্ষমতা কমে গেছে। অর্থাৎ ভুলে যাওয়া প্রবণতা বাড়ছে। অনেকের সামান্য পরিশ্রমে হাঁপিয়ে ওঠা, শারীরিক দুর্বলতা, ঘুম কমে যাওয়া, অবসাদগ্রস্ততা, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসের সমস্যা দেখা দিয়েছে। দীর্ঘমেয়াদি রোগে ভোগা ব্যক্তিদের টিকা নিয়ে পুরোনো ও বিরল রোগব্যাধি ফের মাথাচাড়া দিয়েছে।

রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণে টিকাদান কর্মসূচিকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে আয়োজিত এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনা টিকার বিরল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হচ্ছে বিভিন্ন মহলে। তৈরি হয়েছে বিতর্ক। এমন পরিস্থিতিতে বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা। নিজেদের করোনা টিকা সারা বিশ্ব থেকে প্রত্যাহার করছে প্রতিষ্ঠানটি। বাংলাদেশে অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা টিকা গ্রহণকারীদের কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে কিনা তা খুঁজে দেখতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

বৈশ্বিক এই সিদ্ধান্তের ব্যাপারে দেশের প্রেক্ষাপটে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ভাবনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত না জানব দেশে কতটুকু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়েছে, ততক্ষণ পর্যন্ত এ ব্যাপারে কিছু বলতে পারব না। তবে আমরা এটি নিয়ে কনসার্ন (উদ্বিগ্ন)। 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষণার অংশীদার নিউজিল্যান্ডভিত্তিক গবেষণা সংস্থা জিভিটিভি জানিয়েছে, করোনার অন্যান্য ব্র্যান্ডের টিকাগুলো হৃৎপিণ্ড, মস্তিষ্ক ও রক্তে নানা ধরনের জটিলতা বাড়ায়। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসাবে এ পর্যন্ত ১৩ ধরনের শারীরিক জটিলতার রেকর্ড করেছেন গবেষকরা।

গ্লোবাল ভ্যাকসিন ডাটা নেওয়ার্কের একদল গবেষক এই গবেষণা করেছেন। মার্চের প্রথম সপ্তাহে গবেষণা প্রবন্ধটি প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান সাময়িকী ভ্যাকসিন। গবেষণায় বিশ্বের ১৩টি দেশে ৯ কোটি ৯০ লাখ মানুষের তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এর মধ্যে যারা এমআরএন টিকা ফাইজার, এন-বায়োটেক কিংবা মর্ডানা টিকার দ্বিতীয় ও তৃতীয় ডোজ নিয়েছেন তাদের একাংশ মায়োকার্ডিটি নামক হৃৎপিণ্ডের সমস্যায় আক্রান্ত হয়েছেন।

 এছাড়া যারা অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৃতীয় ডোজ সম্পন্ন করেছেন তাদের একাংশ পেরি-কার্ডিটিতে আক্রান্ত হয়েছেন। যারা এই সমস্যায় আক্রান্ত হয় তাদের হৃৎপিণ্ডের কার্ডিয়াক মাংসপেশিতে সমস্যা হয়। এছাড়া ফাইজার মর্ডানার টিকার ডোজে রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়া জিবিএস এবং মায়োলিটিসির মতো শারীরিক সমস্যার ঝুঁকি বাড়ায় ২ দশমিক ৫ গুণ। মায়োলিটিসে আক্রান্তরা মস্তিষ্ক এবং মেরুদণ্ডের প্রদাহে ভোগেন। তবে টিকা নেওয়া বেশির ভাগ মানুষই যে এসব সমস্যায় ভোগে বিষয়টা এমনো নয়- বলেছেন গবেষকরা। 

জানতে চাইলে জাতীয় নিউরোসায়েন্স হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. কাজী দীন মোহাম্মদ বলেন, ২০২০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আমরা দেখেছি করোনা আক্রান্তদের জিবিএস হয়েছে। একইভাবে জিবিএস রোগীরও কোভিড শনাক্ত হয়েছে। করোনা জিবিএসের মতো একটি ভাইরাল ইনফেকশন। যেসব ভাইরাসে জিবিএস হয় সেগুলো আগে থেকেই জানা। তবে দেশে করোনার সঙ্গে জিবিএসের সরাসরি সম্পর্কের নজির নেই। তাই করোনাভাইরাস জিবিএসে আক্রান্ত করতে পারে কিনা সেটি এখনো বোঝা যাচ্ছে না। এটি নিয়েও দেশে-বিদেশে নির্দিষ্ট করে গবেষণা হওয়া দরকার।

