Logo
শিরোনাম

দুর্নীতির অভিযোগে বদলি-বরখাস্ত ও অবসর যথেষ্ট নয় : টিআইবি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ জুলাই ২০২৪ |

Image



সদরুল আইন:


দুর্নীতির অভিযোগে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের বদলি, বরখাস্ত, বাধ্যতামূলক অবসর যথেষ্ট নয়।



 ক্ষেত্রবিশেষে তা দুর্নীতিকে উৎসাহ দেয় এবং অজান্তেই বিচারহীনতার সংস্কৃতি লালন করতে পারে বলে মন্তব্য করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।



গতকাল সোমবার (২ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা জানায় টিআইবি।



টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘প্রশাসনিক পদক্ষেপের পরিবর্তে দুর্নীতিবাজ সরকারি কর্মকর্তাদের যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে।



 বদলি বা অবসরের মতো প্রশাসনিক পদক্ষেপ আশাব্যঞ্জক মনে হলেও তাতে দুর্নীতির মূল কারণগুলো যথাযথভাবে তুলে ধরা হয় না।’



সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও পুলিশের মতো সংস্থায় দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বদলি বা বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর ঘটনায় উদ্বেগও প্রকাশ করেন টিআইবি প্রধান।


ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে এই ধরনের পদক্ষেপ এমন একটি চক্রকে স্থায়ী করতে পারে, যেখানে কঠোর আইনি পরিণতির অভাবে দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে থাকে না।’


সরকারি চাকরি (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালার সংশোধনীর পরামর্শ দিয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত সরকারি কর্মচারীদের জবাবদিহিতা ব্যবস্থাকে দুর্বল করে তুলেছে। 



এ ধরনের আইনি ফাঁকফোকরগুলো আইনের দৃষ্টিতে সমতার সাংবিধানিক নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক।’



ড. ইফতেখারুজ্জামান অভিযোগ করে বলেন, ‘দুর্নীতির অভিযোগে ন্যূনতম শাস্তির ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা একটি ক্ষতিকর বার্তা দেয়। এটি ইঙ্গিত দেয় যে, কিছু ব্যক্তি আইনের ঊর্ধ্বে, যা জনগণের আস্থা কমায় এবং নৈতিক শাসনের ভিত্তিকে নষ্ট করে।’


দুর্নীতি দমনে রাজনৈতিক নেতাদের ভূমিকার কথা তুলে ধরে ড. ইফতেখারুজ্জামান ক্ষমতার ঊর্ধ্বে উঠে একটি সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণের আহ্বান জানান। একইসঙ্গে রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা ও প্রাতিষ্ঠানিক আঁতাতসহ দুর্নীতির বিকাশ ঘটায়, এমন পদ্ধতিগত বিষয়গুলোর দায়িত্ব নিতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিও আহ্বান জানান তিনি।


টিআইবি প্রধান বলেন, ‘রাজনৈতিক নেতারা জবাবদিহিতা এড়িয়ে গেলে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি কার্যকরভাবে রোধ করা যাবে না। জনগণের আস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং নৈতিক মান বজায় রাখতে আমাদের এমন দৃঢ় পদক্ষেপ দরকার, যা স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার প্রতি সত্যিকারের প্রতিশ্রুতিকে তুলে ধরে।’



দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কঠোর তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।


আরও খবর



রোববার সন্ধ্যায় তৃতীয় মেয়াদের জন্য শপথ নেবেন নরেন্দ্র মোদি

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ জুলাই ২০২৪ |

Image

বিডি টু ডে রিপোর্ট:


নরেন্দ্র মোদি আগামীকাল রবিবার সন্ধ্যায় টানা তৃতীয় মেয়াদে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিবেন নরেন্দ মোদি।


 মোদির দল বিজেপি নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (এনডিএ) গতকাল শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে প্রধানমন্ত্রী পদে সমর্থন দেয়। এরপরই রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু নতুন জোট সরকার গঠনের জন্য নরেন্দ্র মোদিকে আহ্বান জানিয়েছেন।


 মোদির শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আজ দিল্লি যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


এছাড়া শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে, নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দহল, ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়াল ওয়াংচুক।


টানা দুই মেয়াদে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়েই ক্ষমতায় ছিল মোদির বিজেপি। তবে এবারের নির্বাচনে তারা একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে। যদিও সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট। 


