Logo
শিরোনাম

নওগাঁয় জাল সনদে এক যুগ এমপিও ভোগ করা শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টার :


নওগাঁর আত্রাই উপজেলার চক শিমলা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (ইংরেজি) মোঃ মোজাহারুল ইসলাম জাল শিক্ষক নিবন্ধন সনদ দিয়ে চাকরি নিয়েছিলেন। সেই শিক্ষক নিবন্ধন সনদ যাচাই অন্তে জাল বলে প্রতিষ্ঠান প্রধানকে পত্র প্রেরণ করেছিলেন এনটিআরসিএ এর সহকারী পরিচালক তাজুল ইসলাম। তার প্রেক্ষিতে থানায় মামলা দায়ের করেন বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক প্রান বল্লভ মণ্ডল।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, রাজশাহী জেলার বাগমারা থানার সোনাডাঙ্গা গ্রামের মোঃ তাহের উদ্দিনের ছেলে মোঃ মোজাহারুল ইসলাম (৪৪) আত্রাই থানার চক শিমলা উচ্চ বিদ্যালয়ে গত ৩০ জুন ২০১০ ইং তারিখে যোগদান করে ১ সেপ্টেম্বর ২০১০ তারিখে এমপিওভুক্ত হোন। তার ইনডেক্স নাম্বার R১০৪৯৯২১। গত ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখে অত্র প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক বরাবর বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) এর ৯৪৭ নং স্মারকে মোঃ মোজাহারুল ইসলামের শিক্ষক নিবন্ধন সনদের ফটোকপি সহ অন্যান্য কাগজ পত্রের ফটো কপি প্রধান শিক্ষক কর্তৃক সত্যায়ন পূর্বক প্রেরণের নির্দেশ প্রদান করে। সে মতে গত ১০ নভেম্বর ২০২২ তারিখে তার কাগজপত্র অনলাইনের বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) দপ্তরে প্রেরণ করেন প্রধান শিক্ষক। যা যাচাই অন্তে তার শিক্ষক নিবন্ধন সনদ জাল ও ভুয়া বলে প্রমান পাওয়ায় ১১২৩ নং স্মারকে প্রেরিত পত্র মাধ্যমে গত ১৬ নভেম্বর ২০২২ ইং তারিখে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন।

সেই নির্দেশ মতে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি না থাকায় গত ১ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে স্টাফ কমিটির মিটিংএ অত্র বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক ও কর্মচারীবৃন্দ মিলে জাল শিক্ষক নিবন্ধন সনদ দিয়ে অত্র প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ নিয়ে যোগদানের পর থেকে এই প্রতিষ্ঠানে অবৈধ ভাবে চাকুরি করায় মোঃ মোজাহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

এবিষয়ে জানতে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক প্রান বল্লভ মণ্ডলের মুঠোফোনে একাধিক বার কল দিলে তিনি রিসিভ না করায় তার কোন বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এব্যাপারে জানতে চাইলে আত্রাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তারেকুর রহমান বলেন, চক শিমলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রান বল্লভ মণ্ডল বাদী হয়ে গত ১৭ ডিসেম্বর ৪০৬, ৪২০, ৪৬৮, ৪৭১ ধারায় থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নাম্বার ১৮।



আরও খবর



আবারো বাড়লো গ্যাসের দাম

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 |

Image

আবারও বাড়লো বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম এবং কলকারখানায় ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম। দুই মাসের মাথায় বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য গ্যাসের দাম ইউনিটপ্রতি আরও ৭৫ পয়সা বাড়ানো হলো। পরিবহন খাতে ব্যবহৃত সিএনজি ও আবাসিকের গ্যাসের দাম বাড়ায়নি সরকার।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের জারি করা প্রজ্ঞাপনটি মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাতে প্রকাশিত হয়েছে। আজ বুধবার (১ মে) থেকেই নতুন এই দাম কার্যকর হয়েছে।

নতুন দর অনুযায়ী, বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের মূল্য ১৪ টাকা ৭৫ পয়সা থেকে ৭৫ পয়সা বাড়িয়ে ১৫ টাকা ৫০ পয়সা করা হয়েছে। আর ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ শ্রেণির গ্রাহকদের জন্য প্রতি ঘনমিটারের মূল্য ৩০ টাকা ৭৫ পয়সা থেকে ৭৫ পয়সা বাড়িয়ে ৩১ টাকা ৫০ পয়সা করা হয়েছে। তবে অন্যান্য শ্রেণিতে গ্যাসের মূল্য অপরিবর্তিত থাকবে।

