Logo
শিরোনাম

নওগাঁয় প্রথম স্ত্রীর মৃতদেহ হাসপাতালে রেখে আত্মগোপনে স্বামী, দ্বিতীয় স্ত্রী গ্রেফতার

প্রকাশিত:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় বড় স্ত্রী সূচনা আক্তার কে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করার অভিযোগ এনে সাংবাদিক স্বামী ও সতিনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সাংবাদিকের প্রথম স্ত্রী সূচনা আক্তার এর ভাই আরিফ হোসেন বাদী হয়ে গত রবিবার ৩০জুন রাতে নওগাঁর মান্দা থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় পরই রাতেই অভিযান চালিয়ে সাংবাদিক এম এ রাজ্জাকের ছোট স্ত্রী ফারজানা আক্তার (৩০) কে গ্রেফতার করেন থানা পুলিশ। সোমবার বিকেলে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে তাকে নওগাঁ জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সাংবাদিক এম এ রাজ্জাক নওগাঁর মান্দা উপজেলার পরানপুর ইউনিয়ন এর দক্ষিণ পরানপুর গ্রামের রিয়াজ উদ্দিন সরদারের ছেলে। তিনি ঢাকা থেকে প্রকাশিত একটি দৈনিক পত্রিকায় নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত। প্রায় ১৫ বছর আগে রাজধানী ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট এলাকার বাসিন্দা সূচনা আক্তারকে বিয়ে করেন সাংবাদিক এম এ রাজ্জাক। স্ত্রীর সঙ্গে ৪ বছর সংসার করেন। প্রথম পক্ষের একটি মেয়ে ও একটি ছেলে দুটি সন্তান আছে। 

নিহত সূচনা আক্তারের বড় বোন রেহেনা আক্তার বলেন, ৪ বছর সংসার করার পর বনিবনা না হওয়ায় বোন সূচনা আক্তারকে রেখে ছেলে-মেয়েকে নিয়ে অভিযুক্ত রাজ্জাক নিজ গ্রামে চলে আসেন। পরবর্তীতে ফারজানা আক্তার নামে আরেক নারীকে বিয়ে করেন রাজ্জাক। গর্ভের সন্তানদের দেখার জন্য আমার বোন সূচনা আক্তার মাঝে মধ্যে রাজ্জাকের বাড়ি আসত। ঈদ উপলক্ষে গত ২২ জুন সূচনা আবারও রাজ্জাকের বাড়ি আসেন। এখানে অবস্থানকালে ২৬ জুন কেনাকাটার জন্য সূচনা স্বামী রাজ্জাককে সঙ্গে নিয়ে স্থানীয় গোপালপুর বাজারে যায়। এ নিয়ে সতিন ফারজানার সঙ্গে সূচনার হাতাহাতি হয়। পরবর্তীতে সতিন ফারজানা ও স্বামী রাজ্জাকের নির্যাতন সইতে না পেরে বোন সূচনা আত্মহত্যা করে। মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাম্মেল হক কাজী বলেন, নিহত সূচনা আক্তারের মৃতদেহ ময়না তদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় স্বামী রাজ্জাক ও সতিন ফারজানার বিরুদ্ধে মামলা করেন নিহতের ভাই আরিফ হোসেন। মামলার পর সতিন ফারাজানাকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাতে এক সঙ্গে ৪০টি প্যারাসিটামল ট্যাবলেট সেবন করেন সূচনা আক্তার। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার সকালে তিনি মারা যান। এরপর স্ত্রী সূচনা আক্তারের মৃতদেহ হাসপাতালে ফেলে রেখেই আত্মগোপনে চলে যান সাংবাদিক এম এ রাজ্জাক।


আরও খবর



ভেনিসে প্রবাস জীবন ও পরকালীন উন্নতি শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:সোমবার ০২ জুন 2০২5 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

পলাশ রহমান :

