Logo
শিরোনাম

হাবিপ্রবি শিক্ষক হয়ে স্বপ্নপূরণ নোবিপ্রবির রায়হান সজীবের

প্রকাশিত:শনিবার ২২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ |

Image

সম্প্রতি হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রিকালচার এক্সটেনশন বিভাগে প্রভাষক পদে   নিযুক্ত  হয়েছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) কৃষি  বিভাগের তৃতীয় ব্যাচের প্রাক্তন শিক্ষার্থী মোঃ রায়হান সজীব।

কেমন ছিলো তার জার্নি?সেসবই জানবো আজ।মোঃ রায়হান সজীবকে নিয়ে ফিচার লিখেছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি বিভাগের ১০ম ব্যাচের শিক্ষার্থী মোঃ সিনান তালুকদার। আমাদের দেশ কৃষি প্রধান দেশ।

কৃষিতে আসার গল্পটা কেমন  ছিলো জানতে চাইলে তিনি জানান, কৃষির সাথে হৃদ্যতা অনেকটা পারিবারিক, বাবা কৃষি কাজ করতেন। পড়াশোনার ফাঁকে মাঝে মাঝেই বাবার কাজে হাত লাগাতেন।কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃষি নিয়ে পড়বেন এমন কোনো পরিকল্পনা ছিলো না। নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের 'উপকূলীয় কৃষি' বিভাগে ভর্তি হন,যা পরবর্তীতে "কৃষি" বিভাগে রূপান্তর হয়।


ছোটবেলা থেকেই শিক্ষক  হওয়ার ইচ্ছে ছিল কি না জানতে চাইলে তিনি জানান, ছোটোবেলায় শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন ছিলো কেবল পরীক্ষার খাতার 'জীবনের লক্ষ্য' প্রবন্ধে৷ কিন্তু সত্যিকারে শিক্ষক হওয়ার স্বপ্নের বুনন শুরু হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সেমিস্টারে। মনের মধ্যে আর একটি স্বপ্ন লুকায়িত ছিলো, সেটি হলো পুলিশ অফিসার হওয়া।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার জার্নি টা কেমন ছিলো জানতে চাইলে তিনি বলেন,

"আমাদের সময়ে মফস্বল থেকে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজের জায়গা করাটা এতো সহজ ছিলো না। তবে, বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার পর শুরু থেকেই ভালো করার নিমিত্তে নিয়মিত ক্লাস, ল্যাব এবং পড়াশোনা করতাম। এরই ফলশ্রুতিতে প্রথম সেমিস্টারে প্রথম হই।প্রতিনিয়ত নিজেকে উন্নত করার চেষ্টা করতে থাকি। সর্বশেষ নোবিপ্রবি কৃষি বিভাগে প্রথম শ্রেণিতে দ্বিতীয় হয়ে স্নাতক কোর্স শেষ করি।

শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন নিয়েই বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের 'কৃষি সম্প্রসারণ শিক্ষা' বিভাগে ভর্তি হই। এখানেও আলহামদুলিল্লাহ প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়ে স্নাতকোত্তর কোর্স শেষ করি।  যদিও কোভিড- ১৯ এর কারণে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ১ বছরের বেশি সময় লাগে স্নাতকোত্তর কোর্স শেষ করতে। চারটি গবেষণা প্রকল্পে বিভিন্ন দায়িত্বশীল পদে কাজ করি প্রায় ২.৫ বছর। নিজের স্নাতকোত্তরের কাজ সহ স্যারদের সাথে সম্পৃক্ত থেকে বেশ কয়েকটি প্রবন্ধ ইন্টারন্যাশনাল জার্নালে প্রকাশ করি এবং অনলাইন, অফলাইনে বিভিন্ন কোর্স এবং ট্রেনিংয়ে অংশগ্রহন করি। হাবিপ্রবিতে যুক্ত হওয়ার পূর্বে ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েক মাস শিক্ষকতা করি।

