Logo
শিরোনাম

সাভারে নদী খাল বিল দখলের মহোৎসব চলছে

প্রকাশিত:শনিবার ২২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ |

Image

বিডি টুডে রিপোর্ট:

রাজধানীর পাশের জনপদ সাভার উপ শহরের ওপর দিয়ে বংশী, তুরাগ ও ধলেশ্বরী নদীসহ বিভিন্ন খাল বহমান। কিন্তু এ নদী ও খাল এখন কেবলই স্মৃতি।

 ভূমিখেকোদের গ্রাসে নদী এখন পরিণত হয়েছে ছোট খালে। কেননা নদীর দুই পাশের শত শত বিঘা জমি দখল করে নিয়েছে এলাকার প্রভাবশালীরা। সম্প্রতি সাভারে অবস্থিত তিনটি খাল (তেঁতুলঝোড়া, যোগী-জাঙ্গাল ও নয়নজুলী) এবং দুইটি বিলের (তাঁতি বিল, শুকনা বিল ও রইপতা বা নোয়াদ্দা বিল) মূল প্রবাহ অনুযায়ী সীমানা নির্ধারণ করতে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ও ঢাকা জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। 

একই সঙ্গে এসব খাল ও বিল পুনরুদ্ধারের জন্য দখল ও দূষণকারীর তালিকা প্রস্তুত করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) করা এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। এছাড়া খাল ও বিল দখল এবং দূষণকারীদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং এ সংক্রান্ত সময়ভিত্তিক কর্মপরিকল্পনা তৈরি করতে বিবাদীদের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আদালতের এই আদেশ বাস্তবায়ন করে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

অন্যদিকে ঢাকা জেলাধীন সাভার উপজেলার ইয়ারপুর ইউনিয়নের ইছরকান্দি, মনোসন্তোষ ও সাতাইশকান্দি মৌজায় প্রায় ৬০০ একর আয়তনের একটি বিল রয়েছে, যা স্থানীয়ভাবে ‘গজাইরার’ বিল নামে পরিচিত। বিলটির দৈর্ঘ্য প্রায় ১০ কিলোমিটার ও প্রস্থ ৪ কিলোমিটার। বিলটি রক্ষায় ‘উত্তরণ প্রোপার্টিজ লিমিটেড’ ও ‘অ্যাচিভ করপোরেশন’ নামক আবাসন কোম্পানির অননুমোদিত আবাসন প্রকল্পের জন্য মাটি ভরাট, প্লট বিক্রয়সহ সব কার্যক্রমের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে আদালত। 

একইসঙ্গে আদালতপ্রদত্ত উল্লিখিত নির্দেশ প্রতিপালন সংবলিত প্রতিবেদন আদালতে দাখিলের জন্য রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং ঢাকা জেলার জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দিয়েছেন।

বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) কর্তৃক দায়েরকৃত একটি জনস্বার্থমূলক মামলার প্রাথমিক শুনানি শেষে সম্প্রতি বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম এবং বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বিভাগের ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ প্রদান করেন।

সাভার উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত বংশী, ধলেশ্বরী ও তুরাগ নদীগুলোর সঙ্গে সংযুক্ত রয়েছে অসংখ্য খাল, বিল ও জলাশয়। যার মধ্যে জামুরমুচিপাড়া মৌজায় তেঁতুলঝোড়া খাল, কান্দিবলিয়ারপুর, চান্দুলিয়া মৌজায় বামনী খাল; পাথালিয়া মৌজায় যোগী-জাঙ্গাল (জুগী জঙ্গল), নয়নজুলী খাল, চারিগাঁও ও চাকরগাঁও মৌজায় তাঁতি বিল (শুকনা বিল) ও বড়ওয়ালিয়া ও মোহনপুর মৌজায় রইপতা (নোয়াদ্দা) উল্লেখযোগ্য। এ খাল ও বিলগুলোর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে ২০টি গ্রামের লক্ষাধিক গ্রামবাসীর জীবন ও জীবিকা। একসময় কৃষিনির্ভর সাভারবাসী সেচের জন্য অনেকাংশেই এসব খাল ও বিলের পানির ওপর নির্ভরশীল ছিল। অবৈধ খদলদারিত্ব ও দূষণে জনগুরুত্বপূর্ণ এসব খাল, বিল ও জলাশয়গুলো বর্তমানে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। এসব খাল ও বিলের অংশবিশেষ ভরাট করে নির্মাণ করা হয়েছে বাড়িঘরসহ নানা স্থাপনা। 

