মাসুদ উল হাসান :
জামালপুরের বকশীগঞ্জে নদী ভাঙন রোধে সরকারি ভাবে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহনের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার দুপুরে উপজেলার মেরুরচর ইউনিয়নের মুন্দি পাড়া এলাকায় ঘন্টাব্যাপী এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে শিক্ষক,ইমাম,রাজনীতিবিদ,সাংবাদিক,কৃষক,ব্যবসায়ীসহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষ অংশ নেন। এলকার সর্বস্তরের জনগনের ব্যনারে আয়োজিত মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বকশীগঞ্জ উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের আহবায়ক ইঞ্জি.শাহরিয়ার আহমেদ সমুন, জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সা’দ আহমেদ রাজু, সুন্দর আলী,ইমরান নাজির প্রমুখ।
এ সময় বন্যায় ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থ মেরুরচর ইউনিয়নের মুন্দী পাড়া গ্রামের বিদ্যুৎ মিয়া,সুন্দর আলী,জুয়েল মিয়া,সেমাজুল হক,শিক্কু মিয়া, লুৎফর রহমান, শফিকুল ইসলাম, সাজু মিয়া, মজিবুর রহমান, সোলায়মান হক, কালামত আলী,আলাল মিয়া,আমিরুল ইসলাম,ঘুঘরাকান্দি এলাকার ফকির আলী, গামা শেখ, হাসেম আলী, মকবুল শেখ,ফরিদ,মজিবুর রহমান,দুখু মিয়া, টুনু মিয়া, শের আলী, হযরত আলী, ওমান মিয়া, ইসরাফিল, আলামিনসহ শতাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
বক্তরা বলেন,প্রতিবছর বন্যায় শতশত বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। পানি বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে যেমন নদী ভাঙে,তেমনি পানি কমার সময়েও ভাঙন আরো বৃদ্ধি পায়। ভাঙন ভাঙন খেলায় নদী বেষ্ঠিত মেরুরচর ইউনিয়নের মানুষ এখন দিশেহারা। গত কয়েকদিনের ব্যবধানে প্রায় শতাধিক বাড়িঘর,ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। সব কিছু হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন তারা। ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান তারা।
স্থানীয় বাসিন্দা ইঞ্জি,শাহরিয়ার আহমেদ সুমন বলেন, নদী ভাঙন রোধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বছরের পর বছর এলাকাবাসী শুধু আবেদন করেই গেছেন। আশ্বাস মিললেও কার্যকরী কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি। দ্রুত সময়ের মধ্যে যাতে ভাঙন রোধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়। তাই জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
ভাঙন রোধে কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় হতাশা প্রকাশ করে স্থানীয় বাসিন্দা সুন্দর আলী বলেন,গরীব মানুষ আমরা,তাই আমাদের খোঁজ খবর কেউ রাখে না। কতজনই তো কথা দিলো কিন্তু কেউ কথা রাখেনি।
মেরুরচর ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম মঞ্জু বলেন,ইতোমধ্যে ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা করা হচ্ছে। ভাঙন রোধে স্থায়ী সমাধানের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ স্থানীয় প্রশাসনের সাথে কথা বলেছি। সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করার কথা জানান তিনি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মাসুদ রানা বলেন,উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন নদী বেষ্ঠিত। বন্যার সময় ব্যপক ভাঙনের কবলে পড়েন নদী পাড়ের মানুষ। ভাঙনের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট উর্ধব্বতন কতৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। বিষয়টি অধিক গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে।