Logo
শিরোনাম

বিচ্ছিন্নতাবাদীদের প্রশ্রয় দিচ্ছে পাকিস্তান

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

জম্মু-কাশ্মীরের বারামুলায় ভারতীয় সেনাদের গুলিতে তিনজন বিচ্ছিন্নতাবাদী নিহত ও বিপুল অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবারের (১৬ সেপ্টেম্বর) ওই ঘটনায় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বাঁচাতে সীমান্তে পাকিস্তানের সেনারা গুলি চালিয়েছে বলেও অভিযোগ করে ভারতের যৌথবাহিনী। খবর- সংবাদসংস্থা এএনআই।

ভারতীয় সেনার পির পঞ্জাল ব্রিগেডের কমান্ডার পিএমএস ধিলোঁর বরাতে এএনআই জানায়, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সেনা ও জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ যৌথ অভিযান চালায় বারামুলায়। বিচ্ছিন্নতাবাদীরা সেখান দিয়ে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা অতিক্রম করার চেষ্টা করছে জানতে পেরে গুলি চালোনো হয়। এতে সেখানে থাকা তিনজন বিচ্ছিন্নতাবাদীর দুজন নিহত হয়। তাদের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া তৃতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীও মারা গেছে কিন্তু তার দেহ উদ্ধার করা যায়নি। বিচ্ছিন্নতাবাদীর বাঁচাতে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার ওপার থেকে পাকিস্তানের সেনারা গুলি চালাচ্ছিলেন।

সেনা সূত্রের খবর, নিহত বিদ্রোহীদের পকেট থেকে পাকিস্তানের টাকা মিলেছে। এছাড়া কিছু ভারতীয় মুদ্রাও ছিল। তাদের কাছে দুটি একে রাইফেল, অনেক কার্তুজ, একটি পিস্তল, সাতটি হ্যান্ড গ্রেনেড, একটি বিস্ফোরক ডিভাইসও উদ্ধার করা হয়েছে। এএনআই উদ্ধারকৃত অস্ত্রের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে।

এদিকে কাশ্মীরের অনন্তনাগে ভারতীয় সেনার সঙ্গে বিদ্রোহীদের গুলির লড়াই চলছে গত বুধবার থেকে। চার দিন পরও সেখানে সংঘর্ষ থামেনি। সেই সংঘর্ষে ভারতের দুই সেনাকর্তা এবং জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের এক ডিএসপির মৃত্যু হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, সংঘর্ষের আবহে বারামুলাতেও নতুন করে হামলার ছক কষেছিল বিদ্রোহীরা।


আরও খবর



সোনারগাঁয়ে রেনেসাঁ ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৭ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

সৈয়দ মোহাম্মদ শাকিল :

নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার রয়েল রিসোর্টের সেমিনার হলে রেনেসাঁ ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের আয়োজনে প্রাচীন বাংলার রাজধানী সোনারগাঁ কে পর্যটন ও পর্যটকদের সুরক্ষায় সোনারগাঁয়ে পর্যটন বান্ধব পরিবেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সরেজমিনে দেখা যায় ২৬ মে (সোমবার) বিকাল ৪টায় রয়েল রিসোর্টে রেনেসাঁ ইন্টারন্যাশনাল কর্তৃক আয়োজিত আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন সোনারগাঁ উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা বীর মুক্তিযোদ্ধা সুশীল সমাজের প্রতিনিধি শিক্ষক সমাজকর্মী ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিক সহ নানা শ্রেণির পেশার ব্যক্তিবর্গ।

উক্ত আলোচনা সভায় রেনেসাঁ ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ মোখলেছুর রহমান অতিরিক্ত ডিআইজি টুরিস্ট পুলিশ ঢাকা রেঞ্জ।

পরিবেশ উন্নয়ন রক্ষা সোসাইটির সভাপতি মোঃ হোসাইন এর সঞ্চালনায় আলোচনার সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ আলমগীর হোসাইন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নারায়ণগঞ্জ।

এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুহাম্মদ রিফাত হোসেন সহকারী পরিচালক মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর নারায়নগঞ্জ, মোঃ দেলোয়ার হোসেন ওসি টুরিস্ট পুলিশ সোনারগাঁও নারায়ণগঞ্জ  মোঃ রাশেদুল হাসান খান পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সোনারগাঁও নারায়ণগঞ্জ।

