Logo
শিরোনাম

২ দিনের মধ্যে লোডশেডিং পরিস্থিতির উন্নতি হবে

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে মহেশখালীতে ভাসমান দুটি টার্মিনাল থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহ তিন দিন ধরে বন্ধ রয়েছে। এতে পাইপলাইনে গ্যাসের সরবরাহ কমে গেছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন, রান্নার চুলা, শিল্পকারখানায় সংকট দেখা দিয়েছে। গ্যাসের সরবরাহ পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে আরো দুই সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। আর আগামী দুই দিনের মধ্যে লোডশেডিং পরিস্থিতির উন্নতি হবে।

ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে কক্সবাজারের মহেশখালীর দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল থেকে শুক্রবার রাত ১১টা থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করা হয়েছে। গ্যাসের চাপ কমায় ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় দুই দিন ধরে চুলা জ্বালাতে সমস্যায় পড়ছেন ভোক্তারা। গ্যাসসংকটে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে গেছে। তাই ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের একটি বড় অঞ্চলে লোডশেডিং চলছে। শনিবার রাজধানীতে একেক এলাকায় গড়ে পাঁচ ঘণ্টার বেশি লোডশেডিং হয়েছে। রবিবারও লোডশেডিং ছিল ঢাকায়।

নসরুল হামিদ বলেন, দুটি ভাসমান টার্মিনালের মধ্যে একটি গভীর সমুদ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। সেটি থেকে এলএনজি সরবরাহ শুরু হতে ১২ থেকে ১৫ দিন সময় লাগতে পারে। আর যেটি কাছাকাছি আছে, তা থেকে শিগগিরই এলএনজি সরবরাহ শুরু হবে। এতে গ্যাস সরবরাহ পরিস্থিতি এখনকার চেয়ে ভালো হবে।

বর্তমান লোডশেডিং পরিস্থিতির উন্নতি হবে কি না, জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রভাবটা থাকবে, তবে খুব বেশি নয়। একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতি যে তৈরি হয়েছিল, এই সমস্যাটা আর থাকবে না। আগামী দুই দিনের মধ্যেই লোডশেডিং পরিস্থিতিরও উন্নতি হবে। মহেশখালীতে ভাসমান দুটি টার্মিনালের মাধ্যমে বিদেশ থেকে আমদানি করে আনা এলএনজি রূপান্তর করে পাইপলাইনে সরবরাহ করা হয়।

 গত শুক্রবারও এখান থেকে ৬২ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ পাওয়া গেছে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া গভীর নিম্নচাপটি অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ায় শুক্রবার রাত ১১টায় দুটি টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করা হয়। দিনে গ্যাসের চাহিদা প্রায় ৪০০ কোটি ঘনফুট। সর্বোচ্চ সরবরাহ করা হয় গড়ে ২৮০ থেকে ২৮৫ কোটি ঘনফুট। এতে সব সময়ই সরবরাহ ঘাটতি থাকে। এক খাতে বন্ধ করে অন্য খাতে সরবরাহ বাড়ানোর (রেশনিং) মাধ্যমে ঘাটতি সমন্বয় করা হয়। এর মধ্যে দেশীয় গ্যাসক্ষেত্র থেকে আসে ২১৫ থেকে ২২০ কোটি ঘনফুট। এলএনজি বন্ধ হওয়ায় গ্যাস সরবরাহের ঘাটতি বেড়ে গেছে।


আরও খবর



পরীক্ষায় পাসের হার কম থাকায় ৭ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানকে শোকজ

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

স্টাফ রিপোর্টার :

নওগাঁয় দাখিল পরীক্ষায় পাসের হার কম থাকায় ৭টি মাদ্রাসার শিক্ষকদের বেতন বন্ধের জন্য শোকজ করেছে মাদ্রাসা অধিদপ্তর। 

