Logo
শিরোনাম

নেতানিয়াহুর পদত্যাগের দাবিতে ইসরায়েলজুড়ে বিক্ষোভ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 |

Image

প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর পদত্যাগের দাবিতে ইসরায়েলজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। বিশেষ করে রাজধানী তেল আবিব বিক্ষোভ উত্তাল। এতে হাজার হাজার মানুষ অংশ নেন। ইহুদিবাদী নেতা নেতানিয়াহুকে চুক্তির পথে বাধা বলে উল্লেখ করে তাকে ক্ষমতাচ্যুত না করা পর্যন্ত বিক্ষোভ অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।

এর আগেও এমন বিক্ষোভ হয়েছে। তবে নেতানিয়াহু জানিয়েছেন তিনি পদত্যাগ করবেন না।

গাজায় হামলা ঘিরে সাধারণ মানুষ ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের প্রবল চাপে রয়েছে নেতানিয়াহুর রাজনৈতিক জোট। গাজায় জিম্মিদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও সংহতি জানিয়েছে এসব আন্দোলকারী।

গত শনিবার শুরু হওয়া বিক্ষোভ ছড়িয়েছে তেল আবিব, জেরুজালেম, হাইফা, বেয়ার শেভা, সিজারিয়া এবং অন্যান্য শহরে। প্ল্যাকার্ড নিয়ে রাস্তায় নেমে আসা হাজারও বিক্ষোভকারী। তারা গাজায় এখনও বন্দি থাকা ইসরায়েলিদের মুক্তির দাবি জানান।

বিক্ষোভে অংশ নিয়ে জিম্মি লিরি আলবাগের মা শিরা আলবাগ বলেন, আমার ছেলে এবং অন্য জিম্মিরা কী অবস্থায় আছে, সেই চিন্তা ও ভয়ে ১৭৬ দিন ধরে অন্য কিছু ভাবতে পারি না।

তিনি বলেন, জিম্মি বিনিময় চুক্তিতে যে-ই বাধা হয়ে দাঁড়াবে, তাকে ইসরায়েলের জনগণ ক্ষমা করবেন না। এখন আর কোনো অজুহাত চলবে না।

বিক্ষোভে অংশ নেন প্রায় ৫৪ দিন আগে মুক্তি পাওয়া জিম্মি রাজ বেন-আমি। বিক্ষোভকারীরা জিম্মি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, তারা সবাই বাড়ি ফিরে না আসা পর্যন্ত থামব নাবলে স্লোগান দেয়।

বিক্ষোভ দমাতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এরই মধ্যে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান ব্যবহার করেছে পুলিশ।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র সংগঠন হামাস। হামলায় ১২শর বেশি মানুষ নিহত হয়। জিম্মি করে নিয়ে যায় আরও ২৪২ জনকে। ওই দিন থেকে পাল্টা আক্রমণে তীব্র আক্রোশে গাজার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে ইসরায়েলি বাহিনী। গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার দেশটি। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। হামলায় পুরো গাজা ভূখণ্ড প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

প্রায় ছয় মাসের মতো ধরে চলা ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন ৩২ হাজার ৭০৫ ফিলিস্তিনি। আর আহত হয়েছেন ৭৫ হাজার ১৯০ জন। ঘরবাড়ি হারিয়ে গাজার বাসিন্দারা প্রায় সবাই উদ্বাস্তু হয়ে গেছে।

কঠোর অবরোধ ও অবিরাম হামলার মধ্যে থাকা গাজাবাসীরা অনাহারে ভুগতে ভুগতে দুর্ভিক্ষের প্রান্তে চলে গেছে। ইতোমধ্যেই অপুষ্টি ও পানিশূন্যতায় শিশুসহ অনেকের মৃত্যু হয়েছে। ক্ষুধায় বেপরোয়া হয়ে ওঠা লোকজন ত্রাণের জন্য হাহাকার করছে।


