Logo
শিরোনাম

ডিমলায় সদর ইউপি'র উপ-নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৬ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল

প্রকাশিত:সোমবার ২০ ফেব্রুয়ারী ২০23 | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image

মহিনুল ইসলাম সুজন,নীলফামারী  প্রতিনিধি: নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ৩-নং ডিমলা সদর ইউনিয়ন পরিষদের উপ-নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৬ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

রবিবার(১৯ ফেব্রুয়ারি)নির্ধারিত তারিখের শেষ দিন বিকেল ৪টা পর্যন্ত উপজেলা নির্বাচন অফিসে এই ৬ জন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।তারা হলেন- আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনীত প্রার্থী এ,এইচ,এম ফিরোজ সরকার,স্বতন্ত্র প্রার্থী ডিমলা প্রেসক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক মাজহারুল ইসলাম লিটন,উৎপল কুমার সিংহ রায়,

সফিয়ার রহমান,মজিব উদ্দিন ও আমিনুর রহমান।গত ২৩ জানুয়ারি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ২০ ফেব্রুয়ারি।আপিল দাখিলের তারিখ-২১ থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারি।আপিল নিষ্পত্তির তারিখ-২৪ থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি।প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২৭ ফেব্রুয়ারি।প্রতীক বরাদ্দ-২৮ ফেব্রুয়ারি ও ভোট গ্রহণের তারিখ-১৬ মার্চ ২০২৩ইং।ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ইভিএম মেশিনে।এই ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা-৩৪ হাজার ৩শত ৭৫ জন।এরমধ্যে নারী ভোটার ১৭ হাজার ৫২জন ও পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ১৭ হাজার ৩ শত ২২জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ১ জন।ডিমলা সদর ইউনিয়নের উপ-নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ও সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাচন অফিসার রবিউল আলম সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিনে একজন আওয়ামী লীগ দলীয় ও পাঁচজন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।আশা রাখি উপজেলা প্রশাসন,পুলিশ প্রশাসন ও সাংবাদিকসহ সকলের সহযোগিতায় আমরা আগামী ১৬ই মার্চ ২০২৩ইং সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে পারব।

প্রসঙ্গত: গত ২০২১ ইং ২৬ ডিসেম্বর ডিমলা ৩ নং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে ৮ হাজার ১ শত ৪৪ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় বারের মত নৌকা প্রতীকে পুনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন আবুল কাশেম সরকার।পরে গত ১৪ই ডিসেম্বর ২০২২ইং রাতে চেয়ারম্যান আবুল কাশেম সরকার মৃত্যুবরণ করলে ইউনিয়ন পরিষদটিতে চেয়ারম্যান পদ শুন্য হয়।গত ২৩ জানুয়ারি ২০২৩ইং ইউনিয়নটির উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়।



আরও খবর



বন্ধের ঘোষণা এলে বেড়ে যায় চাঁদার রেট

মহাসড়কে অবাধে চলছে ব্যাটারিচালিত রিকশা

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image

রাজধানীর অলি-গলিসহ প্রধান সড়কগুলোতেও দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ব্যাটারিচালিত রিকশা। ঢাকার বিভিন্ন এলাকার সংযোগ সড়কে তো আছেই। মূল সড়কেও দাপটের সাথে চলছে তিন চাকার ব্যাটারিচালিত রিকশা। এমনকি রাজধানীর অভিজাত এলাকার গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতেও এসব ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল করতে দেখা যায়। তাদের চলার ভংগি এমন, কাউকেই তোয়াক্কা করার সময় নেই। রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে তার সেই নির্দেশের কোনো বাস্তবায়ন নেই। অন্য স্বাভাবিক দিনের মতো রাজধানীর সড়ক, অলিগলিতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল করেছে।

