Logo
শিরোনাম

মরক্কোর এক গ্রামে সবাই মৃত অথবা নিখোঁজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

ভূমিকম্পে বিপর্যস্ত মরক্কোতে শনাক্তকৃত মৃতের সংখ্যা আড়াই হাজার ছুঁইছুঁই। সোমবার সেখানে ২ হাজার ৪৯৭ জনের মৃত্যুর তথ্য মিলেছে। উদ্ধারকাজ পরিচালনার অত্যাধুনিক সরঞ্জাম নেই মরক্কোর কাছে। রীতিমতো শূন্য হাতেই দুর্গত এলাকায় কাজ করছে সেনাবাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবীরা। এমন পরিস্থিতিতে উত্তর আফ্রিকার দেশটি ব্রিটেন-স্পেন-কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সহায়তা গ্রহণ করেছে। এদিকে এটলাস পর্বতমালার তাফেঘাঘতে গ্রামের প্রায় সব বাসিন্দা হয় মারা গেছেঅথবা নিখোঁজ বলে উঠে এসেছে সংবাদমাধ্যমের অনুসন্ধানে। খবর বিবিসিরয়টার্স ও দ্য গার্ডিয়ানের।


প্রত্যন্ত বহু এলাকায় এখনও পৌঁছাতেই পারেনি উদ্ধারকারী দল। এ প্রসঙ্গে ওই অঞ্চলের একজন বাসিন্দা বলেনভূমিকম্পের সময় ক্যাফেতে ঘুমন্ত অবস্থায় আমার বাবা মারা গেছেন। আটকা পড়াদের বাঁচাতে শুক্রবার থেকে উদ্ধারকর্মীরা প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছে। স্থানীয়রা পরস্পরকে সাহায্য করছে। অথচ এখন পর্যন্ত প্রশাসনিক কোনো কর্মকর্তা আসেননি। উত্তর আফ্রিকার দেশটির সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছে প্রতিবেশী স্পেন। ব্রিটেনকাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাত পাঠিয়েছে ত্রাণবিশেষজ্ঞ উদ্ধারকারী দলডগ স্কোয়াড ও অত্যাধুনিক সরঞ্জাম।


সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে ফ্রান্স আর তুরস্কও। তবে সেই সহায়তা নেওয়া হবে কি নাএখনও নিশ্চিত নয়। তুরস্ককে সহায়তা করতে প্রস্তুততারা রাজি হলেই সহায়তা দেওয়া হবেবলেছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেফ তাইয়্যেব এরদোগান। এদিকে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁও জানিয়েছেনতার দেশও সহায়তার হাত বাড়াতে প্রস্তুত। তবে মরক্কোর তরফ থেকে অনুমতি মেলেনি এখনও। 


সবাই মৃত অথবা নিখোঁজমরক্কোর এটলাস পর্বতমালার তাফেঘাঘতে গ্রামের এক বাসিন্দা বিবিসিকে বলেছেনএই গ্রামের সব মানুষ হয় হাসপাতালেআর না হয় মৃত। বিবিসি সরেজমিন প্রতিবেদনে বলছেসেখানকার ইট ও পাথরের তৈরি গ্রামের পুরোনো ধাঁচের বাড়িগুলো কোনোভাবেই এই মাত্রার ভূমিকম্প সামাল দেওয়ার মতো ছিল না। গ্রামের ২০০ জন বাসিন্দার মধ্যে ৯০ জনের মৃত্যুর খবর সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেছে। আরও অনেকেই এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। ধ্বংসস্তূপের মাঝে দাঁড়িয়ে থাকা হাসান বিবিসিকে বলেনতারা (নিখোঁজরা) সরে যাওয়ার সুযোগ পায়নি। তাদের হাতে নিজেদের বাঁচানোর সময়ও ছিল না।


