সারাদেশে জেঁকে বসেছে শীত। যদিও
আবহাওয়ার চক্র অনুসারে এখনও শীতপূর্ব মৌসুম চলছে। আবহাওয়াবিদরা মনে করছেন,
ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাব এখনও রয়ে গেছে। ঘূর্ণিঝড় তার সঙ্গে অতিরিক্ত আর্দ্রতা
বয়ে নিয়ে আসে। সাধারণত রোদের প্রভাবে আবহাওয়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যায়। কিন্তু
এবার এখনও তা হয়নি।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর)
সকাল ৬টায় বদলগাছীতে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড
করেছে আবহাওয়া অধিদফতর। ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি
সেলসিয়াস।
সংস্থাটির মতে, ডিসেম্বরের গড় স্বাভাবিক সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি
সেলসিয়াস।
আবহাওয়াবিদরা মনে করছেন, যেহেতু ঘূর্ণিঝড়ের পরে আবহাওয়া পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক
হয়নি সে কারণে দেশের উত্তরাঞ্চল ও নদী অববাহিকায় দেশের উত্তরাঞ্চল ও নদী অববাহিকায়
মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়ছে। হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে অন্য
অঞ্চলগুলো।
কুয়াশার কারণে প্রায়
দিনই উত্তরাঞ্চলের জেলা নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দরে দীর্ঘ সময় ফ্লাইট ওঠানামা
বন্ধ থাকছে। অনেক সময় ফ্লাইট বাতিল পর্যন্ত করতে হচ্ছে।
আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল
নেওয়াজ কবির গণমাধ্যমকে বলেন, গত কয়েক দিন থেকেই মধ্য রাত থেকে সকাল পর্যন্ত
উত্তরাঞ্চলে ঘন কুয়াশা দেখা যাচ্ছে। আজ দিবাগত মধ্যরাতেও ঘন কুয়াশা পড়তে পারে।
দেশের অন্য এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা থাকতে পারে সকাল পর্যন্ত।
তিনি আরও বলেন, চলতি
সপ্তাহের শেষ ভাগে, অর্থাৎ ১৪-১৫ ডিসেম্বরের দিকে দেশের উত্তর-উত্তরপশ্চিম অঞ্চলে
মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। এসব এলাকায় তাপমাত্রা ১০
ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে আসতে পারে।
এদিকে, আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, মঙ্গলবার থেকে রাতের তাপমাত্রা কমতে শুরু করবে।
বুধবার রাতের তাপমাত্রা এক থেকে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমে যেতে পারে। তবে
দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।