বছরের প্রথম দিনই শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন
বই তুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। নির্ধারিত সময়ে বই পৌঁছে
দিতে দ্রুত ছাপার কাজ ও মান নিয়ন্ত্রণে কঠোর মনিটরিং করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিনামূল্যের পাঠ্যবই ছাপার জন্য
কাগজ নিয়ে আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে। বর্তমানে বিশ্ববাজারে কাগজের দাম বেড়েছে। এ ছাড়াও
নানা সংকট রয়েছে। টেন্ডার প্রক্রিয়ার নানা কারণে বিলম্বিত হয়েছে। তবে সব সংকট মোকাবিলা
করে নির্ধারিত সময়ে বই পৌঁছে দিতে হবে। আশা করছি, সামনে লোডশেডিং কমে যাবে। গত দুই
বছরে করোনার মধ্যেও আমরা যথাসময়ে বই দিয়েছি। এবারও সময়মতো নতুন বই দিতে পারব ইনশাআল্লাহ।
তিনি বলেন, আমরা বইয়ের মানটাও ঠিক রাখতে চাই। কাগজের
পাল্প পাওয়া না গেলে সেকেন্ডারি পাল্প দিয়ে হলেও কাগজ দিতে হবে। সেখানে যদি কিছুটা
হেরফের হয়- গ্রহণযোগ্য মাত্রায় তো হতেই হবে।
দীপু মনি বলেন, এমনিতেও তো আপনারা প্রত্যেকবার মান নিয়ে
প্রশ্ন তোলেন। আমাদের ৩৫ কোটি বই সবগুলো তো আসলে চেক করা সম্ভব হয় না। কিন্তু আমরা
চাই এটাকে মানে রাখতে। সম্পূর্ণ চেষ্টা আমাদের থাকে।
বছরের প্রথম দিনই নতুন বই দেওয়া হবে
৬ ঘণ্টা স্কুলের টয়লেটে আটকা, তালা ভেঙে উদ্ধার
শনিবার ১৮ মে ২০২৪
একাদশের ক্লাস শুরু ৩০ জুলাই
বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪
জিএসএমএর প্রতিবেদন : মোবাইল ও ইন্টারনেট ব্যবহারে পিছিয়ে বাংলাদেশের নারীরা
ডিজিটাল ডেস্ক :
মোবাইল ও ইন্টারনেট ব্যবহারে দেশে পুরুষের চেয়ে নারীরা অনেকে পিছিয়ে রয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
এছাড়া শুধু ইন্টারনেট সেবা গ্রহণে এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের নারীদের অবস্থান সর্বশেষ। শিক্ষা ও ডিজিটাল দক্ষতার অভাবে ইন্টারনেট ব্যবহারে পুরুষের থেকে আগ্রহ বেশি থাকা সত্ত্বেও দেশের নারীরা এ ক্ষেত্রে পিছিয়ে রয়েছে।
মুঠোফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর বৈশ্বিক সংগঠন গ্লোবাল সিস্টেম ফর মোবাইল কমিউনিকেশনস অ্যাসোসিয়েশনের (জিএসএমএ) ‘দ্য মোবাইল জেন্ডার গ্যাপ রিপোর্ট ২০২৪’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ইন্টারনেট সেবা গ্রহণে বাংলাদেশশের নারী–পুরুষের ব্যবধান সবচেয়ে বেশি (৪০ শতাংশ)। ভারতে এ ব্যবধান ৩০ শতাংশ, পাকিস্তানে ৩৮ শতাংশ ও ইন্দোনেশিয়ায় ৮ শতাংশ।
বাংলাদেশে ৮৫ শতাংশ পুরুষ ও ৬৮ শতাংশ নারী মুঠোফোনের মালিক। অর্থাৎ মালিকানায় নারী–পুরুষের ব্যবধান ২০ শতাংশের কাছাকাছি। এছাড়া ইন্টারনেট ব্যবকারী পুরুষের সংখ্যা বাংলাদেশে ৪০ শতাংশ এবং নারীর সংখ্যা ২৪ শতাংশ। নারীদের এ হার ভারতে ৫৩ শতাংশ ও ৩৭ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়ায় ৬৯ শতাংশ ও ৬৩ শতাংশ, পাকিস্তানে ৫৩ শতাংশ ও ৩৩ শতাংশ।
বাংলাদেশের নারীদের পিছিয়ে পড়ার কারণ হিসেবে প্রতিবেদনে বলা হয়, অস্বচ্ছল, পড়াশোনা না জানা, গ্রামাঞ্চলে বসবাস বা বিশেষভাবে সক্ষম নারীরা এ ক্ষেত্রে পিছিয়ে। এছাড়া সাক্ষরতা ও ডিজিটাল দক্ষতার অভাবের কথা উঠে এসেছে, যা পুরুষের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