এসময় উপস্থিত বক্তারা প্রাচীন বাংলার রাজধানী সোনারগাঁওয়ে অবস্থিত সু-প্রাচীন স্থাপনা ও মোঘল স্থাপত্যকলার পুনঃনির্মাণ ও সংস্কার দাবী করেন। সেই সাথে সোনারগাঁওয়ের স্থানীয় ঐতিহ্য সংস্কৃতি ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প হস্তশিল্প রক্ষায় জোর দাবী জানায়।

পর্যটন নগরী সোনারগাঁওয়ে ভ্রমণপিপাসু পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী তথা বিশেষভাবে টুরিস্ট পুলিশ সর্বদা বদ্ধপরিকর এমনটাই জানায় অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান অতিরিক্ত ডিআইজি টুরিস্ট পুলিশ ঢাকা রেঞ্জ।


আরও খবর



নওগাঁর পশুর হাটগুলোতে ফিরেছে শৃঙ্খলা, আদায় হচ্ছে নির্ধারিত খাজনা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৬ জুন ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

পূর্বের দিনগুলোতে কোরবানীর ইদে নওগাঁর পশুর হাটগুলোতে অতিরিক্ত টোল আদায়ের ধুম পড়তো। সরকারের বেঁধে দেয়া নির্ধারিত টোলের হার অনেক কম হওয়ার কারণে সারা বছরের লোকসানের অজুহাতে হাটের ইজারাদাররা কোরবানীর ইদে গবাদিপশুর অতিরিক্ত টোল আদায় করতো। এতে করে বছরের পর বছর ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ই প্রতারিত হয়ে আসতো। এমন প্রতারণার হাত থেকে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের রক্ষা করতে চলতি বছরে জেলা প্রশাসন হাটের প্রতিটি পণ্যের খাজনার পরিমাণ কিছুটা বৃদ্ধি করে। এছাড়া হাটের শৃঙ্খলা ফেরাতেও জেলা প্রশাসনের গৃহিত নানামুখি পদক্ষেপে এবার জেলার স্থায়ী ও অস্থায়ী সকল পশুর হাটে জেলা প্রশাসনের বেঁধে দেয়া হারেই গবাদিপশুর খাজনা আদায় করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসনের এমন তৎপরতার কারণে হাটের যেমন শৃঙ্খলা ফিরেছে তেমনি ভাবে ক্রেতা ও বিক্রেতারা প্রতারণার হাত থেকে মুক্ত হয়েছেন বলে মনে করছেন নওগাঁর সচেতন মহল।

নওগাঁ জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, জেলার ১১টি উপজেলায় তালিকাভুক্ত ছোট-বড় মোট ৬৭টি হাট-বাজার রয়েছে। পূর্বে দীর্ঘদিন যাবত এই হাটগুলোতে গরু-মহিষের নির্ধারিত টোল ছিলো ৫শত টাকা আর ছাগল-ভেড়ার টোল ২শত টাকা। ফলে বছর শেষে ইজাদারদের লভাংশ খুবই কম হতো। যার ফলে ইজারাদাররা কোরবানীর ইদকে টার্গেট করে রাখতো। কোরবানীর ইদের কয়েকটি হাটে ইজারাদাররা রাজনৈতিক প্রভাবের সঙ্গে পেশী শক্তিকে কাজে লাগিয়ে গবাদিপশুর টোল দ্বিগুনের চেয়ে বেশি আদায় করে বছরের লোকশান পুষিয়ে নিতো। ফলে খাজনা আদায়ের নামে হাটে আসা ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়দের গলা কাটা হতো। এছাড়া খাজনার রশিদে আদায়কৃত টাকার পরিমাণও উল্লেখ করা হতো না। ফলে অন্যান্য সাধারণ মানুষরা জানতে পারতো না যে কত টাকা খাজনা আদায় করা হয়েছে। ওই সময়ে প্রতিটি হাটে প্রশাসনের কঠোর তৎপরতার মধ্যেও এমন কর্মকান্ড প্রতিরোধ করা সম্ভব ছিলো না। এমন নৈরাজ্য থেকে মুক্ত হতে চলতি বছর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল জেলার সকল ইজাদার ও হাট সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মতামতের ভিত্তিতে একাধিক শর্ত সাপেক্ষে হাটে আসা সকল পণ্যের টোলের হার বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।

সেই সিদ্ধান্ত মোতাবেক হাটের প্রধান পণ্য হিসেবে গরু-মহিষ জাতীয় পশুর খাজনা বৃদ্ধি করে ৭শত টাকা ও ছাগল-ভেড়া জাতীয় পশুর খাজনা ৩শত টাকা নির্ধারণ করা হয়। এছাড়া খাজনা আদায়ের রশিদে আদায়কৃত খাজনার পরিমাণ লিখা বাধ্যতামূলক করা হয়। আসন্ন কোরবানীর ইদে জেলার হাটগুলোতে জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর নিয়মিত টহলের মাধ্যমে সাধারণ মানুষদের সচেতন করাসহ বিভিন্ন কর্মকান্ড অব্যাহত রাখার কারণে এখন পর্যন্ত জেলার কোন হাটে গবাদিপশুর অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল।  

