Logo
শিরোনাম

নওগাঁয় অটো চার্জারের ধাক্কায় এক শিক্ষকের মুত্যু

প্রকাশিত:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় অটো চার্জারের ধাক্কায় মোঃ আনোয়ার হোসেন (৫৭) নামের এক মাদ্রাসা শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। এদূর্ঘটনাটি ঘটে সোমবার দুপুরে নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার বালুকাপাড়া মন্ডবতলী নামক স্থানে। নিহত আনোয়ার হোসেন মহাদেবপুর উপজেলা সদরের দুলাল পাড়ার বাসিন্দা ও সারতা রহমানিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার ছিলেন। 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার দুপুরে তার বাড়ির অদূরে বালুকাপাড়া মন্ডবতলীতে রাস্তা পার হওয়ার সময় একটি অটো চার্জার তাকে ধাক্কা দেয়। এ সময় তিনি গুরুতর আহত হলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য মহাদেবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করে মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ রুহুল আমিন বলেন, সড়ক দূর্ঘটনায় মাদ্রাসা সুপার আহত হয়েছেন এবং পরবর্তীতে তিনি মারা যান এমন সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর



বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু স্টারলিংকের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২০ মে ২০25 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

বিশ্বখ্যাত স্যাটেলাইট ভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান স্টারলিংক আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করেছে। ২০ মে সকালে প্রতিষ্ঠানটির এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডেলে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, স্টারলিংক অফিসিয়ালি বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করেছে। গতকাল (সোমবার) বিকেলে তারা ফোন কলে আমাকে বিষয়টি জানিয়েছে এবং আজ সকালে তাদের এক্স হ্যান্ডেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আরও বলেন, শুরুতে স্টারলিংক দুটি প্যাকেজ দিয়ে শুরু করছে– স্টারলিংক রেসিডেন্স এবং রেসিডেন্স লাইট। মাসিক খরচ একটি ৬০০০ টাকা, অপরটি ৪২০০। তবে সেটআপ যন্ত্রপাতির জন্য ৪২ হাজার টাকা এককালীন খরচ হবে। এখানে কোনো স্পিড ও ডাটা লিমিট নেই। ব্যক্তি ৩০০ এমবিপিএস পর্যন্ত গতির আনলিমিটেড ডেটা ব্যবহার করতে পারবেন।

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, বাংলাদেশের গ্রাহকরা আজ থেকেই অর্ডার করতে পারবেন। এর মাধ্যমে ৯০ দিনের মধ্যে যাত্রা শুরুতে স্যারের (প্রধান উপদেষ্টার) প্রত্যাশাটি বাস্তবায়িত হলো।

তিনি আরও বলেন, খরুচে হলেও এর মাধ্যমে প্রিমিয়াম গ্রাহকদের জন্য উচ্চমান এবং উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা প্রাপ্তির টেকসই বিকল্প তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি যেসব এলাকায় এখনো ফাইবার কিংবা দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা পৌঁছেনি, সেখানে কোম্পানিগুলো ব্যবসা সম্প্রসারণের সুযোগ পাবেন, এনজিও ফ্রিল্যান্সার এবং উদ্যোক্তারা বছরব্যাপী নিরবচ্ছিন্ন উচ্চগতির ইন্টারনেটের নিশ্চয়তা পাবেন।

বিষয়টি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা সংশ্লিষ্ট সবাইকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে যাত্রা শুরুর মাধ্যমে স্টারলিংক দক্ষিণ এশিয়ার নতুন একটি বাজারে প্রবেশ করল। এতে করে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবার নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হলো।


আরও খবর



এবারও স্বস্তিদায়ক হবে উত্তরের ঈদযাত্রা

প্রকাশিত:বুধবার ০৪ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

উত্তরের ঈদযাত্রা এবারো আনন্দ ও স্বস্তিদায়ক হবে বলে দাবি করছে জেলা, হাইওয়ে পুলিশ এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগ। তাদের দাবি, গাড়ির চাপ বাড়লেও কোনো প্রকার ভোগান্তি ছাড়াই বাড়ি ফিরছে মানুষ। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের ২২টি জেলার মানুষের প্রবেশদ্বার যমুনা সেতু। ফলে এই মহাসড়ক দিয়ে প্রতিদিন ১৭-২০ হাজার পণ্য ও যাত্রীবাহী যানবাহন চলাচল করে। ঈদের সময় এই সংখ্যা বেড়ে যায় প্রায় তিন গুণ। ফলে এসময় যানজটে আটকে চরম ভোগান্তিতে পড়ে মানুষ। কিন্তু ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক চার লেন ও যমুনা রেল সেতু চালু হওয়ায় চিরচেনা এই যানজট দূর হয়েছে। ঢাকা থেকে রংপুরগামী বাসযাত্রী রুমা বেগম বলেন, এবারের কোন যানজটে পড়তে হয়নি। নিরাপদে বাড়ি যাচ্ছি।

