শাহাদাত হোসেন সায়মন নিজস্ব প্রতিবেদক :
দীর্ঘ ১১ বছর পর গজারিয়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি- বার্ষিক সম্মেলন ১৮ই ফেব্রুয়ারি শনিবার সকাল ১১টা গজারিয়া সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেছেন, ১৯৭৫সালে জাতির পিতাকে স্বপরিবারের খুনের মূল কারিগর জিয়াউর রহমান। তারেক রহমান শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য ১৪টি গ্রেনেড ছুড়েছিলো। খুনির রাজনৈতিক দল হলো বিএনপি। শুধু খুনি নয় স্বাধীনতা বিরোধী বিএনপি। ১৯৭৫সালের পর স্বাধীনতার মূল্যবোধ ধ্বংস করে পাকিস্তানি কায়দায় দেশ পরিচালনার জন্য ব্যবস্থা নিয়েছিলো জিয়াউর রহমান।।বাংলাদেশের বয়স ৫৩বছর এর মধ্যে ৩০বছর বিএনপি জামাত- জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় ছিলো। তারা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেনি। কারন তারা পাকিস্তানপন্থী। বিএনপি সমস্থ স্বাধীনা বিরোধীদের প্লাটফ্রম। তারা বাংলাদেশে দুই ভাগে ভাগ করেছে। স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি নিয়ে আওয়ামীলীগ নেতৃত্ব দিচ্ছে। আর স্বাধীনতার বিপক্ষের সমস্ত শক্তিকে বিএনপি নেতৃত্ব দিচ্ছে।
শনিবার দুপুরে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলনে অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, নির্বাচন যখন আসে তখন বিএনপি মাঠে নামে। মাঠে নেমে বিভিন্ন অপ-প্রচার করে করে। এই অপ-প্রচার করে তার সফলও হয়েছে একবার। আওয়ামীলীগ রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলে মসজিদ ভেঙে মন্দির করা হবে বরে অপ-প্রচার করা হয়েছিলো। অপপ্রচার করে খালেদা জিয়া রাষ্ট্র ক্ষমতায় গিয়েছিলো। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর সব অপ-প্রচারের জবাব দিয়েছে। বিশে একসাথে ৩শতাধিক মসজিদ নির্মান করে বিরল নিদর্শন স্থাপন করেছেন।
মির্জা আজম বলেন, বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী বইটি যদি একজন তরুন-যুবকের হাতে তুলে দেওয়া যায়, আর সে যদি একবার এই বইটি পরে তাহলে আর জীবনে কোন রাজনৈতিক দল কিংবা নেতাকে তারা চিনবে না এক বঙ্গবন্ধুকে চিনবে।।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন। প্রধান বক্তা ছিলেন, মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস।
উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মহসিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলামের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন্নেছা ইন্দিরা, মুন্সিগঞ্জ পৌর মেয়র ফয়সাল বিপ্লব, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আফসারউদ্দিন ভূইয়া সহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরসহ।
পরে বিকেল ৫ টায় গজারিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু হয় । জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মহিউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে
উপজেলা ৩৩৪ জন কাউন্সিলরের উপস্থিতিতে সভাপতি সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এসময় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির অনুরোধে দুই পার্থী সমঝোতায় আসেন ।
পরে গজারিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসেবে উপজেলা চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম কে এবং
আলহাজ্ব রেফায়েত উল্লাহ খান তোতা সিআইপি কে সিনিয়র সহ-সভাপতি ।সাধারণ সম্পাদক, মনসুর আহমেদ খাঁন জিন্নাহ্ যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক, আবুল খায়ের মোহাম্মদ আলী(খোকন) ঘোষণা করা হয়।