চলতি বছরের দাখিল পরীক্ষায় ১০ শতাংশের কম শিক্ষার্থী এই প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে পাস করেছিলো। এতে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের ভাবমুর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। ফল বিপর্যয় হওয়ায় এসব মাদ্রাসার শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন কেনো বন্ধ করা হবে না তা জানতে চেয়ে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়েছে। গত রবিবার ঐ ৭জন প্রতিষ্ঠান প্রধানকে পাঠানো শোকজ নোটিশ প্রকাশ করেছে মাদ্রাসা অধিদপ্তর।

জানা যায়, ফল বিপর্যয় প্রতিষ্ঠান গুলোর মধ্যে নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার ছোট মহারান্দি টেকনিক্যাল দাখিল মাদরাসার ২০জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে মাত্র ২জন, পাশের হার ১০ শতাংশ, একই উপজেলার নির্মল দারাজিয়া দাখিল মাদরাসার মাদরাসার ১৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ১ জন, পাশের হার ৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ, দিবার সিদ্দিকী নগর দাখিল মাদরাসার মাদরাসার ২৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ১জন, পাশের হার ৪ দশমিক ৩৫ শতাংশ। ফরিদপুর নেছারিয়া দাখিল মাদরাসার মাদরাসার ২১জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ২জন, পাশের হার ৪ শতাংশ।

নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার পঞ্চপুর আলিম মাদরাসার মাদরাসার ২২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ১জন, পাশের হার ৯ দশমিক ৯ শতাংশ, একই উপজেলার বিথী সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার মাদরাসার ১৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ১ জন, পাশের হার ৪ দশমিক ৫৬ শতাংশ। রাজাপুর সিদ্দিকীয়া দাখিল মাদরাসার মাদরাসার ২১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ১ জন, পাশের হার ৪ দশমিক ৭৬ শতাংশ। 

অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জাকির হোসাইন স্বাক্ষরিত শোকজ নোটিশে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের জানানো হয়েছে, মাদরাসা গুলোর কম পাসের হার এমপিও নীতিমালা পরিপন্থি। প্রতিষ্ঠান গুলো এ কর্মকাণ্ডে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে। এসব মাদ্রাসা গুলোর শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিও সাময়িকভাবে স্থগিত বা স্থায়ীভাবে বন্ধের ব্যবস্থা কেনো গ্রহণ করা হবে না তার জবাব আগামী ১৫ দিনের মধ্যে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে জমা দিতে বলা হয়েছে।

অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই গণিত বিষয়ে ফেল করেছে বলে বলে জানা যায়।


আরও খবর



আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ শুক্রবার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক : সন্ত্রাস, নৈরাজ্যের প্রতিবাদে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ। আগামীকাল শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

বৃস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ এক সংবাদ বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। 

তিনি বলেন, শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মুন্নাফীর সভাপতিত্বে সমাবেশে সঞ্চালনা করবেন সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির। সমাবেশে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা অংশ নেবেন বলেও জানান তিনি।


আরও খবর



তিন শতাধিক পর্যটক আটকা সেন্টমার্টিনে

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

বৈরী আবহাওয়া ও সাগর উত্তাল থাকার কারণে দুর্ঘটনা এড়াতে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে সেন্টমার্টিন দ্বীপে ভ্রমণে যাওয়া তিন শতাধিক পর্যটক আটকা পড়েছেন। 

শনিবার সকালে জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আদনান চৌধুরী।

তিনি বলেন, ‘দুর্ঘটনা এড়াতে টেকনাফ থেকে পর্যটকবাহী কোনো জাহাজ সেন্টমার্টিনে যেতে দেওয়া হয়নি। দ্বীপে অবস্থানকারী পর্যটকরা যাতে হয়রানির শিকার না হয় সে বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি সৈকতে পর্যটকদের না নামতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে আবার জাহাজ চলাচল শুরু হবে।