গৃহস্থালি বর্জ্য ফেলার পাশাপাশি শিল্প মালিকরা তাদের শিল্পকারখানার অপরিশোধিত বর্জ্য ফেলার স্থান হিসেবে ব্যবহার করছে উল্লিখিত খাল ও বিলসমূহকে।

সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের চোখের সামনেই এভাবে নদী খাল দখল হলেও তারা দেখেও না দেখার ভান করছেন। ফলে প্রভাবশালীদের নদী ও জলাশয় দখল চলছেই । হাউজিং ব্যবসার প্রতারণার শিকার হচ্ছে হাজার হাজার নিরীহ মানুষ। বংশী, তুরাগ ও ধলেশ্বরী শাখা নদী ও একাধিক খালের তীর দখলের প্রতিযোগিতা অব্যাহত রেখেছে ভূমিদস্যুরা। 

এলাকার বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তি ও হাউজিং কোম্পানিগুলো প্রশাসনকে ম্যানেজ করে এ দখল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তুরাগ, বংশী, ধলেশ্বরী নদী দখলমুক্ত করার জন্য বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠন বিভিন্ন সময়ে মিছিল, মানববন্ধন, সমাবেশ করলেও কোনোভাবেই ঠেকানো যাচ্ছে না এ দখল প্রক্রিয়া।

এক কালের সাভারের বন্দর নামে পরিচিত নদীর কুল ঘেঁষে অবস্থিত সাভারের নামা বাজার আস্তে আস্তে বড় হচ্ছে, আর ক্ষুদ্র হচ্ছে বংশী নদী। কেননা বাজারের প্রভাবশালী ব্যবসায়ীরা নদীর জমি দখল করে সেখানে নির্মাণ করছে দোকানপাট , মালামাল রাখার গুদামঘর , চিড়া ও তেলের মিল, ডাল মিলসহ অন্যান্য কলকারখানা।

 বাজারের এসব প্রভাবশালী নদীর জায়গা দখল করে দোকানপাট মিল কলকারখানা বসিয়ে লাভবান হচ্ছেন আর সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ব্যবসায়ীদের নামে অবৈধভাবে জমি লিজ দিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।

একটি সূত্র জানায়, সরকারি সম্পত্তি দখলে বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তি ভূমি অফিসের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ম্যানেজ করে ভূমি দখলের প্রতিযোগিতায় নেমে পড়েছে। অনেক সরকারি সম্পত্তির ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে ভূমি অফিসের সহায়তায় দখল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি নিজেদের দখলে নিয়েছেন।

 সাভার বাজারের পাশে বংশী নদীর পাড় ঘেঁষে সরকারি জমি (খাস জমি) নামে-বেনামে এবং লিজের মাধ্যমে বেদখল হয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই সিংহভাগ জমিই বেহাত হয়ে গেছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ বেহাত হয়ে যাওয়া সম্পত্তি উদ্ধারে অজ্ঞাত কারণে আগ্রহ দেখাচ্ছে না। বর্তমানে বংশী নদীর তীর ঘেঁষে এ দখল প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।

