কালবৈশাখী ঝড়ে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে গাছচাপায় মা ও দুই শিশুসন্তানের মৃত্যু হয়েছে। আর শাল্লায় বজ্রপাতে মারা গেছেন বাবা ও ছেলে। প্রায় একই সময় হবিগঞ্জে বজ্রপাতে মারা গেছেন তিনজন।
তথ্যগুলো নিশ্চিত করেন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর ও শাল্লা থানার ওসি এবং হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
জগন্নাথপুরের পাটলি ইউনিয়নের সোলেমানপুর গ্রামে বৃহস্পতিবার ভোরে গাছচাপার ঘটনাটি ঘটেছে।
থানার ওসি (তদন্ত) শুশঙ্কর পাল জানান, ভোররাতে ঝড় শুরু হলে সোলেমানপুরে গাছ ভেঙে একটি টিনের চালের ওপর পড়ে। গাছের নিচে চাপা পড়েন ঘুমিয়ে থাকা মৌসুমা বেগম এবং তার ৪ বছরের মেয়ে মাহিমা আক্তার ও ১ বছরের ছেলে মোহাম্মদ হোসাইন।
আশপাশের লোকজন তাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে শাল্লা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে নাসিরপুর গ্রামে ঝড়-বৃষ্টির সময় বজ্রপাত হয়। সে সময় বাড়ির পাশের ধানক্ষেতে কাজ করছিলেন কৃষক মুকুল খাঁ, তার দুই ছেলে ও তার শ্যালকের ছেলে। বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান মুকুল ও তার ৭ বছরের ছেলে মাসুদ খাঁ।
ওসি আরও জানান, মুকুলের আরেক ছেলে ১১ বছরের রিমন খাঁ ও তার শ্যালকপুত্র ৭ বছরের তানভীরকে হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়েছে।
হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে সকালে দুই গ্রামে বজ্রপাতে মারা গেছেন তিনজন। বানিয়াচং ইউএনও পদ্মাসন সিংহ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মৃতরা হলেন বানিয়াচং সদরের তাতারি মহল্লার ১২ বছরের হুসাইন আলী, জাতুকর্ণ পাড়ার ১২ বছরের ঝুমা ও পুকড়া ইউনিয়নের এড়ালিয়া গ্রামের আলমগীর মিয়া।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মলয় কুমার জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা থেকে ৯টার মধ্যে তিনবার বজ্রপাত হয়। ঘটনার সময় হুসাইন হাওরে ঘাস কাটছিলেন ও আলমগীর আরেক ক্ষেতে ধান কাটছিলেন। বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তারা মারা যান। আর ঝুমা বজ্রপাতের শিকার হন বাড়ির গাছ থেকে পেঁপে পাড়তে গিয়ে। মৃতদের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।