Logo
শিরোনাম

হাবিপ্রবি শিক্ষক হয়ে স্বপ্নপূরণ নোবিপ্রবির রায়হান সজীবের

প্রকাশিত:শনিবার ২২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫ |

Image

সম্প্রতি হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রিকালচার এক্সটেনশন বিভাগে প্রভাষক পদে   নিযুক্ত  হয়েছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) কৃষি  বিভাগের তৃতীয় ব্যাচের প্রাক্তন শিক্ষার্থী মোঃ রায়হান সজীব।

কেমন ছিলো তার জার্নি?সেসবই জানবো আজ।মোঃ রায়হান সজীবকে নিয়ে ফিচার লিখেছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি বিভাগের ১০ম ব্যাচের শিক্ষার্থী মোঃ সিনান তালুকদার। আমাদের দেশ কৃষি প্রধান দেশ।

কৃষিতে আসার গল্পটা কেমন  ছিলো জানতে চাইলে তিনি জানান, কৃষির সাথে হৃদ্যতা অনেকটা পারিবারিক, বাবা কৃষি কাজ করতেন। পড়াশোনার ফাঁকে মাঝে মাঝেই বাবার কাজে হাত লাগাতেন।কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃষি নিয়ে পড়বেন এমন কোনো পরিকল্পনা ছিলো না। নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের 'উপকূলীয় কৃষি' বিভাগে ভর্তি হন,যা পরবর্তীতে "কৃষি" বিভাগে রূপান্তর হয়।


ছোটবেলা থেকেই শিক্ষক  হওয়ার ইচ্ছে ছিল কি না জানতে চাইলে তিনি জানান, ছোটোবেলায় শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন ছিলো কেবল পরীক্ষার খাতার 'জীবনের লক্ষ্য' প্রবন্ধে৷ কিন্তু সত্যিকারে শিক্ষক হওয়ার স্বপ্নের বুনন শুরু হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সেমিস্টারে। মনের মধ্যে আর একটি স্বপ্ন লুকায়িত ছিলো, সেটি হলো পুলিশ অফিসার হওয়া।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার জার্নি টা কেমন ছিলো জানতে চাইলে তিনি বলেন,

"আমাদের সময়ে মফস্বল থেকে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজের জায়গা করাটা এতো সহজ ছিলো না। তবে, বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার পর শুরু থেকেই ভালো করার নিমিত্তে নিয়মিত ক্লাস, ল্যাব এবং পড়াশোনা করতাম। এরই ফলশ্রুতিতে প্রথম সেমিস্টারে প্রথম হই।প্রতিনিয়ত নিজেকে উন্নত করার চেষ্টা করতে থাকি। সর্বশেষ নোবিপ্রবি কৃষি বিভাগে প্রথম শ্রেণিতে দ্বিতীয় হয়ে স্নাতক কোর্স শেষ করি।

শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন নিয়েই বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের 'কৃষি সম্প্রসারণ শিক্ষা' বিভাগে ভর্তি হই। এখানেও আলহামদুলিল্লাহ প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়ে স্নাতকোত্তর কোর্স শেষ করি।  যদিও কোভিড- ১৯ এর কারণে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ১ বছরের বেশি সময় লাগে স্নাতকোত্তর কোর্স শেষ করতে। চারটি গবেষণা প্রকল্পে বিভিন্ন দায়িত্বশীল পদে কাজ করি প্রায় ২.৫ বছর। নিজের স্নাতকোত্তরের কাজ সহ স্যারদের সাথে সম্পৃক্ত থেকে বেশ কয়েকটি প্রবন্ধ ইন্টারন্যাশনাল জার্নালে প্রকাশ করি এবং অনলাইন, অফলাইনে বিভিন্ন কোর্স এবং ট্রেনিংয়ে অংশগ্রহন করি। হাবিপ্রবিতে যুক্ত হওয়ার পূর্বে ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েক মাস শিক্ষকতা করি।

