Logo
শিরোনাম

কুমিল্লায় হত্যার মামলায় ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবন ১০

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ |

Image



বিডি টুডেস:


কুমিল্লায় নুরুল হক হত্যা মামলায় ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং ১০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও প্রত্যককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। 



এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার দুই আসামিকে বেকসুর খালাস দেয়া হয় এবং মামলা চলাকালী দুই আসামির মৃত্যু হলে আদালত মামলা থেকে তাদের অব্যাহতি দেয়।



বুধবার (২৬ জুন) দুপুর ১২টার দিকে কুমিল্লার জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন এই রায় দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ জাকির হোসেন।



 মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন মো. মাছুম (৩৫), তাজুল ইসলাম (৩২), মো. মোস্তফা (২৪), মো. কাইয়ুম (২৫), মো. কাইয়ুম (২৮), মো. তবদুল হোসেন (৪০)। তাদের মধ্যে রায় ঘোষণার সময় উপস্থিত ছিলেন মো. কাইয়ুম ও মো. তবদুল হোসেন।



 রায় শেষে আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন আদালত পুলিশের পরিদর্শক মুজিবুর রহমান।



যাবজ্জীবন সাজা পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন- মো. নানু মিয়া (৪০), মতিন মিয়া (৪০), সাইদুল ইসলাম (২৪), বাবুল মিয়া (২৫), সফিকুল ইসলাম (৩৫), মো. সফিকুল ইসলাম (২৮), মোসলেম মিয়া (৪৫), মো. হেলাল মিয়া (২৫), বিল্লাল হোসেন (৩০) ও আবদুল আউয়াল (৩০)। রায় ঘোষণার সময় মো. নানু মিয়া, মতিন মিয়া, বাবুল মিয়া, সফিকুল ইসলাম, মো. সফিকুল ইসলাম, মোসলেম মিয়া , মো. হেলাল মিয়া, আবদুল আউয়াল উপস্থিত ছিলেন।



 অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বেকসুর খালাস পাওয়া দুই আসামি হলেন- হিরণ মিয়া ও মনিরুল ইসলাম। এছাড়া মামলা চলাকালী মারা যাওয়া দুই আসামি হলেন- ফুল মিয়া ও সেলিম।


মামলার বিবরণে জানা যায়, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার ছোট দুশিয়া এলাকার ফরিদ মিয়ার সঙ্গে একই এলাকার মাছুমের দীর্ঘদিনের সম্পত্তি নিয়া বিরোধ ছিল। এ ঘটনায় নুরুল হকের নেতৃত্বে কয়েকবার সালিস বৈঠক হয়।



 সালিস বৈঠকে ফরিদ মিয়ার ভিটাবাড়ি মাছুম মিয়ার দখল থেকে ফরিদ মিয়াকে ছেড়ে দেয়ার জন্য তিনি রায় দেন। এরপর থেকেই আসামিরা বিভিন্ন সময়ে তাকে ভয়-ভীতিসহ হুমকি দিচ্ছিলেন। এ ঘটনার কিছুদিন পর ২০১১ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি তিনি কুমিল্লা শহর থেকে বাড়ি ফেরার পথে সবজুপাড়া শিদলাই রোড এলাকায় মাছুমের পক্ষের লোকজন তার ওপর হামলা করে। 



মাছুমের লোহার বল্লম দিয়ে নুরুল হকের বুকে চারটি আঘাত করেন। এ ছাড়াও ঘটনাস্থলে উপস্থিত মাছুমের পক্ষের লোকজন নুরুল হকের শরীরে বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পরদিন তার ছেলে মো. শরিফুল ইসলাম ব্রাহ্মণপাড়া থানায় হত্যা মামলা করেন। এতে মোট ২২ জনকে আসামি করা হয়।


আইনজীবী মোহাম্মদ জাকির হোসেন জানান, মামলায় ২০১৬ সালের ৪ জানুয়ারি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ২০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলার বিচার চলাকালীন দুই আসামি মারা যান। দুজনকে খালাস প্রদান করেছেন বিচারক।



