Logo
শিরোনাম

দেশব্যাপী বিতর্কের মুখে ভারতে নতুন ফৌজদারি আইন কার্যকর, দিল্লিতে প্রথম মামলা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image



বিডি টুডেস ডিজিটাল ডেস্ক :


ব্রিটিশ আমলের ভারতীয় দণ্ডবিধির (আইপিসি) ধারা বদলে তিনটি নতুন ফৌজদারি আইন আগেই পাশ হয়েছিল।



 সোমবার (১ জুলাই) থেকে তা চালু হয়েছে দেশটিতে। অবশ্য চালু করার আগে এই আইনগুলো নিয়ে আরো বেশি আলোচনা-পর্যালোচনার প্রয়োজন ছিল বলে জানিয়েছেন বিরোধীরা। খবর ডয়চে ভেলে ও ইন্ডিয়া টুডের।



নতুন যে তিনটি আইন চালু হলো সেগুলো হলো- ভারতীয় নয়া সংহিতা, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা এবং ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ম। এর আগে এই ধারাগুলো ছিল ব্রিটিশদের তৈরি তিনটি আইনে।



 ইন্ডিয়ান পেনাল কোড (আইপিসি), কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর এবং দ্য ইন্ডিয়ান এভিডেন্স অ্যাক্ট। ব্রিটিশ আমলের এই তিনটি আইন বাতিল করে নতুন এই তিনটি আইন চালু করা হলো।



বস্তুত, এই তিনটি নতুন ফৌজদারি আইনকে স্বাগত জানিয়েছেন ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ও। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই আইন নিয়ে বলেছেন, এর ফলে ভারতে ফৌজদারি বিচারের গতি আগের চেয়ে অনেকটাই দ্রুত হবে।



নতুন আইনগুলো পুরোনো আইনের থেকেই তৈরি করা। কিন্তু তাতে বেশ কিছু বদল আনা হয়েছে। নতুন আইনে বলা হয়েছে, প্রথম শুনানির ৬০ দিনের মধ্যে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করতে হবে।



 বিচারপ্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার ৪৫ দিনের মধ্যে সাজা ঘোষণা করতে হবে। অর্থাৎ, বিচারপ্রক্রিয়া আগের চেয়ে অনেক দ্রুত হবে বলেই মনে করা হচ্ছে নতুন আইনে। 


নতুন আইন অনুযায়ী, দেশের যে কোনো প্রান্তে বসে পুলিশের কাছে এফআইআর দায়ের করা যাবে। অর্থাৎ, যে অঞ্চলে অপরাধ সংঘটিত হয়েছে, কেবল সেই অঞ্চলের থানায় গিয়েই এফআইআর করতে হবে, এমন কোনো নিয়ম আর থাকল না। 



যে কোনো পুলিশ স্টেশন যে কোনো অঞ্চলের এফআইআর নিতে বাধ্য থাকবে। পাশাপাশি অনলাইনেও অভিযোগ নথিভুক্ত করা যাবে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে সমন পাঠানো যাবে।


নতুন আইনে বলা হয়েছে, যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ফৌজদারি অপরাধের ক্ষেত্রে ক্রাইম সিন বা অপরাধ যেখানে সংঘটিত হয়েছে সেই জায়গার ভিডিওগ্রাফি করতে হবে। বস্তুত, ক্রাইম সিনের ভিডিওগ্রাফি এখনো হয়। কিন্তু তা বাধ্যতামূলক নয়। নতুন আইনে তা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।


সাত বছরের বেশি সাজা হতে পারে যে অপরাধে, তেমন ঘটনায় ফরেনসিক দলকে ক্রাইম সিনে যেতেই হবে। গণপ্রহার, গণধর্ষণ, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের মতো অপরাধের ক্ষেত্রেও ফরেনসিক টিমকে ঘটনাস্থলে যেতে হবে।


এর ফলে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞের প্রয়োজন আরো বাড়বে বলে জানিয়েছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ তৈরি হয় জাতীয় ফরেনসিক বিশ্ববিদ্যালয়ে। এই মুহূর্তে ভারতে ৯টি রাজ্যে এই বিশ্ববিদ্যালয় আছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ১৬টি রাজ্যে এই বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করা হবে।



