Logo
শিরোনাম

মহামারি রূপ নিতে পারে নিপাহ ভাইরাস

প্রকাশিত:সোমবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

গত এক বছরে নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন সবচেয়ে বেশি মানুষ। মৃত্যুর হার ৭১ শতাংশ। তাই খেজুরের কাঁচা রস খাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)।

সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এখনই সংক্রমণ ঠেকানো না গেলে মহামারি রূপ নিতে পারে এই ব্যাধি। ২০০৪ সালে দেশে প্রথম শনাক্ত হয় নিপাহ ভাইরাস। এরপর থেকেই শীতকালে বাড়তে থাকে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা।

আইইডিসিআরের তথ্য বলছে, গত ৭ বছরে দেশে এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে ৩৩৯ জন। এর মধ্যে মারা গেছে ২৪০ জন। এছাড়া গত এক বছরে আক্রান্ত ১৪ জনের মধ্যে প্রাণ গেছে ১০ জনের।

নিপাহ ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে খেজুরের কাঁচা রস পান ও বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আইইডিসিআর। এখনই সচেতন না হলে ভবিষ্যতে ভাইরাসটি মহামারি আকার ধারণ করতে পারে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।

আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরীন বলেন, মানুষ যাতে রস না খায়- এই ব্যাপারে একটু প্রচার-প্রচারণা এখনই দরকার। রসের জন্য নিরাপত্তা দিলেও আসলে কিন্তু রিয়েল নিরাপত্তা হয় না।

সংস্থাটি জানায়, বাদুরের প্রসাব থেকেও ছড়াতে পারে নিপাহ ভাইরাস। এটি ছোঁয়াচে। তাই করোনার মতো দূরত্ব বজায় রাখার পরামর্শ আইইডিসিআরের।

 


আরও খবর



শ্লীলতা হানির অভিযোগ সহকারী প্রধান শিক্ষক লিটনের বিরুদ্ধে

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি 

শ্লীলতা হানির অভিযোগ উঠেছে বালিকা বিদ্যা নিকেতনের সহকারী প্রধান শিক্ষক লিটন চন্দ্র দেবনাথের বিরুদ্ধে। এর দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি ও অপসারণের দাবিতে জেলা শিক্ষা অফিসার ও  জেলা প্রশাসকের বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ফরিদা ইয়াছমিন ।

এছাড়া ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ রয়েছে ইতিপূর্বেও ওই বিদ্যালয়ের আয়া নিগার সুলতান কে জড়িয়ে ধরে শরীরের স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দিয়ে শ্লীলতা হানি ঘটায়।  পরে প্রতিষ্ঠানটির আয়া কাঁদতে কাঁদতে  বিদ্যালয় থেকে বেড়িয়ে স্থানীয়দের ঘটনা খুলে বলেন।

অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, লিটন চন্দ্র দেবনাথ দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে ফরিদা ইয়াসমিনকে বিভিন্ন ধরনের কু প্রস্তাব দিয়ে আসছে। এতে রাজি না হওয়ায় শিক্ষক হাজিরা খাতায় তাকে স্বাক্ষর না দিয়ে অনুপস্থিতি  দেখান। গত ১৯ নভেম্বর তিনি শ্রেণি কার্যক্রমে উপস্থিত থাকার পরেও তাকে অনুপস্থিত দেখিয়েছেন। 

এ বিষয়ে সদর উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মাকসুদুল আলম বিষয়টি অবগত আছেন বলে জানান শিক্ষক ফরিদা ইয়াসমিন। এছাড়া অভিযোগ রয়েছে সহকারী প্রধান শিক্ষক লিটন চন্দ্র দেবনাথ তার নিয়োগের পর থেকে বিদ্যালয়ে সুদের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। এছাড়া তার এলাকার লোকজন প্রতিনিয়ত হাতে স্টাম ও চেকের কাগজপত্র নিয়ে তিন থেকে ৫ লাখ টাকা সুদের টাকা গ্রহনে গৃহিতাদের বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে ভিড় করতে দেখা যায়। লেনদেন নিয়ে গৃহীতাদের সাথে উচ্চ স্বরে কথা বলতে শুনা যায়। এতে শিক্ষার্থীদের  লেখা-পড়ার বিঘ্নঘটছে বলে অভিযোগ করেছেন ওই বিদ্যলয়ের শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকরা। 