ইন্টারনেট ব্যবহারে বড় বাধা হিসেবে সামর্থ্যের বিষয়টিও প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। বলা হয়েছে, মোবাইল ও ইন্টারনেটের বাড়তি দামও বাধা হিসেবে ভূমিকা রাখছে। বিশেষত বাংলাদেশ, কেনিয়া, নাইজেরিয়া ও উগান্ডায় মুঠোফোনে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য ডেটা প্যাকেজের বাড়তি দাম বড় একটি সমস্যা।
বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর ২৪ শতাংশ নারী এবং ১৫ শতাংশ পুরুষ প্রতিবন্ধকতা হিসেবে ডাটা প্যাকেজের বাড়তি দামের বিষয়টি উল্লেখ করেছেন।
যেসব ক্ষেত্রে বাংলাদেশের নারী-পুরুষ ইন্টারনেট বেশি ব্যবহার করেন তার মধ্যে রয়েছে- অনলাইন কল, ভিডিও কল। এছাড়া, ৫৫ শতাংশ পুরুষ ও ৪৫ শতাংশ নারী অনলাইনে খবর পড়েন। পুরুষের ২৩ ও নারীর ১২ শতাংশ চাকরি ও ব্যবসা–সংক্রান্ত তথ্য অনলাইনে খুঁজে থাকেন।
এ প্রতিবেদন তৈরিতে সংস্থাটি নিম্ন ও মধ্যম আয়ের ১২টি দেশের ৩ হাজারের বেশি নারী ও পুরুষের ওপর জরিপ চালায়। দেশগুলো হলো-মিসর, ইথিওপিয়া, কেনিয়া, সেনেগাল, নাইজেরিয়া, উগান্ডা, বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, গুয়াতেমালা ও মেক্সিকো। এরমধ্যে ভারতেই ২ হাজার জনের ওপর জরিপ চালানো হয়।
জাপানে চালু হলো সিক্স-জি
সোমবার ১৩ মে ২০২৪
হোয়াটসঅ্যাপ নতুন ফিচার আসছে
শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪
ইউক্রেনকে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ
পেন্টাগন জানিয়েছে, দ্রুতই নতুন সামরিক সহায়তা প্যাকেজের আওতায় যুক্তরাষ্ট্র
প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র দিচ্ছে ইউক্রেনকে।
দেশটির
প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র এজন্য প্রায় ছয় বিলিয়ন
ডলার ব্যয় করবে। তবে এ প্যাকেজে প্যাট্রিয়ট এয়ার ডিফেন্স ব্যাটারি থাকবে না।
প্রতিটি প্যাট্রিয়ট
ব্যাটারির (পূর্ণাঙ্গ ক্ষেপণাস্ত্র সিস্টেম) দাম প্রায় এক বিলিয়ন ডলার আর প্রতিটি
ক্ষেপণাস্ত্রের দাম প্রায় চল্লিশ লাখ ডলার।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট
ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়ার ক্রমবর্ধমান বিমান হামলা মোকাবিলায় প্যাট্রিয়ট
ক্ষেপণাস্ত্র জরুরি প্রয়োজন ‘যা এখনই জীবন রক্ষা করতে পারে ও করা
উচিত’।
বিবিসিকে একটি সূত্র
জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বুধবার যে ৬০ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা প্যাকেজে
স্বাক্ষর করেছেন তারই অংশ হিসেবে এই ছয় বিলিয়ন ডলারের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে
ইউক্রেনকে।
শিগগিরই আরও এক বিলিয়ন
ডলারের সহায়তা দেওয়া হবে।
অস্টিন এক সংবাদ
সম্মেলনে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র তার সবচেয়ে বৃহৎ নিরাপত্তা সহায়তা প্যাকেজ দেওয়ার
অঙ্গীকার করেছে এবং খুব শিগগিরই এগুলো ইউক্রেনকে সরবরাহ করা হবে।
এর মধ্যে আছে বিমান
প্রতিরক্ষা যুদ্ধাস্ত্র, কাউন্টার ড্রোন সিস্টেম এবং গোলাবারুদ (তবে প্যাট্রিয়ট
নয়)।
