Logo
শিরোনাম

৯ ও ১২ ফেব্রুয়ারি পদযাত্রা করবে বিএনপি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image

সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবি আদায়ে ঢাকায় আবারো দু'দিনের পদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।তিনি বলেন,বিএনপি শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করতে চায়, তবে জনগণ চাইলে হরতাল ও অবরোধ কর্মসূচি দেয়া হবে।

 গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান মির্জা ফখরুল। আগামী বৃগস্পতিবার, মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আয়োজনে
গোপিবাগ ব্রাদার্স ক্লাব মাঠ থেকে থেকে জাতীয় প্রেসক্লাব পর্যন্ত পদযাত্রা করা হবে।আর ১২ ফেব্রুয়ারি উত্তরের আয়োজনে, শ্যামলী ক্লাব মাঠ থেকে বসিলা পর্যন্ত এই কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি।বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির তদন্ত দাবি করে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ যে বিবৃতি প্রকাশ করেছে তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।এছাড়া তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পে হতাহতের ঘটনায়ও উদ্বেগ প্রকাশ করেন মির্জা ফখরুল।


আরও খবর



মুক্তিযোদ্ধা ও গরীব অসহায়দের চিকিৎসায় কোনো ফি নেন না ডা. এজাজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image

সদরুল আইনঃ

কিংবদন্তি কথাসাহিত্যিক ও নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদের সিংহভাগ নাটক-সিনেমায় অভিনয় করেছেন অভিনেতা ডা. এজাজ। 


তার নাম মনে হলেই চোখের পর্দায় ভেসে ওঠে হাসিখুশি সাবলীল এক গুণী অভিনেতার মুখ। অভিনয়ের পাশাপাশি ঢাকা মেডিকেল কলেজের নিউক্লিয়ার মেডিসিন বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।


 আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল মানুষদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য তিনি ‘গরিবের ডাক্তার’ হিসেবেও পরিচিত।



মেডিকেল কলেজে পড়াশোনার সময়ই রংপুর বেতারে নিয়মিত সংবাদ পাঠ করতেন, অংশ নিতেন রেডিওর নাটকে। চিকিৎসাবিদ্যা পড়াশোনার বরাতে হয়েছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের নিউক্লিয়ার মেডিসিন বিভাগের প্রধান। এখন অবসর। এই অবসরে অভিনয় আর পুরোপুরি চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত ডা. এজাজুল হক এজাজ।


সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে দরিদ্রদের জন্য চিকিৎসা নিয়ে তিনি বলেন, দেখেন আমি হয়তো সবক্ষেত্রে সবার সহায়তা করতে পারি না। কারণ আমি তো সব ধরনের বিশেষজ্ঞ নই। তারপরেও যারা আমার কাছে আসেন, আমি তাদের সেই মতো হাসপাতালে স্থানান্তর করি।


 এরপর তার যেন খরচ কম হয়, ওই হাসপাতালে বলে দেওয়ার চেষ্টা করি। আর আমি মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসার ফি নিই না। কারণ তাদের কাছে আমরা ঋণী। তাদের সেবা করতে পারাটাও সৌভাগ্যের।



একটা হাসপাতাল তৈরি করার স্বপ্ন আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যেখানে গরিব রোগীদের বিনে পয়সায় চিকিৎসা হবে। ধরেন, কথার কথা আমি যদি কোনোভাবে ৫০ কোটি টাকা পেয়ে যাই-তাহলে আমি কিন্তু কানাডা বা দুবাইয়ে বাড়ি কিনব না। এমন অভিলাষ আমার নেই। 


আমি সেই টাকা দিয়ে একটা হাসপাতাল করব। কিছুদিন আগে এক অর্থবান ভদ্রলোক এসেছিলেন। তিনি আমাকে বলছিলেন একটা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল করবেন, আমাকে তার সঙ্গে থাকতে হবে, দায়িত্ব নিতে হবে। 


আমি বললাম আমার একটা শর্ত আছে, ওই হাসপাতালে একটা কর্নার করতে হবে যেখানে গরিব রোগীরা বিনে পয়সায়, বা নামমাত্র মূল্যে চিকিৎসাসেবা পাবেন। ওই ভদ্রলোক আর যোগাযোগ করেননি।


