Logo
শিরোনাম

এনআইডি সংশোধন নিয়ে সংকটে ইসি

প্রকাশিত:সোমবার ০১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image

গাজী শাহনেওয়াজ :নাগরিকের বিদ্যমান তথ্যের সঙ্গে চাহিদার তথ্যের গরমিল থাকায় জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংশোধনে প্রতিনিয়ত সংকটের মুখোমুখি হতে হচ্ছে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি)। কারণ নিবন্ধনকালে যে তথ্য দিয়েছেন, পরবর্তী সংশোধনের সময় দেখা যাচ্ছে ভিন্ন তথ্য ও দলিল উপস্থাপন করেছে সংশ্লিষ্ট ভোটার।

দেখা গেছে, আগের তথ্যের সঙ্গে পরের দেওয়া তথ্য বাস্তবতার সঙ্গে খুবই অসামঞ্জস্যপূর্ণ। এনআইডি কর্তৃপক্ষ জানায়, বিশেষ করে শিক্ষা সনদ, ভূমির দলিল ও মুক্তিযোদ্ধা সনদের ভিন্নতা বেশি দেখা যায়। এ নিয়ে গত ১২ এপ্রিল একটি সভা করেছিলেন। সভায় এনআইডি কর্তৃপক্ষ ছাড়াও মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি, বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ, ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনা করে শিক্ষা সনদ সংক্রান্ত পাঁচটি কারণ যেমন- নিজ নামের সম্পূর্ণ বা আমূল পরিবর্তন, ধর্মান্তর, পিতা-মাতার নাম সংশোধন, জন্ম তারিখ পরিবর্তন ও চাকরির দলিল উপস্থাপন করে আইডি সংশোধন, মুক্তিযোদ্ধা সনদ সংক্রান্ত তিন কারণ এবং ভূমির দলিল সংক্রান্ত চার কারণ; যেমন- নিজ নামের ভিন্নতা (নিজ নামের সম্পূর্ণ পরিবর্তন, নামের আংশিক বা টাইটেল পরিবর্তন, ধর্মান্তরজনিত কারণে নিজ নামের পরিবর্তন) এবং একই ব্যক্তির দুই নাম যেমন- পারিবারিক ডাকনাম ও শিক্ষা সনদের মূল), পিতা-মাতা ও জন্ম তারিখ এবং স্বামী-স্ত্রীর নাম পরিবর্তন।

জানতে চাইলে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক (গ্রেড-১) এ কে এম হুমায়ুন কবীর প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্রে থাকা নাম, জন্ম তারিখ ও পিতা-মাতার নাম সংশোধন নিয়ে আমরা বিড়ম্বনার মধ্যে আছি। এটি সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সভা করেছি। সভার রেজুলেশন কমিশন সভায় উপস্থাপনের আগে এ বিষয়ে মন্তব্য করা সমীচীন হবে না। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২৬ এপ্রিল এ সংক্রান্ত রেজুলেশনে স্বাক্ষর হয়েছে।

শিক্ষা সনদ সংক্রান্ত নথির তথ্যনুযায়ী এনআইডির বক্তব্যে দেখা গেছে, আবেদনকারীরা ভোটার নিবন্ধনের সময় যে তথ্য লিপিবদ্ধ করে নিবন্ধিত হয়েছেন পরবর্তীতে আবার ভিন্ন নাম ব্যবহার করে মাদরাসা-কারিগরি ও উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে মাধ্যমিক বা সমমানের পাসের জন্য রেজিস্ট্রেশন করেন।

