Logo
শিরোনাম

১৭ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমুহ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ |

Image


সদরুল আইন:


আসন্ন ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালীন ছুটি উপলক্ষ্যে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ১৭ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে।



আগামী বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) থেকে এ ছুটি শুরু হয়ে শেষ হবে ২৯ জুন। রাজধানী বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইতোমধ্যে এ ছুটির নোটিশ টানানো হয়েছে।



ব্যস্ততা বেড়েছে তাড়াশের কামারপাড়ায়

এতে বলা হয়, গ্রীষ্মকালীন ছুটি ও পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে আগামী ১৩ জুন থেকে ২৯ জুন পর্যন্ত ১৭ দিন ক্লাস ছুটি থাকবে। 


৩০ জুন থেকে যথারীতি অর্ধদিবস ক্লাস চলবে। তবে ১ জুলাই থেকে পূর্ণ দিবস ক্লাস চলবে।


শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানরা জানান, গ্রীষ্মকালীন ছুটি সাধারণ জুন মাসে হয়ে থাকে। যেহেতু ঈদুল আজহার ছুটির সঙ্গে সমন্বয় করে দেওয়া হয়েছে। 



এই ছুটি সাধারণ এক মাস হওয়া কথা থাকলেও চলতি বছর শীত ও তীব্র গরমের কারণে বেশ কিছুদিন স্কুল বন্ধ ছিল। তাই গ্রীষ্মকালীন ছুটি কিছুটা কমিয়ে আনা হয়েছে। তবে স্কুল কর্তৃপক্ষ চাইলে ঈদের ছুটি এবং গ্রীষ্মকালীন ছুটি আলাদা করেও দিতে পারেন।



এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (মাধ্যমিক) প্রফেসর সৈয়দ জাফর আলী বলেন, গ্রীষ্মকালীন ছুটি নিয়ে আমাদের ভিন্ন ভাবনা রয়েছে। তবে যেহেতু ঈদের ছুটি আগামী বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) থেকে শুরু হয়ে যাবে তাই আপাতত ঈদের ছুটির সঙ্গে সমন্বয় করে কোনো প্রতিষ্ঠান গ্রীষ্মকালীন ছুটি দিতে পারে।


 গ্রীষ্মকালীন ছুটি নিয়ে কোনো পরিবর্তন হলে তা পরে জানিয়ে দেওয়া হবে।


আরও খবর



ছাগলকান্ডে আলোচিত রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউর রহমান ওএসডি

প্রকাশিত:রবিবার ২৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ |

Image



সদরুল আইন:


ছাগলকাণ্ডের জন্য আলচিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের সভাপতি মতিউর রহমানকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে।



আজ রোববার (২৩ জুন) অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মকিমা বেগম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।



প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বিসিএস (শুল্ক ও আবগারী) ক্যাডারের কর্মকর্তা ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের সভাপতি মতিউর রহমানকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে সংযুক্ত করা হয়েছে। জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ কার্যকর হবে।  



আরও খবর



যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে হামাসের কিছু সংশোধনী কার্যকরী নয় : ব্লিঙ্কেন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ |

Image



সদরুল আইন,আন্তর্জাতিক ডেস্ক:



যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, তার দেশের গাজা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে হামাসের প্রস্তাবিত কিছু কিছু সংশোধনী কার্যকরী নয়, তবে একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। খবর আলজাজিরার।


দোহায় কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুলরহমান বিন জসিম আল থানির সঙ্গে আলোচনা শেষে ব্লিঙ্কেন বলেন, হামাসের সাড়া দেওয়ার ওপর নির্ভর করছে গাজা যুদ্ধ আরও দীর্ঘায়িত হবে কিনা।


ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘আলোচনার টেবিলে ওঠা প্রস্তাবনার বিষয়ে বেশ কিছু পরিবর্তন আনার প্রস্তাব দিয়েছে হামাস। গত রাতে আমরা এই পরিবর্তনের বিষয়গুলো নিয়ে মিসরীয় সহকর্মীদের সঙ্গে এবং আজ কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছি। প্রস্তাবনার কিছু পরিবর্তন কার্যকরী, আবার কিছু কার্যকরী নয়।’


গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি কার্যকরের লক্ষ্যে গত মাসে ওয়াশিংটন এই পরিকল্পনা প্রণয়ন করে। গত মঙ্গলবার হামাস ও ইসলামি জিহাদ যৌথভাবে এতে সাড়া দেয়। এই পরিকল্পনা ‘ইতিবাচক’ ও ‘দায়িত্বপূর্ণ’ বলে উল্লেখ করে সংগঠন দুটি।


এক বিবৃতিতে হামাস জানায়, ফিলিস্তিনি জনগণের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে গাজায় চলতে থাকা আগ্রাসন পুরোপুরি বন্ধ করতে এবং সমগ্র গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলি সৈন্য প্রত্যাহারের কথা বিবেচনা করেই এই সাড়া প্রদান করা হয়েছে।


গত ৩১ মে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কয়েক ধাপের যে প্রস্তাবনার ঘোষণা দেন, তাতে গাজা থেকে ইসরায়েলি সৈন্য প্রত্যাহার ও স্থায়ীভাবে শত্রুতা বন্ধ করতে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয়। তবে হামাসের অবস্থান ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবে কী কী অসঙ্গতি রয়েছে, তা এখনও পরিষ্কার নয়। মঙ্গলবার অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে ব্যর্থতার জন্য ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসকে দায়ী করেন।


ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘গত ৬ মে হামাসের দেওয়া প্রস্তাব এবং বর্তমানে আলোচনার টেবিলে থাকা চুক্তির বিষয়গুলো কার্যত অভিন্ন। এই চুক্তির পেছনে পুরো বিশ্ব রয়েছে, এই চুক্তি ইসরায়েলও গ্রহণ করেছে। আর এক্ষেত্রে হামাস একটিমাত্র শব্দ উচ্চারণ করতে পারে সেটা হলো–হ্যাঁ। তবে তা না করে হামাস দুই সপ্তাহ অপেক্ষা করেছে এবং আরও পরিবর্তনের প্রস্তাব দিয়েছে। আর এগুলোর মধ্যে এর আগে মেনে নেওয়া অবস্থানের বাইরে চলে গেছে তারা।’



হামাসের একজন কর্মকর্তা তাহের আল নানু মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিতর্কিত ভূমিকা পালনের অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেছেন, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এই শীর্ষ মার্কিন কূটনীতিক এমন আচরণ করছেন যেন তিনি ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ব্লিঙ্কেনের নিরপেক্ষতার অভাব রয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তাহের আল নানু।


আরও খবর



১৫ শতাংশ ট্যাক্স দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ |

Image

বিডি ডিজিটাল ডেস্ক:


১৫ শতাংশ ট্যাক্স দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ

আগামী অর্থবছরে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিচ্ছে সরকার। 


এর ফলে নাগরিকরা তাদের আয়ের উৎস সম্পর্কে কোনো প্রশ্নের সম্মুখীন না হয়েই তাদের অঘোষিত সম্পদকে বৈধ করার সুযোগ পাচ্ছেন।


প্রস্তাবিত বাজেট অনুযায়ী, দেশের প্রচলিত আইন যা-ই থাকুক না কেন, কোনো করদাতা ফ্ল্যাট, জমির পাশাপাশি নগদ অর্থসহ স্থাবর সম্পত্তির জন্য ১৫ শতাংশ কর দিলে কোনো কর্তৃপক্ষ কোনো ধরনের প্রশ্ন তুলতে পারবে না।



অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, ডেটা ভেরিফিকেশন সিস্টেম চালু করায় বিভিন্ন কোম্পানির অপ্রদর্শিত আয় ও সম্পদের তথ্য প্রকাশ নিয়ে আইনি জটিলতা তৈরি হয়েছে। তাছাড়া রিটার্ন দাখিলের ক্ষেত্রে করদাতাদের অজ্ঞতাসহ অনিবার্য পরিস্থিতির কারণে অর্জিত সম্পদ প্রকাশে ত্রুটি থাকতে পারে।


মন্ত্রী বলেন, এ অবস্থায় করদাতাদের আয়কর রিটার্নের এই ভুল সংশোধনের সুযোগ করে দেয়া এবং অর্থনীতির মূল ধারায় অর্থের প্রবাহ বাড়ানোর লক্ষ্যে আয়কর আইনে কর প্রণোদনার ওপর একটি ধারা সংযোজনের প্রস্তাব করছি।


