নড়াইলে হামলা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে মানববন্ধন এবং বিক্ষোভ মিছিল
নওগাঁয় ২২মে গুটি আম সংগ্রহের মধ্য দিয়ে বাজারে আসতে শুরু করবে
শনিবার ১৮ মে ২০২৪
নরসিংদীতে বজ্রপাতে মা-ছেলেসহ নিহত ৪
শনিবার ১৮ মে ২০২৪
মালয়েশিয়ায় পুলিশ স্টেশনে হামলা, নিহত ৩
ডিজিটাল ডেস্ক:
মালয়েশিয়ার জোহর রাজ্যের একটি পুলিশ স্টেশনে শুক্রবার সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনায় সন্দেহভাজন হামলাকারী এবং দুই কনস্টেবল নিহত হয়েছেন। এছাড়াও অন্য একজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
সূত্রের বরাতে স্ট্রেইটস টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সন্দেহভাজন হামলাকারী রাত আড়াইটার দিকে জোহর রাজ্যের উলু তিরাম থানায় আসেন। এ সময় দায়িত্বরত এক কনস্টেবলকে গুলি করা হলে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।
গুলির শব্দ শুনে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন আরেক কনস্টেবল। এরপর প্রথমে গুলিবিদ্ধ কনস্টেবলের বন্দুক দিয়ে তাকেও গুলি করে হত্যা করা হয়।
জোহরের পুলিশ প্রধান এম কুমার বলেন, সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে ঘটনাস্থলেই গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জোহরের পুলিশ প্রধান এম কুমার। ছবি: বের্নামা নিউজ এজেন্সি
পুলিশের মহাপরিদর্শক রাজারুদ্দিন হোসেন বলেন, ওই ব্যক্তিকে জেমা ইসলামিয়া (জেআই) চরমপন্থী গোষ্ঠীর সদস্য বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জেআই সদস্য সন্দেহে দুই ছাত্র ও ৬২ বছর বয়সী একজনসহ মোট সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে পাঁচজন সন্দেহভাজন ব্যক্তির পরিবারের সদস্য। ৬২ বছর বয়সী লোকটি তার বাবা।
জেমা ইসলামিয়া মূলত ইন্দোনেশিয়া ভিত্তিক একটি জঙ্গী গোষ্ঠী। তারা দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় ইসলামিক স্টেট প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
রাজারুদিন আরও বলেন, ‘আমি আমাদের স্পেশাল ব্রাঞ্চকে নির্দেশ দিয়েছি জোহরের সকল জেআই সদস্যকে গ্রেপ্তার করে তদন্ত করতে। জোহরে জেআইয়ের প্রায় ২০ জন চিহ্নিত সদস্য রয়েছে।
মালয়েশিয়ার পুলিশ জানিয়েছে, হামলায় নিহত পুলিশরা দুই বছরের কম সময় ধরে চাকরি করছেন। তারা উলু তিরাম স্টেশনের অপরাধ প্রতিরোধ টহল ইউনিটে দায়িত্বরত ছিল।
মালয়েশিয়ার রাজা সুলতান ইব্রাহিম ইস্কান্দার নিহত পুলিশদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
হামলা জোরদার করতে পারে রাশিয়া
রবিবার ১৯ মে ২০২৪
পাকিস্তানে ফের মেয়েদের স্কুল উড়িয়ে দিলো সন্ত্রাসীরা
শনিবার ১৮ মে ২০২৪
করোনা টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা স্বীকার অ্যাস্ট্রাজেনেকার
