Logo
শিরোনাম

বছরে তৈরি হচ্ছে ৮ লাখ টন প্লাস্টিক বর্জ্য

প্রকাশিত:সোমবার ০৫ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image

মইনুল ইসলাম মিতুল : করোনাভাইরাস মহামারি শুরুর পর পরিচ্ছন্নতাসামগ্রীর কারণে প্লাস্টিক বর্জ্যের পরিমাণ বেড়ে গেছে বলে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, দেশে বছরে এখন ৮ লাখ ২১ হাজার ২৫০ টন প্লাস্টিক বর্জ্য উৎপন্ন হয়। এর ৪০ শতাংশ, অর্থাৎ ২ লাখ ২৮ হাজার টনের মতো রিসাইকেল বা পুনঃব্যবহার হয়। বাকি বর্জ্য পরিবেশে পড়ে থাকে।

সারা দেশের যে বজ্য উৎপন্ন হয়, তার ৩০ শতাংশের বেশি হয় রাজধানী ঢাকায়। দেশের প্রধান শহরটিতে বছরে প্রায় আড়াই লাখ টন, অর্থাৎ দিনে ৬৮১ টনের মতো বর্জ্য উৎপন্ন হয়। সারা দেশে এর পরিমাণ ২ হাজার ২৫০ টন।

মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী সারা দেশের মানুষ বছরে মাথাপিছু ৯ কেজি বর্জ্য উৎপন্ন করলেও রাজধানীতে এটি দ্বিগুণ বা ১৮ কেজি।

বিশ্ব পরিবেশ দিবসের কর্মসূচি জানাতে এসে রবিবার (৪ জুন) সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সচিব ফারহিনা আহমেদ। তিনি জানান, সরকার এমন একটি বিধান করতে যাচ্ছে, যাতে যারা বর্জ্য উৎপাদন করবে তারাই উৎস থেকে সেটি ফেরত নেওয়ার ব্যবস্থা করবে।

সচিব বলেন, দেশে উৎপাদিত প্লাস্টিক বর্জ্যেরে ৬০ শতাংশ রাস্তাঘাট ও নদীতে যাচ্ছে। মাছ ও বিভিন্ন প্রাণীর শরীরে ঢুকে সেগুলো মানুষের জীবনচক্র ও শরীরে চলে আসছে।

এ থেকে উত্তরণের উপায় কী, এ প্রশ্নে সচিব বলেন, প্লাস্টিকের উৎপাদন নিষিদ্ধ করা আছে। কিন্তু যতক্ষণ পর্যন্ত নাগরিকদের চাহিদা থাকবে ও তারা সচেতন না হবেন ততক্ষণ পর্যন্ত এটা চলতে থাকবে। নাগরিকদের আমরা বিকল্প ব্যবহারসামগ্রী দিতে সফট লোন ও বিভিন্ন সুবিধা দিতে এনবিআরসহ বিভিন্ন জায়গায় কথা বলছি।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেন, পলিথিন বন্ধে আমরা আইন করেছি। একবার ব্যবহৃত হয় এমন পলিথিন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ২০২৬ সালের মধ্যে একবার ব্যবহৃত হয় এমন প্লাস্টিক বন্ধের পরিকল্পনা নিয়েছি। আশা করছি ২০২৬ সালের মধ্যে একবার ব্যবহৃত প্লাস্টিকের ব্যবহার ৮০ শতাংশ কমাতে পারব।

ঢাকায়ও পলিথিনের ব্যবহার বন্ধের চেষ্টায় পাট থেকে ব্যাগ তৈরির ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, কিন্তু এখনো সেটি বাজারজাত করা যায়নি। আমরা যখন বাজারজাত করতে পারব তখন ঢাকায় পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ করতে সক্ষম হব।

বড় বড় শপিংমলে পলিথিনের ব্যাগ ব্যবহার না করে ক্রেতাদের কাছ থেকে দাম নিয়ে কাগজের ব্যাগ দেওয়ার অনুরোধ জানান পরিবেশমন্ত্রী।

হর্নের অপব্যবহার বন্ধ করতে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে বিআরটিএকে শক্তিশালী করা হচ্ছে। ট্রাফিক বিভাগকেও প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