কংগ্রেসসহ বিরোধী দলগুলোর বক্তব্য, নতুন আইন খুব দ্রুত চালু করা হচ্ছে। এই আইনগুলো নিয়ে আরো বেশি আলোচনা হওয়ার প্রয়োজন ছিল। এর সাংবিধানিক ব্যাখ্যা নিয়েও আলোচনা করা দরকার ছিল। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীও একই কথা বলেছেন। তার বক্তব্য, ‘এই আইনগুলো নিয়ে আরো বেশি পর্যালোচনার প্রয়োজন ছিল।’


তবে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় নতুন আইনকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এটি একটি অভূতপূর্ব সময়। ভারতে দৈনন্দিন জীবনে সবচেয়ে বেশি কাজে লাগে ফৌজদারি আইন। সেই আইনের ঐতিহাসিক সংস্কার হলো।


এদিকে নতুন এই আইনের অধীনে দিল্লিতে ইতিমধ্যে একটি মামলাও নথিভুক্ত হয়েছে। দিল্লির কমলা মার্কেট থানায় এ মামলা নথিভুক্ত হয়। এক জন হকারের বিরুদ্ধে রাস্তা আটকে ব্যবসা করার অভিযোগে এ মামলা হয়।


আরও খবর



ভেনিস বাংলা স্কুলের গোল্ডকাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৩ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

ভেনিস বাংলা স্কুলের আয়োজনে আসন্ন ১৪তম গোল্ডকাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট উপলক্ষে আজ বিকালে একটি সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্কুলের নিজস্ব কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন স্কুল কমিটির সভাপতি সৈয়দ কামরুল সরোয়ার।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগামী ২২ জুন কামপালতো মাঠে সকাল সাড়ে দশটায় এই টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। প্রতি বছরের মতো এবারও প্রবাসী বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণে টুর্নামেন্টটি উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন আয়োজকরা।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলা স্কুলের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন- নাসির উদ্দিন পান্না, আফাই আলি, সোহেল আক্তার বিপ্লবী, আওলাদ হোসেন অন্তর, নূরে আলম, আব্দুর রব ও বৃহত্তর কুমিল্লা সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন এবং কুমিল্লা জেলা সমিতির সাধারণ সম্পাদক শরীফ মির্ধা।

এছাড়া সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাকসুদ রহমান, জাকির হোসেন সুমন, নাজমুল হোসেন, সোহানুর রহমান উজ্জ্বল, আসলামুজ্জামান, তিশা সুলতানা, আবু নাঈম ভূঁইয়া, সজীব আল হাসান ও সুমন সরকার।

সংগঠনের পক্ষ থেকে টুর্নামেন্টকে সফল করার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে।


আরও খবর



বিআরটিএতে এখনো বহাল দুর্নীতির মাস্টারমাইন্ড শহীদুল্লাহ

প্রকাশিত:রবিবার ১৮ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

দুর্নীতির প্রসঙ্গ এলে যে-সব প্রতিষ্ঠানের নাম উঠে আসে সেগুলোর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। সরকারি এই প্রতিষ্ঠানের সবচেয়ে নিম্নপদ থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ পদধারীর বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া যায়। আওয়ামী লীগের আমলে এই প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতি না করাই যেন কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তেমনি একটি বড় চক্রের নেতৃত্বে ছিলেন বিআরটিএ ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক প্রকৌশলী মো. শহীদুল্লাহ। স্বৈরাচারী সরকারের পতন হলেও বহাল তবিয়তে চেয়ার ধরে রেখেছেন এসব আমলারা। পলাতক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নির্বাচনী ফান্ডে অর্থ যোগানদাতাদের তালিকায় প্রথম দিকেই আছে এই শহীদুল্লাহর নাম।  

