Logo
শিরোনাম

খালেদা জিয়াকে মুক্ত না করলে যে কোনো পরিণতির জন্য তৈরি থাকুন

প্রকাশিত:শনিবার ২৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image


বিডি টুডেস  ডেস্ক:


খালেদা জিয়াকে মুক্ত না করলে যে কোনো পরিণতির জন্য তৈরি থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।



 তিনি বলেন, আমরা খুব পরিষ্কার করে বলতে চাই, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করুন, অন্যথায় আপনাদের যে কোনো পরিণতির জন্য তৈরি থাকতে হবে। দেশের মানুষ তাকে অন্যায়ভাবে বন্দি অবস্থায় থাকতে দেবে না।


শনিবার (২৯ জুন) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।



খালেদা জিয়াকে গণতন্ত্রের প্রতীক উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল অন্যান্য দলের প্রতি আহ্বান জানান, আসুন গণতন্ত্রকে রক্ষায় যেভাবে এক হয়ে, যুগপৎ আন্দোলন আমরা করেছি, একইভাবে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে আন্দোলন করি। তরুণদের প্রতি আহ্বান, তোমাদের হাতেই দেশের ভবিষ্যৎ, দেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ।


তিনি বলেন, বাংলাদেশে খালেদা জিয়া ও গণতন্ত্রকে আলাদা করে দেখার সুযোগ নেই। গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলনের জন্য আজ আমাদের ৬০ লাখ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে। আমাদের ৭০০ জনের বেশি মানুষকে গুম করা হয়েছে।



 কয়েক হাজার মানুষকে এক্সট্রা জুডিশিয়াল কিলিং করা হয়েছে। ৪ হাজার নেতা-কর্মীকে মিথ্যা মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে। বহু নেতা-কর্মী মিথ্যা মামলায় জেল খাটছে।



তিনি আরও বলেন, এর উদ্দেশ্য একটাই, দেশের গণতন্ত্রকামী তরুণদের, গণতন্ত্রকামী মানুষদের আটক-গ্রেপ্তার করে, নির্যাতন করে, গুম করে দিয়ে গণতন্ত্রকে চিরদিনের জন্য বিদায় করতে চায়। তা তারা করেছেও, গোটা দেশের দিকে তাকিয়ে দেখুন।


রাজপথে আরও তীব্র থেকে তীব্রতর আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ভয়ে মারা যাওয়ার মধ্যে কোনো সার্থকতা নেই। সাহস করে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। 



এ কথা বারবার বলতে হচ্ছে- কারণ পরিবর্তন যে আসে তা শুধুমাত্র আমাদের মতো বয়স্কদের দ্বারা আসে না। পরিবর্তন আসে তরুণ-যুবকদের মাধ্যমে।


সরকার দেশকে ধ্বংস করে দিয়েছে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার একটি দখলদার সরকার। এরা জনগণের ম্যান্ডেট পায়নি। একদিকে তারা রাজনৈতিক কাঠামো ধ্বংস করেছে, আরেকদিকে অর্থনৈতিক কাঠামো ধ্বংস করেছে। 



তারা ব্যাংক লুট করে বিদেশে পাচার করেছে। মানুষ চিকিৎসা পায় না। শিক্ষাও ধংসের দিকে নিয়ে গেছে।


সরকারি কর্মকর্তাদের দুর্নীতি নিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, কেউ চিন্তাও করতে পারে না, সেনাবাহিনীর প্রধান- তিনি আজ দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। কর্মকর্তাদের দুর্নীতির খবর বের হয়ে আসছে। 



আজ অবিশ্বাস্য লাগে, পুলিশ বাহিনীর প্রধান নাকি হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক! আরও বড় বড় রাখব বোয়াল যারা আছে, চোরের হোতা, তাদের ধরা হচ্ছে না।


আরও খবর



জানুয়ারিতে উদ্বোধন করা হবে আরও ৫০ মডেল মসজিদ

প্রকাশিত:শনিবার ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ জানুয়ারী ২০25 |

