Logo
শিরোনাম

সাংগ্রাই মঙ্গল শোভাযাত্রা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ এপ্রিল ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ |

Image

সাংগ্রাই মঙ্গল শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে বান্দরবানে শুরু হয়েছে পাহাড়ি সম্প্রদায়ের সাংগ্রাই উৎসব। বুধবার সকাল সাড়ে ৮টায় স্থানীয় রাজার মাঠ প্রাঙ্গণ থেকে সাংগ্রাই মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রায় ১২টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায় পৃথক পৃথকভাবে শোভাযাত্রা বের করেন। পার্বত্যমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপির নেতৃত্বে পাহাড়ি সম্প্রদায়ের শত শত নারী-পুরুষ, তরুণ-তরুণী এবং নেতা শোভাযাত্রায় অংশ নেন। মঙ্গল শোভাযাত্রাটি জেলা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বান্দরবান ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়। পরে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট এ সভাকক্ষে বয়োজোষ্ট পূজা অনুষ্ঠিত হয়। পাহাড়িদের তিন দিনব্যাপী এই উৎসব চলবে।

প্রতি বছরই বান্দরবানে মারমা সম্প্রদায় ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার সঙ্গে উদ্যাপন করে মাহা সাংগ্রাই উৎসব। পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলার ১১টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর পাহাড়ি জাতিসত্ত্বার মধ্যে মারমা জনগোষ্ঠী সাংগ্রাই নামে এ উৎসব পালন করে। করোনার কারণে গত দুই বছর উৎসব পালন করতে পারেনি। তবে এবার বান্দরবানের মারমা সম্প্রদায় নতুন বর্ষকে বরণ করে নিতে ব্যাপক আয়োজন করেন।

পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বলেন, বান্দরবান একটি সম্প্রীতির জেলা। বাংলা নববর্ষের পাশাপাশি পার্বত্য জেলার সব সম্প্রদায়ের সাংগ্রাই উৎসব মিলেমিশে এবং শান্তিপূর্ণভাবে উৎসব উপভোগ করেছে। ধর্ম যার যার। তবে উৎসব আমাদের সবাই। পাহাড়ি-বাঙালির সম্প্রীতির বন্ধন রয়েছে- একে অপরের মঙ্গল কামনা করি।

সাংগ্রাই উৎসব উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি থেওয়াং (হ্লাএমং) জানান, গত বুধবার সকালে রাজার মাঠ প্রাঙ্গণ থেকে বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হয় এবং শোভাযাত্রা শেষে বয়োজ্যেষ্ঠ পূজা অনুষ্ঠিত হয়। আজ সকালে মিনি ম্যারাথন দৌড়, বিকালে পবিত্র বুদ্ধমূর্তি স্নান, রাতব্যাপী পিঠা তৈরি উৎসব, ১৫ এপ্রিল বিকালে বান্দরবানের উজানীপাড়া সাঙ্গু নদীর চরে মৈত্রী পানি বর্ষণ, ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, তৈলাক্ত বাঁশ আরোহন ও সবশেষে ১৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় বিহারে বিহারে হাজার প্রদ্বীপ প্রজ্বালন ও সমবেত প্রার্থনার মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটবে মারমা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী এই সাংগ্রাই উৎসবের।


আরও খবর



আইএমএফের ঋণের তৃতীয় কিস্তি পাচ্ছে বাংলাদেশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ |

Image

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ)। ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের তৃতীয় কিস্তি হিসেবে ৬৮ কোটি ডলার ছাড় পাচ্ছে বাংলাদেশ। চলতি মে মাসের শেষ নাগাদ কিংবা আগামী জুন মাসের শুরুর দিকে এই অর্থ ছাড়ের বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়কে নিশ্চিত করেছে ঋণ কর্মসূচির আওতায় শর্ত বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষণে আসা সংস্থাটির প্রতিনিধি দল।