সরকার গঠনের জন্য লোকসভায় ২৭৩ আসনের প্রয়োজন। বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট পেয়েছে ২৯৩ আসন। তাই জোটের শরিকদের ওপর ভর করেই তৃতীয় বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন মোদি।


 পার্লামেন্টের সেন্ট্রাল হলে আয়োজিত বৈঠকে আনুষ্ঠানিকভাবে এনডিএ জোটের সংসদীয় নেতা নির্বাচিত হন নরেন্দ্র মোদি। সেখানে মোদি বলেন, আমাদের গত ১০ বছর ছিল শুধু ‘ট্রেলার’। আমাদের আরও কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। 


দেশের উন্নয়ন আরও ত্বরান্বিত করতে হবে। এ সময় কংগ্রেসের সমালোচনা করে মোদি বলেন, এবারের নির্বাচনেও কংগ্রেস ১০০ আসন জিততে পারেনি। বিজেপি এবার ২৪০ আসনে জিতেছে। 


গত তিন নির্বাচন মিলেও এত আসনে জিততে পারেনি কংগ্রেস। ইন্ডি জোটের লোকেরা আস্তে আস্তে ডুবছিল, এবার আরও দ্রুত গতিতে ডুবে যাবে।


নতুন জোট সরকার টিকিয়ে রাখতে নরেন্দ্র মোদিকে যাদের ওপর নির্ভর করতে হবে তাদের একজন হলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। বৈঠকে তিনি বলেন, আমরা আত্মবিশ্বাসী যে, নরেন্দ্র মোদি ভারতের উন্নয়ন করবেন এবং আমরা তাকে আন্তরিকভাবে সমর্থন করব। 


আমরা সবাই আপনার নেতৃত্বে কাজ করব। আরেক গুরুত্বপূর্ণ নেতা চন্দ্রবাবু নাইডু বলেন, ভারত সঠিক সময়ে সঠিক নেতার নেতৃত্বে রয়েছে। আমরা আত্মবিশ্বাসী যে, নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারত আগামী পাঁচ বছরে প্রথম অথবা দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ।



এরপর মোদি প্রবীণ বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আদভানী, মুরলী মনোহর জোশী এবং সাবেক রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে সাক্ষাত করেন। তাদের সঙ্গে সাক্ষাত শেষে রাইসিনা হিলে রাষ্ট্রপতি ভবনে যান মোদি। সেখানে তৃতীয় বারের মতো এনডিএ জোট সরকার গঠনের আনুষ্ঠানিক আহ্বান জানাতে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে আবেদন জানান তিনি। 



রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সামনে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে মোদি বলেন, এটুকু আশ্বাস দিতে পারি, গত দুই মেয়াদের উন্নয়নের যে গতি বজায় ছিল, তৃতীয় দফার পাঁচ বছরেও তা থাকবে। এরপরে তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি আমাকে ডেকেছিলেন। সরকার গড়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। 


আমি তাকে জানিয়েছি, ৯ জুন রবিবার সন্ধ্যায় শপথগ্রহণ হলে ভালো হয়। তার মধ্যেই মন্ত্রীদের তালিকা আমি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠিয়ে দেব। সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, নরেন্দ্র মোদি স্থানীয় সময় রবিবার সন্ধ্যায় শপথ নেবেন। 


লোকসভায় কংগ্রেসের আসন বেড়ে ১০১

সংসদীয় রীতি অনুযায়ী না হলেও ভারতের লোকসভায় কংগ্রেসের আসন ১০০ পার হয়েছে। মহারাষ্ট্রের সাংলি লোকসভা আসন ও বিহারের পূর্ণিয়া আসন থেকে নির্বাচিত স্বতন্ত্র দুই প্রার্থী কংগ্রেসের সঙ্গে থাকার কথা জানিয়ে দিয়েছেন। 


মহারাষ্ট্রের সাংলি থেকে জয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী বিশাল পাটিল বৃহস্পতিবার দিল্লি এসে কংগ্রেসের সঙ্গে থাকার কথা জানিয়ে দেন। বিহারের পূর্ণিয়া থেকে জয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী রাজেশ রঞ্জন ওরফে পাপ্পু যাদবও একই কথা জানিয়েছেন। খবর: এনডিটিভি ও হিন্দুস্তান টাইমস।


আরও খবর



শিশুশ্রমের বিরুদ্ধে এগিয়ে আসার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ জুলাই ২০২৪ |