হাসান বলছিলেন তার চাচা এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে। তাকে সেখান থেকে বের করার কোনো সম্ভাবনাও নেই। গ্রামে কারও কাছে এই মাত্রার ধ্বংসস্তূপ খোঁড়ার যন্ত্রপাতি নেই। আর তিন দিন হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত বাইরে থেকে বিশেষজ্ঞরাও এসে পৌঁছায়নি। আল্লাহ আমাদের এই পরিস্থিতির মুখোমুখি করেছেন এবং আমরা সবকিছুর জন্য আল্লাহকে ধন্যবাদ জানাই। কিন্তু এখন আমাদের সরকারের সহায়তা দরকার। তারা মানুষকে সাহায্য করার বিষয়ে অনেক দেরি করে ফেলেছেবলছিলেন তিনি। হাসান বলছিলেন যে মরক্কোর কর্তৃপক্ষের উচিত সব ধরনের আন্তর্জাতিক সহায়তা গ্রহণ করা। কিন্তু তিনি সন্দেহ পোষণ করেন যেনিজেদের অহংকারের কারণে হয়তো তারা সেই সহায়তা নেবে না।


বিবিসি বলছেসবদিক থেকেই শোনা যাচ্ছিল অবিরাম কান্নার আওয়াজ। এটলাস পর্বতমালার মতো মরক্কোর আরও অনেক অঞ্চলেই জরুরি সেবা পৌঁছাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে দেশটির কর্তৃপক্ষকে। বিভিন্ন এলাকায় গ্রামবাসী হাত দিয়ে বা তাদের কাছে থাকা বেলচাশাবল দিয়ে ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে আটকে পড়া মানুষ উদ্ধার করছেন। আবার কিছুক্ষণ পর ঐ বেলচা আর শাবল দিয়েই মরদেহের জন্য কবরও খুঁড়তে হচ্ছে তাদের।

বিবিসিকে এ রকম একটি গ্রামের একজন বাসিন্দা বলছিলেনমানুষের কাছে আর কিছুই বাকি নেই। গ্রামে কোনো খাবার নেইশিশুরা পানির পিপাসায় কষ্ট পাচ্ছে।


আরও খবর

পাকিস্তানি ১৬ ভিক্ষুক আটক

সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3




সাইফার মামলায় মৃত্যুদণ্ড হতে পারে ইমরানের !

প্রকাশিত:রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 |

Image

সাইফার মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশিকে প্রধান অভিযুক্ত করা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে এই মামলায় ইমরান খান ও কোরেশির মৃত্যুদণ্ডও হতে পারে।

০১ অক্টোবর দ্য ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের অধীনে সাইফার মামলার বিচারের লক্ষ্যে একটি বিশেষ আদালত গঠিত হয়েছে। এফআইএ-এর কর্মকর্তারা এই আদালতেই সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশিকে প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে উল্লেখ করে চার্জশিট জমা দিয়েছেন।

ইমরান খান ও শাহ মাহমুদ কোরেশি ছাড়াও এই মামলায় সাবেক মুখ্য সচিব আজম খান, সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও ইমরানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফের সাবেক মহাসচিব আসাদ উমরকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিষয়টির সঙ্গে জড়িত একটি সূত্র। চার্জশিটে কয়েকজনকে পলাতক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

এফআইএ-এর কর্মকর্তারা চার্জশিটে অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের ৫ ও ৯ ধারায় অভিযোগ এনেছে। এই অভিযোগ প্রমাণিত হলে আসামিদের মৃত্যুদণ্ড কিংবা ১৪ বছরে কারাদণ্ড হতে পারে। তবে ইমরান খানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফ এই চার্জশিটকে অস্বীকার করে বিচারবিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছে।

এদিকে তদন্ত সংস্থা এই মামলায় সব মিলিয়ে ২৭ জনকে সাক্ষী করেছে। তাদের মধ্যে প্রায় সবাইকে এই মামলায় আদালতে এসে সাক্ষ্য দেওয়ানো হবে। এরই মধ্যে মামলার প্রধান সাক্ষী আজম খান ইমরান খানে বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন।

তিনি দাবি করেছেন, ইমরান খান সে সময়ে পার্লামেন্টে তার বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব থেকে জনসাধারণের মনোযোগ সরানোর জন্য ওই গোপন নথির বিষয়টিকে সামনে এনেছিলেন।