বিপজ্জনক উল্লেখ করে বিভিন্ন সময় এসব রিকশা চলাচল বন্ধের দাবি উঠলেও তা কমছে না। এবার খোদ সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এসবের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তার পরেও অবাধে চলছে এসব যান। রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে ব্যাটারি চালিত রিকশা চলাচল দিনদিন বেড়েই চলেছে। এসব গাড়ির নিয়ন্ত্রণহীন চলাচলের কারণে প্রতিদিনই ঘটছে কোথাও না কোথাও দুর্ঘটনা। সরকারের নির্দেশনা দিলেও, এখনো তা কার্যকর হয়নি। পুলিশ প্রশাসনের সামনেই চলছে সব। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় আটো রিকশার দৌরাত্ম্যে অসহায় সাধারণ মানুষ। এসব যানের অনিয়িন্ত্রিত চলাচলে যানজট লেগেই থাকে সারাক্ষণ। চালকদের ভাষ্য, তারা প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই সড়কে এ যান চালাচ্ছেন। তবে বন্ধের ঘোষণা এলে চাঁদার রেট বেড়ে যায়।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ব্যাটারিচালিত রিকশার জন্য প্রচুর বিদ্যুৎ খরচ হয়। বিদ্যুৎ ঘাটতির সময়ে অবৈধ এই যানবাহন চলতে দেওয়া কোনোভাবেই উচিত হচ্ছে না। এছাড়া বাহন নিরাপদও নয়। সাধারণ রিকশার অবকাঠামো কিছুটা পরিবর্তন করে তৈরি এসব রিকশা বেপরোয়া গতিতে চলাচল করে। এতে প্রায়ই সড়কে দুর্ঘটনা ঘটছে। রাজধানীতে প্রায় দুই লাখ ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল করছে। এগুলোর জন্য একদিকে যেমন বিদ্যুৎ অপচয় হচ্ছে, অন্যদিকে অদক্ষ চালক ও বেপরোয়া চলাচলের কারণে প্রায়ই হচ্ছে দুর্ঘটনা। এসব যান নিয়ন্ত্রণে আছে শক্তিশালী সিন্ডিকেট। ফলে এসব রিকশার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনকেও অনেক সময় হিমশিম খেতে হয়। পুরান ঢাকার কামরাঙ্গীরচর, লালবাগ, হাজারীবাগ, মগবাজার এবং মিরপুর এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশার আধিক্য বেশি। এসব জায়গায় শক্তিশালী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পরিচালিত হয় এসব যান। দিনপ্রতি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকার চুক্তিতে পাওয়া যায় ব্যাটারিচালিত রিকশা। অবশ্য রিকশাপ্রতি মাসে ২ হাজার টাকার মতো চাঁদা গুনতে হয়।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, নিষিদ্ধ ব্যাটারিচালিত রিকশায় সয়লাব রাজধানীর মূল সড়ক। অবৈধ ব্যাটারি চালিত রিকশা চলাচল করতে দেখলেই পুলিশ আটক করলেও বাহনগুলোর চলাচল অব্যাহত রয়েছে। রাজধানীর পল্টন, গুলিস্তান, মতিঝিল, আরামবাগ, যাত্রাবাড়ী, সদরঘাট, মালিবাগসহ কয়েকটি সড়কে রিকশা চলাচল করতে দেখা গেছে। রামপুরা, খিলগাঁও, বাড্ডা, নয়াবাজার, মিরপুর, মোহাম্মদপুর, বাংলামটর, কাওরান বাজার, ফার্মগেট, কামরাঙ্গীরচর, চকবাজার, নাজিরাবাজার, কমলাপুর, সায়েদাবাদ, দনিয়া, শনির আখড়াসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্যাডেল রিকশায় মোটর ও ব্যাটারি লাগিয়ে চলাচল করছে। এলাকায় মোড় দখল করে নিয়েছে ওই বাহনটি। রাতে অন্যান্য গাড়ির চাপ কমে গেলে ব্যাটারিচালিত এসব গাড়ি নামতে থাকে। চলতে থাকে সকল রুটেই। কোন রুটেই বাধা নেই তাদের যেতে।

