আইএমএফের ঋণ পাওয়ার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ বড় ধরণের বিপর্যয় এড়ালো; বলছেন বিশ্বব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ কৌশিক বসু। পদ্মশ্রী পদক পাওয়া ভারতীয় বংশোদ্ভুত এই অর্থনীতিবিদের মতে, অভ্যন্তরীণ অর্থনীতির ভিত্তি শক্তিশালী করতেই বাংলাদেশ আইএমএফ-এর কাছে সংস্কারের শর্ত বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
বাঙালি অর্থনীতিবিদ হিসাবে অমর্ত্য সেনের পরই বিশ্ব দরবারে যাঁর নাম ও খ্যাতি; তিনি কৌশিক বসু। পদ্মশ্রী পরস্কারে ভূষিত এই অর্থনীতিবিদ বিশ্বব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ছিলেন। নিজের মেধা ও প্রজ্ঞা দিয়ে বিশ্ব অর্থনীতির নানা ক্ষেত্রে অবদান রেখেছেন। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করছেন।
২০১৫ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের আমন্ত্রনে এসেছিলেন ঢাকায়। প্রায় ৮ বছর পর এবার এলেন বেসরকারী একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। তাঁকে পেয়ে গণমাধ্যমের কৌতুহল ছিলো বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে তাঁর মূল্যায়ন জানতে চাওয়ার। তাঁর মতে কোভিড পরবর্তী বাংলাদেশ ভালোভাবেই অর্থনৈতিক মন্দা সামলেছে।বড় ধরণের সঙ্কটে পড়ার আগে সময়মতোই আইএমএফ স্মরনাপন্ন হয়েছে বাংলাদেশ। নয়তো বিপর্যয় হতে পারতো: বলছেন এই অর্থনীতিবিদ।
তাঁর মতে ভবিষ্যতের প্রয়োজনে বাংলাদেশে আর্থিক খাতের সংস্কার করতেই হতো। এখন কাজটি করতে হবে বুদ্ধিমত্তার সাথে। অজনপ্রিয় হলেও ভুর্তুকি কমাতে হবে। আর জোর দিতে হবে শিক্ষাসহ মানব সম্পদ খাতে।
বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপির বিপরীতে করাদায় এখনও অনেক কম। এটি আরও বাড়ানো সম্ভব বলে মনে করেন এই অর্থনীতিবিদ।