করোনাভাইরাসের টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। এক আইনি লড়াইয়ে সম্প্রতি এমনটাই স্বীকার করে নিয়েছে ব্রিটিশ-সুইস ওষুধ নির্মাতা কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকা। এক বছর ধরে ভ্যাকসিনের ক্ষতিকারক প্রভাব মামলায় জর্জরিত রয়েছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা। এত দিন কোম্পানি বলে এসেছিল যে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহায়তায় তৈরি করা এই কোভিড ভ্যাকসিন ক্ষতিকারক নয়। কিন্তু দাবি উঠেছিল যে এই ভ্যাকসিনের জন্যই কয়েকজনের মৃত্যু এবং কেউ কেউ গুরুতর অসুস্থতার মুখে পড়েছেন। অ্যাটর্নিদের মতে, কিছু পরিবার টিকা দেয়ার একটি বিধ্বংসী প্রভাবের মুখোমুখি হয়েছিল। সবটা দেখে শুনে অবশেষে ফার্মাসিউটিক্যাল জায়ান্ট অ্যাস্ট্রাজেনেকা প্রথমবারের মতো স্বীকার করেছে যে তার কোভিড ভ্যাকসিন খুব বিরল ক্ষেত্রে হলেও, টিটিএস-এর কারণ হতে পারে।
টিটিএস কী
টিটিএস-এর সম্পূর্ণ রূপ হলো থ্রম্বোসিস উইথ থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া সিনড্রোম (টিটিএস)।
এটি একটি খুব বিরল সিন্ড্রোম, যা রক্ত জমাট বাঁধা (থ্রম্বোসিস) এবং কম প্লেটলেট
সংখ্যা (থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া) দিয়ে চিহ্নিত করা হয়। এটিকে ভিআইটিটি নামেও অভিহিত করা
হয়, যার পূর্ণ রূপ 'ভ্যাকসিন-ইনডিউসড ইমিউন থ্রম্বোটিক থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া'। রক্তনালীতে
রক্ত জমাট বাঁধার ফলে থ্রম্বোসিস হতে পারে, যা প্রভাবিত রক্তনালীতে রক্ত প্রবাহ কমিয়ে
দেয়। থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া শরীরে রক্তের প্লেটলেট সংখ্যা কম হওয়ার সময় ঘটে। সাধারণত,
প্লেটলেটগুলো অতিরিক্ত রক্তপাত রোধ করতে রক্তের জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। আর সেই
প্লেট সংখ্যা কমে গেলে ক্ষতি হওয়া স্বাভাবিক।
গত বছর, জেমি স্কট, দুই সন্তানের পিতা, ব্রিটিশ-সুইডিশ বহুজাতিক ফার্মাসিউটিক্যাল এবং বায়োটেকনোলজি কোম্পানির বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তার অভিযোগে, স্কট উল্লেখ করেছিলেন যে তিনি ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে করোনা রুখতে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন নেয়ার পর থেকেই চরম বিপদের মুখে পড়েছিলেন। এর ফলে তার রক্ত জমাট বেঁধেছে এবং মস্তিষ্কে রক্তপাত হচ্ছে। এমনকি হাসপাতাল নাকি তার স্ত্রীকে জানিয়েছিল যে স্কট বেঁচে থাকতে পারবেন না। আর অ্যাস্ট্রাজেনেকা আদালতে এই দাবিগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করছে এত দিন ধরে। এর আগে, ২০২৩ সালের মে মাসে স্কটের আইনজীবীর কাছে এক মেইল পাঠিয়ে অ্যাস্ট্রাজেনেকা বলেছিল, জেনেরিক লেভেলে এই টিকার কারণে টিটিএস-এর ঘটনা ঘটেছে, এটা স্বীকার করি না আমরা।
যাইহোক, এত দিন পর কোম্পানির স্বীকারোক্তি তাকে বিরাট ক্ষতিপূরণের মুখে ফেলে দিতে পারে। কারণ এরই মধ্যে অ্যাস্ট্রাজেনেকার বিরুদ্ধে মোট ৫০টিরও বেশি মামলা করা হয়েছে। করোনার টিকা নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত সকলেই অ্যাস্ট্রাজেনেকার কাছ থেকে ১০০ মিলিয়ন পাউন্ড ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন।
কোভিশিল্ডের পর এবার কোভ্যাক্সিনেও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া!