গাজীপুর চৌরাস্তায় রয়েছে এজাজ সেন্টার।সেখানে নিয়মিত রুগি দেখেন তিনি।নামমাত্র ফি নেন এই বরেন্য চিকিৎসক।তার ব্যবস্থাপত্রেও থাকে ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকা ঔষধের নাম।অমায়িক আচরনের এই মানুষটি তার শিল্পী সত্ত্বা দিয়েই শুধু নয় চিকিৎসক হিসেবেও নাম কুড়িয়েছেন গাজীপুরসহ সারাদেশের প্রত্যন্ত জনপদে।




আরও খবর



শনিবার থেকে বাড়ছে রেলের ভাড়া

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image

দূরত্ব ও সেকশনভিত্তিক রেয়াত প্রত্যাহার করায় ট্রেনের ভাড়া বেড়েছে। শনিবার (৪ মে) থেকে ১০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে ট্রেনে ভ্রমণের জন্য আসন কিনতে হবে রেয়াত সুবিধা ছাড়াই। বুধবার (২৪ এপ্রিল) থেকে শনিবারের আসন বিক্রি শুরু হয়েছে। কারণ, ট্রেন ভ্রমণের ১০ দিন আগে অগ্রিম আসন বিক্রি করে থাকে বাংলাদেশ রেলওয়ে।

যাত্রীরা জানান,বর্তমানে সবকিছুর দাম বাড়ছে। মানুষের ওপর জুলুম হচ্ছে। আবার এদিকে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারিদের হাতে চলে যায়। সাধারণ যাত্রীরা টিকিট পায় না।

রেলের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী বলেন, রেলের লোকসান কমাতে রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহার করা হয়েছে। অন্যথায় রেলসেবার মান উন্নয়ন করা সম্ভব নয়। রেয়াতি সুবিধা দেওয়ার ফলে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাতে হচ্ছে। এই সুবিধা প্রত্যাহারের মাধ্যমে রাজস্ব আয় বৃদ্ধির চেষ্টা করা হচ্ছে।

সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন জেভি ও রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, নতুন তালিকা অনুযায়ী আগামী ৪ মে থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে তূর্ণা এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার শ্রেণির ভাড়া ৩৪৫ টাকা থেকে বেড়ে হবে ৪০৫ টাকা ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির আসনের ভাড়া ৬৫৬ থেকে বেড়ে হবে ৭৭৭ টাকা।

ঢাকা-কিশোরগঞ্জ রুটে কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ১৫০ ও ২৮৮ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ১৬০ ও ৩০৫ টাকা।

ঢাকা-রাজশাহী রুটে সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৩৪০ ও ৬৫৬ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৪০৫ ও ৭৭১ টাকা।

ঢাকা-নোয়াখালী রুটে উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ২৭৫ ও ৫২৪ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৩১০ ও ৫৯৩ টাকা।

ঢাকা-সিলেট রুটে পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৩২০ ও ৬১০ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৩৭৫ ও ৭১৯ টাকা।

ঢাকা-মোহনগঞ্জ রুটে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ২২০ ও ৪২৬ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ২৫০ ও ৪৭২ টাকা।

ঢাকা-খুলনা রুটে সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৫০০ ও ৯৫৫ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৬২৫ ও ১১৯৬ টাকা।

ঢাকা-লালমনিরহাট রুটে লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৫০৫ ও ৯৬৬ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৬৩৫ ও ১২১৪ টাকা।

ঢাকা-রংপুর রুটে রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৫০৫ ও ৯৬৬ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৬৩৫ ও ১২১৪ টাকা।

ঢাকা-চাঁপাইনবাবগঞ্জ রুটে বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৪২৫ ও ৮১০ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৫১২ ও ৯৭৫ টাকা।

ঢাকা-কুড়িগ্রাম রুটে কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৫১০ ও ৯৭২ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৬৪৫ ও ১২৩৭ টাকা।

ঢাকা-চিলাহাটি রুটে চিলাহাটি এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৪৯৫ ও ৯৪৯ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৬২০ ও ১১৮৫ টাকা।

