Logo
শিরোনাম

শাটডাউনের শঙ্কায় যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

নতুন অর্থবছরের জন্য অর্থ বরাদ্দের অনুমোদন নিয়ে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। যুক্তরাষ্ট্রের আইন পরিষদের উচ্চকক্ষ সিনেট ও কংগ্রেসের নিম্নকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠ রিপাবলিকানদের বিরোধীতার মুখে ডেমোক্র্যাট সরকারের বাজেট পাস নিয়ে এ সংকট দেখা দিয়েছে। খবর বিবিসি।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, কেন্দ্রীয় সরকারকে অর্থায়নের একটি বিল পাস হওয়া নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জটিলতা তৈরি হয়েছে। এটি পাস না হলে আজ শনিবারের পর (স্থানীয় সময় ১ অক্টোবর মধ্যরাত) বন্ধ হয়ে যেতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম। যা দেশটিতে শাটডাউন হিসেবে পরিচিত।

সরকারি ব্যয় মেটানোর জন্য প্রতিবছর ১ অক্টোবর নতুন অর্থবছরের জন্য অর্থ বরাদ্দের অনুমোদন দিয়ে থাকে যুক্তরাষ্ট্রের আইন পরিষদের উচ্চকক্ষ সিনেট ও নিম্নকক্ষ কংগ্রেস। সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দল রিপাবলিকান পার্টির নিয়ন্ত্রণে থাকা কংগ্রেস অর্থ বরাদ্দের বিষয়টি আটকে রেখেছে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ডেমোক্র্যাটিক পার্টির কাছে তারা দাবি করেছে, সরকারি ব্যয় অনেকাংশে হ্রাস করতে হবে। তবেই তারা নতুন অর্থবছরের অর্থ বরাদ্দের অনুমোদন দেবে।

আইন পরিষদের উচ্চকক্ষ সিনেটে মাত্র ১ আসনের ব্যবধানে এগিয়ে আছে ডেমোক্র্যাটিক পার্টি। অপরদিকে কংগ্রেসের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে রিপাবলিকানদের দখলে। ফলে সরকারকে সচল রাখতে হলে দুই দলকে ঐকমত্যে পৌঁছাতে হবে।

যদি আজ শনিবারের (৩০ সেপ্টেম্বর) মধ্যে অর্থ বরাদ্দের বিষয়টি নিয়ে দুই দল একমত না হতে পারে তাহলে শাট ডাউন নেমে আসবে এবং অচল হয়ে পড়বে সরকার। বেশিরভাগ সরকারি চাকরিজীবীকে তখন বেতন ছাড়া বাধ্যতামূলককে ছাঁটাই করা হতে পারে। এমনকি শিশুদের পুষ্টি পোগ্রামের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোও বন্ধ হয়ে যাবে।

রিপাবলিকানদের একটি বিদ্রোহী অংশ দাবি জানিয়েছে, সরকারি ব্যয় অনেক কমাতে হবে। এমনকি রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়িত ইউক্রেনকেও সহায়তা কমিয়ে দেওয়ার দাবি করেছেন তারা।

এই বিদ্রোহীরা স্পিকার ক্যাভিন ম্যাকার্থিকে এক্ষেত্রে কোনো ধরনের আলোচনা করতে দিচ্ছেন না। ম্যাকার্থি যদিও চাইলে ডেমোক্র্যাটদের নিয়ে এই বরাদ্দের অনুমোদন দিতে পারেন। কিন্তু এতে নিজ দলের আইন প্রণেতাদের দ্বারা স্পিকার পদ হারানোর শঙ্কায় পড়ে যাবেন তিনি।

সরকারকে অচল হওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে একটি স্বল্পকালীন অর্থ বরাদ্দ বিলের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল সংসদের উচ্চকক্ষ থেকে। ওই বিলে ইউক্রেনের জন্য ৬ বিলিয়ন ডলার এবং প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জন্য ৬ বিলিয়ন ডলারের প্রস্তাব রাখা হয়েছে। রিপাবলিকান স্পিকার ক্যাভিন ম্যাকার্থি এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন।