এর আগে শুক্রবার সকালে টেকনাফ থেকে এমভি বার আউলিয়া জাহাজে করে ৮৫২ জন পর্যটক সেন্টমার্টিনে ভ্রমণে যান। দুপুরের পর থেকে বৈরী আবহাওয়া কারণে ওই জাহাজে করে ছয় শতাধিক পর্যটক টেকনাফ ফিরে এলেও অন্যরা দ্বীপে অবস্থান করেন। আদনান চৌধুরী বলেন, মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে সাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে শুক্রবার দুপুরের পর থেকে কক্সবাজারে বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। এতে সাগর উত্তাল থাকায় টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে নৌযান চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। পাশাপাশি আবহাওয়া অধিদপ্তর কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে উপকূলের নৌযানগুলোকে সাবধানে চলাচল করতে নির্দেশ দিয়েছে। 

এদিকে, শনিবার বিকেলেও কক্সবাজার সাগর উপকূলে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত অব্যাহত থাকায় বৈরী আবহাওয়ার কারণে সাগর উত্তাল রয়েছে। এ কারণে সকাল থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। 

বিআইডব্লিউটিএ চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপপরিচালক ও টেকনাফে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নয়ন শীল  বলেন, ‘চলতি মৌসুমে বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে প্রতিবন্ধকতা যাচাই করতে পরীক্ষামূলকভাবে এমভি বার আউলিয়া নামের পর্যটকবাহী একটি জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। মূলত সাত দিনের জন্য আপাতত জাহাজটি চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এতে সফলতা পাওয়া গেলে পরে ওই জাহাজটিসহ অন্যগুলোকেও চলাচলের অনুমতি দেওয়া হবে।

 


আরও খবর



পাল্টে যাচ্ছ মহাদেবপুর শহর চৌমাশিয়া বাজারের চিত্র

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 |

Image

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টার :

নওগাঁর মহাদেবপুর সড়ক প্রশস্তকরণ কাজ চলছে, কাজ সম্পূর্ণ হলে পাল্টে যাবে উপজেলা সদর শহরের চিত্র, কমবে জন-দূর্ভোগ। ইতি মধ্যেই সড়ক প্রশস্তকরণ কাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে। গত বছর শুরু হওয়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের এ বিশাল প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে যোগাযোগের ক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্তের উন্মেষ সূচনা ঘটবে। একই সাথে পাল্টে যাবে মহাদেবপুর উপজেলা সদর শহর সহ এলাকার সড়কের চেহারা। এমনটিই জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। 

সওজ বিভাগ নওগাঁ থেকে আত্রাই, বদলগাছী, মহাদেবপুর আর মান্দা থেকে নিয়ামতপুর পর্যন্ত ৬টি সড়কে মোট ১৪টি প্যাকেজে আঞ্চলিক মহাসড়ক উন্নয়নের প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এজন্য বরাদ্দ করা হয়েছে এক হাজার একশ’ কোটি টাকা। মহাদেবপুর অংশে ব্যয় হবে একশ’ ২০ কোটি টাকা। এর মধ্যে রয়েছে নওগাঁ টু মহাদেবপুর হয়ে পত্নীতলা সড়কের চৌমাশিয়া বাজার (নওহাটামোড়) থেকে আখেড়া পর্যন্ত। শুধু মহাদেবপুর না ইতি মধ্যেই নওগাঁ জেলার মধ্যেমনি স্থান হিসেবে পরিচিত চৌমাশিয়া (নওহাটামোড়) বাজারে ব্যাপক উন্নয়ন এর ছোয়াতে পাল্টে গেছে এবাজারের চেহারা। পুঠে ওঠেছে এক সুন্দর বাজার এর চিত্র। তারপরও চলমান রয়েছে আরো কাজ। কাজ সম্পূর্ণ শেষ হলে জনগুরুত্বপূর্ণ তিন-মাথা চৌমাশিয়া (নওহাটামোড়) বাজার সর্বসাধারনের কাছে বিনোদন কেন্দ্র হয়ে ফুটে ওঠবে বলেই মনে করছেন মানুষজন। মহাদেবপুরে চলমান আখেড়া থেকে কালুশহর মোড় পর্যন্ত এবং কালুশহর মোড় থেকে পত্নীতলা বিজিবি ক্যাম্প পর্যন্ত প্রতি প্যাকেজে ৯ থেকে ১০ কিলোমিটার। এছাড়া মহাদেবপুর কুঞ্জবন থেকে ছাতুনতলী নতুন হাট পর্যন্ত ০ থেকে ৯ কিলোমিটার। 