শ্যামপুর, জুরাইন, কদমতলী, ডেমরা, সায়েদাবাদ, সদরঘাট, মোহাম্মদপুর, দারুসসালাম, কাফরুল, পল্লবী, উত্তরা, উত্তরখান, দক্ষিণখান, খিলগাঁও, সবুজবাগ, রামপুরা, বাড্ডা, তুরাগ, হাজারীবাগ, আদাবর থানা এলাকার অলি-গলিতে অবাধে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ও অটোরিকশা চলতে দেখা যায়। অনেক এলাকায় পুলিশের সামনেই এসব যান দাপট নিয়ে চলছে। এমনকি অলি-গলি ছাড়িয়ে অটোরিকশাগুলো মূল সড়কে চলে আসায় সৃষ্টি হচ্ছে যানজটও। মিরপুর-১০ নম্বরের সড়কজুড়ে দেখা মিললো ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার দৌরাত্ম্য। স্পষ্ট হলো, মন্ত্রীর কড়া নির্দেশ এখানে উপেক্ষিত। শুধু ১০ নম্বর না, অবৈধ অটোরিকশার অবাধ বিচরণ পুরো মিরপুর জুড়ে। পুরো এলাকা ঘুরেও চোখে পড়েনি অটোরিকশা বন্ধে কোনো বিশেষ অভিযানের।

নূর ইসলাম নামের এক চালক বলেন, সরকার যখন বন্ধের ঘোষণা দেয়, এই সুযোগে যারা এসব নিয়ন্ত্রণ করে তারা প্রথমে কয়দিন বন্ধ রাখতে বলে। পরে চাঁদার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। তাছাড়া এই অটো চালিয়ে সংসার চলে। যদি না চালাতে পারি তাহলে সমস্যায় পড়ে যাব।

তেজগাঁও ট্রাফিক বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, ব্যাটারিচালিত রিকশার বিষয়ে হাইকোর্টের একটা নির্দেশনা ছিল। ট্রাফিক যেসব এলাকাতে থাকে সেসব এলাকাতে ব্যাটারিচালিত রিকশা যাতে কোনোভাবে প্রবেশ করতে না পারে সে বিষয়ে আমরা অনেক আগে থেকেই সচেষ্ট আছি। ব্যাটারিচালিত রিকশার মূল উৎপত্তিস্থল চার্জিং পয়েন্ট এবং যেখানে গ্যারেজ আছে, যেসব ব্যক্তি এগুলোর সঙ্গে জড়িত সেসব ব্যক্তিরও তালিকা প্রণয়নের কাজ ইতিমধ্যে শুরু করা হয়েছে ।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) দুর্ঘটনা গবেষণা কেন্দ্রের সাবেক পরিচালক ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ড. হাদিউজ্জামান বলেন, ব্যাটারিচালিত যানের জন্য সড়কে একদিকে যেমন বাড়ছে যানজট, তেমনি দুর্ঘটনার নতুন হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০১০ সালের পর থেকেই এই ব্যাটারিচালিত রিকশা সড়কে বাড়ছে। এগুলো নিয়ন্ত্রণ না করায় সড়কে বেড়েই চলেছে ব্যাটারিচালিত যান। ব্যাটারি, মোটর আমদানি করার নিষেধাজ্ঞা না থাকায় দেশে এসব যান ঢুকে গেছে। কোনোভাবেই সিটিতে চালানো যাবে না।


আরও খবর



শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিয়ে তর্কযুদ্ধের শেষ কোথায়?

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image


বিনোদন রিপোর্টঃ

মাসখানেক আগেই অনুষ্ঠিত হয়েছে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। যেখানে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন মিশা সওদাগর এবং আগের মেয়াদের বিতর্কিত সাধারণ সম্পাদক নিপুণকে হারিয়ে নতুন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন ডিপজল।

নির্বাচনে হারার পর মিশা-ডিপজলকে ফুলের মালা পরিয়ে দেন নিপুণ। তবে মাস না পেরুতে পুরোনো রূপে ফিরেছেন তিনি। শুরু হয়েছে কাদা ছোড়াছুড়ি। যা রীতিমতো হাস্যরসের উপাদান হিসেবে ধরা দিয়েছে।