রবিবার ১৯ মে ২০২৪
ডেঙ্গু; ভয়াবহ রূপ নিতে পারে আগস্ট-সেপ্টেম্বরে
শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
বন্ধ হয়ে গেল ভারত থেকে চাল আমদানি
বন্ধ হয়ে গেল ভারত থেকে চাল
আমদানির সময়সীমা। গত বুধবার পর্যন্ত চাল আমদানির সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল সরকার। শেষ
সময়ে কোনো চাল আমদানি করেনি কোনো প্রতিষ্ঠান। এতে বরাদ্দ করা চাল আমদানি নিয়ে
অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। গত ২ বছরে মাত্র ২৮০ টন চাল আমদানি হয়েছে বেনাপোল বন্দর
দিয়ে।
চাল রপ্তানিতে ভারত
সরকারের শুল্ক করারোপ ও বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোয় ডলার সংকটের কারণে অনুমতি থাকলেও
এতদিন চাল আমদানি করতে পারেননি ব্যবসায়ীরা। চলতি বছরের ২১ মার্চ ও ১৬ এপ্রিল দুই
ধাপে দেশের ৮০টি প্রতিষ্ঠানকে ২ লাখ ৭ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছিল
বাংলাদেশ সরকারের খাদ্য মন্ত্রণালয়। সর্বশেষ আমদানি ও বাজারে সরবরাহের শেষ সময় ছিল
১৫ মে।
বাণিজ্যসংশ্লিষ্টদের
সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতি বছর দেশের চালের চাহিদা রয়েছে ৩ কোটি ৬০ লাখ টন। গত
বছরে উৎপাদন হয়েছিল ৪ কোটি ১৩ লাখ টন। চাহিদার চেয়ে উৎপাদন বেশি হলেও মজুদ করতে
চাল আমদানি করা হয়ে থাকে। সম্প্রতি দেশে চালের দাম বাড়লে বাজারে সরবরাহ বাড়াতে গত
১৩ মার্চ দেশের ৩০টি প্রতিষ্ঠানকে ৮৩ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি দেয়। এর মধ্যে
সিদ্ধ চাল রয়েছে ৪৯ হাজার ও আতপ চাল ৩৪ হাজার টন। পরবর্তী সময়ে ১৬ এপ্রিল আরো ৫০টি
প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন শর্ত দিয়ে ১ লাখ ২৫ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি দেয় খাদ্য
মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে সিদ্ধ চাল ৯১ হাজার ও আতপ চাল ৩৩ হাজার টন। সরকার আমদানি ও
বাজারে সরবরাহের শেষ সময় বেঁধে দিয়েছিল চলতি বছরের ১৫ মে পর্যন্ত। তবে চালের ওপর
ভারত সরকারের নানা শর্ত, ২৫ শতাংশ শুল্ককর যুক্ত ও দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোয়
ডলার সংকট থাকায় ব্যবসায়ীরা চাল আমদানি করতে পারেননি। এর মধ্যে শেষ হয়ে যায়
আমদানির সময়সীমা। সময় শেষ হওয়ায় ও শুল্ক বৃদ্ধি বহাল থাকায় বরাদ্দ করা অবশিষ্ট চাল
আমদানি নিয়ে শঙ্কায় ভুগছেন ব্যবসায়ীরা।
সাধারণ ক্রেতা আবদুর
রহিম জানান, নিত্যপণ্যের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাজারে বেড়েছে চালের দাম। এতে কষ্ট হয়ে
যায়। তবে চাল আমদানি স্বাভাবিক হলে দাম কমবে শুনতে পারছি। বেনাপোল বাজারের চাল
বিক্রেতা সুশান্ত কুমার বিশ্বাস জানান, বর্তমানে বাজারে চালের দাম বাড়তি। খুচরা বাজারে
মিনিকেট ৫৬ টাকা, মোটা চাল ৫০, কাজল লতা ৫৫ ও বাসমতি চাল ৭৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তবে আমদানি হলে আর নতুন ধানের চাল কৃষকের ঘরে উঠলে দাম কমবে বলে আশা করছি।
চাল আমদানিকারক
প্রতিষ্ঠান বেনাপোলের নিপুণ ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী লিপু হোসেন জানান,