একই সঙ্গে বাংলাদেশের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে চতুর্থ কিস্তির জন্য আগামী জুন নাগাদ বৈদেশিক মুদ্রার নিট রিজার্ভ ও কর রাজস্বের লক্ষ্যমাত্রা কমাতেও সম্মত হয়েছে প্রতিনিধি দল। বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

গত ২৪ এপ্রিল ঢাকা সফরে এসে সুনির্দিষ্ট বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগ, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডসহ (এনবিআর) সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক করে আইএমএফের ডেভেলপমেন্ট মাইক্রো ইকোনমিক্স ডিভিশনের প্রধান ক্রিস পাপাগেওর্জিউর নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল ।

এসব বৈঠকের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিনিধি দল মঙ্গলবার (৭ মে) অর্থ বিভাগ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে সার্বিকভবে পর্যালোচনামূলক বৈঠকে তৃতীয় কিস্তি ছাড়ের আশ্বাসের পাশাপাশি ঐকমত্যের ভিত্তিতে লক্ষ্যমাত্রা পুনর্নির্ধারণ এবং সংশোধিত শর্ত সংযুক্ত করে চূড়ান্ত করা সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করে।

আজ বুধবার (৮ মে) অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়েশা খানের সঙ্গে প্রতিনিধি দল সৌজন্য স্বাক্ষাৎ করবে। পাশাপাশি সন্ধ্যায় অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে ঢাকা ছাড়বে। চলতি মাসের শেষ নাগাদ ওয়াশিংটনে আইএমএফের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠেয় পরিচালনা পর্ষদের সভায় তৃতীয় কিস্তি ছাড়ের চূড়ান্ত অনুমোদন হওয়ার কথা রয়েছে।

গত ডিসেম্বর নাগাদ শর্ত পরিপালনের ভিত্তিতে ঋণের তৃতীয় কিস্তি পেতে নির্ধারিত পরিমাণগত ও কাঠামোগত ১০টি শর্তের মধ্যে রিজার্ভ ছাড়া ৯টি লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে।

আইএমএফের তৃতীয় কিস্তি ছাড়ের জন্য গত ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে নিট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৬ দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়। পরে বাংলাদেশের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে কমিয়ে ১৭ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলারে নামিয়ে আনা হয়।

তার পরও বাংলাদেশ লক্ষ্যমাত্রা থেকে ৫৮ মিলিয়ন ডলার পিছিয়ে ছিল। এ শর্ত পূরণ না হওয়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে অব্যাহতি চাইতে হলেও তৃতীয় কিস্তি ছাড়ের জন্য তা বাধা হচ্ছে না।

দ্বিতীয় কিস্তি ছাড়ের জন্য গত জুন পর্যন্ত রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৩ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন ডলার। তখনও লক্ষ্যমাত্রা পূরণ সম্ভব হয়নি। জুন শেষে দেশে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ১৯ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন। এ ছাড়া তখন রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রাও পূরণ হয়নি। এর পর দ্বিতীয় কিস্তির আগে আসা মিশনকে এসব লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ার পেছনে যৌক্তিকতা বোঝাতে সমর্থ হওয়ায় দ্বিতীয় কিস্তি পায় বাংলাদেশ।

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমতে থাকার মধ্যে গত বছরের জানুয়ারিতে আইএমএফের সঙ্গে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি করে বাংলাদেশ। ২০২৬ সাল পর্যন্ত মোট সাতটি কিস্তিতে ঋণের পুরো অর্থ ছাড় করার কথা রয়েছে। ইতোমধ্যে দুই কিস্তিতে ১১৫ কোটি ৮২ লাখ ডলার ছাড় করেছে। সবকিছু ঠিক থাকলে তৃতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ২০ লাখ ডলার ছাড় হবে চলতি মাসের শেষ নাগাদ।


আরও খবর



নওগাঁয় উন্নয়নের নামে বন উজাড়!