ঢাকা-বেনাপোল রুটে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ৪৮০ ও ৯২০ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ৬০০ ও ১১৫০ টাকা।

ঢাকা-ভূঞাপুর রুটে জামালপুর এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ২৬০ ও ৪৯৫ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ২৯৫ ও ৫৭০ টাকা।

ঢাকা-দেওয়াগঞ্জ রুটে তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনে শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) শ্রেণির ভাড়া ২২৫ ও ৪২৬ টাকা থেকে বেড়ে হবে যথাক্রমে ২৫০ ও ৪৭৬ টাকা।

এ ছাড়া শোভন চেয়ার ও এসি চেয়ার বাদে সব আন্তঃনগর ট্রেনে ১০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে এসি সিট ও বার্থ এবং প্রথম শ্রেণির সিট ও বার্থ আসনের ভাড়াও আনুপাতিক হারে বেড়েছে।

এর আগে সোমবার (২২ এপ্রিল) বাংলাদেশ রেলওয়ের যাত্রী পরিবহনে প্রদত্ত রেয়াত প্রত্যাহার সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ রেলওয়েতে দূরত্বভিত্তিক ও সেকশনভিত্তিক রেয়াতি দেওয়া হয়। ২০১২ সালে সেকশনাল রেয়াত রহিত করা হলেও দূরত্বভিত্তিক রেয়াত বলবৎ থাকে। সম্প্রতি বাংলাদেশ রেলওয়েতে যাত্রীবাহী ট্রেনগুলোতে ভাড়া বৃদ্ধি না করে শুধু বিদ্যমান দূরত্বভিত্তিক রেয়াত প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সব প্রকার যাত্রীবাহী ট্রেনে বিদ্যমান দূরত্বভিত্তিক রেয়াত প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তটি আগামী ৪ মে থেকে কার্যকর করা হবে।


আরও খবর



২০৪ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এলো এপ্রিলে

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image

দেশে ২০৪ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এলো এপ্রিলে। দর বাড়িয়ে ডলার কেনায় এপ্রিলে বেড়েছে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়।

আগের মাসে যেখানে ১৯৯ কোটি এবং আগের বছরের একই মাসে এসেছিল ১৬৮ কোটি ডলার। সব মিলিয়ে চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে এক হাজার ৯১২ কোটি ডলার দেশে এসেছে। আগের অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল এক হাজার ৭৫৭ কোটি ডলার।

রেমিট্যান্স বাড়লেও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে রয়েছে। বৃহস্পতিবার রিজার্ভ ছিল ১৯ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন ডলার। দেশের ইতিহাসে যেখানে সর্বোচ্চ রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ওপরে উঠেছিল ২০২১ সালের আগস্টে। এরপর থেকে বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে ডলার বিক্রি করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। চলতি অর্থবছরের এ পর্যন্ত ব্যাংকগুলোর কাছে ১১ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।


আরও খবর



বিশ্বের কুখ্যাত মানবপাচারকারী বারজান মাজিদ গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image

আন্তর্জাতিক ডিজিটাল ডেস্ক:



ইউরোপের কুখ্যাত একজন মানবপাচারকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার নাম বারজান মাজিদ।


 ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির করা একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের সূত্র ধরে তাকে গত রোববার সকালে ইরাকের কুর্দিস্তান এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। দেশটির জ্যেষ্ঠ একজন সরকারি কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন ।


বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেশ কয়েক বছর ধরে মাজিদ ও তার দলের সদস্যরা ইংলিশ চ্যানেল জুড়ে নৌকা এবং লরি ব্যবহার করে ব্যাপকভাবে মানুষ পাচার বাণিজ্য চালিয়ে আসছিল।


সম্প্রতি কুর্দিস্তানের সুলায়মানিয়া শহরে মাজিদের সন্ধান পায় বিবিসি, যেখান থেকে তিনি কয়েক হাজার অভিবাসীকে ইংলিশ চ্যানেল পার করিয়েছেন বলে জানান।


মাজিদ ‘স্করপিয়ন’ নামেও বেশ পরিচিত। “এক হাজারও হতে পারে, আবার ১০ হাজারও হতে পারে। সংখ্যাটা ঠিক জানি না, আমি কখনও গণনা করে দেখিনি,” বলেছিলেন মাজিদ।


