Logo
শিরোনাম

শি জিনপিং-জো বাইডেন ঐকমত্য

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৫ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংএর মধ্যে এক মুখোমুখি বৈঠক সোমবার (১৪ নভেম্বর) ইন্দোনেশিয়ার বালিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে দুই নেতাই ইউক্রেন যুদ্ধে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন।

জি-টুয়েন্টি শীর্ষ সম্মেলনের জন্য বালিতে আগত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং চীনা প্রেসিডেন্ট শি’র মধ্যে এই বৈঠক তিন ঘণ্টা ধরে চলে। সাক্ষাতের শুরুতে দুই নেতা সাংবাদিকদের সামনে হাসিমুখে করমর্দন করেন। এ বৈঠকের ফলে দুই পরাশক্তির মধ্যে সম্প্রতি শীতল হয়ে পড়া সম্পর্ক অন্তত কিছুটা উষ্ণ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

হোয়াইট হাউস জানিয়েছে যে বাইডেন এ বৈঠকের সময় চীনা প্রেসিডেন্টকে বলেন, দু দেশের মধ্যে প্রতিযোগিতা চলবে, কিন্তু তা সংঘাতে পরিণত হতে দেয়া উচিত নয়। প্রেসিডেন্ট শি এ বৈঠকে জো বাইডেনের সঙ্গে একমত হন যে, ইউক্রেনের যুদ্ধে পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহার কখনোই হওয়া উচিত নয়।

প্রেসিডেন্ট বাইডেন চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কোন নতুন ঠাণ্ডা যুদ্ধ শুরু হবার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেন। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, তিনি ও শি জিনপিং পরস্পরকে বোঝেন এবং বেজিং বর্তমান বিশ্বব্যবস্থা পাল্টে দিতে চায় না।

বৈঠকের সময় তিনি চীনের শিনজিয়াং ও তিব্বত অঞ্চলে সংখ্যালঘুদের প্রতি আচরণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তাইওয়ানের ব্যাপারে চীন যে ‘জবরদস্তিমূলক এবং আক্রমণাত্মক পদক্ষেপ’ নিচ্ছে তারও বিরোধিতা করেন মি. বাইডেন। চীনা প্রেসিডেন্ট বলেন, তারদেশের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক যেন যথাযথভাবে রক্ষিত হয় তা সারা বিশ্ব প্রত্যাশা করে।

চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, প্রেসিডেন্ট শি সতর্ক করে দিয়েছেন যে তাইওয়ানের অবস্থান চীনের স্বার্থের কেন্দ্রস্থলে- যে দ্বীপটিকে চীন তার নিজের অংশ বলে মনে করে।

 এ বৈঠকে আদৌ কতটা অগ্রগতি হবে : প্রেসিডেন্ট বাইডেন ২০২১ সালে প্রেসিডেন্ট হবার পর এটিই দুই নেতার প্রথম মুখোমুখি সাক্ষাৎ। তবে এর আগে তারা পাঁচবার ফোন ও ভিডিও কলে কথা বলেছেন এবং প্রেসিডেন্ট বাইডেন যখন ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন তখনও তাদের মধ্যে একাধিকবার সাক্ষাৎ হয়েছে।

সেপ্টেম্বর মাসে তাদের মধ্যে শেষবার যখন কথা হয় তখন তারা ইউক্রেন, কোভিড এবং তাইওয়ান ইস্যু নিয়ে কথা বলেছিলেন।

মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি আগস্ট মাসে তাইওয়ান সফর করার পর চীন অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হয় এবং প্রেসিডেন্ট শি সেসময় ওয়াশিংটনের সমালোচনা করেছিলেন। এর পর চীন জলবায়ু এবং কোভিড মহামারী সংক্রান্ত কিছু বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সহযোগিতা বন্ধ করে দেয়।

সোমবারের বৈঠকের পর এগুলোর কয়েকটি আবার শুরু করতে পারলে তাকে একটি ইতিবাচক অগ্রগতি হিসেবেই দেখা হবে – সংবাদমাধ্যমকে এমন কথা বলেছেন একজন মার্কিন কর্মকর্তা।

