Logo
শিরোনাম

পৃথিবীর সব মানুষ আমার শিক্ষক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান চৌধুরী শিক্ষাবিদ :

পৃথিবীতে সবচেয়ে কঠিন শিক্ষক হওয়া, তারচেয়েও কঠিন ছাত্র হওয়া | পৃথিবীর সব মানুষ আমার শিক্ষক, আমি তাদের ছাত্র-এর চেয়ে সুখের কিছু আর হতে পারেনা | প্রতিদিন মানুষের কাছে শিখছি, সেটা ভালো বা মন্দ দুটোই হতে পারে | তবে অবাক করার মতো বিষয় হলো স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কাছ থেকে বইয়ে যা লেখা আছে সেটাই জেনেছি, বইয়ের বাইরেও যে শেখার  একটা বিরাট পৃথিবী আছে তেমনটা কখনো  শিখতে পারিনি, জানতেও পারিনি  | 


যদিও শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হলো ছাত্রদের কোনো বিষয় নিয়ে চিন্তা করতে শেখানো,  বইয়ের  ভিতরের লেখা অক্ষরগুলো ক্রমাগত গবেষণার বস্তুতে পরিণত হয়ে পরিবর্তন হতে হতে কোন জায়গাটাতে এসে পৌঁছেছে সেটা জানানো,  কোন কোন জায়গায় চ্যালেঞ্জ তৈরী হয়েছে সেটা বুঝানো, এই  বিষয়গুলো নিয়ে ছাত্রদের চিন্তার জগৎটাকে একটু হালকা বাতাসের মতো নাড়া দেওয়া | সেটা টেনশন দিয়ে দুঃশ্চিন্তা তৈরী করা না, বরং ছাত্রদের  চিন্তার গভীরে নিজের মাথাটা ঢুকিয়ে তাদের মধ্যে এমন  একধরণের আনন্দের অতৃপ্তি জন্মানো, যেটা খুঁজতে খুঁজতে ছাত্ররা এমন নতুন কিছু  বের করে আনবে যা  পৃথিবীর চিরায়ত ধারণাকেই পাল্টে দিবে | 


শিক্ষায় চিন্তার চর্চার চেয়ে মুখস্থবিদ্যার চিন্তা প্রাধান্য পেলে সেই শিক্ষার মূল্যইবা কতটুকু | চোখে দেখলেই তো মন ভরবেনা, শিক্ষায় যতটা চোখের ক্ষুধা মেটানোর লোভ আছে, ততটাই মনের খোরাক মেটানোর অভাব আছে | অথচ কপালের নিচের চোখের চেয়ে অদৃশ্য মনের দাম অনেক বেশি | যা মানুষ চোখে দেখে সেটা যত না মূল্যবান, তারচেয়েও বেশি মূল্যবান মানুষ যেটা চোখে দেখেনা | 


দৃশ্যমান চিন্তার চেয়ে অদৃশ্যমান চিন্তার শক্তি অনেক বেশি | এটা কোনো মনস্তত্ব বা দর্শনতত্ত্ব নয়, এটা সহজতত্ত্ব, সরলতত্ত্ব | ফুলের সৌন্দর্য সবাই দেখতে পায়, ফুলের গন্ধ কেউ চোখ দিয়ে দেখতে পায়না | অথচ গন্ধ ছাড়া ফুল মূল্যহীন |  ফুলের  গন্ধ না দেখতে পেলেও মানুষ ফুলের গন্ধের অস্তিত্বকে বিশ্বাস করে  | যেটা অনভুতি মানুষের মধ্যে গড়ে দেয় | মন না থাকলে অনুভূতি থাকেনা | শিক্ষায় তাই যন্ত্র তৈরী না করে মন তৈরীকে গুরুত্ব দিতে হবে | 


