Logo
শিরোনাম

সৌদিতে পৌঁছেছেন ৩৪ হাজার ৭৪১ হজযাত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ২২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ জুন ২০২৪ |

Image

বাংলাদেশ থেকে হজ পালনের জন্য পর্যন্ত ৩৪ হাজার ৭৪১ জন হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন হজ ব্যবস্থাপনা পোর্টালের সবশেষ বুলেটিন থেকে তথ্য পাওয়া গেছে

এছাড়া এখন পর্যন্ত হজে গিয়ে জন বাংলাদেশি নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। সবশেষ স্থানীয় সময় মঙ্গলবার মো. লুৎফুর রহমান নামের ৬৫ বছর বয়সী একজন মক্কায় মারা যান। তার পাসপোর্ট নম্বর- ১২৯৬৯৪০৮

জানা গেছে, হজযাত্রীদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় হাজার ৭৪৭ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনার ৩০ হাজার ৯৯৪ জন সৌদি আরবে পৌঁছান

বাংলাদেশ থেকে ৮৭টি ফ্লাইটে এসব হজযাত্রী সৌদি পৌঁছেছেন। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ৩৯টি, সৌদি এয়ারলাইনসের ২৮টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইনস ২০টি ফ্লাইট পরিচালনা করে

এর আগে, গত মে বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের প্রথম ডেডিকেটেড ফ্লাইট ৪১৫ জন হজযাত্রী নিয়ে সৌদির উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এর মাধ্যমেই চলতি বছরের হজের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। শেষ হবে ১০ জুন

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৫ বা ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। হজযাত্রীদের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে ২০ জুন এবং শেষ হবে ২২ জুলাই


আরও খবর

টানা তিন দিন বৃষ্টির আভাস

শনিবার ১৫ জুন ২০২৪




দেশের রাজনীতির বাঁক বদলের দিন আজ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ |

Image

বঙ্গবন্ধুকন্যা, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের পর বিদেশে দীর্ঘ নির্বাসিত জীবন থেকে ১৯৮১ সালের ১৭ মে তিনি দেশে ফেরেন।

এরপর থেকে শেখ হাসিনা গত চার দশকেরও বেশি সময় ধরে বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া বাংলাদেশের প্রাচীনতম রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন। আওয়ামী লীগের পাশাপাশি উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা বিরোধী ঘাতকদের হাতে পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ বঙ্গবন্ধু নিহত হন। বঙ্গবন্ধুর এই মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের পর দীর্ঘ দিন বিদেশে নির্বাসিত জীবন কাটাতে হয় তার কন্যা শেখ হাসিনাকে। ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফেরার পর থেকে শেখ হাসিনা টানা ৪৩ বছর সফলতার সঙ্গে নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন এদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মহানমুক্তিযুদ্ধসহ অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগকে। সেই সঙ্গে শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে পাঁচ বার রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েছে আওয়ামী লীগ। এর মধ্যে তার নেতৃত্বেই বর্তমানে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার পরিচালনা করে ইতিহাস গড়েছে দলটি। আর এই চার বারসহ পাঁচ বারের আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছেন শেখ হাসিনা।

বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের সময় তার দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা দেশের বাইরে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান। তখন তারা বেলজিয়ামে অবস্থান করছিলেন। সেখান থেকে জার্মানি হয়ে তারা প্রতিবেশী দেশ ভারতে আশ্রয় পান। কিন্তু বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে তখন দেশে ফিরতে দেওয়া হয়নি। জিয়াউর রহমানের সামরিক সরকার শেখ হাসিনাকে দেশে আসতে বাধা এবং বিভিন্ন ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। দীর্ঘ ৬ বছর নির্বাসন শেষে সামরিক সরকারের রক্তচক্ষু ও নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ১৯৮১ সালের ১৭ মে প্রিয় স্বদেশভূমিতে প্রত্যাবর্তন করেন শেখ হাসিনা।