 রায়ে সময় আদালতের এজলাসে ১০ জন আসামি উপস্থিত ছিলেন। অপর ৬ আসামি পলাতক রয়েছে। এ মামলায় মোট ৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।


অন্যদিকে, রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে আসামি পক্ষের আইনজীবী আবদুল মুমিন ফেরদৌস জানান, তারা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।



আরও খবর



বাতিল হতে পারে বেনজীরের পিএইচডি ডিগ্রি : ঢাবি সিনেটে প্রস্তাব

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ |

Image



সদরুল আইন:



পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদের পিএইচডি ডিগ্রি বাতিলের জন্য সিনেটে প্রস্তাব করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্যরা।


বুধবার (২৬ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এএসএম মাকসুদ কামালের নেতৃত্বে বৈঠকে সিনেটের অন্তত তিনজন সদস্য এ প্রস্তাব দেন। 



সিনেট সদস্য বলেন, বেনজীর আহমেদ ভর্তির যোগ্যতা পূরণ না করলেও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি পেয়েছেন।



বেনজীরের পিএইচডি ডিগ্রি নিয়ে সম্প্রতি দৈনিক প্রথম আলোতে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।


প্রতিবেদনে বলা হয়, বেনজীর আহমেদ ২০১৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন। ডিগ্রি পাওয়ার পর তিনি তার নামের শুরুতে ‘ড.’ ব্যবহার শুরু করেন। 


তবে বেনজীরের পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়ার যোগ্যতা ছিল না। তাকে ভর্তির জন্য অনিয়ম করে যোগ্যতার শর্ত শিথিল করা হয়েছিল।



বেনজীর বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ থেকে ডক্টর অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (ডিবিএ) ডিগ্রি অর্জন করেন। এই প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য প্রয়োজন স্নাতক ডিগ্রি। 



এই প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়ার জন্য প্রতিটি পাবলিক পরীক্ষায় কমপক্ষে ৫০ শতাংশ নম্বর থাকতে হবে, যা বেনজীরের ছিল না।


সিনেট সদস্য রণজিৎ কুমার সাহা, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম ওয়াহিদুজ্জামান, অধ্যাপক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম বেনজীরের ডিগ্রি বাতিলের প্রস্তাব করেন।






আরও খবর



আজ মালয়েশিয়া যাওয়ার স্বপ্নভঙ্গ হচ্ছে সাড়ে ৩১ হাজার শ্রমিকের

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:


মালয়েশিয়ায় কর্মী ভিসায় যাওয়ার সময় আজ শুক্রবার রাতেই শেষ হয়ে যাবে। দেশটির সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজই দেশটিতে কর্মীদের যাওয়ার শেষ সুযোগ। 


আগামীকাল শনিবার থেকে আর কোনো কর্মী মালয়েশিয়ায় যেতে পারবেন না। এ কারণে বাংলাদেশের অনুমোদনকৃত ৩১ হাজার ৭০১ জন কর্মীর মালয়েশিয়া যাওয়ার স্বপ্নভঙ্গ হচ্ছে।



বাংলাদেশ জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য বলছে, গত ২১ মে পর্যন্ত প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় পাঁচ লাখ ২৩ হাজার ৮৩৪ জন কর্মীকে মালয়েশিয়া যাওয়ার অনুমোদন দেয়।


 ২১ মের পর আর অনুমোদন দেয়ার কথা না থাকলেও বিএমইটির তথ্য বলছে, মন্ত্রণালয় আরও এক হাজার ১১২ জন কর্মীকে দেশটিতে যাওয়ার অনুমোদন দিয়েছে। অর্থাৎ বৃহস্পতিবার (৩০ মে) পর্যন্ত পাঁচ লাখ ২৪ হাজার ৯৪৬ জন কর্মীকে মালয়েশিয়া যাওয়ার অনুমোদন দেওয়া হয়। 


এর মধ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেশটিতে চার লাখ ৯১ হাজার ৭৪৫ জন কর্মী মালয়েশিয়ায় গেছেন।


হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তথ্য বলছে, আজ বাংলাদেশ থেকে মাত্র এক হাজার ৫০০ জন কর্মী মালয়েশিয়ায় যেতে পারবেন। অর্থাৎ অনুমোদনকৃত ৩১ হাজার ৭০১ জন কর্মীর যাত্রা বাতিল হয়ে যাচ্ছে।


কুয়ালালামপুরের দুটি আন্তর্জাতিক বিমান টার্মিনালের ফ্লোরে গতকাল পর্যন্ত ১৪টি দেশ থেকে আসা প্রায় ২০ হাজার কর্মী অবস্থান করছিলেন। এর মধ্যে প্রায় পাঁচ হাজার কর্মী বাংলাদেশের।


এই মুহূর্তে কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে কর্মীর উপচে পড়া ভিড়। দুর্ভোগ বাড়ছে কর্মী ও নিয়োগকর্তাদের। নিজেদের কর্মী শনাক্তে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে নিয়োগকর্তাদের।র্মীরা বলছেন, তারা তিন-চার দিন ধরে বিমানবন্দরে অবস্থান করছেন। কেউ নিয়োগকর্তার খোঁজ পাচ্ছেন, আবার কেউ পাচ্ছেন না।



হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তথ্য বলছে, আজ সকাল থেকে রাত পর্যন্ত হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সাতটি ফ্লাইট মালয়েশিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশের দুটি, ইউএস-বাংলার দুটি, মালয়েশিয়ান এয়ারলাইনসের একটি, এয়ার এশিয়ার একটি এবং বাতিক এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইট মালয়েশিয়ায় যাবে।


মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বন্ধের সময় ঘনিয়ে আসায় বাড়তি দামে টিকিট বিক্রির অভিযোগ করেছে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো। বিমান বাংলাদেশের বিশেষ ফ্লাইটের টিকিটের দামও এক লাখ টাকা ছাড়িয়ে যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে।


মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগপ্রক্রিয়ার দুর্নীতি নিয়ে গত ২৮ মার্চ মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশ সরকারকে চিঠি দেয় জাতিসংঘের চারজন স্বাধীন বিশেষজ্ঞ। তবে দুই দেশের সরকারই এই চিঠির কোনো উত্তর দেয়নি বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।


গত রবিবার জাতিসংঘের হাইকমিশনার ফর হিউম্যান রাইটস (ওএইচসিএইচআর) এই চিঠি প্রকাশ করেন। জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ টোমোয়া ওবোকাটা, রবার্ট ম্যাককরকোডালে, গেহাদ মাদি ও সিওবান মুল্লালি এই চিঠি দেন।



চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশি কর্মীদের জনপ্রতি সাড়ে চার থেকে ছয় হাজার ডলার পর্যন্ত নিয়োগ ফি দিতে হচ্ছে, যা ২০২১ সালে এই দুই দেশের মধ্যে সই হওয়া সমঝোতা স্মারকের (এমওইউ) খেলাপ। ওই এমওইউ অনুযায়ী, এই ফি হবে ৭২০ ডলার পর্যন্ত।


জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা উভয় সরকারের কাছে এ বিষয়ে তদন্ত, অপরাধীদের বিচার এবং নৈতিক নিয়োগের নীতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চেয়েছেন। তবে ৬০ দিনের মধ্যে কোনো সরকার থেকে জবাব না আসায় এই চিঠি মানবাধিকার কাউন্সিলে উপস্থাপন করা হবে বলে জানানো হয়।


আটকে থাকা কর্মীদের বিষয় কোনো পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিজের সভাপতি আবুল বাশার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে একাধিকবার মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছি। 


আমরা দু-এক মাস সময় বাড়িয়ে দেয়ার কথা বলেছিলাম। তাহলে সব কর্মীকে পাঠানো যেত। কারণ কর্মীরা যেতে না পারলে তাদের আর্থিক ক্ষতি হবে। তারা অনেক টাকা দিয়ে বসে আছে। 


বৃহস্পতিবারও এই বিষয় মন্ত্রণালয়কে অবগত করেছি। কাল (শুক্রবার) মন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ে একটি বৈঠক রয়েছে। বৈঠকের পর জানা যাবে বিষয়টির কী হবে।’