আজম খান বিবৃতিতে অভিযোগ করেন, ইমরান খান আজম খানকে বলেছিলেন যেতিনি জনসাধারণের সামনে ওই গোপন নথিটি প্রকাশ করবেন। তিনি আরও দাবি করেছেন, তিনি ইমরান খানকে সেই নথি দিয়েছিলেন এবং পরে বারবার ফেরত চাইলেও ইমরান খান সেটি ফেরত দেননি।


আরও খবর

পাকিস্তানি ১৬ ভিক্ষুক আটক

সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3

বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে নিউইয়র্ক শহর

শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩




লিবিয়ায় বন্যায় সাগরে ভেসে গেছে হাজার হাজার মানুষ

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 |

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আফ্রিকার দেশ লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলে সোমবার আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েল। ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে পূর্বাঞ্চলে প্রবল বৃষ্টিপাত হয়। আর এই বৃষ্টির পানির চাপে দারনা শহরের কাছে নদীর ওপর দেওয়া দুটি বাধ ধসে পড়ে। সেই বাঁধের পানির কারণেই সেখানে বিপর্যয়কর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বাঁধের পানির কারণে সৃষ্ট বন্যা হাজার হাজার মানুষকে সমুদ্রের দিকে ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। সেই বন্যাটিকে অনেকে সুনামির মতো আখ্যায়িত করেছেন।

বিবিসি আরও জানিয়েছে, বন্যার পানির তোড়ে অনেক এলাকাই নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। সমুদ্রের পানিতে যেসব মানুষ ভেসে গেছেন তাদের মরদেহ পানি থেকে উদ্ধার করতে হিমশিম খাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা।

বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দারনা শহরের অ্যাম্বুলেন্স সোসাইটি জানিয়েছে, শুধুমাত্র এ শহরটিতেই ২ হাজার ৩০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, এখনো ১০ হাজার মানুষ নিখোঁজ আছেন।

এদিকে ভয়াবহ এই বন্যার পানিতে ডুবে বা ভেসে গিয়ে এখন পর্যন্ত ৫ হাজার ৩০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে লিবিয়ার স্বঘোষিত পূর্বাঞ্চলের সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে মৃত্যুর এ সংখ্যাটি নিশ্চিত করতে পারেনি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো।

লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিপর্যস্ত দারনা শহরে গিয়েছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, সেখানকার অবস্থা বেশ খারাপ।

ওই পুরো দারনা শহরই বন্যার পানিতে সমুদ্রে ভেসে গেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।

দারনার এক উদ্ধারকারী জানিয়েছেন, সেখানকার হাসপাতালগুলোতে এখন আর চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না। এছাড়া মর্গগুলোও মৃতদেহে ভরে গেছে।

বিবিসি আরও জানিয়েছে, এই ভয়াবহ বিপদে যারা পড়েছেন তাদের যে উদ্ধার করা হবে সেই পরিস্থিতিও এখন লিবিয়ায় নেই। কারণ ২০১১ সালে সাবেক শাসক কর্নেল মোহাম্মদ গাদ্দাফিকে হত্যার পর রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার মুখে পড়ে দেশটি। আর তখন থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত দেশটিতে শুধুমাত্র যুদ্ধই চলেছে। ফলে কোনো প্রাকৃতিক বিপর্যয় দেখা দিলে— বিপর্যয় পরবর্তী বিষয়াবলী যে সামাল দেওয়া হবে এমন কোনো বাহিনী বা অবকাঠামোই তৈরি করা সম্ভব হয়নি।

এছাড়া গাদ্দাফির পতনের পর গৃহযুদ্ধের কবলে পড়ে যায় লিবিয়া। এর ফলে বর্তমানে দেশটি দুইভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে। এখন পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চল আলাদা আলাদাভাবে শাসিত হয়ে আসছে। আর বিভক্তির কারণে কেন্দ্রীয় ও সমন্বিত কোনো উদ্ধার অভিযানও সম্ভব হচ্ছে না।

সুনামি সদৃশ বন্যা সম্পর্কে পূর্বাঞ্চলের সরকারের এক মুখপাত্র বিবিসিকে বলেছেন, ‘আমি যা দেখেছি তা দেখে মারাত্মকভাবে চমকে গিয়েছি। এটি সুনামির মতো ছিল।’