Image

আগামী জানুয়ারিতে আরও ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন করা হচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ মসজিদগুলো উদ্বোধন করবেন।

চট্টগ্রাম জেলা মডেল মসজিদ ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র পরিদর্শনে এসে তথ্য জানান অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা . খালিদ হোসেন।

এর আগে ধর্ম উপদেষ্টা মসজিদের মাঠে মারকাজুল হাফেজাত ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার আন্তর্জাতিক পুরস্কার পাওয়া হাফেজ হাফেজাদের হাতে সম্মাননা তুলে দেন। তখন তিনি বলেন, ‘কোরআনের উর্বর ভূমি হলো বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক অঙ্গলে হাফেজরা দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করছে। ২০২৪ সালে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করতে অবদান রেখেছেন এক নারীসহ ১৫ জন কোরআনের হাফেজ। সৌদি আরব, মিশন, তুরস্ক, ইরানসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আয়োজিত আন্তর্জাতিক কোরআন কেরাত প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়েছেন এই হাফেজরা।

উল্লেখ্য, দেশের সব জেলা উপজেলায় মোট ৫৬৪টি মডেল মসজিদ ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণের কাজ চলছে। পর্যন্ত ৩০০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন করা হয়েছে।


আরও খবর

১ হাজারই বহাল থাকছে হজ এজেন্সির কোটা

মঙ্গলবার ০৭ জানুয়ারী ২০২৫




চৌদ্দগ্রামে মুক্তিযোদ্ধা লাঞ্ছিতের ঘটনায় আটক ৫

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৪ ডিসেম্বর 20২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

নিজস্ব প্রতি‌বেদক ,কুমিল্লা :

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কানুকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ভিডিও দেখে ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

 মঙ্গলবার কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরাফাতুল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আটককৃতরা হলেন—ইসমাইল হোসেন মজুমদার (৪৩), জামাল উদ্দিন মজুমদার (৫৮), ইলিয়াছ ভূইয়া (৫৮), আবুল কালাম আজাদ (৪৮) ও ইমতিয়াজ আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ (১৯)।

গেল রোববার দুপুরে ওষুধ কিনতে বাড়ির কাছের বাজারে যাওয়ার পর স্থানীয় জামায়াত কর্মী আবুল হাসেমের নেতৃত্বে ১০-১২ জন আব্দুল হাই কানুকে জুতার মালা পরিয়ে দেন।

পুলিশ জানায়, ঘটনার ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের আটক করতে অভিযান অব্যাহত র‌য়ে‌ছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরাফাতুল বলেন, 'ওই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ দায়ের না করায় পুলিশ আটককৃতদের ৫৪ ধারায় আদালতে হাজির করা হ‌য়ে‌ছে। প‌রে এটি নিয়মিত মামলা করা হবে।

এ ঘটনায় আটককৃত‌দের চৌদ্দগ্রাম থানা পু‌লিশ গোপনীয়তার স‌হিত মি‌ডিয়ারকর্মী‌দের চোখ ফা‌কি দি‌য়ে বিকেলে ৫জনকে কু‌মিল্লার আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

 'ন‌্যায় বিচা‌রের আকু‌তি জা‌নি‌য়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কানু  বলেন, অপরাধীদের শাস্তি নি‌শ্চিত করার আহবান জানান সরকারের কাছে  ।‌তি‌নি এখনও ফেনীতে তার মেয়ের সঙ্গে অবস্থান করছেন । সেখানেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। তি‌নি নিজ বা‌ড়ি‌তে ফির‌তে চান।  

এদি‌কে কুমিল্লায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানুর ওপর হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধারা। তারা এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।      সোমবার দিবাগত রাতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে থানা পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।       