সাভার পরিবেশ উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি ড. রফিকুল ইসলাম মোল্লা বলেন, প্রভাবশালী কর্তৃক নদী দখল হয়ে যাচ্ছে। তিনি নদী সুরক্ষায় সিএস নকশা আনুযায়ী নদীর সীমানা নির্ধারনের দাবি জানান। সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) সাভারের সভাপতি অধ্যাপক দীপক কুমার রায় বলেন, ‘পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্যই নদনদী রক্ষা প্রয়োজন। ক্রমাগত নদী খাল ভরাট হলে পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়বে।’ 

এ ব্যাপারে সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাহুল চন্দ বলেন, ‘উচ্ছেদ অভিযান চলমান রয়েছে। পর্যায়ক্রমে অবৈধ দখলকারীদের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হবে। এছাড়া নদী, খাল, জলাশয় ভরাটের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’


আরও খবর



টস জিতে বোলিংয়ে পাকিস্তান

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ |

Image


বিডি ডিজিটাল ডেস্ক:


চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে হাইভোল্টেজ ম্যাচে মাঠে নামছে দুই চির চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত-পাকিস্তান।


 রোববার (৯ জুন) নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছেন পাক অধিনায়ক বাবর আজম।  


বাংলাদেশ সময় ৮.৩০ মিনিটে খেলা শুরুর হওয়ার কথা ছিল। তবে বৃষ্টির বাগড়ায় টস হতে দেরি হয়েছে। এই ম্যাচ বেশ গুরুত্বপূর্ণ পাকিস্তানের জন্য।


 অপেক্ষাকৃত দুর্বল যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হেরে এবারের বিশ্বকাপ শুরু করেছে পাকিস্তান। তাই সুপার এইটের খেলার আশা বাঁচিয়ে রাখতে এই ম্যাচে জিততে হবে পাকিস্তানকে।



অন্যদিকে পাকিস্তানের চেয়ে বেশ নির্ভার ভারত। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুর্দান্ত এক জয়ে দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করেছে রোহিত শর্মার দল। এই ম্যাচ জিতে সুপার এইটের পথে আরও খানিকটা এগিয়ে থাকতে চাইবে ভারত।


টি-টোয়েন্টির পরিসংখ্যানে ভারতের চেয়ে বেশ পিছিয়ে পাকিস্তান। এখন পর্যন্ত ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত এই সংস্করণে ১২ ম্যাচে মাঠে নেমেছে এই দুই দল। ভারতের ৯ জয়ের বিপরীতে মাত্র ৩ জয়ের দেখা পেয়েছে পাকিস্তান।  



ভারতের একাদশ:


রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), বিরাট কোহলি, ঋষভ পন্ত (উইকেটরক্ষক), সূর্যকুমার যাদব, শিবাম দুবে, হার্দিক পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাদেজা, অক্ষর প্যাটেল, জাসপ্রিত বুমরাহ, আর্শদ্বীপ সিং ও মোহাম্মদ সিরাজ।


পাকিস্তানের একাদশ:


মোহাম্মদ রিজওয়ান (উইকেটকিপার), বাবর আজম (অধিনায়ক), উসমান খান, ফখর জামান, শাদাব খান, ইফতেখার আহমেদ, ইমাদ ওয়াসিম, শাহিন আফ্রিদি, মোহাম্মদ আমির, হারিস রউফ ও নাসিম শাহ।


আরও খবর



টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ : শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে ৪ রানে হারলো বাংলাদেশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪ |

Image

বিডি টু ডে ক্রীড়া  রিপোর্ট:



আগে থেকে অনুমান ছিল ম্যাচ হবে লো স্কোরিং। সেই অনুমানটা ঠিক হলো। শ্বাসরুদ্ধকর সেই ম্যাচে হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে বাংলাদেশকে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে মাত্র ৪ রানে হেরেছে বাংলাদেশ।


সোমবার (১০ জুন) নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান নেয় প্রোটিয়ারা। ব্যাট করতে নেমে পেসার তানজিম হাসান সাকিবের বোলিং তোপে বিপর্যয়ে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে হেনরিখ ক্লাসেন ও ডেভিড মিলারের ব্যাটে কিছুটা বিপর্যয় সামাল দেয় প্রোটয়ারা।