এদিকে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর আওয়ামী লীগ বিপর্যস্থ হয়ে পড়ে। জেল-জুলুম, অত্যাচার, নির্যাতন, হত্যা, নিপীড়নের শিকার হন দলের নেতাকর্মীরা। অভ্যন্তরীণ কোন্দলও প্রকট আকার ধারণ করে। দ্বিধা বিভক্ত হয়ে পড়ে আওয়ামী লীগ। এই পেক্ষাপটে নির্বাসিত জীবনে ভারতে অবস্থানকালেই ১৯৮১ সালের ফেব্রুয়ারিতে শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পান। ওই বছর ১৪, ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে সর্বসম্মতিক্রমে তাকে সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর ওই বছর ১৭ মে শেখ হাসিনা দেশে ফিরে আওয়ামী লীগের হাল ধরেন। শুরু হয় শেখ হাসিনার আরেক সংগ্রামী জীবন।

শেখ হাসিনাকে এই দীর্ঘ সময় দলীয় প্রধানের দায়িত্বে থেকে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে অনেক বন্ধুর পথও পারি দিতে হয়েছে। জেল, জুলুম, অত্যাচার, নির্যাতন, কারাবরণ, জীবনের ঝুঁকি এবং বার বার মৃত্যুর মুখোমুখি হতে হয়েছে তাকে। সব ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগকে আজকের অবস্থানে এনে দাঁড় করিয়েছেন। শেখ হাসিনার সফল নেতৃত্বের ফলেই আওয়ামী লীগ বার বার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসার সুযোগ পেয়েছে এবং তার মেধা, প্রজ্ঞা ও দক্ষ নেতৃত্ব দিয়েই তিনি বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল ও মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করেছেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের এই সময়ের শাসন আমলেই দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের নতুন মাত্রা সূচিত হয়েছে। তার হাত দিয়েই বাংলাদেশে তথ্য-প্রযুক্তির ব্যাপক প্রসার ঘটেছে, বাংলাদেশ ডিজিটাল দেশে পরিণত হয়েছে এবং উন্নত তথ্য-প্রযুক্তির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি এবং সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে রেখে তার পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করে চলেছেন।

শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে দেশের মাটিতে ফিরে এলে ঢাকায় লাখ লাখ জনতা তাকে স্বাগত জানায়। এ সময় শেরেবাংলা নগরে আয়োজিত সমাবেশে লাখো জনতা তাকে সংবর্ধনা জানায়। শেখ হাসিনা সেদিন বলেছিলেন, সব হারিয়ে আমি আপনাদের মাঝে এসেছি; বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে তার আদর্শ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে জাতির জনকের হত্যার প্রতিশোধ গ্রহণে আমি জীবন উৎসর্গ করতে চাই। পিতা-মাতা, ভাই রাসেল সকলকে হারিয়ে আমি আপনাদের কাছে এসেছি, আমি আপনাদের মাঝেই তাদেরকে ফিরে পেতে চাই। আপনাদের নিয়েই আমি বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে তার আদর্শ বাস্তবায়ন করে বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে চাই, বাঙালি জাতির আর্থ-সামাজিক তথা সার্বিক মুক্তি ছিনিয়ে আনতে চাই।

এর পর থেকেই দেশে শুরু হয় শেখ হাসিনার নতুন করে আরেক সংগ্রামের পথ চলা। তার নেতৃত্বে দ্বিধা বিভক্ত আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ হয়ে বাংলাদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ে সামরিক স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামে।

দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রাম এবং নানামুখী ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আওয়ামী লীগকে আজকের অব্স্থানে দাঁড় করিয়েছেন তিনি। দেশে সামরিক স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধেও তার নেতৃত্বে আন্দোলন গড়ে ওঠে। সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার আন্দোলনেরও তিনি নেতৃত্ব দেন। এই সময়ের মধ্যে বহু বার তার প্রাণনাশের চেষ্টা হয়। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। পাঁচ বার প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও তিনি তিন বার বিরোধী দলের নেতাও ছিলেন। এ দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম অব্যাহত রাখার পাশাপাশি দল ও সরকারের নেতৃত্বে থেকে বাংলাদেশের জন্য বড় বড় অর্জনও বয়ে এনেছেন শেখ হাসিনা। দেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে তার গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচি জাতীয় আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত হচ্ছে। শুধু নিজ দেশই নয়, বৈশ্বিক নানা সংকট নিয়ে কথা বলা এবং মতামত দেওয়ার মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক পরিসরেও শেখ হাসিনা স্থান করে নিয়েছেন।

