Logo
শিরোনাম

নির্মাণসামগ্রী পাল্লা দিয়ে দাম বেড়ে চলেছে

প্রকাশিত:শনিবার ১২ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ |

Image

♦ আমদানীকৃত মেল্টিং স্ক্র্যাপের মূল্য বেড়ে প্রায় ৬০০ ডলার

♦ টনপ্রতি রডের দাম ৮০ হাজার টাকা হওয়ার শঙ্কা

♦ বস্তাপ্রতি সিমেন্টের দাম বেড়েছে ৪০-৫০ টাকা 

মাসদুয়েক আগেও টনপ্রতি ৬০ গ্রেডের রডের দাম ছিল সর্বোচ্চ ৬৭ হাজার ৫০০ টাকা। বর্তমানে ৬০ গ্রেডের টনপ্রতি রড কিনতে গুনতে হচ্ছে ৭৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। আর রডের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে অন্যান্য প্রয়োজনীয় নির্মাণসামগ্রী সিমেন্ট, বালু ও ইটের দামও।

এ বছরের শুরু থেকেই রডের মূল্যবৃদ্ধি পায়।

খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে রডের কাঁচামালের দাম বেড়ে যাওয়ার জন্যই রডের দাম বেড়েছে। আমদানীকৃত মেল্টিং স্ক্র্যাপের (রড তৈরির কাঁচামাল) দাম বর্তমানে টনপ্রতি প্রায় ৫৫০-৫৯০ ডলারে পৌঁছেছে। আবার ভাঙা জাহাজের লোহাও বেশি দামে আমদানি করতে হচ্ছে। এতে ফের বেড়েছে রডের দাম। কারণ দেশে রড তৈরিতে প্রায় ৭০ শতাংশ কাঁচামাল আমদানি করতে হয়। দুই মাস আগেও মেল্টিং স্ক্র্যাপের টনপ্রতি দাম ছিল ৪৯০-৫০০ ডলারে। এর ফলে গত চার মাসে রডের দাম বেড়েছে প্রায় ১৮-১৯ হাজার টাকা।

বাংলাদেশ স্টিল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও শাহরিয়ার স্টিল মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শেখ মাসুদুল আলম মাসুদ বলেন, ‘দেশে মাসে ৭০ লাখ টনের ওপর রড তৈরির কাঁচামালের চাহিদা রয়েছে। বাইরের থেকে মাসে ৫০-৫৫ লাখ মেট্রিক টন মেল্টিং স্ক্র্যাপ আমদানি করা হয়। এরপর সেগুলো গলিয়ে অন্যান্য উপকরণের সহায়তায় রড তৈরি করা হয়। আর ভাঙা জাহাজের টুকরার আমদানি করা হয় প্রায় ২০ লাখ মেট্রিক টন। আর বাকি ৩০ শতাংশ কাঁচামাল দেশি বাজার থেকে জোগান দেওয়া হয়। ’

তিনি আরো বলেন, ‘বর্তমানে ৫৫০-৫৯০ ডলার টনপ্রতি মেল্টিং স্ক্র্যাপ ও ৬০০-৬৫০ ডলার টনপ্রতি ভাঙা জাহাজের টুকরা আমদানি করা হচ্ছে। ফলে এই লোহার টুকরা থেকে নতুন তৈরীকৃত যে রড আগামী দুই মাসের মধ্যে বাজারে আসবে সেগুলোর মূল্য টনপ্রতি বেড়ে দাঁড়াবে প্রায় ৮০-৮৫ হাজার টাকা। ফলে আগের তুলনায় রডের মূল্যবৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে কম্পানি ভেদে দামে কম বেশি হবে।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, ৬০ গ্রেডের বিএসআরএম রড বিক্রি করা হচ্ছে ৭৫ হাজার টাকা, আবুল খায়ের স্টিল ৭৪ হাজার ৫০০ টাকা, একেএস ৭৩ হাজার, রহিম স্টিল ৭৩ হাজার এবং শাহরিয়ার স্টিল ৭২ হাজার টাকা। অথচ মাসখানেক আগেও এই কম্পানিগুলোর রডের বাজার মূল্য ছিল সর্বোচ্চ ৬৭ হাজার ৫০০ টাকা।