একটি সূত্র জানিয়েছে, রিপাবলিকানদের হয়ত এখন সিনেটের প্রস্তাবই মেনে নিতে হবে নয়ত সরকার অচল হয়ে পড়ার দায় তাদের উপর আসতে পারে।

তবে রিপাবলিকানের বিদ্রোহী সদস্যরা জানিয়েছেন, তারা পূর্ণকালীন বিল ছাড়া অন্য কোনো কিছুতে রাজি হবেন না।

প্রতি অর্থবছর (১ অক্টোবর) শুরুর আগে কংগ্রেসকে অর্থ বরাদ্দের বিষয়টি অনুমোদন দিতে হয়। কিন্তু যদি কেন্দ্রীয় সরকারের বাজেটের মোটামুটি ৩০ শতাংশের অনুমোদন দিতে কংগ্রেস ব্যর্থ হয় তখনই সরকার অচল হয়ে পড়ে।

যদি এবার এমনটি হয় তাহলে সোমবার থেকে অতিপ্রয়োজনীয় ও জরুরি পরিষেবা ছাড়া সব খাতের সরকারি চাকরিজীবীদের বসে পড়তে হবে।

এমনকি যতক্ষণ পর্যন্ত এ সমস্যার সমাধান না হবে ততক্ষণ সশস্ত্র বাহিনীর ১৪ লাখ সদস্য এবং এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারদের বেতন ছাড়া কাজ করে যেতে হবে।

সূত্র : বিবিসি


আরও খবর



জমকালো কান চলচিত্র উৎসবে পর্দা উঠছে নবাগতা কিয়ারা আদভানির

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image



বিডি বিনোদন ডেস্ক:


গতকাল জমকালো আয়োজনে পর্দা উঠেছে চলচ্চিত্রের অন্যতম সম্মানজনক আসর কান চলচ্চিত্র উৎসবের। 


প্রতিবছরই এই চলচ্চিত্র উৎসবে বাহারি পোশাকে রেড কার্পেট মাতান ভারতীয় তারকারা। সেই তালিকায় অনেক আগেই নাম লিখিয়েছেন দীপিকা পাডুকোন, ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন, আনুশকা শর্মা, সোনম কাপুর, সারা আলী, অদিতি রাওসহ অনেক জনপ্রিয় অভিনেতা-অভিনেত্রী। 


এবার সেখানে যুক্ত হতে যাচ্ছে অভিনেত্রী কিয়ারা আদভানির নাম। এবার কান চলচ্চিত্র উৎসবে ভারতকে প্রতিনিধিত্ব করতে দেখা যাবে তাকে। 


জানা গেছে, চলতি আয়োজনে ‘রেড সি ফিল্ম ফাউন্ডেশন’-এর ‘উইমেন ইন সিনেমা গালা ডিনার’-এ অংশ নেবেন কিয়ারা। এটি ‘ভ্যানিটি ফেয়ার’ দ্বারা আয়োজিত হবে। 


অনুষ্ঠানে সারাবিশ্ব থেকে ৬ জন প্রতিভাবান নারীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। যারা বিনোদন মহলে অসামান্য অবদানের জন্য স্বীকৃত।



তাছাড়া, ‘কান চলচ্চিত্র উৎসব’-এ বিশ্বে ছবি প্রযোজনা এবং চিত্রগ্রহণ সম্পর্কে ১৮ মে চারটি প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে কিয়ারা রেড সি ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল প্যানেলে অংশগ্রহণ করবেন। 


তার প্রস্তুতিও এরইমধ্যে শুরু করে দিয়েছেন তিনি। নিজের সেই আনন্দঘন মুহূর্তের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশও করেছেন কিয়ারা। যা ভক্তদের মাঝে বেশ উচ্ছ্বাস তৈরি করেছে। 


