Logo
শিরোনাম

শীতে সুস্থ থাকতে যা খাবেন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

শীতে শুধু ত্বকের সমস্যা নয়, সর্দি-কাশি, জ্বরেও কাবু হয়ে পড়েন অনেকে। বিশেষ করে শিশুদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি দেখা দেয়। অন্য দিকে, গোটা শীতকাল জুড়ে থাকে নানা উৎসবের আয়োজন। এসব উদযাপন করতে হলে শারীরিক ভাবে ফিট থাকা প্রয়োজন। এজন্য খাওয়াদাওয়ায় একটা বাড়তি নিয়ম মেনে চলতে হবে। গোটা শীতকাল যাতে সর্দি, কাশি আর গলাব্যথায় না কেটে যায়, তার জন্য নিয়ম করে কয়েকটি খাবার খেতে হবে। যেমন-

১. শরীরে ভিটামিন সি এর চাহিদা পূরণ করতে সাইট্রাসজাতীয় ফলের জুড়ি নেই। পাতিলেবু, মোসম্বি ও কমলা যেমন জোগান দিতে পারে শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি-এর, তেমনই মেটাতে পারে ফাইবারের ঘাটতি। পেয়ারাতেও প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম থাকে। শীতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে নিয়মিত এসব ফল খান।

২.অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর ও ক্যানসার প্রতিরোধী গুণে সমৃদ্ধ পালং শাক শীতকালে সত্যিই হয়ে উঠতে পারে সুপার ফুড। ভিটামিন ও খনিজ তো রয়েছেই, তার সঙ্গে বাড়তি ওজন কমাতেও অত্যন্ত কার্যকর সবুজ পালং শাক।

৩. শীতকালে বাজারে প্রচুর পরিমাণে সবজি পাওয়া যায়। বিট, গাজরের মতো শীতকালীন সবজি ভালো কোলেস্টেরল বৃদ্ধি করতে ও খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে অত্যন্ত উপযোগী। তাই শীতকালে সুস্থতার চাবিকাঠি হতে পারে এসব সবজি।


আরও খবর

বছরে ক্যানসারে ৬০ লাখ মানুষের মৃত্যু

মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




বিমান ভাড়া: অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি রোধে ১০ নির্দেশনা

প্রকাশিত:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

এয়ার টিকিটের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি রোধে ১০টি নির্দেশনা দিয়েছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) এ নির্দেশনাগুলো দিয়ে পরিপত্র জারি করেছে মন্ত্রণালয়।

নির্দেশনাগুলো হলো-

১. শিগগির গ্রুপ-টিকিট বুকিংসহ যেকোনো প্রকার টিকিট বুকিংয়ের সময় ভ্রমণেচ্ছু যাত্রীর নাম, পাসপোর্ট নম্বর ও পাসপোর্টের ফটোকপিসহ বুকিং সম্পন্ন করতে হবে। বুকিং দেওয়ার তিন দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট যাত্রীর নামে টিকিট ইস্যু না হলে ওই তিন দিন বা ৭২ ঘন্টা উত্তীর্ণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এয়ারলাইন্স স্বয়ংক্রিয়ভাবে ওই টিকিট বাতিল করবে।

২. এই পরিপত্র জারির তারিখ পর্যন্ত এয়ারলাইন্স/ট্রাভেল এজেন্সিকে গ্রুপ-বুকিংয়ের মাধ্যমে ইতোমধ্যে ব্লক করা টিকিট আগামী সাত দিনের মধ্যে ভ্রমণেচ্ছু যাত্রীর নাম, পাসপোর্ট নম্বর এবং পাসপোর্টের কপিসহ বিক্রি নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় পরবর্তী তিন দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন্স এমন টিকিট স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে বাতিল করবে।

৩. গ্রুপ-বুকিংয়ের ক্ষেত্রে বিক্রির সঙ্গে সঙ্গে টিকিটের প্রকৃত বিক্রিমূল্য বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়কে জানাতে হবে এবং মন্ত্রণালয় তা জনগণের অবগতির জন্য নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রকাশ করবে।

৪. সব ধরনের এয়ার টিকিট অনলাইনে বিক্রির ব্যবস্থা করতে হবে এবং বিক্রি করা টিকিটের দাম অনলাইনে এবং টিকিটের গায়ে প্রদর্শিত থাকতে হবে।