আবার নির্মাণসামগ্রীর আরেক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান সিমেন্টের দামও বাড়ছে। বস্তাপ্রতি ৫০ কেজি শাহ সিমেন্ট ৪৩০-৪০ টাকা, গোল্ড সিমেন্ট ৪৮০ টাকা, বসুন্ধরা সিমেন্ট ৪৫০ টাকা, ফ্রেশ সিমেন্ট ৪৩০ টাকা, প্রিমিয়াম সিমেন্ট ৪২০ টাকা, বেঙ্গল সিমেন্ট ৪১০ টাকায় বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে। বর্তমানে জাহাজ ভাড়া বেড়ে যাওয়ায় সিমেন্টের দাম বাড়ছে। এর পাশাপাশি সিমেন্ট তৈরির উপাদান ক্লিংকারের দামও বাড়ছে। বর্তমানে প্রতি টন ক্লিংকারের সিএফআর মূল্য ৬০ থেকে ৬২ ডলার, যা কিছুদিন আগেও ছিল ৫৬-৫৭ ডলার। এতে বস্তাপ্রতি সিমেন্টের দাম বেড়েছে ৪০-৫০ টাকা।

বাংলাদেশ সিমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিএমএ) প্রেসিডেন্ট ও ক্রাউন সিমেন্টের ভাইস চেয়ারম্যান মো. আলমগীর কবির বলেন, ‘অন্যান্য বছর জাহাজের ভাড়া বৃদ্ধি পেলেও সেটা ছিল সাময়িক। সে কারণে অভ্যন্তরীণ বাজারে সিমেন্টের মূল্যের ওপর এর খুব বেশি একটা নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি কিন্তু গত বছরের নভেম্বর মাসের পর থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে জাহাজীকরণ খরচ বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রয়েছে। কিছুদিন আগেও ইন্দোনেশিয়া বা ভিয়েতনাম থেকে এমনকি মধ্যপ্রাচ্য থেকে প্রতি টন ক্লিংকার পরিবহনে ২০ থেকে ২২ ডলার খরচ হতো, যা বর্তমানে ২৬ থেকে ২৮ ডলার পর্যন্ত উঠে গেছে। ’ আন্তর্জাতিক বাজারে জাহাজীকরণের অব্যাহত মূল্যবৃদ্ধিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিসিএমএ সভাপতি মো. আলমগীর কবির বলেন, ‘যেকোনো কারণে সিমেন্টের মূল্যবৃদ্ধি পেলে তা এই খাতের জন্য ক্ষতিকর। কারণ তাতে বিক্রি ও উৎপাদন সক্ষমতা কমে যায়। অন্যদিকে ফিক্সড কস্ট বেড়ে যায়। এর চূড়ান্ত ফল, মুনাফা কমে যাওয়া অথবা লোকসান হওয়া। ’ তিনি বলেন, ‘এই খাতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক অতিরিক্ত কর ধার্য করা আছে। দেশের উন্নয়নের স্বার্থে বিশেষ করে মধ্যম আয়ের ক্রেতার স্বার্থে এই কর সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসা দরকার। যেমন, দ্বৈত কর সমন্বয় করা এবং আমদানি পর্যায়ে নির্ধারিত শুল্ক ৫০০ টাকা থেকে কমিয়ে ২৫০ টাকায় নির্ধারণ করা যেতে পারে। তাতে পণ্যের মূল্য সহনীয় থাকবে, বিক্রিও বাড়বে। 

নির্মাণসামগ্রীর আরেক প্রয়োজনীয় উপাদান বালির দামও বেড়েছে। প্রতি ট্রাক সাদা বালির দাম দুই হাজার ৩০০ ও লাল বালির দাম ১৪ হাজার করে বিক্রি হচ্ছে। ইটের দামও গত বছর থেকে কমপক্ষে ছয় হাজার টাকা বেড়েছে। ইটভাটা ব্যবসায়ীরা জানান, গত অক্টোবরের মাঝামাঝি ইটভাটার মৌসুমের শুরুতে প্রতি তিন হাজার ইট বিক্রি হয়েছে ১৮ থেকে সাড়ে ১৮ হাজার টাকায়। কিন্তু এরপর দাম বেড়ে তা ঠেকেছে সাড়ে ২২ হাজার থেকে ২৩ হাজার টাকায়। ক্ষেত্রবিশেষে ২৪ হাজারেও বিক্রি হচ্ছে। একই সময়ে ইট পোড়ানোর জ্বালানি কয়লার দাম প্রতি টন সাত হাজার টাকা থেকে বেড়ে ১৪ হাজারে দাঁড়িয়েছে। ঢাকার আশপাশের ভাটা মালিকরা এর কমে কয়লা কিনতে পারছেন না। ফলে দাম বেড়েছে ইটের।