নওগাঁর আহসানগঞ্জ হাটে গরু কিনতে আসা আত্রাই উপজেলার মনিয়ারী এলাকার ক্রেতা রহিম শেখ জানান তিনি দুটি গরু কিনেছেন। তার কাছ থেকে প্রতিটি গরুর খাজনা হিসেবে ৭শত টাকা নেয়া হয়েছে। হাটে কয়েকবার সেনাবাহিনীর দল আসার কারণে খাজনা বেশি আদায় করা হচ্ছে না।

নওগাঁ জেলার দ্বিতীয় বৃহত্তম পশুর হাট রাণীনগর উপজেলার আবাদপুকুর হাটে পশু বিক্রি করতে আসা আসলাম শেখ জানান তিনি হাটে একটি ষাড় বিক্রি করেছেন। ক্রেতার কাছ থেকে ষাড়ের খাজনা হিসেবে ৭শত টাকা নেয়া হয়েছে। কিন্তু বিগত সময়ে খাজনা আদায়ের নামে ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়েরই গলা কাটা হতো। এবার হাটে ভিন্ন একটি পরিবেশ বিরাজ করছে। এতে করে আমরা সুবিধাভোগীরা চরম ভাবে উপকৃত হচ্ছি।

রাণীনগর উপজেলার ত্রিমোহনী হাটের ইজাদার মো: বেদারুল ইসলাম জানান প্রশাসনের বেঁধে দেয়া নিয়মেই খাজনা আদায় করা হচ্ছে। যেহেতু প্রশাসন সকলের কথা ভেবে খাজনার পরিমাণ বৃদ্ধি করেছে তাই বিন্দুমাত্র অতিরিক্ত খাজনা আদায় করার কোন সুযোগ নেই। এছাড়া দীর্ঘদিনের অনিয়ম থেকে বেরিয়ে এসে এবার খাজনার রশিদে আদায়কৃত খাজনার পরিমাণ লিখে দেয়া হচ্ছে। আগামীতেও এই ধারা অব্যাহত রাখা হবে বলে জানান তিনি।

নওগাঁর রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: রাকিবুল হাসান জানান জেলার হাটগুলোতে শৃঙ্খলা ফিরাতে জেলা প্রশাসক স্যারের গৃহিত এমন সিদ্ধান্তের কোন বিকল্প ছিলো না। জেলা প্রশাসনের নির্ধারিত নতুন হারে খাজনা আদায় করা হচ্ছে কিনা তা আমরা উপজেলা প্রশাসন নিয়মিত মনিটরিং করছি। বিশেষ করে জেলার দ্বিতীয় বৃহত্তম হাট উপজেলার আবাদপুকুর হাটে গত একমাস প্রশাসন খাজনা আদায় করার কারণে ওই অঞ্চলের মানুষসহ হাটে আসা ক্রেতা ও বিক্রেতারা খাজনার পরিমাণ সম্পর্কে সচেতন হয়েছেন। যার ফলে কোন অজুহাতে হাটে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের কোন সুযোগ নেই। এছাড়া উপজেলার প্রতি হাটেই প্রশাসনের নিয়মিত টহল অব্যাহত রয়েছে এবং আগামীতেও তা অব্যাহত রাখা হবে। নিয়মের বাহিরে খাজনা আদায় করা হলেই জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করার হুশিয়ারী দেন এই কর্মকর্তা।

নওগাঁ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন কোরবানীর ইদে প্রশাসনের গলার কাটা ছিলো হাটে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের বিষয়টি। এমন সমস্যা থেকে উত্তোরণের লক্ষ্যে জেলার সকল হাটে খাজনা আদায়ে স্বচ্ছতা আনতে ও খাজনা আদায়ে শৃঙ্খলা ফেরাতে যাচাই-বাছাইয়ের পর খাজনার পরিমাণ কিছুটা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। যার ফলে এখন পর্যন্ত জেলার ছোট-বড় কোন পশুর হাটে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের কোন ঘটনা ঘটেনি। প্রতিটি হাটেই সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিবির পর্যবেক্ষণ অব্যাহত রাখা হয়েছে। প্রতিটি হাটের খাজনা আদায়ের বিষয়ে মাইকিং এর মাধ্যমে প্রচারণা অব্যাহত রাখা হয়েছে। এবার নওগাঁতে ১০ থেকে ১২ হাজার কোটি টাকার গবাদিপশু বিক্রয় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই হাটগুলোতে পশু কিনতে এসে যেন কোন ক্রেতা কিংবা বিক্রেতা প্রতারিত না হোন সেই জন্য প্রতিটি হাটে নকল টাকা চিহ্নিত করতে মেশিন স্থাপন করা হয়েছে। এককথায় এবার জেলার কোন হাটে বিন্দুমাত্র অনিয়ম করার কোন সুযোগ দেয়া হবে না বলে জানান জেলা প্রশাসক।