Image

বিডি টু ডে  রিপোর্ট:

শিশুশ্রমের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে এ আহ্বান জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিশুশ্রম নিরসনে একযোগে কাজ করার এখনই সময়। এসডিজি ৮.৭ অর্জনে শিশুশ্রমের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। শিশুদের স্বাভাবিক বিকাশ ও শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করাসহ শিশুশ্রম নিরসনে প্রত্যেকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে আরও সচেষ্ট হতে হবে।


তিনি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্বাস করতেন আজকের শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ, শিশুরাই তার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলবে। এই ভাবনা থেকেই জাতিসংঘ শিশু সনদের ১৫ বছর আগে ১৯৭৪ সালে তিনি জাতীয় শিশু নীতি প্রণয়ন করেন।


শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের শিশু, নারী ও অনগ্রসর অংশসহ প্রতিটি মানুষের জীবনমান উন্নয়ন, কর্মের স্থিতিশীলতা, শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং শ্রমজীবী মানুষের কল্যাণ ও অধিকার সংরক্ষণকে বিশেষ গুরুত্ব দেন।



 তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ১৯৭২ সালে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থাতে (আইএলও) যোগ দেয়। শিশু শিক্ষার বিকাশ নিশ্চিত করতে তিনি প্রাথমিক শিক্ষাকে জাতীয়করণ করেন।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানে শিশুসহ সব নাগরিকের মৌলিক অধিকারকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। সংবিধানের ২৮(৪) অনুচ্ছেদে নারী, শিশু ও সমাজের অনগ্রসর অংশের অগ্রগতির জন্য বিশেষ বিধান প্রণয়নের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।


তিনি বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান ও জাতির পিতার আদর্শ অনুসরণ করে আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশে শিশু শ্রম প্রতিরোধে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছে। শ্রমজীবী শিশুদের ঝুঁকিপূর্ণ কাজ থেকে প্রত্যাহারের লক্ষ্যে আমরা ‘জাতীয় শিশুশ্রম নিরসন নীতি-২০১০’ প্রণয়ন করেছি। 



এ নীতি বাস্তবায়নে জাতীয় শিশুশ্রম কল্যাণ পরিষদ, উপজেলা শিশুশ্রম পরিবীক্ষণ কমিটি, জেলা শিশুশ্রম পরিবীক্ষণ কমিটি এবং বিভাগীয় শিশুশ্রম কল্যাণ পরিষদ গঠন করা হয়েছে। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় শিশুদের জন্য ৪৩টি কাজকে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ হিসেবে চিহ্নিত করে তা গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে।


শেখ হাসিনা বলেন, এ পর্যন্ত ১ লাখ ৯০ হাজার শিশুকে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। আইএলও কনভেনশন অনুযায়ী শিশুশ্রম নিরসনের লক্ষ্যে ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘শিশুশ্রম নিরসন ও পুনর্বাসন প্রকল্প’ নামে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে, যা এ বছর শেষ হবে।



 গৃহকর্মে শিশুশ্রম নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে প্রণয়ন করা হয়েছে ‘গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি-২০১৫’। টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য অনুযায়ী আমরা দেশকে সব ধরনের শিশুশ্রম থেকে মুক্ত করার লক্ষ্যে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা ২০২১-২৫ প্রণয়ন করেছি এবং এটি বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছি।


তিনি আরও বলেন, আমাদের সরকার ‘জাতীয় শিশুনীতি-২০১১’, ‘শিশু আইন-২০১৩’, ‘বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন-২০১৭’ প্রণয়ন করেছে। এ ছাড়া সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের পুনর্বাসন এবং বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের বিকাশে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের বছরের শুরুতে বিনামূল্যে নতুন বই প্রদান করা হচ্ছে। প্রায় শতভাগ শিশু আজ স্কুলে যাচ্ছে।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ ছাড়া শিশুশ্রম নিরসনে আমরা বেসরকারি খাতগুলোকে সম্পৃক্ত করেছি। সহিংসতা ও শোষণ থেকে শিশুদের সুরক্ষা সম্পর্কে নিয়োগদাতাদের প্রশিক্ষিত করার বিষয়টিতে আমরা অগ্রাধিকার দিয়েছি।