আরও খবর



দাম বাড়ল জ্বালানি তেলের

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ |

Image

বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে। বিশ্বের প্রায় সব অঞ্চলের জন্য সৌদি আরবের তেলের দাম বাড়ানো হয়। ইসরায়েলের সঙ্গে গাজার যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা আরও কমে যাওয়ায় তেলের এ দাম বেড়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, বিশ্বের বৃহত্তম এই তেল উৎপাদনকারী অঞ্চলে ইসরায়েল-হামাস সংকট ছড়িয়ে পড়তে পারে।

রয়টার্সের এক সংবাদে বলা হয়েছে, সোমবার (৬ মে) সকালে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে।

 ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ২৮ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ বেড়ে ৮৩ দশমিক ২৪ ডলারে উঠেছে। এ ছাড়া ইউএস টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট ক্রুডের (ডব্লিউটিআই) দাম ব্যারেলপ্রতি ২৯ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ বেড়ে ৭৮ দশমিক ৪০ ডলারে উঠেছে।

গত সপ্তাহে ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা কিছুটা প্রশমিত হওয়ায় জ্বালানি তেলের দাম ৭ দশমিক ৩ শতাংশ কমেছিল। আজ সপ্তাহের শুরুতে সেই ধারা ভেঙে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম বাড়ল।

গত সপ্তাহে ব্রেন্ট ও ডব্লিউটিআই উভয় ধরনের অপরিশোধিত তেলের দাম কমেছে। ব্রেন্ট ক্রুডের দাম কমেছে ৭ শতাংশের বেশি আর ডব্লিউটিআই ক্রুডের ৬ দশমিক ৮ শতাংশ। ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা কিছুটা প্রশমিত হওয়ার পাশাপাশি আরও কিছু কারণে দাম কমে বলে রয়টার্সের সংবাদে বলা হয়েছে।

গাজায় যুদ্ধবিরতির আলোচনা চলছিল গত সপ্তাহে। কিন্তু যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা আরও কমে গেছে। হামাস দাবি করেছিল, বন্দী বিনিময়ের মাধ্যমে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হোক; কিন্তু ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সেই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন।

এদিকে টানা দ্বিতীয় সপ্তাহের মতো যুক্তরাষ্ট্রে সক্রিয় তেল ও গ্যাসের খনির সংখ্যা কমেছে, বিশেষ করে তেলের খনির সংখ্যা কমেছে বেশি। এক সপ্তাহের ব্যবধানে সাতটি কমে গিয়ে সক্রিয় খনির সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৪৯৯টিতে। ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসের পর আর কখনো এক সপ্তাহের ব্যবধানে এতগুলো খনি উৎপাদনের বাইরে চলে যায়নি।


আরও খবর



মোরেলগঞ্জের খাউলিয়ায় মারপিটে দিনমজুরের মৃত্যু

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 |

Image

এম.পলাশ শরীফ, নিজস্ব প্রতিবেদক: 

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে জমির বিরোধে দিনমজুরকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। নিহতের ছেলে রাসেল মুন্সী বাদি হয়ে মো. কালাম গাজী, কবির হাওলাদারসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার মামলাটি দায়ের করেন। যার মামলা নং-২৭, তারিখ-২৫.৪.২০২৪।

মামলা সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার খাউলিয়া ইউনিয়নের চালিতাবুনিয়া গ্রামের দিনমজুর নূর ইসলাম মুন্সী প্রতিবেশী মো. কালাম গাজী ও মোঃ কবির হাওলাদারের সাথে বসতবাড়ির ৪০ শতক জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে এর জের ধরে গত ১৩ এপ্রিল দুপুরে বসতবাড়ির জমি দখলে বাধা দিলে হামলা মারপিটের গুরুত্বর আহত হয় দিনমজুর।