তাপমাত্রা কমাতে কোনো পরিকল্পনা আছে কি না, সেই প্রশ্নে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবদুল হামিদ বলেন, ঢাকা শহরের তাপমাত্রা কেন বাড়ছে, তা নির্ণয়ে প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। জলাধার ভরাট, অতিরিক্ত গাড়ি চলাচল, এয়ারকন্ডিশনিং সিস্টেম নাকি গাছপালা কমে যাওয়ায় এমন হচ্ছেসে বিষয়ে গবেষণা করা হচ্ছে।

বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী জানান, বেহাত হয়ে যাওয়া ১৮ হাজার একর বনভূমি গত দুই বছরে উদ্ধার করা হয়েছে। এ বছর ৫০ শতাংশের বেশি গাছ উপকূলীয় এলাকায় লাগানো হচ্ছে।

পূর্বাচলে কীভাবে পরিকল্পিতভাবে গাছ লাগানো যায়, সেই পদক্ষেপও নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

পরিবেশ দিবসে প্লাস্টিক দূষণ কমানোর ডাক : প্লাস্টিক দূষণ সমাধানে সামিল হই সকলে প্রতিপাদ্য এবং সবাই মিলে করি পণ, বন্ধ হবে প্লাস্টিক দূষণ স্লোগানে বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালন করা হবে। সোমবার (৫ জুন) সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে কর্মসূচি উদ্বোধন করবেন।

সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে হবে পরিবেশ দিবসের অনুষ্ঠান। এতে বঙ্গবন্ধু অ্যাওয়ার্ড ফর ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন ২০২২, পরিবেশ পদক ২০২২, বৃক্ষরোপণে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার ২০২১ এবং সামাজিক বনায়নের উপকারভোগীদের লভ্যাংশের চেক বিতরণ করা হবে। শেরেবাংলা নগরে ৫ থেকে ১১ জুন পর্যন্ত পরিবেশ মেলা এবং ৫ থেকে ২৬ জুন ও ১ থেকে ১২ জুলাই পর্যন্ত বৃক্ষমেলা চলবে। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলা চলবে।


আরও খবর



গ্যাস-বিদ্যুৎ-সারের দাম বাড়ানোর সুপারিশ আইএমএফ'র

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

ভর্তুকি কমাতে আবারও বিদ্যুৎ, গ্যাস ও সারের দাম বাড়ানোর সুপারিশ করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) মিশন।

আইএমএফের ডেভেলপমেন্ট মাইক্রোইকোনোমিক্স ডিভিশনের প্রধান ক্রিস পাপাগেওর্জিউর নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠকে এ সুপারিশ করেছে। এর আগের সফরেও একই সুপারিশ করে আসছিল সংস্থাটি।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, অর্থবিভাগের বাজেট অনুবিভাগের সঙ্গে ভর্তুকি নিয়ে বৈঠক করে মিশনের একটি অংশ। এতে ভর্তুকি কমিয়ে আনতে পেট্রোলিয়াম পণ্যের জন্য একটি পর্যায়ক্রমিক সূত্রভিত্তিক মূল্য সমন্বয় ব্যবস্থা গ্রহণ করায় সরকারকে স্বাগত জানিয়েছে আইএমএফ মিশন। তবে সার্বিক বাজেট ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে অন্যান্য খাতে ভর্তুকি কমিয়ে আনার জন্যও বিদ্যুৎ, গ্যাস ও সারের দাম বাড়ানোর সুপারিশ করেছে প্রতিনিধিদল।

এ প্রসঙ্গে অর্থ বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে আপাতত কৃষিতে পর্যাপ্ত ভর্তুকি দিয়ে যাবে সরকার। তবে বিদ্যুৎ ও গ্যাসে ভর্তুকি কমাতে পর্যায়ক্রমে এসবের দাম বাড়ানো হবে।

এদিকে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সঙ্গে পৃথক এক বৈঠকে সরকার যে ব্যাংক একীভূতকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাকে স্বাগত জানিয়েছে মিশন। তবে একীভূতকরণের পর ব্যাংকের আর্থিক অবস্থা যেনো খারাপ না হয়ে যায়, এতে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এজন্য তাড়াহুড়া না করে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে একীভূকরণ কার্যক্রম সম্পন্ন করার তাগিদ দিয়েছেন প্রতিনিধিদলের কর্মকর্তারা।

এছাড়া ঋণ খেলাপিদের বিষয়ে বিশেষ ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপিদের তালিকা প্রস্তুত করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ব্যাংকখাতে সার্বিকভাবে খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনার তাগিদ দিয়েছে মিশন।