এখান থেকে পাস করা সনদ দিয়ে নিজ নাম, জন্ম তারিখ ও স্বাক্ষর সম্পূর্ণ পরিবর্তন চেয়ে আবেদন করেন, যা অনেক ক্ষেত্রেই ব্যক্তির সঠিকতা যাচাই করা সম্ভব হয় না। ফলে সংশোধনের আবেদনগুলো নিষ্পত্তি করা জটিল হয়। একইভাবে ধর্মান্তরের ক্ষেত্রে মাধ্যমিক বা সমমান সনদটি ধর্মান্তরের পূর্বে অর্জনকৃত এবং সনদে ধর্মান্তরের আগের নামটি লিপিবদ্ধ থাকে। সনদ সংশোধন ছাড়া ধর্মান্তরজনিত কারণে নিজ নামের সম্পূর্ণ পরিবর্তনের আবেদনগুলো নিষ্পত্তি করা জটিল হয়ে যায়। এ ছাড়া নিবন্ধনকালে পিতা-মাতার নাম এক রকম ব্যবহার করে জাতীয় পরিচয়পত্র প্রাপ্তির দীর্ঘ সময় পর চাকরির দলিল অনুযায়ী পিতা-মাতার নাম বা সম্পূর্ণ পরিবর্তনের আবেদন পাওয়া যায়। আবেদনের সঙ্গে মাদরাসা-কারিগরি ও উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে সনদ যুক্ত করা হয়। ফলে অনেক ক্ষেত্রেই প্রকৃত পিতা-মাতার পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায় না। অনুরূপভাবে শিক্ষা সনদটি আবেদনকারীর নিজের কি না বিষয়টি স্পষ্ট হয় না। তা ছাড়া অনেকে জাতীয় পরিচয়পত্র গোপন করে বয়স কমিয়ে চাকরিতে প্রবেশ করেন। পরে উন্মুক্ত বা এ ধরনের সনদ দেখিয়ে আইডি সংশোধন চান- এগুলো বিবেচনায় নিয়ে বিদ্যমান আইডি সংশোধন করতে গিয়ে ইসি সর্বদা সংকটে পড়ে।

ইসির এ ধরনের পর্যবেক্ষণের জবাবে বাংলাদেশ কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আলী আকবর বলেন, সাধারণ শিক্ষা বোর্ড ৮ম শ্রেণি পাসের সনদ দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করেন; সেক্ষেত্রে মাধ্যমিক পাসের বয়সসীমা থাকে সর্বনিম্ন ১৪ বছর বা তদূর্ধ্ব। আর কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ৯ শ্রেণি পাসের সনদ দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে থাকে। কিন্তু পরিচয়পত্র নিবন্ধনের জন্য বর্তমানে সর্বনিম্ন বয়সসীমা ১৬ বছর বা তদূর্ধ্ব (০১-০১-২০০৭ বা তার পূর্বে জন্ম ধরে), যার কারণে সনদের সঠিকতা নির্ণয় করা দুরুহ হয়ে পড়ে।

আর বাংলাদেশ কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মীর মোশাররফ হোসেন তার অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে বলেন, রেজিস্ট্রেশন করার সময় নাগরিকরা যে পিএসসি ও ৮ম শ্রেণির সনদ দাখিল করেন এবং নাম, পিতা-মাতার নাম ও জন্ম তারিখের গরমিল থাকলে, তা পরবর্তী সময়ে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা অফিস বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হতে ম্যানুয়ালি সংশোধন করে নিয়ে আসেন। এ কারণে সঠিক বা ভুল নির্ণয় করা জটিল হয়ে পড়ে।

সব পক্ষের আলোচনার পর সাত ধরনের সিদ্ধান্তে উপনীত হন সভায় উপস্থিত পক্ষগুলো; যেমন- আবেদনকারীর আগের পিএসসি-জেএসসি সনদের ভিত্তিতে মাধ্যমিক পর্যায়ে রেজিস্ট্রেশন নিশ্চিত করা, পিএসসি সনদ যাতে সহজে শুধুমাত্র উপজেলা-থানা শিক্ষা কর্মকর্তা সহজে সংশোধন করতে না পারে তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা, যেসব শিক্ষার্থীর জন্ম ১-১-২০০৭ বা তার আগে (যেহেতু তারা ২০২২ সালে কমিশন কর্তৃক পরিচালিত নিবন্ধন কার্যক্রমের আওতায় এনআইডি প্রাপ্ত হয়েছেন) তাদের ক্ষেত্রে আবশ্যিকভাবে এনআইডি কার্ড লিপিবদ্ধ জন্ম তারিখ আমলে নিয়ে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করা এবং যেহেতু মাধ্যমিক পর্যায়ে রেজিস্ট্রেশনের ন্যূনতম বয়সসীমা ১৪ বছর, সেহেতু দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরবর্তীকালে অনুষ্ঠিতব্য হালনাগাদ কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে নিবন্ধনের উদ্দেশ্যে জন্ম তারিখের সীমারেখা এমনভাবে নির্ধারণ করতে হবে যেন ১৩+ বয়সি শিক্ষার্থীরা নিবন্ধনের আওতায় চলে আসে।