জ্বালানি বিভাগের উপসচিব শেখ মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকারি, আইপিপি ও রেন্টাল বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের জন্য নতুন এ দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত বছরের জানুয়ারিতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটারে ৫ টাকা ৮ পয়সা থেকে বাড়িতে ১৪ টাকা এবং ক্যাপটিভ ১৬ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০ টাকা করা হয়েছিল। তখন শিল্প, বিদ্যুৎ ও বাণিজ্যিক খাতে গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়। তবে পরিবহন খাতে ব্যবহৃত সিএনজি ও আবাসিকের গ্যাসের দাম বাড়ায়নি সরকার।


আরও খবর



চামড়া খাতে ন্যূনতম মজুরি ২২ হাজার টাকার প্রস্তাব

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 |

Image

ট্যানারি শিল্পের জন্য শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২২ হাজার ৭৭৬ টাকা প্রস্তাব দিয়েছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। একইসঙ্গে মজুরি দেওয়ার ক্ষেত্রে গ্রেডিং সিস্টেম যথাযথ করার প্রস্তাব দিয়েছে সংস্থাটি।শ্রমিকদের খাদ্যমূল্য ও মুদ্রাস্ফীতি বিবেচনায় এ প্রস্তাব দিয়েছে সিপিডি।

শনিবার (৪ এপ্রিল) সিপিডির ধানমন্ডির কার্যালয়ে ট্যানারি শিল্পে ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ ও বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ শীর্ষক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এসব প্রস্তাবনায় উঠে আসে।

সিপিডির গবেষণা পরিচালক গোলাম মোয়াজ্জেমের নেতৃত্ব গবেষণা পরিচালনা করা হয়। সিপিডির সিনিয়র গবেষক তামিম আহমেদ মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠানে ন্যূনতম মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী মোল্লা ও ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাহীন আহমেদসহ খাত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বক্তব্য রাখেন।

শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি প্রস্তাবনায় সিপিডি বলছে, শ্রমিকদের খাদ্যমূল্য ২০ হাজার ৫৬৪ ও নন-ফুড মূল্য ১২ হাজার ৮৮১ টাকা হিসেবে মাসে মোট ৩৩ হাজার ৪৪৫ টাকা প্রয়োজন। সেই হিসেবে সিপিডি মনে করছে ন্যূনতম মজুরি হওয়া উচিত ২২ হাজার ৭৭৬ টাকা। একইসঙ্গে আমাদের প্রস্তাব থাকবে গ্রেডিং সিস্টেম ঠিক করে একটি গ্রেডে আনা। এই খাতে গ্রেড উন্নয়নের সুযোগ কম, কারণ একেকটি গ্রেডের কাজ একেক রকম। যেহেতু পদোন্নতির সুযোগ নেই, তাই গ্রেডের মধ্যে কয়েকটি ভাগ, যেমন: যেমন-গ্রেড-৫ এর এ, বি ও সি করে সাবগ্রেড করার প্রস্তাব রয়েছে। এর ফলে পদোন্নতির সুযোগ থাকবে ও শ্রমিকদের কাজে উৎসাহ বৃদ্ধি পাবে।

গোলাম মোয়াজ্জেম তার বক্তব্যে বলেন, ২০২৩ সালের চামড়া জাত পণ্য রপ্তানি করে আয় হয়েছিল ১.২ বিলিয়ন ডলার। যার ভিতরে ট্যানারি শিল্প থেকে এসেছে ১২৩ মিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি খুঁজছে সে হিসাবে চামড়াজাত গুরুত্বপূর্ণ একটি খাত হতে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, আমাদের গবেষণায় এই খাতে শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২২ হাজার ৭৭৬ টাকা প্রস্তাব এসেছে, আমরা জানি শ্রমিকদের দাবি ২৫ হাজার টাকা আর মালিকদের প্রস্তাবনা ১৫-১৬ হাজার টাকা। আমি আশা করছি মজুরি বোর্ড সকল পক্ষে প্রস্তাব বিবেচনায় নিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে।