পরবর্তীতে স্থানীয়রা আহতকে উদ্ধার করে মোরেলগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরবর্তী অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালের কতাব্যরত চিকিৎসক খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। সেখানে ১২ দিন চিকিৎসাধীন থাকাকালিন অবস্থায় (২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার) দুপুরে নূর ইসলাম মুন্সীর মৃত্যু হয়।

   বৃহস্পতিবার বিকেলে মোরেলগঞ্জ থানা পুলিশ এজাহার নামীয় ৪ জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। আসামিরা হলেন, নিহতের বড় ভাই রহমান মুন্সি (৬৫) ছোট ভাই মোঃ দীন ইসলাম মুন্সী (৫০), ভাইজি কোকেলা বেগম (৪৮)। চাচাতো ভাই বেলায়েত মুন্সী (৬৫)। বাকি আসামিরা পলাতক রয়েছে। ওই দিনমজুরের ২ ছেলে ও  ৪ মেয়ে স্ত্রী রয়েছে।  

দিনমজুরের ছেলে মো. রাসেল মুন্সী, প্রতিবন্ধী বোন জনতা বেগম বলেন, আমার পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। আসামিদের ফাঁসি চাই তা হলে আমার পিতার আত্মার শান্তি পাবে।  

   এ বিষয়ে মোরেলগঞ্জ থানার এসআই জয়ন্ত কুমার বলেন, দিনমজুর নিহতের ঘটনায় ৪ জন আসামি ইতোমধ্যে গ্রেফতার হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।


আরও খবর



ঢাকায় পৌঁছেছেন ডোনাল্ড লু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ |

Image

ঢাকায় পৌঁছেছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অব স্টেট ডোনাল্ড লু। মঙ্গলবার (১৪ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শ্রীলংকান এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে তিনি ঢাকায় পৌঁছান।

ডোলান্ড লু'র দুইদিনের এই সফরে মূল বৈঠক হবে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রীর সঙ্গেও তার বৈঠক হতে পারে। মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক পাশাপাশি সুশীল সমাজের প্রতিনিধি সঙ্গে বসার কথা রয়েছে। যেখানে আলোচনা হতে পারে জলবায়ু পরিবর্তন, শ্রম অধিকার, বাণিজ্য ও বিনিয়োগসহ অন্যান্য বিষয়।

এছাড়া মঙ্গলবার রাতে তিনি প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের বাসায় নৈশভোজে অংশগ্রহণ করতে পারেন। পরদিন বুধবার (১৫ মে) সকালে পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে। এরপর পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ হবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে।

এর আগে ডোনাল্ড লুর সফর সম্পর্কে গত ৯ মের এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানায়, ডোনাল্ড লু ১০-১৫ মে ভারত, শ্রীলংকা ও বাংলাদেশ সফর করবেন। তার সফর এসব দেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদার করবে এবং মুক্ত-উন্মুক্ত ও সমৃদ্ধ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য মার্কিন সমর্থনের কথা তুলে ধরবে।

এতে আরও বলা হয়, প্রথমে ভারতের চেন্নাই সফর করবেন লু। সেখানে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে কনস্যুলেট কর্মীদের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি। এরপর তিনি যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদারত্ব আরো গভীর করতে শ্রীলংকা সফর করবেন। সেখানে তিনি শ্রীলংকার অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের পাশাপাশি একটি মুক্ত ও গণতান্ত্রিক সমাজ গড়তে দেশটির রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।

প্রসঙ্গত, গত বছরের জুলাইয়ে ডোনাল্ড লু সর্বশেষ বাংলাদেশ সফর করেন। ওই সফরে তিনি মার্কিন বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়ার নেতৃত্বাধীন মার্কিন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ছিলেন। তার আগে গত বছর ১৪ জানুয়ারি ঢাকায় আসেন লু। ওই সফরে সম্পর্কোন্নয়নের ঘোষণা দিয়ে ঢাকা ছেড়েছিলেন তিনি। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর এটি হবে তার প্রথম বাংলাদেশ সফর।