এছাড়া  আরো অভিযোগ রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির  সাবেক সভাপতিকে ১৫ লাখ টাকা দিয়ে এ সহকারী প্রধান শিক্ষক পদ বাগিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে লিটন চন্দ্র দেবনাথের বিরুদ্ধে। 

তার অসদাচণে শিক্ষক শিক্ষার্থী ও কর্মীচারীরা রয়েছেন চরম অতিষ্ট। এ ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে। শিক্ষার্থীদের নামাজের ঘরে তালাদিয়ে নামাজ পড়তে বাধাগ্রস্থ করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। 

নাম প্রকাশ না করা শর্তে একাধিক শিক্ষার্থী জানান,সহকারী প্রধান শিক্ষক লিটন চন্দ্র দেবনাথ বিদ্যালয়ের বিরতির সময়ে প্রাইভেট পড়াতে বাধ্য করেন এবং তিনি শিক্ষার্থীদের সাথে বিভিন্নসময়ে খারাপ আচারণ করেন। 

সহকারী প্রধান শিক্ষক লিটন চন্দ্র দেবনাথের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের বাধাঁ ও প্রতিবাদ করায় তিনি ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির যোগসাজসে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আলমগীর হোসেনকে বিগত সরকারের আমলে মিথ্যা অভিযোগ এনে চাকুরীচ্যুত করার চেষ্ঠা করেন। তিনি কু্যঁ করে প্রধান শিক্ষক হওয়ার পায়তারা করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। 

ওই বিদ্যালয়ের আয়া নিগার সুলতানা অভিযোগ করে বলেন, তিনি ১৪ নভেম্বর বিদ্যালয়ের নামাজ ঘরে একা নামাজ পড়ছিলেন। এসময় সহকারী প্রধান শিক্ষক লিটন চন্দ্র দেবনাথ তার গায়ে হাতদেয় এবং তার অনৈতিক কাজের উদ্ধেশ্যে ধস্তাধস্তি করেন। তিনি বিদ্যালয়ে চাকুরী করতে গিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুকছেন। এ সব ঘটনায় স্থানীয়ভাবে জানানোর পর তাকে চাকুরীচ্যুত করার হুমকি দিচ্ছেন। 

এ ব্যাপারে সহকারী প্রধান শিক্ষক লিটন চন্দ্র দেবনাথের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,বিষয়টি সমাধানে রয়েছে। এ বিষয়ে কথা বলতে হলে খোলা সময়ে বিদ্যালয় এসে কথা জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। 

শুক্রবার দুপুরে জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার সাংবাদিকদের জানান,শিক্ষক ও কর্মচারীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ তিনি পেয়েছেন। বিষয় তদন্তকরে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা ও আইসিটিকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। 

শ্লীলতা হানির অভিযোগ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি, উন্নয়ন ও মানব সম্পদ) সম্রাট খীসা বলেন,এ বিষয়ে তদন্ত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। তদন্তের পর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।


আরও খবর



বাংলাদেশে আসতে পারেন ব্রিটেনের রাজা চার্লস

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ নভেম্বর 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লস ও তার স্ত্রী রানি ক্যামিলা সরকারি সফরের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সফর করতে পারেন। দেশটির সংবাদমাধ্যম ডেইলি মিররের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লস ও তার স্ত্রী রানি ক্যামিলা অদূর ভবিষ্যতে ভারতীয় উপমহাদেশ সফরের পরিকল্পনা করছেন। রাজা তৃতীয় চার্লস ক্যানসার থেকে ধীরে ধীরে সেরে ওঠায় শিগগিরই এই সফরে বের হতে পারেন। ভারতীয় উপমহাদেশে ব্রিটেনের রাজার সফরের পরিকল্পনাকে তার শারীরিক অবস্থার উল্লেখযোগ্য উন্নতির লক্ষণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