আরও খবর



তাপপ্রবাহে বিপর্যস্ত জনজীবন

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ |

Image

দেশজুড়ে চলমান তীব্র তাপপ্রবাহ নিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের জারি করা হিট অ্যালার্টের শুরুতেই চুয়াডাঙ্গা পাবনায় হিট স্ট্রোকে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে একই সাথে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন সারা দেশেই একই অবস্থা দিনের বেলায় বেলা ১১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত যথাসম্ভব ঘর থেকে বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা বাতাসে জলীয় বাষ্পের আধিক্য বেড়ে যাওয়ায় স্ট্রোক ছাড়াও নানা ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে অবস্থায় বয়স্ক মানুষ, শিশু, গর্ভবতী মহিলা, খেলোয়াড় এবং যারা বাইরে কায়িক পরিশ্রমের পেশার সঙ্গে জড়িত তারাই সবচেয়ে বেশি স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, শুক্রবার থেকে দেশব্যাপী ৭২ ঘণ্টার তাপ সতর্কতার মধ্যে দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলেই তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক স্বাক্ষরিত বিএমডির সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, ‘এই সময়ের মধ্যে জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বাড়তে পারে এমতাবস্থায় গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২. ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে 

তাপপ্রবাহের এমন পরিস্থিতিতে চিকিৎসকরা প্রয়োজন ছাড়া রোদে ঘর থেকে বের না হতে প্রচুর পানি পানের পরামর্শ দিয়েছেন। যশোরের বিমানবন্দর মতিউর রহমান ঘাঁটিস্থ আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায়, শুক্রবার যশোরে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪১. ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃহস্পতিবার ছিল ৪০. ডিগ্রি সেলসিয়াস। বুধবার ছিল ৪০. ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং মঙ্গলবার রেকর্ড করা হয় ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যশোরে ক্রমাগত বেড়ে যাওয়া তাপপ্রবাহে চরম দুর্ভোগে জনজীবন। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে খেটেখাওয়া মানুষ। যশোরের রাস্তার পিচ গলে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে গতকাল। অবস্থায় বেড়েছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা। টিউবওয়েলে উঠছে না পানি। শহরের রিকশাচালকরা বলছেন, রোদের দাপটে লোকজন বাইরে কম বের হচ্ছে। আয় রোজগার কমে গেছে। এতে সংসার খরচের জন্য প্রয়োজনীয় টাকা আয় হচ্ছে না। চুয়াডাঙ্গা শহরের হকার-ব্যবসায়ীরা বলছেন, গরমে লোকজন বাইরে বের হচ্ছে কম, তাই বেচা-বিক্রি বেশি একটা হচ্ছে না। এখানে গরমের কারণে বেড়েছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা। যশোর জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে পাঁচ শয্যার বিপরীতে ভর্তি রয়েছেন ৩৫ রোগী। যার মধ্যে ১৫ জনই শিশু রোগী।

এদিকে লাগাতার তাপদাহের কারণে রোদের মধ্যে বাইরে না বের হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন যশোর জেনারেল হাসপাতালের শিশু বিভাগের চিকিৎসক মাহবুবুর রহমান। তিনি বলেন, এই গরমে ডায়রিয়া, বমি, পেটে ব্যথার রোগী বেশি ভর্তি হচ্ছে। রোগীদের মধ্যে শিশুদের সংখ্যা বেশি। তাদেরকে ঘরের বাইরে বের হতে দেয়া যাবে না। বেশি করে পানি খাওয়াতে হবে। এদিকে পানির স্তরও নেমে গেছে, টিউবওয়েলে ঠিকমতো পানি উঠছে না। যশোরের একাধিক বাসিন্দা জানিয়েছেন, গত ১৩ দিন ধরে তাদের বাড়ির টিউবওয়েলে ঠিকমতো পানি উঠছে না। কৃষিজমির স্যালোমেশিনের পানি দিয়ে প্রয়োজনীয় কাজ সারছেন তারা। কোথাও কোথাও স্যালোমেশিনেও কম পানি উঠছে। ছয় লিটার তেল ব্যয় করেও সাড়ে তিন বিঘা ধানের আবাদি জমি ভেজানো সম্ভব হচ্ছে না। ফলে চাষিরাও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। টিউবওয়েলে পর্যাপ্ত পানি না ওঠার কারণে মানুষ দুর্ভোগে রয়েছেন। যেসব গ্রামে গভীর নলকূপ (ভ্যাটিক্যালযুক্ত টিউবওয়েল) রয়েছে সেখানে পানি নেয়ার জন্য মানুষের উপচেপড়া ভিড় দেখা যাচ্ছে।  