৫. এয়ারলাইন্স এবং ট্রাভেল এজেন্সিগুলো আবশ্যিকভাবে বেসামরিক বিমান চলাচল বিধিমালা, ১৯৮৪- এর বিধি ২৮৯ এ বর্ণিত বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী যথাযথভাবে ট্যারিফ ফিলিংয়ের নিয়ম মানবে এবং বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) অনুমোদিত ট্যারিফ বেবিচকের নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রকাশ করবে।

৬. এয়ারলাইন্স কিংবা ট্রাভেল এজেন্সি সংশ্লিষ্ট বিমানসংস্থার বেবিচক বরাবর দাখিল করা ভাড়ার অতিরিক্ত ভাড়ায় টিকিট বিক্রি করা থেকে বিরত থাকবে। একইসঙ্গে ট্রাভেল এজেন্সি বাধ্যতামূলকভাবে যাত্রীকে এয়ারলাইন্স থেকে প্রাপ্ত মূল্য সংবলিত টিকিট প্রদান এবং ওই টিকিট বিক্রির রশিদ দিবে।

৭. চাহিদা না থাকা সত্ত্বেও কিংবা চাহিদার অতিরিক্ত টিকিট মজুদ করে অন্য এজেন্টের মাধ্যমে এয়ার টিকিট বিক্রির কারণে টিকিটের দাম বাড়লে বাংলাদেশ ট্রাভেল এজেন্সি (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০২২- এর বিধি-১৫ অনুযায়ী মূল ট্রাভেল এজেন্সির নিবন্ধন সনদ স্থগিত বা বাতিল করা হবে।

৮. বাংলাদেশে ফ্লাইট পরিচালনাকারী এয়ারলাইন্স এবং ট্রাভেল এজেন্সি ওয়ার্ক ভিসা নিয়ে বিদেশগামী শ্রমিক বা কর্মীদের জন্য বিশেষ বিমান ভাড়ার ব্যবস্থা করবে।

৯. মধ্যপ্রাচ্য ও মালয়েশিয়াসহ প্রবাসী কর্মীদের টিকিট ভাড়া কমানোর জন্য আগামী সাত দিনের মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সসহ সব এয়ারলাইন্স ও বোর্ড অব এয়ারলাইন্স রিপ্রেজেন্টেটিভস (বিএআর) পদক্ষেপ নিবে।

১০. বাংলাদেশ ট্রাভেল এজেন্সি (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ অনুযায়ী অনিবন্ধিত ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে টিকিট বিক্রি বন্ধ করতে হবে।


আরও খবর

মিটারের বেশি ভাড়া নিলে জরিমানা ৫০ হাজার

বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




রিজার্ভ চুরি মামলার প্রতিবেদন ১৭ এপ্রিল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৭ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন ঢাকার একটি আদালত (১১ ফেব্রুয়ারি) মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল।

তবে মামলার তদন্ত সংস্থা সিআইডি প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন এ দিন ধার্য করেন। ২০১৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে জালিয়াতি করে সুইফট কোডের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি করা হয়। পরে ওই টাকা ফিলিপাইনে পাঠানো হয়।

দেশের অভ্যন্তরের কোনো একটি চক্রের সহায়তায় হ্যাকার গ্রুপ রিজার্ভের অর্থপাচার করে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা। ওই ঘটনায় একই বছরের ১৫ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং ডিপার্টমেন্টের উপ-পরিচালক জোবায়ের বিন হুদা বাদী হয়ে অজ্ঞাতানামাদের আসামি করে মতিঝিল থানায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ (সংশোধনী ২০১৫) এর ৪-সহ তথ্য ও প্রযুক্তি আইন-২০০৬ এর ৫৪ ধারায় ও ৩৭৯ ধারায় একটি মামলা করেন। মামলাটি বর্তমানে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তদন্ত করছে।


আরও খবর

অনুমতি ছাড়া গাছ কাটা যাবে না

শুক্রবার ৩১ জানুয়ারী ২০২৫




জানুয়ারিতে রেমিট্যান্স এলো ২১৮ কোটি ডলার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে রেমিট্যান্স প্রবাহে যে উল্লম্ফন দেখা গিয়েছিল জানুয়ারিতে এসে সেটি কিছুটা ভাটা পড়েছে।  জানুয়ারিতে প্রবাসী বাংলাদেশীরা দেশে পাঠিয়েছেন ২১৮ কোটি ৫২ লাখ ডলার গত অর্থবছরের একই মাসে ২১১ কোটি ৩১ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স দেশে এসেছিল সে হিসাবে গত মাসে রেমিট্যান্সের প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাত্র দশমিক ৪১ শতাংশ

