Logo
শিরোনাম

‘গরুর মাংস’ বিতর্কে অভিনেত্রীকে বয়কটের ডাক

প্রকাশিত:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

বিনোদন ডেস্ক:

বাংলাদেশের একটি রান্নার শোতে এসে গরুর মাংস রান্না শিখে বিপাকে ভারতের নির্মাতা ও অভিনেত্রী সুদীপা চট্টোপাধ্যায়। 



এই মুহূর্তে সামাজিকমাধ্যমে ভাইরাল রান্নার শোয়ের একটি ভিডিও। সামাজিকমাধ্যমে তাকে নিয়ে আলোচনা চলছে। তীব্র কটাক্ষের মুখে পড়েছেন তিনি। এমনকি ‘জ্যান্ত পুড়িয়ে মারা’র হুমকিও শুনতে হচ্ছে তাকে। 



বিতর্কের মুখে পড়ে গোমাংস রান্না নিয়ে ক্ষমাও চেয়েছেন সুদীপা। তবে ক্ষমা চাওয়ার পরেও গোমাংসকাণ্ডে তার বিরুদ্ধে উঠেছে বয়কটের ডাক।



বিনোদন জগতের জনপ্রিয় নাম সুদীপা। রান্নাবিষয়ক অনুষ্ঠান ‘জি বাংলা রান্নাঘর’র সঞ্চালনা করে খ্যাতি পেয়েছেন। বাংলাদেশেও আছে তার জনপ্রিয়তা। তাই ঈদ উপলক্ষে একটি রান্নার অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে হাজির ছিলেন তিনি।



অনুষ্ঠানে অভিনেত্রী তারিন জাহানের সঙ্গে দেখা গেছে সুদীপাকে। সেখানে দুজনে মিলে রান্না করেন গরুর মাংসের কোফতা। আর এতেই পশ্চিমবঙ্গের নেটিজেনদের রোষানলে পড়েছেন তিনি। অনবরত হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে তাকে।



 এমনকি তার পাঁচ বছরের ছেলে আদিদেব চ্যাটার্জিকেও অপহরণ করার হুমকি পাচ্ছেন।


এ প্রসঙ্গে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে সুদীপা বলেন, আমাকে টার্গেট করা হচ্ছে বারবার। যারা এটা নিয়ে ট্রল করছেন, তাদের মধ্যে সিংহভাগ মানুষ ভিডিওটা দেখেননি, আমি নিশ্চিত। আমি গরুর মাংস খাওয়া তো দূর অস্ত, রান্নাও করিনি। এমনকি ছুঁইওনি। 



দ্বিতীয়ত, তারিন জাহান নিজে রান্নাটা করেছেন। ভিডিওগুলো এখনও অপরিবর্তিত অবস্থায় রয়েছে। যে কেউ চাইলে দেখে নিতে পারেন। কোথাও দেখতে পাবেন না যে আমি গরুর মাংস স্পর্শ পর্যন্ত করেছি।



ভিডিওতে তারিনকেই মাংস রান্না করতে দেখা গিয়েছে, তবে রান্না শেষে হাতার মাধ্যমে গরুর মাংসের কোফতা পরিবেশনে তারিনকে সাহায্য করেন সুদীপা। আর সেই ভিডিও প্রকাশ হতেই দুই বাংলায় ব্যাপক তোপের মুখে পড়েছেন তারিন ও সুদীপা। 



শিগগিরই মানসী সিনহার সিনেমার শুটিংয়ে কলকাতায় যাবেন তারিন। তাকে সামাজিকমাধ্যমে অনেকেই হুমকি দিচ্ছেন, সেই নিয়েও উদ্বিগ্ন তারিন। এবার মুখ খুললেন তারিনও।


ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজারকে তারিন বলেন, কোন পর্বে কী পদ রান্না হবে তার, চিত্রনাট্য আগে থেকেই ঠিক করা হয়ে যায়। এই রান্নার অনুষ্ঠানকে ঘিরে যত বিতর্ক। আর আমি এই বিতর্কে না চাইতেও জড়িয়ে পড়লাম।



