Logo
শিরোনাম

তেইশ বছরের সংগ্রাম ও আমাদের স্বাধীনতা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৫ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image

মাজহারুল ইসলাম মাসুম, সিনিয়র সাংবাদিক, লেখক ও গবেষক :

  

মানুষের যত অনুভুতি আছে তার মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর আর অনুপম অনুভূতি হচ্ছে ভালবাসা।সে ভালবাসার সর্বোত্তম বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে দেশ মাতৃকার প্রতি ভালবাসা। আমাদের যে স্বাধীনতা যুদ্ধ তা হচ্ছে মাতৃভূমির জন্য সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের ইতিহাস।এটা অকুতোভয় সাহসের ইতিহাস।এ ইতিহাস  মহান ত্যাগের ইতিহাস। বাঙালি , বাংলা ভাষা যতদিন থাকবে ততদিন অক্ষয় হয়ে থাকবে ইতিহাস। যুদ্ধের পেছনে রয়েছে অনেক ইতিহাস।  যুদ্ধের রয়েছে একটা প্রেক্ষাপট, রয়েছে    বঞ্চনার ইতিহাস, শোষনের ইতিহাস। দাবিয়ে রাখার জঘন্য ইতিহাস। আমাদের জাতীয় জীবনের শ্রেষ্ঠ অধ্যায় হচ্ছে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ যার মধ্য দিয়ে আমরা পাই একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ,একটি নতুন মানচিত্র আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ।

এর জন্য ত্রিশ লক্ষ মানুষ জীবন দিয়েছিল, সম্ভ্রম হারিয়েছিল অগণিত মা বোন। রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল সবুজ  শ্যামল প্রান্তর। স্বাধীনতা পেছনে সবচেয়ে বড় ভুমিকা রেখেছিল দেশের বীর মুক্তিযোদ্ধারা।জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মৃত্যু কে তুচ্ছ ভেবে কাঁধে তুলছিল অস্ত্র দেশ মাতৃকার জন্য।১৯৭১ সালের ২৬ শে মার্চ থেকে যে যুদ্ধ শুরু হয়েছিল তা শেষ হয়েছিল ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ যার পরিসমাপ্তির মাধ্যমে আমরা লাভ করি স্বাধীন বাংলাদেশ। 

আমাদের এই মুক্তিযুদ্ধ ছিল নানা বিধ ঘটনা,বিরুপ পরিস্থিতি,অসম অর্থনৈতিক বন্টন আর প্রশাসনিক কর্মকান্ডের বঞ্চনার চুড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ।  ব্রিটিশ শাসকেরা প্রায় দুশো বছর শাসন শোষণ করেছে এই ভারতীয় উপমহাদেশ। তাদের হাত থেকে স্বাধীন হতে হাজারো মানুষ প্রাণ দিয়েছে,জেল জুলুম খেটেছে, নির্বাসনে গিয়েছে।১৯৪০ সালে লাহোর প্রস্তাবে ঠিক করা হয়েছিল ভারতবর্ষের যে অঞ্চল গুলোতে মুসলমান বেশি সেরকম দুটি অঞ্চল নিয়ে দুটি দেশ এবং বাকি অঞ্চল নিয়ে একটি দেশ গঠন করা হবে। কিন্তু ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট যে এলাকা দুটি তে মুসলমান বেশি সে দুটি এলাকা নিয়ে দুটি দেশ না হয়ে হয় একটি দেশ নাম যার পাকিস্তান।১৫ আগস্ট একটা দেশ ভারত গঠিত হয়।

পাকিস্তান নামে যে দেশটি গঠন হয় তার দুটি অংশ দু প্রান্তে দুই হাজার কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। একটা পুর্ব পাকিস্তান আর একটা পশ্চিম পাকিস্তান। দুই হাজার কিলোমিটার এর ব্যবধানে অবস্থিত দুই প্রদেশের  মাঝে অন্য এক ভিন্ন দেশ ভারত। দুপ্রদেশের   মধ্যে যে কেবল দুই হাজার কিলোমিটার এর ব্যবধান  ছিল তা নয়। দু' প্রদেশের মানুষের মধ্যে ছিল বিশাল ব্যবধানচেহারা, ভাষা , খাবার , পোশাক, সংস্কৃতি সবই ছিল ভিন্ন।কেবল মিল ছিল ধর্মের। শুধু মাত্র ধর্মীয় মিল ব্যাতিত অন্য কোন মিল ছিল না।