তিনি বিবিসিকে বলেছেন, দারনার দক্ষিণাঞ্চলে একটি বাঁধ ধসে পড়ার পর পুরো শহরটিকে বাধের পানি সমুদ্রে নিয়ে চলে যায়।

এই ভয়াবহ সুনামির মতো বন্যা থেকে বাঁচতে অনেকে উঁচু বাড়ির আশ্রয় নেন। কিন্তু যাদের কপাল ভালো ছিল না, তারা ভেসে চলে যান সমুদ্রে। আর সেখানেই তাদের সলিল সমাধি ঘটে।


আরও খবর

পাকিস্তানি ১৬ ভিক্ষুক আটক

সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3




পোশাকে রপ্তানি বাড়লেও লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়নি

প্রকাশিত:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ |

Image

বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক পণ্যের রপ্তানি সেপ্টেম্বর মাসে বাড়লেও তা রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাই মাসে লক্ষ্যমাত্রা পূরণের পর আগস্ট ও সেপ্টেম্বর টানা দুই মাস সরকার নির্ধারিত পোশাক পণ্য রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা পূরণে হোঁচট খেয়েছে বাংলাদেশ।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

ইপিবির তথ্যমতে, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক পণ্য বিশ্ববাজারে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে রপ্তানি হয়েছে ৩৬১ কোটি ৮৯ লাখ মার্কিন ডলার সমপরিমাণ পণ্য। যা ২০২২ সালের একই সময়ে ছিল ৩১৬ কোটি ১৬ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার। অর্থাৎ ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে পোশাক পণ্য রপ্তানি বেড়েছে ৪৫ কোটি ৭২ লাখ ৩০ হাজার ডলার। যা শতাংশের হিসাবে বেড়েছে ১৪ দশমিক ৪৬ শতাংশ।

বিদায়ী মাসটিতে পোশাক পণ্য রপ্তানিতে আয়ে সরকারের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৯০ কোটি ৯৪ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার সমপরিমাণের। আর আয় হয়েছে ৩৬১ কোটি ৮৯ লাখ ডলার। ২৯ কোটি ডলার অর্থাৎ শতাংশের হিসেবে ৭ দশমিক ৩৪ শতাংশ কম রপ্তানি আয় হয়েছে।

তার আগের মাস আগস্টে সরকারের রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪২২ কোটি ৬ লাখ ৭০ হাজার ডলার। আয় হয়েছিল ৪০৪ কোটি ৪৮ লাখ ৬০ হাজার ডলার। পরপর দুই মাসেই কমেছে। তবে তার আগের মাস জুলাইয়ে সরকারের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৭৭কোটি ৭৯ লাখ ২০ হাজার ডলার পরিমাণ পোশাক পণ্যের। সেই মাসে রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৯৫ কোটি ৩৭ লাখ ৪০ হাজার ডলার পরিমাণের। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আরও বেশি রপ্তানি আয় হয়েছিল।

সবমিলে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর (তিন) মাসে রপ্তানি আয়ে সরকারের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ হাজার ১৭৯ কোটি ৩২ লাখ ৪০ হাজার ডলার। সেখান থেকে রপ্তানি আয় হয়েছে ১ হাজার ১৬১ কোটি ৭৫ লাখ ডলার পরিমাণ পণ্য। অর্থাৎ সরকারের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ কম পোশাক পণ্য রপ্তানি হয়েছে।

তবে আগের বছর অর্থাৎ ২০২২-২৩ সালের প্রথম তিন মাসের চেয়ে রপ্তানি আয় বেড়েছে ১৩ দশমিক ৭ শতাংশ। ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম তিন মাস অর্থাৎ জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর সময়ে পণ্য রপ্তানি বাবদ আয় হয়েছিল ১ হাজার ২৭কোটি ৪৩ লাখ ৩০ হাজার ডলার পণ্যের। আর চলতি বছরে আয় হয়েছে ১ হাজার ১৬১ কোটি ৭৫ লাখ ডলার।

তার আগের ২০২২-২৩ অর্থবছরে পোশাক রপ্তানি হয়েছে ৪৬ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১০ দশমিক ২৭ শতাংশ।