তার এই সফলতায় পরিবার ও পরিবারের বাইরের মানুষের   ভূমিকা জানতে চাইলে তিনি বলেন-

"প্রত্যেক সফল মানুষের সফলতায় বাবা-মা'র অবদান অনস্বীকার্য, ঠিক আমার ক্ষেত্রেও ভিন্ন নয়। আমার সফলতার পেছনে আর একজন ব্যক্তির ভূমিকা অনস্বীকার্য, তিনি হচ্ছেন আমার বড় বোন।সবসময় তারা পেছন থেকে সাহস যুগিয়েছ।পরিবারের বাইরেও আমার জীবনে বেশ কিছু মানুষের প্রভাব রয়েছে, আমার এই ছোট্ট জীবনে অসংখ্য মানুষের স্নেহ, ভালোবাসা, সহযোগিতা পেয়েছি। পুরো ছাত্র জীবনে আমি সবসময় শ্রদ্ধেয় শিক্ষকদের মেধা মননের সংস্পর্শে আজকের এই আমি। বন্ধুদের কথা বলতে গেলে শেষ হবে না, তারা সবসময় আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে ভালো কিছু করার। সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।


ভবিষ্যতে শিক্ষকতা সেক্টর থেকে আর কি কি করার ইচ্ছে আছে জানতে চাইলে তিনি জানান,তার প্রথম প্রাধান্য হচ্ছে নিজেকে একজন ভালো শিক্ষক হিসেবে গড়ে তোলা। কৃষি সেক্টরে তিনি একজন ভালো গবেষক হতে চান ।দেশ-বিদেশের প্রখ্যাত গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত হয়ে কাজ করার ইচ্ছে রয়েছে।

অনুজদের জন্য(যারা কৃষি নিয়ে পড়ছেন)কিছু  পরামর্শ চাইলে তিনি  বলেন,

"আমার প্রিয় অনুজদের উদ্দেশ্য একটি উক্তি দিয়েই শুরু করি: The secret of success is constancy of purpose- Benjamin Disraeli 

তোমরা তোমাদের যে লক্ষ্য ঠিক করেছো সেটা পূরণ করার জন্য মিশনে নেমে যাও এবং সেই অনুযায়ী কাজ করো। প্রতিনিয়ত নিজেকে উন্নত করো। শিক্ষকতার স্বপ্ন হোক কিংবা অন্যান্য সরকারি চাকরি বা উচ্চ শিক্ষার জন্য বিদেশে গমন বা উদ্যেক্তা হওয়া। উদ্দেশ্য যেটাই হোক ,কৌশলগত পরিকল্পনা অনুযায়ী পরিশ্রম করো,সফলতা আসবেই ইনশাআল্লাহ।

 তার অন্যতম শখ হচ্ছে গাছ লাগানো।তবে ইদানীং পাখি পুষতেও শুরু করেছেন।অবসর সময়ে ঘুড়াঘুড়ি, আড্ডা, নতুন কিছু এক্সপ্লোর করা, গান শোনা, বই পড়া, সোশাল মিডিয়ায় ঢুঁ মারা, বিশেষ করে দাবা খেলতে পছন্দ করেন।রায়হান সজীবের পছন্দের রং  কালো এবং সাদা।


আরও খবর



নারী শ্রমিকদের মাতৃত্বকালীন ছুটি ১২০ দিন করা হচ্ছে

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বললেন, নারী শ্রমিকদের মাতৃত্বকালীন ছুটি ১২০ দিন করা হচ্ছে।

রাজধানীর রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন হোটেলে শ্রম ইস্যুতে বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক আলোচনা ও ইফতার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন তিনি।

উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের শ্রমিকদের কল্যাণ ও মর্যাদা অক্ষুণ্ণ রেখে আন্তর্জাতিক শ্রম মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ শ্রম ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য অন্তর্বর্তী সরকার দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। শ্রমিকের জীবনমান উন্নয়নে শ্রম আইনকে আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করতে ইতোমধ্যে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনা বাস্তবায়নে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে।

সরকার একজন শ্রম অধিকারকর্মীর নেতৃত্বে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন শ্রম অধিকার সংস্কার কমিশন প্রতিষ্ঠা করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই কমিশন আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ের সব শ্রমিকদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করে শ্রমজীবী মানুষের সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় শ্রম সেক্টরের সমস্যাগুলো পরীক্ষান্তে মার্চের মধ্যে সুপারিশ জমা দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।

