শাহাদাত হোসেন সায়মন, স্টাফ রিপোর্টার :
দীর্ঘ ১১ বছর পর গজারিয়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি- বার্ষিক সম্মেলন ১৮ই ফেব্রুয়ারি শনিবার গজারিয়া সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। এ নিয়ে যেমন উৎসবের আমেজ বইছে, তেমনি কারা আসছেন আগামী নেতৃত্বে তা নিয়েও চলছে বেশ জল্পনা-কল্পনা।এ সম্মেলনকে ঘিরে গজারিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের মাঝে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। ইতোমধ্যে সম্মেলনস্থলসহ আশপাশের বিভিন্ন সড়ক তোরণ, ফেস্টুন ও ব্যানারে ছেয়ে গেছে।
সম্মেলন সফল করতে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন। সম্মেলনে তারা বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মীর সমাগম ঘটাতে চায়। প্রস্তুতি সভা ও প্রচার প্রচারণা চালানো হচ্ছে। উপজেলা প্রধান সড়ক সেজে উঠেছে তোরণ ও ফেস্টুনে। আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা নিজেদের পছন্দের নেতাদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে 'দেখতে চেয়ে' উপজেলা জুড়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেও ছড়িয়ে পড়ছে তাদের প্রচারণা।
। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন, মুন্সীগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আহম্মেদ সম্মেলনের প্রথমার্ধেই নেতাকর্মীদের সাথে সাংগঠনিক আলোচনা করবেন। দ্বিতীয়ার্ধে নতুন কমিটি নিয়ে আলোচনা করবে।
ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে গজারিয়া পাইলট মডেল হাই স্কুল মাঠে এবং গজারিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে দ্বিতীয় অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠিতব্য উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেছা ইন্দিরা। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ আওয়ামিলীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মুন্সিগঞ্জ ৩ আসনের এমপি অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস। বিশেষ অতিথি হিসেবে মুন্সিগঞ্জ জেলা আওয়ামিলীগের সাধারণ সম্পাদক, আলহাজ্ব শেখ লুৎফর রহমান। মুন্সিগঞ্জ জেলা আওয়ামিলীগের যুগ্মগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সোহানা তৃণমূল তাহমিনা। বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন, মুন্সীগঞ্জ পৌরসভা মেয়র, আলহাজ্ব মোঃ ফয়সাল আহম্মেদ বিপ্লব। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করবেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি
এম মহসীন চৌধুরী এবং অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় থাকবেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম। এই সম্মেলন উপলক্ষ্যে ইতিমধ্যে ৩৩৪জন কাউন্সিলরের তালিকা চুড়ান্ত করা হয়েছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম জানান, আমরা সব আয়োজন শেষ করেছি। আশা করছি, একটি সুন্দর সম্মেলন উপহার দিতে পারব। এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে একটি স্বচ্ছ নেতৃত্ব আসবে। আওয়ামী লীগের পর্যায়ের সাধারণ নেতাকর্মীরা মনে করছেন, দুর্দিনে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে যারা সংগঠনের হাল ধরেছেন, জেল- জুলুম সহ্য করে সংগঠনের কার্যক্রম চালিয়ে নিয়ে গেছেন, যাদের পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তি আছে তাদেরই
নতুন নেতৃত্বে আসা উচিত। উপজেলা আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সভাপতি-সম্পাদক পদে বর্তমান উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারা ছাড়াও আওয়ামী লীগের সাবেক কয়েকজন নেতার নাম আলোচনায় আছে। তারা এবারের কমিটিতে চমকের প্রত্যাশায় আছেন। আর কেন্দ্রীয় থেকে তাদের জানানো হয়েছে, বিতর্কিত কাউকে এবার পদ দেওয়া হবে না। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সম্মেলন ঘিরে সভাপতি ও সম্পাদক পদে একাধিক নেতার কর্মীরা প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। এদের মধ্যে আওয়ামিলীগের বর্তমান বলিষ্ঠ দুই নেতার নাম উঠে এসেছে। এরা হচ্ছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম এবং সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব রেফায়েত উল্লাহ খান তোতা। এছাড়া সাধারণ সম্পাদকের পদ পেতে তৎপর নেতাদের মধ্যে আছেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডা. মাজহারুল হক তপন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও ইমামপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক দুইবারের চেয়ারম্যান মুনসুর আহমেদ খান জিন্নাহ, গুয়াগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেরারমান আবুল খায়ের মোহাম্মদ আলী থোকা ও জেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব শাহজাহান খান। এর আগে ২০১২ সালে গজারিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয় যার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ২০১৩ সালে অনুমোদন লাভ করে। কাউন্সিলে প্রয়াত সোলায়মান দেওয়ান সভাপতি এবং আমিরুল ইসলাম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা