Logo
শিরোনাম

ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা, তবু ফিরতে হলো খালি হাতে

প্রকাশিত:সোমবার ১৪ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image

নিত্যপণ্যের দাম বাড়ায় প্রতিনিয়ত মানুষের চাপ বাড়ছে  টিসিবির ট্রাকের সামনে। তবে চাহিদা বেশি ভোজ্যতেলের। একটি ট্রাকে দুই থেকে আড়াই শ জনের জন্য পণ্য থাকে। কিন্তু মানুষ আসেন চার-পাঁচ শ। ফলে পরিস্থিতি সামাল দেয়া যাচ্ছে না। দয়াগঞ্জ মোড়ে টিসিবির ট্রাক থেকে পণ্য কিনতে এসে খালি হাতে ফিরতে হয়েছে ৪৫ থেকে ৫০ জন নারী-পুরুষকে। তাদের কেউ কেউ সাড়ে চার ঘণ্টা অপেক্ষার পরও কোনো পণ্য পাননি।

দয়াগঞ্জ মোড়ে বেলা পৌনে দুইটার দিকে আবার কথা হয় হাসনা বেগমের সঙ্গে। আক্ষেপ করে তিনি বলেন, হঠাৎ সব জিনিসের দাম বেড়ে যাওয়ায় তুলনামূলক কম দামে পণ্য কিনতে এসেছিলেন। কিন্তু কপালে কিছুই জুটল না। দয়াগঞ্জ মোড়ে টিসিবির ট্রাক থেকে পণ্য কিনতে এসে খালি হাতে ফিরতে হয়েছে ৪৫ থেকে ৫০ জন নারী-পুরুষকে। তাদের কেউ কেউ সাড়ে চার ঘণ্টা অপেক্ষার পরও কোনো পণ্য পাননি।

একজন ব্যক্তি টিসিবির ট্রাক থেকে সাশ্রয়ী মূল্যে সর্বোচ্চ দুই লিটার তেল, দুই কেজি চিনি, দুই কেজি ডাল ও পাঁচ কেজি পেঁয়াজ কিনতে পারেন। আর প্রতিটি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে শুক্রবার ছাড়া সপ্তাহের বাকি দিনগুলোর জন্য বরাদ্দ থাকে ৫০০ লিটার তেল, ১ হাজার কেজি পেঁয়াজ এবং ৫০০ কেজি করে চিনি ও মসুর ডাল। দয়াগঞ্জ মোড়ে এই প্রতিবেদক সাড়ে চার ঘণ্টা ছিলেন। পণ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে অব্যবস্থাপনার কারণেও ক্রেতাদের অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। কে কার আগে পণ্য নেবেন, তা নিয়ে লাইনে দাঁড়ানো মানুষের মধ্যে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত হট্টগোল লেগেই ছিল। পণ্য সরবরাহের দায়িত্বে থাকা মোহাম্মদ সেলিম বলেন, তেলের দাম বাড়ার পর থেকে মানুষের লাইন বাড়ছে। এখন লাইনে মারামারিও হচ্ছে। মাঝেমধ্যে সামাল দেয়া যায় না। 

এদিকে মিরপুরের সেকশন-৬-এর রূপনগর এলাকায় টিসিবির ভ্রাম্যমাণ ট্রাক গতকাল যেখানে অবস্থান করছিল, তার পাশেই ছিল বস্তি। এখানে মূলত বস্তির বাসিন্দারাই এসব পণ্যের ক্রেতা। তবে নিম্নবিত্ত পরিবারের অনেকে এখন ট্রাকের সামনে লাইনে দাঁড়াচ্ছেন। গতকাল লাইনে থাকার বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের এক কর্মী বললেন, তিনি যে টাকা বেতন পান, তাতে সংসার চলছে না। বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারকে আরও কঠোর হওয়ার অনুরোধ জানান তিনি। পণ্য কিনতে বেলা সোয়া দুইটার দিকে এসেছিলেন গৃহিণী আসমা বেগম। তখনো নারীদের সারিতে পণ্যের জন্য অপেক্ষায় ছিলেন প্রায় ৭০ জন। এ সময় লাইনে থাকা অন্য নারীরা আসমাকে বলেন, আইজকা আর লাভ নাই। আমরাই পাইমু কিন্যা ঠিক নাই।