এই দুই ব্যাটারের ব্যাটে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ১১৩ রান সংগ্রহ করে দক্ষিণ আফ্রিকা। ক্লাসেন ৪৪ বলে ৪৬ রান ও মিলার ৩৮ বলে ২৯ রান করেন। বাংলাদেশের পক্ষে তানজিম সাকিব ৩টি ও তাসকিন নেন ২টি উইকেট। 


১১৪ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই তানজিদ তামিমের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ৯ বলে ৯ রান করে সাজঘরে ফিরে যান এই টাইগার ওপেনার।


তানজিদ তামিমের বিদায়ের পর ক্রিজে আসা লিটন দাসকে সঙ্গে নিয়ে সাবধানে ব্যাট করতে থাকেন শান্ত। তবে দলীয় ২৯ রানে ১৩ বলে ৯ রান করে আউট হন লিটন। 


এরপর দ্রুতই জোড়া উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসান ৪ বলে ৩ ও শান্ত ২৩ বলে ১৪ রান করে সাজঘরে ফিরে যান।


তাদের বিদায়ের পর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে সঙ্গে নিয়ে হাল ধরেন তাওহিদ হৃদয়। দেখেশুনে খেলতে থাকেন এই দুই ব্যাটার। ৪৪ রানের জুটিতে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরান তারা। তবে দলীয় ৯৪ রানে ৩৪ বলে ৩৭ রান করে আউট হন হৃদয়।


হৃদয়ের বিদায়ের পর ক্রিজে আসা জাকের আলিকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাট করতে থাকেন মাহমুদউল্লাহ। তবে দলীয় ১০৭ রানে ৯ বলে ৮ রান করে আউট হন জাকের।


এরপর লড়াই চালিয়ে যান মাহমুদউল্লাহ। শেষ ২ বলে জয়ে প্রয়োজন হয় ৬ রান। লং অনে ব্যাট চালান মাহমুদউল্লাহ। তবে অল্পের জন্য বাউন্ডারি লাইনে মার্করামের হাতে পড়েন তিনি। সেইসঙ্গে বাংলাদেশ জয়ের স্বপ্নও শেষ হয়ে যায়।


শেষ পর্যন্ত ২০ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ১০৯ রান করতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে কেশভ মহারাজ নেন ৩টি উইকেট।     




আরও খবর



যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে হামাসের কিছু সংশোধনী কার্যকরী নয় : ব্লিঙ্কেন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪ |

Image



সদরুল আইন,আন্তর্জাতিক ডেস্ক:



যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, তার দেশের গাজা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে হামাসের প্রস্তাবিত কিছু কিছু সংশোধনী কার্যকরী নয়, তবে একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। খবর আলজাজিরার।


দোহায় কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুলরহমান বিন জসিম আল থানির সঙ্গে আলোচনা শেষে ব্লিঙ্কেন বলেন, হামাসের সাড়া দেওয়ার ওপর নির্ভর করছে গাজা যুদ্ধ আরও দীর্ঘায়িত হবে কিনা।


ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘আলোচনার টেবিলে ওঠা প্রস্তাবনার বিষয়ে বেশ কিছু পরিবর্তন আনার প্রস্তাব দিয়েছে হামাস। গত রাতে আমরা এই পরিবর্তনের বিষয়গুলো নিয়ে মিসরীয় সহকর্মীদের সঙ্গে এবং আজ কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছি। প্রস্তাবনার কিছু পরিবর্তন কার্যকরী, আবার কিছু কার্যকরী নয়।’


গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি কার্যকরের লক্ষ্যে গত মাসে ওয়াশিংটন এই পরিকল্পনা প্রণয়ন করে। গত মঙ্গলবার হামাস ও ইসলামি জিহাদ যৌথভাবে এতে সাড়া দেয়। এই পরিকল্পনা ‘ইতিবাচক’ ও ‘দায়িত্বপূর্ণ’ বলে উল্লেখ করে সংগঠন দুটি।