শেখ হাসিনা নীতি ও আদর্শের প্রশ্নে পিতা শেখ মুজিবের মতোই অবিচল, দৃঢ় ও সাহসী। তিনি দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং সকল শ্রেণি ও পেশার মানুষের কল্যাণে যুগান্তকারী অবদান রেখে চলেছেন। রূপকল্প ২০২১ এর মধ্যম আয়ের বাংলাদেশকে রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি উন্নত, আধুনিক, সমৃদ্ধ, অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।


আরও খবর

টানা তিন দিন বৃষ্টির আভাস

শনিবার ১৫ জুন ২০২৪




স্ত্রীর মর্যাদা দাবিতে ছাত্রলীগ নেতার কাছে ছাত্রলীগ নেত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ০২ জুন 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ |

Image

বিডি ডেস্ক রিপোর্ট :



সামাজিকভাবে বিয়ের স্বীকৃতি ও স্ত্রীর মর্যাদা দাবি করতে গিয়ে ছাত্রলীগের  কেন্দ্রীয় কমিটির এক সহসভাপতির কাছে মারধরের শিকার হয়েছেন এক তরুণী।



 তার ভাষ্য, ক্ষমতাসীন দলের সহযোগী সংগঠনের ওই নেতা তাকে বিয়ে করেছেন এবং জোর করে গর্ভপাত ঘটিয়েছেন। অভিযোগকারী তরুণী ইডেন কলেজের ছাত্রলীগ নেত্রী। তবে বন্ধুত্বের বাইরে অন্য কোনো সম্পর্ক নেই দাবি করে শাহাদাত বলছেন, তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগই ভিত্তিহীন।


 বন্ধুত্বের বাইরে তাদের আর কোনো সম্পর্ক ছিল না; বরং অনেক দিন ধরে তাকেই মানহানিসহ নানা ধরনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে।


জানা গেছে, শাহাদাতের প্রতারণা ও নির্যাতনের অভিযোগ তুলে এর প্রতিকার চেয়ে গত ২৪ মে ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে লিখিত অভিযোগ করেন ওই তরুণী। এতে বলা হয়, ফুয়াদ হোসেন শাহাদাতের সঙ্গে তার ১০ বছরের সম্পর্ক। 


এই দীর্ঘ সময়ে তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া নানা ধরনের অন্যায়ের বিষয়ে তিনি গত ১৮ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে অবহিত করেন। ওবায়দুল কাদের বিষয়টি মীমাংসার জন্য ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে দায়িত্ব দেন। সে অনুযায়ী গত ৫ এপ্রিল মীমাংসার সময় নির্ধারণ করা হয়।


কিন্তু এর দুদিন আগে পারিবারিকভাবে সমাধানের কথা বলে শাহাদাত তাকে বাসায় ডেকে নিয়ে যান। ভুক্তভোগী তরুণীর দাবি, বাসায় যাওয়ার পর সমাধানের পরিবর্তে শাহাদাত তাকে এলোপাতাড়ি লাথি মারে এবং গুরুতর জখম করে। 


নিরুপায় হয়ে তিনি ৯৯৯-এ কল করেন। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। সেখান থেকে বেরিয়ে ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফকে বিষয়টি জানান। পরে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নেন। এ ঘটনায় তিনি মানসিক ও শারীরিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন।