রাস্তায় কেনে পুলিশ, লাইন ছাড়াই নেন কাউন্সিলরের লোক : টিসিবির তেজগাঁওয়ের গুদাম থেকে পণ্য নিয়ে সরাসরি মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ডের নির্ধারিত স্থানে চলে আসার কথা ছিল ট্রাকটির। কিন্তু পথে বিজয় সরণি মোড়ে পুলিশ ট্রাক থামিয়ে চার বোতল (আট লিটার) সয়াবিন তেল বিক্রি করতে বাধ্য করে টিসিবির পরিবেশকের কর্মীদের। এরপর মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ট্রাক থেকে পণ্য বিক্রি শুরুর পর এক কাউন্সিলরের কার্যালয় থেকে পরিবেশকের কাছে ফোন আসে। এর কিছুক্ষণ পর তিনজন লোক এসে লাইনে না দাঁড়িয়েই ছয় লিটার তেল কিনে নিয়ে যান। এসব অভিযোগ সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকার পরিবেশক মেসার্স লোপা ট্রেডার্সের মালিক আবু সাঈদের। গতকাল শনিবার বিকেলে তিনি বলেন, শুধু আমার ট্রাক না, বিজয় সরণি মোড় হয়ে আজকে যত ডিলারের ট্রাক গেছে, সব ট্রাক থেকে তেল রেখে দিয়েছে পুলিশ। 

আবু সাঈদ বলেন, পুলিশ টাকা দিয়ে তেল কিনলেও এভাবে রাস্তায় ট্রাক থামিয়ে বিক্রি করার নিয়ম নেই। যে কারণে দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও তেল কিনতে পারে না সবাই। 

তিনি বলেন, কাউন্সিলরের লোক, অমুকের লোক এ রকম পরিচয় দিলে তাদের বাধা দেয়া যায় না, পণ্য বিক্রি করতেই হয়। অবশ্য কোন কাউন্সিলরের কার্যালয় থেকে ফোন এসেছিল, তা বলতে চাননি তিনি। মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গতকাল টিসিবির ট্রাকের সামনে সাড়ে চার ঘণ্টা অপেক্ষার পরও ১৬ জন ক্রেতা সয়াবিন তেল কিনতে পারেননি। পরে তারা দুই কেজি করে মসুর ডাল ও চিনি কিনেই বাসায় ফিরেছেন। আর লাইনে দাঁড়ানো আরও ৬৫ জন কোনো পণ্যই কিনতে পারেননি। তাদের মধ্যে নারী ৩৯ জন ও পুরুষ ২৬ জন। শুধু আমার ট্রাক না, বিজয় সরণি মোড় হয়ে আজকে (গতকাল) যত ডিলারের ট্রাক গেছে, সব ট্রাক থেকে তেল রেখে দিয়েছে পুলিশ।