এক বিবৃতিতে হামাস জানায়, ফিলিস্তিনি জনগণের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে গাজায় চলতে থাকা আগ্রাসন পুরোপুরি বন্ধ করতে এবং সমগ্র গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলি সৈন্য প্রত্যাহারের কথা বিবেচনা করেই এই সাড়া প্রদান করা হয়েছে।


গত ৩১ মে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কয়েক ধাপের যে প্রস্তাবনার ঘোষণা দেন, তাতে গাজা থেকে ইসরায়েলি সৈন্য প্রত্যাহার ও স্থায়ীভাবে শত্রুতা বন্ধ করতে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয়। তবে হামাসের অবস্থান ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবে কী কী অসঙ্গতি রয়েছে, তা এখনও পরিষ্কার নয়। মঙ্গলবার অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে ব্যর্থতার জন্য ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসকে দায়ী করেন।


ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘গত ৬ মে হামাসের দেওয়া প্রস্তাব এবং বর্তমানে আলোচনার টেবিলে থাকা চুক্তির বিষয়গুলো কার্যত অভিন্ন। এই চুক্তির পেছনে পুরো বিশ্ব রয়েছে, এই চুক্তি ইসরায়েলও গ্রহণ করেছে। আর এক্ষেত্রে হামাস একটিমাত্র শব্দ উচ্চারণ করতে পারে সেটা হলো–হ্যাঁ। তবে তা না করে হামাস দুই সপ্তাহ অপেক্ষা করেছে এবং আরও পরিবর্তনের প্রস্তাব দিয়েছে। আর এগুলোর মধ্যে এর আগে মেনে নেওয়া অবস্থানের বাইরে চলে গেছে তারা।’



হামাসের একজন কর্মকর্তা তাহের আল নানু মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিতর্কিত ভূমিকা পালনের অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেছেন, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এই শীর্ষ মার্কিন কূটনীতিক এমন আচরণ করছেন যেন তিনি ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ব্লিঙ্কেনের নিরপেক্ষতার অভাব রয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তাহের আল নানু।


আরও খবর



দেবের সঙ্গে বিয়ে ও সন্তান প্রসঙ্গে মুখ খুললেন রুক্মিণী

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪ |

Image



বিডি টু ডে বিনোদন ডেস্ক:


টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা জিৎ-এর হাত ধরে ‘বুমেরাং’ হয়ে সামনে আসছেন অভিনেত্রী রুক্মিণী মৈত্র। সিনেমাটিতে রোবট হয়ে ধরা দেবেন ‘নিশা’ রুক্মিণী। 


সিনেমা মুক্তির আগে ‘বুমেরাং’-এর নিয়ে বিভিন্ন কথা বলছেন রুক্মিণী মৈত্র। একইসঙ্গে কথা বলেছেন নিজের বিয়ে নিয়েও। 



এদিকে কিছুদিন আগেই গুগল সার্চ করে দেব অনুরাগীরা চমকে যান। তাঁরা দেখেন, সেখানে লেখা দেব নাকি বিবাহিত! ২০২১-এর ৬ মে নাকি তিনি রুক্মিণীর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। এমনকি সেখানে লেখা ছিল, তাঁদের নাকি একটি সন্তানও রয়েছে। এবার বিয়ে নিয়ে নিজেই মুখ খুলেছেন রুক্মিণী।



বিয়ের খবরে অবাক রুক্মিণী সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিনকে বলেন, ‘ওহ গড! এটা যে কোথা থেকে আসছে! গুগলেও পৌঁছে গেল। শুধু তাই নয়। সেখানে একটা বাচ্চার কথাও রয়েছে। যার কথা বলা হয়েছে, সেই আমাইরা আমার ভাইঝি। যেহেতু আমাইরার সঙ্গে আমার এত ছবি রয়েছে। ওরা ওকে আমার বাচ্চা বানিয়ে দিয়েছে।’