ইতালির ঐতিহ্যবাহী শহর ভেনিসে অনুষ্ঠিত হয়েছে “মর্যাদাপূর্ণ প্রবাস জীবন ও পরকালীন উন্নতি” শীর্ষক একটি ব্যতিক্রমধর্মী সেমিনার। শনিবার মাদরাসাতুল ইত্তিহাদ মিলনায়তনে শতাধিক বাংলাদেশি প্রবাসীর অংশগ্রহণে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে দেশপ্রেম, সামাজিক দায়িত্ববোধ ও নৈতিক জীবনযাপনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন বক্তারা।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক ও সমাজ বিশ্লেষক ইমতিয়াজ আহমদ সজল। তিনি বলেন, “একজন প্রবাসী শুধু তার মাতৃভূমির জন্য কাজ করেন না, বরং যে দেশে থাকেন, তার প্রতিও রয়েছে দায়বদ্ধতা। প্রবাসীরা দেশের অর্থনীতির জন্য যেমন অক্সিজেন, একই ভাবে তারা রাজনৈতিক ও সামাজিক সংকটেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন।”


তিনি জুলাই অভ্যুত্থান ইস্যুতে ইতালি প্রবাসীদের সক্রিয় ভূমিকার প্রশংসা করে বলেন, “বিভিন্ন দেশে সমাবেশ, বিক্ষোভ ও আন্তর্জাতিক জনমত গঠনে প্রবাসীরা বিশাল ভূমিকা রেখেছেন। এখন সময় এসেছে কল্যাণ রাষ্ট্র গঠনের চিন্তা বাস্তবায়ন করার। প্রবাসীদের চিন্তা ও অভিজ্ঞতা কল্যাণ রাষ্ট্র গঠনে বড় শক্তি হতে পারে।”


সেমিনারের সভাপতি মাওলানা আরিফ মাহমুদ বলেন, “শুধু অর্থ উপার্জনের জন্য প্রবাসে অবস্থান করা সঠিক নয়। একজন মুসলিম হিসেবে পরকালীন মুক্তির চিন্তা করতে হবে। নিজের জীবনকে পরিশুদ্ধ রাখতে হবে। ইসলামে 'হারাম' কাজ থেকে দুরে থাকতে হবে। মদ, জুয়া, সুদ ইত্যাদি থেকে বিরত থাকতে হবে।”


তিনি বলেন, “সুদভিত্তিক অর্থব্যবস্থা মানুষকে প্রতারণামূলক সহজ লোনের মাধ্যমে ফাঁদে ফেলে। এতে মানুষ আত্মিকভাবে ধ্বংস হয়ে যায়। গবেষণায় দেখা গেছে, মানুষের বিভিন্ন জটিল রোগের মধ্যে অন্তত ৫ শতাংশের পেছনে মদ দায়ী। এটি আত্মমর্যাদা নষ্ট করে, সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে, সড়ক দুর্ঘটনার হার ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়ে দেয় এবং পরিবার ভেঙে দেয়।”


তিনি আরো বলেন, “একটি পাখি তার বাচ্চার মুখে ভালো খাবার তুলে দিতে দূর দূরান্তে উড়ে যায়, অথচ অনেক বাবা-মা হালাল-হারামের তোয়াক্কা না করে বাজার থেকে যা-তা কিনে সন্তানের মুখে তুলে দেন। এটি একজন মুসলিম অভিভাবকের জন্য খুবই দায়িত্বহীন আচরণ। পরকালীন ধ্বংশের পথ”


সেমিনারে স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিষয়ে আলোচনা করেন ডাক্তার সাজ্জাদ তিশাদ। তিনি বলেন, “ইতালিতে শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় আইন থাকলেও অনেক সময় তা মানা হয় না। শ্রমিকরা প্রয়োজনীয় সেফটি সরঞ্জাম ব্যবহার না করে ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেন, আবার মালিক পক্ষেরও রয়েছে অবহেলা। কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনার শিকার হলেও অনেকে যথাযথভাবে হাসপাতালে যান না বা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ করেন না। ফলে পরবর্তীতে তাদের জীবন আরও দুর্বিষহ হয়ে ওঠে।”


তরুণ গবেষক আবদুল্লাহ সম্রাট বলেন, “ইতালিয় শিক্ষা ব্যবস্থায় কয়েকটি ধাপ রয়েছে, যা জানা প্রতিটি অভিবাসী অভিভাবকের জন্য জরুরি। সন্তানের স্কুলের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা, শিক্ষকের পরামর্শ নেওয়া এবং নৈতিক শিক্ষার প্রতি মনোযোগী হওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন। কারণ, এই সময়ের শিক্ষা ব্যবস্থা নৈতিকতার চেয়ে টেকনিক্যাল দক্ষতায় বেশি গুরুত্ব দেয়। সুতরাং পরিবার থেকেই সন্তানকে নৈতিক শিক্ষায় গড়ে তুলতে হবে।”


