Logo
শিরোনাম

জামালপুরে ৮ লক্ষাধিক টাকার গাঁজাসহ ৩জনকে আটক করেছে র‌্যাব

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ এপ্রিল ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 |

Image

মো. শাহ্ জামাল : জামালপুরে র‌্যাবের অভিযানে লক্ষাধিক টাকার গাঁজাসহ ৩ জনকে আটক হয়েছে।

আটককৃতরা হলো-কুমিল্লার সংরাইশ গ্রামের সুলতান মিয়ার ছেলে আবুল কাশেম (৪৮), ঝিনাইদহের কোর্ট চাঁদপুরের সলেমানপুর গ্রামের নওয়াব আলীর ছেলে মীর নিজামুল ওরফে সেলিম (৫৫) এবং  বরিশাল গৌরনদীর গ্যারাকুল গ্রামের গোলাম আলী শিকদারের ছেলে দুলাল শিকদার (৫২)।

র‌্যাব-১৪, সিপিসি-১, স্কোয়াড্রন লিডার কোম্পানী কমান্ডার আশিক উজ্জামান প্রেরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশ, ১০ এপ্রিল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সরিষাবাড়ির মালিপাড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে ২৭ কেজি গাঁজাসহ আসামীদেরকে গ্রেপ্তার করে।

এ সময় গাঁজা বহনকারি একটি প্রাইভেট কার, তিনটি মোবাইল ফোন এবং গাঁজা বিক্রির ১৩ হাজার ৫শ’ টাকা জব্দ করা হয়। জব্দকৃত গাঁজার আনুমানিক বাজার মুল্য ৮ লক্ষাধিক টাকা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদেরকে সরিষাবাড়ি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। 





আরও খবর



যুদ্ধ করতে অস্বীকৃতি জানালো ইসরায়েলি সেনারা

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 |

Image

গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ৬ মাসের বেশি সময় ধরে যুদ্ধ করছে ইসরায়েল। গত ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এ যুদ্ধের শুরুতে ইসরায়েল বলেছিল, গাজা থেকে তারা হামাসকে পুরোপুরি নির্মূল করবে। তবে ৬ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো তারা এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি।

এরমধ্যে গাজার সর্বশেষ নিরাপদস্থান রাফাহতে হামলার পরিকল্পনা করছে দখলদার ইসরায়েল। তবে দীর্ঘ সময় ধরে যুদ্ধ চলায় এতে অংশগ্রহণ করার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন ইসরায়েলি সেনারা।

ইসরায়েলের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম চ্যানেল-১২ রোববার (২৮ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ৩০ জন সেনা দায়িত্ব পালনে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। প্যারাট্রপার রিজার্ভ ইউনিটের এসব বলেছেন, রাফাহতে অভিযান চালানোর সময় তাদের ডাকা হলে এতে সাড়া দেবেন না।

সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কমান্ডাররা এসব রিজার্ভ সেনাকে দায়িত্বে যোগ দিতে জোর করবেন না। তবে এই সেনাদের যুদ্ধ করতে অস্বীকৃতি করার মাধ্যমে ফুটে উঠেছে ৬ মাস ধরে যুদ্ধ করে তারা কতটা ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন।

এদিকে কাল সোমবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে যাবে হামাসের একটি প্রতিনিধি দল। তারা দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে জিম্মি চুক্তি নিয়ে কথা বলবেন।

হামাসের কাছে থাকা জিম্মিদের ছাড়িয়ে নিতে ইসরায়েল নতুন একটি প্রস্তাব দিয়েছে। এই প্রস্তাবটি পর্যালোচনা করে একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে হামাস। কাল কায়রোতে গিয়ে মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর কাছে নিজেদের সিদ্ধান্ত জানাবে তারা। ফলে আগামীকাল জানা যাবে ইসরায়েলের সঙ্গে হামাসের জিম্মি ও যুদ্ধবিরতির চুক্তি হবে কি না।

ইসরায়েল হুমকি দিয়েছে, যদি হামাস জিম্মি চুক্তিতে রাজি না হয় তাহলে তারা রাফাহতে হামলা চালাবে। এজন্য নিজেদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে রেখেছে তারা।

সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল


আরও খবর



আটকে গেল ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 |

Image



মাজহারুল ইসলাম মাসুম/সদরুল আইনঃ


ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ইতালিয়ান-থাই কোম্পানির শেয়ার চীনের সিনোহাইড্রো করপোরেশন লিমিটেডের কাছে হস্তান্তরের ওপর দুই সপ্তাহের স্থিতাবস্থা জারি করেছেন আপিল বিভাগ। 


এর ফলে এক্সপ্রেসওয়ের কাজ আপাতত বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী।


বৃহস্পতিবার (১৬ মে) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ৮ সদস্যের আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন। এ সময় আপিল বিভাগ বলেন, আর কয়দিন কাজ বন্ধ থাকলে সমস্যা নেই।


আদালতে ইতালিয়ান-থাই কোম্পানির পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন, শেখ মোহাম্মদ মোরসেদ, ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ ফারুক, ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ মইনুল। 


চায়না কোম্পানির পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ মেহেদী হাছান চৌধুরী, ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান।


আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ মেহেদী হাছান চৌধুরী বলেন, ইতালিয়ান-থাই কোম্পানির শেয়ার চীনের সিনোহাইড্রো করপোরেশন লিমিটেডের কাছে হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে হাইকোর্টের আদেশের ওপর আপিল বিভাগ দুই সপ্তাহের স্থিতাবস্থা দিয়েছেন।


এ সময় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চায়না ব্যাংক অব এক্সিম জানিয়ে দিয়েছে শেয়ার হস্তান্তর না হওয়া পর্যন্ত তারা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের কাজে টাকা দেবে না। এর ফলে আপাতত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকবে।


গত ১২ মে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ইতালিয়ান-থাই কোম্পানির শেয়ার চীনের সিনোহাইড্রো করপোরেশন লিমিটেডের কাছে হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞার আদেশ তুলে নেন হাইকোর্ট। 


এর ফলে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে থাইল্যান্ডের ইতালিয়ান-থাই কোম্পানির শেয়ার চীনের সিনোহাইড্রো করপোরেশন লিমিটেডের কাছে হস্তান্তর করতে বাধা কেটে যায়।


বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধরীর হাইকোর্টের একক কোম্পানি বেঞ্চ এ আদেশ দেন। সেদিন ব্যারিস্টার মেহেদী হাছান চৌধুরী বলেন, আদেশে আদালত বলেছেন, দেনা-পাওনা নিয়ে থাই ও চায়না কোম্পানির বিরোধ সিঙ্গাপুরের আরবিট্রেশন আদালত নিষ্পত্তি করবেন।


পরে এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে ইতালিয়ান থাই কোম্পানি।


এর আগে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ইতালিয়ান-থাই কোম্পানির শেয়ার চীনের সিনোহাইড্রো করপোরেশন লিমিটেডের কাছে হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। ইতালিয়ান-থাই কোম্পানির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দিয়েছিলেন আদালত।


এদিকে হঠাৎ করেই শ্রমিকশূন্য ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে মগবাজার অংশ। নেই কোনো নির্মাণ যজ্ঞ। পড়ে আছে এক্সপ্রেস ওয়ের কাঠামো। কথা ছিল চলতি বছরই শেষ হবে অগ্রাধিকারমূলক উন্নয়ন প্রকল্প ঢাকা এক্সপ্রেসওয়ে। 


এই সময় কাজ চলার কথা দ্রুত গতিতে। জানা যায় তিন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দ্বন্দ্বে এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে। থাইল্যান্ড ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইতালিয়ান-থাই কিস্তির টাকা দিতে না পারায় তাদের শেয়ার দাবি করে চীনা প্রতিষ্ঠান।



 এই নিয়ে সিঙ্গাপুরে আরবিট্রেশন চলা অবস্থায় সরকারের অগ্রাধিকারে থাকা গুরুত্বপূর্ণ এই প্রকল্প নিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোর দ্বন্দ্ব গড়ায় আদালত পর্যন্ত। সেই সঙ্গে ঋণ সহায়তা বন্ধ করে দেয় দুটি চীনা ব্যাংক।


থাইল্যান্ড ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইতালিয়ান-থাই, চীনের শ্যানডং ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল কো-অপারেশন গ্রুপ এবং সিনোহাইড্রো করপোরেশন লিমিটেড মিলে করছিলো এক্সপ্রেসওয়ের কাজ। এই কাজে তিন প্রতিষ্ঠান শেয়ার যথাক্রমে ৫১, ৩৪ ও ১৫ শতাংশ। বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ হলো এক্সপ্রেসওয়ের নির্বাহী প্রতিষ্ঠান।