চুয়াডাঙ্গার অবস্থাও ভয়াবহ। সেখানে গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২. ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা মৌসুমের সর্বোচ্চ। অবস্থায় হিট স্ট্রোকে মৃত্যু হয়েছে জাকির হোসেন নামের এক কৃষকের। জাকির হোসেন দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা থানার সীমান্ত সংলগ্ন ঠাকুরপুর গ্রামের আমির হোসেন ছেলে। তিনি পেশায় ঠাকুরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি ছিলেন। জাকির হোসেনের বাবা আমির হোসেন দর্শনা থানার ওসি বিপ্লব কুমার সাহা বিষয়টি নিশ্চিত করেন। আমির হোসেন বলেন, ‘তীব্র গরমে মাঠের ধান মরার মতো অবস্থা। ধানের জমিতে সেচ দেয়ার জন্য সকাল ৮টার দিকে মাঠে যায় জাকির। মাঠে যাওয়ার ঘণ্টাখানেক পর খবর পাই ছেলে স্ট্রোক করেছে। মাঠের অন্য কৃষকরা ছেলেকে উদ্ধার করে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাচ্ছিলেন। পথেই সে মারা যায়। তার মৃত্যুর সাত ঘণ্টা পরই মারা যান একই উপজেলার সদর ইউনিয়নের আজিমুদ্দিনের স্ত্রী মর্জিনা খাতুন (৬০) কয়েক দিন ধরেই তীব্র তাপপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। বৈশাখের তাপমাত্রার পারদ দিন দিন ঊর্ধ্বগামী হচ্ছে। এবার তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে জেলায়। শুক্রবারের তাপমাত্রা ছিল ৪১., বৃহস্পতিবার ৪০., বুধবার ৪০. মঙ্গলবার ৪০. ডিগ্রি সেলসিয়াস সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। 

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক তহমিনা নাছরিন বলেন, টানা তীব্র তাপপ্রবাহের পর এবার তাপমাত্রা আরও বেড়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে। বৃষ্টি না হওয়ায় তাপপ্রবাহ চলছে। বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা অনেকটাই হ্রাস পাবে। তা ছাড়া মার্চ-এপ্রিল মাসে এমনিতেই জেলার গড় তাপমাত্রা অনেক বেশি থাকে। আপাতত বৃষ্টির কোনো পূর্বাভাস নেই। তবে কালবৈশাখী ঝড় হলে তার সঙ্গে বৃষ্টি হতে পারে। এদিকে, টানা তাপপ্রবাহের ফলে স্থবির হয়ে পড়েছে অঞ্চলের জনপদ। সাধারণ মানুষ খুব প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বাইরে বের হচ্ছেন না। সড়ক-মহাসড়কে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় যান চলাচল অনেক কম। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এক প্রকার জনমানবশূন্য হয়ে পড়ছে সড়কগুলো। বৈরী আবহাওয়ায় কৃষির ওপর ব্যাপক প্রভাব পড়ছে। জমিতে পানি সেচের বাড়তি খরচ মেটাতে গিয়ে কৃষকের নাভিশ্বাস অবস্থা। অন্যদিকে, তীব্র গরম থেকে নিম্নআয়ের সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিতে জেলার বিভিন্ন স্থানে বিনামূল্যে ঠাণ্ডা পানি, খাবার স্যালাইন বিতরণ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে

চলমান তাপপ্রবাহে পুড়ছে পাবনা জেলাও। অসহনীয় গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। চলতি মৌসুমে জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে জেলার ঈশ্বরদীতে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রার দিন গতকাল জেলা শহরে হিট স্ট্রোক করে একজনের মৃত্যু হয় বলে জানা গেছে। গতকাল ঈশ্বরদীতে ৪১. ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা চলতি মৌসুমের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা

ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের সহকারী পর্যবেক্ষক নাজমুল হক রঞ্জন জানান, কয়েক দিন ধরে পাবনায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপর তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল রেকর্ড করা হয়েছে ৪১. ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে বছর এত তাপমাত্রা রেকর্ড হয়নি। তাপমাত্রা আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এরই মধ্যে হিট স্ট্রোক করে মারা যান সুকুমার দাস নামে একব্যক্তি। তিনি শহরের শালগাড়িয়ার জাকিরের মোড়ের বাসিন্দা। পাবনা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ওই ব্যক্তি হিট স্ট্রোকে মারা গেছেন। পাবনা শহর থেকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় তাকে। আমরা তাকে চিকিৎসা দিতে পারিনি