আরও খবর



লুটপাটের নতুন পরিকল্পনা নিয়ে এই বাজেট: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ |

Image

বিডি টু ডে ডিজিটাল ডেস্ক:


২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে জনগণের অর্থ আত্মসাৎ করতে ক্ষমতাসীন দল সমর্থিত লুটেরাদের নতুন পরিকল্পনা বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 


বৃহস্পতিবার (৬ জুন) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের সামনে বাজেট নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথ বলেন তিনি।


তিনি বলেন, ‘সরকার লুটেরা হয়ে গেছে। লুণ্ঠনকে আরও প্রশ্রয় দেওয়ার লক্ষ্যে লুটেরাদের এই বাজেট। আমি বিশ্বাস করি, বাজেটে (জনগণের অর্থ) আত্মসাতের জন্য নতুন পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে।’



ফখরুল আরও বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটের সবচেয়ে খারাপ দিক হচ্ছে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির দিকে কোনো দিকনির্দেশনা না থাকা।


তিনি বলেন, ‘পুরো বাজেটটিই মনে হয় মেগা প্রকল্প, মেগা চুরি, দুর্নীতির জন্য তৈরি করা হয়েছে। তাই এই বাজেটকে আমি শুধু তথাকথিত গণবিরোধীই বলছি না, বাংলাদেশবিরোধীও বলছি।’



এর আগে বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টা ৪ মিনিটে জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।


বাজেট নিয়ে দলের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ফখরুল বলেন, প্রস্তাবিত ব্যয় রাজস্ব আদায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি।


তিনি সতর্ক করে বলেন, এই ভারসাম্যহীনতা কেবল জনদুর্ভোগকেই তীব্রতর করবে এবং তাদের বোঝা বাড়িয়ে তুলবে।


সরকার ব্যয় মেটাতে জনগণের পকেট কাটবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন বিএনপির এই নেতা।


মির্জা ফখরুল বলেন, ব্যয় ও রাজস্ব আয়ের মধ্যে ব্যবধান দূর করতে বিদেশের পাশাপাশি স্থানীয় ব্যাংক থেকেও ঋণ বা অনুদান নেবে সরকার।


তিনি আরও বলেন, ‘শেষ পর্যন্ত এর ফল ভোগ করতে হবে জনগণকেই। তারা এরই মধ্যে বিদ্যুৎসহ নিত্যপণ্য, জ্বালানি ও সেবাখাতের অসহনীয় মূল্যবৃদ্ধির বোঝা নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে।’


বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশের মানুষকে অনিশ্চিত পরিস্থিতিতে ফেলে অদূর ভবিষ্যতে সেবাখাতের দাম আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে সরকার। জীবিকা নির্বাহের জন্য লড়াই করতে গিয়ে অনেক মানুষ শহর ছেড়ে গ্রামাঞ্চলে ফিরে যাচ্ছে।


আরও খবর



ইসলামী ব্যাংকের লকার থেকে ১৪৯ ভরি সোনা গায়েব!

প্রকাশিত:রবিবার ০২ জুন 2০২4 | হালনাগাদ:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ |

Image

 ডিজিটাল ডেস্ক:


চট্টগ্রামে ইসলামী ব্যাংকের চকবাজার শাখার লকার থেকে এক গ্রাহকের ১৪৯ ভরি সোনা চুরি যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। 


সোনা চুরির ঘটনায় ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তারাই জড়িত রয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন অভিযোগকারী।


ওই শাখার গ্রাহক রোকেয়া আক্তার বারী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘গত ১৭ বছর ধরে আমি ইসলামী ব্যাংকের চকবাজার শাখায় লকার ব্যবহার এবং অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করে আসছি। 


গত ২৯ মে দুপুর দেড়টায় ইসলামী ব্যাংকের চকবাজার শাখায় কিছু স্বর্ণালংকার আনার জন্য যাই। লকারের দায়িত্বে থাকা অফিসারকে আমার লকার খুলে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করি। 


তিনি চাবি দিয়ে লকার কক্ষের দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে ওই অফিসার আমার বরাদ্দকৃত লকারটি খোলা দেখতে পান। এমন ঘটনা দেখে আমি হতভম্ব হয়ে পড়ি।’



