Logo
শিরোনাম

ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট ধরতে গোয়েন্দা নজরদারি শুরু

প্রকাশিত:শনিবার ১২ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

বাজারে কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে দ্রব্যমূল্য বাড়ানো ও অবৈধভাবে মজুত করার বিষয়ে গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। গোয়েন্দা পুলিশের কর্মকর্তারা বলছেন, ইতোমধ্যে তারা সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের তালিকা করেছেন। তালিকা অনুযায়ী প্রত্যেকের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও গুদামে নজরদারি করা হচ্ছে। একইসঙ্গে প্রতিটি পাইকারি বাজারে সাদা পোশাকে নজরদারি করা হচ্ছে। যেসব ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের সদস্য হয়ে অধিক মুনাফার আশায় বাজারে সংকট তৈরি করছেন, তাদের বিরুদ্ধে মামলাসহ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশনায় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে একাধিকবার বৈঠকও করেছেন।

জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) এ কে এম হাফিজ আক্তার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা বাজারের অসাধু ব্যবসায়ীদের কর্মকাণ্ড মনিটরিংয়ের কাজ শুরু করেছি। গোয়েন্দা পুলিশের সব ইউনিটকে এ বিষয়ে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অসাধু ব্যবসায়ীরা যাতে সিন্ডিকেট তৈরি করে কোনও পণ্যের দাম বাড়াতে না পারে, সেজন্য নজরদারি চলছে। প্রয়োজনে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, সম্প্রতি সয়াবিন তেলের দাম বাড়ার পর আরও  সংকট দেখিয়ে একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী বেশি দামে বিক্রি করছে। বিষয়টি নিয়ে দেশজুড়ে সমালোচনা শুরু হলে সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বিষয়টি দেখতে বলা হয়। এই নির্দেশনার পরপরই ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ গোয়েন্দা ইউনিটকে অসাধু ব্যবসায়ীদের ধরতে নজরদারি করতে বলে।

গোয়েন্দা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, তারা ইতোমধ্যে রাজধানী ঢাকার ভেতরে যত পাইকারি বাজার রয়েছে, সেই তালিকা করে বাজার অনুযায়ী আড়তদার ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের তালিকা করা শুরু করেছেন। কে কোন পণ্য আমদানি-রফতানি করে, সেই তথ্য সংগ্রহের পাশাপাশি কার কোথায় গুদাম রয়েছে, তা জানার চেষ্টা চলছে। ছদ্মবেশে বা ক্রেতা সেজে সাদা পোশাকে গোয়েন্দারা এসব পাইকারি মার্কেট থেকে পণ্য কেনার পর, সংকট তৈরির  মূল হোতাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন।

গোয়েন্দা সূত্র জানায়, প্রতি বছর রমজান আসার আগে একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী পণ্য গুদামজাত করে বাজারে সংকট তৈরি করে। পরে তা বেশি দামে বিক্রির চেষ্টা করে। চলতি বছরও আসছে রমজানের আগেই বাজার কিছুটা অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে ঢাকার বাইরে থেকে আনা পণ্য কেন দ্বিগুণ বা তিনগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে, তার কারণ অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।