প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (কর্মসংস্থান) গাজী মো. শাহেদ আনোয়ার বলেন, ‘এ বিষয় আন্ত মন্ত্রণালয়ের বৈঠক চলছে। সামনেও বৈঠক হবে। এরপর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’


আরও খবর



বেনজীরের সাভানা পার্কের নিয়ন্ত্রণ নিল জেলা প্রশাসন

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ |

Image

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের মালিকানাধীন গোপালগঞ্জের সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্কের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে জেলা প্রশাসন।

শনিবার (০৮ জুলাই) সকাল থেকে গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা অনুযায়ী পার্কের যাবতীয় কার্যক্রম চালু থাকবে। এর আগে গতকাল শুক্রবার সন্ধায় গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন এবং মাদারীপুর ও গোপালগঞ্জের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দুইটি দল পার্কে অবস্থান নেয়। এদিন রাত সাড়ে ১১টার দিকে পার্কের প্রধান ফটকের পাশে মাইকিং করে গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসন ও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) যৌথভাবে এ ঘোষণা দেয়।

এ অভিযানে গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসনের পক্ষে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিজ বাবলী শবনম, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) গোপালগঞ্জের উপপরিচালক মো. মশিউর রহমান, সহকারী পরিচালক সোহরাব হোসেন সোহেল, দুদক মাদারীপুরের সহকারী পরিচালক মো. সাইদুর রহমান ও গোপালগঞ্জ জ্যেষ্ঠ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সোহেল মো. জিল্লুর রহমান রিগানসহ জেলা প্রশাসন ও দুদক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

২০১৫ থেকে ২০২০ সালে র‌্যাবের মহাপরিচালক এবং ২০২০ সাল থেকে থেকে ২০২২ পর্যন্ত আইজিপি থাকাকালীন সময়ে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বৈরাগীটোল গ্রামে ৬২১ বিঘা জমির ওপর বেনজির গড়ে তোলেন সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্ক। এ পার্কের জমির প্রায় সবই হিন্দু সম্প্রদায়কে ভয় দেখিয়ে, জোর করে এবং নানা কৌশলে কেনা হলেও অনেক জমি দখল করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে।


আরও খবর



১৭ জুন ঈদুল আজহা, জানাল আবহাওয়া অধিদপ্তর

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ |

Image

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, এবার ১৭ জুন ঈদুল আজহা উদযাপিত হতে পারে। মুসলমানদের দ্বিতীয় বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা।

জিলহজ মাসের ১০ তারিখে ঈদুল আজহা উদযাপিত হয়। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে এ তারিখ জানায় জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি। তবে এর আগে চাঁদের স্থানাঙ্ক জানালো বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।

সরকারি সংস্থাটির হিসাব অনুযায়ী, শুক্রবার বাংলাদেশের আকাশে জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার কথা। সেক্ষেত্রে দেশে আগামী ১৭ জুন ঈদুল আজহা উদযাপিত হতে পারে।

আবহাওয়াবিদ নাইমা বাতেন স্বাক্ষরিত জিলহজ মাসের চাঁদের স্থানাঙ্ক বিবরণীতে বলা হয়েছে, আগামী ৬ জুন (বৃহস্পতিবার) বাংলাদেশ মান সময় সন্ধ্যা ৬টা ৩৮ মিনিটে অমাবস্যা শেষ হয়ে ১৪৪৫ হিজরি সনের জিলহজ মাসের নতুন চাঁদের জন্ম হবে। ওই দিন ৬টা ৪৪.১ মিনিটে সূর্যাস্তের সময় চাঁদের বয়স হবে ০.০০৪২ দিন এবং সান্ধ্যকালীন গোধূলি শেষ হওয়ার ২২ মিনিট আগে চন্দ্রাস্ত হবে।