অভিযোগপত্রে ওই তরুণী বলেন, ‘আমি সামাজিকভাবে স্বীকৃতি চাওয়ার পর থেকেই শাহাদাত আমার পরিবারের সবার নামে মামলা দেওয়া এবং বিভিন্নভাবে ক্ষতি করার হুমকি দেয়। এমনকি আমাকে প্রতিনিয়ত প্রাণনাশের হুমকি প্রদান ও আমার মান-সম্মান যাতে না থাকে, সেই ব্যবস্থা করার হুমকি দেয়।


 তাই তার এসব কার্যকলাপে আমি আতঙ্কিত। ২০১৬ সালে মুসলিম আইন অনুসারে আমাদের বিয়ে হয় এবং সব ডকুমেন্ট নিজের কাছে আটকে রাখে। পরে তা অস্বীকার করে।’


বিষয়টি নিয়ে গত ২৬ মে হাজারীবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করেছেন ভুক্তভোগী। এতে বলা হয়, ‘ফুয়াদ হোসেন শাহাদাত আমার স্বামী। তার সঙ্গে আমার বিয়ে হয় ২০১৬ সালে। পারিবারিক কলহের পর সে গত ১৮ মে আমাকে হোয়াটসঅ্যাপে কল করে মেরে ফেলার হুমকি দেয় এবং মিথ্যা মামলা দেবে বলে হুমকি প্রদান করেছে।’ 


 গত বছরের ৩ নভেম্বর একই থানায় ওই তরুণীর বিরুদ্ধে ফুয়াদ হোসেন শাহাদাত একটি সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন।


চলতি বছরের এপ্রিলে শাহবাগ থানায় করা আরেকটি জিডিতে তিনি (ফুয়াদ হোসেন শাহাদাত) উল্লেখ করেন, গত ৩ এপ্রিল ওই তরুণী হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে কল দিয়ে শাহাদাতকে বলেন, তার (তরুণী) কথা যদি শাহাদাত না শোনেন এবং কথামতো যদি কাজ না করেন, তাহলে তিনি তার কণ্ঠ নকল করে এআই বা অ্যাপের মাধ্যমে অপ্রীতিকর মন্তব্য ছোট ছোট অডিও ক্লিপ বানিয়ে সবার কাছে পাঠাবেন। 


কণ্ঠ ক্লোন করে এসব ক্লিপ বানানো হবে গুরুত্বপূর্ণ মানুষকে নিয়ে, যাতে প্রয়োগ করা হবে খারাপ ও অশ্লীল শব্দ।’


সার্বিক বিষয়ে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেন, ‘গত ২৪ মে এ বিষয়ে আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে সাংগঠনিক ব্যস্ততা থাকায় এ নিয়ে কাজ করতে পারিনি। শিগগির আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখব এবং তদন্তসাপেক্ষে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’


আরও খবর



আদিতমারিতে পাওনা টাকা নিয়ে স্কুল ছাত্রকে কুপিয়ে হত্যা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ |

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি,লালমনিরহাট :

লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলায় বন্ধুর কাছে পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে এক স্কুলছাত্রকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে মধু চন্দ্রকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

অভিযুক্ত মধুসুধন  চন্দ্র ভাদাই ইউনিয়নের রুহানীনগর এলাকার মৃত সুবাস চন্দ্রের ছেলে।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) দুপুরে উপজেলার ভাদাই ইউনিয়নের রুহানী নগরে সতিনদীতে থেকে স্কুলছাত্র ফরহাদ আলীর (১৬) বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

 মৃত স্কুলছাত্র ফরহাদ একই ইউনিয়নের শীববাড়ি এলাকার গরু ব্যবসায়ী শাহাজান আলীর ছেলে।

সে আদিতমারী উপজেলার সারপুকুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র।