পুলিশের বিশেষ শাখার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অন্যান্য বছরের মতো চলতি বছরেও রমজান মাসে বিভিন্ন পণ্যের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতিতে তোলার জন্য একটি সিন্ডিকেট কাজ করছে। এখন থেকেই তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা ও নজরদারি করা না হলে পণ্যের দাম বৃদ্ধির কারণে সরকারের ভাবমূর্তি ব্যাপকভাবে ক্ষুণ্ন হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। এই সিন্ডিকেট সরকারকে বেকায়দায় ফেলে রাজনৈতিক ফায়দা নিতে পারে। এজন্য গোয়েন্দা প্রতিবেদনে কয়েকটি সুপারিশও করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ঢাকার বাইরে থেকে পণ্য আসার ক্ষেত্রে পথের সব ভোগান্তি, বিশেষ করে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে। এছাড়া বিদেশ থেকে যারা পণ্য আমদানি করে, তাদের পণ্য খালাসে ওয়ান স্টপ সার্ভিসের মাধ্যমে সেবা দিয়ে দ্রুত পণ্য খালাস করে বাজারে নেওয়ার কথা জোর দিয়ে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে সরকারের পক্ষ থেকে টিসিবির মাধ্যমে ভর্তুকির মাধ্যমে আরও বেশি পণ্য বিক্রির ব্যবস্থা করতে পারলে অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। একইসঙ্গে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন বাজারে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার বিষয়ে জোর দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানান, তারা ইতোমধ্যে নজরদারির মাধ্যমে যেসব ব্যবসায়ীর বিষয়ে সিন্ডিকেট তৈরি করে দ্রব্যমূল্য বাড়ানোর বিষয়ে তথ্য পেয়েছেন, তাদের প্রতিষ্ঠানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যেকোনও সময় ঝটিকা অভিযানের মাধ্যমে অসাধু সিন্ডিকেট সদস্যকে আইনের আওতায় আনার পাশাপাশি তার গুদামে থাকা অবৈধভাবে মুজত পণ্য প্রয়োজনে জব্দের পর নিলামে বিক্রি করা হবে।

কনজিউমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, ‘বাজারে এমনভাবে নজরদারি করতে হবে যাতে ভীতিকর পরিবেশ তৈরি না হয়, আবার অসাধু ব্যবসায়ীরাও যাতে কোনও কৃত্রিম সংকট তৈরি করতে না পারে। অর্থাৎ দুষ্ট দমনের পাশাপাশি শিষ্টের পালন করতে হবে। ভালো ব্যবসায়ীদের উৎসাহ দিতে হবে। আর খারাপ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।’ তাহলেই বাজারে একটা স্থিতিশীল পরিবেশ আসতে পারে বলে মনে করেন তিনি।




আরও খবর



রাণীনগরে মাদকের সাত মামলার আসামী চোলাই মদ তৈরির ৭৫লিটার ওয়াসসহ আটক

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ |

Image

কাজী আনিছুর রহমান,রাণীনগর (নওগাঁ)  :

নওগাঁর রাণীনগরে সোমবার রাতে অভিযান চালিয়ে বাড়ীর আঙ্গিনায় মাটির নিচ থেকে চোলাই মদ তৈরির ৭৫লিটার ওয়াস (উপাদান) সহ আজিজার রহমান (৬৬) নামে এক আলোচিত মাদক কারবারীকে আটক করেছে পুলিশ। আটক আজিজার উপজেলার কাশিমপুর সরদার পাড়া গ্রামের আফছার আলীর ছেলে। তার বিরুদ্ধে মাদকের সাতটি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

রাণীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ওবায়েদ জানান,গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার রাতে আজিজারের বাড়ীতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। সেখানে বাড়ীর আঙ্গিনায় মাটি খুঁড়ে ড্রামে ভরে রাখা চোলাই মদ তৈরির ৭৫লিটার ওয়াস (উপাদান) উদ্ধারসহ তাকে আটক করা হয়। এঘটনায় রাতেই আজিজারের বিরুদ্ধে থানায় মাদক মামলা রুজু করা হয়েছে। পুলিশের এই কর্মকর্তা আরো জানান,আজিজারের বিরুদ্ধে এর আগে আরো সাতটি মাদক মামলা রয়েছে। সবগুলো মামলা আদালতে  বিচারাধীন।এছাড়া অন্য একটি মামলায় গ্রেফতারী পরোয়ানা মুলে একই রাতে উপজেলার চাকদিন গ্রামের আবুল কালাম আজাদ (৩৩) কে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের মঙ্গলবার আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে। 


আরও খবর



ফিলিস্তিনের প্রতি মাভাবিপ্রবি ছাত্রলীগের সংহতি

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ |

Image

মো: হ্নদয় হোসাইন, মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে বিশ্বব্যাপী চলমান ছাত্রআন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়েছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, মাভাবিপ্রবি শাখা। আজ টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাধীন  ফিলিস্তিনের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের উদ্যোগে পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। পদযাত্রায় মাভাবিপ্রবি ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। পদযাত্রার নেতৃত্ব দেন মাভাবিপ্রবি ছাত্রলীগের সভাপতি মানিক শীল ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির। 