পরের দিন শুক্রবার (৭ জুন) ৬টা ৪৪.৫ মিনিট সূর্যাস্তের সময় চাঁদের বয়স হবে ১.০০৪৫ দিন এবং সান্ধ্যকালীন গোধূলি শেষ হওয়ার ৪১.৯ মিনিট পর চন্দ্রাস্ত হবে। ওই দিন বিকেল ৪টা ১৫.৬ মিনিটে প্রতিপদ শেষ হয়ে দ্বিতীয়া শুরু হবে।

পরের দিনে শনিবার (৮ জুন) ৬টা ৪৪.৮ মিনিটে সূর্যাস্তের সময় চাঁদের বয়স হবে ২.০০৪৮ দিন এবং সান্ধ্যকালীন গোধূলি শেষ হওয়ার এক ঘণ্টা ৩৮.১ মিনিট পর চন্দ্রাস্ত হবে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে জানা গেছে, ঈদুল আজহা উদযাপনের তারিখ নির্ধারণে আগামী শুক্রবার মাগরিবের নামাজের পর রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে সভায় বসবে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি। ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খানের সভায় সভাপতিত্ব করার কথা রয়েছে। সেখানে চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে ইসলামী শরিয়ত অনুযায়ী, চান্দ্র মাস শুরু হাওয়ার ক্ষেত্রে খালি চোখে চাঁদ দেখার শর্ত রয়েছে।

শুক্রবার চাঁদ দেখা গেলে শনিবার (৮ জুন) জিলহজ মাস শুরু হবে। এক্ষেত্রে আগামী ১৭ জুন (১০ জিলকদ, সোমবার) দেশে ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। এক্ষেত্রে জিলকদ মাস ২৯ দিনেই শেষ হবে। শুক্রবার চাঁদ দেখা না গেলে শনিবার জিলকদ মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হবে। তখন জিলহজ মাস শুরু হবে রোববার (৯ জুন)। সেক্ষেত্রে ১৮ জুন (মঙ্গলবার) দেশে ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে।


আরও খবর



কওমি উদ্যোক্তার’ পঞ্চম বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ |

Image

মোহাম্মদ হাছানুজ্জামান :

জমকালো আয়োজনে রাজধানীর কাকরাইল ইনস্টিটিউশন অফ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে হাজারো কওমি আলেম ও বেকারদের ব্যবসার পথ দেখিয়ে সাড়া জাগানো প্রতিষ্ঠান ‘কওমি উদ্যোক্তার’ পঞ্চম বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলো গত ২ জুন ২০২৪ (রোববার)। 

পূর্বে রেজিস্ট্রেশনকৃত উদ্যোক্তারা অত্যন্ত শৃঙ্খলার সাথে অংশগ্রহণ করেন।  মূল অনুষ্ঠান সকাল ১০:০০ টায় শুরু হওয়ার সময় থাকলেও দেশের ৬৪ জেলা থেকে পাঁচশতাধিক উদ্যোক্তা অনুষ্ঠান স্থলে আসন গ্রহণ করেন অনুষ্ঠান শুরুর ১ ঘণ্টা আগেই। ২০২০ সালে বৈশ্বিক মহামারী করোনার সময় মসজিদ-মাদরাসা ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানসহ মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপন যখন স্থবির হয়ে যায় তখন মাওলানা রোকন রাইয়ানসহ কয়েকজন তরুণ আলেমের হাত ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘কওমি উদ্যোক্তা’ নামে একটি গ্রুপ খোলার মাধ্যমে এ প্রতিষ্ঠানের সূচনা হয়। মাত্র দুই বছরের ব্যবধানে এ গ্রুপে প্রায় ৩ লাখ সদস্য যুক্ত হয়ে নিয়মিত কেনাবেচা করতে থাকেন। পর্যায়ক্রমে তারা বিভিন্ন ক্যাম্পেইন ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আলেম উদ্যোক্তা তৈরিতে বিরাট ভূমিকা রাখেন। হাজারো আলেম উলামা ও বেকার মানুষ ‘কওমি উদ্যোক্তা’র মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনা করে স্বাবলম্বী হয়েছেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শায়খ আহমাদুল্লাহ আলেম উদ্যোক্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনি যদি একেবারে কম টাকা বিনিয়োগে ব্যবসা শুরু করেন, তাহলে শুরুতে এসব ছোটখাটো পণ্য বিক্রিতে দোষের কিছু নেই। কিন্তু ভবিষ্যতে প্রায় সব ধরনের পণ্য বিক্রিতে আলেমদের মনোযোগী হতে হবে। শুধু কালোজিরা আর মধু বিক্রি করলে হবে না। যুগোপযোগি সকল হালাল ব্যবসায়ে কওমি আলেমদের এগিয়ে আসতে হবে। এ সময় শায়েখ আহমাদুল্লাহ কওমি উদ্যোক্তার ভূয়সী প্রশংসা করে নিজেও আগামী এক-দুই সপ্তাহের মধ্যে ব্যবসা শুরুর কথা জানান। 