বিআরটিএ সূত্র জানায়, সংস্থাটি থেকে ঘুষ ও চাঁদা তুলে ওবায়দুল কাদেরের ব্যক্তিগত নির্বাচনী তহবিল গঠনে বড় ভূমিকা রাখতেন শহীদুল্লাহ। এই সিন্ডিকেটের অন্য সদস্যদের মধ্যে ছিলেন উপ-পরিচালক ছানাউল হক, মোরছালিন ও রফিকুল ইসলাম। এদের বিরুদ্ধে সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কার্যালয়ে একটি লিখিত অভিযোগ জমা দেওয়া হয়েছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ থেকে ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময় চট্টগ্রামে দায়িত্ব পালনকালে শহীদুল্লাহর বিরুদ্ধে ব্যাপক ঘুষ বাণিজ্যে জড়িয়ে পড়েন। চট্টগ্রামে ১৩ হাজার সিএনজি অটোরিকশা প্রতিস্থাপনে প্রতি ইউনিটে ২ লাখ টাকা ও রেজিস্ট্রেশনের জন্য ৫০ হাজার টাকা করে উৎকোচ আদায়ের অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। আর তাতে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ছিলেন উত্তরা মোটরসের সাতজন ডিলার। এই হিসাবে, শুধু এ প্রকল্প থেকেই ২৮৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা আদায় হয়।

এ ছাড়া, ভারতে তৈরি চার আসনের ২ হাজার ম্যাগজিমা অটোরিকশাকে বেআইনিভাবে ৭ আসনের অটো-টেম্পু হিসেবে রেজিস্ট্রেশন দিয়ে গাড়িপ্রতি ২ লাখ টাকা করে মোট ৪০ কোটি টাকা ঘুষ আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। একইভাবে চট্টগ্রামের ২০ হাজার গ্রামবাংলা সিএনজি অটোরিকশা থেকে গাড়িপ্রতি ৩০ হাজার টাকা করে মোট ৬০ কোটি টাকা গ্রহণের অভিযোগ করা হয়েছে।

সবমিলিয়ে চট্টগ্রামে দায়িত্ব পালনকালে শহীদুল্লাহ ও তার সিন্ডিকেট ৩৮৭ কোটি ৫০ লাখ টাকার ঘুষ বাণিজ্যে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

ওই সময় তার সহযোগী হিসেবে কাজ করতেন চট্ট মেট্রো-১ এর এডি তৌহিদ হোসেন। বর্তমানে তিনি পদোন্নতি পেয়ে ময়মনসিংহ বিভাগীয় দপ্তরে কর্মরত রয়েছেন। তৌহিদ হোসেন সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নুরী ও বিআরটিএর সাবেক চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদারের এলাকা নোয়াখালীর পরিচয় দিয়ে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে চট্টগ্রাম বিআরটিএকে উৎকোচ বাণিজ্যের স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছিলেন। 

একপর্যায়ে সমালোচনার শুরু হলে শহীদুল্লাহকে ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক করে ২০২২ সালে ঢাকায় নিয়ে আসেন ওবায়দুল কাদের, সচিব আমিন উল্লাহ নুরী ও চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার। এখানে এসেও দুর্নীতির ধারা অব্যাহত থাকে।

ঢাকায় দায়িত্ব পালনের শুরু থেকেই অনিয়ম-দুর্নীতিতে ঘনিষ্ঠ সহচর হিসেবে পান ফ্যাসিস্ট সরকারের সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জি. মোশারফ হোসেনের কথিত ভাতিজা ও ফরিদপুর-৪ এর সাবেক সাংসদ নিক্সন চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ বন্ধু প্রকৌশলী রফিকুল ইসলামকে। যাকে সম্প্রতি বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ে বদলি করা হয়েছে।

বিআরটিএতে দালাল সিন্ডিকেট শক্তিশালী করার মূল কারিগরই ছিলেন এই শহীদুল্লাহ ও রফিকুল। এই দুই কর্মকর্তার কারণে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের আমলে দালাল ছাড়া কোনো কাজই হতো না। কারণ দালাল চক্রের মাধ্যমে কাজ করলেই মিলত মোটা দাগের উৎকোচ।

অভিযোগ রয়েছে, ঢাকা মেট্রো সার্কেল ১, ২, ৩ ও ৪-এ লাইসেন্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে ২ হাজার টাকা করে আদায় করা হয়যা শহীদুল্লাহ ও তার ঘনিষ্ঠ কর্মকর্তারা ভাগ করে নিতেন।

অভিযোগ অনুযায়ী, মাসে প্রায় ১৮ হাজার পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয় এসব সার্কেলে। ফলে মাসে প্রায় ৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা এবং তিন বছরে মোট ১২৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা আদায়ের অভিযোগ রয়েছেযার একটি অংশ সরাসরি যেত সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নির্বাচনী ফান্ডে।