রোকেয়া বলেন, ‘লকারে চুড়ি, জড়োয়া সেট, গলার সেট, গলার চেইন, আংটি, কানের দুলসহ ১৪৯ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ছিল। লকার খোলার পর দেখা যায়, সেখানে মাত্র ১০ থেকে ১১ ভরি স্বর্ণ অবশিষ্ট আছে। খোয়া যাওয়া স্বর্ণালঙ্কারের দাম প্রায় দেড় কোটি টাকা।’


রোকেয়া বারী আরেও বলেন, ‘ব্যাংক থেকে জানানো হয়, এই ঘটনায় তারা তদন্ত করবে। এ বিষয়ে এক সপ্তাহ পরে জানাবে।’ 



রোকেয়া বলেন, ‘পরবর্তীতে তারা এই ঘটনায় চকবাজার থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে গেলে পুলিশ তা গ্রহণ করেনি। 


চুরির বিষয়ে জানতে ইসলামী ব্যাংক চকবাজার শাখার ব্যবস্থাপক শফিউল মাওলার ব্যক্তিগত মুঠোফোন এবং হোয়াটস অ্যাপ নম্বরে একাধিকবার কল ও মেসেজ করার পরও তিনি সাড়া দেননি।


নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইসলামী ব্যাংকের একজন উর্ধতন কর্মকর্তা বলেন, ‘চকবাজার শাখার ঘটনাটি চুরি, মিসিং বা অন্য কোনো ঘটনা কি না, তা তদন্ত চলছে। ব্যংকের একজন ঊর্ধতন কর্মকর্তা রোববার (২ জুন) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিষয়টির তদন্ত করবেন।’


এ প্রসঙ্গে ভুক্তভোগী রোকেয়া বারীর ছেলে ডা. রিয়াদ মোহাম্মদ মারজুকের দাবি, ব্যাংক কর্মকর্তারা তাদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেছেন যে ঘটনা তদন্তে তারা একটি তদন্ত দল গঠন করেছেন এবং সাত দিনের মধ্যে সঠিক ঘটনা উদঘাটন করবেন। এ ছাড়া অভিযোগ দায়ের না করলেও ঘটনাটি পুলিশকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে।


চিকিৎসক রিয়াদ মোহাম্মদ মারজুক বলেন, ‘তার মা ২০০৭ সাল থেকে ইসলামী ব্যাংকের চকবাজার শাখায় তার স্বর্ণের গহনা রাখার জন্য লকার ব্যবহার করে আসছেন। বুধবার দুপুর ১২টার দিকে ব্যাংকে গিয়ে লকার রুমের ইনচার্জকে তার লকার দেখার অনুরোধ করেন। মায়ের কাছে লকারের মূল চাবি আছে এবং আরেকটি ডুপ্লিকেট চাবি ইনচার্জের কাছে থাকে।’


তিনি বলেন, ‘তারা দুজন লকার রুমে প্রবেশ করেন। তখন ইনচার্জ প্রথমে দেখেন যে মায়ের লকারটি খোলা। পরে আমার মা লকারটি পরীক্ষা করে ব্যাংক কর্মকর্তাদেরকে স্বর্ণালঙ্কার বিষয়টি জানান।’


এ বিষয়ে  ইসলামী ব্যাংক চকবাজার শাখার ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর (ডিএমডি) আকিজ উদ্দিন বলেন, আমরা বিষয়টি দেখছি। গ্রাহকের কাছে মূল চাবি আছে, কিন্তু আমাদের কাছে নেই। 


তিনি এক মাস আগে ব্যাংকে এসে লকারটি পরীক্ষা করেছিলেন। আমাদের কাছে কোনো গ্রাহকের লকারের সঞ্চয় সম্পর্কে তথ্য থাকে না। বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছি।


চকবাজার থানার ওসি ওয়ালি উদ্দিন আকবর বলেন, লকার রুমে কোনো সিসিটিভি ক্যামেরা নেই। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রাথমিক প্রমাণ সংগ্রহ করেছি। ভিকটিম ও তার ছেলে থানায় জিডি করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আমরা ঘটনাটির গুরুত্বের কারণে ফৌজদারি মামলা দায়ের করতে বলেছি।



আরও খবর