এদিকে, মুক্তিযোদ্ধা বিষয় মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি যুগ্ম সচিব রথীন্দ্র নাথ দত্ত বলেন, ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এমআইএস) এ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের (জীবিত-মৃত) পূর্ণাঙ্গ তথ্য সংবলিত ডাটাবেজ তৈরি করা হয়েছে। জীবিত ১ লাখ ২ হাজার মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ৯৮ হাজার জনকে এমআইএস নম্বরসহ স্মার্টকার্ড এবং ডিজিটাল সনদ প্রদান করা হয়। বাকি ৪ হাজার মুক্তিযোদ্ধার স্মার্টকার্ড বিতরণের অপেক্ষায় রয়েছে।

আর ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব তানিয়া আফরোজ বলেন, জমি রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আইন মন্ত্রণালয়ের একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে যেখানে জমি ক্রয়-বিক্রয়ের সময় জাতীয় পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। অনলাইন পরিচয়পত্রের মাধ্যমে ভূমি রেজিস্ট্রেশন করা যাবে এবং জমি রেজিস্ট্রেশনের যেসব সীমাবদ্ধতা রয়েছে সেগুলোর কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সভায় ভূমি রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়-বিভাগ-দপ্তরের এনআইডির অনলাইন যাচাই নিশ্চিত করতে হবে ইসির সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তির আলোকে।


আরও খবর



ভারতের ২ ব্র্যান্ডের মসলা বিক্রি নিষিদ্ধ করল নেপাল

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image

 ডিজিটাল ডেস্ক:


সিঙ্গাপুর ও হংকংয়ের পর এবার ভারতের দুই ব্র্যান্ডের মসলা বিক্রি ও ব্যবহার নিষিদ্ধ ঘোষণা করল নেপাল। এভারেস্ট এবং এমডিএইচ ব্র্যান্ডের পণ্যগুলোতে ক্ষতিকারক রাসায়নিকের উপস্থিতি পাওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। খবর ইন্ডিয়া টুডে।


বার্তা সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, ওই দুই ব্র্যান্ডের মসলায় ইথিলিন অক্সাইডের মাত্রা যাচাইয়ের জন্য পরীক্ষা করা শুরু করেছে নেপালের খাদ্য প্রযুক্তি ও গুণমান নিয়ন্ত্রণ বিভাগ। এই উপাদানটি মানবদেহে ক্যানসার সৃষ্টি করে।



নেপালের খাদ্য প্রযুক্তির মুখপাত্র মোহন কৃষ্ণ মহারজান এএনআইকে বলেন, ‘এভারেস্ট ও এমডিএইচ ব্র্যান্ডের মসলা আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আমরা এগুলো বাজারে বিক্রিও নিষিদ্ধ করেছি। মসলায় ক্ষতিকারক রাসায়নিকের উপস্থিতির খবরের পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।’


তিনি আরও বলেন, ‘এই দুটি বিশেষ ব্র্যান্ডের মসলায় রাসায়নিকের উপস্থিতি যাচাইয়ের জন্য পরীক্ষা চলছে। চূড়ান্ত রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।’



এভারেস্ট ও এমডিএইচ ব্র্যান্ডের মসলা কয়েক দশক ধরেই ভারতের গৃহস্থালি পণ্য হিসেবে বেশ জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছে। এমনকি এগুলো মধ্যপ্রাচ্যসহ বেশ কয়েকটি দেশে রপ্তানিও করা হয়। নিউজিল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়াতেও এই দুই ব্র্যান্ডের মশলাগুলো নিয়ে পরীক্ষা করা হচ্ছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।


নিউজিল্যান্ডের খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রকের ভারপ্রাপ্ত উপ-মহাপরিচালক জেনি বিশপ রয়টার্সকে বলেন, ‘ইথিলিন অক্সাইড এমন একটি রাসায়নিক যা মানবদেহে ক্যানসার সৃষ্টি করে। 