শুধু তাই নয়, জুলাইয়ের ছাত্র আন্দোলন ঠেকাতে সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের পিএস ও বিআরটিএর সাবেক চেয়ারম্যান গৌতম চন্দ্র পালের সঙ্গে শহীদুল্লাহর ঘনিষ্ঠতারও অভিযোগ উঠেছে। আন্দোলন নস্যাতের ষড়যন্ত্রে তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন বলেও দাবি করা হয়েছে।

সরকারি কর্মকর্তা হওয়া সত্ত্বেও শহীদুল্লাহর নামে-বেনামে ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় রয়েছে একাধিক বিলাসবহুল বাড়ি। মোহাম্মদপুর বাবর রোডে একটি ডুপ্লেক্স, শ্যামলীতে মার্বেল খচিত বহুতল ভবন এবং গাজীপুরে দুটি বাড়ির কথা অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে।

সরকারি নিয়ম অনুযায়ী কোনো কর্মকর্তা এক জায়গায় তিন বছরের বেশি দায়িত্বে থাকতে পারেন না। অথচ শহীদুল্লাহ গত তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে একই পদে বহাল। বিআরটিএ সদর দপ্তর থেকে তাকে সংযুক্ত করার আদেশ থাকলেও এখনো তিনি ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। সংশ্লিষ্টরা একে সরকারি আদেশ অমান্য বলে আখ্যা দিয়েছেন।

যোগাযোগ করা হলে শহীদুল্লাহ সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এসব চরম মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ। আদেশ হলে না যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আদেশে আমাকে সংযুক্ত করা হয়েছে। নতুন কাউকে দায়িত্ব দিলে আমি সেখানে যোগ দেব।

তিনি বলেন, দুদকে অভিযোগ দিলে কিন্তু তারা গ্রহণ করবে। এটা কোনো প্রশ্ন হলো না। দুর্নীতি করলে লুকানোর কিছু নেই। যারা করছে বা যদি করে থাকে তাহলে যথাযথ কর্তৃপক্ষ এগুলো পেয়ে যাবে।  তিনি পুনরায় দাবি করে বলেন, এগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অভিযোগ।

বিআরটিএর এমন অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, অনেক প্রতিষ্ঠানেই একই চিত্র। হঠাৎ করে কিছু ব্যক্তির পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু চর্চার পরিবর্তন হয়নি। আর বিআরটিএর মতো সংস্থা তো আপাদমস্তক দুর্নীতিগ্রস্ত ছিল। বিগত কর্তৃত্ববাদের সময় সেটা আরও বেশি। কাজেই বিভিন্নভাবে এটার সুযোগ-সুবিধা তারা নিয়েছে। সেটিই এখন প্রমাণিত হচ্ছে। দুদককে পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে।

তিনি বলেন, রাজনৈতিক বা অন্য কারণে যারা এমন দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ যাদের বিরুদ্ধে আছে তাদেরকে বহাল রাখার কোনো যৌক্তিকতা নেই। এটা অনৈতিক। কারণ যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের তদন্ত হচ্ছে, সেই অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার আগেও তাদের কিন্তু সাময়িকভাবে বরখাস্ত করার কথা। অভিযোগ হয়ে থাকলে ও তদন্ত শুরু করলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং তদন্ত সংস্থাগুলোর উচিত হবে সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদেরকে সাময়িক বহিষ্কার করা।

ইফতেখারুজ্জামান বলেন, যথাযথ তদন্তের ভিত্তিতে প্রযোজ্য শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। বিআরটিএর বর্তমান প্রেক্ষিত তো বটেই এই সংস্থা সম্পর্কে সারাদেশের মানুষের যে ধারণা এই ধারণার যে অভিজ্ঞতা সেটার পরিবর্তন লাগবে। পরিবর্তনের সেই সুযোগটা এখনই। দুদকেরও এখনি সেই সুযোগটা নেওয়া উচিত। বিআরটিএর সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষও এর দায় এড়াতে পারে না। কারণ বিআরটিএ যদি তাদের বহাল তবিয়তেই রাখে বা তাদেরকে সুরক্ষা দেয় তাহলে সেটাও কিন্তু দুর্নীতির সহায়ক। এ থেকে বিআরটিএকে সরে আসা উচিত।