তবে প্রকৃতির কাছ থেকে শিখছি, সাধারণ মানুষের কাছ থেকে শিখছি, ক্লাসরুমে বসে থাকা ৬০ থেকে ১২০ জন শিক্ষকের সামনে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে একটার পর একটা প্রশ্ন করতে করতে শিখছি | যদিও এই ৬০ থেকে ১২০ জন কারো কারো কাছে হয়তো ছাত্রের চেয়ে বেশি কিছু নয়  কিন্তু আমার কাছে তারা মহান শিক্ষক, আগামীদিনের পৃথিবী বদলানোর মহানায়ক | সবচেয়ে মজার বিষয় হলো আমি সারাজীবন ক্লাসরুমে দাঁড়িয়ে প্রশ্নের পর প্রশ্ন করে যাই, ওরা বছর গড়িয়ে একসময় আমাকে ছেড়ে চলে যায়, তবে যাবার আগে আবার নতুন নতুন সম্ভাবনাময়  শিক্ষকদের তাদের জায়গায় বসিয়ে দিয়ে যায় | এই ধারা অব্যাহত থাকে, আমার সাথে পরিচয় ঘটে নতুন নতুন শিক্ষকদের | এই জায়গাটাই আমার জন্য গর্বের, আনন্দের, অনুভূতির | 


সত্যি কথা বলতে কি, স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মধ্যে আমি কোনো পার্থক্য খুঁজে পাইনি, নামগুলোই বদলেছে, জায়গাগুলো  বদলেছে,   একটার পর একটা বছর পেরিয়ে ক্যালেন্ডারে সময়গুলো  বদলেছে, বয়সও বদলেছে, উঁচু উঁচু ডিগ্রি নিয়ে প্রজন্মের পর প্রজন্মে বেকার বদলেছে  কিন্তু যেটা সেখান  থেকে পাওয়ার কথা ছিল সেটা সেখান থেকে পাওয়া হয়নি |


আমি প্রথমেই বলেছি শিক্ষক হওয়া যতটা কঠিন, ছাত্র হওয়া তার থেকেও বেশি কঠিন | আমি জানি পৃথিবীর সবচেয়ে বোকা ছাত্র আমি | সারা পৃথিবীর ছাত্রদের রাংকিং করা হলে আমার অবস্থান হয়তো সবার পিছনেই হবে | তারপরও ভেঙে পড়িনি, হাল ছেড়ে দেয়নি, শেখার চেষ্টা করতে তো কোনো পাপ নেই, অপরাধ নেই, আর পৃথিবীতে বোকারাই চেষ্টা করে | সে শেখার চেষ্টাটা হয়তো চলবে আমৃত্যু, গন্তব্যে কখনো পৌঁছাতে পারবো কিনা জানিনা |


আরও খবর

থেমে যাওয়া মানে জীবন নয়

রবিবার ২৩ এপ্রিল 20২৩




ফিলিস্তিনের বিপক্ষে জাতিসংঘে ভোট দিল ৯ দেশ

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্য পদের প্রস্তাব ব্যাপক সমর্থন নিয়ে পাস হয়েছে। ১৪৩টি দেশ প্রস্তাবটির পক্ষে ভোট দিয়েছে।

আর্জেন্টিনাসহ নয়টি দেশ বিপক্ষে ভোট প্রদান করেন। ২৫টি দেশ ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিল।

শুক্রবার ভোটাভুটি হয়। জাতিসংঘের এ প্রস্তাব ফিলিস্তিনকে বিশ্বসংস্থাটিতে বাড়তি কিছু অধিকার দেবে। দেশটি বর্তমানে জাতিসংঘের পর্যবেক্ষক সদস্য হিসেবে রয়েছে।

যে নয়টি রাষ্ট্র ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের সদস্য হিসেবে দেখতে চায় না, তারা এর আগে ২০১২ সালেও দেশটিকে সংস্থার অ-সদস্য পর্যবেক্ষক রাষ্ট্রের মর্যাদা দেওয়ার বিপক্ষে ভোট দিয়েছিল। রাষ্ট্রগুলো হলোআর্জেন্টিনা, চেচনিয়া, হাঙ্গেরি, ইসরায়েল, মাইক্রোনেশিয়া, নাউরু, পলাউ, পাপুয়া নিউগিনি এবং যুক্তরাষ্ট্র।

ইসরায়েল যে ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের সদস্য হতে দিতে চায় না, সেটা অনুমেয়। দেশটি ধারাবাহিকভাবে জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের সদস্য হওয়ার বিপক্ষে ভোট দিয়ে আসছে। ইসরায়েলের বন্ধু দেশ যুক্তরাষ্ট্রও ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে আগে ঘোষণা দিয়েই।