দুপুর ১২টার দিকে টিসিবির ট্রাকের সামনে লাইনে এসে দাঁড়ান রোশনারা বেগম নামের এক নারী। চার ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। তার সামনে যখন আরও সাতজন, তখনই পণ্য বিক্রি শেষ হয়ে যায়। ট্রাক চলে যাওয়ার সময়ও পেছন পেছন দৌড়াচ্ছিলেন তিনি। ট্রাকে থাকা টিসিবির পরিবেশকের এক বিক্রয় প্রতিনিধিকে অনুরোধ করে বলছিলেন, যা আছে তাই যেন তার কাছে বিক্রি করা হয়। তবে তাকে দেয়ার মতো কিছু আর অবশিষ্ট ছিল না। রোশনারা বেগম মানুষের বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করেন। তার দুই মেয়ে। বড় মেয়ের বিয়ে হয়েছে। ছোট মেয়েকে নিয়ে তিনি বছিলায় বস্তিঘরে থাকেন। আজ কিছু কিনতে না পেরে কাঁদছিলেন তিনি। মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আজ টিসিবির পণ্য বিক্রির কার্যক্রম শুরু হয় বেলা ১১টার দিকে। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ট্রাকে শুধু মসুর ডাল ও চিনি ছিল। একজন ক্রেতা সর্বোচ্চ দুই কেজি করে মসুর ডাল ও চিনি, পাঁচ কেজি পেঁয়াজ ও দুই লিটারের এক বোতল সয়াবিন তেল কিনতে পারেন। বিক্রির সুবিধার্থে পরিবেশকেরা পণ্যগুলো একত্রে একটি ‘প্যাকেজ’ করে ৬১০ টাকায় বিক্রি করেন। এসব পণ্য এখন বাজার থেকে কিনলে একজন ক্রেতার খরচ হবে ১ হাজার ৪৫ টাকা। অর্থাৎ সাশ্রয় হয় ৪৩৫ টাকা। বাজারে এখন এক কেজি পেঁয়াজের দাম ৭০ টাকা, মসুর ডালের কেজি (মোটা দানা) ১০০ টাকা, চিনির কেজি ৮০ টাকা আর এক লিটার বোতলজাত তেলের দাম ১৭০ টাকা। মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সাধারণত টিসিবির ট্রাক আসে বেলা ১১টার পর। গতকাল সকাল ১০টায় সেখানে গিয়ে দেখা যায়, ছোট ছোট দলে রাস্তায় দাঁড়িয়ে কিংবা ফুটপাতে বসে শতাধিক নারী ও পুরুষ অপেক্ষায় ছিলেন। তাদের মধ্যে অন্তত পাঁচজন বলেছেন, তারা সকাল ৮টার দিকে এসেছেন। এত আগে আসার কারণ কী, জানতে চাইলে তারা বলেন, কখনো কখনো নয়টার মধ্যে ট্রাক চলে আসে। আর আগে এলে আগে লাইনে দাঁড়ানো যায়। বেলা ১১টার দিকে সেখানে টিসিবির ট্রাক পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে হুড়োহুড়ি শুরু হয়। লাইনে কে কার আগে দাঁড়াবেন, এ নিয়ে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। লাইনে দীর্ঘ অপেক্ষায় থেকেও যারা পণ্য পাননি, তাদের একজন গৃহিণী মনি আক্তার। তার স্বামী নওরোজ আহমেদ নিউমার্কেটের একটি দোকানের বিক্রয়কর্মীর কাজ করেন। তারা থাকেন মোহাম্মদপুর টাউন হল এলাকায়। মনি আক্তার মেয়েকে স্কুল থেকে দুপুর ১২টার দিকে বাসায় রেখেই লাইনে এসে দাঁড়ান। আক্ষেপ করে তিনি বলেন, সময় গেল, পরিশ্রম হলো কিন্তু কিছু পেলাম না।


আরও খবর



আইএমএফের ঋণের তৃতীয় কিস্তি পাচ্ছে বাংলাদেশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ)। ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের তৃতীয় কিস্তি হিসেবে ৬৮ কোটি ডলার ছাড় পাচ্ছে বাংলাদেশ। চলতি মে মাসের শেষ নাগাদ কিংবা আগামী জুন মাসের শুরুর দিকে এই অর্থ ছাড়ের বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়কে নিশ্চিত করেছে ঋণ কর্মসূচির আওতায় শর্ত বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষণে আসা সংস্থাটির প্রতিনিধি দল।

একই সঙ্গে বাংলাদেশের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে চতুর্থ কিস্তির জন্য আগামী জুন নাগাদ বৈদেশিক মুদ্রার নিট রিজার্ভ ও কর রাজস্বের লক্ষ্যমাত্রা কমাতেও সম্মত হয়েছে প্রতিনিধি দল। বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

গত ২৪ এপ্রিল ঢাকা সফরে এসে সুনির্দিষ্ট বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগ, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডসহ (এনবিআর) সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক করে আইএমএফের ডেভেলপমেন্ট মাইক্রো ইকোনমিক্স ডিভিশনের প্রধান ক্রিস পাপাগেওর্জিউর নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল ।

এসব বৈঠকের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিনিধি দল মঙ্গলবার (৭ মে) অর্থ বিভাগ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে সার্বিকভবে পর্যালোচনামূলক বৈঠকে তৃতীয় কিস্তি ছাড়ের আশ্বাসের পাশাপাশি ঐকমত্যের ভিত্তিতে লক্ষ্যমাত্রা পুনর্নির্ধারণ এবং সংশোধিত শর্ত সংযুক্ত করে চূড়ান্ত করা সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করে।