শুধু মাত্র ধর্মীয় মিল ব্যাতিত অন্য কোন মিল ছিল না। শুরু হয়.শোষন  বঞ্চনা। এতোসব বৈপরীত্যের মধ্যে দুটি অংশ কে টিকিয়ে রাখার জন্য  যে ধরনের মন মানসিকতা, উদারতা, ভালবাসা, আন্তরিকতা দরকার ছিল তা পাকিস্তানি তথা পশ্চিম পাকিস্তানের শাসক গোষ্ঠীর মধ্যে ছিল না। তখন পাকিস্তান নামে যে দেশটি সৃষ্টি হয়েছিল তখন পশ্চিম পাকিস্তানের জনসংখ্যা ছিল দুই কোটি, পূর্ব পাকিস্তানের জনসংখ্যা ছিল চার কোটি।

পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ  বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি জানিয়ে আসছিল। কিন্তু ১৯৪৮ সালেই উর্দু কে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা ঘোষণা করা হয়।

১৯৫২ সালে খাজা নাজিমুদ্দিন প্রধানমন্ত্রী হয়ে পূনরায় উর্দু কে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা ঘোষণা করে। এই সিদ্ধান্তে ক্ষোভে ফেটে পড়ে পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালি সমাজ যার পরিনতি তে ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি সালাম বরকত রফিক  সফিক নাম না জানা আরো শহীদের রক্তের মাধ্যমে অর্জিত হয় বাংলা ভাষা যা স্বাধিকারের রাজনৈতিক গুরুত্ব কে আরো বাড়িয়ে দেয়। ভাষা আন্দোলন  কে বাঙালি জাতিয়তাবাদের উত্থান হিসেবে ধরা হয়।

১৯৫৪ সালের ১০  মার্চ পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে পূর্ব বঙ্গ যুক্তফ্রন্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের মাধ্যমে সরকার গঠন করলে পাকিস্তানী তথা পশ্চিম পাকিস্তানের শাসক গোষ্ঠী তা মেনে নেয়নি।মাত্র আড়াই মাসের মাথায় কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে মন্ত্রী সভা ভেঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হয়। নির্বাচন বানচাল করতে ১৯৫৮ সালে সামরিক শাসন জারি করা হয়।

১৯৫৯ সালে আইয়ুব খান মৌলিক গণতন্ত্র আদেশ জারি করে দাবি করেছিলেন যে সামরিক শাসক রা জনগণের জন্য মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করেছে।১৯৬০ সালে আশি হাজার মৌলিক গণতন্ত্রীর প্রদত্ত ভোটে ১৫ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন আইয়ুব খান।

১৯৬২ সালের শিক্ষা সংকোচন নীতির বিরুদ্ধে পূর্ব পাকিস্তানের ছাত্র সমাজ রুখে দাঁড়ায়।১৯৬২ সালে গোপনে ছাত্রদের সংঘটিত করতে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সিরাজুল আলম খান, আব্দুর রাজ্জাক এবং কাজী আরেফ আহমদ।

১৯৬৩ সালের অক্টোবরে সংবাদ পত্রের কণ্ঠরোধ করার জন্য জারি করা হয় ' প্রেস এন্ড পাবলিকেসন্স অর্ডিন্যান্স ' এরই ধারাবাহিকতায় প্রতিবাদী সত্যনিষ্ঠ ভুমিকার জন্য ইত্তেফাক পত্রিকা নিষিদ্ধ করা হয় এবং এর সম্পাদক মানিক মিয়া কে গ্রেফতার করা হয়।

১৯৬৫ সালের পাক ভারত যুদ্ধের সময় পূর্ব পাকিস্তান যে কতটা অরক্ষিত তা স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

১৯৬৬ এর ছয়দফা আন্দোলন ১৯৬৯ এর গন অভ্যুত্থান বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পথে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে বিবেচ্য।