আরও খবর



শর্ত মানলে কারাভোগ করতে হবে না তিথির

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image

ধর্ম নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে পল্টন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী (সাময়িক বহিষ্কৃত) তিথি সরকারকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত এ রায় ঘোষণা করেন।

একই সঙ্গে তাকে এক বছরের জন্য প্রবেশনে পাঠানো হয়েছে। তবে এরই মধ্যে এ মামলায় আসামি ২১ মাস কারাভোগ করেছেন। রায়ে বিচারক উল্লেখ করেছেন, পাঁচ বছরের সাজা থেকে আসামির ২১ মাসের কারাভোগের সময় বাদ যাবে। অর্থাৎ এই ২১ মাস সময়কে পাঁচ বছরের সাজা আওতায় ধরা হবে।

এদিকে, রায়ের পর আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তিথিকে সংশোধন হতে এবং তার বয়োবৃদ্ধ বাবার নিয়মিত দেখভাল ও সেবাযত্ন করাসহ আট শর্তে তাকে এক বছরের প্রবেশনে মুক্তি দেন আদালত। এ সময়ে তিনি প্রবেশন কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে থাকবেন। আদালত জানিয়েছেন, আসামি তিথি প্রবেশনের শর্তগুলো যথাযথভাবে পূরণ করলে তাকে আর সাজা নাও খাটতে হতে পারে।

আসামি তিথি সরকারকে অপরাধী প্রবেশন অধ্যাদেশ, ১৯৬০ (১৯৬০ সালের ৪৫ নম্বর অধ্যাদেশ)-এর ৫ ধারা মোতাবেক, আদালত নির্ধারিত সময়ের জন্য প্রবেশন আদেশের নিম্নোক্ত শর্তযুক্ত মুচলেকা স্বাক্ষর করার শর্তে প্রবেশনে মুক্তি দেওয়ার আদেশ জারি করা হয়েছে। তিনি আট শর্তে মুচলেকায় স্বাক্ষর করে মুক্তি পান।

শর্তগুলো হলো

১. আসামি-প্রবেশনার আগামী এক বছর সময়ের জন্য প্রবেশন কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে থাকবেন এবং ওই কর্মকর্তার নিদের্শনা মেনে চলবেন।

২. ওই সময়সহ আসামি-প্রবেশনার ভবিষ্যতে আর কোনো অপরাধে জড়াবেন না, শান্তি বজায় রাখবেন ও সদাচরণ করবেন।

৩. বয়োবৃদ্ধ বাবার নিয়মিত দেখভাল ও সেবাযত্ন করতে হবে।

৪. আদালত, প্রবেশন কর্মকর্তা ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার তলবমতে আসামি-প্রবেশনার যথাসময়ে হাজির হবেন।

৫. শহর এলাকায় বসবাসের ক্ষেত্রে ট্রাফিক আইন মেনে চলাসহ আইনবহির্ভূতভাবে রাস্তা পারাপার করা যাবে না, সামাজিক নিয়ম-কানুন, প্রথা, রীতিনীতি প্রভৃতি মেনে চলবেন, পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কোনো কাজ করবেন না; প্রবেশন কর্মকর্তার অনুমতি ছাড়া নিজস্ব কর্মস্থল বা বাসস্থান ত্যাগ করবেন না এবং প্রবেশন কর্মকর্তার যেকোনো সময় আসামির গৃহ পরিদর্শন করতে আসামি-প্রবেশনার বা তার পরিবারের সদস্যদের কোনো আপত্তি থাকবে না।

৬. আসামি-প্রবেশনার অযথা রাতের বেলা ঘরের বাইরে অবস্থান করবেন না; মাদকদ্রব্য গ্রহণ, বিশেষত মাদকদ্রব্য বিক্রি ও সরবরাহ করা হয় এমন স্থানে যাতায়াত করবেন না; ধূমপান থেকে নিজেকে বিরত রাখবেন এবং জুয়া, অনলাইন জুয়া, তাস, ক্যাসিনো, বাজি ইত্যাদি থেকে নিজেকে দূরে রাখবেন।

