Logo
শিরোনাম

ঝুঁকি নিয়ে সেতুতে চলাচল, ঘটছে দুর্ঘটনা

প্রকাশিত:রবিবার ১৩ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ |

Image

বরিশালের মুলাদী উপজেলার সফিপুর ইউনিয়নের সোনামদ্দিন বন্দরসংলগ্ন খালের উপর জরাজীর্ণ সেতু দিয়ে চলাচলের সময় গাড়ি উল্টে তিনজন আহত হয়েছেন। মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহনসহ হাজারো জনসাধারণ। সেতুটি আট বছর ধরে জরাজীর্ণ অবস্থায় আছে বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।

জানা গেছে, ২০০৪-০৫ অর্থবছরে খালটির ওপর সেতু নির্মাণ করা হয়। নির্মাণের সময়ই সেতুটি অনেক ত্রুটিপূর্ণ ছিল বলে জানান স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। পাশে পর্যাপ্ত জায়গা না রেখেই সেতুটি নির্মাণ করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল দফতর। পাশাপাশি দুটি গাড়ি চলাচলের সময় দুর্ঘটনার শিকার হয়। ২০১৫ সালের দিকে অনেকগুলো রেলিং ভেঙ্গে পড়ে এবং সেতুটির পাটাতনের বিভিন্ন স্থান ভেঙ্গে যায়। সেতুর এক পাশের রেলিং ধসে যাওয়ায় সেতুটি এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে।

এলাকাবাসীর আশঙ্কা, যেকোনো মুহূর্তে সেতুটিতে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

সেতুটির উপর দিয়ে সফিপুর ও বাটামারা ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ ইজিবাইক, মোটরসাইকেল, ভ্যানসহ বিভিন্ন যানবাহন দিয়ে মুলাদী সদরসহ বিভিন্ন স্থানে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে। ফলে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন অনেকে।

গত ৫ মার্চ একটি ভ্যান গাড়ি চলাচলের জায়গা দিতে গিয়ে নিচে পড়ে ভ্যান চালক আহত হয়েছেন। এরপর ৮ মার্চ একটি ইজিবাইক সেতুর নিচে উল্টে পড়ে গিয়ে চালকসহ দু’জন আহত হন।

সোনামদ্দিন বন্দরের সেতুটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। মুন্সীরহাট, বাটামারা, সফিপুর নোমরহাটসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ এ সেতু দিয়ে চলাচল করে। সেতুটি দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। দ্রুত সংস্কার করা না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।


আরও খবর



ইউক্রেনের একটি গ্রাম দখলের দাবি রাশিয়ার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ |

Image

পূর্ব ইউক্রেনে আরও অগ্রসরের দাবি করেছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। এদিকে ইউক্রেনের দাবি, তারা রাশিয়ার অগ্রগতি থামিয়েছে।

রাশিয়ার দাবি, পূর্ব ইউক্রেনের গ্রাম নোভোমিমিকাইলিভকা তারা দখল করে নিয়েছে এবং তা তাদের নিয়ন্ত্রিত দোনেৎস্কের মধ্যে নিয়ে এসেছে। খবর রয়টার্সের

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সামাজিক মাধ্যমে দাবি করেছে, তারা একটি গ্রামকে মুক্ত করেছে এবং যুদ্ধক্ষেত্রে নিজেদের অবস্থান আরো ভালো করেছে।

ইউক্রেনের সেনা কর্তারা দাবি করেছেন, রাশিয়া দোনেৎস্কে ২৩ বার তাদের প্রতিরক্ষা বলয় ভেঙে এগোবার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু পারেনি। ইউক্রেনের হাতে এখন অস্ত্র এবং গোলাবারুদ কমে এসেছে। তাই তারা রাশিয়ার আক্রমণ প্রতিহত করার চেষ্টা করছে মাত্র।

গত সপ্তাহান্তে মার্কিন পার্লামেন্টে ইউক্রেনকে ছয় হাজার একশ কোটি ডলার সামরিক ও আর্থিক সাহায্য দেয়ার প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এই সাহায্য ইউক্রেনের হাতে পৌঁছাতে বেশ কয়েক সপ্তাহ লেগে যাবে।

মার্কিন থিংক ট্যাংক দ্য স্টাডি অৎ ওয়ার জানিয়েছে, রাশিয়ার সেনা এখন তাদের আক্রমণ আরও তীব্র করবে। তারা মিসাইল ও ড্রোন ব্যবহার করবে। ইউক্রেনের হাতে যথেষ্ট পরিমাণ অস্ত্র না থাকার সুবিধা তারা নেয়ার চেষ্টা করবে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়া এই বড় ধরনের আঘাত হানার চেষ্টা করতে পারে।

ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান সোমবার একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, আগামী সপ্তাহগুলিতে যুদ্ধক্ষেত্রের অবস্থা খারাপ হতে পারে। তিনি জানিয়েছেন, 'আমি মনে করছি, সামনে কঠিন সময় আসছে। তবে অনেকে বলছেন, বিপর্যয় হবে, আমি বলছি, সেরকম কিছু হবে না।'

ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভে বিমান হামলা করেছে রাশিয়া। সেই হামলায় খারকিভের টিভি সম্প্রচার পরিকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে আঞ্চলিক গভর্নর জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এই আক্রমণের ফলে ডিজিটাল টিভি সিগন্যাল ব্যাহত হয়েছে।

তিনি জানিয়েছেন, রাশিয়ার আক্রমণের সময় অ্যালার্ম বেজেছিল। তখন কর্মীরা নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান। ফলে কেউ হতাহত হননি।

বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, রাশিয়ার হামলায় টিভি টাওয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ছবি ও ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, টাওয়ারের উপরের অংশ ভেঙে পড়েছে এবং সেখান থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ইউক্রেনকে সামরিক সাহায্য দেয়া হবে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে ফোন করে বাইডেন বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন। জেলেনস্কি বলেছেন, তিনি ও বাইডেন রাশিয়ার কৌশল নিয়ে কথা বলেছেন। রাশিয়া যেভাবে হাজার হাজার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনের সাহায্যে আক্রমণ তীব্র করেছে তা নিয়ে কথা হয়েছে। খারকিভে টিভি টাওয়ারে রাশিয়ার হামলার প্রসঙ্গও তাদের আলোচনায় এসেছে।


আরও খবর

রাইসির জানাজা ও দাফন কোথায়

মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪




স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ঋষির দলের ভরাডুবি

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ |

Image

যুক্তরাজ্যে স্থানীয় সরকার নির্বাচন গত ২ মে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই স্থানীয় সরকার নির্বাচনে গত ৪০ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বিপর্যয়ের মুখে ঋষি সুনাকের ক্ষমতাসীন দল কনজারভেটিভ পার্টি। তৃতীয় অবস্থানে থাকা রাজনৈতিক দল লিবারেল ডেমোক্রেটিকের কাছে ভরাডুবি হয়েছে কনজারভেটিভের। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।

এতে ১০৭ টি কাউন্সিলে ২৭,০০ কাউন্সিলর ও ১১ জন সিটি মেয়র নির্বাচিত হওয়ার জন্য সব রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করে। নির্বাচিত ১১টি মেয়র আসনের মধ্যে ১০টি আসন হারিয়েছে কনজারভেটিভ। ১০টি আসনে মেয়র পদে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছে কিয়ার স্টারমারের নেতৃত্বাধীন লেবার পার্টি।

তৃতীয় অবস্থানে থাকা দল লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির কাছে হার মেনেছে কনজারভেটিভ, সুনাকের দলকে পেছনে ফেলে দ্বিতীয় অবস্থান দখল করে নিয়েছে লিবডেম। ১১৪০টি কাউন্সিলর পদে জয় পেয়েছে লেবার। লিবারেল ডেমোক্রেটিক পেয়েছে ৫২১টি, কনজারভেটিভ পেয়েছে ৫১৩টি, ইন্ডিপেন্ডেন্ট পেয়েছে ২২৮টি, গ্রিন পার্টি ১২১টি, রেসিডেনস অ্যাসোসিয়েশন পেয়েছে ৪৮টি।

১১টি মেয়র পদের মধ্যে লেবার যে ১০টি এলাকায় জিতেছেগ্রেটার লন্ডন, পূর্ব মিডল্যান্ডস, গ্রেটার ম্যানচেস্টার, লিভারপুল সিটি অঞ্চল, উত্তর পূর্ব, সালফোর্ড, সাউথ ইয়র্কশায়ার, ওয়েস্ট মিডল্যান্ডস, ওয়েস্ট ইয়র্কশায়ার এবং ইয়র্ক এবং উত্তর ইয়র্কশায়ার।

নির্বাচনী ফলাফলে হতাশা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক তার প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে লেবার পার্টির বড় জয় হলেও আগামী জাতীয় নির্বাচনে এই প্রেক্ষাপট থাকবে না। বরং কনজারভেটিভকেই বেছে নেবে জনগণ। কনজারভেটিভ পার্টিকেই ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবে।