প্রকল্পের চুক্তি অনুযায়ী নির্মাণ ব্যয়ের ৭৩ শতাংশের জোগান দেবে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান। আর ২৭ শতাংশ দেবে বাংলাদেশ সরকার।


আরও খবর



জিএসএমএর প্রতিবেদন : মোবাইল ও ইন্টারনেট ব্যবহারে পিছিয়ে বাংলাদেশের নারীরা

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 |

Image

 ডিজিটাল ডেস্ক :

মোবাইল ও ইন্টারনেট ব্যবহারে দেশে পুরুষের চেয়ে নারীরা অনেকে পিছিয়ে রয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। 


এছাড়া শুধু ইন্টারনেট সেবা গ্রহণে এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের নারীদের অবস্থান সর্বশেষ। শিক্ষা ও ডিজিটাল দক্ষতার অভাবে ইন্টারনেট ব্যবহারে পুরুষের থেকে আগ্রহ বেশি থাকা সত্ত্বেও দেশের নারীরা এ ক্ষেত্রে পিছিয়ে রয়েছে।


মুঠোফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর বৈশ্বিক সংগঠন গ্লোবাল সিস্টেম ফর মোবাইল কমিউনিকেশনস অ্যাসোসিয়েশনের (জিএসএমএ) ‘দ্য মোবাইল জেন্ডার গ্যাপ রিপোর্ট ২০২৪’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।



প্রতিবেদনে বলা হয়, এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ইন্টারনেট সেবা গ্রহণে বাংলাদেশশের নারী–পুরুষের ব্যবধান সবচেয়ে বেশি (৪০ শতাংশ)। ভারতে এ ব্যবধান ৩০ শতাংশ, পাকিস্তানে ৩৮ শতাংশ ও ইন্দোনেশিয়ায় ৮ শতাংশ।


বাংলাদেশে ৮৫ শতাংশ পুরুষ ও ৬৮ শতাংশ নারী মুঠোফোনের মালিক। অর্থাৎ মালিকানায় নারী–পুরুষের ব্যবধান ২০ শতাংশের কাছাকাছি। এছাড়া ইন্টারনেট ব্যবকারী পুরুষের সংখ্যা বাংলাদেশে ৪০ শতাংশ এবং নারীর সংখ্যা ২৪ শতাংশ। নারীদের এ হার ভারতে ৫৩ শতাংশ ও ৩৭ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়ায় ৬৯ শতাংশ ও ৬৩ শতাংশ, পাকিস্তানে ৫৩ শতাংশ ও ৩৩ শতাংশ।



বাংলাদেশের নারীদের পিছিয়ে পড়ার কারণ হিসেবে প্রতিবেদনে বলা হয়, অস্বচ্ছল, পড়াশোনা না জানা, গ্রামাঞ্চলে বসবাস বা বিশেষভাবে সক্ষম নারীরা এ ক্ষেত্রে পিছিয়ে। এছাড়া সাক্ষরতা ও ডিজিটাল দক্ষতার অভাবের কথা উঠে এসেছে, যা পুরুষের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।


ইন্টারনেট ব্যবহারে বড় বাধা হিসেবে সামর্থ্যের বিষয়টিও প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। বলা হয়েছে, মোবাইল ও ইন্টারনেটের বাড়তি দামও বাধা হিসেবে ভূমিকা রাখছে। বিশেষত বাংলাদেশ, কেনিয়া, নাইজেরিয়া ও উগান্ডায় মুঠোফোনে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য ডেটা প্যাকেজের বাড়তি দাম বড় একটি সমস্যা। 


বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর ২৪ শতাংশ নারী এবং ১৫ শতাংশ পুরুষ প্রতিবন্ধকতা হিসেবে ডাটা প্যাকেজের বাড়তি দামের বিষয়টি উল্লেখ করেছেন।


যেসব ক্ষেত্রে বাংলাদেশের নারী-পুরুষ ইন্টারনেট বেশি ব্যবহার করেন তার মধ্যে রয়েছে- অনলাইন কল, ভিডিও কল। এছাড়া, ৫৫ শতাংশ পুরুষ ও ৪৫ শতাংশ নারী অনলাইনে খবর পড়েন। পুরুষের ২৩ ও নারীর ১২ শতাংশ চাকরি ও ব্যবসা–সংক্রান্ত তথ্য অনলাইনে খুঁজে থাকেন।