 উপজেলার বাতিসা ইউনিয়নের কুলিয়ারা গ্রামের মজুমদার বাড়ীর আব্দুল হক মজুমদারের ছেলে ইসমাইল হোসেন মজুমদার (৪৩), একই বাড়ীর মৃত সুলতান আহম্মেদ মজুমদারের ছেলে জামাল উদ্দিন মজুমদার (৫৮), কুলিয়ারা ভূঁইয়া বাড়ীর মৃত এছাক ভূঁইয়ার ছেলে ইলিয়াছ ভূঁইয়া (৫৮), পাশ্ববর্তী নাঙ্গলকোট থানাধিন রায়কোট উত্তর ইউনিয়নের রায়কোট গ্রামের মৃত ছিদ্দিকুর রহমানের ছেলে এবং কুলিয়ারা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম আবুল কালাম আজাদ (৪৮) ও চাঁদপুর জেলার সদর থানার মইশাদী গ্রামের মো: জাকির হোসেনের ছেলে ইমতিয়াজ আব্দুল্লাহ্ সাজ্জাদ (১৯)।                 মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দুুপুরে আটককৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে চৌদ্দগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ.টি.এম আক্তার উজ জামান বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রোববার দুপুরের পর থেকে স্থানীয় একজন মুক্তিযোদ্ধাকে বিক্ষুব্ধ জনতা হেনস্থা করার ভিডিও ভাইরাল হয়। এ ঘটনাটি জানতে পেরে বিশেষ গুরত্বারোপ করার পাশাপাশি ভুক্তভোগি মুক্তিযোদ্ধার সাথে কথা বলে উনাকে আইনের আশ্রয় নিতে পরামর্শ দেই। কিন্তু তিনি অপারগতা প্রকাশ করায় বিষয়টি নিয়ে এগোতে পারিনি। তবে, ভাইরালকৃত ভিডিও দেখে অভিযুক্তদের শনাক্তের চেষ্টা করে পুলিশ। পরে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে রাতেই বিশেষ অভিযান চালিয়ে উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। আইনী প্রক্রিয়া শেষে মঙ্গলবার দুপুরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আব্দুল হাই ভূঁইয়া কানু একজন প্রবীন রাজনীতিবিদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা। তাঁর নিজ এলাকার একটি স্কুল ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচন ও স্থানীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে এলাকাবাসীর সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। সে সময় তিনি এলাকার কয়েকজন সম্মানিত সামাজিক ব্যক্তিকে অপমান-অপদস্ত ও হয়রানি করেন বলেও জানা গেছে। তার বিরুদ্ধে হত্যা, তথ্য প্রযুক্তি, মারামারি ও রাজনৈতিক মামলা সহ একাধিক মামলা রয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তিনি বিভিন্ন মামলায় একাধিকবার গ্রেফতার হন এবং জেল খাটেন। বহুদিন নিজ এলাকায় না এসে আত্মগোপনে ছিলেন তিনি। গত ৫ আগস্টের পর দেশের পটভূমি পাল্টে গেলেও তিনি নিজ এলাকায় আসেননি। রোববার দুপুরে স্থানীয়রা তাকে এলাকায় দেখতে পেয়ে পাতড্ডা বাজার থেকে টেনে-হিছড়ে পাশ্ববর্তী কুলিয়ারা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে নিয়ে এসে গ্রাম ছাড়ার হুমকি ও সকলের কাছে ক্ষমা চাওয়ার কথা বলেন। এ সময় উত্তেজিত জনতা তাকে শারীরিকভাবে হেনস্থা করে। প্রত্যক্ষদর্শীদের কেউ এ ঘটনার ভিডিও ধারণ করেন। পরে এ ঘটনার ধারণকৃত ১ মিনিট ৪৬ সেকেন্ড এর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে নেটিজেনরা সমালোচনার ঝড় তোলেন। পুলিশ বিষয়টি জানতে পেরে গুরুত্ব সহকারে আমলে নেয় এবং ভিডিও দেখে শনাক্ত করে অভিযুক্তদের মধ্যে ৫ জনকে গ্রেফতার করে। বাকীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।