জনস্বাস্থ্যবিদ ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, করোনা টিকা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতের গবেষণায় যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা উঠে এসেছে সেটি বিরল রোগ টিটিএস। বাংলাদেশে করোনা টিকা গ্রহীতাদের এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়নি। তাই উদ্বেগের কিছু নেই। তিনি বলেন, মাহামারির ভয়াবহতায় পুরো বিশ্ব উদ্বেগে ছিল। দীর্ঘ হচ্ছিল মৃত্যুর মিছিল। তখন আশার আলো নিয়ে আসে অ্যাস্ট্রাজেনেকা, ফাইজার, মর্ডানা ও জনসনের মতো টিকা। এখন যাদের টিকা নিয়ে জটিলতা হচ্ছে তাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চিকিৎসা নিতে হবে।


আরও খবর



তাপদাহ পেরিয়ে এলো 'মধুমাস'

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image

নানান ফলের সমাহার নিয়ে এসেছে জ্যৈষ্ঠ মাস। হরেক রসালো ফলের মৌ মৌ ঘ্রাণে এখন প্রকৃতি উতলা।

বাংলা বর্ষপঞ্জিকা অনুযায়ী, বৈশাখের বিদায়ের মধ্য দিয়ে আজ বুধবার (১৫ মে) শুরু হলো জ্যৈষ্ঠ। যা লোকমুখে মধুমাস বলেই পরিচিত। যদিও বাংলা অভিধানে চৈত্রকেই মধুমাস বলা হয়। তাছাড়া মধু ফলের মধ্যে নয়, ফুলের মধ্যে থাকে। কিন্তু অভিধানের সে মধুমাস অভিধানেই থেকে গেছে। ফলপ্রিয় বাঙালি জ্যৈষ্ঠকেই মধুমাস বলে চিনে আসছে। তাদের মুখে, জিভে ও বিশ্বাসে জ্যৈষ্ঠই যেন মধুমাস।

জ্যৈষ্ঠের আগমনে এখন গাছে গাছে নানা জাতের বাহারি সুস্বাদু ফল। অবশ্য এরই মধ্যে শহর কিংবা গ্রামের বাজারগুলোতেও দেখা মিলছে হরেক ফলের। পাকা ফলের মধুর ঘ্রাণ আর মৌমাছির গুঞ্জরনে মুখরিত চারদিক। জ্যৈষ্ঠে ঘরে ঘরে দেখা যাবে ফল উৎসবের আমেজ। একে অন্যের বাড়িতে উপহার হিসেবেও পাঠাবে ফল।

খুলনাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ করে সাতক্ষীরা, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গার গাছে গাছে পেকে আছে আম। কোনোটা সিঁদুরে, কোনোটা হলদে, কোনোটা উভয়েরই মিশ্রণে রাঙানো। একেক আমের একেক নাম। ওদিকে পেকেছে লিচু। লিচুর গাছে দিনে পাখি আর রাতে বাদুড়ের কোলাহল। পাকা জামও জিভে আনছে জল। সেই জামের মধুর রসে মুখ রঙিন করার স্বপ্ন উঁকি দিচ্ছে।

এছাড়া জামরুল, আনারস, করমচা, আতা, তরমুজ, ফুটি, বাঙ্গি, বেল, কাঁচাতাল, জাম্বুরা, কাউফল, গোলাপজাম, কামরাঙা, লটকনসহ হরেক ফল জাগিয়ে তুলেছে বাঙালির রসনাবিলাসকে। পুষ্টিকর এসব ফলের প্রাচুর্য জ্যৈষ্ঠকে করেছে প্রকৃতির অনন্য মাস।

এই জ্যৈষ্ঠে গাছ থেকে নামানো তাজা ফলের সুবাস ছড়াবে গ্রামের হাটবাজারে। শুধু হাটবাজার নয়, শহরের ফলের দোকানেও দেখা মিলবে বাহারি ফলের সাজানো পসরা।

যদিও অনেক অসাধু বিক্রেতা ফলকে তাজা দেখাতে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর রাসায়নিক ব্যবহার করে এরই মধ্যে কিছু ফল বাজারে তুলেছেন। এ অপতৎপরতা বন্ধে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে আসছেন সংশ্লিষ্টরা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের খুলনা অঞ্চলের সিনিয়র কৃষিবিদ মো. মোছাদ্দেক হোসেন বলেন, মধুমাসের মিষ্টি ও সুস্বাদু ফল মিশে আছে আমাদের ঐতিহ্যের সঙ্গে। দেশীয় ফল আমাদের সংস্কৃতি, সভ্যতা ও ঐতিহ্যের বড় একটি অংশ। জ্যৈষ্ঠ মাসের ফল পরিবেশের যেমন সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে, তেমনি স্বাদ ও পুষ্টিতেও অনন্য।