এমনকি বিষয়টি নিয়ে নানা মাধ্যমে বিরক্তি প্রকাশ করছেন শোবিজ অঙ্গনের অনেকে। অনেকেই ভেবেছিলেন হয়তো এবার চেয়ার দখল নিয়ে লড়াই বন্ধ হবে। কিন্তু তা ভুল প্রমাণ করে সংগঠনটি আবারও নাট্যমঞ্চে পরিণত হয়েছে।

সম্প্রতি কারচুপির অভিযোগ এনে শিল্পী সমিতির ফলাফল স্থগিত এবং নতুন নির্বাচনের জন্য তফসিল ঘোষণা চেয়ে আদালতে রিট করেছেন নিপুণ। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন বাতিল ভোটের সংখ্যা সঠিক দেননি। আমার জানামতে, ৮১টি ভোট বাতিল হয়েছে।

কিন্তু নির্বাচন কমিশন ৪০টি ভোট বাতিল দেখিয়েছে। এ নিয়ে স্পষ্ট করে কোনো কিছুই আমাদের প্যানেলকে জানায়নি তারা।’


নিপুণ জানালেন, আরও আগেই রিট করার কথা ভেবেছিলেন তিনি। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতা এবং জরুরি কাজে বিদেশে যাওয়ার পরিকল্পনা করে রাখায় সেটা সম্ভব হয়নি। এদিকে বিষয়টি শুধু রিটেই আটকে নেই। এরই মধ্যে বাকযুদ্ধে পরিণত হয়েছে। ডিপজলকে ‘অশিক্ষিত’ বলে নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন নিপুণ। ডিপজলও যথা সময়ে উত্তর দিয়েছেন।

নিপুণ ডিপজলকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘স্যরি টু সে, আমাকে বলতে হচ্ছে—শিল্পী সমিতিতে এমন একজন সেক্রেটারি পদে এসেছেন যার কোনো শিক্ষা নেই। এটা অশিক্ষিত লোকদের জায়গা না, এটা আনকালচারদের জায়গা না। এটা কাজ করে দেখিয়ে দেওয়া লোকদের জায়গা।

শুধু কাজ করলেই হবে না, জ্ঞান থাকতে হবে, শিক্ষিত হতে হবে। আমি একজন গ্রাজুয়েট। আমার তিন প্রজন্ম গ্রাজুয়েট। আমরা তাদের সম্মান দিয়েছিলাম। কিন্তু দেখলাম তারা সেই সম্মান রাখেনি। সম্মান রাখার যোগ্য তারা নয়। তাদের এখন আইনগতভাবেই মোকাবিলা করা হবে।’


নিপুণের কটাক্ষের জবাব দিয়ে শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন ডিপজল বলেন, ‘সে তো বাপকেই অস্বীকার করে। রক্তের সমস্যা না হলে এমন বলতে পারে না। কারণ ও (নিপুণ) যাকে দিয়ে চলচ্চিত্র চিনেছে তাকেই ভুলে গেছে, অস্বীকার করছে। কেস খেলবা আসো। যেটা খেলার মন চায় সেটাই খেলো। আমরা চাই ভদ্রতা ও নম্রতা। আমরা চাই চলচ্চিত্র কীভাবে এগিয়ে নেওয়া যায় সেদিকেই কাজ করব।

আমরা ঝামেলা চাই না।’ দু’জনের এমন মন্তব্য নতুন বিনোদনের রসদ জুগিয়েছে বলেই মনে করছেন অনেকে।


আরও খবর



নতুন নকশায় টঙ্গী যাবে মেট্রোরেল

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image

সাভারের আশুলিয়া নয়, টঙ্গী পর্যন্ত বর্ধিত হচ্ছে মেট্রোরেলের লাইন। দেশের প্রথম এ রেল লাইন উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে একটি পথ টঙ্গীকে যুক্ত করবে।

