Logo
শিরোনাম
তারেক রহমান লন্ডন বসে বিএনপিকে ক্ষমতায় নিতে পারবেন না! ২০ বছর পর সিএনজিচালিত অটোরিকশার অনুমোদন সোহাগ হত্যার বিচার দাবীতে নওগাঁয় ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ মিছিল গুম খুন রাজনীতি বন্ধ করতেই আমরা মাঠে নেমেছি’ - নাহিদ ইসলাম ‎ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যার প্রতিবাদে মাভাবিপ্রবি ছাত্রদলের মিছিল নওগাঁর সাপাহারে দেশে প্রথম বারের মতো “ম্যাংগো ফেস্টিভ্যাল” হচ্ছে গজারিয়ায় পঞ্চম বারের মতো দুটি চুনা কারখানা গুঁড়িয়ে দিল তিতাস স্যার এবং ভাইয়ার প্রতি খোলা চিঠি! শিক্ষা, স্বাস্থ্য, প্রশাসন সহ সকল ধরনের দুর্নীতির অবসান চাই ..নাহিদ ইসলাম বালুয়াকান্দীতে সন্ত্রাস,চাঁদাবাজ ও মাদকের বিরুদ্ধে মত বিনিময় সভা

ভিসা পাননি ৪৪ হাজার ২৬৮ হজযাত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১৪ জুলাই ২০২৫ |

Image

সৌদি আরবের দেওয়া বিভিন্ন শর্ত পূরণ করতে না পারায় ভিসা পাননি ৪৪ হাজার ২৬৮ হজযাত্রী। ফলে শেষ সময়ে ফ্লাইট নিয়ে বিড়ম্বনার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। রবিবার (৪ জুন) হজ এজেন্সিদের সংগঠন হাব ও ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে।

হজ এজেন্সির জন্য দেওয়া শর্ত পূরণ হলেই ভিসা দেয় সৌদি আরব। শর্তগুলোর মধ্যে বাড়ি ভাড়া, ফ্লাইটের টিকিট, প্রবেশ ও বের হওয়ার রুট এবং আসা-যাওয়ার তারিখ নিশ্চিত করা অন্যতম। কিন্তু অনেক এজেন্সি এসব শর্ত পূরণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় হজযাত্রীদের ভিসা মিলছে না। ফলে প্রতিদিনই বিমানের ফ্লাইট ফাঁকা যাচ্ছে। এতে শেষ সময়ে হাজীদের সৌদি আরব যেতে ফ্লাইট বিপর্যয় হতে পারে এমন শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, এটা হজ এজেন্সিগুলোর ব্যর্থতা। তাদের আরও সচেতন হতে হবে। দ্রুত শর্ত পূরণে কাজ করতে হবে।

হাবের সভাপতি শাহাদাত হোসাইন তসলিম বলেন, শেষ সময়ে ভিসা জটিলতা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। ভিসার জন্য সৌদির দেওয়া প্রতিটি শর্তই পূরণ করতে হয় এজেন্সি মালিকদের। একটিও পূরণ করতে ব্যর্থ হলে ভিসা হবে না। অনেক এজেন্সি শর্ত পূরণ করতে পারেনি বলে ভিসা দিচ্ছে না। তবে হাবের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখা হচ্ছে।

এদিকে সৌদি সরকারের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী তওফিক আল-রাবিয়াহ দ্রুত বাংলাদেশি হজযাত্রীদের ভিসা সম্পন্ন করতে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খানকে বার্তা পাঠিয়েছেন। এরপরই হজ এজেন্সিগুলোকে দ্রুত হাজীদের ভিসা করাতে তাগিদ দেয় ধর্ম মন্ত্রণালয়।

উল্লেখ্য, চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এবার হজের খরচ বেশি হওয়ায় প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটা খালি রেখেই হজের সার্বিক প্রস্তুতি শেষ করেছে সরকার।