এবার তারা সরকারের কাছ থেকে ৬ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি পেয়েছেন। তবে চালের ওপর
ভারত সরকারের নানা শর্ত, ২৫ শতাংশ শুল্ককর যুক্ত ও দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোয়
ডলার সংকট থাকায় এখন পর্যন্ত চাল আমদানি করতে পারেননি। এর মধ্যেই আমদানির সময় শেষ
হয়েছে। এতে তার অনেক টাকা লোকসান গুনতে হবে।
চাল আমদানিকারক হাজি
মুছা করিম অ্যান্ড সন্সের স্বত্বাধিকারী আবদুস সামাদ জানান, চাল আমদানিতে ভারতে ২৫
ও বাংলাদেশে ১৫ শতাংশ শুল্ককর পরিশোধ করতে হচ্ছে। এতে আমদানি করে তেমন লাভ নেই।
নতুন করে যদি সরকার আমদানির সময়সীমা বাড়ায়, তবে তারা আমদানির সুযোগ পাবেন। বেনাপোল
চেকপোস্ট উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী হেমন্ত কুমার সরকার জানান, নতুন করে
চাল আমদানির অনুমতি পেলে দ্রুত খালাসের ব্যবস্থা করা হবে।
কাঁচা পেঁপের কেজি ১০০ টাকা
শনিবার ১৮ মে ২০২৪
নিত্যপণ্যসহ সবজির দাম লাগামহীন
শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ঋষির দলের ভরাডুবি
যুক্তরাজ্যে স্থানীয় সরকার
নির্বাচন গত ২ মে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই স্থানীয় সরকার নির্বাচনে গত ৪০ বছরের ইতিহাসে
সবচেয়ে বড় বিপর্যয়ের মুখে ঋষি সুনাকের ক্ষমতাসীন দল কনজারভেটিভ পার্টি। তৃতীয়
অবস্থানে থাকা রাজনৈতিক দল লিবারেল ডেমোক্রেটিকের কাছে ভরাডুবি হয়েছে কনজারভেটিভের।
খবর দ্য গার্ডিয়ানের।
এতে ১০৭ টি কাউন্সিলে
২৭,০০ কাউন্সিলর ও ১১ জন সিটি মেয়র নির্বাচিত হওয়ার জন্য সব রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ
করে। নির্বাচিত ১১টি মেয়র আসনের মধ্যে ১০টি আসন হারিয়েছে কনজারভেটিভ। ১০টি আসনে
মেয়র পদে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছে কিয়ার স্টারমারের নেতৃত্বাধীন লেবার পার্টি।
তৃতীয় অবস্থানে থাকা
দল লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির কাছে হার মেনেছে কনজারভেটিভ, সুনাকের দলকে পেছনে
ফেলে দ্বিতীয় অবস্থান দখল করে নিয়েছে লিবডেম। ১১৪০টি কাউন্সিলর পদে জয় পেয়েছে
লেবার। লিবারেল ডেমোক্রেটিক পেয়েছে ৫২১টি, কনজারভেটিভ পেয়েছে ৫১৩টি,
ইন্ডিপেন্ডেন্ট পেয়েছে ২২৮টি, গ্রিন পার্টি ১২১টি, রেসিডেনস অ্যাসোসিয়েশন পেয়েছে
৪৮টি।
১১টি মেয়র পদের মধ্যে
লেবার যে ১০টি এলাকায় জিতেছে—গ্রেটার লন্ডন, পূর্ব মিডল্যান্ডস,
গ্রেটার ম্যানচেস্টার, লিভারপুল সিটি অঞ্চল, উত্তর পূর্ব, সালফোর্ড, সাউথ ইয়র্কশায়ার,
ওয়েস্ট মিডল্যান্ডস, ওয়েস্ট ইয়র্কশায়ার এবং ইয়র্ক এবং উত্তর ইয়র্কশায়ার।
নির্বাচনী ফলাফলে
হতাশা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক তার প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, স্থানীয় সরকার
নির্বাচনে লেবার পার্টির বড় জয় হলেও আগামী জাতীয় নির্বাচনে এই প্রেক্ষাপট থাকবে
না। বরং কনজারভেটিভকেই বেছে নেবে জনগণ। কনজারভেটিভ পার্টিকেই ভোট দিয়ে জয়যুক্ত
করবে।
অন্যদিকে লেবার নেতা
স্যার কিয়ার স্টারমার নির্বাচনী ফলে উচ্ছ্বসিত। তিনি আগামী জাতীয় নির্বাচনের
আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাককে। কিয়ার স্টারমার জাতীয় নির্বাচনের ঠিক
আগমুহূর্তে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ফলাফলই জনগণের আগাম বার্তা যে, তারা পরিবর্তন
চায়।
হামলা জোরদার করতে পারে রাশিয়া
রবিবার ১৯ মে ২০২৪
পাকিস্তানে ফের মেয়েদের স্কুল উড়িয়ে দিলো সন্ত্রাসীরা
শনিবার ১৮ মে ২০২৪
বেড়েছে ঋণ পরিশোধের চাপ
উন্নয়ন সহযোগীদের দেয়া ঋণ
পরিশোধের চাপ বাড়ছে। গত মার্চ পর্যন্ত অর্থবছরের ৯ মাসে শুধু ঋণের সুদ পরিশোধ
বাবদই ব্যয় বেড়েছে ১১৭ শতাংশ। সরকারের দেয়া উন্নয়ন প্রতিশ্রুতি ঠিক রাখতে
ব্যাপকভাবে বেড়েছে ঋণ নেয়ার প্রবণতাও। অর্থনীতিবিদদের মতে, ঋণ ব্যয়ে দূরদর্শিতা
দেখাতে না পারলে সুদের জালে আটকে যাবে দেশের উন্নয়ন।
চলতি অর্থবছরের প্রথম
৯ মাসে বৈদেশিক ঋণের সুদ বাবদ খরচ ছাড়িয়েছে ১০০ কোটি ডলার। গত রোববার (২১ এপ্রিল)
দেশের বৈদেশিক ঋণের হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ
(ইআরডি) একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে মার্চ-এ
৯ মাসে বাংলাদেশকে কেবল সুদ বাবদ উন্নয়ন সহযোগীদের পরিশোধ করতে হয়েছে ১০৫ কোটি ৪৯
লাখ ডলার। গত অর্থবছর এ সুদ বাবদ গুনতে হয়েছে ৪৮ কোটি ৫৯ লাখ ডলার।
স্বাভাবিকভাবেই বছর
ব্যবধানে বেড়ে গেছে সুদাসলে ঋণ শোধ বাবদ ব্যয়। ইআরডির তথ্য, গত নমাসে সব মিলিয়ে
২৫৭ কোটি ১৫ লাখ ডলার সুদ ও আসল গুনতে হয়েছে। আগের বছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল
১৭৩ কোটি ডলার। অর্থাৎ, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে বৈদেশিক ঋণের সুদাসল পরিশোধ
বাবদ খরচ আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে ৮৪ কোটি ডলার। এর মধ্যে বিভিন্ন ঋণের আসল
পরিশোধ করা হয়েছে ১৫১ কোটি ৬৬ লাখ ডলার।
তবে এ সময়ে ঋণ
প্রাপ্তির প্রতিশ্রুতিও অনেক বেশি পেয়েছে বাংলাদেশ। ৭২৪ কোটি ২১ লাখ ডলার ঋণ দেয়ার
প্রতিশ্রুতি দিয়েছে উন্নয়ন সহযোগীরা। গত বছরের তুলনায় যা ১৩৫ শতাংশের বেশি। গত
অর্থবছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ৩০৭ কোটি ৬৬ লাখ ডলার।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন,
ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে তৃপ্তির ঢেকুর না তুলে, তা যেন ব্যয় করা হয় লাভজনক প্রকল্পে।
সেই সঙ্গে নিশ্চিত করতে হবে অর্থব্যয়ে স্বচ্ছতা।
অর্থনীতিবিদ মাহফুজ
কবীর বলেন, এলডিসি থেকে উত্তরণের পর সহজ শর্তে ঋণ পাওয়া যাবে না। তাই যতটুকু ঋণ
পাওয়া যাবে তার সঠিক ব্যবহার করতে হবে। অপচয় রোধ করতে হবে। না হলে সুদের জালে আটকে
যেতে পারে বাংলাদেশের উন্নয়ন।
যে সব প্রকল্প দেশের
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ শক্তিশালী করতে সহায়তা করার পাশাপাশি সার্বিকভাবে দেশের
অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে, এমন প্রকল্পে বৈদেশিক ঋণ নেয়ার তাগিদ দেন
অর্থনীতিবিদরা।
মোটরযানে হুটার-হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহার নিষিদ্ধ
রবিবার ১৯ মে ২০২৪
এভারেস্ট চূড়ায় আরেক বাংলাদেশি
রবিবার ১৯ মে ২০২৪