তিনি বলেন, “আজকের অনেক বাবা-মা সন্তানদের নৈতিক ভবিষ্যৎ গড়ার বিষয়ে উদাসীন, যা তাদের অন্ধকারে ঠেলে দেয়। একজন অভিভাবকের উচিত সন্তানের চরিত্র গঠনে সক্রিয় ভূমিকা রাখা।”


ইতালির নাগরিক সেবা ও কমার্শিয়াল অ্যাসিস্টেন্ট কামরুল হাসান বলেন, “পৃথিবীর সব সম্পর্কেই দেওয়া-নেওয়ার বিষয় রয়েছে। অভিবাসীরা শ্রম দেন, ট্যাক্স দেন, বিনিময়ে রাষ্ট্র তাদের সুরক্ষা ও সুযোগ দেয়। এজন্য রাষ্ট্র ও অভিবাসীদের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও বোঝাপড়া থাকা জরুরি।”


তিনি বলেন, “যদি কেউ ব্যবসায়ী হতে চান, তাহলে সাধারণ ব্যবসায়ী নয়, বরং এক্সপার্টদের কাছ থেকে পরামর্শ নিতে হবে। আইন-কানুন সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে। 


কামরুল বলেন, ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, মুসলিম অভিবাসীরা কোথাও সমাজ বা রাষ্ট্রের জন্য বোঝা হয়নি। বরং স্পেনে মুসলিম আগমনের পরই ইউরোপ জ্ঞানের আলোয় উদ্ভাসিত হয়।”


তিনি আরো বলেন, “প্রত্যেক মুসলিম প্রবাসীর উচিত নিজেকে সব সময় আপডেট রাখা, সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দক্ষতা অর্জন করা এবং নৈতিকতা থেকে বিচ্যুত না হওয়া।”


অনুষ্ঠানের আয়োজকরা জানান, প্রবাসীদের জীবন মান, নৈতিকতা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে নিয়মিত এমন অনুষ্ঠান আয়োজন অব্যাহত থাকবে।


আরও খবর



৯ দিনে ২৭ জন করোনায় আক্রান্ত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও কয়েক হাজার রোগী আক্রান্ত হয়েছে। বাংলাদেশেও সম্প্রতি পাওয়া যাচ্ছে করোনা আক্রান্ত রোগী। স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যমতে, চলতি মাসের প্রথম ৯ দিনে ২৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে মারা গেছেন ১ জন। তবে বিশেষজ্ঞরা এখনই আতঙ্কিত না হয়ে জরুরি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন।

সোমবার (৯ জুন) রাতে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, আবহাওয়ার কারণে মানুষ জ্বর, সর্দি, কাশিসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। একইসঙ্গে করোনা ভাইরাসের ভ্যারিয়েন্ট পরিবর্তিত হয়েছে, যার ফলে মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে। তবে আগের মতো উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। সাধারণ স্বাস্থ্যবিধি যেমন- হাত ধোয়া, মাস্ক পড়া, জনসমাগম এড়িয়ে চলা, এগুলো মেনে চললে করোনা থেকে সুরক্ষা থাকা সম্ভব।

তিনি বলেন, করোনার সঙ্গে ডেঙ্গু নিয়েও সচেতন হতে হবে। একসঙ্গে দুটি ভাইরাসে আক্রান্তদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে। সুতরাং, আমাদের প্রতিরোধের জন্য সবসময় প্রস্তুত থাকতে হবে। লক্ষণ দেখা দিলে করোনা পরীক্ষা করাতে হবে। যাদের অন্যান্য রোগ আছে, তারা করোনা আক্রান্ত হলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। বিশেষ করে বয়স্ক যারা তাদের প্রতি বিশেষ দৃষ্টি রাখতে হবে। যাদের উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিসসহ অন্যান্য জটিল রোগ আছে, তারা আক্রান্ত হলে জটিলতা তৈরি করতে পারে। এজন্য এখনই সচেতন হতে হবে।