এরপর গত ২১ মে থেকে হজযাত্রীদের প্রথম ফ্লাইট শুরু হয়। রবিবার (৪ জুন) পর্যন্ত ৫০ হাজার ১৪ জন হজযাত্রী সৌদি পৌঁছেছেন। এরমধ্যে চারজন মারা গেছেন। হজ পালন শেষে দেশে ফেরার ফ্লাইট শুরু হবে আগামী ২ জুলাই। ফিরতি ফ্লাইট শেষ হবে ২ আগস্ট।


আরও খবর



যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানির শীর্ষে বাংলাদেশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১০ জুলাই ২০২৫ |

Image

যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশ নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। চলতি বছরের প্রথম চার মাসে (জানুয়ারি থেকে এপ্রিল) মার্কিন বাজারে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ। প্রবৃদ্ধির হারে বাংলাদেশ এখন শীর্ষে।

যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেলস (OTEXA) এই তথ্য জানিয়েছে। তাদের সর্বশেষ হালনাগাদ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই সময়ে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে মোট ২৬ বিলিয়ন (২ হাজার ৬২১ কোটি ৮০ লাখ) ডলারের পোশাক আমদানি করেছে। যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১০.৬৫ শতাংশ বেশি।

চীন, ভিয়েতনাম ও বাংলাদেশ—এই তিন দেশ মূলত মার্কিন বাজারে বড় অংশ জুড়ে রয়েছে। ভিয়েতনাম এ বছর ৫০৮ কোটি ৯১ লাখ ডলারের পোশাক রপ্তানি করে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে। বছরে প্রবৃদ্ধির হার ১৬ দশমিক ০৬ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা চীন থেকে পোশাক আমদানি হয়েছে ৪৩৫ কোটি ৭৬ লাখ ডলারের। প্রবৃদ্ধি মাত্র শূন্য দশমিক ৬৬ শতাংশ।

তবে প্রবৃদ্ধির হারে বাংলাদেশের অবস্থান সবচেয়ে উজ্জ্বল। এ সময়ে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হয়েছে ২৯৮ কোটি ৩১ লাখ ডলারের পোশাক। প্রবৃদ্ধির হার ২৯.৩৩ শতাংশ—যা ভিয়েতনামের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ।

রপ্তানি প্রবৃদ্ধির তালিকায় ভারতের অবস্থান দ্বিতীয়। তাদের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২০.৩০ শতাংশ। এরপর রয়েছে ইন্দোনেশিয়া (১৫.৬০ শতাংশ), পাকিস্তান (১৯.৭৯ শতাংশ) এবং কম্বোডিয়া (১৯.৫৭ শতাংশ)।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানিতে এমন প্রবৃদ্ধির পেছনে আছে কয়েকটি কারণ। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—নিয়মিত উৎপাদন, প্রতিযোগিতামূলক দাম, এবং গুণগতমান রক্ষা।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সিনিয়র গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, বাংলাদেশের এই সাফল্য বাজারের চাহিদা, মান বজায় রাখা এবং দাম নিয়ে কৌশলগত সিদ্ধান্তের ফল। তবে এই ধারা বজায় রাখতে হলে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। শুধু স্বল্পমেয়াদি সুবিধায় নির্ভর করলে ভবিষ্যতে চ্যালেঞ্জ আসতে পারে।


আরও খবর

পেঁয়াজ উৎপাদনে আশার খবর

রবিবার ০৬ জুলাই ২০২৫

ঢাকায় ক্রমাগত বাড়ছে সবজির দাম

শুক্রবার ০৪ জুলাই ২০২৫




তারেক রহমান লন্ডন বসে বিএনপিকে ক্ষমতায় নিতে পারবেন না!

প্রকাশিত:সোমবার ১৪ জুলাই ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৪ জুলাই ২০২৫ |

Image

পলাশ রহমান, সিনিয়র সাংবাদিক :

সোহাগকে হত্যা করা হয়েছে ইতিহাসের জঘন্যতম নৃশংসভাবে। বিএনপি এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত কয়েকজনকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে। দলের শীর্ষ নেতা তারেক রহমান বলেছেন, দেশে তো সরকার আছে, প্রশাসন আছে, তারা কেনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না?