৭. আসামি-প্রবেশনার প্রবেশনকালীন কোনো ধরনের স্মার্ট মোবাইল ফোন ব্যবহার করবেন না; প্রয়োজন হলে নন-স্মার্ট মোবাইল ফোন বা বাটন ফোন ব্যবহার করবেন। তবে শিক্ষা কার্যক্রমের ক্ষেত্রে স্মার্ট ফোন ব্যবহারের আবশ্যকতা দেখা দিলে আসামি-প্রবেশনার তার মা-বাবা অথবা অন্য কোনো প্রাপ্তবয়স্ক আত্মীয়, অথবা ক্ষেত্রমতে শিক্ষকের উপস্থিতিতে শুধু স্মার্টফোন ব্যবহার করতে পারবেন।

৮. উপর্যুক্ত যেকোনো শর্ত লঙ্ঘন করলে বা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আসামি-প্রবেশনার নিজেকে সংশোধন না করলে আসামির প্রবেশন আদেশ বাতিল হবে এবং প্রমাণিত অপরাধের দায়ে তাকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮-এর ২৮ (২) ধারায় পাঁচ বছর কারাভোগ করতে হবে।


আরও খবর



ফোর্বসের অনূর্ধ্ব-৩০ এশিয়ার তালিকায় ৯ বাংলাদেশি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image

মার্কিন সাময়িকী ফোর্বস এশিয়ার ৩০ বছরের কম বয়সি উদ্যোক্তার তালিকা প্রকাশ করেছে। এতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে উদ্ভাবনী শক্তি ও অবদানের জন্য বাংলাদেশের ৯ জন তরুণ-তরুণী স্থান পেয়েছেন। বৃহস্পতিবার থার্টি আন্ডার থার্টি এশিয়া তালিকা প্রকাশ করে সাময়িকীটি।

১০টি শ্রেণিতে তরুণদের এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এগুলো হলো ক্রীড়া ও বিনোদন; ফাইন্যান্স অ্যান্ড ভেঞ্চার ক্যাপিটাল; এন্টারপ্রাইজ টেকনোলজি; গণমাধ্যম, বিপণন ও বিজ্ঞাপন; কনজ্যুমার টেকনোলজি; শিল্প, উৎপাদন ও জ্বালানি; শিল্পকলা; সামাজিক প্রভাব; রিটেইল ও ই-কমার্স এবং স্বাস্থ্যসেবা ও বিজ্ঞান।

ফোর্বসের তালিকায় স্থান পাওয়া বাংলাদেশিদের মধ্যে আবদুস গাফ্ফার সাদী, মো. তুষার ও মো. শহীদুল ইসলাম, এই তিন তরুণ ঢাকাভিত্তিক দ্রুত লোন নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। তারা ক্ষুদ্র ও ছোট ব্যবসায়ীদের ব্যাংক ও বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের কাজ করে দেন। একই সঙ্গে ঋণদাতাদের সুবিধার জন্য যাকে ঋণ দেওয়া হবে, তিনি তা পাওয়ার যোগ্য কি না, তা যাচাইয়ে সহায়তা করছে প্রতিষ্ঠানটি। ২০১৯ সালে যাত্রা শুরু করার পর এই প্রতিষ্ঠানের হাত ধরে ২০ লাখ ডলারের (প্রায় সাড়ে ২৩ কোটি টাকা) বেশি ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। গত নভেম্বরে প্রতিষ্ঠানটি এক লাখ ২৫ হাজার ডলার বিনিয়োগ পেয়েছে।

এই তালিকায় থাকা ফাহাদ আহমেদ ২০২২ সালে গড়ে ওঠা উইন্ড ডট অ্যাপের প্রতিষ্ঠাতাদের একজন। বিদেশ থেকে রেমিট্যান্স আনার সেবা দেন তারা। এই কাজে প্ল্যাটফর্মটি ব্লকচেইন প্রযুক্তি ব্যবহার করে। তাদের সেবা দ্রুত ও সাশ্রয়ী। গত নভেম্বরে তারা ৩৮ লাখ ডলার বিনিয়োগ পেয়েছে। গ্লোবাল ফাউন্ডারস ক্যাপিটাল ও স্পার্টান গ্রুপের নেতৃত্ব কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এই বিনিয়োগ করেছে।

উইন্ড প্রতিষ্ঠার আগে ফাহাদ রাইড শেয়ারিং অ্যাপ পাঠাও তৈরিতেও যুক্ত ছিলেন। পাঠাওয়ে খাবার ডেলিভারি, পেমেন্ট ও রাইডের জন্য গাড়ি ডাকার সেবা চালুতে তার ভূমিকা রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিন্যান্সে স্নাতক করা ফাহাদ নিজে নিজেই কোডিং শিখেছেন।