আরও খবর



নাবিকদের নিয়ে আমিরাতের বন্দরে এমভি আবদুল্লাহ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 |

Image

সোমালিয়ান জলস্যুদের হাতে জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পাওয়ার ৯ দিন পর অবশেষে সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়া বন্দরে নোঙর করেছে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। সোমবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরে ভেড়ে জাহাজটি।

এসময় নাবিকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবু জাফর। এছাড়াও ১৫ সদ্যের প্রতিনিধি দলে আছেন কেএসআরএম (কবির) গ্রুপের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর শাহরিয়ার জাহান আরাফাত।

এর আগে, রোববার (২১ এপ্রিল) এমভি আবদুল্লাহ ওই বন্দরের বহির্নোঙরে নোঙর করেছিল। কিন্তু বন্দরে জায়গা না থাকায় জাহাজটির বন্দরে পৌঁছাতে বিলম্ব হয়।

কেএসআরএম গ্রুপের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২৩ নাবিকের সবাই সুস্থ আছেন। কিন্তু এই মুহুর্তে তারা চাইলে বাইরে আসতে পারবেন না। কারণ, আরব আমিরাতে প্রবেশের জন্য এখনও তাদের ভিসা হয়নি। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের ভিসার জন্য আবেদন করা হবে।

জাহাজের মালিকপক্ষ জানায়, এখন জাহাজের কয়লা খালাসের প্রক্রিয়া শুরু হবে। এরপর নতুন করে কার্গো ভর্তি করার পর দেশে ফেরার প্রস্তুতি নেওয়া হবে।

এদিকে প্রশাসনিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে দেশটির আজমান প্রদেশে বাংলাদেশ মিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন কেএসআরএম গ্রুপের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর শাহরিয়ার জাহান।

উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে জলদস্যুর কবলে পড়ে ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। জলদস্যুরা জাহাজে ‍উঠে নাবিকদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলে দস্যুদের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় নিয়ে যেতে বাধ্য করে। একপর্যায়ে সুবিধাজনক স্থানে জাহাজটি নোঙর করায় দস্যুরা। এরপর মুক্তিপণের বিষয়ে দেনদরবার শুরু হয়। শনিবার (১৩ এপ্রিল) বাংলাদেশ সময় বিকেলে ২৩ নাবিকসহ জাহাজটি তারা ছেড়ে দেয়।


আরও খবর



দাম বাড়ল সয়াবিন তেলের

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 |

Image

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু জানিয়েছেন, ঈদের পর বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে ১০ টাকা বাড়িয়ে ১৭৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা কার্যকর হবে আজ থেকে।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

এতে বলা হয়, ভোজ্যতেলের কাঁচামাল আমদানি, উৎপাদন পর্যায়ে গত ৭ ফেব্রুয়ারি জারিকৃত বিজ্ঞপ্তির মেয়াদ গত ১৫ এপ্রিল শেষ হয়েছে। ফলে ১৬ এপ্রিল থেকে বাজারে ভোজ্যতেল (পরিশোধিত পাম তেল এবং পরিশোধিত সয়াবিন তেল) ভ্যাট অব্যহতি পূর্ববর্তী মূল্যে সরবরাহ করা হবে।

আজ থেকে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হবে ১৭৩ টাকায়। এছাড়া বোতলজাত ৫ লিটার সয়াবিন তেল বিক্রি হবে ৮৪৫ টাকায়। আর প্রতি লিটার খোলা পাম তেলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩২ টাকা।

এদিকে, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি আয়োজিত মিট দ্য রিপোর্টার্স আয়োজনে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, সয়াবিন তেলের দাম কমবে না। আগের দামে ফিরে যাওয়ার সুযোগ নেই। তবে ট্যারিফ কমিশনের মাধ্যমে একটি নতুন দাম বেঁধে দেওয়া হবে।