১৯৬৬ সালের ফেব্রুয়ারি বাঙালি দের প্রতি জাতিগত বৈষম্য তুলে ধরে শেখ মুজিবুর রহমান ছয় দফা দাবি উত্থাপন করেন সর্বদলীয় জাতীয় সংহতি সম্মেলনে

 ১৯৬৮ সালে বাংলা ভাষা সংস্কারের জন্য সুপারিশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর একাডেমিক কাউন্সিল যার মুলকথা ছিল সকল আঞ্চলিক ভাষা একত্রিত করে যৌথভাবে একটা মহান পাকিস্তানি ভাষা উদ্ভাবন করা সাংস্কৃতিক কর্মী বুদ্ধিজীবী মহলের প্রতিবাদের মুখে পিছু হটে সরকার।

 ১৯৬৮ সালে  বাঙালি জাতিয়তাবাদী আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সাথে যোগ দিয়ে লে. কমান্ডার মোয়াজ্জেম এর নেতৃত্বে কিছু সামরিক সদস্য পূর্ব পাকিস্তান কে বিচ্ছিন্ন করে ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করে।পূর্ব পাকিস্তান কে বিচ্ছিন্ন করার ষড়যন্ত্রে পাকিস্তান সরকার সামরিক বেসামরিক ২৮ জন ব্যক্তি কে গ্রেফতার করে।১৯৬৮ সালের ১৯ জুন শেখ মুজিবুর রহমান সহ ৩৫ জনকে গ্রেফতার করে আগড়তলা ষড়যন্ত্র মামলায়। এর প্রতিবাদে শুরু হয় গত আন্দোলন যা সরকার বিরোধী আন্দোলনে রূপ নেয়।

১৯৬৯ সালে পূর্ব বাংলার স্বায়ত্তশাসনের দাবি স্বাধীনতা আন্দোলনের দাবিকে ত্বরান্বিত করে।১৯৬৯ এর জানুয়ারি কেন্দ্রীয় শাসন থেকে বাঙালিদের স্বাধিকার অর্জনের লক্ষ্যে টি ছাত্র সংগঠনের  জন নেতা প্রণয়ন করেন ১১ দফা কর্মসূচি।এই আন্দোলনের সময় পাকিস্তান সরকার সামরিক শাসন জারি করে।তখন ২০ শেষ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ পুলিশের গুলিতে আসাদুজ্জামান এবং ২৪ ফেব্রুয়ারি মতিউর রহমান মৃত্যু বরন করেন।

   

পাকিস্তানের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আমূল পরিবর্তনের মুখোমুখি হয় ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ ১৬৯ টি আসনের মধ্যে ১৬৭ টি আসন পেয়ে নিরংকুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা অর্জন করলে।৩১৩ আসন বিশিষ্ট জাতীয় পরিষদেও আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়। সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা শেখ মুজিবুর রহমান এর প্রধানমন্ত্রী হবার বিরোধিতা করেন  পাকিস্তান পিপলস পার্টির নেতা জুলফিকার আলী খান ভুট্টো। তিনি দুই প্রদেশের জন্য দুই জন প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাব করেন। অবাস্তব আর অভিনব প্রস্তাবে পূর্ব পাকিস্তানে  ক্ষোভের সঞ্চার হয়। অবশেষে মার্চ পূর্ব পশ্চিম পাকিস্তানের দুই নেতা পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতির সাথে ঢাকায় এক বৈঠকে মিলিত হল। বৈঠক ফলপ্রসূ হয়নি।

মার্চ রেসকোর্স ময়দানে বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঐতিহাসিক ভাষণ প্রদান করেন। ভাষন বাঙালিকে স্বাধীনতার পথে উদ্ধুদ্ধ করে প্রবলভাবে।এ ভাষন বাঙালিকে উজ্জিবিত করে মুক্তি সংগ্রামের পথে। মার্চ এর ভাষন  কেবল কোন দলীয় নেতার ভাষন বা নির্দেশ ছিল না। ছিল একজন জাতীয় নেতার ভাষন।  