অন্যদিকে লেবার নেতা স্যার কিয়ার স্টারমার নির্বাচনী ফলে উচ্ছ্বসিত। তিনি আগামী জাতীয় নির্বাচনের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাককে। কিয়ার স্টারমার জাতীয় নির্বাচনের ঠিক আগমুহূর্তে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ফলাফলই জনগণের আগাম বার্তা যে, তারা পরিবর্তন চায়।


আরও খবর

রাইসির জানাজা ও দাফন কোথায়

মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪




শ্রীপুর উপজেলা নির্বাচনে সবশেষ ফলাফল যা বলছে

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ |

Image


সদরুল আইন:

প্রশাসন ও ইসির সাথে বিরোধে জড়িয়ে নির্বাচন থেকে ছিটকে পড়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলীর বড় ভাই এড. জামিল হাসান দুর্জয়।


ইসির মনোনয়ন বাতিলের ঘোষণার বিরুদ্ধে তিনি গত বৃহস্পতিবার উচ্চ আদালতে আপিল করেছেন,চেম্বার জজ আদালতে যার শুনানী অনুষ্ঠিত হবে রোববার বিকেল ৩ টায়।

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার সকল মানুষের দৃষ্টি এখন আগামিকালের রায়ের দিকে।তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই রায় তার পক্ষে আসার সম্ভাবনা কম।কারন তিনি ইসি ও স্থানীয় প্রশাসের সাথে বিরোধে জড়িয়েছেন এবং তার নির্বাচনী আচরন বিধি ভঙ্গের শক্ত প্রমান রয়েছে নির্বাচন কমিশনের হাতে।

অনেকে বলছেন, রায় তার পক্ষে যাবে। তবে তার পক্ষে গেলেও তা তার কোন উপকারে আসবে না।যদি রায় পক্ষেও যায় তবে ইসি লীভ পিটিশন দায়ের করতে পারেন।গড়াতে পারে প্রধান বিচারপতি পর্যন্ত।কারন হিসেবে তারা মনে করছেন, ইসি ও প্রসাশন দুর্জয়ের বিতর্কিত কর্মকান্ড এবং বারবার আইন ভাঙার কারনে সংঘটিত যে বিরোধ তাতে নাখোশ তারা।

মনোনয়ন বাতিল হওয়ার পরও তিনি তার নির্বাচনী এলাকায় শুক্রবারও চষে বেড়িয়েছেন।তার এ একগুয়েমি ও আইন না মানার ঐদ্ধত্যকে ইসি ও স্থানীয় প্রশাসন ভাল চোখে দেখছে না।ফলে রায় তার পক্ষে গেলেও প্রশাসনের মানসিকতা তার পক্ষে যে থাকবে না তা প্রতিটি ভোটার তা অনুধাবন করতে পারছেন।

এছাড়াও প্রার্থিতা বাতিলের প্রভাব ইতিমধ্যেই ভোটারদের উপর পড়েছে এবং রোববারের রায় পক্ষে গেলেও তিনি আর প্রচারণায় আসতে পারছেন না, প্রচারণার নির্দিষ্ট সময় শেষ হওয়ার কারনে।

বেশিরভাগ মানুষ মনে করছেন, যেহেতু নির্বাচনী মাঠ তার জয়ের পথে অনুকূলে ছিল কিন্তু অরাজনৈতিক আচরনের কারনে আজকের এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।নিশ্চিত জয়ের দ্বারপ্রান্ত থাকা জয়কে অন্যের হাতে তুলে দিয়েছেন তিনি।

অন্যদিকে দুর্জয়ের প্রতিপক্ষ সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল বিএ কে ভাগ্যবান মনে করছেন অনেকেই।ভাগ্য তার সহায় হয়েছে বলেই মনে করছেন বেশিরভাগ মানুষ।তারা বলছেন, দুর্জয় নিজের সর্বনাশ নিজে না করলে জটিল হত আব্দুল জলিলের জয়কে স্পর্শ করা।

এদিকে জলিলের প্রচারণার একটি গাড়ি বহরে একজন শিশু পৃষ্ট হয়ে তেলিহাটিতে মৃত্যুবরণ করায় ইসি আজ সকাল ৯ টায় এ ব্যাপারে তার বক্তব্য গ্রহন করেছে।তার বক্তব্যে ইসি ও স্থানীয় প্রশাসন সন্তুষ্ট কি না বা এ ব্যাপারে তারা কি পদক্ষেপ নেয় তা এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জানা যায়নি।