ঢাকা থেকে রাজশাহী রুটের বাসচালক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এবার ঈদের ছুটির সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ প্রশাসন ছাড়াও সেনাবাহিনীর তৎপরতা বেশ বেড়েছে। এমন তৎপরতায় আমরা দিনরাত নির্ভয়ে গাড়ি চালাতে পারছি।

হাটিকুমরুল হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ বলেন, এবার ঈদে মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়লেও দুর্ভোগের কোনো শঙ্কা নেই। তাছাড়া যানজট নিরসনে ছয় শতাধিক জেলা পুলিশ, একশো হাইওয়ে ও অর্ধশত আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) তিন শিফটে দায়িত্ব পালন করবে।

যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল বলেন, এবারও মহাসড়কে যানজট নিরসনে যমুনা সেতুর উভয় অংশে ৯টি করে মোট ১৮টি বুথে টোল আদায় করা হবে। যার চারটি বুথ শুধু মোটরসাইকেলের জন্য স্থাপন করা হয়েছে। পরিবার ও পরিজন নিয়ে কোনো যানজট ছাড়াই এবারও উত্তরের মানুষ ঘরে ফিরবে বলে তিনি দাবি করেন।

হাটিকুমরুল ইন্টারচেঞ্জ প্রকল্পের ব্যবস্থাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, নির্মাণাধীন ইন্টারচেঞ্জের সার্ভিস সড়ক খুলে দেওয়ায় এবারও ঈদযাত্রা নিরাপদ ও স্বস্তিদায়ক হবে। একটু চাপ থাকলেও কোনো যানজট দেখা দেবে না। ফলে স্বস্তি নিয়েই ঘরে ফিরবে মানুষ।

সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার (এসপি) ফারুক হোসেন বলেন, যমুনা সেতুর পশ্চিম সংযোগ সড়কের কোথাও যানজট হওয়ার শঙ্কা নেই। তাছাড়া যানজট রোধে জেলা ও হাইওয়ে পুলিশের মোবাইল টিম ও মোটরসাইকেল টিম দায়িত্ব পালন করছে।


আরও খবর

৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫




এবার ‘ডন’ হয়ে আসছেন আনুশকা

প্রকাশিত:সোমবার ১৬ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

দক্ষিণ ভারতের জনপ্রিয় অভিনেত্রী আনুশকা শেঠি। ‘বাহুবলী’র কারণে তিনি অত্যধিক পরিচিত। এ অভিনেত্রীকে এবার দেখা যাবে ডনরূপে। যদিও বিষয়টি নিশ্চিত নয়, তবে ভারতীয় গণমাধ্যম এমনই ইঙ্গিত দিয়েছে।

২০১৯ সালের অ্যাকশন থ্রিলার ‘কাইথি’র সিক্যুয়াল নির্মিত হচ্ছে। লোকেশ কানাগরাজের পরিচালনায় এ সিনেমায় অনুশকা শেঠি যোগ দিচ্ছেন বলে জানা গেছে। তবে সেটা সিনেমার অভিনেতা কার্তির স্ত্রী, নাকি ডন হিসাবে, তা নিশ্চিত করেনি কেউ। গুঞ্জন রয়েছে, আনুশকাকে দেখা যেতে পারে ডনরূপে।

২০১৯ সালের অ্যাকশন থ্রিলারে কোনো নারীপ্রধান চরিত্র ছিল না। গল্পটি কার্তিকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়েছিল। যেখানে দেখা গেছে, মেয়েকে বাঁচানোর জন্য একজন বাবার লড়াই। তবে দ্বিতীয় কিস্তিতে একজন অভিনেত্রী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অভিনয় করবেন বলে খবরে প্রকাশ। সিক্যুয়েলে আনুশকা শেঠি সম্ভবত ডন অথবা কার্তির স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করবেন বলে গুঞ্জন রয়েছে।