২৫ শে মার্চ জাতীয় পরিষদের অধিবেশন শুরুর পূর্বেই নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি দের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি জানান শেখ মুজিবুর রহমান। পূর্ব পাকিস্তান যখন ক্ষোভে ফুঁসে উঠছিল ঠিক তখনই ইয়াহিয়া খান সরকার গঠন ক্ষমতা হস্তান্তর নিয়ে শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে আলোচনা শুরু করেন। অন্যদিকে গোপনে চলে পূর্ব পাকিস্তানে গণহত্যার পূর্ব প্রস্তুতি। পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর হিসেবে ঢাকায় পাঠানো হয় বেলুচিস্তান এর কসাই হিসাবে পরিচিত জেনারেল টিক্কা খান কে। পূর্ব পাকিস্তানে অস্ত্র গোলাবারুদ আনতে থাকে

১০ থেকে ১৩ মার্চের মধ্যে পাকিস্তান তাদের সকল আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বাতিল করে পূর্ব পাকিস্তানে সরকারি যাত্রী বহনের নামে সাদা পোশাকে সামরিক সেনা পাঠাতে থাকে। অস্ত্র গোলাবারুদ নিয়ে  পাকিস্তানী জাহাজ এম ভি সোয়াত নোঙর করে চট্রগ্রাম বন্দরে।তখন বন্দরের নাবিক শ্রমিক মাল খালাস করতে অস্বীকৃতি জানায়। ইস্ট পাকিস্তান এর সৈনিকরা তাদের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে।২৫ মার্চ রাতে ইয়াহিয়া খান সামরিক বাহিনী কে বাঙালি হত্যার সংকেত দিয়ে গোপনে পশ্চিম পাকিস্তানে চলে যায়। 

২৩ মার্চ ১৯৭১ পল্টন ময়দানে জয় বাংলা বাহিনীর এক কুজকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়।২৩ মার্চ পূর্ব পাকিস্তানের প্রতিটি শহরে পাকিস্তান দিবস বর্জন করা হয়। এবং পাকিস্তানি পতাকার পরিবর্তে বাংলাদেশের পতাকা উড়তে দেখা যায়।

২৪ শে মার্চ সামরিক শাসক গণ  হেলিকপ্টারে অপারেশনের পরিকল্পনা সমস্ত সেনানিবাসে হস্তান্তর করে। এই নির্দেশ নামা অপারেশন সার্চ লাইট নামে পরিচিত। ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী শুরু করে বাঙালি নিধন যজ্ঞ- অপারেশন সার্চ লাইট। দিন রাতে ঢাকায় পাকিস্তান আর্মি তে কর্মরত সকল বাঙালি আর্মি অফিসার হত্যা  বা গ্রেফতারের চেষ্টা করা হয়। ঢাকা পিলখানা রাজারবাগ পুলিশ লাইন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় , চট্টগ্রাম ইবিআরসি সহ সারা দেশে সামরিক আধাসামরিক সৈন্যদের হত্যা করা হয়।

২৫ মার্চ কালো রাতের হত্যাকাণ্ডের খবর যাতে বিশ্ববাসী না জানতে পারে ২৫: মার্চের আগেই সকল বিদেশি সাংবাদিক দের ঢাকা ত্যাগ করতে বাধ্য করে। সাংবাদিক সাইমন ড্রিঙ্ক তখন জীবনের ঝুঁকি নিয়েও ঢাকা অবস্থান করে এবং ওয়াশিংটন পোস্টের মাধ্যমে সারা বিশ্ববাসীর কাছে  এই গণহত্যার খবর পৌঁছে দেয়।

ঐদিন রাত ১২টা ৩০ মিনিটে ধানমন্ডির বাসভবন থেকে বন্দী হবার পূর্বে শেখ মুজিবুর রহমান নেতৃবৃন্দের করনীয় বিষয়ে দিক নির্দেশনা দেন এবং অবস্থান পরিবর্তনের কথা বলেন।

 

বিভিন্ন সূত্র দলিল থেকে পাওয়া তথ্য মতে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন।

২৫ মার্চ ঢাকার হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টাল -  অবরুদ্ধ সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে ঘোষনা দেওয়া হয় যে "শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব পাকিস্তানের সাড়ে সাত কোটি জণগনকে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে ঘোষনা দিয়েছেন।"