এ প্রতিবেদন তৈরিতে সংস্থাটি নিম্ন ও মধ্যম আয়ের ১২টি দেশের ৩ হাজারের বেশি নারী ও পুরুষের ওপর জরিপ চালায়। দেশগুলো হলো-মিসর, ইথিওপিয়া, কেনিয়া, সেনেগাল, নাইজেরিয়া, উগান্ডা, বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, গুয়াতেমালা ও মেক্সিকো। এরমধ্যে ভারতেই ২ হাজার জনের ওপর জরিপ চালানো হয়। 


আরও খবর

জাপানে চালু হলো সিক্স-জি

সোমবার ১৩ মে ২০২৪

হোয়াটসঅ্যাপ নতুন ফিচার আসছে

শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪




অবৈধ টিভি চ্যানেলের বিরু‌দ্ধে কার্যক্রম শুরু

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image

অবৈধভাবে দেশি-বিদেশি টিভি চ্যানেল প্রদর্শন ও লাইসেন্সবিহীন বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা বন্ধে কার্যক্রম শুরু করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়নে গত বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের চিঠি দেওয়া হ‌য়ে‌ছে। তারই পরিপ্রেক্ষি‌তে অবৈধভাবে দেশি-বিদেশি টিভি চ্যানেল প্রদর্শন ও লাইসেন্সবিহীন বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা বন্ধে কার্যক্রম শুরু করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

সিদ্ধান্তগুলো হলো-

১। কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর অধীনে অনুমোদিত সেবা প্রদানকারীগণই সরকার কর্তৃক অনুমোদিত দেশি ও বিদেশি চ্যানেলসমূহ গ্রাহকের নিকট বিতরণ করতে পারবে।

২। ক্লিনফিড ছাড়া বিদেশি চ্যানেল কিংবা অননুমোদিত কোনো চ্যানেল ডাউনলিংক, সম্প্রচার, সঞ্চালন বা বিতরণ করা যাবে না।

৩। সেট-টপ বক্স অবৈধভাবে আমদানি ও বাজারজাত করা যাবে না।

৪। টিভি চ্যানেল স্ট্রিমিং এর অ্যাপসসমূহ ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করে প্রচারণা করা কিংবা এ ধরনের অ্যাপস সেট-টপ-বক্সে ইনস্টল করে বিক্রি করা সম্পূর্ণরূপে অবৈধ। এর বিরুদ্ধে বিটিআরসি আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

৫। বাংলাদেশের নিরাপত্তার স্বার্থে, সরকারের রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধির স্বার্থে, বিদেশে অর্থ পাচার রোধে এবং দেশের শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে যেকোনো অবৈধ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং ডাক, টেলিযোগযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় প্রচলিত আইন ও বিধি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

৬। কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর ৩(১) ধারা অনুযায়ী, কোনো ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী নির্ধারিত আবেদনপত্রের ভিত্তিতে সরকার কর্তৃক অনুমোদিত চ্যানেল ব্যতিত অন্য কোনো চ্যানেল বাংলাদেশে ডাউনলিংক, বিপণন, সঞ্চালন বা সম্প্রচার করতে পারবে না। এছাড়া, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় হতে বিদেশি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠান ক্লিনফিড সম্প্রচারের বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করেছে বিধায় কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ক্লিনফিড ব্যতিত বিদেশি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠান সম্প্রচার বা সঞ্চালন করতে পারবে না।

৭। কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর ৩(২) ধারা অনুযায়ী, কোন ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী সরকার অনুমোদিত চ্যানেল ব্যতিত নিজস্ব কোনো অনুষ্ঠান যথা: ভিডিও, ভিসিডি, ডিভিডি এর মাধ্যমে অথবা অন্যকোনো উপায়ে কোনো চ্যানেল বাংলাদেশে বিপণন, সঞ্চালন ও সম্প্রচার করতে পারবে না। আইন অমান্য করে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান দেশি বা বিদেশি টিভি চ্যানেলের ফিড বা নিজস্ব কোনো চ্যানেল সম্প্রচার বা সঞ্চালন করতে পারবে না।