তার এই সফলতায় পরিবার ও পরিবারের বাইরের মানুষের   ভূমিকা জানতে চাইলে তিনি বলেন-

"প্রত্যেক সফল মানুষের সফলতায় বাবা-মা'র অবদান অনস্বীকার্য, ঠিক আমার ক্ষেত্রেও ভিন্ন নয়। আমার সফলতার পেছনে আর একজন ব্যক্তির ভূমিকা অনস্বীকার্য, তিনি হচ্ছেন আমার বড় বোন।সবসময় তারা পেছন থেকে সাহস যুগিয়েছ।পরিবারের বাইরেও আমার জীবনে বেশ কিছু মানুষের প্রভাব রয়েছে, আমার এই ছোট্ট জীবনে অসংখ্য মানুষের স্নেহ, ভালোবাসা, সহযোগিতা পেয়েছি। পুরো ছাত্র জীবনে আমি সবসময় শ্রদ্ধেয় শিক্ষকদের মেধা মননের সংস্পর্শে আজকের এই আমি। বন্ধুদের কথা বলতে গেলে শেষ হবে না, তারা সবসময় আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে ভালো কিছু করার। সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।


ভবিষ্যতে শিক্ষকতা সেক্টর থেকে আর কি কি করার ইচ্ছে আছে জানতে চাইলে তিনি জানান,তার প্রথম প্রাধান্য হচ্ছে নিজেকে একজন ভালো শিক্ষক হিসেবে গড়ে তোলা। কৃষি সেক্টরে তিনি একজন ভালো গবেষক হতে চান ।দেশ-বিদেশের প্রখ্যাত গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত হয়ে কাজ করার ইচ্ছে রয়েছে।

অনুজদের জন্য(যারা কৃষি নিয়ে পড়ছেন)কিছু  পরামর্শ চাইলে তিনি  বলেন,

"আমার প্রিয় অনুজদের উদ্দেশ্য একটি উক্তি দিয়েই শুরু করি: The secret of success is constancy of purpose- Benjamin Disraeli 

তোমরা তোমাদের যে লক্ষ্য ঠিক করেছো সেটা পূরণ করার জন্য মিশনে নেমে যাও এবং সেই অনুযায়ী কাজ করো। প্রতিনিয়ত নিজেকে উন্নত করো। শিক্ষকতার স্বপ্ন হোক কিংবা অন্যান্য সরকারি চাকরি বা উচ্চ শিক্ষার জন্য বিদেশে গমন বা উদ্যেক্তা হওয়া। উদ্দেশ্য যেটাই হোক ,কৌশলগত পরিকল্পনা অনুযায়ী পরিশ্রম করো,সফলতা আসবেই ইনশাআল্লাহ।

 তার অন্যতম শখ হচ্ছে গাছ লাগানো।তবে ইদানীং পাখি পুষতেও শুরু করেছেন।অবসর সময়ে ঘুড়াঘুড়ি, আড্ডা, নতুন কিছু এক্সপ্লোর করা, গান শোনা, বই পড়া, সোশাল মিডিয়ায় ঢুঁ মারা, বিশেষ করে দাবা খেলতে পছন্দ করেন।রায়হান সজীবের পছন্দের রং  কালো এবং সাদা।


আরও খবর



কোটা পুনর্বহালের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪ |

Image

প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল করে ২০১৮ সালে দেওয়া পরিপত্র সম্প্রতি অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।

রবিবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করা হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী। এ বিষয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

গত ৫ জুন প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর জারি করা পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট। এর ফলে সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল থাকবে।

রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ (এসকে) সাইফুজ্জামান জামান ওইদিন জানান, এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন করা হবে।

আদালতে ওই দিন রিটের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী মো. মুনসুরুল হক চৌধুরী। তার সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ (এস কে) সাইফুজ্জামান জামান।