অনেকেই তার কান অভিষেক নিয়ে কমেন্ট বক্সে শুভ কামনা জানাচ্ছেন। উল্লেখ্য, গতকাল শুরু হয়েছে ৭৭তম কান চলচ্চিত্র উৎসব। চলবে ২৫ মে পর্যন্ত।


আরও খবর

বিয়ে নিয়ে মুখ খুললেন জায়েদ খান

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




মাভাবিপ্রবিতে শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল দক্ষতা প্রকল্পের উদ্বোধন

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

মো: হ্নদয় হোসাইন,মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে  "ডিজিটাল স্কিল ফর স্টুডেন্টস  ইউনিভার্সিটি অ্যাক্টিভিশন প্রোগ্রাম" বিশ্বিবদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের হল রুমে ১৫ মে, ২০২৪  সালে অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আইসিটি বিভাগের অধীনে   কম্পিউটার কাউন্সিলের ইনহ্যান্সিং ডিজিটাল গভর্মেন্ট ইকোনমি ( ইডিজিই) প্রকল্পের   আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ ফরহাদ হোসেন।

 বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন  প্রকল্প পরিচালক মোঃ সাখাওয়াত হোসেন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ আর এম সোলাইমান ।  স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের  কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ও প্রকল্প সমন্বয়কারী ড.  মোঃ সাজ্জাদ হোসেন। সভাপতিত্ব করেন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মেহেদী হাসান তালুকদার।  এ ছাড়াও সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান ও প্রশিক্ষনার্থীদের পক্ষে থেকেও বক্তব্য রাখেন। 

উল্লেখ্য, সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে দেশের  বর্তমান শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল  দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য  অন্যান্য  বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান  ও  প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সিএসই বিভাগের তত্বাবধানে  গত ৯ মার্চ থেকে শুরু হয়েছে এ প্রকল্পের ট্রেনিং প্রোগ্রামের  ক্লাশ । 

১৮ মাস মেয়াদি  এ প্রকল্পের আওতায়  ২৪ টি ব্যাচে ২৫ জন করে ৬শ শিক্ষার্থীকে ৫টি ল্যাবে হাতে কলমে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। 

প্রশিক্ষণ কোর্সে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের এবং টাঙ্গাইলের বিভিন্ন কলেজের অনার্স এর ৩য় বর্ষ থেকে মাস্টার্স পর্যন্ত আগ্রহী  শিক্ষার্থীরা প্রশিক্ষণে অংশগ্রহন করেন।

শনি থেকে বুধবার অফিস সময়ের পরে বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা এবং বৃহস্পতি ও শুক্রবার দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণ কোর্সের ক্লাশ চলে। প্রতিটি ব্যাচের জন্য ২০ টি করে ক্লাশ নেয়া হয়। ৯ মার্চ থেকে কার্যক্রম শুরু হলেও আজকে এ প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন  করা হয়।  

প্রধান অতিথি বলেন, এ প্রকল্পের অধীনে যে সকল শিক্ষার্থীরা প্রশিক্ষণ নিচ্ছে তারা স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে ভূমিকা রাখবে।  এভাবে যদি আমাদের শিক্ষার্থীরা নিজেকে দক্ষ করে গড়ে তোলে তাহলে ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নেও তরান্বিত করবে।


আরও খবর

একাদশের ক্লাস শুরু ৩০ জুলাই

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




প্রতিটি মানুষকে আর্থিকভাবে স্বচ্ছল করতে কাজ করছি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকার সকল দেশবাসীকে অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছল করতে বহুমাত্রিক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।

তিনি বলেন, আমরা বহুমাত্রিক কর্মসূচি হাতে নিয়ে প্রত্যেক মানুষকে আর্থিকভাবে স্বচ্ছল করার জন্য কাজ করে যাচ্ছি।

টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দরিয়ারকুল গ্রাম উন্নয়ন সমিতির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