আরও খবর



করোনার টিকায় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ |

Image

করোনা মহামারি শুরুর পর প্রাণঘাতী ভাইরাস থেকে মুক্তি দিয়েছে কোভিড ভ্যাকসিন বা টিকা। এবার সেই টিকা নিয়ে শরীরে বিভিন্ন ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার অভিযোগ উঠছে। এ অবস্থায় সমালোচনার মুখে বাজার থেকে তাদের টিকা তুলে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে তারা বলছে, চাহিদা না থাকায় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। 

জানা গেছে, অ্যাস্ট্রাজেনেকা অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথভাবে করোনার যে টিকা উৎপাদন করে, তার ব্র্যান্ড নাম ভ্যাক্সজেভ্রিয়া। এরপর ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট সেই টিকা উৎপাদনের লাইসেন্স পায়। তারা কোভিশিল্ড নামে সেই টিকা বাংলাদেশসহ কয়েকটি দেশে বাজারজাত করে। সমালেচানার মুখে ইউরোপ মহাদেশে ভ্যাক্সজেভ্রিয়া টিকার বাজারজাতকরণ কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা।

বাংলাদেশের মানুষকে সাড়ে ৫ কোটির বেশি ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা দেওয়া হয়েছে। এই টিকা গ্রহণকারীদের দেহে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে কিনা তা খুঁজে দেখতে বুধবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছে। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার বিষয়টি জোরেশোরে সামনে আসায় উৎকণ্ঠায় আছেন এই টিকা গ্রহীতারা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মহামারি মোকাবিলায় বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে দ্রুত উদ্ভাবিত করোনা টিকা মানবদেহে প্রয়োগ করা হয়। যেসব টিকা ব্যবহার করা হয়েছে তার একটিও যথাযথ নিয়ম হয়নি। তৈরি ও ব্যবহারের অনুমতিও জরুরি ভিত্তিতে হয়েছিল। কারণ মহামারি মোকাবিলাই সবচেয়ে বড় বিষয় ছিল। কিছু টিকার বিরুদ্ধে কোনো আইনি পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না মর্মে বাজারে ছাড়া হয়েছিল। এসব কারণে দীর্ঘমেয়াদি ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল বা রুটিন ভ্যাকসিনের মতো করোনার টিকার অনুমতি দেওয়া হয়নি।

তাছাড়া টিকা গবেষণায়ও তাড়াহুড়া ছিল। জরুরি অবস্থা বিবেচনায় দ্রুত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অনেক মানুষকে দেওয়ার ফলে পার্শপ্রতিক্রিয়ার বিষয় আমলে নেওয়া হয়নি। করোনা আক্রান্ত এবং আক্রান্ত ছাড়াও টিকা দেওয়া হয়েছে। এখন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে বিশ্বব্যাপী অনেক প্রতিবেদন হচ্ছে। তবে করোনার কারণে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া না অন্য কারণে হচ্ছে বলা কঠিন। এজন্য সরকারি অর্থায়ন এবং স্বচ্ছতার সঙ্গে বিশেষজ্ঞ গবেষকদের সমন্বয়ে সঠিক পদ্ধতিতে গবেষণা করতে হবে। তবে যে প্রতিষ্ঠান টিকা দিয়েছে তাদের গবেষণায় রাখা যাবে না।

এদিকে টিকা গ্রহণের ফলে মানবদেহে গুরুতর ক্ষতি এবং মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে অ্যাস্ট্রাজেনেকার বিরুদ্ধে । ব্রিটিশ ফার্মাসিউটিক্যাল জায়ান্ট অ্যাস্ট্রাজেনেকা বিষয়টি স্বীকারও করেছে। 

এক গবেষণা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে কোভিশিল্ড নামে তাদের কোভিড-১৯ টিকা গ্রহণের ফলে থ্রম্বোসিস উইথ থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া সিনড্রোম (টিটিএস) নামে পরিচিত একটি বিরল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। টিটিএস হলো এমন একটি বিরল অবস্থা, যার ফলে শরীরের অস্বাভাবিক কোনো জায়গায় রক্ত জমাট বাঁধে এবং রক্তে প্লাটিলেটের সংখ্যা কমে যায়। টিটিএসের উপসর্গগুলোর মধ্যে রয়েছে গুরুতর মাথাব্যথা, পেটে ব্যথা, পায়ে ফোলাভাব, শ্বাসকষ্ট এবং খিঁচুনির মতো সমস্যা। যদি কেউ টিকা নেওয়ার পর এই লক্ষণগুলো দেখতে পায় তবে তাদের দ্রুত একজন চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করা উচিত।