দুই নেতার আলোচনায় বাণিজ্য, উত্তর কোরিয়ার উস্কানিমূলক আচরণ, তাইওয়ান নিয়ে উত্তেজনা এবং ইউক্রেনে রাশিয়ার চালানো অভিযানের মত প্রসঙ্গগুলো ছিল ।

সংবাদ মাধ্যমের খববে বলা হয়, চীনা নেতাকে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন , যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে কোন সংঘাত বেধে যাওয়া ঠেকানোটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

প্রেসিডেন্ট বাইডেন আরো বলেন, দু দেশের মধ্যে যোগাযোগের পথগুলো খোলা রাখার ব্যাপারে তিনি অঙ্গীকারবদ্ধ – যার ফলে দু দেশ জরুরি বৈশ্বিক ইস্যু – যেমন জলবায়ু পরিবর্তন বা নিরাপত্তাহীনতা – এগুলোর ব্যাপারে একসাথে কাজ করতে পারে।

প্রেসিডেন্ট বাইডেন আরো বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও চীন এক সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করবে তা সারা বিশ্বই প্রত্যাশা করে।

শি জিনপিং যা বললেন বাইডেনকে : চীনা প্রেসিডেন্ট বলেন, তিনি প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সাথে একসঙ্গে কাজ করতে চান। গোটা বিশ্ব প্রত্যাশা করে যে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন এই সম্পর্ককে যথাযথভাবে রক্ষা করবে । আমাদের এ বৈঠক বিশ্বের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। বিশ্বশান্তির জন্য আমাদেরকে সবদেশের সাথে মিলে কাজ করতে হবে।

আমাদের এ বৈঠকে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর ওপর খোলাখুলি মতামত বিনিময় করা প্রয়োজন- বলেন তিনি।

প্রেসিডেন্ট শি বলেন, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক এখন এমন একটি অবস্থায় আছে যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এখানে দু-দেশের নেতা হিসেবে তাদের সঠিক গতিপথ নির্ধারণ করতে হবে।

আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আগামী দিনে সামনে এগিয়ে নেয়া এবং উন্নত করার জন্য সঠিক দিকনির্দেশনা পেতে হবে। এ বৈঠকের ফলে চীন-মার্কিন সম্পর্ক কতটা স্বাভাবিক হতে পারে?

সম্প্রতি বাণিজ্য, তাইওয়ান প্রশ্ন, ইউক্রেন যুদ্ধ, উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা ইত্যাদি একাধিক বিষয়কে কেন্দ্র করে চীন-মার্কিন সম্পর্কের অবনতি হয়েছে।

বিবিসির বিশ্লেষক স্টিফেন ম্যাকডনেল বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও চীন উভয় সরকারই উপলব্ধি করছে যে দুদেশের মধ্যেকার উত্তেজনা অত্যন্ত গভীর এবং কোন যাদুমন্ত্রবলে এর সমাধান হয়ে যাবে এটা কোন পক্ষই মনে করছে না।

তবে এই দুই দেশের মধ্যে আকস্মিকভাবে বড় কোন সংঘাত বেধে যাওয়া ঠেকানো যায় এমন কিছু পদক্ষেপের ব্যাপারে দু'নেতা একমত হতে পারলে সেটাই হবে এক বড় অগ্রগতি, বলছেন স্টিফেন ম্যাকডনেল।

তিনি বলছেন, এক দেশ আরেক দেশের কোন আচরণকে ভুল বোঝার ফলে একটা যুদ্ধ বেধে যাক – এটা কোন পক্ষই চাইছে না।

যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে এরকম কিছু ঠেকানোর ব্যবস্থা ইতোমধ্যেই নেয়া হয়েছে– যার মধ্যে ‘স্পষ্ট যোগাযোগের চ্যানেল’ এবং ‘কিছু লাল রেখা অতিক্রম না করার নীতিথাকতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।

একজন বিশেষজ্ঞ বলছেন, তৃতীয় কোন দেশে বড় সম্মেলনের ফাঁকে দুই নেতার এ ধরনের বৈঠক যদিও কিছুটা 'মিডিয়াতে দেখানোর জন্যই' আয়োজন করা হয়, তবে এগুলো সম্পূর্ণ অর্থহীন নয়।