‘সরকার ক্রমবর্ধমান চাহিদা এবং আন্তর্জাতিক কনভেনশনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে শ্রম আইন সংশোধন করতে ট্রেড ইউনিয়ন, নিয়োগকর্তা এবং উন্নয়ন অংশীদারদের বিশেষ করে আইএলওসহ সব স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছে।’

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এই উপদেষ্টা বলেন, আমাদের শ্রম আইন সংশোধনের একটি মূল দিক হলো ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধন ও কার্যক্রমের সহজীকরণ। শ্রমিকদের প্রতিনিধিত্ব এবং সম্মিলিত দর কষাকষির ওপর গুরুত্বারোপ করে ট্রেড ইউনিয়ন গঠনকে আরও সহজ এবং স্বচ্ছ করার ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ শ্রম আইনের চলমান সংশোধনী বিষয়ে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ট্রেড ইউনিয়ন সদস্যদের গোপনীয়তা বজায় রাখার বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাছাড়া, শ্রম সংক্রান্ত মামলা জট কমাতে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তিকে কার্যকর করার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শ্রমিক ও শ্রমিক নেতাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা অন্যান্য মামলাগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে নিষ্পত্তির কার্যক্রম চলমান আছে।

আগামী ১০ থেকে ২০ মার্চ সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অনুষ্ঠিতব্য আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) ৩৫৩তম অধিবেশনের আগে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের কর্মকর্তাদের শ্রম ইস্যুতে এ অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর

অস্থির চালের বাজার

রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫

বাড়তে পারে গরম

রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫




এনআইডির ভিত্তিতে পাসপোর্ট দেবে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৩ মার্চ ২০২৫ |

Image

সরকার জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যের (এনআইডি) ভিত্তিতে আবেদনকারীকে পাসপোর্ট দেবে। এখন থেকে পাসপোর্ট করতে পুলিশ ভেরিফিকেশন লাগবে না। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগ থেকে পাঠানো এ সংক্রান্ত সারসংক্ষেপ অনুমোদন দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

সোমবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এ তথ্য জানিয়েছে। এখন এ বিষয়ে পরিপত্র জারি করবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এর আগে রোববার জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পাসপোর্ট করার ক্ষেত্রে পুলিশ ভেরিফিকেশনের বিধান বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছিলেন, পাসপোর্ট পাওয়া নাগরিক অধিকার।

পুলিশ ভেরিফিকেশনের প্রয়োজনীয়তা শিথিল করার পেছনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুক্তি হচ্ছে, ইতিবাচক পুলিশ প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আবেদনকারীকে পাসপোর্ট ইস্যু করা হয়। বিদ্যমান পদ্ধতিতে একটি সাধারণ পাসপোর্ট ১২ কর্মদিবস ও এক্সপ্রেস ডেলিভারির ক্ষেত্রে তিন কর্মদিবসের মধ্যে পাসপোর্ট দেওয়া হয়ে থাকে।


আরও খবর

অস্থির চালের বাজার

রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫

বাড়তে পারে গরম

রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫




হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বেড়েছে ছোলার আমদানি

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ মার্চ ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫ |

Image

রমজান উপলক্ষে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বেড়েছে ছোলা আমদানি। যার প্রভাবে বাজারে কমতে শুরু করেছে ছোলার দাম। গত এক সপ্তাহ আগেও বাজারে ছোলা বুটের কেজি ছিলো ১২৫ টাকা কেজি, বর্তমান দাম কমে তা বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১০৫ টাকা কেজি দরে। পাশাপাশি অন্যান্য ডাল, মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে মোটাটা ১০০ টাকা ও দেশিটা বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা কেজি। বুটের ডাল ১২০, খেঁসারির ডাল ১০৫, মাসকলাই ১৮০ ও মুগ ডাল বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা কেজি দরে।

দাম কমে যাওয়ায় খুশি সাধারণ ক্রেতারা। সোমবার (৩ মার্চ) দুপুরে হিলি বাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া যায়।