গত দুই সপ্তাহ ধরে দেশে নতুন করে করোনা শনাক্তের খবর পাওয়া গেছে। সোমবার স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় পাঁচ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে। এর আগের দিন চার জনের নমুনা পরীক্ষায় তিন জনের শরীরে করোনা ভাইরাস পাওয়া যায়। অর্থাৎ দিনের ব্যবধানে শনাক্ত বেড়েছে প্রায় ৬৭ শতাংশ। স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ছয় জন।

এদিকে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় জনসমাগমপূর্ণ এলাকায় মাস্ক ব্যবহারে সবাইকে অনুরোধ জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

প্রসঙ্গত, গত ৪ জুন করোনায় আক্রান্ত হয়ে রাজধানীতে একজনের মৃত্যু হয়। স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, করোনায় মারা যাওয়া ওই ব্যক্তি পুরুষ। তিনি ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

গত ৪ জুন এক বিজ্ঞপ্তিতে তারা জানায়, সম্প্রতি পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন দেশে করোনা ভাইরাসের নতুন সাব ভ্যারিয়েন্ট বিশেষ করে অমিক্রনে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের মাধ্যমে বাংলাদেশে এর সংক্রমণ প্রতিরোধে ভারত ও অন্যান্য সংক্রামক দেশ এবং বাংলাদেশ হতে ভারত এবং অন্যান্য সংক্রামক দেশে ভ্রমণরত নাগরিকদের জন্য দেশের সব স্থল, নৌ ও বিমান বন্দরের আইএইচআর ডেস্কগুলোতে সার্ভেল্যান্স জোরদার এবং রিস্ক কমুনিকেশন কার্যক্রম জোরদার করতে সচেতনতামূলক এবং ভ্রমণ সংক্রান্ত পরামর্শ দেওয়া হয়৷

সংক্রমণ প্রতিরোধে নির্দেশনায় বলা হয়, বারবার প্রয়োজন মতো সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে (অন্তত ২০ সেকেন্ড), নাক-মুখ ঢাকার জন্য মাস্ক ব্যবহার করতে হবে, আক্রান্ত ব্যক্তি হতে কমপক্ষে ৩ ফুট দূরে থাকতে হবে, অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ করা যাবে না, হাঁচি-কাশির সময় বাহু, টিস্যু ও কাপড় দিয়ে নাক মুখ ঢেকে রাখতে হবে।

দেশে আসা-যাওয়ার ক্ষেত্রেও বেশ কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়। এরমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থল, নৌ ও বিমান বন্দরগুলোতে আইএইচআর (আইএইচআর ২০০৫) স্বাস্থ্য ডেস্কগুলোতে সতর্ক থাকা, হেলথ স্ক্রিনিং এবং সার্ভেল্যান্স জোরদার করা, দেশের পয়েন্টস অব এন্ট্রিগুলোতে থার্মাল স্কান্যার বা ডিজিটাল হেন্ড হেল্ড থার্মোমিটারের মাধ্যমে নন টাচ টেকনিকে তাপমাত্রা নির্ণয় করা, চিকিৎসা কাজে স্বাস্থ্যকর্মীদের ব্যবহারের জন্য পর্যাপ্ত পরিমান মাস্ক, গ্লোভস এবং রোগ প্রতিরোধী পোশাক মজুত রাখা।

জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত ভারত ও অন্যান্য আক্রান্ত দেশগুলোতে ভ্রমণ করা থেকে বিরত থাকার পরামর্শও দেওয়া হয়৷

সন্দেহজনক রোগীদের ক্ষেত্রে বলা হয়— অসুস্থ হলে ঘরে থাকুন, মারাত্মক অসুস্থ হলে নিকটস্থ হাসপাতালে যোগাযোগ করুন।

রোগীর নাক-মুখ ঢাকার জন্য মাস্ক ব্যবহার করতে বলুন। প্রয়োজন হলে আইইডিসিআর-এর হটলাইন নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে (০১৪০১-১৯৬২৯৩)। এরই ধারাবাহিকতায় ইতোমধ্যে রেল, মেট্রোরেলে মাস্ক ছাড়া যাতায়াত না করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তিতে দেওয়া হয়েছে।


আরও খবর



ঈদের আগেই আসছে নতুন নোট

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৩ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