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ |

Image

নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলারআলতাদীঘি পুনঃখননের মাধ্যমে আলতাদীঘি জাতীয় উদ্যানের জীববৈচিত্র্য পুনরুদ্ধার সংরক্ষণপ্রকল্পের জন্য দীঘিটির চারদিকে কয়েক হাজার গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়ে প্রতিবাদ করছেন অনেকেই

প্রতিবাদকারীরা জানান, সম্প্রতি উদ্যানের দীঘি খনন, ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ গাছ রোপণসহ বেশ কিছু পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ১৬ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। যা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে কাটা পড়ে নানা প্রজাতির হাজারো গাছ

 এলাকাবাসির দাবি দীঘিটি অবশ্যই সংস্কার জরুরি, কিন্তু তাই বলে এভাবে নির্বিচারে চারদিকে সারিবদ্ধ সব গাছগুলো কাটতে হবে কেন? গাছগুলো রেখে কি সংস্কার করা যেত না? দীঘির চারদিক দেখে এটাকে আর দীঘি বলা যায় না, যেন এক মরুভূমি।

উদ্যানের উন্নয়ন কাজে গঠিত কমিটির সদস্যরা  বলছে, আলোচনা সভায় গাছ কাটার সিদ্ধান্ত হয়নি। হঠাৎ করে আলতাদীঘিতে এসে তিনি দেখেন গাছগুলো কেটে ফেলা হয়েছে

তবে বনবিট কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বলছেন, মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। নতুন বনায়ন হবে। একটা গাছ সারা জীবন থাকবে না। এটি সামাজিক বনায়নের আওতায় স্বল্পমেয়াদি সৃজিত উডলট বাগান

বন বিভাগ বলছে, সামাজিক বনায়নের আওতায় ইউক্যালিপটাস আকাশমনি প্রজাতির চারা দ্বারা বনায়নকৃত গাছগুলো অপসারণ করে স্থানটি দেশীয় প্রজাতির চারা দ্বারা প্রতিস্থাপন করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। আলতাদীঘির খননকৃত মাটি দিয়ে নিচু স্থান সংস্কার করার জন্য দীঘির চারপাশে বিদ্যমান ৫৪৬টি ইউক্যালিপটাস ৪৫৬টি আকাশমনি গাছ যথাযথ প্রক্রিয়া অবলম্বন করে ১৫টি লটে ৩৫ লাখ ৯৫ হাজার ২৫৬ টাকায় টেন্ডারের মাধ্যমে বিক্রয় করা হয়

আলতাদীঘি জাতীয় উদ্যান অঞ্চলে ফুসফুসের মতো কাজ করে। আমরা বিষয়ে অনেক মিটিং মিছিল মানববন্ধন করেছি, কিন্তু তাতে কোনো কাজ হয়নি। পুরানো হাজার হাজার গাছগুলো যারা নির্বিচারে কাটছেন তারা অবশ্যই অপরাধ করছেন। এসব উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

রাজশাহী বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বলেন, আলতাদীঘি জাতীয় উদ্যানের মধ্যে অবস্থিত দীঘিটি দীর্ঘদিন ধরে খনন সংস্কার না করার কারণে এর গভীরতা কমে গিয়ে প্রায় এক ফুটের উচ্চতার নিচে পানি ছিল। তদুপরি চারপাশ ভেঙে যাওয়ায় দীঘিটি পুনঃখনন জরুরি হয়ে পড়েছিল

আলতাদীঘি জাতীয় উদ্যানের চারপাশে বিদ্যমান গাছগুলো স্থান উপযোগী না হওয়ায় গাছগুলো কর্তন করে দেশীয় প্রজাতির চারা দ্বারা চলতি অর্থবছরের বর্ষাকালে বনায়ন করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। আলতাদীঘি দশমিক ৫০ মিটার খনন করা হয় এবং বর্তমান দাবদাহ তীব্র খড়ার কারণে দীঘিটি শুকিয়ে যায়