হিলি বাজারে ছোলা কিনতে আসা জাকিরুল ইসলাম বলেন, রমজান মাসে ছোলার প্রয়োজন বেশি হয়। বিশেষ করে ইফতারের জন্য ছোলার প্রয়োজনীয় অপরিসীম। তাই বাজারে ছোলা কিনতে আসছি। তবে দাম আগের চেয়ে কম। এর আগে ১২০ টাকা কেজি কিনেছিলাম এখন ১০০ টাকা কেজি কিনলাম।

হিলি বাজারে ছোলা বুট ব্যবসায়ী নুরুজ্জামান হোসেন বলেন, বর্তমান ভারত থেকে হিলি স্থলবন্দরে পর্যাপ্ত ছোলা আমদানি হচ্ছে। পাশাপাশি অন্যান্য দেশ থেকেও ছোলা আমদানি করছেন সরকার। মূলত রমজান মাসে এসব পণ্যের দাম স্বাভাবিক রাখার জন্যই আমদানি করা হচ্ছে। আমরা ১০০ থেকে ১০৫ টাকা কেজি হিসেবে ছোলা বুট খুচরা বিক্রি করছি। আগের থেকে ক্রেতাও অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।

হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন শিল্পী বলেন, পবিত্র মাহেরমজানে বাজারে ছোলা বুটের দাম কম এবং স্বাভাবিক রাখতে ভারত থেকে পর্যাপ্ত ছোলা আমদানি করা হচ্ছে। কয়েক মাস আগেও এই বন্দরে দিনে এক থেকে দুই ট্রাক ছোলা আমদানি হতো। বর্তমান রমজানকে ঘিরে প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ ট্রাক ছোলা বুট আমদানি হচ্ছে। যার কারণে খুচরা বাজারে কমে গেছে ছোলার দাম।

হিলি কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা শফিউল ইসলাম বলেন, বেশ কিছুদিন থেকে এই বন্দরে ছোলা আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে। শুল্কমুক্ত ভাবে পণ্যটি আমদানি হচ্ছে। যেহেতু রমজান মাস চলে এসেছে, সেহেতু আমরা কাস্টমসের সকল কার্যক্রম দ্রুততার সাথে সম্পূর্ণ করে পণ্যটি ছাড়করণ করা হচ্ছে। এতে করে ব্যবসায়ীরা দেশের বাজারে নিত্যপণ্যগুলো সরবরাহ করতে পারছেন।


আরও খবর



বাংলাদেশি-ভারতীয়দের মধ্যে বিয়ের সংখ্যা বাড়ছে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ মার্চ ২০২৫ |

Image

ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর থেকে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে রাজনৈতিক উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে এই উত্তেজনার পরও দুই দেশের নাগরিকদের মধ্যে বিয়ের সংখ্যা বাড়ছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া।

২০২৩ সালে বাংলাদেশ ও ভারতীয়দের মধ্যে যে পরিমাণ বিয়ে হয়েছিল; ২০২৪ সালে এই সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। 

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত গত পাঁচ বছরে ৪৮৬ বাংলাদেশি পশ্চিমবঙ্গের ভারতীয়দের বিয়ে করার আবেদন করেন। এর মধ্যে সর্বশেষ ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১০০ বাংলাদেশি নারী ভারতীয়দের বিয়ে করার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন। একই সময় ১১ বাংলাদেশি পুরুষ ভারতীয় নারীকে বিয়ের আবেদন করেন। সংবাদমাধ্যমটি জানায়, গত পাঁচ বছরের মধ্যে ২০২৪ সালেই বাংলাদেশি-ভারতীয়দের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিয়ের নিবন্ধন হয়। 