বাংলাদেশে করোনার বিভিন্ন ব্র্যান্ডের টিকা গ্রহণ পরবর্তী শারীরিক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হচ্ছে এমন একাধিক ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে অনেকের মনে রাখার ক্ষমতা কমে গেছে। অর্থাৎ ভুলে যাওয়া প্রবণতা বাড়ছে। অনেকের সামান্য পরিশ্রমে হাঁপিয়ে ওঠা, শারীরিক দুর্বলতা, ঘুম কমে যাওয়া, অবসাদগ্রস্ততা, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসের সমস্যা দেখা দিয়েছে। দীর্ঘমেয়াদি রোগে ভোগা ব্যক্তিদের টিকা নিয়ে পুরোনো ও বিরল রোগব্যাধি ফের মাথাচাড়া দিয়েছে।

রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণে টিকাদান কর্মসূচিকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে আয়োজিত এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনা টিকার বিরল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হচ্ছে বিভিন্ন মহলে। তৈরি হয়েছে বিতর্ক। এমন পরিস্থিতিতে বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা। নিজেদের করোনা টিকা সারা বিশ্ব থেকে প্রত্যাহার করছে প্রতিষ্ঠানটি। বাংলাদেশে অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা টিকা গ্রহণকারীদের কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে কিনা তা খুঁজে দেখতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

বৈশ্বিক এই সিদ্ধান্তের ব্যাপারে দেশের প্রেক্ষাপটে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ভাবনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত না জানব দেশে কতটুকু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়েছে, ততক্ষণ পর্যন্ত এ ব্যাপারে কিছু বলতে পারব না। তবে আমরা এটি নিয়ে কনসার্ন (উদ্বিগ্ন)। 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষণার অংশীদার নিউজিল্যান্ডভিত্তিক গবেষণা সংস্থা জিভিটিভি জানিয়েছে, করোনার অন্যান্য ব্র্যান্ডের টিকাগুলো হৃৎপিণ্ড, মস্তিষ্ক ও রক্তে নানা ধরনের জটিলতা বাড়ায়। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসাবে এ পর্যন্ত ১৩ ধরনের শারীরিক জটিলতার রেকর্ড করেছেন গবেষকরা।

গ্লোবাল ভ্যাকসিন ডাটা নেওয়ার্কের একদল গবেষক এই গবেষণা করেছেন। মার্চের প্রথম সপ্তাহে গবেষণা প্রবন্ধটি প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান সাময়িকী ভ্যাকসিন। গবেষণায় বিশ্বের ১৩টি দেশে ৯ কোটি ৯০ লাখ মানুষের তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এর মধ্যে যারা এমআরএন টিকা ফাইজার, এন-বায়োটেক কিংবা মর্ডানা টিকার দ্বিতীয় ও তৃতীয় ডোজ নিয়েছেন তাদের একাংশ মায়োকার্ডিটি নামক হৃৎপিণ্ডের সমস্যায় আক্রান্ত হয়েছেন।

 এছাড়া যারা অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৃতীয় ডোজ সম্পন্ন করেছেন তাদের একাংশ পেরি-কার্ডিটিতে আক্রান্ত হয়েছেন। যারা এই সমস্যায় আক্রান্ত হয় তাদের হৃৎপিণ্ডের কার্ডিয়াক মাংসপেশিতে সমস্যা হয়। এছাড়া ফাইজার মর্ডানার টিকার ডোজে রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়া জিবিএস এবং মায়োলিটিসির মতো শারীরিক সমস্যার ঝুঁকি বাড়ায় ২ দশমিক ৫ গুণ। মায়োলিটিসে আক্রান্তরা মস্তিষ্ক এবং মেরুদণ্ডের প্রদাহে ভোগেন। তবে টিকা নেওয়া বেশির ভাগ মানুষই যে এসব সমস্যায় ভোগে বিষয়টা এমনো নয়- বলেছেন গবেষকরা। 