আরও খবর



৯টা থেকে ৫টা পর্যন্ত চলবে সরকারি অফিস

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪ |

Image

ঈদুল আজহার ছুটির পর আগামী ১৯ জুন থেকে আগের মতো সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে সরকারি অফিস।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এর আগে গত সোমবার মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ বিষয়ে অনুমোদন দেয়া হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আগামী ১৯ জুন (পবিত্র ঈদুল আজহার পরবর্তী প্রথম কর্মদিবস) থেকে দেশের সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের অফিস সময়সূচি পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত সরকার নির্ধারণ করলো।

এতে বলা হয়, রোববার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সরকারি অফিস চলবে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। দুপুর ১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত জোহরের নামাজ ও মধ্যাহ্নভোজের বিরতি। শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি।

প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, জরুরি পরিসেবাগুলো নতুন অফিস সময়সূচির আওতার বাইরে থাকবে। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট এবং ব্যাংক, বিমা ও অন্যান্য অর্থিক প্রতিষ্ঠানের সময়সূচি স্ব স্ব কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করবে।

এর আগে গত সোমবার (৩ জুন) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো: মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

উল্লেখ্য, জ্বালানি সংকটের মধ্যে বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে ২০২২ সালের ২৪ আগস্ট থেকে কর্মঘণ্টা কমিয়ে অফিস ও ব্যাংকের সময়সূচি বদলে দেয় সরকার। সে অনুযায়ী দুই মাসের বেশি সময় সব সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত অফিস সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত চলে।

দুই মাসেরও বেশি সময় সকাল ৮টা-বিকেল ৩টা সূচিতে অফিস চলার পর ২০২২ সালের ১৫ নভেম্বর থেকে সব সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত অফিস সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলছে।


আরও খবর



কুয়েতে বহুতল ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৩৫

প্রকাশিত:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ |

Image



সদরুল আইনঃ


কুয়েতের দক্ষিণাঞ্চলের মানগাফ শহরে একটি বহুতল ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ৩৫ জন নিহত হয়েছে। আজ বুধবার (১২ জুন) দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে। খবর এএফপির।



দেশটির ফরেনসিক বিভাগের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল ইদ আল-ওয়াইহানের উদ্ধৃতি দিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যম আরব টাইমস কুয়েতের প্রতিবেদনে বলা হয়, মানগাফের ওই ভবনে আগুনে মৃতের সংখ্যা ৩৫ ছাড়িয়েছে। 


প্রাথমিকভাবে ১৫ জন আহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, যাদের মধ্যে চারজন পরে মারা গেছে।



এদিকে, ফায়ার সার্ভিসের জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ আল-গারিব বলেছেন, প্রাথমিকভাবে বেশকিছু প্রাণহানি ও আহতের তথ্য পাওয়া গেছে।


বুধবার ভোর সাড়ে ৪টায় ফায়ার বিভাগ কর্মীরা ঘনবসতিপূর্ণ একটি বাসভবনে আগুনের সূত্রপাতের খবর পায়। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।


 ভবনটির বাসিন্দারা ঘুমাচ্ছিলেন। ধোঁয়ায় শ্বাস নিতে না পারায় অধিকাংশ প্রাণহানি হয়েছে। তবে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাসিন্দাকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়েছিল।  



সূত্রের তথ্যমতে, বর্তমানে ভবনটিতে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ও আহতদের ব্যবস্থাপনায় ব্যস্ত সময় পার করছে কর্তৃপক্ষ। একাধিক ফায়ার স্টেশনের কর্মীরা ওই ভবনে কাজ করছে। নিকটস্থ হাসপাতালগুলোতে আহতদের চিকিৎসা চলছে।


স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ৪৩ জনকে উন্নত চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত ছিলেন অনেকে। এর মধ্যে চারজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।



আহতদের মধ্যে ২১ জনকে আল-আদান হাসপাতালে, ছয়জন আল-ফারওয়ানিয়াহ হাসপাতালে, একজন আল-আমিরি হাসপাতালে, ১১ জন মুবারক হাসপাতালে এবং চারজনকে জাবের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। দ্রুত ও নিবিড় পরিচর্যা প্রদানে মেডিকেল টিমগুলো অক্লান্ত পরিশ্রম করছে।