‘এটা এমন নয় যে শুধু প্যাট্রিয়ট তাদের (ইউক্রেনের) দরকার। তাদের অন্য
ধরনের সিস্টেম ও ইন্টারসেপ্টর (ড্রোন বা ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করা বা আকাশেই ধ্বংস
করতে ব্যবহৃত হয়),’ বলছিলেন অস্টিন। ‘আমি
প্যাট্রিয়ট তৈরির বিষয়ে আমাদের সবাইকে সতর্ক করবো’।
তিনি জানান, আরও
ক্ষেপণাস্ত্র কিয়েভকে শিগগিরই দেওয়া হবে এবং এ নিয়ে ইউরোপীয় অন্য অংশীদারদের সঙ্গে
আলোচনা চলছে।
ইউএস জয়েন্ট চিফস অফ
স্টাফ চেয়ারম্যান জেনারেল চার্লস ব্রাউন বলেছেন, রণাঙ্গনে গোলার যথাযথ ব্যবহারের
যে প্রয়োজনীয়তা ইউক্রেনের সেটি মেটাতে পারবে এবারের এই সহায়তা।
তবে এবারের যে সহায়তা
প্যাকেজ তার কিছু অংশ ব্যবহার হবে ইউক্রেনের নিজস্ব প্রতিরক্ষা শিল্প তৈরির জন্য
যাতে তারা নিজেরাই প্রয়োজনমতো গোলাবারুদ উৎপাদন করতে পারে।
অস্টিন আরও বলেছেন,
রাশিয়া ইতোমধ্যেই তাদের গোলাবারুদ ও অন্য অস্ত্রের উৎপাদনের পরিমাণ বাড়িয়েছে। একই
সঙ্গে তারা ইরান ও উত্তর কোরিয়ার সরবরাহ সহায়তাও পাচ্ছে।
হামলা জোরদার করতে পারে রাশিয়া
রবিবার ১৯ মে ২০২৪
পাকিস্তানে ফের মেয়েদের স্কুল উড়িয়ে দিলো সন্ত্রাসীরা
শনিবার ১৮ মে ২০২৪
৫৮ জেলায় বইছে তাপপ্রবাহ
কয়েকদিনের বিরতির পর আবার দেশের
৫৮ জেলায় ছড়িয়েছে তাপপ্রবাহ। এমন পরিস্থিতিতে সতর্ক থাকতে ৪৮ ঘণ্টার সতর্কবার্তা
দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি বিরাজ
করতে পারে বলে ওই বার্তায় জানানো হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ মল্লিক
বলেন, সারাদেশে তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। তবে ৪০ ডিগ্রিতেই ওঠানামা করবে। বুধবার
সন্ধ্যার বুলেটিনে বলা হয়, পাবনা, দিনাজপুর, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম এবং রাঙ্গামাটি
জেলার ওপর দিয়ে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
এর বাইরে চট্টগ্রাম,
কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী এবং বান্দরবান জেলাসহ ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা,
বরিশাল ও সিলেট বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। একই পরিস্থিতি বিরাজ
করছে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের বাকি অংশে।
এদিন দেশের সর্বোচ্চ
তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় দিনাজপুরে। ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
ছিল ৩৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
মোটরযানে হুটার-হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহার নিষিদ্ধ
রবিবার ১৯ মে ২০২৪
এভারেস্ট চূড়ায় আরেক বাংলাদেশি
রবিবার ১৯ মে ২০২৪
সুন্দরবনে আগুন নেভাতে সময় লাগবে
সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশের গভীরে লাগা আগুন নেভাতে পুরো এলাকা ঘিরে ফায়ার লাইন করে অর্থাৎ আগুনের চারপাশের এলাকায় গাছপালা এবং মাটিতে নালা কেটে পানি ছেড়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু হয়েছে। শনিবার বাগেরহাট জেলার মোড়েলগঞ্জ উপজেলা-সংলগ্ন সুন্দরবনের আগুন লেগে যায়।
রোববার সকালে আগুন নেভানোর কাজ শুরু হয়, এখন সেখানে