 ঈদের সময় দর্শকের কথা মাথায় রেখে গরুর মাংসের একটি পদ চূড়ান্ত করা হয়েছিল। সে অনুযায়ী আমরা দর্শকদের জন্য ওই রান্না দেখিয়েছিলাম। আমি কিন্তু ওই অনুষ্ঠানে সুদীপাদিকে গরুর মাংস খেতে বলেছি বা আমি গরুর মাংস খাওয়াব বলেছি, এমন নয়। আমরা খাওয়া তো দূর, ছুঁয়েও দেখিনি। ওই অনুষ্ঠানের ভিডিও যে কেউ দেখতে পারেন।


ভাইরাল ভিডিওতে তারিনকে বলতে দেখা যায়, তুমি যেহেতু গেস্ট, আমি হোস্ট হিসেবে তোমাকে রান্না করে খাওয়াব। ইনফ্যাক্ট দর্শকদের রান্না করে দেখাব গরুর মাংসের কোফতা।


তারিন বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বলেন, বকরি ঈদে আমরা গরুর মাংসের পদ রান্না করি। কিন্তু একজন অতিথিকে ঈদের সময় তো বলতে পারব না, আমি তোমাকে খাওয়াব না! তাই ‘খাওয়াব না’ কথাটা বলিনি। আবার ‘গোমাংস খাওয়াব’ও বলিনি।


আরও খবর



হাড় কাঁপানো শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন

প্রকাশিত:শুক্রবার ২০ ডিসেম্বর ২০24 | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

হাড় কাঁপানো শীতে রংপুরে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। তাপমাত্রা উঠানামার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে শীতজনিত রোগ। জবুথবু হয়ে পড়েছে এ অঞ্চলের মানুষ। বিশেষ করে নাজুক পরিস্থিতিতে পড়েছে শিশু ও বৃদ্ধরা। হিমেল বাতাসে কাঁপতে থাকে শীতার্ত মানুষজন। হাড়কাঁপানো শীতে রংপুরের বিপর্যস্ত জনজীবন। দিনমজুর আর খেটে খাওয়া মানুষ পড়েছে চরম বিপাকে। শীতের ঠাণ্ডাকে অপেক্ষা করে পেটের দায়ে ঘর থেকে বের হয়েছে নিজ কর্মে পেশাজীবীরাও।

রংপুরের গঙ্গাচড়া, পীরগাছা, কাউনিয়াসহ বিভিন্ন উপজেলার প্রায় ৩০টি চরাঞ্চলের লক্ষাধিক মানুষজনের দুর্ভোগ বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। শীতবস্ত্র না পেয়ে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করছে। শীতের কুয়াশামাখা সরিষা ফুলের দানা, আবার মাকড়সার জালে বিন্দু বিন্দু কুয়াশাচ্ছল, প্রকৃতিতে ডেকে রাখা সূর্যের আলো আসার অপেক্ষা।

আলতাব হোসেন,মাসুদ রানা, বকুল মিয়াসহ কয়েকজন শ্রমজীবী মানুষ বলেন, উত্তরবঙ্গে শীত এমনিতেই একটু বেশি। এর মধ্যেই রংপুরে এক সপ্তাহ থেকে কুয়াশার মধ্যে দিয়ে দিন পার করছে নিম্নয়ের মানুষ। হিমেল হাওয়া ও কনকনে এই শীতে গ্রামের শিশু ও বৃদ্ধারা অসুস্থ হচ্ছে। শিশুদের দেখা দিচ্ছে নেমোনিয়া। এই শীতের ছিন্নমূল মানুষের দেখা দিয়েছে ঠান্ডা জনিত রোগ । কোথাও থেকে পাচ্ছে না শীতবস্ত্র। তীব্র শীতে মাঠে গিয়ে কাজকর্ম করতে পারছে শ্রমজীবী মানুষ।

কুয়াশাচ্ছন্ন আকাশে দুপুরের পর অল্প সময়ের জন্য সূর্যের দেখা মিললেও তাতে থাকছে না উষ্ণতা। ঠাণ্ডায় শিশু ও বৃদ্ধদের কষ্ট চরমে পৌঁছেছে। ভোর থেকে কুয়াশার কারণে মহাসড়কে বাস-ট্রাকসহ সকল যানবাহনের চালকদের হেড লাইট জ্বালিয়ে সতর্ক থেকে গাড়ি চালাতে দেখা গেছে। রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের সাতমাথা এলাকায় কথা হয় ট্রাক চাল আজিজুল হকের সাথে। তিনি বলেন ঘন কুয়াশায় গাড়ি চালাতে খুব বেগ পেতে হচ্ছে, দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। নগরীর এলাকাগুলো কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে।