স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আহতদের অবস্থা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং সমস্ত প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটাতে এবং সম্ভাব্য সর্বোত্তম চিকিত্সা পরিষেবা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল ও কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করছে। 


আহতদের ফলোআপ করার জন্য এবং তাদেরকে মানসিকভাবে ও তাদের পরিবারকে নৈতিকভাবে সমর্থন দেওয়ার জন্য বিশেষায়িত মেডিকেল টিমও গঠন করা হয়েছে।



আরও খবর



বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের ‘হৃদয়ের কথা’ লিখিত জানাতে বললেন প্রধান বিচারপতি

প্রকাশিত:বুধবার ১২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪ |

Image



নিজস্ব প্রতিবেদক:


আদালত অবমাননার অভিযোগের বিষয়ে বিএনপিপন্থি সাত আইনজীবীর পক্ষে মৌখিক বক্তব্য উপস্থাপন করা হলে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, ‘এগুলো তো হৃদয়ের কথা বললেন। 



এটাই লিখিতভাবে দিন।’ আজ বুধবার (১২ জুন) আদালত অবমাননার বিষয়টি প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চে শুনানির দিন ধার্য ছিল।



আজ সাত আইনজীবীর পক্ষে জ্যেষ্ঠ অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন আদালতে বলেন, ‘সাত আইনজীবীর মধ্যে একজন সিনিয়র আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী মারা গেছেন। অন্যরা এখানে উপস্থিত আছে। এরা সবাই আদালতের সম্মান ও মর্যাদার প্রতি শ্রদ্ধাশীল। 


এ ছাড়া আইনজীবী (বার) ও আদালতের মধ্যে খারাপ সম্পর্ক হোক, তা আমরা চাই না। কারণ, দিন শেষে আমরা এই আদালতে এসেই দাঁড়াই। তাই আদালতের মর্যাদা রক্ষা করা আমাদের সবার দায়িত্ব।’



এ সময় প্রধান বিচারপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীনের উদ্দেশে বলেন, ‘যে কথাগুলো বললেন, তা তো আপনাদের হৃদয়ের কথা। কিন্তু আদালত অবমাননার অভিযোগের বিষয়ে কি কোনো লিখিত জবাব দিয়েছেন?’


তখন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘মাই লর্ড লিখিত দেওয়া হয়নি।’ তখন প্রধান বিচারপতি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গানের লাইন ‘হৃদয়ের কথা বলিতে ব্যাকুল….’ উদ্ধৃত করে বলেন, ‘আপনারা আপনাদের হৃদয়ের কথা যা বললেন, তাই লিখিত আকারে দিন। আমরা বিষয়টি দেখব।’


একপর্যায়ে আপিল বিভাগ বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের এই মামলায় ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেন এবং এ বিষয়ে আদেশের জন্য ২৫ জুলাই দিন ধার্য করেন।


আপিল বিভাগের দুজন বিচারপতি সম্পর্কে সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যের প্রেক্ষাপটে এর আগে বিএনপিপন্থি সাত আইনজীবীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে তলব করেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত।



যে সাত আইনজীবীকে সর্বোচ্চ আদালত তলব করেন, তারা হলেন—জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাবেক সভাপতি ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল (প্রয়াত) এ জে মোহাম্মদ আলী, ফোরামের মহাসচিব ও বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট ফাহিমা নাসরিন মুন্নি, জাতীয়তবাদী আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিম কোর্ট শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল জব্বার ভূঁইয়া, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সহসম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান খান ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সুপ্রিম কোর্ট শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল।


আপিল বিভাগের দুজন বিচারপতি সম্পর্কে সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যের প্রেক্ষাপটে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. নাজমুল হুদা গত বছরের ২৯ আগস্ট বিএনপিপন্থি সাত আইনজীবীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে আবেদনটি করেন।