জানতে চাইলে জাতীয় নিউরোসায়েন্স হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. কাজী দীন মোহাম্মদ বলেন, ২০২০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আমরা দেখেছি করোনা আক্রান্তদের জিবিএস হয়েছে। একইভাবে জিবিএস রোগীরও কোভিড শনাক্ত হয়েছে। করোনা জিবিএসের মতো একটি ভাইরাল ইনফেকশন। যেসব ভাইরাসে জিবিএস হয় সেগুলো আগে থেকেই জানা। তবে দেশে করোনার সঙ্গে জিবিএসের সরাসরি সম্পর্কের নজির নেই। তাই করোনাভাইরাস জিবিএসে আক্রান্ত করতে পারে কিনা সেটি এখনো বোঝা যাচ্ছে না। এটি নিয়েও দেশে-বিদেশে নির্দিষ্ট করে গবেষণা হওয়া দরকার।

জনস্বাস্থ্যবিদ ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, করোনা টিকা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতের গবেষণায় যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা উঠে এসেছে সেটি বিরল রোগ টিটিএস। বাংলাদেশে করোনা টিকা গ্রহীতাদের এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়নি। তাই উদ্বেগের কিছু নেই। তিনি বলেন, মাহামারির ভয়াবহতায় পুরো বিশ্ব উদ্বেগে ছিল। দীর্ঘ হচ্ছিল মৃত্যুর মিছিল। তখন আশার আলো নিয়ে আসে অ্যাস্ট্রাজেনেকা, ফাইজার, মর্ডানা ও জনসনের মতো টিকা। এখন যাদের টিকা নিয়ে জটিলতা হচ্ছে তাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চিকিৎসা নিতে হবে।


আরও খবর



গরমে ফ্যান এসির দাম বাড়ছে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 |

Image

প্রচণ্ড গরম পড়েছে। ঘরেও থাকা দায়। হঠাৎ হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে যায়। লোডশেডিং আরও বাড়লে ভোগান্তি আরও বাড়বে। তাই বাচ্চাদের জন্য চার্জার ফ্যান কিনতে এসেছে ইমরান হোসেন। কিন্তু দামে মিলছে না। আগের চেয়ে প্রায় ১ হাজার টাকা দাম বেশি চাইছে। একটি সিলিং ফ্যান কিনলাম সেটির দামও বেশি নিল। নবাবপুরে দাম বেশি হলে অন্য জায়গায় তো আরও বেশি হবে।


স্টেডিয়াম মার্কেটে ফ্যান কিনতে আসা রনি জানান, গরমে ফ্যানের চাহিদা বেড়েছে, সেই সঙ্গে দামও বাড়িয়ে দিয়েছেন বিক্রেতারা। তারা বলছেন, সবকিছুর দাম বেড়েছে। বেশি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে, তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।


বাংলাদেশে ফ্যানের সবচেয়ে বড় বাজার নবাবপুর রোডে। সরেজমিন দেখা গেছে, নবাবপুরে প্রতিটি ইলেকট্রিক মার্কেটের সামনে রাখা যানবাহনে বিভিন্ন রকমের ফ্যান বোঝাই করা হচ্ছে। আবার কোনো কোনো যানবাহন থেকে ফ্যান নামিয়ে দোকানে বা গোডাউনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

 

নবাবপুর ও গুলিস্তান স্টেডিয়াম মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, গত এক সপ্তাহের তুলনায় প্রতিটি চার্জার ফ্যানের মান ও আকারভেদে এক হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা বেড়েছে। বেশি বেড়েছে বিদেশ থেকে আমদানি করা বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ফ্যানের দাম। এসব ফ্যানের দাম পড়ছে সাড়ে ৩ হাজার থেকে ৮ হাজার টাকা পর্যন্ত। এ ছাড়া স্ট্যান্ড ফ্যানের চাহিদাও বাড়ছে।


বাজার ঘুরে দেখা যায়, ছোট স্ট্যান্ড (৯-১০ ইঞ্চি) বা টাইফুন ফ্যান বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকায়। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের স্ট্যান্ড ফ্যান বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ২০০ থেকে ৮ হাজার টাকায়। এ ছাড়া দেশি ব্র্যান্ডের সিলিং ফ্যান ১ হাজার ৭০০ থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকায়, বিদেশি ব্র্যান্ডের সিলিং ফ্যান বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার ৫০০ থেকে ১০ হাজার টাকায়। ফ্যানের পাশাপাশি চাহিদা বেড়েছে ইনভার্টার ও নন-ইনভার্টার এসির। বেড়েছে দামও।