রিকশা, ভ্যান, ইজিবাইক চালকরা পড়েছেন বিপাকে। দুপুর পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, তারা স্বাভাবিক দিনের মতো যাত্রী পাচ্ছেন না। রিকশাচালক নাজিম হোসেন বলেন, এতো কুয়াশা যে প্যাডেল মারতে অসুবিধা হচ্ছে। সাথে শির শির বাতাস, যাত্রীও আগের মতো নাই। সন্ধ্যার পর থেকে পরদিন বারোটা পর্যন্ত বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দু পাল্লার বাস গুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে, কেউ আবার শীতের মধ্যে কর্মের সন্ধানে, শীতের দাপটে কেউ আবার ঘরের ভেতরে। অনেকেই আবার একত্রিত হয়ে আগুন তাপানো ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন, এনিয়ে পথযাত্রীরা বললেন, আবহাওয়ায় মিল না থাকায় মানুষের কষ্ট বেশি বাড়বে এবার…।

রংপুর আবহাওয়া অফিসার মোস্তাফিজার রহমান জানান, রংপুরে এবার যথা সময়ে শীত হচ্ছে, সাধারণত ডিসেম্বর জানুয়ারি ফেব্রুয়ারি শীতের তীব্রতা মাঝে মধ্যে থাকবে বলে এমনটাই জানালেন আবহাওয়া অফিসের

এই কর্মকর্তা। তিনি আরো বলেন, শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) রংপুরে ডিসেম্বর মাস থেকে তাপমাত্রা কমতে শুরু করে জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এখন তাপমাত্রা সর্বনিম্ন ১০ থেকে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা থাকার কথা। সেখানে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। দিনের তাপমাত্রা ২৬ থাকার কথা সেখানে ২৮ ডিগ্রি তাপমাত্রা। এই সময়টা সূর্যের আলো উপস্থিতি দিনের বেলায় বেশি সময় থাকতে সেই জন্য তাপমাত্রা একটু বেশি। ২৩, ২৪ তারিখের দিকে তাপমাত্রা আরো বেশি কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর আগের দিন বৃহস্পতিবার রংপুরের তাপমাত্রা ছিল সর্বনিম্ন ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তিনি জানান,শীতের প্রকোপের কারণে মানুষ প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে যাচ্ছে না। এ কারণে খেটে খাওয়া মানুষ পড়েছে বিপাকে। দিনে নগরীতে মানুষের উপস্থিতি কম থাকলেও সন্ধ্যার পর ফাঁকা হয়ে পড়ে নগরী। শীতের কারণে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে বৃদ্ধ ও শিশুরা। এ কারণে শিশু ও বৃদ্ধরা শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক জানান, প্রচণ্ড শীতে শ্বাসকষ্ট, জ্বর, নিউমোনিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। রংপুর শিশু বিভাগে দুদিনে কিছু শিশু ভর্তি হয়েছে বলে জানা গেছে। চলতি মৌসুমে পরিবারের অর্থ যোগাতে মধ্যবিত্ত পরিবারসহ হিমসিম খাচ্ছে শ্রমজীবী মানুষ। তাই শীতের কনকনে ঠান্ডা মোকাবেলা করেও কাঁপিয়ে কাঁপিয়ে কাজ করতে হচ্ছে কর্মজীবী মানুষদের।


আরও খবর



ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত আত্মঘাতীমূলক

প্রকাশিত:শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর ব্যবসা-বাণিজ্য খাতে বড় ধরনের ধাক্কা লেগেছে। এখনও লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারেননি ব্যবসায়ীরা। এমন পরিস্থিতিতে ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত আত্মঘাতীমূলক। এ ধরনের কর এমন এক সময়ে বাড়ানো হলো যখন দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজমান। উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপে শুধু নিম্ন আয় ও প্রান্তিক আয়ের মানুষ নয়; মধ্যবিত্তরাও হিমশিম খাচ্ছেন।

শনিবার (১১ জানুয়ারি) রাজধানী নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ ও সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ব্যর্থ হচ্ছে। তারা এখনো বাজার সিন্ডিকেট দমন করতে পারেনি। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে দিশেহারা মানুষ। প্রতিদিনের সংসারের ব্যয় মেটাতে জনগণকে যুদ্ধ করতে হচ্ছে। এর মধ্যে ‘মরার উপর খাঁড়ার ঘা’ হিসেবে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মাঝপথে এসে শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট এবং সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়েছে সরকার। তাতে দৈনন্দিন জীবনযাত্রার খরচ আরেক দফা বাড়ছে সাধারণ মানুষের।