আরও খবর



৫ মাসে অন্তর্বর্তী সরকার ৯০ শতাংশ সফল

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম বললেন, দেশের বর্তমান অবস্থা অনেকটাই স্থিতিশীল এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিরও অনেক উন্নতি ঘটেছে। তিনি দেশ পরিচালনায় গত পাঁচ মাসে অন্তর্বর্তী সরকার ৯০ শতাংশ সফল বলেও উল্লেখ করেছেন।

দেশের একটি অনলাইন মিডিয়াকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এ দাবি করেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব।

অন্তর্বর্তী সরকারের পাঁচ মাসের পরিচালনায় দেশের সার্বিক পরিস্থিতির মূল্যায়ন জানতে চাইলে শফিকুল আলম বলেন, আমরা দেশের অশান্ত সময়টা পার করেছি।

এখন দেশ অনেকটাই স্থিতিশীল, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিরও অনেক উন্নতি ঘটেছে। অর্থনীতির চাকা সচল হয়েছে। আমলাতন্ত্রেও আমরা স্থিতিশীল অবস্থা ফিরিয়ে এনেছি, যদিও কিছু কিছু জায়গায় এখনও উত্তেজনা চলছে। সব মিলিয়ে দেশ পরিচালনায় গত পাঁচ মাসে অন্তর্বর্তী সরকারকে আমি একশোর মধ্যে ৯০ ভাগ সফল বলে মনে করি। দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুদসহ অর্থনীতির উন্নতির প্রসঙ্গ টেনে প্রেসসচিব বলেন, আপনি যদি রিজার্ভের কথা বলেন এটা কিন্তু দ্রুত বাড়ছে। অর্থনীতির দিকে তাকান, যে খারাপ সময়ের মধ্যে আমরা গিয়েছিলাম, তার উন্নতি ঘটেছে। গত তিন-চার মাসের রপ্তানির দিকে লক্ষ্য করুন, এটা খুব গতিশীল। সেপ্টেম্বরে ৭ শতাংশ, অক্টোবরে ২১ শতাংশ, নভেম্বরে এসে ১৬ শতাংশ রপ্তানি বেশি হয়েছে।

আমরা আশা করছি, ডিসেম্বরের শেষে একটা ভালো প্রবৃদ্ধি হবে। আর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কথা যদি বলি, সেখানে দেখা যাচ্ছে গত বছরের মতোই পরিস্থিতি বিরাজ করছে এখন।

আইনশৃঙ্খলার বর্তমান পরিস্থিতি সন্তোষজনক কি না প্রশ্নে প্রেসসচিব বলেন, এ বিষয়ে সন্তুষ্ট হওয়া যায় না। কারণ, আমরা তো চাই অপরাধ আরও কম হোক।

নির্বাচন ইস্যুতে তিনি জানান, দুটো সময়সীমার মধ্যে সিদ্ধান্তটা এগিয়ে নিচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার।

ন্যূনতম একটা সংস্কার করে নির্বাচন দিলে সেটা আগামী ডিসেম্বরে এবং আরও বেশি সংস্কার চাইলে সময়টা আরো ছয় মাস এগোতে পারে।

শফিকুল আলম বলেন, গোটা বিষয়টা নির্ভর করছে সংস্কার নিয়ে সংলাপটা কেমন হবে, আমরা কতটা সংস্কার করতে চাচ্ছি তার ওপর। সংস্কার তো চলমান প্রক্রিয়া। বিষয়টা এমন না যে, এক-দেড় বছরের মধ্যে আমাদের প্রয়োজনীয় সব সংস্কার শেষ হয়ে যাবে। নির্বাচিত সরকার এলে তারা এই সংস্কার আরো এগিয়ে নিয়ে যাবেন। তবে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনটা নিশ্চিত করাই এখন প্রধান কাজ। এই সংস্কারটা আগে করতে হবে। এরই সঙ্গে সংবিধান সংশোধনীর জন্য কিছু কিছু বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যমতে পৌঁছাতে হবে। এবং সে কাজটা এগিয়ে নিতে ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে। ওই ছয় কমিশনের চেয়ারম্যানদের নিয়ে ‘জাতীয় ঐকমত্য গঠন কমিশন’ আছে, যেখানে অধ্যাপক ইউনূস চেয়ারম্যান।