শুক্রবার (১১ মে) ভোটের আগে যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা করেছিল, তাদের প্রতিনিধি সাধারণ পরিষদে প্রস্তাবের ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে ভোট দেবে। ভোটের আগে, জাতিসংঘে মার্কিন মিশনের মুখপাত্র নেট ইভানস বলেছিলেন, ফিলিস্তিনের সদস্য পদের প্রস্তাবে ওয়াশিংটন না ভোট দেবে। অন্যান্য দেশগুলোকেও একই সিদ্ধান্ত নিতে উত্সাহিত করবে।

তিনি আরও বলেন, সাধারণ পরিষদ যদি এই রেজুলেশন গ্রহণ করে ও ফিলিস্তিনের সদস্যপদের আবেদন নিরাপত্তা পরিষদে পাঠায়, গত এপ্রিলে যা ঘটেছিল তা আবারও ঘটবে বলে আশা করি।

উল্লেখ্য, গত ১৮ এপ্রিল ফিলিস্তিনকে পূর্ণ সদস্য করার ব্যাপারে নিরাপত্তা পরিষদের একটি প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।

চেক প্রজাতন্ত্র ঐতিহাসিকভাবে অনেক বেশিই যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলপন্থী। হাঙ্গেরিও ইউরোপে ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্রদের একটি রাষ্ট্র। দেশটির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান ও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বহু বছরের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। এর আগে গত অক্টোবরে গাজায় মানবিক যুদ্ধবিরতির বিরুদ্ধে ভোট দেয় হাঙ্গেরি।

আরব ও ইসরায়েলের সঙ্গে ঐতিহাসিকভাবে দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে আর্জেন্টিনার। যদিও ২০১০ সালে ফিলিস্তিনকে ১৯৬৭ সালে বিদ্যমান সীমানার মধ্যে মুক্ত ও স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল। তবে, গত ফেব্রুয়ারি আর্জেন্টাইন প্রেসিডেন্ট জাভিয়ের জেরার্ডো মিলেই ইসরায়েল সফর করেন এবং নিজ দেশের দূতাবাস জেরুজালেমে স্থানান্তর করার প্রতিশ্রুতি দেন। যা বুয়েনস আইরেসের বৈদেশিক নীতিতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়।

এর মধ্যে জাভিয়েও ঘোষণাও দেন, তার সরকার হামাসকে একটি নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ঘোষণা করবে। কেননা, গত ৭ অক্টোবর থেকে হামাসের হাতে জিম্মি শত শত মানুষের মধ্যে আর্জেন্টিনার নাগরিকও ছিলেন।


আরও খবর



বিশ্বের সবচেয়ে উষ্ণতম মরুভূমির প্রভাব বাংলাদেশে

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image

দেশের আবহাওয়ায় বিরাজ করছে মরুভূমির তাপ। বৃষ্টির বাতাস সরে গেছে চীনের দিকে। ফলে একদিকে যেমন তাপমাত্রা কমছে না। অন্যদিকে বৃষ্টির প্রক্রিয়াও শুরু হচ্ছে না। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, আগামী ১০ দিনের মধ্যে আবহাওয়ার তেমন কোনো পরিবর্তন নেই। মে মাসের প্রথম সপ্তাহে ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও স্থায়ী স্বস্তি পাওয়ার কোনো আভাস নেই।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বর্তমানে চরম ভাবাপন্ন ওয়েদার বিরাজ করছে সিস্টেমে। সেটা আরও ১০ দিন থাকবে। আগামী সাতদিনে বজ্রমেঘ সৃষ্টি হওয়ার প্রবণতা কম। মে মাসের তিন তারিখ পর্যন্ত বৃষ্টির সম্ভাবনাও কম।

ওই মাসের প্রথম সপ্তাহে সামান্য বৃষ্টিপাত হতে পারে। তবে পুরো মাসে ভারী বৃষ্টিপাতের আভাস নেই। এ সময় ঢাকাসহ দেশের মধ্যাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চলে কালবৈশাখী ও বজ্রঝড়ের আভাস রয়েছে। টানা বা স্থায়ী বৃষ্টিপাতের কোনো সম্ভাবনা না থাকলেও তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, তাদের গাণিতিক মডেলগুলো অনুযায়ী, তাপমাত্রা এত বাড়বে না। ৪০ কিংবা ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশেই থাকবে। মে মাসের প্রথম সপ্তাহের মাঝামাঝি পর্যন্ত এটা বলা যায়। এরপর আসলে সঠিকভাবে বলা যায় না। মে মাসের প্রথম সপ্তাহে বৃষ্টিপাত হতে পারে দেশের মধ্যাঞ্চল, উত্তরাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চলে। তবে ঢাকায় তেমন হবে না। এখন জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বাতাসে বেড়েছে। এতে তাপমাত্রা অতিতীব্র না হলেও গরম অনুভূতি বাড়বে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ। তিনি বলেন, স্বল্প সময়ের জন্য স্বস্তিদায়ক বৃষ্টি মে মাসে পাওয়া যাবে।

আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলছেন, মে মাস হচ্ছে উষ্ণতম মাস। আমাদের দেশে ১৯৭২ সালে রাজশাহীতে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেটা মে মাসেই। মে মাসে ৩ থেকে ৪টি তাপপ্রবাহ থাকে। এক্ষেত্রে টানা বৃষ্টি বা ভারী বৃষ্টিপাতেরে কোনো সম্ভাবনা নেই।

অনেকেই বলছেন তাপমাত্রা বেশি বা গড় তাপমাত্রা বেশি এই কথাটা মোটেই ঠিক নয়। গড় তাপমাত্রাও বাড়েনি। এপ্রিলের ২৩ তারিখ পর্যন্ত গড় তাপমাত্রা ৩৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কাজেই বাড়ল কোথায়। তাপমাত্রা এখন স্বাভাবিকের চেয়ে ২ থেকে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি আছে। চরম ভাবাপন্ন আবহাওয়ায় তাপমাত্রা ২ থেকে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি থাকে। তাপমাত্রার গড় হিসেব করা হয় ৩০ বছরে। কাজেই ৩০ বছরের গড় তো বাড়েনি। এছাড়া গড় কখনও সঠিক পরিসংখ্যান দেয়ও না।

২০১৪ সালের পর থেকে গরম অনুভূত হচ্ছে বেশি

বর্তমানে এপ্রিল মে মাসের তাপপ্রবাহ সাতদিন, ১৫ দিন, ২৩ দিন এমনভাবে স্থায়ী হয়। বিশেষ করে ২০১৪ সালের পর থেকে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহের সময়কাল বা স্থায়িত্ব বেড়ে গেছে। এজন্য তাপমাত্রাটা অসহনীয় হয়ে উঠেছে বলে মনে করছেন সাধারণ মানুষ। প্যানিক তৈরি হচ্ছে। অনেক গণমাধ্যমও এভাবে প্রতিবেদন তৈরি করছে। ফলে মানুষের মধ্যে ভীতি তৈরি হচ্ছে। কিন্তু তাপমাত্রা আগের তুলনায় অস্বাভাবিক নয়।

বৃষ্টিপাত না হাওয়ার তিন কারণ

বাতাসের জলীয়বাষ্পের পরিমাণ প্রয়োজনের তুলনায় কম থাকার কারণে বজ্রমেঘ তৈরি হচ্ছে না। ফলে বৃষ্টি নামছে না। জলীয় বাষ্প আসে সাগর থেকে, সেটা হচ্ছে না। এর পেছনে আবার কারণ হচ্ছে এল নিনোর প্রভাব। পেরুর কাছে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে এল নিনো সক্রিয় থাকার কারণে বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয় বাষ্প কম আসছে বলেছেন আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক।

তাপমাত্রা বেশি থাকলে বৃষ্টি হয় না। কারণ বাতাসে যে জলীয় বাষ্প থাকে তা বেশি তাপমাত্রার কারণে ঘনীভূত হতে পারে না। ফলে বজ্রমেঘ তৈরি হয় না। এছাড়া বিহার, মধ্যপ্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে আবহাওয়ার একটা বিরাগ আধিপত্য রয়েছে দেশের বাতাসে। সেখানে অতিতীব্র তাপপ্রবাহের কারণে দেশের বাতাসের তাপমাত্রা বেড়ে গেছে। আর সেখানকার তাপমাত্রা বাড়ার কারণ হলো ভারতের রাজস্থানের থর মরুভূমি। পৃথিবীর সবচেয়ে উষ্ণতম মরুভূমি এটা। থর মরুভূমির তপ্ত বাতাসই বিহার, মধ্যপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ হয়ে বাংলাদেশের আসছে বলে জানান আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক।