বিএনপি দাবি করছে, তারা আইন প্রয়োগে কোনো বাধা সৃষ্টি করছে না। অন্যান্য সিনিয়র নেতারাও একই ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন।


এর আগেও, বিএনপি নানা অপরাধে জড়িত নেতাকর্মীদের বহিষ্কার করেছে। হুঁশিয়ারি দিয়েছে, কিন্তু কিছুতে কিছু হয়নি, হচ্ছে না। পরিস্থিতি আরো বেশি খারাপের দিকে যাচ্ছে। অপরাধ বেড়েছে, নৃশংসতা বেড়েছে। এর অর্থ হলো, বিএনপি'র বহিষ্কার বা হুঁশিয়ারি কাজ করছে না।


কেনো বিএনপি দলের শৃঙ্খলা ধরে রাখতে পারছে না? ঘাটতি কোথায়?


ফ্যাসিনার আমলে বিএনপির নেতাকর্মীরা ঘরে ঘুমাতে পারেনি। তখন অপকর্ম করার সুযোগ ছিলো না। কিন্তু বর্তমান বাস্তবতা ভিন্ন। দীর্ঘদিনের দমন-পীড়নের পর নেতাকর্মীরা সুযোগ পেয়ে অনেকেই লাগামহীন হয়ে পড়েছে। সুবিধাবাদীরা নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। এই অবস্থার পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ, বিএনপিতে কার্যকর নেতৃত্বের অভাব।


সরকারের ব্যর্থতা তুলে ধরলেই বিএনপি দায়মুক্ত হবে না। জনগণ তা গ্রহণ করবে না। জনগণ বলতে শুরু করেছে, যে দল নিজের নেতাকর্মীর নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে পারেনা, সেই দল দেশের নিয়ন্ত্রণ কিভাবে রক্ষা করবে?!


দলের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হলে- তারেক রহমানকে দেশে আসতে হবে। সরকারের সাথে প্রশাসনের সাথে এসব বিষয়ে আন্তরিক বৈঠক করতে হবে।


তিনি কেনো দেশে ফেরেননি বা ফিরতে পারছেন না- তার পরিষ্কার ব্যাখ্যা দিতে হবে। 


অন্যদিকে, ফ্যাসিবাদ বিরোধী যারা বিএনপিকে দুর্বল করার চেষ্টা করছেন, তারা ভুল করছেন।


আরও খবর



বছরের সর্বোচ্চ ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত

প্রকাশিত:রবিবার ২২ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ জুলাই ২০২৫ |

Image

দেশে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গু। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে সারাদেশে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩৫২ জন ডেঙ্গুরোগী।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত ৩৫২ জনের মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৬৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৭৬ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৫ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৯ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৪৩ জন, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২৪ জন এবং খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) আটজন রয়েছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৪১৩ ডেঙ্গুরোগী। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা সাত হাজার ৪২৯ জন। তাদের মধ্যে ৫৯ দশমিক ২ শতাংশ পুরুষ এবং ৪০ দশমিক ৮ শতাংশ নারী। এছাড়া এখন পর্যন্ত ছাড়পত্র পেয়েছেন ছয় হাজার ৫১৬ জন, মারা গেছেন ৩১ জন।

২০২৩ সালে সারাদেশে ডেঙ্গুতে এক হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়। ওই বছর আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন। গত বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে ডেঙ্গুতে ৫৭৫ জনের মৃত্যু এবং আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন এক লাখ এক হাজার ২১৪ জন।


আরও খবর



‎টাইমস হায়ার এডুকেশন র‍্যাঙ্কিংয়ে এবারও স্থান পায়নি মাভাবিপ্রবি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৯ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৪ জুলাই ২০২৫ |

Image

‎মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :‎

‎বিশ্বখ্যাত শিক্ষা সাময়িকী টাইমস হায়ার এডুকেশন (THE) প্রকাশিত ‘ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‍্যাঙ্কিং ২০২৫’-এর তালিকায় এবারও জায়গা হয়নি মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি)।‎