হংকং-এর চীনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পিয়ের ল্যান্ড্রি বলেন, এসব বৈঠকেও কখনো কখনো রাজনৈতিক অচলাবস্থা কেটে গেছে এমন নজির আছে।


সূত্র: বিবিসি বাংলা


আরও খবর



সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৭ দিন ছুটি ঘোষণা

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image

দেশজুড়ে তীব্র গরমের কারণে আগামী ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)।

শনিবার (২০ এপ্রিল) মাউশির পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। পবিত্র রমজান ও ঈদুল ফিতরসহ টানা ২৬ দিন ছুটি কাটিয়ে আগামীকাল রোববার থেকে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু এরই মধ্যে দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। দেশের বিভিন্ন স্থানে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে উঠেছে।

তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে করণীয় ঠিক করতে গত বৃহস্পতিবার বৈঠক করে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। তবে ওইদিনের বৈঠকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

দাবদাহের মধ্যে না খুলে আগামী সাত দিন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার দাবি জানান অভিভাবক ঐক্য ফোরাম। এমন অবস্থার মধ্যে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের কথা জানায় মাউশি।

আগামী ২৮ এপ্রিল থেকে ক্লাস শুরু হবে বলে জানানো হয়।


আরও খবর

একাদশের ক্লাস শুরু ৩০ জুলাই

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




ভারতে লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image

ভারতে শুরু হয়ে গেল ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ। স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় শুরু হওয়া এ ভোট চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। দেশটির প্রায় ৯৭ কোটি ভোটার ৪৭ দিন ধরে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পছন্দের জনপ্রতিনিধিকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন।

প্রথম দফায় শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ১০২ লোকসভা আসনে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের আলিপুর দুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি রয়েছে। প্রথম দফার ভোটে প্রার্থীর সংখ্যাও ছাড়িয়েছে প্রায় আড়াই হাজারের বেশি।

ভারতের নির্বাচন কমিশনের হিসাব বলছে, এবার নথিভুক্ত ভোটারের সংখ্যা ৯৬ কোটি ৮৮ লাখ। এর মধ্যে নারী ভোটার রয়েছেন ৪৭ কোটি ১০ লাখ এবং পুরুষ ভোটার ৪৯ কোটি ৭০ লাখ।

৪৮ হাজার ট্রান্সজেন্ডার ভোটার ছাড়াও এবার শতবর্ষী ভোটারের সংখ্যা দুই লাখেরও বেশি। একইসঙ্গে ৮৫ বছরের বেশি ভোট দাতার সংখ্যাও প্রায় ৮২ লাখ।

এছাড়াও ১৮ থেকে ৩০ বছর বয়সী তরুণ ভোটারের সংখ্যা ২১ কোটি। সবমিলিয়ে নির্বাচনকে উৎসবে পরিণত করতে প্রস্তুত দেশটির সাধারণ জনগণ। ১০ লাখ ৫ হাজার ভোটকেন্দ্রে ৫৫ লাখ ইভিএমের মাধ্যমে ভাগ্য নির্ধারণ করবেন ভারতের জনগণ।

ভারতজুড়ে এবার ২ হাজার ৬৬৬টি নথিভুক্ত রাজনৈতিক দল লোকসভা ভোটের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। এর মধ্যে বিজেপি, কংগ্রেস, আম আদমি পার্টি, ন্যশানাল পিপলস পার্টি, বহুজন সমাজবাদি পার্টির মতো জাতীয় রাজনৈতিক দল যেমন রয়েছে; তেমনই রয়েছে মমতার তৃণমূল, লালু প্রসাদ যাদবের রাষ্ট্রীয় জনতা দলের মতোর শক্তিশালী প্রদেশিক দলও।

এদিকে, নির্বাচনের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়াও রাজ্য পুলিশ সিআইএসএফসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকবেন। শুধু তাই নয়, আকাশপথে এবং ড্রোনের সাহায্যেও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথা জানিয়েছে দেশটির নির্বাচন কমিশন।