খাদ্য জীবাণুমুক্ত করার কাজে এই রাসায়নিকের ব্যবহার নিউজিল্যান্ড ও অন্যান্য দেশে পর্যায়ক্রমে বন্ধ করা হয়েছে। যেহেতু এমডিএইচ এবং এভারেস্ট ব্র্যান্ডের মসলা নিউজিল্যান্ডে পাওয়া যায় তাই আমরা এটি নিয়ে কাজ করছি।’


গত এপ্রিলে হংকং খাদ্য নিরাপত্তা সংস্থা দুটি ব্র্যান্ডের চারটি মমলা পণ্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এরপর সিঙ্গাপুরের ফুড এজেন্সিও (এসএফএ) ইথিলিন অক্সাইডের মাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার কারণে এভারেস্টের ফিশ কারি মাসালা প্রত্যাহার করে।


ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অব ইন্ডিয়া (এফএসএসএআই) ইতোমধ্যে এমডিএইচ ও এভারেস্টের পণ্যের গুণমান পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছে৷ প্রতিষ্ঠানটি হংকং ও সিঙ্গাপুরের খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রকদের কাছ থেকেও বিস্তারিত জানতে চেয়েছে।






আরও খবর



মাভাবিপ্রবিতে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার্থীদের পাশে নারায়ণগঞ্জ-মুন্সিগঞ্জ এসোসিয়েশন

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

মো: হ্নদয় হোসাইন,মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

টাংগাইলে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (মাভাবিপ্রবি) জিএসটি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মাভাবিপ্রবি   নারায়ণগঞ্জ- মুন্সিগঞ্জ শিক্ষার্থী কল্যান পরিষদ উদ্যোগে গুচ্ছ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের তথ্য সহায়তায় হেল্পডেস্ক ও  তৃষ্ণার্ত ব্যক্তিদের ঠান্ডা পানি,সরবত অথবা স্যালাইন বিতরণ করা হ‌য়ে‌ছে।

শ‌নিবার (২৭ এপ্রিল ) সকাল থে‌কে  মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রত্যয় একাত্তরের সামনে  ক‌্যাম্প স্থাপন ক‌রে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় আগত শিক্ষার্থীদের এই সেবা প্রদান করেন মাভাবিপ্রবি   নারায়ণগঞ্জ- মুন্সিগঞ্জ শিক্ষার্থী কল্যান পরিষদের শিক্ষার্থীরা।

মাভাবিপ্রবি   নারায়ণগঞ্জ- মুন্সিগঞ্জ শিক্ষার্থী কল্যান পরিষদের সভাপতি মোহাম্মদ রিয়াজ হোসেন আর সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন নেতৃ‌ত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যয় একাত্তরের  সামনে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্য দুপুরে তৃষ্ণার্ত ব্যক্তিদের ঠান্ডা পানি,সরবত অথবা স্যালাইন পান করা  এবং তথ্য সহায়তা ও সেবা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়।

মাভাবিপ্রবি   নারায়ণগঞ্জ- মুন্সিগঞ্জ শিক্ষার্থী কল্যান পরিষদের সাংগঠিন সম্পাদক  শাহ্- পরান শুভ  বলেন,

প্রতিবছর ভর্তি পরীক্ষার সময় নারায়নগঞ্জ -মুন্সিগঞ্জ শিক্ষার্থী কল্যাণ পরিষদ  (মাভাবিপ্রবি) সর্বাত্মক চেষ্টা করে ভর্তি ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের হেল্প করার।তারই ধারাবাহিকতায় আমরা এবার ভিন্ন কিছু আয়োজন করার চেষ্টা করছি।

তীব্র গরমে দুপুরে তৃষ্ণার্ত ব্যক্তিদের ঠান্ডা পানি,সরবত অথবা স্যালাইন পান করানোর মতো মহৎ কাজ আর কি হতে পারে!