পবিত্র ঈদুল আজহার আগেই বাজারে আসছে নতুন নকশার টাকা। নতুন নকশার ২০, ৫০ ও ১০০০ টাকার নোট ছাড়া হবে। এসব নোটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি থাকছে না। এতে জুলাই অভ্যুত্থানের গ্রাফিতির পাশাপাশি আগের নকশাও ফিরে আসছে।নতুন নকশার এই তিন ধরনের নোটের ছাপা চলছে গাজীপুরের দ্য সিকিউরিটি প্রিন্টিং করপোরেশন (বাংলাদেশ) লিমিটেড বা টাঁকশালে।

বাংলাদেশ ব্যাংক ও টাঁকশালের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০ টাকার নোটের ছাপা প্রায় সম্পন্ন। আগামী সপ্তাহে তা বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে হস্তান্তর করবে টাঁকশাল কর্তৃপক্ষ। পরের সপ্তাহে ৫০ ও ১০০০ টাকার নোট বাংলাদেশ ব্যাংককে বুঝিয়ে দেবে টাঁকশাল। এরপর কেন্দ্রীয় ব্যাংক সিদ্ধান্ত নেবে এই টাকা কবে বাজারে ছাড়বে। প্রথমে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিস ও অন্যান্য শাখা এবং পরে ব্যাংকগুলোকে এই টাকা দেওয়া হবে। ঈদের ছুটি শুরুর আগে সীমিতসংখ্যক নোট ছাড়া হতে পারে। কারণ, নতুন টাকার যে চাহিদা, তার তুলনায় ছাপা হচ্ছে কম।

টাঁকশালের কর্মকর্তারা জানান, নতুন নকশার নোট ছাপাতে এক থেকে দেড় বছর সময় লাগে। গত বছরের আগস্টে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। গত ডিসেম্বরে নতুন নকশার নোট বাজারে আনার সিদ্ধান্ত হয়। তারই ধারাবাহিকতায় চলতি মাসে নতুন নকশার নোট ছাপানো শুরু করে। তবে একসঙ্গে তিনটি নোটের বেশি ছাপানোর সক্ষমতা নেই টাঁকশালের। তাই প্রথম ধাপে ২০, ৫০ ও ১০০০ টাকার নোট ছাপানো হচ্ছে।


আরও খবর



ব্যাংকে গড়াচ্ছে সঞ্চয়পত্রের টাকা

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে গেল অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র থেকে এক প্রকার মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল মানুষ। ফলে পুরো অর্থবছরে বিক্রির চেয়ে সঞ্চয়পত্র ভাঙানোর প্রবণতা ছিল বেশি। তবে চলতি অর্থবছরে এ খাতে বিনিয়োগে উল্টোচিত্র দেখা যাচ্ছে। সর্বশেষ আগস্ট মাসে সঞ্চয়পত্রে নিট বিনিয়োগ হয়েছে ২ হাজার কোটি টাকারও বেশি। আগের মাস জুলাইতে নিট বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল আরও বেশি, প্রায় ২ হাজার ২০০ কোটি টাকা। সব মিলে দুই মাসে নিট বিনিয়োগ ৪ হাজার ২০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।

তবে একই সময়ে ব্যাংক খাতে আমানতের প্রবৃদ্ধি নিম্নমুখী হয়ে পড়েছে। চলতি অর্থবছরের দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) ব্যাংকগুলোয় আমানত কমেছে প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা। এর প্রভাবে আগস্ট শেষে বার্ষিক আমানতের বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশে নেমে এসেছে, যা গত দেড় বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আস্থা সংকটে দুর্বল ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে এখনো আমানত তুলে নেওয়ার প্রবণতা অব্যহত আছে। সেই আমানতের একটা অংশ সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ হিসেবে আসছে। আবার সঞ্চয়পত্র ভাঙানোর প্রবণতাও কমেছে। সব মিলে সঞ্চয়পত্রে নিট বিনিয়োগে আশার আলো দেখা যাচ্ছে। উল্লেখ্য, সঞ্চয়পত্রের নিট বিনিয়োগ সরকারের ঋণ হিসেবে গণ্য হয়। এটা বাজেট ঘাটতি অর্থায়নে ব্যবহার করে সরকার। নিম্ন মধ্যবিত্ত, সীমিত আয়ের মানুষ, মহিলা, প্রতিবন্ধী ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য সঞ্চয়পত্রের বিভিন্ন প্রকল্প চালু রয়েছে। সামাজিক সুরক্ষার কথা বিবেচনায় নিয়ে সঞ্চয়পত্রে তুলনামূলক বেশি মুনাফা (সুদ) দেয় সরকার। বর্তমানে পেনশনার সঞ্চয়পত্রে সুদের হার ১১ দশমিক ৭৬ শতাংশ।