আরও খবর

বাজার তদারকিতে লোকবল সংকট

সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3

কমেনি পেঁয়াজ আলু ডিমের দাম

শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩




মহাদেবপুরে শারদীয় দূর্গা উৎসব উপলক্ষে মতবিনিময় সভা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ |

Image

নওগাঁর মহাদেবপুরে শারদীয় দূর্গা উৎসব '' দূর্গা পূজা উদযাপন'' উপলক্ষে থানা পুলিশ এর আয়োজনে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর সকাল ১১ টায় নওগাঁর মহাদেবপুর থানা ভবন চত্তরে আয়োজিত মতবিনিময় 

সভায় মহাদেবপুর উপজেলা

পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি, সেক্রেটারি সহ বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যান, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি, সেক্রেটারি সহ ইউনিয়ন সংশ্লিষ্ট বিট অফিসার, হিন্দু সম্প্রদায়ের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এর উপস্থিতিতে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, মহাদেবপুর উপজেলা পরিষদ এর চেয়ারম্যান আহসান হাবিব, মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোজাফ্ফর হোসেন, থানা (ওসি তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ, মহাদেবপুর উপজেলা পরিষদ এর ভাইস চেয়ারম্যান অনুকূল চন্দ্র, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সহ ১০টি ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যান সহ অন্যান্য আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ। 

উক্ত মতবিনিময় সভায় আসন্ন শারদীয় দুর্গোৎসব সুষ্ঠু সুন্দর ও উৎসবমুখর পরিবেশে যাতে উদযাপিত হয় এ সংক্রান্তে সকলে তাদের মূল্যবান মতামত ব্যক্ত করেন।


আরও খবর



উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে কোনও চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়নি : রাশিয়া

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 |

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাশিয়ায় সফররত উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উনের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন কোনো সামরিক চুক্তি করেননি বলে জানিয়েছে রুশ প্রেসিডেন্টের দপ্তর ক্রেমলিন।

গত মঙ্গলবার ট্রেনে করে রাশিয়ায় পৌঁছান পারমাণবিক শক্তিসমৃদ্ধ দেশ উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন। তার এ সফরের আগে যুক্তরাষ্ট্র দাবি করেছিল, রাশিয়ার কাছে অস্ত্র ও গোলাবারুদ বিক্রির চুক্তি করতে পুতিনের সঙ্গে দেখা করতে দেশটিতে যাবেন কিম।

তবে শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ক্রেমলিন জানিয়েছে, এ ধরনের কোনো চুক্তি হয়নি।  

এদিকে পুতিনের সঙ্গে কিমের এ বৈঠক নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে দক্ষিণ কোরিয়া, জাপানসহ ওই অঞ্চলের অন্যান্য দেশগুলো। কারণ আশঙ্কা করা হচ্ছে, উত্তর কোরিয়াকে স্যাটেলাইট ও রকেট উৎক্ষেপণের প্রযুক্তিগত সহায়তা দেবে রাশিয়া।

তবে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছেন, দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে করা চুক্তির একটিও ভঙ্গ করবেন না তারা।

এ ব্যাপারে পুতিন বলেছেন, ‘দক্ষিণ কোরিয়া আমাদের প্রতিবেশী, এবং আমাদের অবশ্যই, যে কোনো ভাবে বা যে কোনো উপায়ে প্রতিবেশীদের সঙ্গে প্রতিবেশীসূলভ সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে।’

তিনি আরও বলেছেন, ‘হ্যাঁ, কিছু নির্দিষ্ট বিষয় কোরিয়ান উপদ্বীপের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট, আমরা এগুলো নিয়ে আলোচনা করি, আমরা প্রকাশ্যে এগুলো নিয়ে আলোচনা করি। আর এক্ষেত্রে আমরা কোনো কিছু ভঙ্গ করি না এবং ভঙ্গ করবও না।’

দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে রাশিয়া কোনো সামরিক চুক্তি করলে এর মাধ্যমে জাতিসংঘের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ করা হবে।



আরও খবর

পাকিস্তানি ১৬ ভিক্ষুক আটক

সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3