চৌমাশিয়া (নওহাটামোড়) বাজার থেকে পত্নীতলা বিজিবি ক্যাম্প পর্যন্ত সড়কের স্বাভাবিক চওড়া হবে ১০ দশমিক ৩ মিটার অর্থাৎ ৩৪ ফুট। তবে মহাদেবপুর উপজেলা সদর এলাকায় বচনা ব্রিজের পশ্চিমে চাউল কল মালিক গ্রুপের অফিস থেকে ঘোষপাড়ার মোড় আলফা ক্লিনিকের সামনে পর্যন্ত মোট এক কিলোমিটার ৩০০ মিটার সড়ক হবে আরসিসি ঢালাই। আর চওড়া হবে ৬৮ ফুট। মাঝখানে থাকবে আইল্যান্ড। ইতিমধ্যেই এর ৬০০ মিটার ঢালাই কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি ৭০০ মিটারের কাজ রয়েছে চলমান। মহাদেবপুর কুঞ্জবন থেকে ছাতুনতলী নতুন হাট পর্যন্ত সড়ক হবে ১৮ ফুট চওড়া। আর বিভিন্ন বাজার এলাকায় হবে ২৪ ফুট আরসিসি ঢালাই। 

এসব সড়কে প্রয়োজনীয় স্থানে নতুন ব্রিজ ও কালভার্টও নির্মাণ করা হবে। 

পাশাপাশি মহাদেবপুর উপজেলা সদরের বাসস্ট্যান্ডে বর্তমানে যে মাছের মোড়ের মাছের ফোয়ারা আর চারমাথা বকের মোড়ের বকের ফোয়ারা আর থাকবেনা। এ দুটি স্থানে তৈরি হবে চৌমাশিয়া (নওহাটামোড়) বাজারের আদলে বিশাল ইন্টারসেকশন। আগামী এক দের বছরের মধ্যেই এগুলোর কাজ শেষ হবে। এগুলো সম্পন্ন হলে মহাদেবপুর উপজেলা সদর শহরের চেহারাও পাল্টে যাবে। জাতীয় সংসদ-৪৮, নওগাঁ-৩, মহাদেবপুর-বদলগাছী আসনের এমপি আলহাজ্ব মোঃ ছলিম উদ্দিন তরফদার সেলিম এর উদ্যোগে বিশাল বাজেট এর উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। এমপি'র প্রচেষ্টায় ৩৪ ফুট চওড়া ঢালাই সড়ক বচনা ব্রিজ এলাকা থেকে বাড়িয়ে আখেড়া ওসমান গণির বয়লারের ওপার কালভার্ট পর্যন্ত এবং ঘোষপাড়ার মোড় আলফা ক্লিনিকের সামনে থেকে বাড়িয়ে বরেন্দ্র মোড় পর্যন্ত বর্ধিত করার চেষ্টা চলছে ৬৮ ফিট করণের। এছাড়া উপজেলা সদরের জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে মহাসড়কের পাশ দিয়ে নতুন ড্রেনেজ ব্যবস্থাও সংযোগের উদ্যোগ নিয়েছেন এমপি ছলিম উদ্দিন তরফদার। 