 ঘটনা স্থলে পরিদর্শনে আসা পুলিশ সুপার জানায়,‌ মধু একটি মোটরসাইকেল কিনে পাশের গ্রামের শীববাড়ির ফরহাদের কাছে বিক্রি করেন। সেই মোটরসাইকেলের টাকা লেনদেন নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ  হয়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মোটরসাইকেল নিয়ে ফরহাদ বাড়ি থেকে বের হয়, আর ফেরেনি স্কুলছাত্র ফরহাদ। ছেলের সন্ধান না পেয়ে আদিতমারী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন ফরহাদের বাবা। সেই জিডির সূত্র ধরে অনুসন্ধানে নামে পুলিশ। প্রথমদিকে ফরহাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি মধু কাছে পাওয়া যায়। এসময় তাকে আটক করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে মধুর দেওয়া তথ্যমতে তার বাড়ি থেকে অস্ত্র ও পাশের ভেটশ্বর নদী থেকে ফরহাদের বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।  

আদিতমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) রফিকুল ইসলাম জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য লালমনিরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এঘটনায় গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হবে। 

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম আরও জানান, যদি এই হত্যা কান্ডের সাথে আরও কেউ জড়িত থাকে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে।  

পরিদর্শন শেষে ফেরার সময় রাস্তায় নিহত ফরহাদের স্বজনরা অবরোধ করে ন্যায় বিচারের আশায়।


আরও খবর



১২০ টাকায় উঠল ডলারের দাম

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ মে 20২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ |

Image

ব্যাংক প্রতি ডলারের দর ১২০ টাকার বেশি নিচ্ছে। আমদানির ঋণপত্র নিষ্পত্তি করতে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে এই টাকা নেওয়া হচ্ছে।

ব্যাংকাররা বলছেন, তারা রেমিট্যান্স কিনেছেন ১১৯ টাকায়। এ কারণে আমদানিকারকদের কাছ থেকে ডলারের দর ১২০ টাকা নিতে হচ্ছে। বেশ কয়েকটি ব্যাংকের ট্রেজারি প্রধান বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তারা জানান, ক্রলিং পেগ পদ্ধতি চালু করে ডলারের যে রেট নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে, সেই রেটে ডলার কিনতে পাওয়া যায় না। বাধ্য হয়ে বাড়তি দরে ডলার কেনাবেচা শুরু করেছেন তারা।

গত ৮ মে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময়ের জন্য ক্রলিং পেগ ব্যবস্থা চালু করে। ক্রলিং পেগ মিড-রেট (সিপিএমআর) বা এই ব্যবস্থার আওতায় প্রতি ডলারের মাঝামাঝি বিনিময় হার নির্ধারণ করা হয় ১১৭ টাকা করে। যদিও এই ব্যবস্থা চালুর আগে দেশে প্রতি ডলারের দাম ছিল ১১০ টাকা। আইএমএফের ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের শর্ত হিসেবে সংস্থাটির পরামর্শ অনুযায়ী ক্রলিং পেগ ব্যবস্থা চালু করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কিন্তু এই দরে কোথাও ডলার মিলছে না। যদিও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওয়েবসাইটে ক্রলিং পেগ পদ্ধতির আশপাশেই আন্তঃব্যাংকে ডলার কেনাবেচা হচ্ছে বলে তথ্য দেওয়া হয়েছে।

তবে একটি ব্যাংকের ট্রেজারি প্রধান জানান, মঙ্গলবার তাদের ব্যাংক ১১৯ টাকায় রেমিট্যান্স কিনেছে। আর আমদানি এলসি নিষ্পত্তি করা হয় ১২০ টাকার বেশি দরে।

এ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রায়ত্ত একটি ব্যাংকের ট্রেজারি প্রধান বলেন, ক্রলিং পেগ চালুর প্রথম সপ্তাহে সব ব্যাংক ঠিকঠাক অনুসরণ করলেও এখন অনেক ব্যাংক বেশি রেটে ডলার সংগ্রহ করছে, একইসঙ্গে এলসি খুলতেও বেশি রেট নিচ্ছে। শরিয়াভিত্তিক অধিকাংশ ব্যাংক এই ক্রলিং পেগ রেট অনুসরণ করছে না বলে জানান তিনি।

এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের মধ্যস্থতায় ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন এবিবি এবং বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনকারী ডিলারদের সংগঠন বাফেদা ডলারের একটি আনুষ্ঠানিক দর ঘোষণা করত। যদিও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এর চেয়ে বেশি দরে লেনদেন হতো। নতুন পদ্ধতি চালুর আগে সর্বশেষ ঘোষিত দর ছিল ১১০ টাকা।