এ ছাড়া পরিবার সঞ্চয়পত্রে সুদের হার ১১ দশমিক ৫২ শতাংশ, পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রে সুদ ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ ও তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রে সুদের হার ১১ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। অনদিকে বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়ার পর ব্যাংককে ঋণের সুদহারের পাশাপাশি আমানতের সুদহার বেশ বেড়েছে। বর্তমানে কোনো কোনো ব্যাংকে আমানতের সুদের হার ১২ শতাংশ ছাড়িয়েছে। তার পরও ব্যাংক খাতে আমানতের প্রবৃদ্ধি কমে যাচ্ছে। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিভিন্ন আর্থিক অনিয়মের কারণে আগে থেকেই ব্যাংক খাতের ওপর মানুষের আস্থার ঘাটতি তৈরি হয়েছিল। এর সঙ্গে যুক্ত হয় জুলাই মাসের অস্থিরতা। এ সময় পাঁচ দিনের ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট, তিন দিন ব্যাংক বন্ধ থাকা এবং দেশজুড়ে অস্থিরতার কারণে ব্যাংকিং কার্যক্রমে এক প্রকার মন্দা নেমে আসে। এর মধ্যেই এস আলমের নিয়ন্ত্রণাধীন থাকা অবস্থায় বিভিন্ন আর্থিক অনিয়মের সংকটে পড়া ব্যাংকগুলো পুনর্গঠন করার পর ওইসব ব্যাংক থেকে আমানত তোলার বাড়তি চাপ তৈরি হয়েছে। এই আমানতের একটা অংশ সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ হিসেবে আসছে।

এদিকে ব্যাংকে আমানতের সুদ বাড়ায় সঞ্চয়পত্রের সুদহারও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ ছাড়া এখন থেকে সঞ্চয়পত্রের মেয়াদপূর্তির দিনই মুনাফাসহ আসল টাকা গ্রাহকের ব্যাংক হিসাবে জমা করার নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। একই সঙ্গে ওয়েজ আর্নার্স ডেভেলপমেন্ট বন্ড, ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ড, ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ডসহ সঞ্চয় অধিদপ্তর পরিচালিত ১১টি সঞ্চয় স্কিমের বিনিয়োগগুলো মেয়াদ শেষে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পুনঃবিনিয়োগ হিসেবে গণ্য হবে। এসব পদক্ষেপের ফলে আগামীতে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ বাড়ার আশা করা হচ্ছে।

সঞ্চয়পত্রের নিট বিনিয়োগ ইতিবাচক : এবার সঞ্চয়পত্র বিক্রি থেকে মাত্র ১৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকার নিট ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। প্রাপ্ত তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) মোট সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে ৯ হাজার ২৪ কোটি টাকা। একই সময়ে আগের কেনা সঞ্চয়পত্র ভাঙানো বাবদ আসল পরিশোধ হয়েছে ৪ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। ফলে নিট বিনিয়োগ দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ২২৩ কোটি টাকা। অন্যদিকে গত অর্থবছরের সঞ্চয়পত্র বিক্রি থেকে নিট ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ১৮ হাজার কোটি টাকা। তবে বিক্রি ধারাবাহিক কমতে থাকায় সংশোধিত বাজেটে এই লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে ৭ হাজার ৩১০ কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়। কিন্তু এই লক্ষ্যমাত্রাও পূরণ হয়নি। উল্টো পুরো অর্থবছরে নিট বিনিয়োগ ঋণাত্মক হয়েছিল প্রায় ২১ হাজার ১২৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে অর্থবছরের প্রথম দুই প্রায় ১ হাজার ১১৭ কোটি টাকার নিট বিনিয়োগ ঋণাত্মক হয়েছিল। আর অর্থবছরের শেষ দুই মাসে নিট বিনিয়োগ ঋণাত্মকের পরিমাণ ছিল আরও বেশি, প্রায় ৬ হাজার ৪৭৫ কোটি টাকা।