৮। কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর ৪(১) ধারা অনুযায়ী, লাইসেন্সপ্রাপ্ত না হয়ে কোনো ব্যক্তি, ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী হিসাবে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে না। তাই লাইসেন্সধারী ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী ব্যতিত অন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান টিভি চ্যানেল বা অনুষ্ঠান সঞ্চালন বা সম্প্রচার করতে পারবে না।

৯। অনুমোদিত ডিস্ট্রিবিউটরগণ এই সিদ্ধান্তসমূহ তাদের বিদেশি টিভি চ্যানেল সম্প্রচারকারীদের লিখিতভাবে অবহিত করবে।

১০) আইন/নীতিমালা বহির্ভূত, অবৈধ বা অননুমোদিতভাবে সম্প্রচার কাজে জড়িত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

এর আগে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, সরকার অনুমোদিত দেশি ও বিদেশি টিভি চ্যানেলের ফিড কেবলমাত্র বৈধ ক্যাবল ও ডিটিএইচ অপারেটররা গ্রাহকের কাছে পৌঁছাতে পারবে। তাদের বাইরে অন্য কেউ এ কাজ করলে তা বেআইনি ও অবৈধ। এ বেআইনি কাজ বন্ধে সরকার আইনগত ব্যবস্থা নেবে। এই বেআইনি কাজের কারণে সরকার রাজস্ব হারায় এবং বিভিন্নভাবে বিদেশে অর্থ পাচার হয়। একই সঙ্গে দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়।

তিনি আরো বলেন, বিদেশি চ্যানেলের অবৈধ সম্প্রচারের মাধ্যমে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে বিদেশি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধে যে ক্লিনফিডের ব্যবস্থা করা হয়েছে তা বাস্তবায়ন ব্যাহত হয়। দেশের জনগণের স্বার্থে এই সংক্রান্ত আইনের বাস্তবায়ন করা হবে।


আরও খবর



১৫ মে থেকে আবার আসছে তাপপ্রবাহ

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 |

Image

বৈশাখে ছিলো না কোনো কালবৈশাখী বা বৃষ্টি। উল্টো পুরো এপ্রিলজুড়ে সারাদেশের মানুষ পুড়েছে তীব্র তাপপ্রবাহে। গরমের তীব্রতা এতই বেশি ছিল যে জনজীবন এলোমেলো হয়ে গিয়েছিলো। সেই তাপপ্রবাহ দুর করে চলতি মাসে শুরু হয় স্বস্তির বৃষ্টি। বর্তমানে অনেকটাই স্বস্তিতে রয়েছে মানুষ। তবে সেই স্বস্তি বেশিদিন থাকবে না বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

আগামী কয়েক দিনে দেশে বৃষ্টির প্রবণতা কমবে; মধ্য মে থেকে গরম বাড়বে। মাসের শেষাংশের পুরোটাজুড়েই থাকতে পারে তাপপ্রবাহ। আবহাওয়াবিদ শাহানাজ সুলতানা এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, এখন বৃষ্টির প্রবণতা অনেকটা কমে গেছে। এটা আরও কমে যাবে। রোববার থেকে দেশের তাপমাত্রা বাড়তে থাকবে। আর ১৫ তারিখের পর থেকে মাসজুড়েই তাপপ্রবাহ থাকতে পারে।

আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন বলেন,  রাতে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে; তবে রোববার থেকে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে থাকবে।

তিনি আরও বলেন, চলতি মাসের ১৫ তারিখ থেকে তাপমাত্রা আরও বাড়বে। তখন রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেটের কিছু কিছু জায়গায় হয়তো বৃষ্টি থাকবে, কিন্তু অন্যান্য জায়গা থেকে কমে যাবে। ১৫ তারিখ থেকে পুরো মাস জুড়েই তাপপ্রবাহ থাকতে পারে।

আরেক আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেন, মে মাসের তাপমাত্রা এপ্রিলের মতো প্রকট হবে না। কারণ, এর মধ্যেই কোনো কোনো দিন বৃষ্টি হবে। তবে মে মাসের শেষের দিকে এবং জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহে তাপমাত্রা বাড়বে আরও এক ধাপ। কারণ, জুনের ১৫ তারিখ থেকে বর্ষাকাল শুরু হয়। এর আগে প্রকৃতি ড্রাইআউট হয়। তখন তাপমাত্রা বাড়বে।


আরও খবর