আরও খবর



মিয়ানমার উপকূলে নৌকা ডুবে ৪২৭ রোহিঙ্গার মৃত্যু

প্রকাশিত:শনিবার ২৪ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ |

Image

সমুদ্রপথে যাত্রার সময় মিয়ানমার উপকূলে পৃথক দুটি নৌকাডুবির ঘটনায় অন্তত ৪২৭ রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়েছে। চলতি মাসের শুরুতে নৌকাডুবির ঘটনাগুলো ঘটেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর। ২৩ মে রাত ৮টার দিকে কক্সবাজারস্থ ইউএনএইচসিআরের যোগাযোগ কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই ধরনের বিপজ্জনক সমুদ্রযাত্রায় প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজনের মৃত্যু বা নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। এতে আন্দামান সাগর ও বঙ্গোপসাগর বিশ্বের সবচেয়ে প্রাণঘাতী সমুদ্রপথগুলোর একটি হয়ে উঠেছে।

সংস্থাটির প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, দুটি নৌকায় মোট ৫১৪ জন রোহিঙ্গা ছিলেন। ৯ মে প্রথম নৌকাটি ডুবে যায়, যেখানে ২৬৭ জন যাত্রী ছিলেন। তাদের অনেকেই বাংলাদেশে কক্সবাজারের শরণার্থী শিবির থেকে এবং বাকিরা মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে যাত্রা করেছিলেন। এই দুর্ঘটনায় মাত্র ৬৬ জন বেঁচে যান। পরদিন ১০ মে দ্বিতীয় নৌকাটিও ডুবে যায়। তাতে ২৪৭ জন রোহিঙ্গা ছিলেন, যারা একইভাবে কক্সবাজার ও রাখাইন থেকে এসেছিলেন। এই নৌকা থেকে মাত্র ২১ জনকে জীবিত উদ্ধার করা যায়।

বর্তমানে বেঁচে যাওয়া মানুষদের পরিচয় ও বিস্তারিত তথ্য যাচাই করছে ইউএনএইচসিআর। এছাড়া আরও একটি নৌকার খবর পাওয়া গেছে, যাতে ১৮৮ জন রোহিঙ্গা ছিলেন। নৌকাটিকে ১৪ মে মিয়ানমারে আটকে দেওয়া হয়।

ইউএনএইচসিআরের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় আঞ্চলিক কার্যালয়ের পরিচালক হাই কিয়ং জুন এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, সহায়তা তহবিল কমে যাওয়ায় রোহিঙ্গাদের মানবিক পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। ফলে নিরাপত্তা, সুরক্ষা ও মর্যাদাপূর্ণ জীবনের আশায় অনেকেই প্রাণঝুঁকি নিয়ে বিপজ্জনক সমুদ্রযাত্রায় নামতে বাধ্য হচ্ছেন।

তিনি আরও বলেন, সাম্প্রতিক এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়- আশ্রয়প্রদানকারী প্রথম দেশগুলোতে কার্যকর সুরক্ষা নিশ্চিত করা, দায়িত্ব ভাগাভাগি এবং সমুদ্রপথে সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালানো জীবন রক্ষার জন্য অত্যন্ত জরুরি। সম্প্রতি দক্ষিণ এশিয়ায় বর্ষা মৌসুম শুরু হয়েছে। ফলে সাগর উত্তাল, বাতাস ও বৃষ্টি প্রবল। এই সময়ে সমুদ্র পাড়ি দেওয়া আরও বিপজ্জনক। সমুদ্রে বিপদগ্রস্তদের জীবন রক্ষা করা আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইনের অধীনে একটি মানবিক বাধ্যবাধকতা ও দীর্ঘদিনের দায়িত্ব। ইউএনএইচসিআর এ অঞ্চলের দেশগুলোকে অনুরোধ করছে, যেন ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া হয়।

তিনি উল্লেখ করেন, ২০২৫ সালে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি মোকাবিলায় ইউএনএইচসিআরের ৩৮৩ দশমিক ১ মিলিয়ন ডলার প্রয়োজন। বাংলাদেশ, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডে শরণার্থী ও আশ্রয়দাতা জনগোষ্ঠীর জীবন স্থিতিশীল করতে এই তহবিল ব্যবহার হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত মাত্র ৩০ শতাংশ সংগ্রহ করা গেছে।