সম্মেলনে ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন এমপি বলেন, আমি এত এত আলেম উদ্যোক্তা দেখে গর্ববোধ করছি। আপনারা দেশকে অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে নিয়ে যান। দেশকে শক্তিশালী করতে পারে তরুণ উদ্যোক্তারা। কারণ তাদের মধ্যে উদ্ভাবনী শক্তি আছে। তাই কেউ বসে থাকবেন না। সাহস নিয়ে নতুন কিছু শুরু করেন। সাকসেস আসবেই। 

স্টোরেক্স এর চেয়ারম্যান আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন আগামীতে এই সম্মেলন বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দেখতে চাই্। 

কওমি উদ্যোক্তার কো-ফাউন্ডার হাফেজ মুমিনুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, দেশের বেকার তরুনদের পাশে দাড়াইতেই কওমি উদ্যোক্তার প্রতিষ্ঠা। আমরা স্বপ্ন দেখি একটি বেকারমুক্ত বাংলাদেশের। 

কওমি উদ্যোক্তার ফাউন্ডার মাওলানা রোকন রাইয়ান তার বক্তব্যে বলেন, চলমান কার্যক্রম ভবিষ্যতে আরো সুগঠিত ও সুচারুরূপে সারাদেশব্যাপী ছড়িয়ে দেয়া হবে এবং সকল উদ্যোক্তাদের সমস্যা সমাধানের জন্য আরো যুগোপযোগি ও  উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে ইনশাআল্লাহ। 

অনুষ্ঠানের কাণ্ডারি কওমি উদ্যোক্তার ফাউন্ডার মাওলানা রোকন রাইয়ানের সভাপতিত্বে ও লোকমান গাজীর সঞ্চালনায় এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আসসুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ, বিশেষ অতিথি ছিলেন আইনজীবী ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন এমপি, বিশিষ্ট আলোচক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মাওলানা শরীফ মুহাম্মাদ, বাংলাদেশ আই হসপিটাল মালিবাগের ডিরেক্টর ডা: মাসুদ হাশমী, বিশিষ্ট আলোচক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মাওলানা সাইমুম সাদী, বিজনেস মেন্টর কোচ কাঞ্চন, কন্টেন্ট কিংয়ের ফাউন্ডার মুহাম্মদ ইকরাম, লেখক-সাংবাদিক ও উদ্যোক্তা মাওলানা মিরাজ রহমান, উইট ইনিস্টিউটের ফাউন্ডার নাজিব রাফে, আলেম উদ্যোক্তা ও স্পিকার গাজী সানাউল্লাহ রাহমানী, আওয়ার ইসলাম ২৪ ডটকম সম্পাদক মুফতি হুমায়ুন আইয়ুব, কলরব শিল্পীগোষ্ঠীর নির্বাহী পরিচালক মুহাম্মদ বদরুজ্জামান, ইয়েস২০ স্কুলের প্রেসিডেন্ট মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, স্টেডফাস্ট কুরিয়ার লিমিটেডের ফাউন্ডার কে এম রিদওয়ানুল বারী জিওন, আলফ্রেড ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ হাছানুজ্জামান মাসউদ সহ আরো উপস্থিত ছিলেন ছোট-বড় পাঁচ শতাধিক উদ্যোক্তা ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা।


আরও খবর