আরও খবর



জাতিসংঘ পুলিশের কার্যক্রমে অবদান রাখার অঙ্গীকার বাংলাদেশের

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ জুলাই ২০২৪ |

Image

বিডি টুডেস ডেস্ক: জাতিসংঘ পুলিশের কার্যক্রমে ফলপ্রসূ অবদান রাখার বিষয়ে বাংলাদেশের অঙ্গীকার ও প্রস্তুতি পুনর্ব্যক্ত করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, শান্তিরক্ষা কার্যত্রমে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর আইন ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত সংস্থাগুলোর দক্ষতাবৃদ্ধি করতে হবে।

শুক্রবার (২৮ জুন) জাতিসংঘের বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন এ তথ্য জানায়। এর আগে বৃহস্প‌তিবার (২৭ জুন) নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে জাতিসংঘ পুলিশপ্রধানদের চতুর্থ সম্মেলনে প্রধান সেশনে এ অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন মন্ত্রী।

 এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বর্তমান পরিবর্তিত পরিস্থিতি ও প্রেক্ষাপটে, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে প্রাসঙ্গিক ও নির্দিষ্ট লক্ষ্যভিত্তিক বিশেষায়িত পুলিশিং-এর বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।

সম্মেলনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত, বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক কামরুল আহসান এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে মহিলা পুলিশ সদস্য প্রেরণ বৃদ্ধিতে বাংলাদেশের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে তিনি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের বিরুদ্ধে নানাবিধ অপপ্রচার রোধে জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত ব্যবস্থায় বাংলাদেশের অবদান তুলে ধরেন। 

পাশাপাশি শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারের গুরুত্ব বর্ণনা করে, এ ধরনের প্রযুক্তির দায়িত্বশীল ব্যবহারের বিষয়ে জোর দেন।


আরও খবর



দেশজুড়ে টানা ৩ দিন বৃষ্টির পূর্বাভাস

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4 |

Image

ঢাকাসহ দেশের ছয় বিভাগে বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এর মধ্যে তিন বিভাগে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন হোসেনের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।

এ পরিস্থিতিতে রবিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্য জায়গায় আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, ঝড়বৃষ্টি ও ভারী বর্ষণের প্রবণতা মঙ্গলবার পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। এর মধ্যে মঙ্গলবার চট্টগ্রাম বিভাগেও ভারী বর্ষণ হতে পারে। তবে এদিন ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগে নেই ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস।

এ ছাড়া বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়ার অবস্থায় বলা হয়েছে, এ সময়ের শেষদিকে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে।


আরও খবর



ফোনে কথা বলার খরচ বাড়ল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ জুলাই ২০২৪ |

Image

বিডি   ডিজিটাল ডেস্ক:


দেশের মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের দুঃসংবাদ। ফোনে কথা বলার খরচ বেড়েছে। 


২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটে মোবাইল ফোনের কল রেটের ওপর সম্পূরক শুল্ক ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। 


আগে মোবাইলফোনের কল রেটের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট এবং ১৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক দিতে হতো গ্রাহকদের। এখন তা আরও ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। এর সঙ্গে ভোক্তাদের ১ শতাংশ সারচার্জ দিতে হবে।



এই অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে মোবাইল ফোনের ওপর নতুন করে সম্পূরক শুল্ক ৫ শতাংশ বাড়ানোয় একজন গ্রাহক এখন ১০০ টাকার রিচার্জ করলে ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক কেটে নেওয়ার পর ৬৯ টাকা ৩৫ পয়সার কথা বলতে পারবেন।


আগে ১০০ টাকা রিচার্জ করলে ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক কেটে নেওয়ার পর গ্রাহকরা ৭৩ টাকার কথা বলতে পারতেন। অর্থাৎ ১০০ টাকা রিচার্জে আগের চেয়ে ৩ টাকা ৬৫ পয়সার কথা কম বলতে পারবেন গ্রাহকরা।



ফোনের কলরেটে এই সম্পুরক শুল্ক আজ থেকেই কার্যকর করবে দেশের মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো। কেননা, বাজেট ঘোষণার জন্য অর্থমন্ত্রী জাতীয় সংসদে বক্তব্য দেওয়া শুরু করলেই এ সংক্রান্ত আদেশ (এসআরও) মোবাইল ফোন অপারেটরদের কাছে পাঠানো হয়।


 ফলে বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিকেল ৩টার পর থেকেই নতুন হারে গ্রাহকের কাছ থেকে কর কর্তন শুরু করা হতে পারে।


আরও খবর