এসময় ছাত্রলীগ সভাপতি মানিক শীল বলেন, ন্যায্যতা, ন্যায়, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে স্বাধীন রাষ্ট্র ফিলিস্তিনের স্বীকৃতি ও নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর পরিচালিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী সমাজ যে আন্দোলনের সূচনা করেছেন, তার প্রতি সংহতি প্রকাশ করছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির বলেন, গোটা পৃথিবীতে ফিলিস্তিনের পক্ষে একটি ছাত্র আন্দোলন চলমান রয়েছে। সে ছাত্র আন্দোলনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সংহতি জানিয়েছে। কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে  জাতীয় পতাকার পাশাপাশি ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন, পদযাত্রা এবং সংহতি সমাবেশ সফল হয়েছে। আজকের এই কর্মসূচি শুধু ছাত্রলীগের কর্মসূচি নয়, এটি দেশের সব শিক্ষার্থীর কর্মসূচি, বিশ্বের সব মুক্তিকামী মানুষের কর্মসূচি। আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র ফিলিস্তিনের ওপর যে আগ্রাসী আক্রমণ চলছে, যে মানবতাবিরোধী অপরাধ হচ্ছে তার বিরুদ্ধে বৈশ্বিক যে আন্দোলন সে আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করছি। মাভাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের নিয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে আমাদের কর্মসূচি শুরু হয়েছে। আমরা একসঙ্গে আওয়াজ তুলেছি ফিলিস্তিনের ওপর গণহত্যা বন্ধ করতে হবে, আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে। 

উল্লেখ্য যে, আজ বেলা ১১ টায় মাভাবিপ্রবির ছাত্রলীগ কার্যালয় থেকে পদযাত্রা বের হয়ে সম্পূর্ন ক্যাম্পাস প্রদক্ষিন করে শেষ হয়।


আরও খবর

একাদশের ক্লাস শুরু ৩০ জুলাই

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




৬৩ বছরের ইতিহাসে লবণ উৎপাদনের রেকর্ড

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ |

Image

চলতি মৌসুমে দেশে গত ৬৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ লবণ উৎপাদন হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক)।

সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিসিক জানায়, চলতি মৌসুমে (২৮ এপ্রিল পর্যন্ত) ২২ লাখ ৩৪ হাজার ৬৫৮ টন লবণ উৎপাদন হয়েছে। যা বিগত বছরের সব রেকর্ড অতিক্রম করেছে। এখনো লবণ উৎপাদন অব্যাহত রয়েছে। এর আগে গত বছর (২০২২-২৩ অর্থবছর) ৬২ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি লবণ উৎপাদন হয়েছিল। সে সময় পর্যন্ত সর্বোচ্চ উৎপাদনের রেকর্ড ছিল ২২ লাখ ৩২ হাজার ৮৯০ টন।

সংস্থাটি জানায়, চলতি লবণ মৌসুমে লবণ চাষকৃত মোট জমির পরিমাণ ৬৮ হাজার ৩৫৭ একর। গত বছর ছিল ৬৬ হাজার ৪২৪ একর। গত বছরের তুলনায় এ বছর লবণ চাষের জমি বৃদ্ধি পেয়েছে ১ হাজার ৯৩৩ একর।

চলতি লবণ মৌসুমে লবণ চাষির সংখ্যা ৪০ হাজার ৬৯৫ জন, যা গত বছর ছিল ৩৯ হাজার ৪৬৭ জন। গত বছরের তুলনায় এ বছর লবণ চাষির সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ১ হাজার ২২৮ জন। বর্তমানে লবণ মাঠ পর্যায়ে মণপ্রতি ক্রুড লবণের গড় মূল্য ৩১২ টাকা, যা গত বছর ছিল ৪২০ টাকা।

চলতি লবণ মৌসুমে লবণ উৎপাদন চলমান রয়েছে, যা মে মাসের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে লক্ষ্যমাত্রা ও চাহিদা অনুযায়ী লবণ উৎপাদন করা সম্ভব হবে।