মেট্রোরেল এখন চলছে উত্তরা থেকে মতিঝিল। এ রুটের বর্ধিতাংশ গিয়ে ঠেকবে কমলাপুরে। অন্যদিকে উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে একটি পথ সাভারের আশুলিয়া নয়, টঙ্গীকে যুক্ত করবে।

এরই মধ্যে বর্ধিত এ পথের সম্ভাব্যতা যাচাই চলছে। দ্রুতই নকশা চূড়ান্ত করে টেন্ডার প্রক্রিয়ার কথা জানিয়েছেন প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক। তিনি বলেন, সাভারের আশুলিয়া পর্যন্ত মেট্রোরেল যাওয়ার কথা। কিন্তু নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী টঙ্গী পর্যন্ত বর্ধিত হচ্ছে মেট্রোরেলের লাইন। এমআরটি লাইন-৬ নির্মাণের সময়ই দিয়াবাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার পথ তৈরি করে রাখা হয়েছে ভবিষ্যতের কথা ভেবে। এরই মধ্যে বর্ধিত এ পথের সম্ভাব্যতা যাচাই চলছে। দ্রুতই নকশা চূড়ান্ত করে টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হবে।

তবে পরিকল্পনা ছিল পথটি আশুলিয়া পর্যন্ত নেয়ার। তবে ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কারণে নতুন এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত টঙ্গী রেলস্টেশন পর্যন্ত যুক্ত করার বলে জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, মূলত টঙ্গী রেলস্টেশন এবং সড়ক জংশনকে যদি সংযুক্ত করতে পারি, তাহলে ওই অঞ্চলের মানুষের সুবিধা বাড়বে। এরই মধ্যে ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি শুরু হয়েছে।


আরও খবর



বাংলাদেশের দুর্বিষহ কর ব্যবস্থা ও পরিসংখ্যান

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image

বাংলাদেশ তার উন্নয়ন কার্যক্রম চালানোর জন্য অর্থ যোগানে রাজস্ব বাড়াতে লড়াই করছে, এমনকি একই আয়ের তালিকায় থাকা অন্যান্য দেশগুলির চেয়েও বেশি। আর্থিক বছর ২০২২ এ, মাত্র ১.৪% মানুষ আয়কর রিটার্ন দাখিল করেছে। প্রতিবেশী ভারতে এই সংখ্যা ৫.৮%।

ফ্রান্সে অবস্থিত ওইসিডি(OECD) অর্গানাইজেশন ফর ইকনোমিক কর্পোরেশন এন্ড ডেভেলপমেন্ট জরিপ মতে ২০২০ সালে বাংলাদেশের কর-টু-জিডিপি হার ১০.২ শতাংশ যেখানে এশিয়ার দেশগুলোর কর-টু-জিডিপি হার ১৯.১ শতাংশ যা আমাদের দেশের তুলনায় ৮.৯ শতাংশ বেশি এবং যদি ওইসিডি(OECD) ভুক্ত দেশগুলোর সাথে তুলনা করি তাহলে ওইসিডি(OECD) দেশগুলোর কর- টু-জিডিপি হার ৩৩.৫ শতাংশ যা আমাদের দেশ থেকে ২৩.৩ শতাংশ বেশি। পরিসংখ্যান অনুযায়ী ভারতে ১৫%, শ্রীলংকায় ১১.৫%, পাকিস্তানে ১১.৮%, আফগানিস্তানে এ হার ৯.৩% ও নেপালে ১৮% ।

যদি, আমরা ২০০৭ থেকে ২০২০ সালের পরিসংখ্যান লক্ষ করি , তাহলে দেখা যাবে যে ২০০৭ সালে বাংলাদেশের কর-টু-জিডিপি হার ৮.৫ শতাংশ ছিল, ২০২০সালে যা শুধু ১.৭শতাংশ বেঁড়ে ১০.২ শতাংশ হয়েছিল, যার মধ্যে ২০১৩ সালে সর্বোচ্চ ১০.৮ শতাংশ ছিল।