এসব বিষয়ে বিআরটিএর বর্তমান চেয়ারম্যানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তার ফোনে কল ও হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ পাঠানো হয়। এক সপ্তাহের বেশি পেরিয়ে গেলেও তিনি হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো প্রশ্নের কোনো উত্তর দেননি।

তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও ঘুষ বাণিজ্যের মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার বাবর রোডে বি-ব্লকের ১৩/এ/১ নম্বর শেলটেক চন্দ্রমল্লিকায় তার রয়েছে আলিশান ডুপ্লেক্স এপার্টমেন্ট। এছাড়াও শ্যামলীর ২ নম্বর রোডে ১২-ঠ-৭ হোল্ডিংস্থ একটি মার্বেল পাথর খচিত বিলাসবহুল বাড়িও রয়েছে। গাজীপুরের জয়দেবপুর ও চন্দনায় রয়েছে দু'টি নজরকাড়া বাড়ি।

 

শুধু তাই নয়, মোহাম্মদ শহীদুল্লাহর গ্রামের বাড়ি নরসিংদীর রায়পুরার কাচারিকান্দিতেও নামে বেনামে বিপুল সম্পদ গড়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। দুর্নীতিবাজ এ কর্মকর্তা মাঝে মধ্যেই দুবাইসহ মধ্যপ্রাচ্যেরে দেশগুলোতে পরিবারের সদস্যদের বিলাস ভ্রমণের খবর সবারই জানা। সড়ক ও যোগাযোগ মন্ত্রনালয়ের অধীনস্থ বিআরটিএর বিগত সময়ের সিএনজি রিপ্লেস ধান্ধার হোতা মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ ঘুষবাজ রক্ষণাবেক্ষণ আরেক লম্বা হস্তের খুশি-খেয়াল মতো ধান্ধায় বেহুশ। তিনি সেই লম্বা হাত মানে-পরিচালক প্রশাসনর নির্দেশে যে কয়জন ওই আন্দোলন ভিন্নখাতে নেয়ার ধ্বংসযজ্ঞের ইন্ধন যুগিয়েছেন-তাদের মধ্যে অন্যতম।

সূত্রটি জানায়, বরাবরই তিনি তার অদৃশ্য লম্বা হাতের ছোঁয়ায় অর্থাৎ পরিচালক প্রশাসনের ক্ষমতা বলে রক্ষাকবজরূপে সব সার্কেলের ঘুষবাজদের সক্রিয় রাখার বিনিময়ে পান মোটা উৎকোচ। এর আগেই ডিডি থাকা অবস্থায় সিএনজির রিপ্লেস ধান্ধাসহ মোটা দাগে লুটপাটের টাকায় বিপুল বিত্ত-বৈভবের মালিকানার সাথে মহাগুরু বনে যান। এরপর ওই তকমায় চিটাগাং থেকে ঢাকায় ফিরে রয়েছেন বহাল তবিয়তে। আর নিয়োগ বদলি বাণিজ্যে তো বরাবরই তার জুড়ি মেলা ভার।

সূত্র আরও জানায়, বিআরটিএর ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক হয়েই অদৃশ্য হাতের ছোঁয়ায় শহীদুল্লাহ বিআরটিএ ঘিরে অদৃশ্য শক্তির বলয় তৈরি করে রেখেছেন। এ খাতের অনিয়ম দেখার দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠানটির যে বিভাগটি রয়েছে, সেটিও তার হাতের মুঠোয়। বিআরটিএর সব কূটকৌশলের মাস্টারমাইন্ড বলেও রয়েছে তার খ্যাতি। বিভাগীয় পরিচালক শহীদুল্লাহর সর্বোচ্চ পদে আসীনদের সঙ্গেও তার অন্তরঙ্গ ওঠা বসা। এভাবেই নীতির ফেরিওয়ালার বেশে বিগত কয়েক বছরে চতুর শহীদুল্লাহ নামে-বেনামে গড়ে তুলেছেন অঢেল সম্পদ।  