অপরদিকে বিভিন্ন সংস্থা, ভোটার, নানা ধরনের জরিপ প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, যদি দুর্জয় প্রার্থিতা ফিরেও পায় তবুও ৬৫% থেকে ৭০% ভোট জলিল ও ৩০% থেকে ৩৫% ভোট জামিল হাসান দুর্জয় পেতে পারেন।অথচ দুর্জয়ের প্রার্থিতা বাতিলের আগে এই চিত্র ছিল উল্টো।

জানা গেছে, এখানকার ভোটাররা চেয়ে আছেন উচ্চ আদালতের রায়ের দিকে।আদালতের রায় দুর্জয়ের দিকে গেলে উল্লেখিত ভোটের হিসেবে পরিবর্তন আসতে পারে।আর আদালতের রায়ে যদি ইসির সিদ্ধান্ত বহাল থাকে এবং কোন পক্ষ যদি আর উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ না হয় তবে শ্রীপুরের নির্বাচনটি হয়ে পড়বে একপেশে, প্রতিদ্বন্দিতাহীন।সেক্ষেত্রে আব্দুল জলিল বিএ দ্বিতীয়বারের মত নিশ্চিতভাবেই উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন।

তিনি নির্বাচিত হলে এখানে তৃতীয় ধারার রাজনীতির সূচনা হবে।সাবেক এমপি ইকবাল হোসেন সবুজ ও প্রয়াত এমপি এড রহমত আলী পরিবার রাজনৈতিক সংকটে পড়বেন।নির্বাচন পরবর্তি এখানকার ঝুট ব্যবসায় আধিপত্য হারারেন ক্ষমতাসীনরা।তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তির আবির্ভাবে বর্তমানের দুই শক্তিতেই ফাটল ধরবে।টার্নিং পয়েন্টে এসে দাড়াবে রাজনীতি।

আর যদি রোববারের রায়ের বিপক্ষে কোন পক্ষই যদি আর আদালতের দ্বারস্থ না হয় তবে নির্বাচনটি ২১শে মে অনুষ্ঠিত হবে।তবে কোন এক পক্ষ যদি রোববারের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানায়ে পিটিশন দায়ের করেন তবে ২১ মে'র অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনটি স্থগিত ঘোষণা করা হতে পারে,এমন সম্ভবানাও রয়েছে বলে অভিমত রয়েছে।


আরও খবর



নওগাঁয় পর্নোগ্রাফি বিক্রি করায় ৭ জনকে আটক করেছে র‍্যাব

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁয় তরুন ও যুব-সমাজ সহ শিক্ষার্থীদের কাছে টাকার বিনিময়ে পর্ণোগ্রাফি সংরক্ষণ, সরবরাহ ও বিক্রয় করার অভিযোগে ৭ জনকে আটক করেছে র‍্যাব।

রবিবার দুপুরে সত্যতা নিশ্চিত করে র‍্যাব-৫, সিপিসি-৩, জয়পুরহাট কাম্প থেকে জানানো হয়, 

নওগাঁয় শিক্ষার্থী সহ তরুন ও যুব-সমাজের মাঝে পর্নোগ্রাফি বিক্রি করায় ৭ জনকে

শনিবার দিবাগত আটক করা হয়। 

আটককৃতরা ৭ জন হলেন, নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার বদলপুর গ্রামের বিরেন চন্দ্র মন্ডলের ছেলে কৃষ্ণ বাবু (২৮), একই গ্রামের জিল্লুর রহমানের ছেলে ছেলে মোকছেদুল মমিন (২৫), বন্দীনাথের ছেলে মনষা (২৮), মধইল গ্রামের ছয়ফুল ইসলামের ছেলে করিম (২৩), গুটিন গ্রামের আব্দুল গাফফারের ছেলে আল আমিন (২১), একই গ্রামের জয়রাম উরাওয়ের ছেলে অনুকুল (২৮), মানাষী গ্রামের সাইদুল ইসলামের ছেলে ফরিদুল ইসলাম (২২)। র‍্যাব আরো জানান, তারা পত্নীতলা থানাধীন বটতলী বাজার এলাকায় তাদের দোকানের নিজস্ব কম্পিউটারের হার্ডডিস্কে অশ্লীল সিনেমা ও ভিডিও ক্লিপ আপলোড ব্যবসার পাশাপাশি পর্নোগ্রাফি সংরক্ষণ করে টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন ইলেকট্রিক ডিভাইসের মাধ্যমে স্থানীয় কিশোর ও যুব-সমাজ সহ স্কুল পডুয়া শিক্ষার্থীদের কাছে সরবরাহ করত। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিষয়টি তদন্ত শুরু করে তদন্তে এর সত্যতা পাওয়ায় তাদের নিজ দোকানে অভিযান চালিয়ে পর্নো ব্যবসায়ীদের কে আটক করা হয়।