গত বছর আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারে পতন হওয়ার পর থেকে দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহে বড় প্রবৃদ্ধি দেখা গিয়েছিল সর্বশেষ ২০২৪ সালের ডিসেম্বরেও প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছিলেন ২৬৩ কোটি ৮৭ লাখ ডলার চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাস তথা জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে রেমিট্যান্সের প্রবৃদ্ধি ছিল সাড়ে ২৭ শতাংশেরও বেশি রেমিট্যান্স কম আসায় জানুয়ারি শেষে প্রবৃদ্ধি ২৩ শতাংশের ঘরে নেমে এসেছে


বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) দেশে রেমিট্যান্স এসেছে হাজার ৫৯৬ কোটি ডলার বাংলাদেশী মুদ্রায় যা প্রায় লাখ ৯২ হাজার কোটি টাকা ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে দেশে ১২ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল সে হিসাবে চলতি অর্থবছরে প্রবাসীরা দশমিক শূন্য বিলিয়ন ডলার বেশি পাঠিয়েছেন এক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৩ দশমিক ৬১ শতাংশ

জানুয়ারিতে রেমিট্যান্সের প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স আনার ক্ষেত্রে ডলারের দর নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে তেমন কোনো কড়াকড়ি ছিল না। বেশি দর দিয়ে হলেও ব্যাংকগুলো রেমিট্যান্স সংগ্রহ করতে পেরেছে। কিন্তু জানুয়ারিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঘোষিত দরে রেমিট্যান্স কেনার জন্য বেশ কঠোর ছিল। কারণে রেমিট্যান্স প্রবাহ কিছুটা কমে গেছে।

ব্যাংকে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে গেলে হুন্ডির বাজার জমজমাট হয়ে ওঠে। রাজধানীর মতিঝিল কারওয়ান বাজার এলাকার একাধিক মানি এক্সচেঞ্জের কর্মকর্তারা জানান, জানুয়ারিতে মানি এক্সচেঞ্জগুলোয় ডলারের চাহিদা বেশ তীব্র ছিল। বিদেশে পালিয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগ নেতারা হাতে করে যে ডলার নিয়ে গেছেন, তা শেষ হয়ে এসেছে। এখন দেশ থেকে নতুন করে টাকা নিচ্ছেন। কারণে হুন্ডির বাজারে ডলারের চাহিদা বেড়ে গেছে


আরও খবর

রমজানে টিসিবির ট্রাকসেল চালু থাকবে

বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ভোজ্যতেলের বাজারে অস্থিরতা কেটে যাবে

মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলা বিএনপি সা: সম্পাদক নাসিমের পদ স্থগিত

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

হাসিবুর রহমান, ঝালকাঠি প্রতিনিধি :

 ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক নাসিম আকনের পদ স্থগিত করেছে জেলা বিএনপি। সেই সাথে তাকে বিএনপির সকল কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ঝালকাঠি জেলা বিএনপির ফেসবুক পেইজে বিকেল পৌনে ৪টায় পোস্ট দেয়া আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সৈয়দ হোসেন ও সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট শাহাদাত হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, "ঝালকাঠি জেলা বিএনপি অধীন রাজাপুর উপজেলা বিএনপি'র সাধারণ সম্পাদক মোঃ নাসিম উদ্দিন আকন এর দলীয় পদ ২৫ জানুয়ারী হইতে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। সাথে সাথে তাকে দলীয় সমস্ত কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদেরকে রাজাপুর উপজেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক (দলীয় পদ স্থগিত) এর সাথে কোন প্রকার যোগাযোগ রক্ষা না করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হলো।"

এব্যাপারে নাসিম আকন জানান, আমাকে শোকজ করা হয়েছিলো। আমি তার জবাব দিয়েছি। এখন যদি আমাকে দলীয় পদ থেকে স্থগিত রাখে তাহলে আলহামদুলিল্লাহ। 


এর আগে গত ৮ জানুয়ারি চাঁদাবাজির অভিযোগে ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাসিম উদ্দিন আকনকে শোকজ করেছে বিএনপি। নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যের কাছে চাঁদা দাবি ও হুমকির বিষয়টি বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় আপনার (নাসিম আকন) নামে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। ঝালকাঠি জেলা বিএনপির অধীনে উপজেলা বিএনপির দায়িত্বশীল পদে থাকাবস্থায় আপনার বিরুদ্ধে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার অভিযোগ থাকায় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে আপনাকে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে কেন অব্যাহতি দেওয়া হবে না। তার উপযুক্ত জবাব আগামী ৩ কার্যদিবসের মধ্যে জেলা বিএনপির নিকট জবাব দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিলো।


আরও খবর



বাংলাদেশের ইসলামিক বক্তারা কি করছেন?