এ বিষয়ে কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নেতা মো. জোয়ের বলেন, দালালদের প্রলোভনে পড়ে সাগরপথে পাড়ি দিচ্ছেন রোহিঙ্গারা। মূলত রোহিঙ্গারা যাতে রাখাইনে ফেরত না যায় সেজন্য দালালরা এ ধরনের অপরাধ কর্মকাণ্ড অব্যাহত রেখেছে। ফলে এ ধরনের মর্মান্তিক প্রাণহানির ঘটনা বন্ধ হচ্ছে না। আসলে এটি খুবই দুঃখজনক। এটি বন্ধে সরকারের উচিত মানব পাচারকারী (দালালদের) বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা।


আরও খবর



বকশীগঞ্জে নদী ভাঙন রোধে স্থায়ী প্রতিকারের দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ মে 20২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ জুন ২০২৫ |

Image

মাসুদ উল হাসান :

জামালপুরের বকশীগঞ্জে নদী ভাঙন রোধে সরকারি ভাবে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহনের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার দুপুরে উপজেলার মেরুরচর ইউনিয়নের মুন্দি পাড়া এলাকায় ঘন্টাব্যাপী এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে শিক্ষক,ইমাম,রাজনীতিবিদ,সাংবাদিক,কৃষক,ব্যবসায়ীসহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষ অংশ নেন। এলকার সর্বস্তরের জনগনের ব্যনারে আয়োজিত মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বকশীগঞ্জ উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের আহবায়ক ইঞ্জি.শাহরিয়ার আহমেদ সমুন, জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সা’দ আহমেদ রাজু, সুন্দর আলী,ইমরান নাজির প্রমুখ।

এ সময় বন্যায় ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থ মেরুরচর ইউনিয়নের মুন্দী পাড়া গ্রামের বিদ্যুৎ মিয়া,সুন্দর আলী,জুয়েল মিয়া,সেমাজুল হক,শিক্কু মিয়া, লুৎফর রহমান, শফিকুল ইসলাম, সাজু মিয়া, মজিবুর রহমান, সোলায়মান হক, কালামত আলী,আলাল মিয়া,আমিরুল ইসলাম,ঘুঘরাকান্দি এলাকার ফকির আলী, গামা শেখ, হাসেম আলী, মকবুল শেখ,ফরিদ,মজিবুর রহমান,দুখু মিয়া, টুনু মিয়া, শের আলী, হযরত আলী, ওমান মিয়া, ইসরাফিল, আলামিনসহ শতাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন। 

বক্তরা বলেন,প্রতিবছর বন্যায় শতশত বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। পানি বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে যেমন নদী ভাঙে,তেমনি পানি কমার সময়েও ভাঙন আরো বৃদ্ধি পায়। ভাঙন ভাঙন খেলায় নদী বেষ্ঠিত মেরুরচর ইউনিয়নের মানুষ এখন দিশেহারা। গত কয়েকদিনের ব্যবধানে প্রায় শতাধিক বাড়িঘর,ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। সব কিছু হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন তারা। ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান তারা। 

স্থানীয় বাসিন্দা ইঞ্জি,শাহরিয়ার আহমেদ সুমন বলেন, নদী ভাঙন রোধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বছরের পর বছর এলাকাবাসী শুধু আবেদন করেই গেছেন। আশ্বাস মিললেও কার্যকরী কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি। দ্রুত সময়ের মধ্যে যাতে ভাঙন রোধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়। তাই জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। 

ভাঙন রোধে কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় হতাশা প্রকাশ করে স্থানীয় বাসিন্দা সুন্দর আলী বলেন,গরীব মানুষ আমরা,তাই আমাদের খোঁজ খবর কেউ রাখে না। কতজনই তো কথা দিলো কিন্তু কেউ কথা রাখেনি। 

মেরুরচর ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম মঞ্জু বলেন,ইতোমধ্যে ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা করা হচ্ছে। ভাঙন রোধে স্থায়ী সমাধানের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ স্থানীয় প্রশাসনের সাথে কথা বলেছি। সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করার কথা জানান তিনি। 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মাসুদ রানা বলেন,উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন নদী বেষ্ঠিত। বন্যার সময় ব্যপক ভাঙনের কবলে পড়েন নদী পাড়ের মানুষ। ভাঙনের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট উর্ধব্বতন কতৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। বিষয়টি অধিক গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। 


আরও খবর