সিডিপির গবেষণায় বলা হয়েছে, ২০১১ সালে সর্বপ্রথম ট্যানারি শিল্পের জন্য ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা করা হয়েছিল, যার পরিমাণ ৮ হাজার ৭৫০ টাকা। ২০১৮ সালে সেটা বৃদ্ধি করে শহর অঞ্চলের জন্য ১৩ হাজার ৫০০ টাকা ও গ্রাম অঞ্চলের জন্য ১২ হাজার ৮৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। ২০১৮ সালে যে ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছিল, সেটা কতগুলো প্রতিষ্ঠানে বাস্তবায়ন করা হয়েছে সেটা গুরুত্বপূর্ণ। সিপিডির গবেষণায় দেখা গেছে ২০২৪ সালে এসেও দেখা গেছে ৬০ শতাংশ কারখানা ওই বেতন দিচ্ছে না। প্রতিবছর ৫ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি পাওয়ার কথা থাকলেও সেটা বিবেচনায় বাস্তবায়ন হার অনেক কম পাওয়া গেছে। সিপিডি অ্যাংকর মেথডে ৩৫টি ট্যানারির ওপর গবেষণা পরিচালনা করা হয়েছে।


আরও খবর



গাজায় প্রতি ১০ মিনিটে একজন শিশু নিহত

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 |

Image

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের হামলায় প্রতি ১০ মিনিটে একটি শিশু আহত কিংবা নিহত হচ্ছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যের বরাত দিয়ে জাতিসংঘ শিশু তহবিল ইউনিসেফ এ কথা জানিয়েছে। খবর আলজাজিরার।

শনিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলের হামলায় গাজায় ২৪ ঘণ্টায় আরো ৩৭ জন নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৩৪ হাজার ৪৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ১৪ হাজারের বেশি শিশু রয়েছে।

গাজার সর্বশেষ পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে ইসরায়েলের হামলায় শিশুদের হতাহত হওয়ার এ মারাত্মক পরিসংখ্যান সামনে আনে জাতিসংঘের মানবিক সহায়তাবিষয়ক সমন্বয় দপ্তরও (ওসিএইচএ)।


আরও খবর



রাশিয়ার বিমানঘাঁটিতে হামলা, যুদ্ধবিমানসহ জ্বালানি স্থাপনা ধ্বংস

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 |

Image

ডিজিটাল ডেস্ক:

মস্কো অধিকৃত ক্রিমিয়ার বেলবেক বিমানঘাঁটিতে বিমান হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। এতে ইউক্রেনের তিনটি যুদ্ধবিমান ও একটি জ্বালানি স্থাপনা ধ্বংস হয়েছে। চলতি সপ্তাহে এ হামলা হয়েছে বলে মার্কিন বাণিজ্যিক স্যাটেলাইট সংস্থা ম্যাক্সার এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। খবর রয়টার্সের।

গতকাল বৃহস্পতিবার স্যাটেলাইটের মাধ্যমে এসব ছবি তোলা হয়। ছবিতে দেখা যায়, দুইটি মিগ-৩১ যুদ্ধবিমান এবং সু-২৭ যুদ্ধবিমান ধ্বংস হয়েছে। এছাড়া মিগ-২৯ মডেলের আরও একটি যুদ্ধ বিমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তবে এই হামলার দাবি নিয়ে এখন পর্যন্ত প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেনি ইউক্রেন।

এদিকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার ইউক্রেন রাতভর ক্রিমিয়া হামলা চালিয়েছে। তবে আমাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ইউক্রেনের পাঁচটি দীর্ঘ পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করেছে।


এর আগে গত বুধবার রাশিয়া জানায়, তারা ক্রিমিয়ায় ১০টি দীর্ঘ পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করেছে। তবে এতে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরপর আজ পর্যন্ত টানা ৮১৩ দিনের মতো চলছে দেশ দুইটির সংঘাত। এতে দুই পক্ষের বহু হতাহতের খবর পাওয়া যাচ্ছে।

তবে যুদ্ধ বন্ধে এখন পর্যন্ত কোনো লক্ষণ নেই। উল্টো পূর্ব ইউক্রেনে দেশ দুইটির মধ্যে সংঘাতের পরিমাণ অনেক বেড়েছে।


আরও খবর



এনবিআর-কাস্টমসের হয়রানির বিষয় মন্ত্রিসভায় তোলা হবে: নানক

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 |

Image

এনবিআর ও কাস্টমসের যত সমস্যা আছে, তার মধ্যে সেবাগ্রহীতারদের হয়রানি বড় একটি বিষয় বলে উল্লেখ করেছেন পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক। সামনের মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিষয়গুলো তোলা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

সচিবালয়ে পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) প্রতিনিধিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এসব কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, বিদেশি রাষ্ট্রদূত ও প্রবাসে ব্যবসা করা বাঙালিরাও এনবিআর ও কাস্টমসের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ করে। আমরা আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা চিহ্নিত করেছি। সমস্যা যখন চিহ্নিত হয়েছে সমাধান হতে বাধ্য। সুতরাং আমরা সমাধানের সূত্রগুলো বের করব এবং সমাধানগুলো খুব তাড়াতাড়ি করতে হবে।

জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, রোববার কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত এসেছিলেন তিনি এনবিআর এবং কাস্টমসের হয়রানি নিয়ে কথা বলেছেন ছাড়া সাংবাদিকরা রয়েছেন অনেক কথা আছে, যেগুলো আমি বলতে পারব না সমস্ত জায়গা থেকে একটি অভিযোগ আসছে আমি সম্প্রতি ওমরাহ হজ করে এসেছি সৌদি আরবে ব্যবসায়ীরা জোর করেই আমার সঙ্গে বসে ছিলেন বাঙালি ব্যবসায়ীরা সেখানে দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে সেখান থেকেও একই ধরনের অভিযোগ এসেছে

তিনি জানান, দুটি বিষয় আছে, একটি হলো রেমিট্যান্স পাঠানো, আর আরেকটি তারা যে ব্যবসা করে, তারা যেসব মালামাল পাঠায় তা নিয়ে চট্টগ্রাম কাস্টমসে এনবিআরে সমস্যা পোহাতে হয় তাদের। সর্বসাকুল্যে আমি বলব এনবিআর এবং কাস্টমসের যে সমস্যাগুলো রয়েছে, সেগুলোর মধ্যে এটা বড় সমস্যা। আমি সামনের মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করবো।

পাট বস্ত্রমন্ত্রী বলেন, পোশাক শিল্পকে আমরা শুধু বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সবচেয়ে বড় ক্ষেত্র হিসেবে দেখছি না, সমাজ পরিবর্তনেও আপনারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। দারিদ্র্য বিমোচনেও আপনারা মুখ্য ভূমিকা পালন করছেন। প্রায় ৪২ লাখ শ্রমিকের কর্মসংস্থান হয়েছে। এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত অধিকাংশ শ্রমিক নারী। নারীরা স্বপ্ন দেখতে শিখেছে। কাজেই সেই শিল্পকে আমাদের অগ্রাধিকার দিতে হবে।

বিজিএমইএ দাবির প্রেক্ষিতে মন্ত্রী বলেন, অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি করে পূর্ণাঙ্গভাবে প্রস্তুত না করে বাইরে কোথাও শিল্প করতে দেওয়া যাবে না, এটা শিল্পনীতি হতে পারে না। আপনারা নগদ সহায়তা প্রদান ২০২৬ সাল পর্যন্ত বলবৎ রাখার দাবি জানিয়েছেন। আমাদের টার্গেটে পৌঁছাতে হলে বিশ্ববাজারে টিকে থাকতে হলে এই নগদ সহায়তার বিষয়টি থাকতে হবে।

এর আগে বিজিএমইএ সভাপতি এস এম মান্নান (কচি) বলেন, আমাদের আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় হয়রানির জায়গা এনবিআর। এনবিআরের চেয়ারম্যান অত্যন্ত সৎ একজন মানুষ। কিন্তু তার নিচে যারা আছে... আলোর নিচে যেমন অন্ধকার সেই অন্ধকার। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ না করলে অডিট হয় না। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ না করলে আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হয়। এতে করে নির্দিষ্ট সময়ে আমরা আমাদের মাল আমদানি করতে পারছি না, রপ্তানিও করতে পারছি না।

তিনি বলেন, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে আইনি কোন বাধা থাকে না। কিন্তু যোগাযোগ না করলেই হয়রানির শিকার হতে হয়। আমরা যাতে আইন মেনেই সুন্দর সুষ্ঠুভাবে ব্যবসা করতে পারি তার দাবি জানাচ্ছি। আমরা হয়রানিমুক্ত ব্যবসা করতে চাই।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক একটি সার্কুলার জারি করেছে অর্থনৈতিক অঞ্চলের বাহিরে শিল্প করা যাবে না। ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্যে মাত্র তিনটি চালু হয়েছে। অর্থনৈতিক অঞ্চল চালু না করেই বাহিরে শিল্প করা যাবে না, এমন নির্দেশনা দিলে বিনিয়োগ বন্ধ হয়ে যাবে। অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই এই সার্কুলার তুলে নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

সময় ২০২৬ সাল পর্যন্ত পোশাক রপ্তানিতে নগদ সহায়তা বহাল রাখার দাবি জানান বিজিএমইএ সভাপতি। পাশাপাশি সোর্স ট্যাক্স শতাংশ থেকে কমিয়ে দশমিক ৫০ শতাংশ করার দাবি জানান তিনি


আরও খবর