তিনি বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অধিক লাভের আশায় পুরোপুরি পুষ্ট হওয়ার আগেই এসব ফল হারভেস্ট (পেড়ে বাজারজাত) করছেন। ফলে স্বাদ ও পুষ্টি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ভোক্তা। এজন্য মাঠ পর্যায়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্তৃক বেঁধে দেওয়া সময়ে হারভেস্ট (পাড়া ও বাজারজাত) করার আহ্বান করা হয়েছে।


আরও খবর



আটকে গেল ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image



মাজহারুল ইসলাম মাসুম/সদরুল আইনঃ


ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ইতালিয়ান-থাই কোম্পানির শেয়ার চীনের সিনোহাইড্রো করপোরেশন লিমিটেডের কাছে হস্তান্তরের ওপর দুই সপ্তাহের স্থিতাবস্থা জারি করেছেন আপিল বিভাগ। 


এর ফলে এক্সপ্রেসওয়ের কাজ আপাতত বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী।


বৃহস্পতিবার (১৬ মে) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ৮ সদস্যের আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন। এ সময় আপিল বিভাগ বলেন, আর কয়দিন কাজ বন্ধ থাকলে সমস্যা নেই।


আদালতে ইতালিয়ান-থাই কোম্পানির পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন, শেখ মোহাম্মদ মোরসেদ, ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ ফারুক, ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ মইনুল। 


চায়না কোম্পানির পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ মেহেদী হাছান চৌধুরী, ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান।


আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ মেহেদী হাছান চৌধুরী বলেন, ইতালিয়ান-থাই কোম্পানির শেয়ার চীনের সিনোহাইড্রো করপোরেশন লিমিটেডের কাছে হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে হাইকোর্টের আদেশের ওপর আপিল বিভাগ দুই সপ্তাহের স্থিতাবস্থা দিয়েছেন।


এ সময় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চায়না ব্যাংক অব এক্সিম জানিয়ে দিয়েছে শেয়ার হস্তান্তর না হওয়া পর্যন্ত তারা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের কাজে টাকা দেবে না। এর ফলে আপাতত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকবে।


গত ১২ মে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ইতালিয়ান-থাই কোম্পানির শেয়ার চীনের সিনোহাইড্রো করপোরেশন লিমিটেডের কাছে হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞার আদেশ তুলে নেন হাইকোর্ট। 


এর ফলে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে থাইল্যান্ডের ইতালিয়ান-থাই কোম্পানির শেয়ার চীনের সিনোহাইড্রো করপোরেশন লিমিটেডের কাছে হস্তান্তর করতে বাধা কেটে যায়।


বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধরীর হাইকোর্টের একক কোম্পানি বেঞ্চ এ আদেশ দেন। সেদিন ব্যারিস্টার মেহেদী হাছান চৌধুরী বলেন, আদেশে আদালত বলেছেন, দেনা-পাওনা নিয়ে থাই ও চায়না কোম্পানির বিরোধ সিঙ্গাপুরের আরবিট্রেশন আদালত নিষ্পত্তি করবেন।


পরে এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে ইতালিয়ান থাই কোম্পানি।


এর আগে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ইতালিয়ান-থাই কোম্পানির শেয়ার চীনের সিনোহাইড্রো করপোরেশন লিমিটেডের কাছে হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। ইতালিয়ান-থাই কোম্পানির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দিয়েছিলেন আদালত।


এদিকে হঠাৎ করেই শ্রমিকশূন্য ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে মগবাজার অংশ। নেই কোনো নির্মাণ যজ্ঞ। পড়ে আছে এক্সপ্রেস ওয়ের কাঠামো। কথা ছিল চলতি বছরই শেষ হবে অগ্রাধিকারমূলক উন্নয়ন প্রকল্প ঢাকা এক্সপ্রেসওয়ে। 


এই সময় কাজ চলার কথা দ্রুত গতিতে। জানা যায় তিন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দ্বন্দ্বে এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে। থাইল্যান্ড ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইতালিয়ান-থাই কিস্তির টাকা দিতে না পারায় তাদের শেয়ার দাবি করে চীনা প্রতিষ্ঠান।