কুর্দিস্তানের স্থানীয় সরকারের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, মানব-পাচারকারী চক্রের ওপর সম্প্রতি বিবিসি যে অনুসন্ধান প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে, সেটির সূত্র ধরেই তারা মাজেদকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছেন।


“আজ (রোববার) সকাল সাতটার দিকে তিনি (মাজেদ) নিজের বাড়ি থেকে বের হচ্ছিলেন। তখন আমরা তাকে গ্রেপ্তার করি। এক্ষেত্রে আমাদেরকে তেমন বড় কোনো ঝক্কি পোহাতে হয়নি,” বলেন ওই কর্মকর্তা।


তিনি আরও বলেন, “আমরা এখন তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলো তদন্ত করে দেখছি। এরপর আমরা ইউরোপীয় পুলিশ এবং আইনজীবীদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করবো, যারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায়।”


যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সিও (এনসিএ) মাজেদের ধরা পড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।


এ বিষয়ে প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে সংস্থাটি বলেছে, “প্রতিবেদনের মাধ্যমে তার (মাজিদের) মানব পাচারের বিষয়টি প্রকাশ করার জন্য আমরা বিবিসি’র কাছে কৃতজ্ঞ।


এতে আরও বলা হয়েছে, “যুক্তরাজ্যে যারা মানুষদের পাচার করছেন, তারা যেখানেই অবস্থান করুক না কেন, আইনের আওতায় এনে ওইসব চক্রকে নির্মূল করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছি এবং এক ব্যাপারে আমরা দৃঢ়ভাবে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।”


২০১৬ সাল থেকে ২০২১ সালের মধ্যে যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপের মধ্যে যত মানুষ পাচার হয়েছে, সেটির বেশিরভাগই ‘স্কর্পিয়নস’ এর চক্র নিয়ন্ত্রণ করেছে বলে জানা যাচ্ছে।


দুই বছর ধরে অভিযান চালিয়ে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং বেলজিয়ামের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সদস্যরা চক্রটির অন্তত ২৬ জন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে, যারা পরবর্তীতে আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।


কিন্তু চক্রটির মূল হোতামাজেদ, যাকে ‘স্করপিয়ন’ ডাকা হয়, তিনি নিজেই এতদিন গ্রেপ্তার এড়িয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। যদিও গ্রেপ্তারের আগেই বেলজিয়ামের একটি আদালতে তার বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয় এবং ১২১টি মানব-পাচারের ঘটনায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।


২০২২ সালের অক্টোবরে মাজেদকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয় দেশটির আদালত। একই সঙ্গে, নয় লাখ ৬৮ হাজার ইউরো জরিমানাও করা হয়। কিন্তু বিবিসি খুঁজে বের করার আগ পর্যন্ত তার কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছিলো না।


গত এপ্রিলে লোহিত সাগরে নৌকা ডুবির ঘটনায় বেশ কয়েকজন অভিবাসীর মৃত্যু হয়। তখন একটি ফোনালাপকালে মাজেদ ডুবে যাওয়া ব্যক্তিদের প্রতি সামান্য সহানুভূতি দেখান বলে মনে হয়েছে।


“সৃষ্টিকর্তা (এটি নির্ধারণ করে রেখেছেন যে) কখন আপনার মৃত্যু হবে। তবে কখনও কখনও নিজেদের দোষেই আপনার মারা পড়েন,” ওই ফোনালাপে বলেন মাজিদ।


তিনি আরও বলেন, “সৃষ্টিকর্তা কখনও আপনাকে বলেননি যে, তুমি “নৌকায় যাও।”


খোঁজ পাওয়ার পর মাজিদের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করে বিবিসি। বেশ কয়েকবার চেষ্টার পর অবশেষে তিনি সুলায়মানিয়ার একটি শপিংমলে দেখা করতে রাজি হন।


তিনি যে একটি অপরাধমূলক সংগঠনের একজন শীর্ষ ব্যক্তি, সেটি তখন তিনি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, অন্য চক্রের সদস্যরা তাকে বিভিন্ন সময় ফাঁসানোর চেষ্টা করেছে।