জানা যায়, সঞ্চয়পত্র বিনিয়োগে ২০১৯ সালের ১ জুলাই থেকে এনআইডি ও টিআইএন জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়। ফলে যারা আগে সঞ্চয়পত্র কিনেছিলেন, তাদের অনেকেই মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে নতুন করে আর এতে বিনিয়োগ করেননি। আবার বর্তমানে ৫ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগের ওপর অর্জিত সুদের বিপরীতে ১০ শতাংশ কর দিতে হয়। এ ছাড়া বিনিয়োগের পরিমাণের ওপর ভিত্তি করে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর থেকে সঞ্চয়পত্রের সুদের হারের নানা স্তর চালু করা হয়। এসব কড়াকড়ির পাশাপাশি উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে গত অর্থবছরে সঞ্চয়পত্রের নিট বিনিয়োগ বড় প্রভাব পড়েছিল।

ব্যাংকে আমাতের প্রবৃদ্ধি নিম্নমুখী : বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, সর্বশেষ গত আগস্ট মাস শেষে ব্যাংক খাতে আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৩১ হাজার ২৬০ কোটি টাকা, যা গত জুনে ছিল ১৭ লাখ ২০ হাজার ২৯৬ কোটি টাকা। ফলে দুই মাসের ব্যবধানে আমানত কমেছে প্রায় ১০ হাজার ৯৬৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে আগস্ট মাসে কমে ২ হাজার ৭৬৬ কোটি টাকা। আর জুলাই মাসে কমে ৮ হাজার ১৯৮ কোটি টাকা। এর ফলে বার্ষিক আমানতের প্রবৃদ্ধি আরও নিম্নমুখী হয়ে পড়েছে। গত আগস্টে বার্ষিক আমানতের প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাত্র ৭ দশমিক ০২ শতাংশ, যা গত ১৮ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর চেয়ে কম প্রবৃদ্ধি হয়েছিল গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ৬ দশমিক ৮৬ শতাংশ। অথচ কয়েক মাস আগে এ খাতে আমানতের প্রবৃদ্ধি ১১ শতাংশের ওপরে ছিল।

গত বছরের ডিসেম্বরে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ১১ দশমিক ০৪ শতাংশ। এর আগে দেশে করোনার আঘাত আসার মধ্যেও আমানতের প্রবৃদ্ধি বাড়তে বাড়তে ২০২১ সালের মে মাসে সর্বোচ্চ ১৪ দশনিক ৪৭ শতাংশে উঠেছিল। কিন্তু তারপর থেকে টানা কমতে থাকে আমানতের প্রবৃদ্ধি। গত বছরের ডিসেম্বরে আমানতের বার্ষিক প্রবৃদ্ধি নেমে আসে মাত্র ৫ দশমিক ৬৬ শতাংশে, যা ছিল ইতিহাসে এযাবৎকালের সর্বনিম্ন প্রবৃদ্ধি। এ ছাড়া গত কয়েক মাস ধরে মানুষের হাতে নগদ অর্থ ধরে রাখার প্রবণতাও লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আলোচ্য দুই মাসে ব্যাংকের বাইরে মানুষের হাতে নগদ টাকা বেড়েছে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা।


আরও খবর



আপনাদের সঙ্গে কখনো হাত মেলাব না’ কেন বললেন তামিম

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

ফারুক আহমেদকে বিসিবি সভাপতির পদ থেকে অপসারণের পর ফের সামনে চন্ডিকা হাথুরুসিংহের বরখাস্ত-প্রসঙ্গ। ২০২৩ ভারত বিশ্বকাপ চলাকালীন বাংলাদেশ দলের তখনকার কোচ হাথুরুসিংহে ক্রিকেটার নাসুম আহমেদের গায়ে হাত তুলেছিলেন, এমন খবর মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে।

তখনকার বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের নেতৃত্বাধীন বোর্ড এ নিয়ে তদন্ত কমিটিও গঠন করে। যদিও সেই কমিটির রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসেনি।