এমনিতেই মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার কারণে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠছে। সেখানে জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, এলপি গ্যাস, গুঁড়া দুধ, বিস্কুট, আচার, টমেটো কেচাপ বা সস, জুস, টিস্যু পেপার, ফলমূল, সাবান-ডিটারজেন্ট পাউডার, মিষ্টি, চপ্পলের ওপর ভ্যাট হার বৃদ্ধি মধ্যম ও নিম্ন আয়ের মানুষকে আরও চাপে ফেলবে, বলেন তিনি।

রিজভী বলেন, বাজেটের আগেই এসব পণ্য ও সেবার দাম বৃদ্ধির ফলে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমবে। নতুন করে সংকটে পড়বে ব্যবসা-বাণিজ্য। জনজীবনের নিত্য দুর্ভোগ কিংবা বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ না করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যদি শুধু সংস্কারের নামে সময়ক্ষেপণ করেন, তাহলে জনগণের কাছে সংস্কার আগে না সংসার প্রশ্নটিই মুখ্য হয়ে উঠতে পারে।

তিনি আরও বলেন, দুর্ভোগ মেনে নিলেও জনগণ এখনো সরকারের বিরুদ্ধে তেমন উচ্চবাচ্য করছে না। কারণ, জনগণ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সফল দেখতে চায়। তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিজেরা নিজেদেরকে সফল দেখতে চায় কিনা, মানুষের ক্ষুধা নিবৃত্তির কার্যক্রমের মাধ্যমে সেটি তাদেরকেই প্রমাণ করতে হবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন— বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুক, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, ফরিদপুর বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সেলিমুজ্জামান, সহ প্রচার আসাদুল করিম শাহীন, কেন্দ্রীয় নির্বাহীর কমিটির সদস্য (দফতরে সংযুক্ত) আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী, তারিকুল আলম তেনজিং, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ সভাপতি ডা. জাহিদুল কবির জাহিদ প্রমুখ।


আরও খবর



মুক্তিযোদ্ধা দলের সমাবেশ স্থগিত

প্রকাশিত:শুক্রবার ২০ ডিসেম্বর ২০24 | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ২১ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সমাবেশ স্থগিত করা হয়েছে। এই সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার। তবে বিএনপি চেয়ারপারসনের অসুস্থতার কারণে এই সমাবেশ স্থগিত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কারণে আপাতত সমাবেশ স্থগিত করা হয়েছে। পরে সমাবেশের তারিখ ও সময় জানিয়ে দেওয়া হবে।

বৃহস্পতিবার সকালে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘তিনি (খালেদা জিয়া) গত পরশু রাত থেকে অসুস্থ। চিকিৎসকদের পরামর্শে তাঁর সমাবেশে অংশ নেওয়া বাতিল করা হয়েছে।


আরও খবর



কড়া শুল্ক আরোপের হুমকি ট্রাম্পের

প্রকাশিত:শনিবার ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক হুমকি যেন থামছেই না। শত্রু-মিত্র নির্বিচারে সবাইকে সমানে হুমকি দিয়ে চলেছেন তিনি। কানাডা, মেক্সিকো, চীন ও ভারতের পর এবার তার শুল্ক হুমকির তালিকায় যোগ হলো ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নাম। যদিও ঐতিহ্যগতভাবে ইউরোপের ২৭টি দেশের এই জোট মার্কিন মিত্র। খবর আলজাজিরার।

আগামী ২০ জানুয়ারি দ্বিতীয়বারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের মসনদে বসবেন ট্রাম্প। প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেয়ার কয়েক সপ্তাহ আগেই ইউরোপকে বড় ধরনের শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়ে রাখলেন তিনি। বললেন, ইইউ যদি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ‘বিশাল’ বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর জন্য মার্কিন তেল ও গ্যাস না কেনে, তাহলে এর পরিণতি ভোগ করতে হবে।

শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সামাজিক মাধ্যমে দেয়া এক পোস্টে ট্রাম্প জানান, ইউরোপকে মার্কিন তেল ও গ্যাস বিশাল পরিমাণে কিনতে করতে হবে। অন্যথায়, ‘পুরোপুরি ট্যারিফ আরোপ হবে’ বলে সতর্ক করেন তিনি।

ট্রাম্পের নিজের সামাজিক মাধ্যম প্ল্যাটফর্মের নাম ট্রুথ সোশ্যাল। সেখানে তিনি এক পোস্টে লিখেছেন, ‘আমি ইউরোপীয় ইউনিয়নকে বলেছি, আমাদের তেল ও গ্যাস বৃহৎ পরিসরে কিনে তাদের বিশাল ঘাটতি পূরণ করতে হবে। অন্যথায়, পুরোপুরি ট্যারিফ!’