“গ্রেপ্তার হওয়া বেশ কয়েকজন লোক বলেছে যে, আমরা তার জন্য কাজ করছি। তারা কম সাজা পেতে চায়,” বলেন মাজেদ। এরপর তিনি রব লরি নামের সাবেক এক সৈনিককে সেখানে ডাকেন। লরি অবশ্য বিবিসি’র অনুসন্ধানী দলের হয়েই কাজ করছিলেন।


“কেউ তাদের জোর করেনি। তারাই এটি চেয়েছিল,” বলেছিলেন মাজিদ। তিনি আরও বলেন, “তারা নিজেরাই মানব-পাচারকারীদেরকে অনুরোধ বলেছিল যে, দয়া করে আমাদের জন্য এটি করুন।”


“কখনও কখনও চোরাকারবারিরা বলে, শুধু সৃষ্টিকর্তার কথা ভেবে আমি তাদের সাহায্য করবো।...না, এটি (জোর করে নেওয়ার অভিযোগ) সত্য নয়,” বলেন মাজিদ।


বেলজিয়াম সরকারের কৌসুলীর কার্যালয় থেকে মাজিদের গ্রেপ্তারের খবরকে স্বাগত জানানো হয়েছে।


বেলজিয়াম সরকারের কৌঁসুলীর কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা অ্যান লুকোভিয়াক বলেন,অবশেষে আমাদের এই মামলায় ন্যায়বিচার দেখার সুযোগ হয়েছে।


আরও খবর



অর্থনীতিতে উত্তাপ ছড়াচ্ছে ডলার সংকট

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image

ডলারের কবজায় এখন দেশ আমদানি-রপ্তানি, রেমিট্যান্স (প্রবাসী আয়), রাজস্ব আয়সবই নিয়ন্ত্রণ করছে এই ডলার সরকার কিংবা বাংলাদেশ ব্যাংক কোনোভাবেই একে বাগে আনতে পারছে না সব নীতি-কৌশল আর কড়াকড়ি সত্ত্বেও বাড়ছে ডলার খরচ, কমছে এর মজুত আইএমএফের কঠিন শর্তে উচ্চ সুদের ঋণ নেওয়া থেকে শুরু করে অর্থনীতির অনেক খাতের প্রসার সংকুচিত করেও পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছে না সরকার ডলারের কারণেই অর্থনীতি চ্যালেঞ্জের মুখে জনজীবনও অনেকটা বিপর্যস্ত এই সুযোগে রাজনীতিও উত্তপ্ত

বিশ্লেষকেরা মনে করেন, ডলার সংকট এখন আর কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সীমাবদ্ধ নেই; বরং বস্তি থেকে ওপরতলার হেঁশেল, চায়ের টেবিল থেকে মন্ত্রিপাড়াসবখানেই উৎকণ্ঠা ছড়াচ্ছে তাদের মতে, ডলারের মজুত না বাড়ালে আর আমদানি দায় শোধ করার সক্ষমতা না বাড়লে, সরকার-উদ্যোক্তা কেউই হাত খুলে খরচ করতে পারবে না ফলে বিনিয়োগ-কর্মসংস্থানের স্থবিরতা কাটবে না

অর্থনীতিবিদ, ব্যবসায়ী উদ্যোক্তাদের মতে, আমদানিনির্ভর অর্থনীতির অন্যতম শক্তিশালী চালক রিজার্ভ দেশে বৈদেশিক মুদ্রার নেতৃত্বে আছে ডলার করোনাভাইরাসের সংক্রমণ সহনীয় হয়ে আসার পর বিশ্বব্যাপী সরবরাহ ব্যবস্থায় টান পড়লে দাম বাড়তে থাকে মার্কিন ডলারের এরপরই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ আগুনে ঘি ঢালে বাংলাদেশ রপ্তানির চেয়ে আমদানি বেশি করায় ডলারের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চাপ বাড়তে থাকে অর্থনীতিতে কম পণ্য আমদানি করেও বেশি ডলার খরচ করতে হয় ওই সময় থেকেই মজুত ভেঙে দায় শোধ করতে থাকে বাংলাদেশ ব্যাংক একই সময়ে রপ্তানি আর প্রবাসী আয়ে ভর করে যেভাবে ডলারের মজুত স্থিতিশীল রাখার কথা, সেটা ধরে রাখা যায়নি সরকার আমদানি নিয়ন্ত্রণ করেছে, কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ বাতিল করেছে কম গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প স্থগিত করা হয়েছে ডলারের বাজারে নৈরাজ্য ঠেকাতে অভিযানও চালানো হয়