ফারুক আহমেদ বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব নিয়েই বরখাস্ত করেছিলেন হাথুরুসিংহেকে। যা নিয়ে হাথুরুর মনেও ক্ষোভ আছে। এরই মধ্যে একটি গণমাধ্যমে তদন্ত কমিটির গোপন তথ্য ফাঁস হয়েছে। যেখানে বলা হচ্ছে, জাতীয় দলের অভ্যন্তরে ঘটে যাওয়া ঘটনাটি মিডিয়ায় ফাঁস করেছেন তামিম ইকবাল।

সম্প্রতি ফাঁস হওয়া তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে যে, তামিম ইকবালের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়ানোর পেছনে প্রভাব ছিল হাথুরুসিংহের। ওই দ্বন্দ্বের কারণেই তামিম হাথুরুর ঘটনা জনসম্মুখে নিয়ে আসেন।

এই যখন আলোচনা। তখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মুখ খুললেন তামিম ইকবাল। ফেসবুকে রহস্যময় এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘আমি আপনাদের সঙ্গে কখনো হাত মেলাব না!

যারা আমার পিছু নিয়েছেন, আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছেন আমাকে হাত করার জন্য, সেই মানুষগুলোকে বলছি, আমি কখনও আপনাদের সঙ্গে হাত মেলাব না।

গুঞ্জন আছে, বিসিবি সভাপতি পদে নির্বাচন করতে পারেন তামিম ইকবাল। বোর্ড সভাপতি হওয়ার জন্য তিনি দৌড়ঝাঁপ করছেন। তবে তামিম জানালেন, প্রয়োজনে তিনি বোর্ডে আসার ইচ্ছে ত্যাগ করবেন। তবু ওই ব্যক্তিদের সঙ্গে (আপোস করে) তিনি হাত মেলাবেন না।

তামিম লিখেছেন, ‘আমি যদি কখনো ক্রিকেট প্রশাসনে আসি, সঠিক পথ ধরেই আসব এবং শুধুমাত্র ক্রিকেটের ভালোর জন্য আসব। প্রয়োজন হলে কখনো ক্রিকেট বোর্ডে আসব না, তবুও আপনাদের সঙ্গে হাত মেলাব না।

কোনো এক রহস্যময় ব্যক্তির নাম না উল্লেখ করে তামিম আরও লিখেছেন, ‘যারা আমার ভক্ত-সমর্থক ও বাংলাদেশ ক্রিকেটের অনুসারী, তাদের জন্য বলছি, কোনো একজন ব্যক্তির নিজস্ব ধারণা আর তদন্তে রিপোর্টে অভিযুক্ত হওয়া, দুটির মধ্যে ব্যবধান আকাশ-পাতাল। একজন ব্যক্তি তার ব্যক্তিগত ধারণার কথা বলেছেন তদন্ত কমিটিতে। সেটা তার ব্যাপার। সেই ব্যক্তি আগেও একটি টিভি চ্যানেলে আমার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করেছেন, নানা সময়ে নানা কিছু বলেছেন। আমি কখনো প্রকাশ্যে তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করিনি। শুধু এটুকু বলছি, তদন্ত কমিটির রিপোর্টে কোনো অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে করা হয়নি এবং তথ্য ফাঁস করা সংক্রান্ত কোনো কিছু তারা আমাকে জিজ্ঞাসাও করেননি। আমি তো তখন দলেই ছিলাম না! তদন্ত কমিটির কাছেও একইরকম মনে হলে নিশ্চয়ই তারা একবার হলেও সেই প্রসঙ্গ তুলতেন বা আমাকে জিজ্ঞাসা করতেন!

‘কোনো এক ব্যক্তির নিজস্ব ধারণা আর তদন্ত কমিটির অভিযোগের মধ্যে যে বিশাল ব্যবধান আছে, আশা করি সবাই বুঝতে পারবেন।

এই ব্যাপারটিকে যারা ভিন্নভাবে উপস্থাপন করছেন অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে, তাদেরকে আবারো বলছি, আমাকে কোনোভাবেই আপনাদের কাতারে পাবেন না। আমি হাত মেলাব না।’

তামিমের নাম না বলা সেই রহস্যময় ব্যক্তিটি কে, যার বিরুদ্ধে তামিম কখনও অভিযোগ করেননি। কিন্তু তামিমের বিরুদ্ধে সেই ব্যক্তি করেছেন। তা নিয়ে কানাঘুষা চলছে ক্রিকেটাঙ্গনে।


আরও খবর