তিনি সংক্ষিপ্তভাবে বহুমাত্রিক কর্মসূচির বর্ণনা দেন, যার মধ্যে রয়েছে আমার বাড়ি, আমার খামার, জনগণকে আর্থিক অনুদান প্রদান, সার্বজনীন পেনশন প্রকল্প এবং গ্যারান্টি ছাড়া ঋণ প্রদান, সমাজ থেকে দারিদ্র্য বিমোচন করার জন্য যুবকদের যথাযথ প্রশিক্ষণ প্রদান ইত্যাদি।

সরকার প্রধান বলেন, আমরা দারিদ্র্য বিমোচনের মাধ্যমে মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে অনেক উদ্যোগ নিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকারের নেয়া কর্মসূচিগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হলে দেশে কেউ গরীব থাকবে না।

 

তিনি ক্ষুদ্র সঞ্চয় নিশ্চিত করতে এবং এইভাবে বাংলাদেশের উন্নয়নে সহায়তা করার জন্য সমগ্র বাংলাদেশে সমবায় সমিতি গঠনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।

প্রতিটি এলাকায় সমবায় সমিতি গঠন করে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি, ক্ষুদ্র সঞ্চয়ের মাধ্যমে দারিদ্র্য দূরীকরণে আওয়ামী লীগ নেতাদের আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, সবাই যাতে নিজের পাঁয়ে দাঁড়াতে পারে, সে জন্য আমরা কাজ করছি।

পরে প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় চত্বরে দরিদ্রদের মাঝে রিপার মেশিন, সার, ল্যাপটপ, ১০টি সাইকেল, ১০টি রিকশা ভ্যান, ৩০টি সেলাই মেশিন এবং ৩৮ জনকে ৪০ হাজার টাকার আর্থিক অনুদান, ১০ জোড়া কবুতর এবং ৩৮ জন শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতির পিতার কনিষ্ঠ কন্যা ও প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম।

অনুষ্ঠানে সুবিধাভোগীরা তাদের সরঞ্জাম এবং আর্থিক অনুদান পাওয়ার নিজস্ব অনুভূতি ব্যক্ত করেন।


আরও খবর



রাজধানীতে পোশাক শ্রমিকদের অবরোধ, তীব্র যানজট

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image



 ডিজিটাল ডেস্ক:


বকেয়া বেতন-ভাতার দাবিতে রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় সড়ক অবরোধ করেছেন গার্মেন্টস শ্রমিকরা। ফলে ব্যস্ততম এ এলাকার সবগুলো সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। 


বুধবার (১৫ মে) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে কুড়িল ফ্লাইওভারের নিচের সড়কের উভয়পাশে অবস্থান নেয় জোয়ার সাহারার জমজম রোডের ইউরো জোন ফ্যাশনস লিমিটেডের শ্রমিকরা।



প্রগতি সরণির গুরুত্বপূর্ণ এ পয়েন্ট অবরোধের ফলে রামপুরা-বাড্ডা-কুড়িল সড়ক যানজটে স্থবির হয়ে গেছে। অন্যদিকে এ যানজট এয়ারপোর্ট রোডেও বিস্তৃত হয়েছে।


বিক্ষুব্ধ গার্মেন্টস শ্রমিকদের দাবি, বেতন-ভাতা বন্ধ। দেওয়া হয়নি বকেয়া বেতনও। কোনো সুরাহা না হওয়ায় বিক্ষুব্ধ হয়ে রাস্তায় নেমেছেন তারা।  


গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) হাসানুজ্জামান মোল্যা জানান, বেতন ভাতা ও বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে ইউরো জোন ফ্যাশনস লিমিটেড নামক একটি গার্মেন্টসের শ্রমিকরা কুড়িল ফ্লাইওভারের নিচের রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন। 


কোনও ধরনের বিশৃঙ্খলা যেন না সৃষ্টি হয়, এর জন্য সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে৷  