সিইআইসি(CEIC) এর তথ্য মতে, ২০২২ সালে কত কর-টু-জিডিপি হার ছিল ৮ শতাংশ ২০২৩সালে যা এসে দাঁড়িয়েছে ৭.৮ শতাংশ। গত এক বছরে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভে এক বড় ধাক্কার সম্মুখীন হয়েছে, এঁর পিছনে নানান কারন জড়িত। রিজার্ভ ঘাটতি মেটাতে ব্যর্থ হওয়ায় এ দেশের অর্থনীতিতে বড়সড় আঘাত লেগেছে, যার কারনে নিত্যপন্য দ্রব্য থেকে শুরু করে বিলাসবহুল জিনি্সের বাজারেও নেতিবাচক প্রভাব পরেছে। এই সমস্যার আরেকটি বড় কারণ হলো সরকার কাঙ্ক্ষিত কর তুলতে ব্যর্থ হয়েছে। যার কারন হতে পারে জনগনের কর ফাঁকি অথবা কর দানে অনুৎসাহ, ফলশ্রুতিতে জিডিপিতে কর হার এত কম।

অর্থনীতির এই জটিল অবস্থায় অর্থনীতিকে টিকিয়ে রাখতে বাংলাদেশ যখন আইএমএফ(IMF) এর কাছে ঋণ অনুমোদন চায় তখন আইএমএফ এর দেয়া শর্তগুলোর মধ্যে একটি ছিল , কর-টু-জিডিপি হার ২০২৪ এর মধ্যে ৮.৩ শতাংশ এবং ২০২৬ এর মধ্যে ৯.৫%মধ্যে উন্নিত করতে হবে। এত কিছুর পরেও ২০২৩ সালে সরকার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪৪ হাজার কোটি টাকা কর আয় কম তুলতে পেরেছে ।

ওইসিডি(OECD) তথ্য অনুসারে বাংলাদেশের কর আয়ের সবচেয়ে বড় উৎস মূল্য সংযোজন কর / পণ্য ও পরিষেবা কর(value added taxes / goods and services tax) যার হার মোট কর উত্তলনের ৩৩ শতাংশ, এখানে ব্যক্তি আয়কর (Personal income tax) সবচেয়ে কম ১১ শতাংশ, আশ্চর্য ভাবে এদেশের সামাজিক নিরাপত্তা (Social security contributions) খাতের ক্ষেত্রে কোনো কর আদায় হয় না। কিন্তু যা অন্যান্য উন্নত দেশের প্রধানতম আয়ের উৎস। যদি এশিয়ার দেশ গুলোর দিকে দেখি তাহলে, ব্যক্তি আয়কর ১৬ শতাংশ, মূল্য সংযোজন কর ২৩ শতাংশ, সামাজিক নিরাপত্তা খাত থেকে আয় ৬ শতাংশ। আর ওইসিডি(OECD) ভুক্ত দেশ গুলোতে ব্যক্তি আয়কর ২৩ শতাংশ, মূল্য সংযোজন কর ২০ শতাংশ, সামাজিক নিরাপত্তা খাত থেকে আয় ২৬ শতাংশ। সুতরাং স্পষ্ট ভাবে বুঝা যাচ্ছে তাদের কর আদায়ের উৎস এবং প্রক্রিয়া কতটা ফলপ্রসূ এবং কার্যকর।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত এপ্রিল-জুন ২০২২সালের ত্রৈমাসিক কর আদায় এর তথ্য অনুসারে, ২০২২ সালে কর আয় লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩,৪৬,০০০ কোটি টাকা, যা বাস্তবে অর্জিত হয় ৩,০৮,৬২৫ কোটি টাকা। ২০২১সালে কর আয় লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩,১৬,০০০ কোটি টাকা যাতে অর্জিত হয় ২,৬৯ ,০০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে রাজস্ব বোর্ড থেকেই আয় হয় ৯১.৩ ভাগ।