সংস্কার ইস্যুতে বিএনপি, জামায়াতসহ রাজনৈতিক দলগুলো ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের সমন্বয়কদের বিভিন্ন ধরনের অবস্থান, অভিযোগ, বক্তব্য শোনা যাচ্ছে। এসব কারণে সংস্কার ইস্যুতে সরকার একটা বড় বিপর্যয়ের মুখে পড়বে কি না প্রশ্নে তিনি বিষয়টি একেবারে নাকচ করে দেন।

প্রেস সচিব বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ভিন্ন ধরনের বক্তব্য থাকবেই। এটাই স্বাভাবিক। সবার মতামত এক হবে - এটাও ঠিক না। সবাই সবার মত, চিন্তা-ভাবনাগুলো জানাবেন। জনগণ সেখান থেকে বেছে নেবে কোনটা তাদের জন্য ভালো। এই মতামত আদান-প্রদানের সময় যে কোনো সংঘাত ঘটবে তা আমি মনে করি না।

রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিভেদ, বক্তৃতার মাধ্যমে একে অপরকে আক্রমণ সব গণতান্ত্রিক দেশেই হয় বলে জানান শফিকুল আলম।

তিনি বলেন, এটা শুধু আমাদের দেশেই হয় না। পশ্চিমা দেশগুলোর রাজনীতিতে এই সংস্কৃতি আরও ভয়াবহ। যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ক্যাম্পেইনের সময় দেখবেন তাদের মধ্যে কী ধরনের আক্রমণাত্মক বক্তব্য চলে। একজন আরেকজনকে ‘গণশত্রু’ বলে প্রচার করে। আসলে রাজনীতিতে এটা সাধারণ ব্যাপার, বিতর্ক থাকবেই। সবচেয়ে বড় কথা, এই তর্ক-বির্তকে যদি সবাই মিলে অংশ নেয় তবে একটা সুষ্ঠু সমাধানে আসা যায়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের প্রক্লেমেশন বা জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র ৩১ ডিসেম্বর প্রকাশ না হওয়া নিয়েও বক্তব্য দেন প্রেস সচিক শফিকুল আলম।

শুরুতে এই প্রক্লেমেশনে সরকারের কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলা হলেও পরে বলা হয়, সরকারই এই প্রক্লেমেশন ঘোষণা দেবে। সরকারের এই সিদ্ধান্ত নিল কেন বা এই ইস্যুতে কী ঘটেছিল?

জবাবে শফিকুল আলম বলেন, এ বিষয়ে বিস্তারিততে যেতে চাই না। তবে একটি ঘোষণাপত্রে দেশের সব রাজনৈতিক দলের মতামতের অংশগ্রহণ থাকুক তা চায় অন্তর্বর্তী সরকার। সবাই একই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়ে একটা ঘোষণাপত্র তৈরি হোক, আর সেখানে ড. ইউনূস অবশ্যই থাকবেন।


আরও খবর



সৌদির তাপমাত্রা ফের শূন্য ডিগ্রির নিচে নামবে

প্রকাশিত:শনিবার ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

তাপমাত্রা শূন্য ডিগ্রিরও নিচে নেমে আসবে সৌদি আরবের কয়েকটি জায়গার। কিছু অঞ্চলের তাপমাত্রা -৪ ডিগ্রিতে পৌঁছাতে পারে। শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ।

ঠাণ্ডায় সবচেয়ে বেশি কাবু হবে দেশটির উত্তরাঞ্চল। যার মধ্যে রয়েছে তাবুক, আল জউফ, উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্ত ও উত্তর মদিনা। আগামী ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত এমন আবহাওয়া পরিলক্ষিত হবে।