আজ বুধবার (৮ মে) অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়েশা খানের সঙ্গে প্রতিনিধি দল সৌজন্য স্বাক্ষাৎ করবে। পাশাপাশি সন্ধ্যায় অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে ঢাকা ছাড়বে। চলতি মাসের শেষ নাগাদ ওয়াশিংটনে আইএমএফের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠেয় পরিচালনা পর্ষদের সভায় তৃতীয় কিস্তি ছাড়ের চূড়ান্ত অনুমোদন হওয়ার কথা রয়েছে।

গত ডিসেম্বর নাগাদ শর্ত পরিপালনের ভিত্তিতে ঋণের তৃতীয় কিস্তি পেতে নির্ধারিত পরিমাণগত ও কাঠামোগত ১০টি শর্তের মধ্যে রিজার্ভ ছাড়া ৯টি লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে।

আইএমএফের তৃতীয় কিস্তি ছাড়ের জন্য গত ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে নিট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৬ দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়। পরে বাংলাদেশের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে কমিয়ে ১৭ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলারে নামিয়ে আনা হয়।

তার পরও বাংলাদেশ লক্ষ্যমাত্রা থেকে ৫৮ মিলিয়ন ডলার পিছিয়ে ছিল। এ শর্ত পূরণ না হওয়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে অব্যাহতি চাইতে হলেও তৃতীয় কিস্তি ছাড়ের জন্য তা বাধা হচ্ছে না।

দ্বিতীয় কিস্তি ছাড়ের জন্য গত জুন পর্যন্ত রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৩ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন ডলার। তখনও লক্ষ্যমাত্রা পূরণ সম্ভব হয়নি। জুন শেষে দেশে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ১৯ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন। এ ছাড়া তখন রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রাও পূরণ হয়নি। এর পর দ্বিতীয় কিস্তির আগে আসা মিশনকে এসব লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ার পেছনে যৌক্তিকতা বোঝাতে সমর্থ হওয়ায় দ্বিতীয় কিস্তি পায় বাংলাদেশ।

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমতে থাকার মধ্যে গত বছরের জানুয়ারিতে আইএমএফের সঙ্গে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি করে বাংলাদেশ। ২০২৬ সাল পর্যন্ত মোট সাতটি কিস্তিতে ঋণের পুরো অর্থ ছাড় করার কথা রয়েছে। ইতোমধ্যে দুই কিস্তিতে ১১৫ কোটি ৮২ লাখ ডলার ছাড় করেছে। সবকিছু ঠিক থাকলে তৃতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ২০ লাখ ডলার ছাড় হবে চলতি মাসের শেষ নাগাদ।


আরও খবর



পঞ্চম মেয়াদে প্রেসিডেন্ট পুতিন

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে আবারও শপথ নিয়েছেন ভ্লাদিমির পুতিন। মঙ্গলবার দুপুরে মস্কোর গ্র্যান্ড ক্রেমলিন প্যালেসের সুসজ্জিত সেইন্ট অ্যান্ড্রু হলে শপথ নেন তিনি।

এর মধ্যে দিয়ে টানা পঞ্চমবারের মতো রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হলেন ৭১ বছর বয়সী ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি গত মার্চে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৮৭ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছিলেন।

শপথ গ্রহণের পর প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, আমরা ঐক্যবদ্ধ। আমরা সম্মিলিতভাবে সকল বাধা অতিক্রম করব, আমাদের সকল পরিকল্পনা সফল করব এবং জয়ী হবো।

সোভিয়েত ইউনিয়নের গোয়েন্দা সংস্থা কেজিবির সাবেক এজেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন ১৯৯৬ সালে। পরে তৎকালীন রুশ প্রেসিডেন্ট বরিস ইয়েলেৎসিনের বদন্যতায় ১৯৯৯ সালে প্রথমাবরের মতো রাশিয়ার অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট হন তিনি। ওই বছর পুতিনের হাতে ক্ষমতা অর্পণ করে রাজনীতি থেকে অবসরে গিয়েছিলেন ইয়েলেৎসিন।

পরে ২০০০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৫৩ শতাংশ ভোট পেয়ে প্রথমবারের মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জেতেন পুতিন। ২০০৪ সালের নির্বাচনে ৭১ দশমিক ৩ শতাংশ ভোট পেয়ে ফের প্রেসিডেন্ট হন।