এব্যাপারে পত্নীতলা থানায় অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোজাফফর হোসেন বলেন, আটককৃতদের রবিবার দুপুরে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে নওগাঁ জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।


আরও খবর



নিত্যপণ্যসহ সবজির দাম লাগামহীন

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ |

Image

গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সবজির দাম আরও বেড়েছে। প্রচ- গরমে বাজারে সরবরাহ কম থাকায় সব ধরনের সবজির দাম ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। মুরগি ও ডিমের দামও বেড়েছে। রাজধানীতে প্রতি ডজনে ডিমের দাম বেড়েছে ৩০ টাকা পর্যন্ত। রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, মুরগির প্রতি ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা, আর সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ টাকায়। আর প্রতি ডজন হাঁসের ডিম ২০০ টাকা ও দেশি মুরগির ডিম ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।


কয়েকদিন আগেও এই ডিম বিক্রি হয়েছে ১১৫ থেকে ১২০ টাকায়। ব্যবসায়ীরা জানান, চাহিদা বাড়লেও বাজারে ডিমের সরবরাহ এখনো কম। এ ছাড়া তীব্র গরমে মরে যাওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে অনেকেই আগেভাগে বিক্রি করে দিচ্ছেন মুরগি। এতে ব্যাহত হয়েছে উৎপাদন। এর প্রভাব পড়ছে ডিমের দামে। অস্থিরতা থামছে না মুরগির বাজারেও। গরমে মুরগি লালন-পালন ব্যাহত হওয়ার অজুহাত থেকে মুক্তি মিলছে না ক্রেতাদের। বাজারে ব্রয়লারের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা, সোনালি ৩৮০ টাকা আর দেশি জাতের জন্য গুনতে হবে ৭০০ টাকা।

সবজি বিক্রেতারা বলছেন, গরমের প্রভাব পড়েছে সরবরাহের ক্ষেত্রে। চাষিদের খেতে সবজি নষ্ট হচ্ছে। যার ফলে বাজারে দাম বেড়েছে। রাজধানীর বাজারে সব সময় ক্রেতার নাগালের মধ্যে থাকা পেঁপেও এখন ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা বছরের অধিকাংশ সময় ৪০ টাকার মধ্যে থাকে। এ ছাড়া ঈদের পরে কেজিপ্রতি আলুর দাম মানভেদে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যা আগে ৪০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে ছিল।এ ছাড়া বেগুন ৭০ থেকে ৮০ টাকা, কাঁকরোল ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ থেকে ৭০ টাকা, পটোল ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

শজনে, উস্তা, করলা ও ঝিঙের মতো সবজির দাম কেজিপ্রতি ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মালিবাগ বাজারের বিক্রেতা মাহমুদ খান বলেন, সবজির সরবরাহ কম। গরমে সবজি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। যে কারণে দাম বেড়েছে। গ্রামগঞ্জের মোকামগুলোতে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় অধিকাংশ সবজির দাম ৮-১০ টাকা কেজিপ্রতি বেড়েছে। সেভাবে ঢাকার বাজারেও বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। প্রচ- গরমের কারণে লেবুর চাহিদা বাড়ায় দামও বেড়েছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। বাজারে প্রতি হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা দরে। কোথাও কোথাও ৬০ টাকাও বিক্রি হতে দেখা গেছে। ঈদের আগে বেড়ে যাওয়া গরুর মাংসের দাম কমেনি। কেজিপ্রতি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকা কেজিতে। খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা কেজিতে।

 

শনির আখরা বাসিন্দা ইমরান বলেন, যেভাবে মুরগির দাম বাড়ছে তাতে কেনাই মুশকিল। সাধারণ মানুষ মাংসের চাহিদা মেটানোর জন্য ব্রয়লার মুরগির ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু বর্তমান বাজারে সেই ব্রয়লার মুরগির দামও বেড়েই চলছে। অথচ এক-দেড় বছরে বেতন বাড়েনি এক টাকাও। সাধারণ ক্রেতার কথা ভেবে বাজার মনিটরিংয়ের কোনো উদ্যোগ দেখি না। এত দাম দিয়ে সাধারণ নিম্নআয়ের ক্রেতাদের ব্রয়লার মুরগি কিনে খাওয়া সম্ভব নয়।


আরও খবর