তিনি বলেন, দেশে বৃষ্টিপাত হয় পশ্চিমা লঘুচাপের কারণে। সেটা ভূমধ্যসাগরে তৈরি হয়ে উজবেকিস্তান, আফগানিস্তান, পাকিস্তান, ভারত হয়ে দেশের সিস্টেমে প্রবেশ করে। এক্ষেত্রে ওইসব দেশের তাপমাত্রা কমলে বাংলাদেশের তাপমাত্রাও কমে। এপ্রিলে ভূমধ্যসাগরে আগের মতো পশ্চিমা লঘুচাপ সৃষ্টি হচ্ছে না, যেটা এ সময়ে বাংলাদেশের দিকে আসে।

অন্যদিকে ভূমধ্যসাগরে সৃষ্টি হওয়া পশ্চিমা লঘুচাপ যেটা সৃষ্টি হচ্ছে সেটা পূর্বদিক হয়ে চীনের দিকে সরে গেছে। সেখানে কিন্তু অতিবৃষ্টি হচ্ছে। ফলে পাকিস্তান থেকে থাইল্যান্ড পর্যন্ত সব দেশেই বৃষ্টিপাত কম হচ্ছে এবং তাপমাত্রা বেড়েছে বলে জানান আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ।

তিনি বলেন, বায়ুমণ্ডলের ওপরের দিকের বাতাস উত্তর দিকে মাঝে মধ্যে সরে গেলে এমন হয়। এদিকে তখন পশ্চিমা লঘুচাপ আসতে দেরি হয়। এর পেছনে জলবায়ুর পরিবর্তনের প্রভাবকেও দায়ী করছেন তিনি।

এপ্রিলের শুরু থেকেই চলছে তাপপ্রবাহ। তিন তিনটি হিট অ্যালার্টও দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এখনও একটি হিট অ্যালার্ট চলছে। অতিতীব্র তাপপ্রবাহ কেটে গেলেও দেশের অধিকাংশ জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। ফলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ ঘোষণা করছে সরকার। জনজীবন যখন কাহিল তখন খুব একটা সুখবর নেই দেশবাসীর জন্য।

চলতি মৌসুমে গত ২০ এপ্রিল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন চুয়াডাঙ্গায় ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি, মোংলায় ৪১ দশমিক ৭ ডিগ্রি, ঈশ্বরদীতে ৪১ দশমিক ৬ ডিগ্রি, খুলনায় ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া দেশের অন্যান্য স্থানেও মৃদু থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে। এখনও যা বিদ্যমান আছে।

২০২৩ সালের ১৭ এপ্রিল আগের নয় বছরের মধ্যে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ঈশ্বরদীতে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ২০১৪ সালের মে মাসে চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

২০২৩ সালের ১৬ এপ্রিল আগের ৫৮ বছরের মধ্যে ঢাকার তাপমাত্রা ছিল সর্বোচ্চ ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় ১৯৬৫ সালে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এর আগে ১৯৬০ সালে ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। ১৯৭২ সালের ১৮ মে রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই রেকর্ড এখনও ভাঙেনি।


আরও খবর



বিলাসিতা কমিয়ে শ্রমিকদের প্রতি নজর দিন

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

বিলাসিতা কমিয়ে শ্রমিকদের প্রতি নজর দিতে শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মহান মে দিবস উপলক্ষে বুধবার (১ মে) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় এই আহ্বান জানান তিনি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেখ হাসিনা বলেন, খেটে খাওয়া মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনই আওয়ামী লীগের লক্ষ্য। সরকার চায় দক্ষ জনশক্তি গড়ে উঠুক। আওয়ামী লীগ যতবার ক্ষমতায় এসেছে শ্রমিকদের মজুরি বাড়িয়েছে। শ্রমিকদের কল্যাণ দেখা আওয়ামী লীগের দায়িত্ব।

৯৬ সালে বিরোধী দলে থাকাকালে আমি শ্রমিকদের দেখেছি, তাদের মজুরি ছিল মাত্র ৮০০ টাকা। তখন সরকারে এসে আমরা মজুরি বাড়িয়েছিলাম। যতবার সরকারে এসেছি ততবারই মজুরি বৃদ্ধি করেছি। শ্রমিকদের আরও উপযুক্ত করে গড়ে তোলা আমাদের লক্ষ্য।-বলেন প্রধানমন্ত্রী।

যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়তে বঙ্গবন্ধুর অবদানের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মা যেমন একটা রুগ্ন সন্তানকে বুকে নিয়ে লালন-পালন করে গড়ে তোলেন, ঠিক সেভাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্বাধীনতার পর শূন্য হাতে একটা যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ গড়ে তোলার দায়িত্ব হাতে নিয়ে সব কলকারখানা জাতীয়করণ করেন। শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করার পদক্ষেপ নেন। তাদের কর্মসংস্থান যাতে ঠিক থাকে সে পদক্ষেপটাই তিনি হাতে নিয়েছিলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা যখন দেশটাকে গড়ে তুলেছেন, তখন যেসব মালিক বাংলাদেশে ছিল শিল্প কলকারখানা মালিক তারা হবেন। আর যেগুলো মালিকানাবিহীন সেগুলো সরকার চালাবে। সে ব্যবস্থাও তিনি করেছিলেন, সরকারি খাতকেও গুরুত্ব দিয়েছিলেন। মাত্র নয় মাসের তিনি আমাদের একটি সংবিধান দেন। সংবিধানের ১৩ অনুচ্ছেদে আমাদের অর্থনৈতিক নীতিমালা কী? সেটা কিন্তু স্পষ্ট বলা আছে। সেখানে যেমন সরকারি প্রতিষ্ঠার থাকবে, সমবায় হবে এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থাকবে। অর্থনীতিকে বহুমুখী করে মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা, মানুষের জীবনমান উন্নত করার এটাই ছিল জাতির পিতা লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য নিয়ে তিনি কাজ করেছেন।

শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষার জন্য মজুরি কমিশন গঠনের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, মে দিবসের সরকারি ছুটি ঘোষণা করেন বঙ্গবন্ধু। এদেশে মানুষের মধ্যে যে বৈষম্য সে বৈষম্য তিনি দূর করতে চেয়েছিলেন।

বিএনপির সমালোচনা করে সরকারপ্রধান বলেন, আন্দোলনের নামে বাস ট্রাকে আগুন দিয়ে শ্রমিকসহ সাধারণ মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে বিএনপি।

শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা বঞ্চিত করলে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন হলেও ছাড় নেই বলে অনুষ্ঠানে মন্তব্য করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।


আরও খবর



সবজির বাজার গরম, কাঁচা মরিচের দামে আগুন

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image


 ডিজিটাল রিপোর্ট:


দীর্ঘদিন ধরেই নিত্যপণ্য, কাঁচাবাজার, মাছ-মাংস, এমনকি মসলাজাত পণ্যের দামে হাঁসফাঁস অবস্থা সাধারণ মানুষের। বাজারে সরবারহে খুব একটা ঘাটতি না থাকলেও বেশিরভাগ পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী।


 সপ্তাহের ব্যবধানেই দাম বেড়ে যাচ্ছে বিভিন্ন সবজির। বিশেষ করে কাঁচা মরিচের দাম সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি ৭০-৮০ টাকা বেড়ে ১৫০-১৬০ টাকা হয়েছে।


শুক্রবার (১৭ মে) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আগের মতোই উচ্চমূল্যে বিক্রি হচ্ছে শাক-সবজি, চিনি, চাল, আটা, ডাল ও মাছ-মাংস।


আলুর ছড়াছড়ি থাকলেও দাম কমছে না। ৫৫-৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে আলু। স্থানভেদে পাকা টমেটোর কেজি ৫০-৬০ টাকা। পেঁপে ৮০-৯০ টাকা, বেগুনও ১০০ টাকা ছুঁই ছুঁই। করলা ৫০-৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০-৫০ টাকা, বরবটি ১০০ থেকে ১২০ টাকা ও মান ও জাতভেদে পটল ৫০-৭০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।


স্থান ও মানভেদে কাঁচামরিচ ১৫০-১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, চিচিঙ্গা ৮০-১০০ টাকা, ঝিঙা ৬০-৭০ টাকা, কচুর লতি ৭০-৮০ টাকা, কচুর মুখী মানভেদে ৬০-৭০ টাকা, গাজর ৮০ টাকা, শসা ৫০-৬০ টাকা ও কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা হালি।


বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়। কেজিতে ১০-২০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে দেশি রসুন ২২০-২৪০ টাকা এবং আদা আগের বাড়তি দামেই ২২০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।


মাংসের বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, গরুর মাংসের কেজি ৭৫০-৮০০ টাকা। ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা বেড়েছে এ সপ্তাহে। প্রতি কেজি স্থানভেদে ২২০-২৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহেও ১০-২০ টাকা পর্যন্ত কম ছিল। 


এছাড়া সোনালি ও লেয়ার জাতের মুরগির কেজি স্থানভেদে ৩৫০ থেকে ৩৯০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংস আগের মতোই ১১০০ থেকে ১২০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।


মাছের বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, পাঙ্গাস বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ২০০ টাকা। আকার ও মানভেদে অনেকটা একই দামে বিক্রি হচ্ছে তেলাপিয়া। চাষের কই ২৫০ টাকার নিচে মিলছে না। আকারভেদে রুই-কাতলার দাম হাঁকানো হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি। দেশি শোল মাছ প্রতি কেজি ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকা।


আকারভেদে শিং মাছ ও বাইলা মাছ প্রতি কেজি প্রকারভেদে ৬০০-৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আকারভেদে পোয়া মাছ ৩৫০ থেকে ৪০০, পাবদা মাছ ৪০০ থেকে ৬০০, মলা ৫০০, কাচকি মাছ ৬০০, বাতাসি টেংরা ৯০০, অন্য জাতের টেংরা মাছ ৬০০ থেকে ৭০০, পাঁচ মিশালি মাছ ৩০০, রুপচাঁদা ১ হাজার ও বাইম মাছ ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে।




আরও খবর



এক শতাংশ ভোটার এলেও নির্বাচন গ্রহণযোগ্য: ইসি হাবিব

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image

 ডিজিটাল ডেস্ক:

প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটার উপস্থিতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব খান।

তিনি বলেন, এই সময়ে ৩৬ শতাংশ ভোট কম না। নির্বাচনে এক শতাংশ ভোটার এলেও তা গ্রহণযোগ্য।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে যশোর শিল্পকলা একাডেমিতে যশোর, নড়াইল ও মাগুরার উপজেলার নির্বাচনের প্রার্থী, নির্বাচনি কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।


তিনি আরও বলেন, উপজেলাওয়ারি ভোটার উপস্থিতির পরিসংখ্যান প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি আসন্ন দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে কেন্দ্রে ভোটার আনতে কমিশন প্রচারণা চালাবে।

প্রার্থীদেরও প্রচারণা চালাতে হবে। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ভোটারদের নির্বিঘ্নে কেন্দ্রে আসতে সব ব্যবস্থা করবে।

নির্বাচন কমিশনার বলেন, মূলত তিনটি কারণে ভোটার উপস্থিতি কম ছিল। এর মধ্যে একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দলের অনুপস্থিতি, দ্বিতীয়ত এখন ধান কাটার মৌসুম, তাছাড়া ভোটের আগের রাতে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়েছে। আগামীতে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।


বৈঠকের কথা উল্লেখ করে বলেন, আমি প্রার্থীদের বলেছি, মানুষ হিসেবে যে আমরা শ্রেষ্ঠ তা প্রমাণ করতে হবে। জনগণের সেবক হতে হবে। কারোর ওপর ভর না দিয়ে জনগণের ভালোবাসার ওপর ভর করতে হবে।

প্রার্থীরা আমাদের কথায় সম্মত। তাদের আমরা আশ্বস্ত করতে পেরেছি। সামনের নির্বাচনগুলো আগের থেকে আরও স্বচ্ছ ও ভালো হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আইন প্রয়োগে কঠোর হবে। কোনও ছাড় হবে না।

আহসান হাবিব খান বলেন, আমরা আস্তে আস্তে ভালো করছি। আগামীতে আমাদের নির্বাচন বিশ্ববাসীর জন্য রোল মডেল হবে।

বেলা ১১টায় যশোর শিল্পকলা একাডেমিতে যশোর, নড়াইল ও মাগুরার উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী, নির্বাচনি কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক বসেন নির্বাচন এই কমিশনার। দুপুর আড়াইটায় বৈঠক শেষ হয়।


আরও খবর