আরও খবর



সুদহারেও হস্তক্ষেপ করবে বাংলাদেশ ব্যাংক

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image

গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠন এফবিসিসিআইকে জানিয়েছেন, ব্যাংক ঋণের সুদহার বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়ার এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই পরোক্ষভাবে হস্তক্ষেপের ইঙ্গিত দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে সুদহার ১৪ শতাংশের ওপরে যেতে দেওয়া হবে না।

তবে ব্যবসায়ী সংগঠনটির মতে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বারবার নীতি পরিবর্তনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। দেশের অর্থনীতি নিয়ে গভর্নরের সঙ্গে আলোচনা শেষে এসব জানিয়েছেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি জসিম উদ্দিন, বিজিএমইএ সভাপতি এস এম মান্নান কচি, বিটিএমএ সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন ও বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেমসহ শীর্ষ ব্যবসায়ীরা।

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ডলারের দাম হঠাৎ করেই ৭ টাকা বেড়ে যাওয়ার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ব্যবসায়ীরা। আমরা গভর্নরকে বলেছি এটি যেন ১১৭ টাকায় থাকে। তিনি আমাদের এক টাকা কম অথবা বেশির মধ্যে রাখার কথা বলেছেন। ডলার নিয়ে এখনো সমস্যা আছে। আমরা এলসি করার সময়ও একই রেট থাকার কথা বলেছি। গভর্নর আমাদের বলেছেন ডলার সংকট রয়েছে, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে সংকট পুরোপুরি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে।

সুদহার বিষয়ে মাহবুবুল আলম বলেন, ডলারের মতো সুদহার বাজারের ওপরে ছেড়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন যে সুদের হার আছে তাতে ১৪ শতাংশের ওপরে উঠবে না আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ এর মধ্যেই আটকে দেবে সুদহার। তবে ব্যাংকগুলোর ঋণ বিতরণে খরচ ৬ থেকে ৮ শতাংশ হলে সুদের হার ১২ শতাংশের ওপরে যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।

এদিকে নির্দিষ্ট সীমার বেশি ঋণ পেতে কয়েকটি শিল্প গ্রুপ ও ব্যবসায়ী সংগঠনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, ব্যাংক খাতে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে একক ঋণসীমা লঙ্ঘন করা যাবে না। এ সংক্রান্ত আবেদনও নির্দেশনার পরিপন্থি।

এ বিষয়ে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, একক গ্রাহক ঋণসীমা হঠাৎ বেড়েছে ডলার রেটের কারণে। ডলারের দাম একবারে বেশি হওয়ায় ঋণও বেড়েছে। ডলারের দাম একসঙ্গে ৭ টাকা বাড়ার কারণে যে পরিমাণ ঋণ বেড়েছে সে পরিমাণ টাকার দীর্ঘমেয়াদি ঋণের আবেদন করেছেন ব্যবসায়ীরা। এখানে বিশেষ বিবেচনায় ছাড় দেওয়ার কথা জানিয়েছেন গভর্নর।

তিনি বলেন, বারবার নীতি পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। আমরা গভর্নরকে অনুরোধ করেছি পলিসিটা যেন দীর্ঘমেয়াদি নেওয়া হয়। কারণ, কেউ একটা প্রজেক্ট করার পরই যখন দর বাড়বে তাকে ক্ষতি মেনে নিতেই হবে। এখানে আমাদের ব্যবসায় পলিসিতেও হ্যাম্পার হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা যেন বেশি ক্ষতিগ্রস্ত না হন তেমন ব্যবস্থা ভবিষ্যতে নেওয়া হবে। আমি মনে করি দেশের মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির সঙ্গে সুদহারের কোনো সম্পর্ক নেই।

বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ডলারের দাম বেশি হওয়ায় আমরা এলসি খুলতে পারছি না। এক্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট ফান্ড কমিয়ে ৩ বিলিয়নে নামিয়ে আনা হয়েছে। ইডিএফ ফান্ড না থাকলেও বেশ কয়েকটি তহবিল রয়েছে, সেখান থেকে সুবিধা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি কোনো ব্যাংক ডলারের নির্ধারিত দামের অতিরিক্ত দাম নিলেই অভিযোগ করার কথা বলেছেন, যা নিয়ে কাজ করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