ঠিক কবে নাগাদ ব্রিটিশ রাজা ও রানির এই সফর শুরু হতে পারে, সেই বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনও তথ্য জানায়নি ডেইলি মিরর।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে ব্রিটিশ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পর তৃতীয় চার্লস সব ধরনের সফর বাতিল করতে বাধ্য হন। তবে ভারতীয় উপমহাদেশের তিন দেশ—বাংলাদেশ, ভারত এবং পাকিস্তান সফরের এই পরিকল্পনার মাধ্যমে পুনরায় তার সফর শুরু হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ব্রেক্সিট পরবর্তী বিশ্বে তাৎপর্যপূর্ণ অর্থনৈতিক সংযোগ প্রতিষ্ঠা করতে চায় ব্রিটেন। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ব্রিটিশ রাজা ও রানির সফর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

দেশটির একটি সূত্র বলেছে, ‘‘রাজা এবং রানির জন্য এই ধরনের সফরের পরিকল্পনা করাটা অত্যন্ত উৎসাহব্যঞ্জক। ভারতীয় উপমহাদেশে তাদের একটি সফর শুরুর কথা রয়েছে; যা বিশ্ব মঞ্চে ব্রিটেনের জন্য রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে ব্যাপক তাৎপর্যপূর্ণ হবে। এই সময়ে ব্রিটেনের জন্য রাজা এবং রানিই জুতসই রাষ্ট্রদূত।’’

ডেইল মিরর বলছে, রাজ সফরের জন্য সম্ভাব্য আয়োজক দেশগুলোর সাথে আলোচনার করতে ব্রিটেনের পররাষ্ট্র দপ্তরের কর্মকর্তাদের সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ, ভারত এবং পাকিস্তান সফরের খসড়া তৈরি করা হচ্ছে। গত বছর ভারত সফর বাতিল করার পর রাজা ও রানিকে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

তবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির ক্রমবর্ধমান ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কারণে দেশটিতে ব্রিটিশ রাজা ও রানির সফর নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। গত মাসে ব্রিকসের শীর্ষ সম্মেলনে সাক্ষাৎ করেছিলেন এই দুই রাষ্ট্রনেতা। এছাড়া গত মঙ্গলবার ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার ‘‘কৌশলগত অংশীদারত্বে’’ স্বাগত জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। যদিও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইউক্রেন যুদ্ধ ‘‘শান্তিপূর্ণভাবে শেষ’’ হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছিলেন।

২০০৬ সালে ক্যামিলাকে সঙ্গে নিয়ে ওয়েলসের যুবরাজ হিসেবে এক সপ্তাহের জন্য পাকিস্তান সফর করেছিলেন চার্লস। সেই সময় শুভাকাঙ্ক্ষীদের উদ্দেশে তিনি বলেছিলেন, ‘‘আপনাদের কাছে পৌঁছাতে আমার প্রায় ৫৮ বছর লেগেছে। তবে এটা যে চেষ্টা করার অভাবে নয়, তা আমি বলতে পারি।’’


আরও খবর

আমরা বসে ললিপপ খাবো না : মমতা

মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

গাজায় প্রাণহানি সাড়ে ৪৪ হাজার ছাড়াল

শুক্রবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪




ফুলবাড়িতে মুক্ত জলাশয়ে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে কচুরি পানার ফুল

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

উত্তম কুমার হেমন্ত :