ট্রাফিক গুলশান বিভাগের সহকারী কমিশনার (বাড্ডা জোন) শুভ কুমার ঘোষ বলেন, গার্মেন্টস শ্রমিকদের রাস্তা অবরোধের কারণে পরিস্থিতি নাজুক। কুড়িল সড়কের সামনে-পেছনে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাস্থলে ক্রাইম ডিভিশন, থানা পুলিশ ও ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তারা কাজ করছেন।


ট্রাফিক গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) আব্দুল মোমেন জানান, কুড়িল চৌরাস্তায় গার্মেন্টস শ্রমিকদের অবরোধের কারণে এই মুহূর্তে কুড়িল থেকে ঢাকা ইনকামিং-আউটগোয়িং দুদিকেই যানচলাচল বন্ধ রয়েছে।


 ফলে খিলক্ষেত থেকে প্রগতি সরণিগামী রাস্তায় যানজট দেখা দিয়েছে। 


আরও খবর



খাদ্যে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে, চাপে আছে গ্রামের মানুষ

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) জানিয়েছে, দেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতি আবার বেড়েছে একমাসের ব্যবধানে। সবশেষ গত এপ্রিল মাসে খাদ্যখাতে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১০ দশমিক ২২ শতাংশে উঠেছে। এর আগের মাস মার্চে এ হার ছিল ৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ।

এরও আগে গত বছরের নভেম্বর মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ৭৬ শতাংশ। অর্থাৎ, চার মাস পর খাদ্য মূল্যস্ফীতি আবার ১০ শতাংশ ছাড়ালো। তবে মূল্যস্ফীতির হার শহরের চেয়ে গ্রামে বেশি। সাধারণ, খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত খাতে শহরের চেয়ে গ্রামের মানুষ বেশি চাপে আছে। একই সঙ্গে যেভাবে মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে সেভাবে মানুষের আয় বাড়েনি।

সোমবার (১৩ মে) প্রতিষ্ঠানটি মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ এ তথ্য প্রকাশ করেছে।

সেখানে দেখা গেছে, এপ্রিল মাসে খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে; গত মাসে এ খাতে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ। এর আগে মার্চ মাসে যা ছিল ৯ দশমিক ৬৪ শতাংশ।

এদিকে, গত এপ্রিল মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ হয়েছে; আগের মাস মার্চে এ হার ছিল ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ।

বিবিএস প্রকাশিত তথ্যে দেখা গেছে, শহরের চেয়ে গ্রামে মূল্যস্ফীতির হার বেশি। এপ্রিলে শহরে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার ৯ দশমিক ৪৬ শতাংশ, অথচ গ্রামে এ হার ছিল ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ। গ্রামে খাদ্যখাতে মূল্যস্ফীতির হার ১০ দশমিক ২৫ শতাংশ এবং খাদ্যবহির্ভূত খাতে ৯ দশমিক ৬০ শতাংশ।

অন্যদিকে, শহরে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার ৯ দশমিক ৪৬ শতাংশ। শহরে খাদ্যখাতে ১০ দশমিক ১৯ শতাংশ এবং খাদ্যবহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতির হার হয়েছে ৯ দশমিক ০১ শতাংশ। শহরের তুলনায় গ্রামে সব খাতেই মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে।

বিবিএস বলছে, যেখানে এপ্রিল মাসে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ, সেখানে মজুরি সূচক বেড়ে মাত্র ৭ দশমিক ৮৫ শতাংশ হয়েছে। তার মানে সংসারের খরচ মেটাতে ধারদেনা করতে হচ্ছে। কৃষিতে ৮ দশমিক ২৫, শিল্প খাতে ৭ দশমিক ৩৬ ও সেবা খাতে মজুরি সূচক ৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ। কোনো খাতেই ৯ শতাংশের ওপরে মজুরি নেই, অথচ সাধারণ মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের কাছাকাছি।

 


আরও খবর