ফায়ার সার্ভিস, নৌবাহিনীর ফায়ার ফাইটিং টিম এবং কোস্টগার্ড কাজ করছে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মোড়েলগঞ্জ ও মোংলাসহ চারটি উপজেলার দায়িত্বে থাকা ইন্সপেক্টর মো: কায়মুজ্জামান বলেন, ‘রোববার সকাল নাগাদ গভীর বনের প্রায় আড়াই কিলোমিটার ভেতরে গিয়ে আগুন যে এলাকায় লেগেছে সেটি ঘিরে ফেলা সম্ভব হয়েছে। আশা করি দ্রুতই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে।
সকাল ১০টার দিকে গভীর বন
থেকে আবার লোকালয়ের দিকে মোবাইল নেটওয়ার্কের আওতায় আসার পর কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থলেই আছি। আমরা সুন্দরবনের আড়াই কিলোমিটার ভেতরে কাজ করছি। তবে নেভাতে কিছুটা সময় লাগবে। কিন্তু আশা করছি, আগুন আর বাড়বে না।
এ তথ্য নিশ্চিত করে
মোড়েলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম তারেক সুলতান বলেন, একটি
পয়েন্টে আগুন নেভানো হয়েছে আর আড়াই কিলোমিটার ব্যপ্তি নিয়ে যে আগুন সেটি ফায়ার
লাইন দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আগুন
নিয়ন্ত্রণের কাজে বেশ অগ্রগতি হয়েছে। আশা করছি, দ্রুতই আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ করা
যাবে। পুরোদমে কাজ চলছে।’
মূলত নৌবাহিনীর ফায়ার
ফাইটিং টিম, কোস্টগার্ড ছাড়াও স্থানীয়দের সাথে মিলে আগুন নেভানোর কাজটি করছে ফায়ার
সার্ভিস।
বাংলাদেশের
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকায় সুন্দরবন বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ অরণ্য।
সুন্দরবনের যেখানে আগুন লেগেছে সেটি পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের আমুরবুনিয়া
বন হিসেবেই স্থানীয়দের কাছে পরিচিত। এটি লোকালয় থেকে অন্তত চার-পাঁচ কিলোমিটার
দূরে এবং সেখানে আশপাশে কোনো খাল বা পানির উৎস নেই।
এদিকে চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক রানা দেবকে প্রধান করে সুন্দরবনের আগুনের
ঘটনাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য তিন সদস্যের একটি কমিটি করেছে বন বিভাগ।
ঘটনাস্থলের পরিস্থিতি ও কিভাবে
নেভানোর কাজ হচ্ছে
মো: কায়মুজ্জামান বলেন, আগুন সুনির্দিষ্ট এক জায়গায় জ্বলছে না। বরং খণ্ড খণ্ড
আকারে বিভিন্ন জায়গায় আগুন জ্বলছে বিরাট এলাকা জুড়ে।
তিনি বলেন, ‘আমরা যে অঞ্চলটিতে আগুন জ্বলছে সেটি পুরোটা ঘিরে কাজ শুরু করেছি। অনেক দূর থেকে পানি এনে আগুন নেভানোর কাজ চলছে। এখন আর এই আগুন বাড়বে না বলেই আমরা আশা করছি।
তবে আগুন বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকাতে পুরোপুরি নেভাতে বেশ সময় লাগবে বলে মনে করা হচ্ছে। আগুনের পুরো এলাকা ঘিরে কর্ডন লাইন করে পানি ছেড়ে দেয়ায় আগুন ওই লাইনের বাইরে চলে যাওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই কমেছে বলে মনে করা হচ্ছে। আগুন নেভানোর ওই দলের সাথেই ঘটনাস্থলে আছেন বেসরকারি একটি টেলিভিশনের স্থানীয় সাংবাদিক মো: ইয়ামিন আলী।
তিনি জানান, সকাল থেকেই
ফায়ার সার্ভিস, কোস্ট গার্ড, নৌবাহিনী ও স্থানীয়রা মিলে আগুন নেভানোর কাজ শুরু
করেছে।