এছাড়া তিনি বিআরটিএর জমিদার বলে বেশ পরিচিত । তার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে-শতাধিক গাড়ির শোরুম ম্যানেজারও। আর এসব সখ্যতা ও সুখ্যাতির অক্ষুণ্নতা রক্ষায়ই আলোচিত ছাত্র আন্দোলনকে ভিন্নখাতে নেয়ার অংশীদার হয়ে বিআরটিএর ধ্বংসযজ্ঞের একটি অংশে মূল কয়েক হোতাদের পরেই পরিচালক শহীদুল্লাহর নাম ছড়াচ্ছে। যা চলমান সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন তদন্ত সংস্থার সরাসরি বরাত না মিললেও সংশ্লিষ্ট দফতরেও নানা মুখে ছড়িয়ে পড়ছে। সদ্য বিআরটিএর ওই লম্বা হস্তের সাথে এ শুভানুধ্যায়ীর বে-খবরটিও ঘুরপাকের আভাসে এ থেকে নিজেকে আড়াল করার নানা ফন্দিও তিনি ইতোমধ্যে এঁটে রেখেছেন। তার মানে-ওই সেই কথাঠাকুর ঘরে কে রে? আমি কলা খাই না অর্থাৎ-তিনি ওই আন্দোলনের সময় দেশে ছিলেন না, বলে প্রচার শুরু করেছেন।

অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে বিআরটিএ'র ঢাকা বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ শহীদুল্লাহর মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।


আরও খবর

৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫




আমেরিকায় করোনার চেয়ে ভয়াবহ ছত্রাক পাঠাল চীন!

প্রকাশিত:সোমবার ০৯ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

করোনা নামের ভাইরাস ছারখার করে দিয়েছিল গোটা বিশ্বকে। মৃত্যু হয়েছে লাখ লাখ মানুষের। সেই আতঙ্ক এখনও বয়ে বেড়াচ্ছে সাধারণ মানুষ। এর মধ্যেই আমেরিকায় নতুন আশঙ্কার মেঘ। জৈবিক ছত্রাক ফুসারিয়াম গ্রামিনিয়ারাম নিয়ে শুরু হলো উদ্বেগ। এটি করোনা প্রথম শনাক্ত হওয়া চীন থেকে আমেরিকায় পাচার করা হয়েছে! মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজ বলছে, চীন বিষয়ক মার্কিন বিশেষজ্ঞ গর্ডন চ্যাং দাবি করছেন, এই ছত্রাকের কারণে কোভিডের চেয়ে ভয়াবহ কিছু অপেক্ষা করছে আমেরিকায়।

প্রায় দুই দশক ধরে চীন ও হংকংয়ে কর্মরত গর্ডন। চায়না ইজ গোয়িং টু ওয়ার বইটির লেখক তিনি। আমেরিকা নিয়ে চীনের গতিবিধির বিষয়ে যথেষ্ট সচেতন এই গর্ডন সম্প্রতি আমেরিকায় দুই চীনা গবেষক গ্রেপ্তার ইস্যুতে নতুন ভয়ঙ্কর পরিণতির আশঙ্কা করছেন। বিষাক্ত ছত্রাক পাচারের দায়ে সম্প্রতি আমেরিকায় গ্রেপ্তার করা হয় চীনের দুজনকে। তাদের কাছ থেকে যে ছত্রাক পাওয়া গেছে, তা চাষের খেতে প্রয়োগ করা হলে বিপুল মাত্রায় ফসলের ক্ষতি হয়।

 বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি একটি বায়োলজিকাল ওয়েপন, যার প্রয়োগে রীতিমতো খাদ্যসংকটের মতো ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করা সম্ভব। জানা যায়, মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক চীনা নাগরিক ইউনকিং জিয়া এবং তাঁর প্রেমিক জুনইয়ং লিউয়ের কাছ পাওয়া যায় এই ছত্রাক। আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, যে ছত্রাক নিয়ে কথা হচ্ছে, তা আসলে বায়োলজিক্যাল প্যাথোজেন। এই ছত্রাকের কারণে গম, বার্লি, ধান, ভুট্টার মতো ফসল নষ্ট হয়ে যায়। একটি দেশকে ভাতে মারার জন্য এই ছত্রাককে অস্ত্র হিসেবে কাজে লাগাতে পারে শত্রু দেশ।