আরও খবর



প্লাস্টার করা হাতেই কান চলচিত্র উৎসব মাতালেন ঐশ্বরিয়া

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image


সদরুল আইনঃ



চলচ্চিত্র দুনিয়ার মর্যাদাপূর্ণ আসর ‘কান চলচ্চিত্র উৎসব’। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ফ্রান্সের দক্ষিণ উপকূলীয় শহরে বসেছে শোবিজ দুনিয়ার অন্যতম বড় এই চলচ্চিত্র উৎসব। মঙ্গলবার (১৪ মে) পর্দা উঠেছে কান চলচ্চিত্র উৎসবের।


প্রতিবারের মতো এবারও কানের রেড কার্পেটে হাঁটেছেন সাবেক বিশ্বসুন্দরী ও বলিউড অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া রাই। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) গডফাদার’ খ্যাত নির্মাতা ফ্রান্সিস ফোর্ড কপোলার নতুন ছবি ‘মেগালোপোলিস’ এর প্রিমিয়ারে লাল গালিচায় হাঁটতে দেখা গেছে ঐশ্বরিয়াকে। 



 

এর আগে বুধবার (১৫ মে) চোট পাওয়া হাতেই মেয়ে আরাধ্যকে সঙ্গে নিয়ে কানের উদ্দেশে ভারত ছাড়েন ঐশ্বরিয়া। প্লাস্টার করা হাতে মুম্বাই এয়ারপোর্টে তাকে দেখে অনেকে চমকে গিয়েছিলেন। 



 

সেই প্লাস্টার করা হাতেই কানের রেড কার্পেটে দ্যুতি ছড়ালেন ঐশ্বরিয়া। সোনার বিবরণসহ একটি কালো এবং সাদা পোশাকে রেড কার্পেটে হাজির হন সাবেক এই বিশ্বসুন্দরী। তার পোশাকটি ডিজাইন করেছেন ফাল্গুনী শেন ময়ূর।


আরও খবর



নিত্যপণ্যসহ সবজির দাম লাগামহীন

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image

গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সবজির দাম আরও বেড়েছে। প্রচ- গরমে বাজারে সরবরাহ কম থাকায় সব ধরনের সবজির দাম ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। মুরগি ও ডিমের দামও বেড়েছে। রাজধানীতে প্রতি ডজনে ডিমের দাম বেড়েছে ৩০ টাকা পর্যন্ত। রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, মুরগির প্রতি ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা, আর সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ টাকায়। আর প্রতি ডজন হাঁসের ডিম ২০০ টাকা ও দেশি মুরগির ডিম ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।


কয়েকদিন আগেও এই ডিম বিক্রি হয়েছে ১১৫ থেকে ১২০ টাকায়। ব্যবসায়ীরা জানান, চাহিদা বাড়লেও বাজারে ডিমের সরবরাহ এখনো কম। এ ছাড়া তীব্র গরমে মরে যাওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে অনেকেই আগেভাগে বিক্রি করে দিচ্ছেন মুরগি। এতে ব্যাহত হয়েছে উৎপাদন। এর প্রভাব পড়ছে ডিমের দামে। অস্থিরতা থামছে না মুরগির বাজারেও। গরমে মুরগি লালন-পালন ব্যাহত হওয়ার অজুহাত থেকে মুক্তি মিলছে না ক্রেতাদের। বাজারে ব্রয়লারের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা, সোনালি ৩৮০ টাকা আর দেশি জাতের জন্য গুনতে হবে ৭০০ টাকা।

সবজি বিক্রেতারা বলছেন, গরমের প্রভাব পড়েছে সরবরাহের ক্ষেত্রে। চাষিদের খেতে সবজি নষ্ট হচ্ছে। যার ফলে বাজারে দাম বেড়েছে। রাজধানীর বাজারে সব সময় ক্রেতার নাগালের মধ্যে থাকা পেঁপেও এখন ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা বছরের অধিকাংশ সময় ৪০ টাকার মধ্যে থাকে। এ ছাড়া ঈদের পরে কেজিপ্রতি আলুর দাম মানভেদে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যা আগে ৪০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে ছিল।এ ছাড়া বেগুন ৭০ থেকে ৮০ টাকা, কাঁকরোল ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ থেকে ৭০ টাকা, পটোল ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