এমন এক সমীকরণ সামনে রেখে নতুন আয়কর আইন ২০২৩ সালের জুন মাসে সংসদে পাস হয়েছে এবং এটি বেশ আলোড়ন তৈরি করেছে। দেশের কর ব্যবস্থা এত দিন ধরে ১৯৮৪ সালের আয়কর অধ্যাদেশ দিয়ে চলেছে। তবে বিভিন্ন সময়ে সেই আয়কর অধ্যাদেশের সংশোধন করা হয়েছে। আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এর পর এটিই প্রথম পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে তৈরিকৃত আয়কর আইন। সবচেয়ে বড় কথা, দেশে এখন পরিপূর্ণ আয়কর আইন প্রণীত হয়েছে। প্রথমেই যে সেই আইনে সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে তেমনটা আশা করা যায় না। এখন এই আইনকে ভিত্তি ধরে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন ও পরিমার্জনের মাধ্যমে সময়ের পরিক্রমায় হয়তো আইনটি পরিপূর্ণ মাত্রা পাবে। আসা করা যায় এরই ফলশ্রুতিতে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থায় কর আয়ের উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসবে।


আরও খবর



সৌদি গমন অনিশ্চিত ৩৭ শতাংশ হজযাত্রীর

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image

হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাওয়ার প্রথম ফ্লাইট ৯ মে শুরু হয়। সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ থেকে এবার ৮৫ হাজারের বেশি হজযাত্রী হজে যাওয়ার জন্য নিবন্ধন করেছেন। শনিবার (১১ মে) আবেদনের সময়সীমা শেষ হতে চললেও এখন পর্যন্ত ভিসা পাননি ৩১ হাজার ৩৫৮ জন হজযাত্রী।

শনিবার সকালে আইটি হেল্প ডেস্কের প্রতিদিনের বুলেটিনে জানানো হয়েছে, এখন পর্যন্ত ৫৩ হাজার ৮৯৯ হজযাত্রীর ভিসা হয়েছে। এবছর সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনা মিলিয়ে মোট ৮৫ হাজার ২৫৭ জন হজ করতে যাবেন। সেই হিসাবে এখনও ৩৭ শতাংশ হজযাত্রীর ভিসা হয়নি।

হজ এজেন্সি মালিক ও ধর্ম মন্ত্রণালয় আশা করছে, শনিবারের মধ্যে বেশিরভাগ হজযাত্রীর ভিসা সম্পন্ন হয়ে যাবে। অল্প কিছু বাকি থাকলে, সেটাও দু-একদিনের মধ্যে করার জন্য সময় পাওয়া যাবে। তাই ভিসা জটিলতায় কেউ হজে যেতে পারবেন না এমনটা হওয়ার সুযোগ নেই।

এর আগে, ২৯ এপ্রিলের মধ্যে ভিসা সম্পন্নের নির্দেশনা দিয়েছিল ধর্ম মন্ত্রণালয়। এরপর সময় ৭ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়। সবশেষ ভিসা আবেদনের সময় বাড়িয়ে ১১ মে করা হয়। এ সময়ের মধ্যে হজযাত্রীর ভিসা কার্যক্রম সম্পন্ন করতে ব্যর্থ হলে উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য সংশ্লিষ্ট এজেন্সিকে দায়-দায়িত্ব বহন করতে হবে বলে জানিয়েছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়।

মোট হজযাত্রীর মধ্যে ৮০ হাজার ৮৩৮ জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এবং সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালন করবেন বাকি ৪ হাজার ৪১৯ জন।

হজ পোর্টালের প্রতিদিনের বুলেটিনে জানানো হয়েছে, শুক্রবার পর্যন্ত মোট ৫ হাজার ১৮২ জন হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রী ২ হাজার ৫০০ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রী ২ হাজার ৬৮২ জন। এখন পর্যন্ত ফ্লাইট সংখ্যা ১৩টি।

হজের আগে ১১৬টি এবং হজ শেষে ফিরতি ১২৫টি ফ্লাইট পরিচালনা করবে বিমান। এ বছর চাঁদ দেখা সাপেক্ষে হজ অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ১৬ জুন।


আরও খবর