আলতাদীঘির ইতিহাস

নামকরণেও রয়েছে ঐতিহাসিক মজার ঘটনা। অনেক অনেক দিন আগের কথা। এলাকা ছিল বটু রাজার। জগদ্দলে ছিল সেই রাজার বাড়ি। তার ছিল এক দয়াবতী রানি। রানি একদিন আবদার করলেন, তাকে বড় এক দীঘি খুঁড়ে দিতে হবে। রাজা বললেন, ঠিক আছে। তুমি হাঁটতে শুরু কর। যতক্ষণ পর্যন্ত তোমার পা ফেটে রক্ত বের না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত হাঁটতে হবে। এখান থেকে হাঁটা শুরু করে যেখানে গিয়ে পা থেকে রক্ত বের হবে সেই পর্যন্ত দীঘি কাটা হবে। রানি হাঁটতে থাকলেন। হাঁটা আর শেষ হয় না। রাজা পড়ে গেলেন চিন্তায়

শেষ পর্যন্ত না পাশের দেশে গিয়ে দীঘি কাটতে হয়! তাই কৌশলে তার সৈন্য দিয়ে রানির পায়ে আলতা লাগিয়ে বললেন, রানীর পা ফেটে রক্ত বেরিয়েছে। দীঘি সে পর্যন্তই খোঁড়া হল। আর সে থেকেই এর নাম হয়েছে আলতাদীঘি। প্রায় হাজার বছরের স্মৃতি নিয়ে আজও সৌন্দর্য বিলিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী দীঘিটি

উত্তর-দক্ষিণে লম্বা আলতাদীঘির দৈর্ঘ্য প্রায় এক কিলোমিটার, চওড়া প্রায় ৪০০ মিটারের মতো। দীঘির পাড়ে দাঁড়ালে মনে হবে অনেকটাই সুন্দরবনের মতো। শীতের সময় অনেক অতিথি পাখির আগমন ঘটে এখানে


আরও খবর



অসহনীয় দুর্ভোগে ৩৩ রুটের যাত্রীরা

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 |

Image

নানা অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনায় পরিবহণ খাতে নৈরাজ্য ক্রমেই বাড়ছে। ফলে ডেমরা-যাত্রাবাড়ী ও ডেমরা-রামপুরা সড়কে চলাচলকারী যাত্রীদের দুর্ভোগেরও সীমা নেই। এসব রুটে চলাচলকারী বাসসহ অন্যান্য যানবাহনে বাড়ছে অপ্রাপ্তবয়স্ক, অদক্ষ ও মাদকাসক্ত চালকের সংখ্যা। যাদের অধিকাংশেরই ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই। আর ওই দুটি সড়কের মুখেই যাত্রীবাহী বাস, লেগুনা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা পার্কিং করে রাখা হয়। যে কারণে যানজট ও মানুষের স্বাভাবিক চলাচলে ভোগান্তি নিত্যদিনের ঘটনা। ফলে এ দুটি সড়কে চলাচলকারী অন্তত ৩৩টি রুটের গণপরিবহণের যাত্রীদুর্ভোগ ব্যাপক বেড়েছে।

অভিযোগ আছে, ট্রাফিক পুলিশ যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ব্যস্ত না থেকে ব্যস্ত থাকেন চাঁদাবাজিতে যা এখন ওপেন সিক্রেট। ফলে সকাল ও সন্ধ্যার পর থেকেই ওই দুটি সড়কে যানজটসহ নানা প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়। অন্যদিকে সড়কের দীর্ঘ জায়গাজুড়ে পণ্য ও যাত্রীবাহী পরিবহণ আটক করে চেকিংয়ের নামে হয়রানি চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। পরিবহণ সেক্টরে ট্রাফিক ও থানা পুলিশসহ স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের দৈনিক, সাপ্তাহিক ও মাসোহারাভিত্তিক চাঁদাবাজির কারণে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে এখানকার চালকরা।