তিনি বলেন, ‘আমি দেখছি যে অন্তত অর্ধ-শতাধিক জায়গায় আগুন জ্বলছে। আবার আগুন কমলেও বিভিন্ন জায়গা থেকে ধোয়ার কুণ্ডলী দেখতে পাচ্ছি অনেক জায়গায়।
ধারণা করা হচ্ছে, দেড়
থেকে দুই কিলোমিটার এলাকায় ৪০-৫০টি জায়গায় আগুন জ্বলছিল। যেসব জায়গায় শুকনো পাতা
বা গুল্ম বেশি সেখানেই আগুন জ্বলেছে।
ইয়ামিন আলী বলেন, ‘ধরেন
এক জায়গায় গুল্ম চলছে। আবার ৫০ মিটার দূরে আরেক জায়গায় জ্বলছে। এমন করে বিশাল এলাকা
জুড়ে ছোট আকারে আগুন বা ধোঁয়া এখনো দেখা যাচ্ছে।
কিভাবে ও কখন আগুন লাগলো
মোড়েলগঞ্জের জিওধরা এলাকার আমুরবুনিয়া গ্রামের পাশেই ভোলা নদী। সেই নদী পার হলেই
সুন্দরবনের ওই অংশের শুরু। সেখান থেকেই আগুনের দূরত্ব কমপক্ষে আড়াই কিলোমিটার
ভেতরে।
সুন্দরবন পূর্ব বন
বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তারা কাজী মোহাম্মদ নূরুল করিম স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন,
সুন্দরবনের এত ভেতরে কিভাবে আগুন লাগলো সে সম্পর্কে তারা এখনো নিশ্চিত নন।
তবে স্থানীয় লোকজনের
সাথে কথা বলে যে ধারণা পাওয়া যাচ্ছে, এ সময়ে সুন্দরবনের ভেতরে বিভিন্ন জায়গায় পাতা
ও গুল্মের স্তূপ তৈরি হয়।
কোনো কারণে তার একটিতে
আগুন লেগে হয়তো ধীরে ধীরে আশপাশে ছড়িয়েছে বলে স্থানীয়দের ধারণা। তবে এর বাইরে গত
এক দশকে অনেকবারই এ ধরনের অগ্নিকাণ্ডের পর জীবিকার তাগিদে বনের ভেতরে ঢোকেন এমন
ব্যক্তিদের ধূমপানের প্রবণতা কিংবা মৌমাছি তাড়াতে মশালের ব্যবহারের কথাও অনেকে বলে
থাকেন।
তবে স্থানীয় বন
কর্মকর্তারা এখনই এসব বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি। এমনকি আগুনের সূত্রপাত কখন হয়েছে
সেটি সম্পর্কেও এখনো কেউ নিশ্চিত নন।
সাংবাদিক ইয়ামিন আলী
বলেন, লোকালয় থেকে বনের ভেতরে অন্তত চার থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরের এই আগুন নজরে
আসতে সময় লাগাটাই স্বাভাবিক।
শনিবার বেলা ১১টার দিকে
স্থানীয় লোকজন বনের ভেতরে ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখে বন বিভাগকে খবর দেয়। যে এলাকায় আগুন
লেগেছে তার থেকে বন বিভাগের কার্যালয় অনেক দূরে। আর গভীর বন হওয়াতে ওই এলাকায়
মানুষের উপস্থিতি খুবই কম।
নেভানোর চেষ্টা শুরু হলো কখন
রোববার সকাল নাগাদ আগুন নেভানোর কাজ সরাসরি ঘটনাস্থলে শুরু হলেও এর প্রচেষ্টা শুরু
হয়েছে শনিবার থেকেই। বিকেলেই ঘটনাস্থলের দিকে রওনা দেয় ফায়ার সার্ভিসের দল। কিন্তু
রাতের অন্ধকার আর সুন্দরবনের ওই এলাকায় বন্যপ্রাণীর ঝুঁকির কারণে রাতে কাজ শুরু
করতে পারেনি তারা। এছাড়া ওই এলাকায় কাছাকাছি খাল বা নদী না থাকায় পানিও নিতে হয়েছে
বেশ দূর থেকে।
আবার রাতেই ফায়ার লাইন কেটে পানি ছাড়ার কাজ শুরু না হওয়া রাতে আগুন ছড়িয়ে পড়ার
আশঙ্কা অনেকের মধ্যে থাকলেও শেষ পর্যন্ত তেমনটা হয়নি বলেই জানান কর্মকর্তারা।
মোড়েলগঞ্জ উপজেলা
নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম তারেক সুলতান জানান, দুই কিলোমিটার দূর থেকে পানি নিয়ে
আগুন নেভানোর কাজ করতে হচ্ছে ফায়ার সার্ভিসকে।
তবে সকালের জোয়ারের
কারণে এখন পানির প্রবাহ ভালো থাকায় কাজটা কিছুটা সহজ হয়েছে।
তিনি বলেণন, ‘ভাটার