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ জানুয়ারী 20২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ |

Image

বাংলাদেশে যারা মোটামুটি পরিচিত ইসলামিক বক্তা তারা প্রায় সবাই অর্থনৈতিকভাবে বেশ সলভেন্ট আলহামদুলিল্লাহ্‌ । 

প্রায় সবারই নিজের ব্যাক্তিগত গাড়ি-ড্রাইভার আছে, ঢাকায় ফ্ল্যাট আছে বা অন্তত জেলা শহরে নিজের একটা থাকার জায়গা আছে। 


যাদের ব্যাক্তিগত গাড়ি আছে তারা জানেন যে, ড্রাইভারসহ একটা প্রাইভেট কারের মাসিক খরচ অন্তত ৫০ হাজার টাকা । 

ঢাকার এবং জেলা শহরগুলোর ভালো এলাকার ইমাম-মুয়াজ্জিন-খতীবরাও এখন মোটামুটি স্বচ্ছল বলা যায় ।  

আমরা তো এরকমটাই চেয়েছিলাম, আমাদের ধর্মীয় ব্যাক্তিত্বগণ আর্থিকভাবে স্বচ্ছল থাকবেন, তারা পর মুখাপেক্ষী হবেন না, নিজেদের ইনকাম সোর্স তৈরি করবেন। তারাও দেশের প্রথম শ্রেনীর নাগরিকদের মত নিয়মিত ট্যাক্স দিবেন, সকল সুযোগ-সুবিধা, সন্মান ভোগ করবেন ।  

কিন্তু আমার আফসোস এবং কষ্ট লাগে যখন দেখি, হেলিকপ্টার ,ব্যাক্তিগত গাড়ি থেকে মাহফিলে নেমে কোন কোন বক্তা মাহফিলে উপস্থিত শ্রোতাদেরকে দারিদ্রতার দিকে মোটিভেট করেন । 

আপনি বলতেছেন, রাসুলুল্লাহ (সা) দিনের পর দিন না খেয়ে ছিলেন, সাহাবারা (রা) না খেয়ে ছিলেন, অনেকের পায়ে স্যান্ডাল থাকতো না, গায়ের জামাকাপড় ছেঁড়া ছিল । 

আপনি নিজে চকচকা জামা পড়ে এসে, গাড়িতে বসে এসির হাওয়া খেতে খেতে এসে এগুলা কেন বলেন ? রাসুলুল্লাহ (সা) না খেয়ে ছিলেন ওয়াজ করে, পরের মুহুর্তেই মাহফিল কর্তৃপক্ষের আয়োজন করা ৮-১০ পদের শাহী খানাদানা কিভাবে আপনার গলা দিয়ে নামে ?     

প্রথমত, এই যে আমরা বলি, রাসুলুল্লাহ (সা) দরিদ্র লাইফ-স্টাইলটার দিকে ফোকাস করি এই কনসেপ্টটাই ভুল । এটা রাসুলুল্ললাহ (সা) এর ইনকম্পিটেন্সী ছিল না বরং উনার ব্যাক্তিগত চয়েজ ছিল ।  হি হ্যাড অল দ্যা লাক্সারিজ । 

কিন্তু উনি সেগুলো মানুষের মাঝে বিলিয়ে দিয়েছেন । উনি ব্যবসায়িক-মিলিটারিলি ইন্টিলিজেন্স মারাত্নক রকমের শার্প এবং ব্রিলিয়ান্ট ছিল । উনি চাইলে প্রচুর টাকা কামাতে পারতেন । বাট উনি সেটা করেননি । আবু বকর (রা), উমার (রা) প্রত্যেকের ক্ষেত্রে একই কথা প্রযোজ্য । 

বাট আপনি নিজে তো সেই চয়েজটা বেছে নেননি । আপনি ভালো খাচ্ছেন, ভালো পোশাক পড়েন, ভালো গাড়িতে চড়েন, ভালো বাসায় থাকেন । তাহলে মানুষকে কেন গরীব থাকতে বলেন ? শুধু তাই না অপনাকে আনতে বা এই গনজমায়েত করতে কত মানুষের কাছে হাত পাত্তে হয়েছে এবং কোন কোন বয়সের মানুষ হাত পেতেছে তা অপনি ভালো করেই জানেন। তাহলে বলেন এটা কি ধরনের হিপোক্রেসী ? 