সরেজমিনে উপজেলা সদরের বুলবুল সিনেমা হল এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সেখানে পানি নিষ্কাশনের জন্য একটি কালভার্ট নির্মাণ কাজ করা হচ্ছে। এছাড়া শিবগঞ্জ মোড়ে সড়কে আরসিসি ঢালাই দেয়া হচ্ছে। সেখানে পাওয়া গেলো সড়ক ও জনপথ বিভাগ নওগাঁর পত্নীতলা উপ-বিভাগের মহাদেবপুর এর দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারি প্রকৌশলী নুর আহমেদকে। তিনি জানালেন প্রকল্পের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে। প্রকল্পটি শেষ হলে এলাকার সড়ক যোগাযোগে প্রভূত উন্নয়ন সাধিত হবে। অপরদিকে নওগাঁ জেলার মধ্যেবর্তী স্থান ও জেলার জনগুরুত্বপূর্ণ তে-মাথা চৌমাশিয়া (নওহাটামোড়) বাজারে ও ব্যাপক উন্নয়ন কাজ দ্রুত গতীতে এগিয়ে চলেছে। কাজ সব সম্পূর্ণ হলে এবাজার এর চেহারাও পাল্টে যাবে বলেই বলাবলি করছেন সর্ব-সাধারন।


আরও খবর



মরুভূমির নিচে বিশাল পানির ভান্ডার

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

মরুভূমিতে পানির অভাব, অথচ মাটির নিচেই রয়েছে প্রাচীন জলাধার। সুদানসহ আফ্রিকার বড় কয়েকটি দেশজুড়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভূগর্ভস্থ ভান্ডারের অস্তিত্ব রয়েছে। আধুনিক পদ্ধতি ও প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে সেই পানির সদ্ব্যবহারের চেষ্টাও চলছে।

সুদানের যত উত্তরে যাওয়া যায়, জমি ততই শুষ্ক হয়ে ওঠে। কয়েকশ কিলোমিটারজুড়ে শুধু মরুভূমি। অবিশ্বাস্য মনে হলেও বালুর স্তূপের নিচে কিন্তু পানির বিশাল ভান্ডার রয়েছে। মিশর, সুদান থেকে চাদ ও লিবিয়া পর্যন্ত সেই জলাধার বিস্তৃত। গত শতাব্দীর পঞ্চাশের দশকে খননের সময় নিউবিয়ান স্যান্ডস্টোন অ্যাকুইফার নামের সেই ভান্ডার আবিষ্কার করা হয়েছিল।

ভূতত্ববিদ হিসেবে আব্দুল্লাহ ওমর গত ২০ বছর ধরে অ্যাকুইফার নিয়ে গবেষণা করছেন। কয়েকটি জায়গায় ভূপৃষ্ঠের কাছাকাছি পানির নাগাল পাওয়া যায়। ২০০৪ সালে খননের সময় ওমর এল গা-আব অঞ্চলে একটি উৎস খুলে দেন।

ওমর বলেন, উত্তরের অংশে গভীরতা ৬০ মিটার অথবা আরও কম। ভাবতে পারেন? একটি সেচ প্রণালী দিয়ে ৫০ হেক্টর জমিতে সেচ করা সম্ভব। সেটা সত্যি অনন্য। এতে জলাধারের শক্তিশালী প্রবাহ স্পষ্ট হয়ে যায়।

গা-আব এল-হাশার মতো স্থানীয় গ্রাম এর ফলে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হয়েছে। ২০ বছর আগে সেই উৎস আবিষ্কারের পর থেকে মানুষ নিয়মিত পানির নাগাল পাচ্ছে।

আব্দুল হাফিজ সাইদের মতো চাষি সেই সুযোগের পুরোপুরি সদ্ব্যবহার করছেন। কয়েকশ হেক্টরজুড়ে তার নিজস্ব খেতে তিনি নানা ধরনের শাকসবজি ও ফলমূল উৎপাদন করছেন। ফাভা বিনস, জোয়ার এবং আলফালফার পাশাপাশি চলতি বছর তিনি গম উৎপাদনে মনোযোগ দিয়েছেন।

আব্দুল হাফিজ বলেন, কৃষিকাজে পানি ঠিকমতো ব্যবহার করা উচিত। অর্থাৎ আমার মতে, উন্নত পদ্ধতি ও উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে পানির সাশ্রয় করা সম্ভব। কিন্তু প্রথাগত পদ্ধতি ব্যবহার করলে বেশি পানি লাগে।