আরও খবর



তীব্র গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 |

Image

দেশজুড়ে বইছে তাপপ্রবাহ গরমে নাকাল জনজীবন মাঝেমধ্যে গায়ে বাতাস লাগলেও তা যেন আগুনের হলকা অনেক বেশি উত্তাপ অনুভূত হওয়ায় হাঁসফাঁস অবস্থা জনজীবনে তাপমাত্রার এমন অবস্থা সহসাই পরিবর্তন হচ্ছে না বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস

আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া চলমান তাপপ্রবাহ আরও তিনদিন অব্যাহত থাকতে পারে। এরপর তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। পুরো এপ্রিলজুড়েই তাপমাত্রা ভোগাবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। তাপপ্রবাহের তীব্রতা আরও বাড়ার আশঙ্কায় সারাদেশে জারি করা হয়েছে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না যাওয়ার বার্তা দিয়েছে সংস্থাটি।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, জলীয়বাষ্প বেশি থাকার কারণে অস্বস্তি বাড়তে পারে। একইসঙ্গে সমুদ্রের লঘুচাপটি পশ্চিমবঙ্গ ও আশপাশের এলাকায় অবস্থান করার গরম প্রভাব দেখা যাচ্ছে ভূপৃষ্ঠে। এর আগে দেশে ১৫ থেকে ১৩ দিন পর্যন্ত লাগাতার তাপপ্রবাহ থাকার রেকর্ড থাকলেও এবার চলতি মাসের ১৯ দিনই টানা তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আগামী পাঁচ দিনেও আবহাওয়ায় পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।

আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাস বলছে, এপ্রিলজুড়েই তাপমাত্রা ওঠা-নামা করবে ৩৬ থেকে ৪২ ডিগ্রির মধ্যে। তবে বাতাসে জলীয় বাষ্প বেশি থাকায় গরম অনুভূত হবে এর চেয়েও বেশি। এসময় কোথাও কোথাও বৃষ্টি সাময়িক স্বস্তি দিলেও দাবদাহ থেকে যাবে মে মাস পর্যন্ত।

আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, হিট অ্যালার্ট তিনদিনের জন্য জারি করা হয়েছে। এই সময় সবাইকে গরম থেকে বাঁচতে সতর্ক থাকতে হবে। তবে সারাদেশে হিট অ্যালার্ট জারি থাকলেও কিছু স্থানে বৃষ্টি হতে পারে।

টানা চারদিন ধরে চুয়াডাঙ্গা জেলায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছে। শুক্রবার চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা গতকাল পর্যন্ত এ মৌসুমের সর্বোচ্চ। বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গায় ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বুধবার ৪০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং মঙ্গলবার ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।

সন্ধ্যায় আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কুমিল্লা ও কিশোরগঞ্জ অঞ্চলসহ ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এসময়ে রাজশাহী, পাবনা ও টাঙ্গাইল জেলাসহ খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং চাঁদপুর ও মৌলভীবাজার জেলাসহ ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের অবশিষ্টাংশ ও বরিশাল বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপ প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।


আরও খবর



পানির ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করতে নেমে ৩ শ্রমিকের মৃত্যু

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 |

Image

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করতে নেমে ৩ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (১৪ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় উপজেলার গুনিয়াউক ইউনিয়নের গুটমাগ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে নিহতদের একজনের নাম পাওয়া গেছে, তিনি আলম মিয়া। বাকিদের পরিচয় জানা যায়নি।

স্থানীয়রা জানান, গুটমা বাজারের নিকট আহাদ মিয়ার একটি ভবনে কাজ করতেন তারা। রোববার সকালে নির্মাণাধীন একটি বিল্ডিংয়ের সেপটিক ট্যাংকের কাঠের মাচা খুলতে ট্যাংকের ভেতরে প্রবেশ করেন তারা তিনজন। পরে তাদের কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে স্থানীয়রা দেখতে পান ভেতরে সবাই মারা গেছেন।

এ ব্যাপারে ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার হিমাংশু রঞ্জন সিংহ বলেন, সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে বিভিন্ন গ্যাসের কারণে এমন হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নাসিরনগর থানার ওসি সোহাগ রানা।

তিনি বলেন, আমরা ধারণা করছি গ্যাসের কারণে এই মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। তবে এর পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে কিনা তা পরবর্তীতে বলা যাবে।


আরও খবর