সুলতান মনি ও মুমতাহিনা আনিকা ফিনটেক তথা ফিন্যান্সিয়াল টেকনোলজি (আর্থিক প্রযুক্তি) স্টার্টআপ জাতিক প্রতিষ্ঠা করেছেন। ছোট কোম্পানিগুলোকে তাদের অ্যাকাউন্টিং সামলাতে প্রযুক্তিগত সহায়তা দেয় এই স্টার্টআপ। তাদের সেবাটি এমন যে, স্মার্টফোনের সঙ্গে যুক্ত একটি বিজনেস ক্যালকুলেটর দিয়ে আর্থিক হিসাব-নিকাশ ও প্রতিবেদন তৈরি করা যায়। ছোট কোম্পানিগুলোকে ই-কমার্স ওয়েবসাইটে সহজ পথ বাতলে দেয় তারা। গত আগস্টে এই স্টার্টআপ ১৬ লাখ ডলার বিনিয়োগ পেয়েছে।

রেদোয়ান আহমেদ পুরস্কারজয়ী ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক। এএফপির হয়ে রোহিঙ্গা সংকটের খবর সংগ্রহ করেন তিনি। এই কাজের জন্য তিনি ২২তম হিউম্যান রাইটস প্রেস অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিলেন। এ ছাড়া ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের জন্য তার অনুসন্ধানকাজে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক কারখানায় কর্মীদের বঞ্চনার শিকার হওয়ার গল্প উঠে আসে।


আরও খবর



এনবিআর-কাস্টমসের হয়রানির বিষয় মন্ত্রিসভায় তোলা হবে: নানক

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image

এনবিআর ও কাস্টমসের যত সমস্যা আছে, তার মধ্যে সেবাগ্রহীতারদের হয়রানি বড় একটি বিষয় বলে উল্লেখ করেছেন পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক। সামনের মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিষয়গুলো তোলা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

সচিবালয়ে পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) প্রতিনিধিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এসব কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, বিদেশি রাষ্ট্রদূত ও প্রবাসে ব্যবসা করা বাঙালিরাও এনবিআর ও কাস্টমসের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ করে। আমরা আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা চিহ্নিত করেছি। সমস্যা যখন চিহ্নিত হয়েছে সমাধান হতে বাধ্য। সুতরাং আমরা সমাধানের সূত্রগুলো বের করব এবং সমাধানগুলো খুব তাড়াতাড়ি করতে হবে।

জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, রোববার কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত এসেছিলেন তিনি এনবিআর এবং কাস্টমসের হয়রানি নিয়ে কথা বলেছেন ছাড়া সাংবাদিকরা রয়েছেন অনেক কথা আছে, যেগুলো আমি বলতে পারব না সমস্ত জায়গা থেকে একটি অভিযোগ আসছে আমি সম্প্রতি ওমরাহ হজ করে এসেছি সৌদি আরবে ব্যবসায়ীরা জোর করেই আমার সঙ্গে বসে ছিলেন বাঙালি ব্যবসায়ীরা সেখানে দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে সেখান থেকেও একই ধরনের অভিযোগ এসেছে

তিনি জানান, দুটি বিষয় আছে, একটি হলো রেমিট্যান্স পাঠানো, আর আরেকটি তারা যে ব্যবসা করে, তারা যেসব মালামাল পাঠায় তা নিয়ে চট্টগ্রাম কাস্টমসে এনবিআরে সমস্যা পোহাতে হয় তাদের। সর্বসাকুল্যে আমি বলব এনবিআর এবং কাস্টমসের যে সমস্যাগুলো রয়েছে, সেগুলোর মধ্যে এটা বড় সমস্যা। আমি সামনের মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করবো।

পাট বস্ত্রমন্ত্রী বলেন, পোশাক শিল্পকে আমরা শুধু বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সবচেয়ে বড় ক্ষেত্র হিসেবে দেখছি না, সমাজ পরিবর্তনেও আপনারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। দারিদ্র্য বিমোচনেও আপনারা মুখ্য ভূমিকা পালন করছেন। প্রায় ৪২ লাখ শ্রমিকের কর্মসংস্থান হয়েছে। এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত অধিকাংশ শ্রমিক নারী। নারীরা স্বপ্ন দেখতে শিখেছে। কাজেই সেই শিল্পকে আমাদের অগ্রাধিকার দিতে হবে।