সবুজের মাঝখানে সাদা হালকা বেগুনি ও গোলাপী রঙে বিভিন্ন খালবিল, ডোবার জলাশয়ে মুগ্ধতা ছড়িয়ে ফুটে উঠেছে অযত্নে বেড়ে উঠা কচুরি পানার ফুল। দেখলে মনে হবে যেন ফুলের চাদরে ঢেকে রাখা হয়েছে জলাশয় গুলো। প্রস্ফুটিত এইসব ফুলের অপরুপ সৌন্দর্যে বিমোহিত হচ্ছেন ফুল প্রেমী সহ-নানা শ্রেণী পেশার মানুষ।

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার শিমুলবাড়ি ইউনিয়নের মাথা ধুল্ল্যার ছড়ার পাড় নামক এলাকায় ফুলবাড়ী সদর টু বালার হাট পাকা সড়কের পাশে মুক্ত জলাশয়ে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে কচুরি পানার ফুল গুলো। সড়কের পাশে এই অসাধারণ কচুরি পানার ফুলের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য নজর কাড়ছে সবার দু'চোখ দৃষ্টি পটে মনোমুগ্ধকর কচুরি পানার ফুল দেখে মানুষের হৃদয় জড়িয়ে যায়।

জানাগেছে কচুরি পানা মুক্তভাবে ভাসমান এক ধরনের বহুবর্ষজীবী জলজ উদ্ভিদ। এর আদি নিবাস অ্যামেরিকায়, চকচকে সবুজ ডিম্বাকৃতির পাতা বিশিষ্ট কচুরিপানা পানির উপরিভাগে জন্মায় ও বংশবিস্তার করে। এর কান্ড থেকে দীর্ঘ তন্ত্রময় বহুধা বিভক্ত মুল বের হয় যার রং বেগুনি কালো। এক একটি কান্ড থেকে ছয়টি পাপড়ি বিশিষ্ট ফুলের থোকা তৈরি হয়ে থাকে এবং ফুলের পাপড়ি গুলো অত্যন্ত নরম হয়ে থাকে। এই উদ্ভিদ দ্রুততম ভাবে বংশ বিস্তার করে থাকে, এদের সাতটি প্রজাতি রয়েছে। সৌন্দর্য্য বিলানোর পাশাপাশি এই উদ্ভিদ টি মানুষ ও প্রকৃতির নানা উপকারে আসে।এটি দেশীয় মাছের বংশবিস্তার ও জলাশয়ের পানি ঠাণ্ডা রাখতে সহায়তা করে থাকে। কিছু কিছু মাছ এটাকে খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করে,আবার এটি থেকে তৈরি জৈব সার কৃষিকাজে রাসায়নিক সারের বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। পানির উপর কচুরি পানার স্তূপ করে এর উপর সবজি চাষ করা যায়, এছাড়াও এটি গোখাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। সবমিলিয়ে এই কচুরি পানার বহুমাত্রিক গুণ রয়েছে।


উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে খাল বিল,ডোবা, নিচু জমি পুকুর ও জলাশয়ে ফুটে আছে কচুরি পানার ফুল। ফুটন্ত এইসব ফুলের সৌন্দর্যে আসা-যাওয়ার পথে বিমোহিত হচ্ছেন ফুল প্রেমী মানুষ সহ-পথচারীরাও বিশেষ করে কোমলমতি শিশুদের খেলনা হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে এই ফুল। সৌন্দর্য প্রেমীরা এসব ফুলের সৌন্দর্যে আকৃষ্ট হয়ে মোবাইল ফোনে বিভিন্ন আঙ্গিকে ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করে আনন্দ পান, আবার কেউ কেউ ফুলের সঙ্গে নিজেকে ও ক্যামেরা বন্দি করছেন পরম আনন্দে। কচুরি পানা ফুলের মুগ্ধতায় মন জুড়িয়ে যায় স্থানীয়দের।ছড়ার পাড় এলাকার বাসিন্দা সাজু কাজি, জোনাব আলী ও বাবুল মিয়া বলেন,বর্তমানে এলাকার প্রায় জলাশয়েই কচুরি পানার ফুল ফুটে রয়েছে,আমরা জলাশয় পরিস্কার করে এই সব কচুরি পানা উপরে তুলে রোদে শুকিয়ে রান্না বান্নার কাজে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করি।