সময় হয়তো একটু ঝামেলা হবে। তবে যেভাবে ফায়ার লাইন কর্ডন করে পানি দেয়ার কাজ চলছে তাতে
আশা করি দ্রুতই পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।’
সুন্দরবন বন বিভাগের
তথ্য অনুযায়ী, গত দুই দশকে অন্তত ২৪ বার সুন্দরবনে আগুন লেগেছে। এর মধ্যে ২০২১
সালের আগুন নেভাতে দু’দিনের বেশি সময় লেগেছিল।
এসব আগুনের পেছনে বন
ব্যবহারকারীদের অসচেতনতা, বন-সংলগ্ন নদ-নদী মরে যাওয়া, অসচেতনতা, নাশকতা, ফেলে
দেয়া বিড়ি-সিগারেটের আগুনকে দায়ী করা হয়।
মোটরযানে হুটার-হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহার নিষিদ্ধ
রবিবার ১৯ মে ২০২৪
এভারেস্ট চূড়ায় আরেক বাংলাদেশি
রবিবার ১৯ মে ২০২৪
গাজায় ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কারে লাগতে পারে ১৪ বছর
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা
উপত্যকায় প্রায় সাত মাস ধরে চলা ইসরায়েলের ধ্বংসাত্মক যুদ্ধে অবিস্ফোরিত
গোলাবারুদসহ বিপুল পরিমাণ ধ্বংসস্তূপ অপসারণ করতে প্রায় ১৪ বছর সময় লাগতে পারে।
শুক্রবার জাতিসংঘের মাইন অ্যাকশন সার্ভিসের (ইউএনএমএএস) জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা পেহর লোধাম্মার
এই ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন।
গাজার ক্ষমতাসীন
ইসলামি শাসক গোষ্ঠী হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের সামরিক অভিযান ২৩ লাখ মানুষের
সংকীর্ণ ও উপকূলীয় অঞ্চলটিকে মরুভূমিতে পরিণত করেছে। বর্তমানে সেখানকার বেশিরভাগ
বেসামরিক মানুষ গৃহহীন, ক্ষুধার্ত এবং রোগাক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন।
জেনেভায় এক ব্রিফিংয়ে
পেহর লোধাম্মার বলেছেন, যুদ্ধের ফলে প্রায় ৩ কোটি ৭০ লাখ টন ধ্বংসাবশেষ ব্যাপক
ঘনবসতিপূর্ণ ওই অঞ্চলে পড়ে আছে।
তিনি বলেন, গাজায়
পাওয়া অবিস্ফোরিত গোলাবারুদের সঠিক সংখ্যা নির্ধারণ করা প্রায় অসম্ভব। তারপরও
ধ্বংস হওয়া ভবনগুলোর ধ্বংসাবশেষসহ পুরো ধ্বংসস্তূপ নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে
পরিষ্কার করতে ১৪ বছরের মতো সময় লাগতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জাতিসংঘের এই
কর্মকর্তা বলেছেন, ‘‘আমরা জানি, সাধারণত স্থল বাহিনীর ছোড়া
গোলাবারুদের অন্তত ১০ শতাংশ অবিস্ফোরিত ও বিকল অবস্থায় থেকে যায়। আমরা ১০০টি ট্রাক
ব্যবহার করে ১৪ বছর ধরে পরিষ্কার কাজ চালানোর কথা বলছি।’’
গাজা উপত্যকার
ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী হামাসের শত শত যোদ্ধা গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে ঢুকে
এক হাজার ২০০ জনকে হত্যা ও আরও ২৫৩ জনকে ধরে নিয়ে গাজায় জিম্মি করে রাখে। গাজায়
হামাসের হাতে এখনও ১২৯ জন জিম্মি রয়েছেন বলে ধারণা করা হয়।
হামাসের হামলার জবাবে
৭ অক্টোবর গাজায় যুদ্ধ শুরু করে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী। এই যুদ্ধ শুরু হওয়ার
পর গাজায় ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন;
যাদের মধ্যে অন্তত দুই-তৃতীয়াংশই নারী ও শিশু।
সূত্র: রয়টার্স
হামলা জোরদার করতে পারে রাশিয়া
রবিবার ১৯ মে ২০২৪
পাকিস্তানে ফের মেয়েদের স্কুল উড়িয়ে দিলো সন্ত্রাসীরা
শনিবার ১৮ মে ২০২৪