বিজিএমইএ দাবির প্রেক্ষিতে মন্ত্রী বলেন, অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি করে পূর্ণাঙ্গভাবে প্রস্তুত না করে বাইরে কোথাও শিল্প করতে দেওয়া যাবে না, এটা শিল্পনীতি হতে পারে না। আপনারা নগদ সহায়তা প্রদান ২০২৬ সাল পর্যন্ত বলবৎ রাখার দাবি জানিয়েছেন। আমাদের টার্গেটে পৌঁছাতে হলে বিশ্ববাজারে টিকে থাকতে হলে এই নগদ সহায়তার বিষয়টি থাকতে হবে।

এর আগে বিজিএমইএ সভাপতি এস এম মান্নান (কচি) বলেন, আমাদের আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় হয়রানির জায়গা এনবিআর। এনবিআরের চেয়ারম্যান অত্যন্ত সৎ একজন মানুষ। কিন্তু তার নিচে যারা আছে... আলোর নিচে যেমন অন্ধকার সেই অন্ধকার। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ না করলে অডিট হয় না। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ না করলে আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হয়। এতে করে নির্দিষ্ট সময়ে আমরা আমাদের মাল আমদানি করতে পারছি না, রপ্তানিও করতে পারছি না।

তিনি বলেন, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে আইনি কোন বাধা থাকে না। কিন্তু যোগাযোগ না করলেই হয়রানির শিকার হতে হয়। আমরা যাতে আইন মেনেই সুন্দর সুষ্ঠুভাবে ব্যবসা করতে পারি তার দাবি জানাচ্ছি। আমরা হয়রানিমুক্ত ব্যবসা করতে চাই।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক একটি সার্কুলার জারি করেছে অর্থনৈতিক অঞ্চলের বাহিরে শিল্প করা যাবে না। ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্যে মাত্র তিনটি চালু হয়েছে। অর্থনৈতিক অঞ্চল চালু না করেই বাহিরে শিল্প করা যাবে না, এমন নির্দেশনা দিলে বিনিয়োগ বন্ধ হয়ে যাবে। অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই এই সার্কুলার তুলে নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

সময় ২০২৬ সাল পর্যন্ত পোশাক রপ্তানিতে নগদ সহায়তা বহাল রাখার দাবি জানান বিজিএমইএ সভাপতি। পাশাপাশি সোর্স ট্যাক্স শতাংশ থেকে কমিয়ে দশমিক ৫০ শতাংশ করার দাবি জানান তিনি


আরও খবর



প্লাস্টার করা হাতেই কান চলচিত্র উৎসব মাতালেন ঐশ্বরিয়া

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image


সদরুল আইনঃ



চলচ্চিত্র দুনিয়ার মর্যাদাপূর্ণ আসর ‘কান চলচ্চিত্র উৎসব’। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ফ্রান্সের দক্ষিণ উপকূলীয় শহরে বসেছে শোবিজ দুনিয়ার অন্যতম বড় এই চলচ্চিত্র উৎসব। মঙ্গলবার (১৪ মে) পর্দা উঠেছে কান চলচ্চিত্র উৎসবের।


প্রতিবারের মতো এবারও কানের রেড কার্পেটে হাঁটেছেন সাবেক বিশ্বসুন্দরী ও বলিউড অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া রাই। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) গডফাদার’ খ্যাত নির্মাতা ফ্রান্সিস ফোর্ড কপোলার নতুন ছবি ‘মেগালোপোলিস’ এর প্রিমিয়ারে লাল গালিচায় হাঁটতে দেখা গেছে ঐশ্বরিয়াকে। 



 

এর আগে বুধবার (১৫ মে) চোট পাওয়া হাতেই মেয়ে আরাধ্যকে সঙ্গে নিয়ে কানের উদ্দেশে ভারত ছাড়েন ঐশ্বরিয়া। প্লাস্টার করা হাতে মুম্বাই এয়ারপোর্টে তাকে দেখে অনেকে চমকে গিয়েছিলেন। 



 

সেই প্লাস্টার করা হাতেই কানের রেড কার্পেটে দ্যুতি ছড়ালেন ঐশ্বরিয়া। সোনার বিবরণসহ একটি কালো এবং সাদা পোশাকে রেড কার্পেটে হাজির হন সাবেক এই বিশ্বসুন্দরী। তার পোশাকটি ডিজাইন করেছেন ফাল্গুনী শেন ময়ূর।


আরও খবর