‎বুধবার (১৮ জুন) প্রকাশিত এই তালিকায় বিশ্বের ১১৫টি দেশের দুই হাজারের বেশি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেয়েছে। বাংলাদেশের ২০টি বিশ্ববিদ্যালয় তালিকায় স্থান পেলেও মাভাবিপ্রবি অনুপস্থিত রয়েছে, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীদের মাঝে হতাশা ও প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।‎

‎বিশ্ব র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের উপস্থিতি

‎এবারের র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের ৮টি সরকারি ও ১২টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেয়েছে।

‎বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, যেটি বিশ্বের ১০১–২০০তম অবস্থানে রয়েছে এবং বাংলাদেশের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে। এছাড়া আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ (AIUB), ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি, গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এবং ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (UIU) যৌথভাবে রয়েছে ৬০১–৮০০তম স্থানে।

‎সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম অবস্থানে রয়েছে গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। এরপর আছে 

‎বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।

‎কেন নেই মাভাবিপ্রবি?

‎টাইমস হায়ার এডুকেশন র‍্যাঙ্কিং জানা গেছে, ১৭টি নির্দিষ্ট ক্যাটাগরির উপর ভিত্তি করে র‌্যাঙ্কিংটি প্রস্তুত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, নো পোভার্টি; জিরো হাঙ্গার; গুড হেলথ এন্ড ওয়েলবিং; কোয়ালিটি এডুকেশন; জেন্ডার ইকুয়ালিটি; ক্লিন ওয়াটার এন্ড স্যানিটেশন; অফ ডল এন্ড ক্লিন এনার্জি; ডিসেন্ট ওয়ার্ক অ্যান্ড ইকোনমিক গ্রোথ; ইন্ডাস্ট্রি ইনোভেশন এন্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার; রিকোয়ার্ড ইনেকুয়ালিটিস; সাসটেইনেবল সিটিজ এন্ড কমিউনিটিস; রেসপন্সিবল কনসামশান এন্ড প্রোডাকশন; ক্লাইমেট চেঞ্জ; লাইফ বিলোওয়াটার; লাইফ অন ল্যান্ড; পিস, জাস্টিস এণ্ড স্ট্রং ইন্সটিটিউশন্স ও পার্টনারশিপ ফর দ্যা গোলস। সংশ্লিষ্ট সূচকে পিছিয়ে থাকাই মাভাবিপ্রবির তালিকায় স্থান না পাওয়ার অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। 

‎এ বিষয়ে মাভাবিপ্রবি গবেষণা সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল নাসির বলেন, “ আমাদের গবেষণা কার্যক্রমে বিনিয়োগ কম, গবেষণা অনুদান পর্যাপ্ত নয়, আন্তর্জাতিক প্রকল্প ও যৌথ গবেষণার অভাব রয়েছে।  যা আন্তর্জাতিক র‍্যাঙ্কিংয়ে প্রভাব ফেলে।

‎আমাদের একটি বড় সীমাবদ্ধতা হলো—বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভাগ ও শিক্ষকসংখ্যা কম। র‍্যাঙ্কিংয়ে যেতে হলে কমপক্ষে ৩৫টি বিভাগ এবং ৭০০ শিক্ষক প্রয়োজন। পাশাপাশি টানা ৫ বছর ধরে বছরে ৫০০টির বেশি ইনডেক্সড জার্নালে গবেষণা প্রকাশনার প্রয়োজন হয়।”‎

‎তিনি আরও বলেন, “মাভাবিপ্রবি থেকে অতীতে প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত (ডেটা) প্রদান করা হয়নি। তবে বর্তমানে ‘র‍্যাঙ্কিং বিষয়ক কমিটি’ গঠন করা হয়েছে এবং এ বিষয়ে কাজ শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে ডেটা সংগ্রহের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং ভবিষ্যতে সময়মতো তা প্রদান করার ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আশা করছি, খুব শিগগিরই আমরা ভালো করতে পারব।