বিসিকের কক্সবাজার লবণ শিল্পের উন্নয়ন কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক মো. জাফর ইকবাল ভূঁইয়া বলেন, মৌসুমজুড়ে দাবদাহ, ৬৮ হাজার ৩৫৭ একর জমির শতভাগে আধুনিক পলিথিন প্রযুক্তিতে চাষাবাদ এবং অতিরিক্ত ১ হাজার ৯৩৩ একরের বেশি জমিতে লবণ চাষের কারণে উৎপাদনে নতুন রেকর্ড হয়েছে।


আরও খবর



প্রতিটি মানুষকে আর্থিকভাবে স্বচ্ছল করতে কাজ করছি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকার সকল দেশবাসীকে অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছল করতে বহুমাত্রিক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।

তিনি বলেন, আমরা বহুমাত্রিক কর্মসূচি হাতে নিয়ে প্রত্যেক মানুষকে আর্থিকভাবে স্বচ্ছল করার জন্য কাজ করে যাচ্ছি।

টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দরিয়ারকুল গ্রাম উন্নয়ন সমিতির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

তিনি সংক্ষিপ্তভাবে বহুমাত্রিক কর্মসূচির বর্ণনা দেন, যার মধ্যে রয়েছে আমার বাড়ি, আমার খামার, জনগণকে আর্থিক অনুদান প্রদান, সার্বজনীন পেনশন প্রকল্প এবং গ্যারান্টি ছাড়া ঋণ প্রদান, সমাজ থেকে দারিদ্র্য বিমোচন করার জন্য যুবকদের যথাযথ প্রশিক্ষণ প্রদান ইত্যাদি।

সরকার প্রধান বলেন, আমরা দারিদ্র্য বিমোচনের মাধ্যমে মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে অনেক উদ্যোগ নিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকারের নেয়া কর্মসূচিগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হলে দেশে কেউ গরীব থাকবে না।

 

তিনি ক্ষুদ্র সঞ্চয় নিশ্চিত করতে এবং এইভাবে বাংলাদেশের উন্নয়নে সহায়তা করার জন্য সমগ্র বাংলাদেশে সমবায় সমিতি গঠনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।

প্রতিটি এলাকায় সমবায় সমিতি গঠন করে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি, ক্ষুদ্র সঞ্চয়ের মাধ্যমে দারিদ্র্য দূরীকরণে আওয়ামী লীগ নেতাদের আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, সবাই যাতে নিজের পাঁয়ে দাঁড়াতে পারে, সে জন্য আমরা কাজ করছি।

পরে প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় চত্বরে দরিদ্রদের মাঝে রিপার মেশিন, সার, ল্যাপটপ, ১০টি সাইকেল, ১০টি রিকশা ভ্যান, ৩০টি সেলাই মেশিন এবং ৩৮ জনকে ৪০ হাজার টাকার আর্থিক অনুদান, ১০ জোড়া কবুতর এবং ৩৮ জন শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতির পিতার কনিষ্ঠ কন্যা ও প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম।

অনুষ্ঠানে সুবিধাভোগীরা তাদের সরঞ্জাম এবং আর্থিক অনুদান পাওয়ার নিজস্ব অনুভূতি ব্যক্ত করেন।


আরও খবর



মৃত্যুদণ্ড চূড়ান্ত হওয়ার আগে কনডেম সেলে না রাখার সিদ্ধান্ত স্থগিত

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image


ডিজিটাল ডেস্ক

মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে ফাঁসির আসামিদের কনডেম সেলে না রাখার সিদ্ধান্ত আগামী ২৫ আগস্ট পর্যন্ত স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্ট।


বুধবার (১৫ মে) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।


মঙ্গলবার আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় হাইকোর্টের এই রায় স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।

এর আগে ১৩ মে মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেম সেলে বন্দি রাখা অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।

এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। দীর্ঘ সাড়ে ৩ ঘণ্টাব্যাপী রায় ঘোষণা করা হয়।


আরও খবর