তবে বাস্তবে অনুষ্ঠান করে রুক্মিণী বিয়েটা কবে করবেন? এ বিষয়েও মুখ খুলেছেন অভিনেত্রী। রুক্মিণীর কথায়, ‘মিডিয়া যেদিন অনুমান করা বন্ধ করবে, আমি সেদিন বিয়েটা করে নেব। আমার মাও কিন্তু বিয়ের কথা জিজ্ঞাসা করেন না। তাহলে আপনারা কেন জিজ্ঞাসা করছো! 


যেদিন মনে হবে, আমি বিয়ের জন্য তৈরি, সেদিন বিয়েটা করে নেব। আমি বিয়েতে বিশ্বাসী, আর বিয়ে লুকিয়ে রাখতেও চাই না। এখন এত ব্যস্ততা রয়েছে, তাই বিয়ের প্ল্যান করা সম্ভব নয়। 


তবে আমার মনে হয় প্রতিশ্রুতি জরুরি। আজকাল দেখি বহু বিয়েই টিকে আছে, তবে সেই সম্পর্কে কোনো প্রতিশ্রুতি নেই। তাই আমাদের প্রতিশ্রুতিটাই আগে থাকুক। বাকিটা ক্রমশ প্রকাশ্য।’


রুক্মিণীর কথায়, অভিনেত্রী হওয়াটাই তাঁর জীবনের সব থেকে বড় বুমেরাং। ভেবেছিলাম কোনো দিনই অভিনেত্রী হবো না, তবে সেটাই ঘটেছে।


এদিকে সম্প্রতি লোকসভা নির্বাচনে আরও একবার ঘাটাল থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন দেব। ভোটের আগে জোর কদমে প্রচার চালিয়েছেন অভিনেতা। তবে দেবের কোনো প্রচারেই রুক্মিণীকে দেখা যায়নি। এ প্রসঙ্গে রুক্মিণী বলেন, ‘এটা এক্কেবারেই ওর আলাদা কর্মক্ষেত্র। ওর একার জার্নি। ওই বিষয়টা ও একাই খুব পরিণত হাতে সামলাচ্ছে। 


প্রচারে ওর সঙ্গে না থাকলেও আমি ওর পাশে সবসময় আছি।’



আরও খবর



শেখ হাসিনার সঙ্গে গান্ধী পরিবারের সাক্ষাৎ

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ভারতের পার্লামেন্টের রাজ্যসভা সদস্য ও কংগ্রেস পার্লামেন্টারি পার্টির চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধী।

 ভারতে সফররত অবস্থায় সোমবার (১০ জুন) বিকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আইটিসি মৌর্য হোটেলে সাক্ষাৎ করেন তিনি।

এ সময় সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে ছিলেন তার ছেলে ও লোকসভার বিরোধীদলীয় নেতা রাহুল গান্ধী ও মেয়ে ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস পার্টির জেনারেল সেক্রেটারি প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদির শপথ অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য শনিবার (৮ জুন) দিল্লি পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গান্ধী পরিবার ছাড়াও নয়াদিল্লি সফরে শেখ হাসিনা শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি রনিল বিক্রমাসিংহে, ভারতের ইউনিয়ন মন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন।

এছাড়া মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগদানের পূর্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) জ্যেষ্ঠ নেতা লাল কৃষ্ণ আদভানির সাথে তার বাসভবনে সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন।

এ দিন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী দাশো শেরিং তোবগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার আবাসস্থলে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় শেখ হাসিনা ভারতের মধ্য দিয়ে ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানির বিষয়ে বাংলাদেশের আগ্রহের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন ও এ জন্য প্রয়োজনীয় ত্রিপক্ষীয় চুক্তি নিয়ে ইতোমধ্যেই ভারতের সাথে আলোচনার কথা জানান।


আরও খবর