‎তবে অনেকেই মনে করেন, র‍্যাঙ্কিংয়ে স্থান না পাওয়া মানেই বিশ্ববিদ্যালয়টি অকার্যকর—এমনটা নয়। বরং এটি একটি চ্যালেঞ্জিং বার্তা, যা ভবিষ্যতে উন্নয়ন পরিকল্পনা ও গুণগত মান নিশ্চিত করার জন্য দিকনির্দেশনা হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে।‎

‎উন্নয়নের পথে অগ্রসর হওয়া জরুরি‎

‎বিশ্ববিদ্যালয় র‍্যাঙ্কিং এখন আর শুধু কাগজে তালিকা নয়; এটি একটি প্রতিচ্ছবি, যা শিক্ষা ও গবেষণায় আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় কে কোথায় দাঁড়িয়ে আছে তা বুঝতে সহায়ক। মাভাবিপ্রবির জন্য এটি ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় গবেষণা খাতকে অগ্রাধিকার দেওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা।

‎বিশ্বমানের তালিকায় স্থান পেতে হলে বিশ্ববিদ্যালয়কে গবেষণায় বিনিয়োগ, আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্ব গড়ে তোলা, শিল্পখাতের সঙ্গে কার্যকর সংযোগ তৈরি এবং শিক্ষার মানোন্নয়নে পরিকল্পিত উদ্যোগ নিতে হবে। তাহলেই ভবিষ্যতে মাভাবিপ্রবি গ্লোবাল র‍্যাঙ্কিংয়ে নিজেদের অবস্থান নিশ্চিত করতে পারবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন শিক্ষার্থীরা ও সংশ্লিষ্টরা।


আরও খবর



১২ দিনের সংঘাতে ১৪ ইরানি বিজ্ঞানী নিহত

প্রকাশিত:বুধবার ২৫ জুন 20২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ জুলাই ২০২৫ |

Image

১২ দিনের সংঘাতে ইরানের অন্তত ১৪ বিজ্ঞানীকে হত্যা করার দাবি করেছে ইসরায়েল। তাদের মধ্যে রসায়নবিদ, পদার্থবিদ ও প্রকৌশলী আছেন। বার্তা সংস্থা এপির বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে আল-জাজিরা।

ফ্রান্সে নিযুক্ত ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত জোশুয়া জারকা দাবি করেছেন, এসব হত্যাকাণ্ডের ফলে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের বোমা হামলা থেকে যে পারমাণবিক অবকাঠামো ও উপকরণ টিকে আছে, সেগুলো দিয়ে ইরানের পক্ষে অস্ত্র তৈরি প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়বে।

রাষ্ট্রদূত জোশুয়া বলেন, ইরানি বিজ্ঞানীদের গোটা দল নিশ্চিহ্ন হওয়ার ঘটনা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে অনেক বছর পিছিয়ে দিয়েছে।

রাষ্ট্রদূত জোশুয়া গত সোমবার এ কথা বলেন। এরপর মঙ্গলবার ইসরায়েলি হামলায় ইরানের রাজধানী তেহরানে দেশটির আরো একজন পরমাণুবিজ্ঞানীর নিহত হওয়ার খবর জানা যায়। ইরানি টেলিভিশনে প্রচারিত খবরে বলা হয়, এই বিজ্ঞানীর নাম মোহাম্মদ রেজা সেদিঘি সাবের।

এর আগে সংঘাত শুরুর দিন অর্থাৎ ১৩ জুন বিজ্ঞানী সাবেরের ওপর এক দফা হামলা হয়েছিল। তবে সে যাত্রায় বেঁচে যান তিনি। যদিও হামলায় নিহত হয় তার ১৭ বছর বয়সি ছেলে।

জোশুয়ার এমন দাবি সত্ত্বেও বিশ্লেষকদের অনেকে বলছেন, ইরানে আরো বিজ্ঞানী বেঁচে আছেন। তারা শিগগির নিহত বিজ্ঞানীদের স্থলাভিষিক্ত হবেন। এসব হত্যার ঘটনা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে পিছিয়ে দিতে পারে, তবে শেষ করতে পারবে না।


আরও খবর