উপজেলার বেড়াকুটি হাট উচ্চ বিদ্যালয়ের ফুল প্রেমী প্রধান শিক্ষক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম জানান, মুক্ত জলাশয়ে এক সঙ্গে ফুল ফুটে থাকার যে সৌন্দর্য তা অন্যকোন ফুল থেকে পাওয়া যায় না।এই ফুলের পাপড়ি নকশা খচিত হত্তয়ায় এর প্রেমে পড়তে বাধ্য হয় মানুষ। কচুরি পানা ফুল গ্রামীণ ঐতিহ্যের একটি ফুল।

এব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছাঃ নিলুফা ইয়াসমিন বলেন, কচুরি পানা এক ধরনের বহুবর্ষজীবী ভাসমান উদ্ভিদ। কচুরি পানার মাধ্যমে জৈব সার প্রস্তুত করা যায় যা কৃষি কাজে আসে, বর্তমানে কোথাও কোথাও এই উদ্ভিদ দিয়ে তৈরি জৈব সার বাণিজ্যিক ভাবে বেচাকেনা হচ্ছে। বিভিন্ন এলাকায় ভাসোমান সবজি চাষেও কচুরি পানা ব্যবহার করা হয়, এছাড়াও এই উদ্ভিদ টি গো-খাদ্যের চাহিদা মেটানো সহ-নানাবিধ কাজে ব্যবহার হয়ে আসছে। এই উদ্ভিদের ফুল ও দেখতে অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর,এর বংশবিস্তার খুব দ্রুততম ভাবে হয়ে থাকে। এজন্য নিচু ফসলি জমিতে বিশেষ করে ধানের জমিতে এর বংশবিস্তার নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি,তা নাহলে দ্রুত বংশবিস্তার করে ফসলের ফলকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।


আরও খবর



গজারিয়ায় অবৈধ গ্যাস সংযোগে চুনা ও মার্বেল ফ্যাক্টরি গুড়িয়ে দিল ভ্রাম্যমান আদালত

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ নভেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

গজারিয়া উপজেলার জামালদী, বালুয়াকান্দি ও বাউশিয়া ইউনিয়নের অবৈধ চূনা ফ্যাক্টরি,  ঢালাই কারখানা ও মার্বেল ফ্যাক্টরিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়।                                                             এসময় ২টি কারখানার ২ জন আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে ২টি মামলায় ২০০০০০০/-(দুই লক্ষ টাকা) অর্থদণ্ড করা হয়।

                                                              আগামীকালের মধ্যে অবৈধ কারখানার সরঞ্জামাদি সরানোর নির্দেশ প্রদান করা হয় । অন্য ২টি কারখানার সবাই খবর পেয়ে পালিয়ে গেলেও একটি কারখানা যাকে পূর্বে অর্থদণ্ড প্রদান করে অবৈধ কারখানা বন্ধে মুচলেকা দেয়া সত্বেও কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছিলো সে কারখানার চুল্লী এক্সভেটরের সাহায্যে ভেঙে দেয়া হয়েছে। 

অভিযানটি পরিচালনা করেন গজারিয়া উপজেলার সুযোগ্য নির্বাহী কর্মকর্তা কহিনুর আক্তার, ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ মামুন শরীফ, সেনাবাহিনী গজারিয়া ক্যাম্প থানা  পুলিশ ও আনসার সদস্যরা সহযোগিতায় অবৈধ গ্যাস সংযোগে চুনাও মার্বেল ফ্যাক্টরি এক্সভেটর দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান পরিবেশ দূষণে অবৈধ কারখানার গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে।