তবে এ বিষয়ে ট্রাফিক ও থানা পুলিশ বলছে ভিন্নকথা। তারা বলছেন, সড়কে পরিবহণ সেক্টরে নৈরাজ্য থামাতে শুধু পুলিশের একক পদক্ষেপ সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে পরিবহণ মালিক-নেতা ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সমিতিসহ নানা কমিটি, জনপ্রতিনিধি, আওয়ামী লীগ নেতা ও স্থানীয় প্রভাবশালী মহলকে একত্র হয়ে সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

দেখা গেছে, ডেমরার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট স্টাফ কোয়ার্টার এলাকায় রাজধানীর প্রবেশদ্বার ডেমরা-রামপুরা ও ডেমরা-যাত্রাবাড়ী সড়কের মুখে যাত্রীবাহী বাস, লেগুনা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা পার্কিং করে রাখা হচ্ছে। রয়েছে নিষিদ্ধ অটোরিকশা, ইজিবাইকও। ডেমরা চৌরাস্তা ট্রাফিক পুলিশ বক্সের সামনে প্রতিদিন সকাল থেকে শুরু হয় যাত্রী ও পণ্যবাহী যানবাহনসহ সিএনজি-ইজিবাইক থামিয়ে চেকিংয়ের নামে হয়রানি। দীর্ঘ সময় আটকে রেখে টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়া হয় ওইসব যানবাহন। দূরপাল্লার পণ্যবাহী যানবাহনকে ফিরে যাওয়ার সময় ট্রাফিক পুলিশকে জরিমানার নামে দিতে হয় টাকা। পাশাপাশি অনেক যানবাহনের সঙ্গে করা হচ্ছে মাসিক চুক্তি। এসব যানবাহনের অধিকাংশই ফিটনেসবিহীন।

পরিবহণ সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ডেমরা থেকে রামপুরা সড়ক দিয়ে শহরের কয়েকটি রুটে আসমানী, রাজধানী, অছিম, স্বাধীন, আলিফ ও রমজান নামের চার শতাধিক যাত্রীবাহী বাস চলাচল করছে। ডেমরা-যাত্রাবাড়ী সড়কে চলাচল করে আসিয়ান, রানীমহল পরিবহণ, গ্রীনবাংলা, গ্লোরি ও গাউসিয়া এক্সপ্রেস নামে দেড় শতাধিক বাসসহ দেড় শতাধিক ফিটনেসবিহীন লেগুনা। একই সঙ্গে সড়ক দুটিতে বিভিন্ন দূরপাল্লার কাভার্ডভ্যান ও যাত্রীবাহী শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাস চলাচল করে, যেগুলোর অধিকাংশই ট্রাফিক পুলিশকে চাঁদা দিয়ে চলতে হয়।

বির্ভিন্ন পরিবহণের কয়েকজন চালক বলেন, আমাদের বয়স কম বলে ড্রাইভিং লাইসেন্স করা যায় না। তবে পুলিশ ধরলে টাকা দিয়ে ছুটে যাই। আর মালিক ও নেতারা মাসে মাসে আমাদের কাছ থেকে আলাদা টাকা নেয় সড়কে চলাচলের জন্য। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৬৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সালাহ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, স্টাফ কোয়ার্টারে পরিবহণ সেক্টরে নৈরাজ্য কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না। মাদকাসক্ত চালকের হাতে মালিকরা তাদের মূল্যবান গাড়ি তুলে দিচ্ছেন। এ সমস্যা সমাধানে প্রশাসন, ট্রাফিক পুলিশ ও সমাজের প্রভাবশালী মহলসহ আমরা সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করব।