তিনি বলেন, ডলারের দাম বাড়ায় কিছু গ্রাহকের নির্ধারিত সীমার চেয়ে বেশি ঋণ হয়েছে। ওই গ্রাহককে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হবে। এতে তার ঋণসীমা আইনের লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচিত হবে না। বিষয়টি সমাধানে ব্যাংক এবং গ্রাহকভিত্তিক বিশেষ সুবিধা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন গভর্নর। ফান্ডেড এবং নন-ফান্ডেড মিলিয়ে একজন গ্রাহক ২৫ শতাংশের বেশি ঋণ না পাওয়ার শর্ত থাকলেও এ পরিস্থিতিতে তাদের জন্য বিশেষ বিবেচনা করা হবে।

এর আগে গত ৮ মে ব্যাংক ঋণের সুদহার নির্ধারণ পদ্ধতি সিক্স মান্থ মুভিং অ্যাভারেজ রেট (স্মার্ট) প্রত্যাহার করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ওই নির্দেশনার ফলে এখন থেকে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ঋণের সুদহার নির্ধারিত হবে।

এছাড়া সুদহার সম্পূর্ণরূপে বাজারভিত্তিক করার জন্য ছয় মাসের ট্রেজারি বিলের গড় সুদভিত্তিক ব্যবস্থা প্রত্যাহার করা হয়েছে। নির্দেশনা যথাযথভাবে বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে খোদ বাংলাদেশ ব্যাংকই পিছু হটছে। ধারণা করা হচ্ছে, আইএমএফের ঋণের বোঝার কারণে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি।


আরও খবর



৭৬ বছরের রেকর্ড ভাঙলো এবারের তাপপ্রবাহ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ |

Image

তীব্র দাবদাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। আগুন ঝরা গরমে মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। দেশজুড়ে তাপদাহে ঘরে কিংবা বাইরে সবখানেই কাতর সবাই।

তপ্ত দুপুরে গরমের তীব্রতায় নাগরিক জীবনের এমন হাঁসফাঁস অবস্থার মধ্যে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, এবার এই এপ্রিল মাসে টানা যত দিন তাপপ্রবাহ হয়েছে, তা গত ৭৬ বছরেও হয়নি। গত বছর টানা ১৬ দিন তাপপ্রবাহ হয়েছিল। এবার তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে ১ এপ্রিল থেকে।

আজ শুক্রবারও তাপপ্রবাহ বইছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। আজ সকাল থেকেই বয়ে গেছে গরম হাওয়া। রোদের তেজের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ে গরমের তীব্রতাও।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, গতকাল পর্যন্ত হিসাবে চলতি মাসে ২৩ দিন তাপপ্রবাহ অব্যাহত ছিল। ১৯৪৮ সাল থেকে এক বছরে তাপপ্রবাহের দিনের রেকর্ড আজ ভেঙে গেছে।

টানা অন্তত দুই দিন তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি থাকলে তা তাপপ্রবাহ হিসেবে বিবেচনা করে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, রাজশাহী বিভাগে গত ১ এপ্রিল থেকে তাপপ্রবাহ শুরু হয়। ১১ এপ্রিল থেকে তাপপ্রবাহ সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। রাজশাহী, পাবনা, চুয়াডাঙ্গা ও যশোরে তাপপ্রবাহ তুলনামূলক বেশি। চলতি বর্ষাপূর্ব মৌসুমে দেশে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, ১৯৪৮ থেকে তাদের কাছে বিভিন্ন স্টেশনের আবহাওয়ার তথ্য-উপাত্ত আছে। তবে সব বছরে সব স্টেশনের উপাত্ত নেই। উপাত্তগুলো একেবারে সুনির্দিষ্টভাবে আছে ১৯৮১ সাল থেকে। তারপরও আগের স্টেশনগুলো বিশ্লেষণ করে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, ১৯৪৮ থেকে চলতি বছর পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি তাপপ্রবাহ হয়েছে এবারের এপ্রিল মাসে।