 এই নিয়ে সিঙ্গাপুরে আরবিট্রেশন চলা অবস্থায় সরকারের অগ্রাধিকারে থাকা গুরুত্বপূর্ণ এই প্রকল্প নিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোর দ্বন্দ্ব গড়ায় আদালত পর্যন্ত। সেই সঙ্গে ঋণ সহায়তা বন্ধ করে দেয় দুটি চীনা ব্যাংক।


থাইল্যান্ড ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইতালিয়ান-থাই, চীনের শ্যানডং ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল কো-অপারেশন গ্রুপ এবং সিনোহাইড্রো করপোরেশন লিমিটেড মিলে করছিলো এক্সপ্রেসওয়ের কাজ। এই কাজে তিন প্রতিষ্ঠান শেয়ার যথাক্রমে ৫১, ৩৪ ও ১৫ শতাংশ। বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ হলো এক্সপ্রেসওয়ের নির্বাহী প্রতিষ্ঠান।


প্রকল্পের চুক্তি অনুযায়ী নির্মাণ ব্যয়ের ৭৩ শতাংশের জোগান দেবে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান। আর ২৭ শতাংশ দেবে বাংলাদেশ সরকার।


আরও খবর



দুই সিনেমার আসছেন নিশো

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image

জিটাল ডেস্ক :নির্মাতা রায়হান রাফীর ‘সুড়ঙ্গ’ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় যাত্রা শুরু করেছেন অভিনেতা আফরান নিশোর। 

বেশকিছুদিন বিরতির পর এবার পরপর দুই সিনেমা নিয়ে পর্দায় ফিরছেন জনপ্রিয় এ অভিনেতা। দুটি সিনেমাই তৈরি হচ্ছে বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ প্রযোজনায়। 

সম্প্রতি সিনেমা দুটির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এসভিএফ আলফা-আই এন্টারটেইনমেন্ট এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই খবর জানিয়েছে।

এদিকে গণমাধ্যম অনুযায়ী জানা যায়, আফরান নিশো নতুন দুটি সিনেমা পরিচালনা করছে রায়হান রাফি ও ভিকি জাহেদ। রাফি পরিচালিত নতুন এই সিনেমার নাম ‘অসিয়ত’; যেটি ২০২৫ সালের রোজার ঈদে মুক্তি পাবে। দ্রুতই সিনেমাটির শুট শুরু হতে যাচ্ছে।

অন্যদিকে, ভিকি জাহেদ যে সিনেমাটি পরিচালনা করছেন সিনেমাটির নাম এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে এই সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটতে যাচ্ছে ছোট পর্দার আলোচিত এই নির্মাতার। 

নতুন দুই সিনেমা প্রসঙ্গে আফরান নিশোর ভাষ্য, ‘যে কোনো সৃষ্টিশীল কাজের সাফল্যের জন্য সময় খুবই প্রয়োজন। সিনেমার অপরিহার্য বিষয় হচ্ছে সব ক্ষেত্রের সঠিক সমন্বয়। 

সমন্বয় যত ভালো হবে, সিনেমা ভালো হওয়ার সম্ভাবনা তত বেড়ে যায়। সময় দেওয়া আর নেওয়ার মাঝেই ভালো সিনেমা। হারিয়ে থাকা যেমন নিখোঁজ সংবাদের আভাস দেয়, তেমনি খুঁজে পাওয়ার আগ্রহ সৃষ্টি করে। 

অনেক নিখোঁজের মাঝে আমি খোঁজ পেয়েছি এসভিএফ আলফা-আই এন্টারটেইনমেন্টের। তারা আমার সঙ্গে দুটি সিনেমার চুক্তি সম্পন্ন করেছেন। তারা আমাকে ও আমি তাদেরকে খুঁজে পেয়েছি, আমি আনন্দিত।’

এ ব্যাপারে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার শাকিল বলেন, ‘আফরান নিশোর বড়পর্দায় ফিরে আসা নিশ্চয়ই এসভিএফ আলফা-আই এন্টারটেইনমেন্ট লিমিটেডের জন্য রোমাঞ্চকর একটি অধ্যায়ের সূচনা করেছে। 

আমাদের পরবর্তী সিনেমাগুলোয় অভিনয়ে যে কারিশমা দেখাবেন তিনি, সেসব দর্শকের জন্য উন্মোচনের অপেক্ষায় রয়েছি আমরা।


আরও খবর