 তাই এডমিশন যুদ্ধে ছুটে আসা শিক্ষার্থী,গার্ডিয়ান সেই সাথে  মহান পেশায় জড়িত রিক্সা চালক মামা, কর্তব্যরত পুলিশ, বিএনসিসি মেম্বার, আনসার ও সেচ্ছাসেবী  সবাইকে পানীয় বিতরণ করেছি।আলহামদুলিল্লাহ আমরা আল্লাহর রহমতে ১৬০০+ গ্লাস শরবত, পানি ও স্যালাইন এর আয়োজন করতে সক্ষম হয়েছি।

 এ ছাড়াও এই এরপাশাশি  আমরা হেল্প ডেস্ক ও ছাউনী ব্যবস্থা করতে পেরেছি।


আরও খবর

একাদশের ক্লাস শুরু ৩০ জুলাই

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




আসছেন কাতারের আমির, সই হবে ১১ চুক্তি

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি দুই দিনের সফরে ঢাকায় আসছেন। তার এ সফরের সময় দুই দেশের মধ্যে ১১টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সইয়ের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে চারটি চুক্তি ও ছয়টি এমওইই। এ ছাড়া আলোচনায় প্রাধান্য পাবে মধ্যপ্রাচ্য সংকট ও রোহিঙ্গা সমস্যায় স্থায়ী সমাধানের বিষয়টি।

এছাড়া শ্রমশক্তি বিষয়ে সমঝোতা স্মারক, বন্দর পরিচালনা বিষয়ে সমঝোতা স্মারক, উচ্চশিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা খাতে সহযোগিতার বিষয়ে সমঝোতা স্মারক, যুব ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক, কূটনৈতিক প্রশিক্ষণে সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক সই হবে। দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে সোমবার বাংলাদেশে আসছেন শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। তার এই সফরের বিস্তারিত গতকাল রবিবার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তুলে ধরেন হাছান মাহমুদ।

সফরটিকে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ও রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হবে। এই সফরটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ কাতার হচ্ছে পেট্রোলিয়াম সমৃদ্ধ সর্বোচ্চ গড় মাথাপিছু আয়ের দেশ। শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ। ভূ-রাজনৈতিক অবস্থান এবং কূটনৈতিক মধ্যস্থতার কারণে মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাবশালী দেশ হিসেবে পরিচিত কাতার। বাংলাদেশের অন্যতম শ্রমবাজারও যেখানে প্রায় ৪ লাখ বাংলাদেশি কাজ করছে। পাশাপাশি এই সফর একটি সম্ভাবনাময় বিনিয়োগের উৎস হিসেবে বিবেচিত। বাংলাদেশের জন্য জ্বালানি আমদানির ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস।

স্বাধীনতার পর থেকেই কাতার ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, বন্ধুত্বের সম্পর্ক অনেক দিনের। কাতার বঙ্গবন্ধুকালীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দানকারী অন্যতম মুসলিম রাষ্ট্র। ২০২৩ সালে কাতার ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক আবারও সুদৃঢ় হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় কাতারের মহা মুহিম আমির বাংলাদেশ সফর করবেন।

সম্প্রতি কাতারের সঙ্গে বিভিন্ন পর্যায়ের কূটনৈতিক যোগাযোগ এবং দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার পরিধি বাড়ানোর লক্ষ্যে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির সুযোগ সৃষ্টি, জ্বালানি বিমান চলাচল, কৃষি, খাদ্য নিরাপত্তা জলবায়ু পরিবর্তন ইত্যাদি ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। কাতারের আমিরের সফরে বাংলাদেশে ইকোনোমিক জোন করে দেওয়ার প্রস্তাব রাখা হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, আমাদের সিরামিক আছে, আমাদের গার্মেন্ট প্রোডাক্ট আছে, আমাদের আরো অনেক এক্সপোর্ট আইটেম আছে, এগুলো রপ্তানি বাড়ানোর জন্য বলব। এছাড়া আমাদের ওষুধ আছে। এগুলো এখনো রপ্তানি হয়, এগুলো ভলিয়মটা আরো বাড়ানোর জন্য বলব। বাংলাদেশে যাতে তাদের ইনভেস্টমেন্ট হয়, বিশেষ করে আমাদের ইকোনোমিক জোনে যাতে তাদের ইনভেস্টমেন্ট হয় সেটাও আলোচনা করব। আমরা বিনিয়োগ চাইব, কাতার তো নানা ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করতে পারে, অর্থনৈতিক সেক্টরে বিনিয়োগ করতে পারে।