 ১৯৮২ সালে সরকারি ভাবে প্রকাশিত পুস্তক থেকে জানা যায় যে শেখ মুজিবুর রহমান একটা ঘোষনা পত্র লিখেন ২৫; মার্চ মাঝরাতে বা ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে  যা স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত হয়। কিন্তু সীমিত সংখ্যক মানুষ সে ঘোষনা পত্র শুনেছিল।তাই ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের মেজর জিয়াউর রহমান শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে ২৭ মার্চ কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র, চট্টগ্রাম থেকে ঘোষনা পাঠ করেন যা গণমাধ্যমে প্রচার করা হয়।ফলে বিশ্ববাসী বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা সম্পর্কে জানতে পারে।

 

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালো রাতে পাকিস্তানি সামরিক জান্তার পরিকল্পিত গণহত্যার প্রতিবাদে সারা দেশে শুরু হয় প্রতিরোধ। বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামী মানুষ পাকিস্তানের হাত থেকে দেশকে স্বাধীন করতে গড়ে তোলে মুক্তি বাহিনী। গেরিলা পদ্ধতিতে যুদ্ধ করে পাক হানাদার বাহিনী কে বিপর্যস্ত করে তোলে।  ১০ এপ্রিল একাত্তর নির্যাতিত সাংসদগণ আগরতলায় একত্রিত হয়ে সরকার গঠন করেন। ১৭ এপ্রিল ১৯৭১ মেহেরপুর মহকুমার ভবেরপাড়া গ্রামে বৈদ্যনাথতলায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার আনুষ্ঠানিক ভাবে শপথ গ্রহণ করে। শপথবাক্য পাঠ করান স্পীকার ইউসুফ আলী।

 

ডিসেম্বর এর শুরুতে যখন পাকিস্তান বাহিনীর পতন অনিবার্য হয়ে পড়ে তখন স্বাধীনতা যুদ্ধকে আন্তর্জাতিক রুপ দিতে পাকিস্তান ডিসেম্বর ভারতে বিমান হামলার মাধ্যমে যুদ্ধে লিপ্ত হয়। এরপর ভারত আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে সরাসরি জড়িয়ে পড়ে। ভারতীয় বাহিনী আর আমাদের মুক্তিবাহিনীর যৌথ আক্রমণে হতোদ্যম পাকবাহিনী যুদ্ধ বিরতির সিদ্ধান্ত নেয়।এর পূর্বে বাংলাদেশ যখন স্বাধীনতার দ্বার প্রান্তে তখন জাতিকে মেধাহীন করতে ১৪ ডিসেম্বর ১৯৭১ এদেশের প্রখ্যাত  বুদ্ধিজীবী দের হত্যা করে। অবশেষে ঢাকায় রেসকোর্স (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে) ময়দানে ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১  সালে ৯৩ হাজার সৈন্য নিয়ে যুদ্ধ বিরতির পরিবর্তে আত্ম সমর্পণ করে। আত্ম সমর্পণ দলিলে স্বাক্ষর করেন পাকিস্তান বাহিনীর পক্ষে  সেনা প্রধান  আমির আবদুল্লাহ খান নিয়াজী এবং মিত্র  বাহিনীর পক্ষে জেনারেল ওরোরা। পরবর্তী তে কুটনৈতিক কৌশলের মাধ্যমে ভারতকে বাংলাদেশ ছেড়ে যেতে বাধ্য করা হয়।

এভাবেই জাতির জনকের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে এদেশের বীর মুক্তিযোদ্ধারা আপামর জনতা নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে ছিনিয়ে এনেছিল লাল সবুজের পতাকা প্রিয় বাংলাদেশ।

 


আরও খবর

থেমে যাওয়া মানে জীবন নয়

রবিবার ২৩ এপ্রিল 20২৩




আইলার ভয়াল দিনে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image


 ডিজিটাল ডেস্ক:


চলতি মে মাসের শেষের দিকে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতের আবহাওয়া দপ্তর।


বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়টি পূর্ণ রূপ নিলে এর নাম হবে ‘রেমাল’। এই নামটি দিয়েছে ওমান।


ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, মে মাসে বঙ্গোপসাগরে দুটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে। ২০ মে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে পারে ঘূর্ণাবর্ত। এরপর সেটি ক্রমে উত্তর দিকে হয়ে শক্তি বাড়িয়ে ২৪ মে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে।



আগামী ২৫ মে সন্ধার পরে এই ঘূর্ণিঝড় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে বলে ভারতীয় আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।


এক রিপোর্টের বরাতে হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, আগামী ২০ মে থেকে এই সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ স্পষ্ট হতে পারে। তবে কোথায়, কত গতিতে এই ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে পারে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না।


 অনুমান করা হচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গ বা বাংলাদেশের মধ্যে কোথাও এটি আছড়ে পড়তে পারে।



প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এই ঘূর্ণিঝড়ের জেরে ২৪ মে রাত থেকে বৃষ্টি শুরু হতে পারে উপকূল এলাকায়। বৃষ্টি চলতে পারে ২৬ মে পর্যন্ত।


প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালের ২৫ মে সুন্দরবনে আঘাত হেনেছিল ঘূর্ণিঝড় আইলা। সেই ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের ১৫তম বর্ষের সন্ধ্যাতেই ঘূর্ণিঝড় 'রেমাল' আছড়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।



আরও খবর



রাতেও জ্বলবে সুন্দরবনে আগুন, ৩ সদস্যর তদন্ত কমিটি গঠন

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image

এম.পলাশ শরীফ, মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট)

 পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের আমরবুনিয়ার ড্রেনের ছিলা এলাকায় লাগা আগুন এখনও জ্বলছে। আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিস ওই এলাকায় পৌঁছালেও আগুনের কাছেই যেতে পারেনি। সন্ধ্যা হওয়ায় এবং কাছাকাছি কোনও পানির উৎস না থাকায় আগুন নেভানোর কাজ শুরু করা যায়নি। রবিবার সকাল ৬টা থেকে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করা হবে। এদিকে এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী নুরুল করিম রাত ১০টায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

নুরুল করিম বলেন, প্রচন্ড তাপপ্রবাহ ও দুর্গম এলাকায় আগুন লাগার খবর পেয়ে দমকল বাহিনী নিয়ে ছুটে যাই। প্রথমে আগুন নিয়ন্ত্রণে পানির উৎস খুঁজি। কিন্তু কাছাকাছি কোনও পানি পাওয়া যায়নি। অনেক দূরে ভোলা নদী থেকে পানি এনে আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এরই মধ্যে সন্ধ্যা হয়ে যায়। তাই আগুনের কাছে আর যাওয়া সম্ভব হয়নি। তবে স্থানীয় এলাকাবাসী এবং বনরক্ষীদের চেষ্টায় অল্প পানি সরবরাহ করে প্রাথমিকভাবে আগুন যাতে ছড়াতে না পারে সেটি করা হয়েছে।

 রবিবার সকালে আমরবুনিয়া এলাকার ভোলা নদী থেকে পানির সংযোগ স্থাপন করে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগুন বেশি দূর ছড়াতে পারেনি। অল্প অল্প করে জ্বলছে, রাতের মধ্যেও ছড়ানোর সম্ভাবনা নেই।

কী করে আগুন লেগেছে জানতে চাইলে ডিএফও নুরুল করিম বলেন, এখনও সঠিক কারণ বের করা যায়নি। তবে স্থানীয় কয়েকজন একেক তথ্য দিচ্ছে। সব তথ্যই আমলে নিয়ে পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) রানা দেবকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন চাঁদপাই রেঞ্জের জিউধার স্টেশন অফিসার ওবায়দুর রহমান এবং ধানসাগর স্টেশন অফিসার রবিউল ইসলাম। আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে আগুন লাগার সঠিক কারন উল্লেখ করে প্রতিবেদন জমা দেবে এই কমিটি।