এর আগে ২০১০ সালে রাজশাহীতে সর্বোচ্চ ২০ দিন তাপপ্রবাহ ছিল, তবে তা টানা ছিল না। কিন্তু এবার টানা ২৬ দিন তাপপ্রবাহ হলো।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, ১৯৪৮ সাল থেকে উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখেছি, এবারের মতো তাপপ্রবাহ টানা আগে হয়নি। তিনি বলেন, এতে বলা যায়, ৭৬ বছরের রেকর্ড এবার ভেঙে গেল। এবার টানা যেমন তাপপ্রবাহ হয়েছে, আবার এর বিস্তৃতিও বেশি ছিল। এ বছর দেশের ৭৫ ভাগ এলাকা দিয়ে টানা তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে, যা আগে কখনোই ছিল না।

আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির বলেন, এপ্রিল বাংলাদেশের উষ্ণতম মাস। কিন্তু স্বাধীনতার পর এবারের এপ্রিলই সবচেয়ে উষ্ণ যাচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এল নিনোর প্রভাবে এই তাপপ্রবাহ সৃষ্টি হয়েছে, যা বর্তমানে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে প্রভাব ফেলছে এবং এটি এই মাসের শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।

এপ্রিল উষ্ণতম মাস হওয়ায় বরাবরই এ সময়ে দেশের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকে উল্লেখ করে অধিদপ্তরের পরিচালক আজিজুর রহমান বলেন, এটা অস্বাভাবিক নয়।

তিনি আরও বলেন, এবার টানা দুই সপ্তাহ ধরে তাপপ্রবাহ থাকায় ও বৃষ্টিহীন পরিস্থিতি বিরাজ করায় গরমের অনুভূতি বেড়েছে। জলীয়বাষ্পের পরিমাণটা বেশি, যে কারণে অস্বস্তি বেশি হচ্ছে। স্বাভাবিক যা থাকার কথা, তার চেয়ে ৪ থেকে ৭ ডিগ্রি বেশি তাপমাত্রা উঠছে বিভিন্ন এলাকায়।


আরও খবর



গরমে নানা অসুখের রোগী বাড়ছে হাসপাতালে

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image

রাজধানীসহ সারাদেশে বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ। একদিকে বৈশাখের অসহনীয় গরমে চারদিকে হাঁসফাঁস অবস্থা। অন্যদিকে গত কয়েকদিনের কড়া রোদের সঙ্গে ভ্যাপসা গরমে সর্দি-কাশি, ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত নানা রোগে আক্রান্তদের চাপ বাড়ছে রাজধানীসহ সারাদেশের হাসপাতালগুলোতে। 


এছাড়াও জন্ডিস, হিট স্ট্রোক, সর্দি-জ্বর নিয়েও হাসপাতালে ছুটে আসছেন রোগীরা। তবে বেশি অসুস্থ হচ্ছেন বয়স্ক ও শিশুরা।  তাদের সুরক্ষায় রোদ পরিহারের পাশাপাশি যত্রতত্র পানি, রাস্তার পাশের খোলা জুস-শরবত পান থেকে বিরত থাকা এবং পচা বাসী খাবার না খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। এমনকি ঈদের ছুটি শেষে রাজধানীতে জনসমাগম বাড়লে হাসপাতালগুলোতে রোগীর সংখ্যা আরও বাড়বে বলেও আশঙ্কা তাদের।


খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজধানীর মহাখালির আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) বা কলেরা হাসপাতাল প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৫শ রোগী ভর্তি হচ্ছেন। এছাড়াও বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং  মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও  রোগী সংখ্যা বেড়েছে কয়েকগুণ বেড়েছে।

 

কলেরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সাধারণত এই হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে দুশ থেকে আড়াইশ  ডায়রিয়া রোগী চিকিৎসা নিয়ে থাকেন। তবে বর্তমানে সেই সংখ্যা  চারশ ছাড়িয়েছে।গত ১০ দিনে সাড়ে ৪ হাজারের বেশি রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন বলেও গেছে।


রাজধানীর শিশু হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েকদিনের গরমে শুধু ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে

দুই শতাধিক শিশু ভর্তি হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং মুগদা হাসপাতালের শিশু বিভাগেও ইতোমধ্যে রোগীতে সব শয্যা পূর্ণ হয়ে গেছে বলেও জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। 


প্রচণ্ড এ গরমের মধ্যে শিশুদের সুরক্ষায় যথাসম্ভব বাসায় রাখার পরামর্শ দিয়েছেন প্রচণ্ড গরমে হাসপাতালে রোগীর চাপ বেড়েছে উল্লেখ করে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. নিয়াতুজ্জামান বলেন, গত কয়েকদিনের গরমে ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। এক্ষেত্রে অন্যান্য বয়সীদের তুলনায় শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার হার বেশি। বর্তমানে আমার হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে শুধু ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশু ভর্তি আছে ১৬ জন। এছাড়া জ্বর, সর্দি-কাশি, নিউমোনিয়ার রোগী তো আছেই। অন্যান্য সময়ের তুলনায় আক্রান্তের এ হার আমরা অস্বাভাবিক বলছি।


তিনি বলেন, ঈদ-পরবর্তী সময়ে ফুড পয়জনিং (খাদ্যে বিষক্রিয়া) রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। একই সঙ্গে পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও আমরা বেশি পাচ্ছি। এজন্য অন্যান্য খাবারের পাশাপাশি বাসায় পানি খাওয়ানোর ক্ষেত্রেও সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। যতটুকু সম্ভব পানি ফুটিয়ে, এরপর ফিল্টার করে পান করা নিরাপদ।


প্রচণ্ড গরমের কারণে শুধু শিশুরাই নয়, বড়রাও বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন উল্লেখ করে প্রখ্যাত মেডিসিন বিশেষজ্ঞ,  প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ সময়ের  বলেন, বেশি গরমের কারণে শুধু শিশুরাই নয়, বড়রাও বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। যারা ডায়বেটিস, কিডনিসহ বিভিন্ন ক্রনিক রোগে ভোগেন, তাদের ঝুঁকিও কোন অংশে কম নয়। তবে গরমের সময় যারা ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাইরে কাজ করেন তাদের জন্য ঝুঁকিটা অনেক বেশি। তারা ডিহাইড্রেশন (পানিশূন্যতা) ঝুঁকিতে থাকেন, হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হন; ডায়রিয়া আর সর্দি-কাশি তো আছেই। এজন্য একটানা এক ঘণ্টার বেশি রোদে থাকা যাবে না।


তিনি বলেন, গরমে এই সময়ে বাইরে না যাওয়াই ভাল। আর বাইরে গেলে প্রচুর পরিমাণ পানি পান করতে হবে। সম্ভব হলে পরিমাণ মতো লবণ মিশিয়ে পান করা উচিত। আরও ভালো হয় যদি দু-একটা ওরস্যালাইন খাওয়া যায়। কারণ, গরমে ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে লবণ বের হয়ে যায়। যদি গরমের সময় বাইরে বের হতে হয়, তাহলে ছাতা ব্যবহার করতে হবে এবং একটু ঢিলেঢালা কাপড় পরা ভাল। কারণ, জামা-কাপড় বেশি টাইট হলে শরীর থেকে গরমটা সহজে বের হতে পারে না।


ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, গরমের এই সময়ে অনেকে পিপাসা মেটাতে রাস্তাঘাটের লেবুর শরবত, আখের শরবতসহ নানা ধরনের পানীয় পান করেন। অথচ এগুলোতে ব্যবহার হওয়া পানি বিশুদ্ধ কি না, আমরা কেউই জানি না। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এ পানি বিশুদ্ধ হয় না। এগুলো খেয়েই মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েন। শুধু পানি আর শরবত নয়, এ সময়ে বাইরের সবধরনের খোলা খাবার যথাসম্ভব পরিহার করতে হবে। গরমে বের হওয়ার সময় অবশ্যই বাসা থেকে বেশি তাপে ফোটানো ও ফিল্টার করা পানি বোতলে করে নিয়ে বের হতে হবে।


আর গরমের এই সময়ে শিশু ও বয়স্কদের ব্যাপারে বাড়তি সর্তকতার পরামর্শ এ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের।




আরও খবর