বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ উপলক্ষে ভোর থেকেই থেমে থেমে নেতাকর্মীদের স্লোগানে-স্লোগানে প্রকম্পিত হচ্ছে রাজধানীর সায়েদাবাদ গোলাপবাগ মাঠ ও আশাপাশের এলাকা। দেশের বিভিন্ন জেলা ও রাজধানীর বিভিন্ন ইউনিট থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে প্রবেশ করছে নেতাকর্মীরা।
সমাবেশের অনুমতি পাওয়ার পর শুক্রবার রাত থেকে মাঠে অবস্থান করা শুরু করে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। অনেককে রাতে স্ব স্ব ইউনিটের নেতাকর্মীদের মধ্যে শুকনা খাবার বিতরণ করতে দেখা গেছে।
গোলাপবাগ মাঠে একপ্রান্তে মঞ্চ তৈরির কাজও শেষ। নেতাকর্মীরা মঞ্চের সামনে অবস্থান নিয়েছেন। অনেক নেতাকে মঞ্চে অবস্থান নিতেও দেখা গেছে। তবে কেন্দ্রীয় নেতাদের এখনো সমাবেশস্থলে উপস্থিত হতে দেখা যায়নি।
এদিকে সমাবেশকে কন্দ্রে করে গোলাপবাগ মাঠ ও এর আশেপাশে বিপুল সংখ্যক পুলিশ, র্যাব ও সাদা পোশাকের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের বেশ শক্ত সতর্ক অবস্থানে থাকতে দেখা গেছে।
সকালে সমাবেশস্থলে মিছিল নিয়ে এসেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব আমান উল্লাহ আমান। তিনি বলেন, সরকার আমাদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করেছে। সমাবেশ বানচালের চেষ্ঠা করা হয়েছে। আমাদের মহাসচিবসহ হাজারো নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। তার প্রতিবাদে আমরা এখানে এসেছি। এ সরকারের পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরব না।
এর আগে গতকাল সমাবেশের অনুমতি পাওয়ার পর থেকেই দলে দলে বিএনপি নেতাকর্মীরা এই মাঠে আসতে শুরু করেন। এমনকি সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত নামতেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে উঠে রাজধানীর এই মাঠটি। পরে ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা নেতাকর্মীরাও তাদের ব্যানার-ফেস্টুন সেটে দেন।
দেশের বিভিন্ন জেলা শহর থেকে সমাবেশে আসা একাধিক নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সমাবেশে যোগ দিতে কয়েকদিন আগে থেকেই তারা ঢাকায় প্রবেশ করেন। নানা চড়াই-উতরাই পার করার পরেও সমাবেশস্থল নির্ধারিত হওয়াতে উচ্ছ্বসিত তারা।