একের পর এক পদক্ষেপ নিতে থাকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক একই সময়ে মুদ্রার বিনিময় হার বাজারের ওপর ছেড়ে না দিয়ে তা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হলেও ফল হয় উল্টো এতে ব্যাংকিং চ্যানেলের চেয়ে খোলাবাজারে ডলারের দরে বড় পার্থক্য রয়ে যায় প্রবাসীরা বৈধ পথে ডলার পাঠানোর বদলে হুন্ডির দিকে ঝোঁকেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ কমতে কমতে এখন সরকারি হিসাবেই ৩৪ বিলিয়ন ডলার  আইএমএফের হিসাবে ২৬ বিলিয়ন ডলারের ঘরে

সংকটের বিষয়টি স্বীকার করে পরিকল্পনামন্ত্রী এম মান্নান বলেন, ডলার একটি আন্তর্জাতিক মুদ্রা। এর সংকট স্বীকার করেই আমাদের চলতে হবে। এটিকে একেবারে বাদ দিয়ে চলতে পারব না। সহজ কথা হলো, ডলার সাশ্রয় করতে হবে, আয়ও করতে হবে। আয় করার জন্য রপ্তানি বাড়াতে হবে। রেমিট্যান্স বাড়াতে হবে। আরও প্রণোদনা দিয়ে আয়টা বাড়ানো সম্ভব। ডলার আমরা ছাপতে পারব না। তা কামাই করেই আনতে হবে। তিনি আরও বলেন, আমদানিনির্ভরতার কারণে আমাদের ডলার প্রয়োজন। আমরা যদি স্থানীয়ভাবে খাদ্যসহ প্রয়োজনীয় পণ্যের একটি বড় অংশ নিজেরা উৎপাদন করতে পারি, তাহলে ডলারের ওপর নির্ভরতা কমবে।

ডলারের জন্য ব্যাংকগুলোতে হাহাকার চলছে। জানা গেছে, অন্তত ২০টি ব্যাংকে পর্যাপ্ত ডলার না থাকায় আমদানি ঋণপত্র খোলা যাচ্ছে না। এতে প্রভাব পড়েছে আমদানিতে। অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আমদানিও কমছে। ডলারের উচ্চ মূল্যের সঙ্গে ঘাটতির কারণে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে খাদ্যপণ্য, শিল্পের কাঁচামাল যন্ত্রপাতির আমদানি। এলএনজি আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে। জ্বালানি তেল আমদানিতেও সংকট। সরকার প্রায় দ্বিগুণ দাম বাড়িয়েও আমদানির ঋণপত্র খোলার প্রয়োজনীয় ডলার পাচ্ছে না। জ্বালানি তেল গ্যাস আমদানি সীমিত হওয়ায় এর সরাসরি প্রভাব পড়েছে পণ্য উৎপাদন, ব্যবসা-বাণিজ্য রপ্তানিতে। জ্বালানি সংকটে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে ২৫-৩০ শতাংশ

উদ্যোক্তাদের লোকসান বাড়ছে। তারা এখন বেশি দাম দিতে রাজি থাকলেও এলএনজি আমদানির সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি সরকার। 
ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা, জ্বালানি সংকট চলতে থাকলে অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে। অনেক মানুষ কাজ হারাবে। গত সপ্তাহে মেইড ইন বাংলাদেশ সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বিজিএমইএর প্রেসিডেন্ট ফারুক হাসান জ্বালানি সংকটে পোশাকশিল্পের চ্যালেঞ্জ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সরকারের সহায়তা চেয়েছেন