আপনি রাসুল (সা) এর বিজনেস/মিলিটারি একিউমেনের কথা কেন বলেন না, উনার সুপার-ডুপার ব্রিলিয়ান্ট ডিপ্লোম্যাটিক স্কিলের কথা কেন বলেন না, রাস্ট্র গঠনে উনার অসাধারণ জ্ঞানের কথা কেন তুলে ধরেন না। 

ভাই নিজেরা নিজেদের লিমিটেশন মেনে নেই । আমরা দুর্বল ঈমানের অধিকারী । আমরা কষ্ট করতে পারি না । ইটস ওকে। আল্লাহ্‌ আপনাকে এর জন্য জাহান্নামে দিবে না । 

আপনি মানুষকে সৎ হতে বলেন, কারো মনে কষ্ট না দিতে বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা)এর মত অসাধারণ এম্প্যাথেটিক একজন মানুষ হতে বলেন, নিজের কাজ-কর্মে সুপার ডুপার স্কিলড হতে বলেন। 

আইটিতে স্কিলড হতে বলেন, সেলসে স্কিল্ড হতে বলেন, বিজনেস কমিউনিকেশন-ম্যানেজমেন্ট এগুলাতে স্কিলড হতে বলেন । যে ডাক্তার হইছে তাকে তার ফিল্ডের সবচেয়ে বেষ্ট ডাক্তার হইতে বলেন, একজন ইঞ্জিনিয়ারকে সেরা ইঞ্জিনিয়ার হইতে বলেন । আপনি মানুষকে প্রচুর পরিমাণে হালাল উপার্জন করতে বলেন। 

আপনি মানুষকে যাকাত দেয়ার উপযোগী করতে মোটিভেট করেন। বলেন না, যে এ বছর এক লাখ টাকা যাকাত দিয়েছে সে যেন নেক্সট ইয়ার ৫ লাখ টাকা যাকাত দেয়ার মত অবস্থায় যেতে পারে। 

হ্যাঁ, তাকে চেষ্টা করতে বলেন । বাট ক্যারিয়ারকে নিজের ইলাহ বানাইতে না করেন । হালালভাবে একটা সার্টেন এফোর্ট দিয়ে ভালো উপার্জন করতে মানুষকে মোটিভেট করতে অসুবিধা কোথায় ? 

কেন মাত্র একটা আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন তৈরি হইছে ? আরো ১০০টা আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন নাই কেন ? 

আপনি মানুষকে আরও ভালো করতে উৎসাহ দেন। তাদেরকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দাঁড় করাতে বলেন । কাজের সুযোগ সৃষ্টি করতে বলেন । সেখানে ইসলামিক পরিবেশ এনশিউর করতে বলেন । অসহায়-বিপদগ্রস্থ মানুষদের কাজের ব্যবস্থা করতে বলেন।  

আপনি খেয়াল করে দেখেন, শিক্ষিত লোকজন কিন্তু আপনাদের কথা খুব একটা শুনতেছে না । কারন, আপনারা তাদের নীড ক্যাটার করতে পারতেছেন না । বুঝতেছেন না মানুষ এখন অনেক ওয়েল ইনফরমড । তার কাছে অনেক তথ্যের এক্সেস আছে যে পর্যন্ত আপনি এখনো যেতেই পারেন নাই । 

২১ হাজার স্কয়ার কিলোমিটার এবং মাত্র ৯০ লাখ মানুষের একটা পুঁচকে রাস্ট্র সারা দুনিয়াকে নাচাচ্ছে শুধুমাত্র টেকনোলজি আর অর্থণীতির জোরে ।  তাদের অত্যাচার চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া আমরা কিছু করতে পারতেছি ? 

ভাইয়েরা এখন সময় আছে নিজেদেরকে আপগ্রেড করি ।  উম্মাহর খেদমত করার অনেক জায়গা আছে । 

এখনো যদি ৮০-৯০ বছর আগের স্টাইল নিয়ে আপনি পরে থাকেন তাহলে আপনার দ্বারা উম্মাহর খুব একটা খেদমত হবে না এবং হইতেছে না এটা নিশ্চিত থাকেন। হ্যাঁ, আপনি খালি আপনার লাইফ-স্টাইলটাই এনশিউর করে যাচ্ছেন।


আরও খবর

প্রথম ধাপের ইজতেমা তুরাগ তীরে জনসমুদ্র

শুক্রবার ৩১ জানুয়ারী ২০২৫