আরও খবর



খাদ্যে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে, চাপে আছে গ্রামের মানুষ

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) জানিয়েছে, দেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতি আবার বেড়েছে একমাসের ব্যবধানে। সবশেষ গত এপ্রিল মাসে খাদ্যখাতে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১০ দশমিক ২২ শতাংশে উঠেছে। এর আগের মাস মার্চে এ হার ছিল ৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ।

এরও আগে গত বছরের নভেম্বর মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ৭৬ শতাংশ। অর্থাৎ, চার মাস পর খাদ্য মূল্যস্ফীতি আবার ১০ শতাংশ ছাড়ালো। তবে মূল্যস্ফীতির হার শহরের চেয়ে গ্রামে বেশি। সাধারণ, খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত খাতে শহরের চেয়ে গ্রামের মানুষ বেশি চাপে আছে। একই সঙ্গে যেভাবে মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে সেভাবে মানুষের আয় বাড়েনি।

সোমবার (১৩ মে) প্রতিষ্ঠানটি মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ এ তথ্য প্রকাশ করেছে।

সেখানে দেখা গেছে, এপ্রিল মাসে খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে; গত মাসে এ খাতে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ। এর আগে মার্চ মাসে যা ছিল ৯ দশমিক ৬৪ শতাংশ।

এদিকে, গত এপ্রিল মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ হয়েছে; আগের মাস মার্চে এ হার ছিল ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ।

বিবিএস প্রকাশিত তথ্যে দেখা গেছে, শহরের চেয়ে গ্রামে মূল্যস্ফীতির হার বেশি। এপ্রিলে শহরে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার ৯ দশমিক ৪৬ শতাংশ, অথচ গ্রামে এ হার ছিল ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ। গ্রামে খাদ্যখাতে মূল্যস্ফীতির হার ১০ দশমিক ২৫ শতাংশ এবং খাদ্যবহির্ভূত খাতে ৯ দশমিক ৬০ শতাংশ।

অন্যদিকে, শহরে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার ৯ দশমিক ৪৬ শতাংশ। শহরে খাদ্যখাতে ১০ দশমিক ১৯ শতাংশ এবং খাদ্যবহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতির হার হয়েছে ৯ দশমিক ০১ শতাংশ। শহরের তুলনায় গ্রামে সব খাতেই মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে।

বিবিএস বলছে, যেখানে এপ্রিল মাসে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ, সেখানে মজুরি সূচক বেড়ে মাত্র ৭ দশমিক ৮৫ শতাংশ হয়েছে। তার মানে সংসারের খরচ মেটাতে ধারদেনা করতে হচ্ছে। কৃষিতে ৮ দশমিক ২৫, শিল্প খাতে ৭ দশমিক ৩৬ ও সেবা খাতে মজুরি সূচক ৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ। কোনো খাতেই ৯ শতাংশের ওপরে মজুরি নেই, অথচ সাধারণ মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের কাছাকাছি।

 


আরও খবর



ঢাকার বাতাসে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দিন দিন বাড়ছে রাজধানী ঢাকার বায়ুদূষণ। মাঝে মধ্যে বৃষ্টি হলে শহরটির বাতাসের মানের কিছুটা উন্নতি হয়। তবে কয়েক দিনের তীব্র গরমের মধ্যে ঢাকার বাতাসের মান আবারও দূষণের দিকে যাচ্ছে। বাতাসে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকিও।

বুধবার (০১ মে) সকাল ৯টা ৫২ মিনিটের দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ৯৬ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ১৭তম অবস্থানে রয়েছে রাজধানী ঢাকা। আজ ঢাকার বাতাস সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য মাঝারি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

এদিকে আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ১৯০ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে নেপালের কাঠমান্ডু ; ১৭১ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি, ১৬৫ স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে ইন্দোনেয়ার মেদান , ১৬১ স্কোর নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছে পাকিস্তানের করাচি শহর। এ ছাড়া ১৬০ স্কোর নিয়ে পঞ্চম স্থানে আছে ভারতের কলকাতা।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে অস্বাস্থ্যকর বায়ু বলে মনে করা হয়।

২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে; যেমন: বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে থাকে। এটা সব বয়সি মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।


আরও খবর