আরও খবর



স্বস্তি ফিরেছে তৈরি পোশাকশিল্পে

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ |

Image

দেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাক। সাম্প্রতিক সময়ে এই শিল্পে শ্রমিক অসন্তোষে কারখানা বন্ধসহ নানা অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়। এই অস্থিরতা পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। তবে এসব অস্থিরতার ধকল অনেকটা কাটিয়ে ইতিবাচক ধারায় ফিরেছে দেশের রপ্তানি খাত। এর ফলে বাড়ছে দেশের বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে। 


বাংলাদেশ থেকে শুধু নভেম্বর মাসে ৩৩০ কোটি ৬১ ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানি গত বছরের নভেম্বরের তুলনায় ৪৭ কোটি ডলার বেশি। আগের বছরের নভেম্বর মাসে তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়ে ছিল ২৮৪ কোটি ৪০ ডলার। মাস হিসাবে চলতি বছরের নভেম্বরে এই রপ্তানি বেড়েছে ১৬.২৫ শতাংশ। তৈরি পোশাক ছাড়া অন্য খাতের রপ্তানিও গত নভেম্বরে বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশের সামগ্রিক পণ্য রপ্তানি ইতিবাচক ধারায় রয়েছে। 

   

ইপিবি প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গত পাঁচ মাসে সামগ্রিক পণ্য রপ্তানির ৮১ শতাংশ তৈরি পোশাক খাত থেকে এসেছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) তৈরি পোশাক থেকে রপ্তানি আয় হয়েছেহাজার ৬১১ কোটি ৭১ লাখ ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিলহাজার ৪৩৪ কোটি ৬৫ লাখ ডলার। এক্ষেত্রে আগের বছরের চেয়ে রপ্তানি বেড়েছে বেড়েছে ১২.৩৪ শতাংশ। এর মধ্যে শুধু নভেম্বরেই ১৭৪ কোটি ডলারের নিট পোশাক রপ্তানি হয়। এক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ১৩ শতাংশ। অন্যদিকে গত মাসে ওভেন পোশাক রপ্তানি হয়েছে ১৫৭ কোটি ডলারের। এক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি ২০ শতাংশ।


ইপিবি বলছে, গত পাঁচ মাসে সবচেয়ে বেশি রপ্তানি আয় এসেছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। দেশটিতে রপ্তানি হয়েছে ৩৫৭ কোটি ২৬ লাখ ডলারের পণ্য। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা জার্মানিতে রপ্তানি হয়েছে ২১০ কোটি ৮৭ লাখ ডলারের পণ্য। এরপর রয়েছে যুক্তরাজ্য, স্পেন, নেদারল্যান্ডস ইত্যাদি দেশ।

জানা গেছে, দেশের তৈরি পোশাক খাতে ন্যূনতম মজুরির দাবিতে চলেছে অস্থিরতা। এখনো এই অস্থিরতা পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। বিভিন্ন দাবিতে এখন ঢাকা, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুরে চলছে শ্রমিক অসন্তোষ কর্মবিরতি। এসব সমস্যার পরও রপ্তানির ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে পোশাক খাত। 

পোশাক শিল্পমালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ গত ১৯শে অক্টোবর সংবাদ সম্মেলন করে জানায়, ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর পোশাক শিল্পে শ্রমিক অসন্তোষের কারণে অন্তত ৪০ কোটি ডলারের উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। 

ইপিবি ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বলেন, জুলাই-আগস্টে ব্যবসা-বাণিজ্যে চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছিল। সেখান থেকে ব্যবসা-বাণিজ্য এখন অনেকটাই ঘুরে দাঁড়িয়েছে। পণ্য রপ্তানিতে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি সেই ইঙ্গিত দিচ্ছে।