এর আগে গত ১৬ ডিসেম্বর ফ্লোরিডার মার-আ-লাগোতে এক সংবাদ সম্মেলনে ভারতীয় পণ্যের ওপর অধিক হারে ট্যাক্স আরোপের হুমকি দেন ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভারতের আমদানি করা নির্দিষ্ট কিছু মার্কিন পণ্যের ওপর উচ্চ শুল্ক আরোপের জবাবে এই হুমকি দেন তিনি।


আরও খবর



বিটিআরসি’র তড়িঘড়ি নীতিমালা

প্রকাশিত:রবিবার ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

দুই বছর ধরে ঝুলে থাকা ন্যাশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক (এনটিটিএন) নীতিমালা সংশোধন না করে তড়িঘড়ি করে ‘ইনফ্রাস্ট্রাকচার শেয়ারিং গাইডলাইন’ করতে চলেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে (বিটিআরসি)। অভিযোগ উঠেছে, এই নীতিমালার মাধ্যমে একচেটিয়া মোবাইল ফোন অপাটেরদের হতে টেলিযোগাযোগ খাতের ব্যবসা তুলে দিতে চলেছে বিটিআরসি। ফলে বাড়বে ইন্টারনেট সেবার দাম।

টেলিযোগাযোগ খাতের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০০৮ সালে টেলিযোগাযোগ আইন ২০০১ সালের আলোকে এনটিটিএন নীতিমালা করে বিটিআরসি। যেটির সংশোধনের প্রস্তাব গত দুই বছর ঝুলিয়ে রেখে নতুন ‘ইনফ্রাস্ট্রাকচার শেয়ারিং গাইডলাইন’ করতে যাচ্ছে বিটিআরসি। ‘ইনফ্রাস্ট্রাকচার শেয়ারিং গাইডলাইন’ ও এনটিটিএন এর মধ্যে কোনো পার্থক্য না থাকায় সংশ্লিষ্টদের শঙ্কা, এটি টেলিযোগাযোগ খাতে বড় ধরনের অস্থিরতা তৈরি করবে। একই সঙ্গে অস্তিত্ব সংকটে পড়তে পারে দেশীয় বিনিয়োগে গড়ে ওঠা প্রতিষ্ঠানগুলো। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়তে পারেন ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবাদাতা ‘ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার (আইএসপি) প্রতিষ্ঠানগুলো। সেই সঙ্গে দেশের ইন্টারনেট সেবার দাম বাড়তে পারে।

দেশীয় উদ্যোক্তারা বলছেন, বিটিআরসি মোবাইল অপারেটরদের হাতে দেশের ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবসা তুলে দেওয়ার আয়োজন করতে চলেছে। এনটিটিএন নীতিমালা সংশোধন না করে প্রয়োজন ছাড়াই ‘ইনফ্রাস্ট্রাকচার শেয়ারিং গাইডলাইন’ অনুমোদন করতে চলেছে।

সূত্রে জানা গেছে, রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) কমিশন সভায় ‘ইনফ্রাস্ট্রাকচার শেয়ারিং গাইডলাইন’ অনুমোদন করার আয়োজন চূড়ান্ত করা হয়েছে।

জানা গেছে, গত ১৮ ডিসেম্বর হঠাৎ করেই এই গাইডলাইন করার কথা জানিয়ে খসড়া ওয়েবসাইটে দেয় বিটিআরসি। এতে মোবাইল অপারেটরদের নিজস্ব ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক নির্মাণের অনুমতি দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। সেই সঙ্গে অপারেটরদের ফিক্সড ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা দেওয়ারও সুযোগ সৃষ্টি হবে। ফলে টেলিযোগাযোগ খাতের সব ধরনের সেবার নিয়ন্ত্রণ শুধু তিনটি মোবাইল অপারেটরের কাছে চলে যাবে।