মোরেলগঞ্জের নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বলেন, শনিবার দুপুরে প্রথমে আগুন লাগে সুন্দরবনের ড্রেনের ছিলা এলাকায়। বিকাল সাড়ে ৪টায় আগুন ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় জানাজানি হয়। এরপর স্থানীয় এলাকাবাসী ও বনরক্ষীদের সমন্বয়ে প্রাথমিকভাবে আগুন নেভানোর চেষ্টা করি। পরে বাগেরহাট ও মোরেলগঞ্জ থেকে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আসে। কিন্তু সন্ধ্যা গড়িয়ে গেলে দমকল বাহিনীর সদস্যরা কাজ শুরু করতে পারেনি। রবিবার ভোর থেকে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করবেন তারা।

বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক সাইদুল আলম চৌধুরী বলেন, বিকালে আগুনের খবর পেয়ে দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও নানা প্রতিকূলতার কারণে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করতে পারেনি। তবে আগুন লাগার ঘটনাস্থল চিহ্নিত করে রাখা হয়েছে। সকাল  থেকে কাজ শুরু করে। 


আরও খবর



দশম বর্ষে পদার্পণ: নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image

হৃদি চিরান, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি :

সাফল্যের নয়টি বছর শেষ করে এক দশকে পদার্পণ করলো জাতীয় কবি কাজি নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গণমাধ্যমকর্মীদের প্রথম সংগঠন জাককানইবি সাংবাদিক সমিতি(জাককানইবিসাস)। প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আজ সোমবার (১৩ মে ) সকাল ১১ টাই বৃক্ষ রোপণের মাধ্যমে শুরু হয়  বিভিন্ন আয়োজন। 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর সৌমিত্র শেখর। আরও উপস্থিত ছিলেন কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ডক্টর আতাউর রহমান, ময়মনসিংহ প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সহ বিভিন্ন বিভাগের ডিন ও শিক্ষকবৃন্দ। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ফাহাদ বিন সাঈদ। 


প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে সকলকে ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানিয়ে সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ফাহাদ বিন সাঈদ বলেন, "বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে পুরনো সংগঠন সাংবাদিক সমিতি নয় বর্ষ শেষ করে দশম বর্ষে পদার্পণ করেছে। সংগঠনটি ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠাকালে কিছু তরুণ মেধাবীর হাতে গড়ে উঠেছিলো। সকলের বিশ্বাস, ভালোবাসা ও আস্থা নিয়ে সংগঠনটি আজ এই অবস্থানে এসে পৌঁছেছে। ঐক্য, নিষ্ঠা ও সৃজনশীলতা স্লোগানকে বুকে ধারণ করে নিরলসভাবে সকলের স্বার্থে  কাজ করে চলেছে সাংবাদিক সমিতি।"


উল্লেখ্য যে, ২০১৫ সালের ১২ মে একঝাঁক তরুণ সাংবাদিকের হাত ধরে কার্যক্রম শুরু করে এই নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি। গত ১২ মে এক দশম বর্ষে  পদার্পণ করেছে এই সংগঠনটি। নানা জটিলতার কারণে ১২ মে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন করা সম্ভব না হওয়াই ১৩ মে (সোমবার) বৃক্ষ রোপণ, শোভাযাত্রা, কেক কাটা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভার মাধ্যমে দিনটি উদযাপন করা হয়। শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের বিভিন্ন যোক্তিক আন্দোলনে নিরলস ও নিঃস্বার্থভাবে সবার জন্য কাজ করে চলেছে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি। এক দশক পদার্পণ করা এই সংগঠনটির আগামী পথচলা শুভ হউক এই কামনা করি।


আরও খবর



মাভাবিপ্রবিতে শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল দক্ষতা প্রকল্পের উদ্বোধন

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image

মো: হ্নদয় হোসাইন,মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি :

মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে  "ডিজিটাল স্কিল ফর স্টুডেন্টস  ইউনিভার্সিটি অ্যাক্টিভিশন প্রোগ্রাম" বিশ্বিবদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের হল রুমে ১৫ মে, ২০২৪  সালে অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আইসিটি বিভাগের অধীনে   কম্পিউটার কাউন্সিলের ইনহ্যান্সিং ডিজিটাল গভর্মেন্ট ইকোনমি ( ইডিজিই) প্রকল্পের   আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ ফরহাদ হোসেন।

 বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন  প্রকল্প পরিচালক মোঃ সাখাওয়াত হোসেন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ আর এম সোলাইমান ।  স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের  কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ও প্রকল্প সমন্বয়কারী ড.  মোঃ সাজ্জাদ হোসেন। সভাপতিত্ব করেন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মেহেদী হাসান তালুকদার।  এ ছাড়াও সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান ও প্রশিক্ষনার্থীদের পক্ষে থেকেও বক্তব্য রাখেন। 

উল্লেখ্য, সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে দেশের  বর্তমান শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল  দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য  অন্যান্য  বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান  ও  প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সিএসই বিভাগের তত্বাবধানে  গত ৯ মার্চ থেকে শুরু হয়েছে এ প্রকল্পের ট্রেনিং প্রোগ্রামের  ক্লাশ । 

১৮ মাস মেয়াদি  এ প্রকল্পের আওতায়  ২৪ টি ব্যাচে ২৫ জন করে ৬শ শিক্ষার্থীকে ৫টি ল্যাবে হাতে কলমে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। 

প্রশিক্ষণ কোর্সে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের এবং টাঙ্গাইলের বিভিন্ন কলেজের অনার্স এর ৩য় বর্ষ থেকে মাস্টার্স পর্যন্ত আগ্রহী  শিক্ষার্থীরা প্রশিক্ষণে অংশগ্রহন করেন।

শনি থেকে বুধবার অফিস সময়ের পরে বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা এবং বৃহস্পতি ও শুক্রবার দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণ কোর্সের ক্লাশ চলে। প্রতিটি ব্যাচের জন্য ২০ টি করে ক্লাশ নেয়া হয়। ৯ মার্চ থেকে কার্যক্রম শুরু হলেও আজকে এ প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন  করা হয়।  

প্রধান অতিথি বলেন, এ প্রকল্পের অধীনে যে সকল শিক্ষার্থীরা প্রশিক্ষণ নিচ্ছে তারা স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে ভূমিকা রাখবে।  এভাবে যদি আমাদের শিক্ষার্থীরা নিজেকে দক্ষ করে গড়ে তোলে তাহলে ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নেও তরান্বিত করবে।


আরও খবর

একাদশের ক্লাস শুরু ৩০ জুলাই

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




উপজেলা নির্বাচন : মাঠে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের দ্বিতীয় ধাপের ১৫৭ উপজেলা নির্বাচনে রবিবার (১৯ মে) মাঠে নেমেছে বিজিবি-র‌্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ভোটের আগে-পরে ৫ দিনের জন্য তারা দায়িত্ব পালন করবে।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান জানিয়েছেন, বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা ৫ দিনের জন্য মাঠে নিয়োজিত থাকবেন। এ নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এরই মধ্যে পরিপত্র জারি করেছে।

পরিপত্র অনুযায়ী, সমতলে সাধারণ ভোটকেন্দ্রে পুলিশ, আনসার ও গ্রামপুলিশের ১৭ জন করে এবং ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ১৯ জনের ফোর্স মোতায়েন থাকবে। দুর্গম ও পার্বত্য এলাকায় সাধারণ কেন্দ্রে ১৯ জন ও ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ২১ জনের ফোর্স মোতায়েন থাকবে।

নির্বাচনী আচরণ বিধি প্রতিপালনে প্রতি ইউনিয়নে থাকবে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এছাড়া মোবাইল/স্ট্রাইকিং ফোর্সের সঙ্গে বিশেষ করে বিজিবির প্রতিটি মোবাইল টিমের সাথে একজন করে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবেন।

এদিকে, নির্বাচনী অপরাধ আমলে নিয়ে বিচার করার জন্য উপজেলায় থাকবেন একজন করে বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট।

সরকারি জরুরি সেবা ৯৯৯-এ থাকবে বিশেষ টিম। ওই টিম নির্বাচনসংক্রান্ত প্রাপ্ত অভিযোগ/তথ্যের বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরাসরি এলাকাভিত্তিক আইনশৃঙ্খলা সমন্বয় সেলে পাঠাবে।


আরও খবর