শজনে, উস্তা, করলা ও ঝিঙের মতো সবজির দাম কেজিপ্রতি ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মালিবাগ বাজারের বিক্রেতা মাহমুদ খান বলেন, সবজির সরবরাহ কম। গরমে সবজি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। যে কারণে দাম বেড়েছে। গ্রামগঞ্জের মোকামগুলোতে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় অধিকাংশ সবজির দাম ৮-১০ টাকা কেজিপ্রতি বেড়েছে। সেভাবে ঢাকার বাজারেও বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। প্রচ- গরমের কারণে লেবুর চাহিদা বাড়ায় দামও বেড়েছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। বাজারে প্রতি হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা দরে। কোথাও কোথাও ৬০ টাকাও বিক্রি হতে দেখা গেছে। ঈদের আগে বেড়ে যাওয়া গরুর মাংসের দাম কমেনি। কেজিপ্রতি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকা কেজিতে। খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা কেজিতে।

 

শনির আখরা বাসিন্দা ইমরান বলেন, যেভাবে মুরগির দাম বাড়ছে তাতে কেনাই মুশকিল। সাধারণ মানুষ মাংসের চাহিদা মেটানোর জন্য ব্রয়লার মুরগির ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু বর্তমান বাজারে সেই ব্রয়লার মুরগির দামও বেড়েই চলছে। অথচ এক-দেড় বছরে বেতন বাড়েনি এক টাকাও। সাধারণ ক্রেতার কথা ভেবে বাজার মনিটরিংয়ের কোনো উদ্যোগ দেখি না। এত দাম দিয়ে সাধারণ নিম্নআয়ের ক্রেতাদের ব্রয়লার মুরগি কিনে খাওয়া সম্ভব নয়।


আরও খবর



এক শতাংশ ভোটার এলেও নির্বাচন গ্রহণযোগ্য: ইসি হাবিব

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image

 ডিজিটাল ডেস্ক:

প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটার উপস্থিতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব খান।

তিনি বলেন, এই সময়ে ৩৬ শতাংশ ভোট কম না। নির্বাচনে এক শতাংশ ভোটার এলেও তা গ্রহণযোগ্য।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে যশোর শিল্পকলা একাডেমিতে যশোর, নড়াইল ও মাগুরার উপজেলার নির্বাচনের প্রার্থী, নির্বাচনি কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।


তিনি আরও বলেন, উপজেলাওয়ারি ভোটার উপস্থিতির পরিসংখ্যান প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি আসন্ন দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে কেন্দ্রে ভোটার আনতে কমিশন প্রচারণা চালাবে।

প্রার্থীদেরও প্রচারণা চালাতে হবে। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ভোটারদের নির্বিঘ্নে কেন্দ্রে আসতে সব ব্যবস্থা করবে।

নির্বাচন কমিশনার বলেন, মূলত তিনটি কারণে ভোটার উপস্থিতি কম ছিল। এর মধ্যে একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দলের অনুপস্থিতি, দ্বিতীয়ত এখন ধান কাটার মৌসুম, তাছাড়া ভোটের আগের রাতে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়েছে। আগামীতে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।


বৈঠকের কথা উল্লেখ করে বলেন, আমি প্রার্থীদের বলেছি, মানুষ হিসেবে যে আমরা শ্রেষ্ঠ তা প্রমাণ করতে হবে। জনগণের সেবক হতে হবে। কারোর ওপর ভর না দিয়ে জনগণের ভালোবাসার ওপর ভর করতে হবে।

প্রার্থীরা আমাদের কথায় সম্মত। তাদের আমরা আশ্বস্ত করতে পেরেছি। সামনের নির্বাচনগুলো আগের থেকে আরও স্বচ্ছ ও ভালো হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আইন প্রয়োগে কঠোর হবে। কোনও ছাড় হবে না।

আহসান হাবিব খান বলেন, আমরা আস্তে আস্তে ভালো করছি। আগামীতে আমাদের নির্বাচন বিশ্ববাসীর জন্য রোল মডেল হবে।

বেলা ১১টায় যশোর শিল্পকলা একাডেমিতে যশোর, নড়াইল ও মাগুরার উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী, নির্বাচনি কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক বসেন নির্বাচন এই কমিশনার। দুপুর আড়াইটায় বৈঠক শেষ হয়।


আরও খবর