মঙ্গলবার (২১ মে) থেকে কিছু কিছু ব্যাংক বিদেশি এক্সেঞ্জ হাউজগুলো থেকে রেমিট্যান্স সংগ্রহ করেছে ১১৯ টাকা দরে। এছাড়া, আমদানিকারকদের এলসি নিষ্পত্তি করেছে ১২০ টাকা কিংবা তার চেয়েও বেশি দরে। এদিকে খোলা বাজারে ডলার বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকারও বেশি দরে।


আরও খবর



আওয়ামী লীগ গাছ লাগায়, বিএনপি-জামায়াত ধ্বংস করে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ |

Image

বিডি ডিজিটাল ডেস্ক:



পরিবেশ রক্ষায় আওয়ামী লীগ সারাদেশে গাছ লাগায়, আর বিএনপি-জামায়াত আন্দোলনের নামে হাজার হাজার বৃক্ষ ধ্বংস করে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 


তিনি বলেন, এ দেশের মানুষকে রক্ষা করা আমাদের কর্তব্য। জলবায়ু পরিবর্তনের যে বিরূপ প্রভাব, তা থেকে দেশকে আমরা মুক্ত করতে চাই। সেদিকে লক্ষ্য রেখে আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছি। যে পদক্ষেপগুলো বঙ্গবন্ধু নিয়েছিলেন।



আজ বুধবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিশ্ব পরিবেশ দিবসের অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা ১৯৭২ সালে পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেন। 


ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে একটা সবুজ আচ্ছন্ন পরিবেশ তৈরির পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। ১৯৭২ সালের ১৬ জুলাই তিনি সেখানে বৃক্ষরোপণ সপ্তাহ উদযাপন করেন।



বঙ্গবন্ধু বৃক্ষরোপণের জন্য মানুষকে ব্যাপকভাবে উদ্বুদ্ধ করেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, কক্সবাজারে সমুদ্র সৈকতে যে ঝাউ বন, সেটি জাতির পিতার উদ্যোগে রোপণ করা হয়। তাছাড়া আমাদের দ্বীপ অঞ্চল, বিশেষ করে চরাঞ্চলগুলোতে ব্যাপকভাবে বৃক্ষরোপণ করা এবং সেখানে প্রত্যেক প্রজাতির পশুপাখি জোড়ায় জোড়ায় ছেড়ে দেয়া হয়। সেটা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শুরু করেছিলেন।


সরকারপ্রধান বলেন, ইট আমাদের উৎপাদন করতে হবে, তবে সেটা যাতে পরিবেশবান্ধব হয়। বিকল্প ব্যবস্থায়ও জোর দিচ্ছি। প্লাস্টিকের ব্যবহার হচ্ছে এখনো। তবে সুখবর হলো, পাটের থেকে এমন কিছু পণ্য তৈরি করা যায়, যা মাটির সঙ্গে মিশেও যায়। এটার জন্য আমরা নানা ব্যবস্থা নিচ্ছি।



সরকারপ্রধান বলেন, ২০০৯ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত ১১টি আইন, নীতি, বিধিমালা ও প্রবিধানমালা প্রণয়ন করি। আমাদের ১০টি বিশেষ উদ্যোগের একটি পরিবেশ রক্ষা করা। বৃক্ষরোপণ, বন সংরক্ষণ ও বনায়ন বৃদ্ধির মাধ্যমে আমরা ২৫ ভাগ বনায়ন করতে পেরেছি। 


এরই মধ্যে ছাদ বাগান করার উপরও জোর দিয়েছি। এতে পরিবেশ রক্ষার পাশাপাশি নিজের খাদ্য যোগানও দেয়া যায়। এ সময় চলতি বছর ৮ কোটি ৩৮ লাখ চারা রোপণ করা হবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।



আরও খবর

টানা তিন দিন বৃষ্টির আভাস

শনিবার ১৫ জুন ২০২৪