আরও খবর



ফের আলোচনায় পূজা, প্রতারণার অভিযোগ

প্রকাশিত:সোমবার ১৬ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

টালিউডে ফের আলোচনায় অভিনেত্রী পূজা ব্যানার্জি। কিছুদিন আগেই ঘনিষ্ঠ বন্ধুর কাছ থেকে টাকা-পয়সা খোয়া যাওয়ার হৃদয়বিদারক অভিযোগ করেন অভিনেত্রী। সেই সময় তার আবেগঘন বক্তব্যে সহানুভূতির ঝড় উঠেছিল অনুরাগীদের হৃদয়ে। তবে এবার ঘটনার মোড় ঘুরল নাটকীয়ভাবে। ঘটনার তিন দিন না যেতেই পূজার বিরুদ্ধেই বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন সেই প্রযোজক বন্ধুর স্ত্রী মালবিকা দে।

নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মালবিকা দে জানান, আজ একটি মর্মান্তিক ঘটনার কথা আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করছি। এমন ঘটনার সম্মুখীন যেন কোনো পরিবারকেই না হতে হয়।

তিনি জানান, একটি ব্যবসায়িক সফরে গোয়ায় থাকাকালীন শ্যামসুন্দরকে তার গাড়ি থেকে জোর করে নামিয়ে অপহরণ করা হয়। এই ঘটনায় নেতৃত্ব দেন পূজা ব্যানার্জি নিজে। শ্যাম বাবুকে একটি অজানা জায়গায় নিয়ে গিয়ে ভয় দেখানো হয়, মারধর করা হয় এবং বলা হয় যদি তিনি ৬৪ লাখ টাকা না দেন, তবে মাদক মামলায় তাকে ফাঁসানো হবে। এই চরম পরিস্থিতিতে শ্যাম বাবুকে ২৩ লাখ টাকা দিতে বাধ্য করা হয়।

মালবিকার দাবি, এই টাকা পূজার সহকারী মুনমুনের হাতে নগদ এবং পূজা ও কুণালের অ্যাকাউন্টে আরটিজিএস মারফত পাঠানো হয়। সব লেনদেনের যথাযথ ব্যাংক স্টেটমেন্ট ও প্রমাণ সংরক্ষণও করা হয়েছে।

মালবিকা অভিযোগ করে আরও লিখেছেন, আমার স্বামীকে গোয়ায় মানসিকভাবে নির্যাতন করা হয় এবং প্রায় ৬৪ লাখ টাকা চাওয়া হয়। বলা হয়, টাকা না দিলে ওকে মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হবে। প্রচণ্ড ভয় পেয়ে শ্যাম ২৩ লাখ টাকা পরিশোধ করেন। পূজা এবং কুনালের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে যে টাকা ট্রান্সফার করা হয়েছে, তার সব রসিদ এবং লেনদেনের রেকর্ড সংরক্ষণ করেছি আমি। পূজা এবং কোনাল শ্যামের মোবাইল কেড়ে নেয়, জোর করে ব্যক্তিগত তথ্য এবং পাসওয়ার্ড নিয়ে নেয়। আমার স্বামীকে দিয়ে একাধিক ভিডিও রেকর্ড করা এবং তাকে ওদের কথা অনুযায়ী বক্তব্য বলতে বাধ্য করানো হয়। আপাতত উত্তর গোয়া এসপির নেতৃত্বে গোয়া পুলিশের সহযোগিতায় আমার স্বামী নিরাপদে উদ্ধার হয়েছেন।

তবে এ অভিযোগের বিষয়ে এখনো তিনি কোনো কথা বলেননি। তিনি শুধু বলেছেন, শিগগিরই আসল সত্য বেরিয়ে আসবে।