 এ নিয়ে চীন বিষয়ক আমেরিকান বিশেষজ্ঞ গর্ডন চ্যাং ফক্স নিউজকে বলেন, এটি বন্ধ করার একমাত্র উপায় হলো চীনের সঙ্গে সবরকম সম্পর্ক ছিন্ন করা। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হবো। আমরা সত্যিই কঠোরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবো। কেবল কোভিডের জন্য নয়, কেবল ফেন্টানাইলের জন্য নয়। সম্ভবত আরও খারাপ কিছুর জন্য। গর্ডন ওই সাক্ষাৎকারে আরও উল্লেখ করেন, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সর্বদা যুদ্ধে যাওয়ার কথা ভাবেন। তিনি সমস্ত চীনা নাগরিক সমাজকে যুদ্ধে যাওয়ার জন্য একত্রিত করেন। গর্ডনের ভাষ্যমতে, আমাদের দেশের (আমেরিকা) ক্ষতি হতে পারে। আমরা অনেক শক্তিশালী রাষ্ট্র হলেও সম্ভবত প্রয়োজনীয় শক্তি এবং দৃঢ় সংকল্পের সঙ্গে নিজেদেরকে রক্ষা করছি না।


আরও খবর



আমরা দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত : ইরান

প্রকাশিত:রবিবার ১৫ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

একজন জ্যেষ্ঠ ইরানি নিরাপত্তা কর্মকর্তা কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে বলেছেন, তেহরান দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করছে এবং ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আক্রমণ আরও তীব্র করা হবে।

রবিবার (১৫ জুন) নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা বলেন, ইরান যুদ্ধ শুরু না করলেও এর সমাপ্তি নির্ধারণ করবে। এই সংঘাত নেতানিয়াহুর সংঘাত এবং এর ফলাফল হবে ইসরায়েলি শাসনের ধ্বংস।

ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ইরান তার জনগণকে রক্ষা করছে। নেতানিয়াহুর উচ্চাকাঙ্ক্ষার জন্য আমেরিকান করদাতা নাগরিকদের অর্থ নষ্ট করা হবে কি না সেজন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

এদিকে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইসরায়েলে বড় পরিসরে হামলা শুরু করবে—এমন খবর প্রচারের কিছুক্ষণের মধ্যেই শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে জায়নবাদী ইসরায়েল ভূখণ্ডে হামলা শুরু করে ইরান। ইরানের সরকারি সংবাদ সংস্থা ইরনা জানিয়েছে, দেশটির বাহিনী ইসরায়েলি শহরগুলোকে লক্ষ্য করে ড্রোনসহ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে একটি হাইব্রিড আক্রমণ চালাচ্ছে।


আরও খবর



উড্ডয়নের পরপরই ফ্লাইটের ইঞ্জিনে আগুন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট জরুরি অবতরণ করেছে। প্লেনটিতে ২৯০ জন যাত্রী ছিলেন।

শাহজালাল বিমানবন্দর সূত্র জানায়, মঙ্গলবার (২০ মে) সকাল ৭টায় তার্কিশ এয়ারলাইন্সের টিকে ৭১৩ ফ্লাইটটি (এয়ারবাস এ৩৩০-৩০৩) শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ২৯০ জন যাত্রী নিয়ে তুরস্কের ইস্তাম্বুলের উদ্দেশে রওনা দেয়। উড্ডয়নের ১৫ মিনিটের মাথায় পাইলট একটি ইঞ্জিনে (দুটি ইঞ্জিন থাকে) স্পার্ক দেখতে পান। পাইলট প্লেনটি দ্রুত অবতরণের সিদ্ধান্ত নেন। এ অবস্থায় প্রায় দেড় ঘণ্টা আকাশে চক্কর দিয়ে তেল পুড়িয়ে সোয়া ৮টায় জরুরি অবতরণ করে ফ্লাইটটি।

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এসএম রাগীব সামাদ বলেন, কী করণে আগুন লেগেছে, তা তারা খতিয়ে দেখছেন।

ফ্লাইটটি নিরাপদে অবতরণের পর যাত্রীদের প্লেন থেকে নামানো হয়েছে। এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ তাদের হোটেলে নিয়ে যাচ্ছে। পরবর্তী সময় বিকল্প ফ্লাইটে যাত্রীদের গন্তব্যে নেওয়া হবে।


আরও খবর

৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