বিশ্বমন্দার কারণে তৈরি পোশাকের বৈশ্বিক বাজারেও প্রভাব পড়েছে। রপ্তানির আদেশ কমে যাওয়ায় আয়ও কমেছে। দেশে ডলারের দরের ক্ষেত্রে বিশৃঙ্খলা এবং ব্যাংকের চেয়ে খোলাবাজারে দর বেশি হওয়ায় প্রবাসী আয়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। কয়েক মাস ধরে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমছে। গুজবের কারণে প্রবাসীরা চলতি মাসেও ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠানো কমিয়ে দিয়েছেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঘোষণা দিয়ে সবাইকে আশ্বস্ত করলেও আস্থা ফেরেনি

মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশের কয়েকজন প্রবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের খবর দেখে তাঁরা ভয় পাচ্ছেন। কাতারপ্রবাসী ব্যবসায়ী ফরহাদ আহমেদ মিজানুর রহমান গতকাল শনিবার জানান, ব্যাংকে টাকা পাঠালে তা ঠিকমতো পাওয়া যাবে কি না, নিয়ে অনেক প্রবাসীই উদ্বিগ্ন। সরকারের ঘোষণার পর কেউ কেউ কিছুটা মনোবল পেলেও অনেকেই পুরো আস্থা ফিরে পাননি। যদিও তাঁরা নিজেরা ব্যাংকিং চ্যানেলেই টাকা পাঠান বলে জানিয়েছেন

জানা যায়, হুন্ডির মাধ্যমে না পাঠিয়ে বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহ দিতে বিবৃতি বিজ্ঞাপন প্রচার করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে কেমন সাড়া পাওয়া যাবে, সেটা মাস শেষে জানা যাবে। এরই মধ্যে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের (এমএফএস) আড়ালে হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠানো ঠেকাতে বাংলাদেশ ব্যাংক ২৩০টি অ্যাকাউন্টে লেনদেন স্থগিত করেছে। তাদের পরিবার মুচলেকা দিলে ওই সব হিসাব চালু করার শর্ত দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক

ডলার সংকটে ব্যয় বাড়লেও পণ্য আমদানি ব্যাপকভাবে কমে গেছে। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে রাজস্ব আয়ে। আমদানি থেকে আহরিত শুল্ক আয়ে প্রায় ধস নেমেছে। আমদানি কমে যাওয়ায় শিল্পোৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এতে প্রতিষ্ঠানের আয় কমছে। আয়কর, ভ্যাট দেওয়ার হারও কমছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসেই প্রায় হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ঘাটতি। অক্টোবর-নভেম্বর মাসে ঘাটতি আরও বাড়বে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান

ডলার সংকটে কৃচ্ছ্রসাধনের পদক্ষেপের প্রভাবে ব্যক্তি খাতের উদ্যোগের প্রবৃদ্ধিতেও ধাক্কা লাগছে। কাঁচামালে টান পড়েছে। উৎপাদন সক্ষমতার পুরোটা ব্যবহার করা যাচ্ছে না। এটা পণ্য উৎপাদন সেবায় কতটা ক্ষতিকর প্রভাব তৈরি করছে, তার চিত্রও সামনে স্পষ্ট হবে

এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, ডলার সংকট দীর্ঘায়িত হলে শিল্পোৎপাদন ব্যাহত হবে, রপ্তানি কমে যাবে। পরিণামে তা ডলার সংকটকে আরও কঠিন করে তুলবে। জন্য তিনি রেমিট্যান্স আহরণ বাড়াতে সরকারের আরও কার্যকর পদক্ষেপ আশা করেন

ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক পর্ষদ পরিচালক অর্থনীতিবিদ . জামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ডলার সব সময়ই বিশ্বে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। সংকটের সময় এটা বেশি মাত্রায় দেখা যায়। বাংলাদেশ ক্রমে এর রাজনৈতিক হাতিয়ারে পরিণত হচ্ছে। সংকট কাটাতে ডলারের প্রবাহ বাড়াতে হবে। জন্য রেমিট্যান্সে জোর দিতে হবে। প্রথম কাজ হলো এমএফএসগুলোকে কাজে লাগানো। এর জন্য প্রবাসী-অধ্যুষিত দেশগুলোর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি করতে হবে। তিন আরও বলেন, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে একটি চক্র বিদেশে বসে কারসাজি করে। বিদেশি মিশনের গোয়েন্দাদের কাজে লাগিয়ে এদের রোধ করতে হবে


আরও খবর