আরও খবর



নওগাঁয় ৩ দিনব্যাপী ভূমি মেলার উদ্বোধন

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ মে 20২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নিয়মিত ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান করি নিজের জমি সুরক্ষিত করি'' এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে প্রতি বছরের ন্যায় এবারেও নওগাঁয় ৩ দিনব্যাপী ভূমি মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে। রবিবার সকালে নওগাঁ জেলা সদর উপজেলা ভূমি অফিস প্রাঙ্গনে বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি নওগাঁ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ভূমি সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে জেলার প্রতিটি ভূমি অফিসে আগামী ৩ দিন ব্যাপী বিশেষ ভূমিসেবা প্রদান, বিনামূল্যে অনলাইনে আবেদন করার সুযোগ ও ডিজিটাল সেবা সম্পর্কে সচেতনতা কার্যক্রম চালানো হবে। এমন আয়োজন স্বচ্ছতার সঙ্গে ভূমি সেবা প্রতিটি মানুষের দ্বারে পৌছে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এসময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, ভূমি সেবা প্রাপ্তি সম্পর্কে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের মাঝে সচেতনতার ব্যাপক অভাব রয়েছে। আগে সেবা প্রাপ্তির বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে তবেই যে কোন সরকারি অফিসে গিয়ে হয়রানী ছাড়াই সহজেই সেবা পাওয়া সম্ভব হবে। আর ভূমি সেবা নিতে আসা অধিকাংশ মানুষরাই জানেন না ডিজিটাল ভূমি সেবা সম্পর্কে। আর এই সব মানুষরা যখন ইউনিয়ন পর্যায়ে ভূমি সংক্রান্ত সেবা নিতে আসেন তখন অনেক ভূমি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ওই সব সেবা গ্রহিতাদের একটি বিষয় একাধিকবার বলতে নারাজ। তিনি আরও বলেন, অনেক মানুষই ভয়ে তৃতীয় পক্ষের দালালদের কাছে গিয়ে হয়রানীর শিকার হোন এবং অর্থ খোয়া দেন। আগে তথ্য জানতে এবং অপরকে জানাতে হবে। আর এই জন্য প্রত্যন্ত এলাকার মানুষদের ভূমি সেবা সম্পর্কে সচেতন করার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া সেবা নিতে আসার প্রতি মানুষদের সাথে ভালো ব্যবহারের মাধ্যমে একটি বিষয় একাধিকবার ভালো ভাবে বুঝিয়ে দিয়ে ভূমি সেবার তথ্যগুলো সম্পর্কে সচেতন করার কোন বিকল্প নেই বলে মনে করেন তিনি। নওগাঁ জেলা প্রশাসন ও সদর উপজেলা ভূমি অফিস কর্তৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ সোহেল রানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইবনুল আবেদীন, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার সালমান হাবিব, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের অন্যান্য দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ গনমাধ্যমকর্মী, সেবা গ্রহিতা, সুধীজনরা।

শেষে জেলা প্রশাসক সেবা গ্রহিতাদের মাঝে ভূমির খাজনা আদায়ের রশিদ, খারিজের রশিদ, নামজারির রশিদ এবং ভূমি অধিগ্রহণের অর্থের চেক প্রদান করেন। 


আরও খবর



ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন হতে হবে

প্রকাশিত:সোমবার ২৬ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে। হুমকি-ধামকি উপেক্ষা করে নাগরিকদের সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা জারি রাখতে হবে। প্রতিটি নাগরিককে নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে সোচ্চার থাকতে হবে। দেশের জনগণ কিন্তু সরকারের করুণার পাত্র নয়। সরকার অবশ্যই জনগণের কথা শুনতে এবং তাদের ন্যায্য দাবি মানতে বাধ্য। এখানে সরকারের মান-অভিমান কিংবা রাগ-বিরাগের কিন্তু কোনো সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে দলের ১৮ বছরে যাত্রার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।

তারেক রহমান বলেন, রাষ্ট্রে স্বৈরাচার কিংবা ফ্যাসিবাদ রুখে দিতে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন জনগণের রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন। জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে সংসদ, সরকার গঠিত হলে অবশ্যই সেই সরকার জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য। এর মাধ্যমে রাষ্ট্রে নাগরিকদের রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত হয়। দেশে জনগণের রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত থাকলে সরকারের পক্ষ ফ্যাসিবাদী চরিত্র ধারণ করা সহজ হয় না। সরাসরি ভোটে নির্বাচিত সরকার, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কিংবা তত্ত্বাবধায়ক সরকার, সরকারের চরিত্র যাই হোক, সরকারকে জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য করা না গেলে ক্ষমতাসীন সরকার হয়তো নিজেদের অজান্তেই স্বৈরাচারী হয়ে ওঠে।


আরও খবর