তবে যেসব বাংলাদেশি ভারতীয়দের বিয়ে করেছেন তাদের কতজন ভারতে অবস্থান করবেন সেই সংখ্যা নিশ্চিত করতে পারেনি সংবাদমাধ্যমটি। পশ্চিমবঙ্গের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছেন, নাগরিকত্ব আইন বিবেচনা করে বলা যায়, তাদের বেশিরভাগেরই ভারতে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, ভারতের ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইন অনুযায়ী, যদি অন্য কোনো দেশের নাগরিক ভারতীয়দের বিয়ে করেন তাহলে তারা ভারতের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এ ছাড়া যদি কোনো শিশুর বাবা অথবা মা ভারতীয় হন, তাহলে ওই শিশু স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভারতের নাগরিকত্ব পাবে। রেকর্ড অনুযায়ী, গত পাঁচ বছরে ৪১০ বাংলাদেশি নারী ভারতীয় বর বেঁছে নিয়েছেন। অপরদিকে ৭৬ বাংলাদেশি পুরুষ ভারতীয় বধূ নিয়ে দেশে এসেছেন।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত বছর যে ১০০ বাংলাদেশি নারী ভারতীয়দের বিয়ে করার আবেদন করেছেন তাদের মধ্যে ৭৯ জন ছিলেন হিন্দু ধর্মাবলম্বী, ১৬ জন মুসলিম এবং পাঁচজন খ্রিস্টান। অপরদিকে যে ১১ বাংলাদেশি পুরুষ ভারতীয় নারীদের বিয়ে করেছেন তাদের মধ্যে ৯ জন হিন্দু। বাকি দুজন মুসলিম।


আরও খবর

রোহিঙ্গারা মায়ানমারে ফিরতে চায়

শুক্রবার ১৪ মার্চ ২০২৫




জুনের মধ্যে স্থানীয় সরকার নির্বাচন সম্ভব

প্রকাশিত:রবিবার ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৩ মার্চ ২০২৫ |

Image

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পরবর্তী সময়ে দেশে কার্যত কোকো স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান নেই। তাই এ মুহূর্তে সব স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচন একসঙ্গে করা করা যেতে পারে বলে জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন। তাদের প্রাথমিক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।

চলতি বছরের জুনের মধ্যে সব সমতল ও পাহাড়ের ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা, সিটি করপোরেশন ও জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠান করা সম্ভব বলেও মনে করে কমিশন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমানে নতুন একটি স্বচ্ছ ক্যানভাসে নতুন ছবি আঁকা সম্ভব। নতুবা নির্বাচনের পূর্বে অনেক প্রতিষ্ঠানের মেয়াদ শেষ হওয়ার বিষয়টি নিয়ে আইনি জটিলতার উদ্ভব হতে পারে। স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় সংসদীয় পদ্ধতি চালু করার আলোচনা দীর্ঘদিন ধরে জনপরিসরে থাকলেও কোনো সুযোগ সৃষ্টি হয়নি। এখন সে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। আগামী মার্চ/এপ্রিল ২০২৫ এর মধ্যে একটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের জন্য দুটি একীভূত স্থানীয় সরকার আইন প্রণয়ন করে আগামী জুন, ২০২৫ এর মধ্যে সব সমতল ও পাহাড়ের ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা, সিটি করপোরেশন ও জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠান করা যেতে পারে।

প্রতিবেদনে সংস্কার কমিশন আরও জানায়, প্রস্তাবিত ‘স্থানীয় সরকার কমিশন’ এ বিষয়ে বিস্তারিত কাজ এপ্রিলের আগে সমাপ্ত করতে পারে। তবে জাতীয় নির্বাচনের বিষয়ে সরকার, রাজনৈতিক দলগুলো ও নির্বাচন কমিশনের মধ্যে একটি ঐক্যমত্য প্রতিষ্ঠিত হলেই তা সম্ভবপর হবে।

স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের সুপারিশে বলা হয়, পার্বত্য জেলা পরিষদ ও আঞ্চলিক পরিষদ আইনকে সংসদীয় কাঠামোতে সংস্থাপিত করে আইন সংশোধন করে জুন, ২০২৫ এর মধ্যে পাহাড়ের তিনটি জেলা পরিষদের নির্বাচনও সমাপ্ত হতে পারে।

অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদকে প্রধান করে আট সদস্যের স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন গঠন করে। কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন–ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ফেরদৌস আরফিনা ওসমান, সাবেক সচিব এ এম এম নাসির উদ্দিন, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান, বিআইএসএসের পরিচালক ড. মাহফুজ কবির, নারী উদ্যোগ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক মাসুদা খাতুন শেফালী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. তারিকুল ইসলাম ও একজন শিক্ষার্থী প্রতিনিধি।


আরও খবর

অস্থির চালের বাজার

রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫

বাড়তে পারে গরম

রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