সৌদিতে ইতিমধ্যে বেশ শীত পড়েছে। আজ শনিবার থেকে যে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হচ্ছে এর প্রভাবে তাবুক, আল জউফ এবং হেইলের তাপমাত্রা -৪ ডিগ্রিতে নামবে।

গত কয়েকদিন ধরে সৌদিতে আলোচনা চলছে, এবার দেশটির ইতিহাসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পরিলক্ষিত হবে। তবে জাতীয় আবহাওয়া কেন্দ্রের মুখপাত্র হুসেইন আল কাহতানি গত বুধবার জানান, এসব তথ্য গুজব।

মরুর দেশ সৌদিতে গ্রীষ্মকালে পরিলক্ষিত হয় অসহনীয় তাপমাত্রা। বিশেষ করে জুন-জুলাই মাসে সূর্যের তাপে ঘর থেকে বের হওয়া যায় না। আর শীতকালে তাপমাত্রা নেমে আসে শূন্যের কোঠায়। চলতি বছর হজ মৌসুমে দেশটিতে তাপমাত্রা এতই বেশি ছিল যে, মক্কায় হজ করতে গিয়ে ১ হাজার ৩০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।


আরও খবর



মঙ্গলবার ব্যাংক হলিডে, বন্ধ থাকবে লেনদেন

প্রকাশিত:সোমবার ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ জানুয়ারী ২০২৫ |

Image

আগামীকাল মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) ব্যাংক হলিডে উপলক্ষে ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কোনো লেনদেন হবে না। বন্ধ থাকবে দেশের প্রধান দুই শেয়ারবাজার ডিএসই ও সিএসই। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ছুটির তালিকা অনুযায়ী প্রতি বছরের ১ জুলাই ও ৩১ ডিসেম্বর দুদিন ‘ব্যাংক হলিডে’। আর্থিক প্রতিবেদন চূড়ান্ত করার জন্য বার্ষিক হিসাবনিকাশ শেষ করতে প্রতি বছর এই দুই দিন ‘ব্যাংক হলিডে’ পালন করা হয়।

প্রথা অনুযায়ী অর্থবছরের প্রথম দিন ১ জুলাই এবং পঞ্জিকা বছরের শেষ দিন ৩১ ডিসেম্বর ব্যাংকের সব ধরনের লেনদেন বন্ধ থাকলেও শুধু ব্যাংকের নিজস্ব দাপ্তরিক কার্যক্রম চলে। আর্থিক হিসাব মেলাতে সব ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ও গুরুত্বপূর্ণ শাখা খোলা থাকবে। তবে ব্যাংক কিংবা গুরুত্বপূর্ণ শাখা খোলা থাকলেও সেখানে কোনো ধরনের লেনদেন সম্পন্ন হয় না।

ব্যাংক হলিডেগুলোতে বাংলাদেশ ব্যাংক, কোন ব্যাংক থেকে ব্যাংক বা ব্যাংক গ্রাহকদের সঙ্গে কোনো ধরনের লেনদেন পরিচালনা করা হয় না। এ সময়ে গ্রাহক চাইলে কার্ডের মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। অপরদিকে পুঁজিবাজারের শেয়ার কেনাবেচার পর ব্যাংকের মাধ্যমে অর্থ লেনদেন হয়ে থাকে। ব্যাংক বন্ধ থাকলে দেশের দুই পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) কোনো লেনদেন হয় না। তবে আগামীকাল মঙ্গলবার পুঁজিবাজারে শেয়ার লেনদেন না হলেও দাপ্তরিক কার্যক্রম চলবে।


আরও খবর

বাড়তি ভ্যাট পুনরায় বিবেচনা করা হচ্ছে

শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫

রাজধানীর কাঁচাবাজারে ফিরেছে স্বস্তি

শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৫