যদিও সংশ্লিষ্টদের দাবি, তিনটিও নয়, ২০০৮ সালের আগের মতো একটিমাত্র মোবাইল অপারেটরের আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হবে। ২০০৮ সালের আগে দেশের টেলিযোগাযোগ খাতে একটি মোবাইল অপারেটরের একক আধিপত্য ছিল। ওই কোম্পানি ট্রান্সমিশন এবং ব্যান্ডউইথের পাইকারি সরবরাহ করায় আরও তিনটি মোবাইল অপারেটর এবং ইন্টারেনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো কোম্পানিটির কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছিল। ওই সময় প্রতি সার্কিট ট্রান্সমিশন সেবার জন্য একটি অপারেটরকে ১৫ লাখ থেকে ২০ লাখ টাকা পরিশোধ করতে হতো। আর প্রতি এমবিপিএস ব্যান্ডউইথ পরিবহনের জন্য ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানকে প্রায় ১০ হাজার টাকা পরিশোধ করতে হতো। এ ছাড়া ভয়েস কলের জন্য আন্তঃসংযোগের ক্ষেত্রে অন্য তিনটি মোবাইল অপারেটরের জন্য মাত্র একশটি শেয়ারিং সার্কিট খোলা রাখা হতো। ফলে সাধারণ অন্য তিনটি অপারেটরদের গ্রাহকরা প্রচণ্ড দুর্ভোগ পোহাতেন। সে সময় বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও টেলিযোগাযোগ খাত জিম্মি করে রাখা প্রভাবশালী মোবাইল অপারেটর ট্রান্সমিশন সেবা এবং ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথের দাম কমায়নি।

এ বিষয়ে টেলিযোগাযোগ খাত বিশেষজ্ঞ সুমন আহমেদ সাবির বলেন, ‘তড়িঘড়ি করে নতুন এই ‘ইনফ্রাস্ট্রাকচার শেয়ারিং গাইডলাইন’ তৈরির উদ্যোগ অহেতুক। এটি অনুমোদন পেলে টেলিযোগাযোগ খাতে বড় ধরনের বিশৃঙ্খলা ও অস্থিরতার সৃষ্টি করবে। কারণ এর ফলে গত দেড় দশক ধরে টেলিযোগাযোগ ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক তৈরি করা দেশীয় এনটিটিএন কোম্পানি অস্তিত্ব সংকটে পড়বে। তিনি বলেন, এর পাশাপাশি মোবাইল অপারেটরদের ক্ষেত্রে আইএসপি প্রতিষ্ঠানগুলোর ফিক্সড ব্রডব্যান্ড ব্যবসারও দখল নেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হবে। ফলে দেশে আবারও ২০০৮ সালের আগের মতো ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথের দাম বাড়ার আশঙ্কা থেকে যায়।’

তিনি বলেন, ‘বিদ্যমান এনটিটিএন গাইডলাইনের দু-একটি বিষয় মোবাইল অপারেটরদের কিছু পর্যবেক্ষণ এবং বিতর্ক ছিল। এ কারণে ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে বিটিআরসিতে বিদ্যমান এনটিটিএন নীতিমালা সংশোধনের একটি প্রস্তাব দেওয়া হয়। এ প্রস্তাবের আলোকে বিটিআরসি একটি কমিটি গঠন করে। পরে ওই কমিটি তিনবার পরিবর্তন করা হয়। অথচ ওই নীতিমালা সংশোধন করা হলে এখন এ ধরনের বিতর্কিত ‘ইনফ্রাস্ট্রাকচার শেয়ারিং গাইডলাইন’ তৈরির প্রয়োজন হতো না।’

এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের প্রসিকিউটর সাইমুম রেজা তালুকদার বলেন, ‘খসড়া ইনফ্রাস্ট্রাকচার শেয়ারিং গাইডলাইনের যে উদ্দেশ্য এবং প্রয়োজনের কথা বলা হয়েছে, তা বিদ্যমান এনটিটিএন নীতিমালার সঙ্গে হুবহু এক। এর অর্থ এনটিটিএন নীতিমালা সংশোধনই যথেষ্ট ছিল। সেটা না করে একই ধরনের নতুন একটি গাইডলাইন প্রণয়নের উদ্যোগ কী কারণে হচ্ছে তা বোধগম্য নয়।


আরও খবর