বেশ কয়েক বছর ধরে প্রাচীর গড়ে তোলার সুফল ভোগ করে আব্দুল হাফিজ সাইদ নিয়মিত তার খেতে সেচের কাজ করতে পারেন। প্রত্যেকটি উৎসের জন্য তার প্রায় সাড়ে চারশো ইউরোর মতো ব্যয় করতে হয়। কিন্তু তারপর গ্রামবাসী ও চাষিরা বিনামূল্যে পানি পেতে পারেন।

নিউবিয়ান স্যান্ডস্টোন অ্যাকুইফার বিশ্বের সবচেয়ে বড় জীবাশ্ম জলাধার। অর্থাৎ কয়েক লাখ বছর আগে সেখানে পানি জমা হয়ে মাটির নিচে আবদ্ধ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু অ্যাকুইফারের পানির ভাণ্ডার মোটেই অফুরন্ত নয়। কয়েকটি জায়গায় কম হলেও নতুন করে পানি আসে। অন্য জায়গায় একেবারেই সেটা ঘটে না।

কয়েকজন গবেষকের ধারণা অ্যাকুইফারের আয়ু কমপক্ষে আরও দুইশো বছর। তবে সে বিষয়ে কোনও নিশ্চয়তা নেই। এছাড়া সময়টাও বেশি নয়। এক আন্তর্জাতিক চুক্তি ও জাতিসংঘের এক প্রকল্পের মাধ্যমে সেই পানি ন্যায্য ও টেকসই উপায়ে ব্যবহার করার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে।

সুদানের সরকার ২০২২ সালে পানির ব্যবহার সংক্রান্ত একটি আইনে সম্মতি জানিয়েছিল। সেচ ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে সেটি কার্যকর করার কথা। এখনও পর্যন্ত সরকার জনগণের জন্য ৩৮টি ছোট এবং ছয়টি গভীর কূপ তৈরি করেছে।

মন্ত্রণালয়ের পানি বিশেষজ্ঞ অটমান আহমেদ বলেন, আমরা দেশের উত্তরে ও নীলনদের কাছের প্রদেশগুলোতে গম উৎপাদনের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখেছি। আমরা জানতে পেরেছি, যে অ্যাকুইফারের পানি ব্যবহার করে দুই লাখ দশ হাজার হেক্টরেরও বেশি জমিতে গম উৎপাদন করতে পারি। পানির স্তর না কমিয়ে বা অ্যাকুইফারের ক্ষতি না করেই সেটা সম্ভব।

এখনও পর্যন্ত অ্যাকুইফারে জমা বিশাল পরিমাণ পানি অন্তত কাগজে-কলমে কমেনি। তা সত্ত্বেও মানতে হবে, গোটা অঞ্চলের জনসংখ্যা এবং সেইসঙ্গে চাষি ও পশুপালকদের সংখ্যাও বাড়ছে। ভূতত্ত্ববিদ আব্দুল্লাহ ওমর নিয়মিত উত্তরের প্রদেশগুলোর গ্রামে গিয়ে পানির ব্যবহারের ওপর নজর রাখেন।

তিনি বলেন, গোটা উত্তর প্রদেশে ১১টি ডিভাইস ছড়িয়ে রয়েছে, যেগুলোর পানির স্তরে পরিবর্তনের দিকে লক্ষ্য রাখার কথা।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বেড়ে চলা মরুকরণের অর্থ, এই অঞ্চলে অতীতের তুলনায় পানির গুরুত্ব অনেক বেড়ে গেছে। বিশাল অ্যাকুইফারের জীবাশ্ম পানি বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে কাজে লাগাতে পারলে সেখানে মানুষ ও প্রাণীর অস্তিত্ব রক্ষা করা অনেক সহজ হবে।


আরও খবর

পাকিস্তানি ১৬ ভিক্ষুক আটক

সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3