আরও খবর



ঢাকার কাঁচাবাজারে মরচি ও পেঁয়াজের দামে অস্থিরতা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ |

Image

সদরুল আইন:


দীর্ঘদিন ধরেই নিত্যপণ্য, কাঁচাবাজার, মাছ-মাংস, এমনকি মসলাজাত পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী। 


সপ্তাহের ব্যবধানেই বেড়ে যাচ্ছে সবজিসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্যের বিভিন্ন দাম। বিশেষ করে অস্থির হয়ে উঠেছে কাঁচামরিচের বাজার। সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে পেঁয়াজসহ কিছু পণ্যের দাম।



শুক্রবার (২১ জুন) রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজারের তথ্যে দেখা গেছে, আগের মতোই উচ্চমূল্যে বিক্রি হচ্ছে শাক-সবজি, চিনি, চাল, আটা, ডাল ও মাছ। তবে কোরবানির পরে মুরগীর দাম কিছুটা থম ধরে আছে।



ঈদের আগে থেকেই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে কাঁচামরিচের দাম। বাজারে খুচরা পর্যায়ে প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩২০ টাকায়। গত সপ্তাহে যা বিক্রি হয়েছিল ২০০ টাকায়। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে দাম বেড়েছে ১০০ টাকারও বেশি।


এছাড়া ঈদের আগে পাইকারি ৭৫-৮০ টাকা কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে। কিন্তু আজ পাইকারিতে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০-৮৫ টাকা।


 এছাড়া খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে ৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যেখানে গত সপ্তাহেও ৮৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে পেঁয়াজ। বিভিন্ন জাতের এবং আমদানি করা রসুন ২২০ থেকে ২৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৭০ টাকায়।



এদিকে, আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, যা গত এক-দুই সপ্তাহে অনেক জায়গায় ৫০-৫৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। স্থানভেদে পাকা টমেটোর কেজি ৭০-৮০ টাকা, পেঁপে ৫০-৬০ টাকা, জাত ও মানভেদে বেগুন ৭০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৬০-৭০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০-৫০ টাকা, বরবটি ৭০-৮০ টাকা ও পটল ৪০-৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।


এছাড়া চিচিঙ্গা ৬০-৭০ টাকা, ঝিঙা ৬০-৭০ টাকা, কচুর লতি ৭০-৮০ টাকা, কচুর মুখী মানভেদে ৮০-১০০ টাকা, গাজর ৮০ টাকা, শসা ৫০-৬০ টাকা ও কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।


মাছের বাজারে পাঙ্গাস বিক্রি হচ্ছে ২২০-২৩০ টাকা কেজি। আকার ও মানভেদে অনেকটা একই দামে বিক্রি হচ্ছে তেলাপিয়া। চাষের কই ২৮০-৩০০ টাকার নিচে মিলছে না। আকার ও মানভেদে রুই-কাতলার দাম হাঁকানো হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি। আকারভেদে শিং মাছ ও বাইলা মাছ প্রতি কেজি প্রকারভেদে ৬০০-৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।


এছাড়া পোয়া মাছ ৩৫০ থেকে ৪০০, পাবদা মাছ ৩৫০ থেকে ৫০০, মলা ৫০০, কাচকি মাছ ৬০০, বাতাসি টেংরা ৯০০, অন্য জাতের টেংরা মাছ ৬০০ থেকে ৭০০, পাঁচ মিশালি মাছ ৪০০-৫০০, বাইম মাছ ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা ও রুপচাঁদার কেজি ১ হাজারে বিক্রি হতে দেখা গেছে।


মাংসের বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, গরুর মাংসের কেজি ৭৮০-৮০০ টাকা। ব্রয়লার মুরগির দাম প্রতি কেজি স্থানভেদে ১৯০-২১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সোনালি ও লেয়ার জাতের মুরগির কেজি স্থানভেদে ৩২০ থেকে ৩৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। 


খাসির মাংস আগের মতোই ১১০০ থেকে ১২০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।


আরও খবর