ট্রাফিক জোনের টিআই মৃদুল কুমার পাল বলেন, অপ্রাপ্তবয়স্ক চালক ও ফিটনেসবিহীন অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে ট্রাফিকের একক পদক্ষেপে স্বাভাবিকতা আনা সম্ভব নয়। সমন্বিত পদক্ষেপেই নৈরাজ্য দূর হবে। পরিবহণ খাত থেকে মাসোহারা গ্রহণের বিষয়টি অস্বীকার করে ডেমরা থানার ওসি মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, সড়কে সবকিছুর দায়িত্ব ট্রাফিকের। তবে অপ্রাপ্তবয়স্ক চালকের বিষয়ে অভ্যন্তরীণ সড়কে আমাদের নির্দেশনা রয়েছে ১৮ বছরের নিচে কাউকেই কোনো প্রকার যানবাহন চালাতে দেওয়া হবে না। সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে আমরা প্রস্তুত।


আরও খবর



আগামী সপ্তাহে আবারও তাপপ্রবাহের শঙ্কা

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 |

Image

গত দুদিন ধরে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হচ্ছে। চলতি সপ্তাহে দেশের অনেক জেলাতেই তাপপ্রবাহ কিছুটা কমার পাশাপাশি বৃষ্টিপাত বাড়তে পারে।

শনিবার দেশের তিনটি বিভাগে (খুলনা, রাজশাহী ও রংপুর) মৃদু থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে। তবে আগামী সপ্তাহে দেশের বিভিন্ন স্থানে আবারও তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, পশ্চিমা লঘুচাপের প্রভাবে গতকাল সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা ও ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হয়েছে। দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক ছিল। তবে পাবনা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও বাগেরহাট জেলার ওপর দিয়ে গতকালও তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যায়।

চাঁদপুর ও মৌলভীবাজার জেলা এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, রংপুর ও বরিশাল বিভাগ এবং খুলনা বিভাগের বিভিন্ন অংশে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে দিনের এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

আজ রবিবার ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা ও ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্ত শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ জানিয়েছেন, আজ থেকে দেশের কিছু স্থানে যে প্রবল বৃষ্টিপাত শুরু হতে পারে, তা শেষ হওয়ার পরই বাংলাদেশ ও প্রতিবেশী ভারতের ওপর দিয়ে আবারও তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার জোরালো আশঙ্কা রয়েছে।

আজ সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। রাতের তাপমাত্রা কমতে পারে ১ থেকে ২ ডিগ্রি। সোমবার ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা ও ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি হ্রাস পেতে পারে।


আরও খবর



পঞ্চম মেয়াদে প্রেসিডেন্ট পুতিন

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ |

Image

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে আবারও শপথ নিয়েছেন ভ্লাদিমির পুতিন। মঙ্গলবার দুপুরে মস্কোর গ্র্যান্ড ক্রেমলিন প্যালেসের সুসজ্জিত সেইন্ট অ্যান্ড্রু হলে শপথ নেন তিনি।

এর মধ্যে দিয়ে টানা পঞ্চমবারের মতো রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হলেন ৭১ বছর বয়সী ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি গত মার্চে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৮৭ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছিলেন।

শপথ গ্রহণের পর প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, আমরা ঐক্যবদ্ধ। আমরা সম্মিলিতভাবে সকল বাধা অতিক্রম করব, আমাদের সকল পরিকল্পনা সফল করব এবং জয়ী হবো।

সোভিয়েত ইউনিয়নের গোয়েন্দা সংস্থা কেজিবির সাবেক এজেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন ১৯৯৬ সালে। পরে তৎকালীন রুশ প্রেসিডেন্ট বরিস ইয়েলেৎসিনের বদন্যতায় ১৯৯৯ সালে প্রথমাবরের মতো রাশিয়ার অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট হন তিনি। ওই বছর পুতিনের হাতে ক্ষমতা অর্পণ করে রাজনীতি থেকে অবসরে গিয়েছিলেন ইয়েলেৎসিন।

পরে ২০০০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৫৩ শতাংশ ভোট পেয়ে প্রথমবারের মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জেতেন পুতিন। ২০০৪ সালের নির্বাচনে ৭১ দশমিক ৩ শতাংশ ভোট পেয়ে ফের প্রেসিডেন্ট হন।


আরও খবর