নবাবপুরের খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, গরমকাল ফ্যান, রিচার্জ্যাবল ফ্যান ও এসি বিক্রির মৌসুম। এবার গরম বেশি পরায় চাহিদা বেড়েছে। বেচাকেনাও ভালো। তবে সরবরাহ কিছুটা কম রয়েছে। বাজারে ১২, ১৪ ও ১৬ ইঞ্চির চার্জার ফ্যান বেশি চলছে। তবে স্ট্যান্ড ফ্যানের চাহিদাও ভালো।


নবাবপুরের খুচরা ব্যবসায়ী আমিন জানান, তারা ডিফেন্ডার ও কেনেডি ফ্যান বিক্রি করেন। চায়না ফ্যানের দাম একটু বেশি, দেশিটার দাম একটু কম। ১২ ইঞ্চি রিচার্জ্যাবল ফ্যানের দাম ৩ হাজার ২০০ টাকা, বাংলা ফিটিং চায়নার দাম ৩ হাজার আর দেশি ফ্যানের দাম ২ হাজার ৬০০ টাকা। চায়নাটা তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা চার্জ থাকবে। বাকিগুলো কিছুটা কম চার্জ থাকবে। এ ছাড়া ১৪ এবং ১৬ ইঞ্জি ফ্যানও রয়েছে। তিনি বলেন, গত সপ্তাহে ফ্যানের দাম কম ছিল। এখন প্রতিদিনই ৫০-১০০ টাকা বাড়ছে। গরম যত বাড়বে দামও তত বাড়তে থাকবে। তিন মাস আগেও এ ফ্যানের দাম ছিল ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৩০০ টাকা। গত বছর একই ফ্যানের দাম সাড়ে ৫ হাজার পর্যন্ত উঠেছিল। এবারও যে হবে না তা বলা যাচ্ছে না। এবারও সেদিকেই যাচ্ছে। তিনি বলেন, চাহিদা বাড়লে, মালের সংকট দেখিয়ে আমদানিকারকরা দাম বাড়িয়ে দেয়। দেখা যায়, সকালে যে দাম ছিল বিকালে তা আরও বেড়ে গেছে।


স্টেডিয়াম মার্কেটের নারায়ণগঞ্জ ইলেকট্রনিকসের বিক্রেতা হানিফ বলেন, গরমে চাহিদা বাড়ায় পাইকারি বাজারে ফ্যানের দাম বেড়ে গেছে। আমাদের বেশি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে। আজও প্রতিটি ফ্যানে ২০০ টাকা বাড়তি দিয়ে কিনেছি। কালও প্রতিটি ফ্যানে ১০০ টাকা বাড়তি দিয়েছি। বেশি দামে কিনলে তো বেশি দামেই বিক্রি করতে হবে। ক্রেতারা তাদের সাধ্যানুযায়ী কিনবেন।


বাংলাদেশ ইলেকট্রিক অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি ও এফবিবিসিআই পরিচালক খন্দকার রুহুল আমিন বলেন, এবার ফ্যানের বিক্রি প্রায় ৩০ শতাংশ বেড়েছে। দামও বেড়েছে। কারণ জিনিসপত্রের দাম এবং উৎপাদন খরচ প্রায় ৪০ শতাংশ বেড়ে গেছে। ফ্যান উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় ১০০ শতাংশ তামার তার বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। যে কাঁচামাল লাগে তার ৮০ শতাংশ আমদানি করতে হয়। কপার শিট, অ্যালুমিনিয়াম শিট, এমএস শিট, বেয়ারিং ও ক্যাপাসিটর আমদানি করতে হয়। বৈশ্বিক ও ডলারের দাম বৃদ্ধির কারণে ৩০-৪০ শতাংশ দাম বেড়েছে। এ ছাড়া লেবারের মজুরি বেড়েছে। চাহিদার মৌসুমে লেবারদের বেশি মজুরি দিতে হয়। এসব মিলিয়ে ৪০ শতাংশ খরচ বেড়েছে। যার কারণে ফ্যানের দামও কিছুটা বেড়েছে।


আরও খবর