ভাইস চেয়ারম্যান আরো বলেন, পণ্য বহুমুখীকরণ নিয়ে কাজ হচ্ছে। তবে কিছু সীমাবদ্ধতাও রয়েছে। নীতি সহায়তা ব্যবসার কিছু ক্ষেত্রে প্রক্রিয়াগত জটিলতার কারণে বিভিন্ন খাতের রপ্তানি বাড়ানোর সম্ভাবনা থাকলেও তা কাজে লাগাতে পারছে না বাংলাদেশ। তৈরি পোশাক রপ্তানিতে ভালো করছে। নিয়ে তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানের সময় কারখানায় গ্যাস-বিদ্যুতের সংকটের মধ্যেও শ্রমিক-মালিকরা উৎপাদন চালু রেখেছেন। মূলত তাদের কঠোর পরিশ্রমে রপ্তানিতে ভালো ফল এসেছে। তা ছাড়া এখন রপ্তানিরপিক সিজন সামনে খ্রিষ্টানদের বড়দিনসহ বিভিন্ন উৎসব রয়েছে। ছাড়া বিগত সময়ের ক্রয়াদেশগুলোও সময় সম্পন্ন হয়েছে। সব কারণে রপ্তানি বেড়েছে। 

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটছে। শিল্প এলাকায় যৌথবাহিনী মোতায়েন থাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এসব উদ্যোগ রপ্তানিতে ইতিবাচক প্রভাব রেখেছে। যদিও কয়েকটি কারখানায় শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধিসহ নানা দাবি-দাওয়া নিয়ে আন্দোলন হয়েছে। 

নিট পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের পর রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে আমাদের ব্যবসায় নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এরপরও রপ্তানি আয় বাড়ায় আমরা খুশি। তবে আমাদের অর্ডার কিন্তু কমছে। জানি না আগামী মাসগুলোতে কী হবে। তিনি বলেন, চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অস্থিরতার মধ্য দিয়ে গেছে। আমাদের হিসাবে জুলাই মাসের মধ্যে এক সপ্তাহেই পোশাক শিল্পে ক্ষতি হয়েছেবিলিয়ন ডলারের উপরে। আর ব্যাংক বন্ধ থাকায় তো রপ্তানির উপর সরাসরি নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এই অস্থিরতা-অনিশ্চয়তা না থাকলে আমাদের রপ্তানি আরও বাড়তো। 

রিজার্ভ বাড়ছেরপ্তানি আয় রেমিট্যান্স বাড়ায় রিজার্ভও বাড়ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) ১লা হাজার ১১৩ কোটি ৭৩ লাখ (১১.১৪ বিলিয়ন) ডলার রেমিটেন্স এসেছে দেশে, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ২৬.৪৪ শতাংশ বেশি। প্রতিবেদনে দেখা গেছে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ (ব্যালেন্স অব পেমেন্ট অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট পজিশন) হিসাবে বাংলাদেশের রিজার্ভ ছিল ১৮.৭৩ বিলিয়ন ডলার।গ্রসহিসাবে ছিল ২৪.৪৫ বিলিয়ন ডলার।

এক সপ্তাহ আগে ২০শে নভেম্বর বিপিএম-৬ হিসাবে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ১৮.৫০ বিলিয়ন ডলার।গ্রসহিসাবে রিজার্ভ ছিল ২৪.২৭ বিলিয়ন ডলার। দুই সপ্তাহ আগে ১৪ নভেম্বর বিপিএম-৬ হিসাবে রিজার্ভ ছিল ১৮.৪৪ বিলিয়ন ডলার।গ্রসহিসাবে ছিল ২৪.১৭ বিলিয়ন ডলার। হিসাবে দেখা যাচ্ছে, সপ্তাহের ব্যবধানে বিপিএম-৬ হিসাবে রিজার্ভ বেড়েছে ২৩ কোটি ডলার। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে ৩০ কোটি ডলার।

 


আরও খবর