Logo
শিরোনাম

আজ আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস

প্রকাশিত:সোমবার ০১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image

রোকসানা মনোয়ার ;আজ আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস, বিশ্বব্যাপী শ্রমিকদের অবদান ও সংগ্রামকে সম্মান জানাতে দিবসটি পালিত হয়। এটি শ্রমিকদের কঠোর পরিশ্রম এবং তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করার দিন। এবার দিবসের প্রতিপাদ্য- শ্রমিক-মালিক ঐক্য গড়ি, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলি। স্বাধীনতাণ্ডউত্তর বাংলাদেশে ১৯৭২ সালে ১ মেকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মে দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেন। একইসঙ্গে সরকারি ছুটিও ঘোষণা করেন।

১৮৮৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের যে মার্কেটের শ্রমিকরা উপযুক্ত মজুরি আর দৈনিক আট ঘণ্টা কাজের দাবিতে ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন। কল-কারখানা তখন গিলে খাচ্ছিল শ্রমিকের গোটা জীবন। অসহনীয় পরিবেশে প্রতিদিন ১৬ ঘণ্টা কাজ করতে হতো। সপ্তাহজুড়ে কাজ করে শ্রমিকদের স্বাস্থ্য একেবারে ভেঙে যাচ্ছিল।

শ্রমজীবী শিশুরা হয়ে পড়েছিল কঙ্কালসার। তখন দাবি উঠেছিল, কল-কারখানায় শ্রমিকের গোটা জীবন কিনে নেওয়া যাবে না। ৮ ঘণ্টা শ্রম দিনের দাবিতে শুরু হওয়া আন্দোলনের সময় ওই বছরের ১ মে শ্রমিকরা ধর্মঘট আহবান করে, প্রায় তিন লাখ মেহনতি মানুষ ওই সমাবেশে অংশ নেয়। আন্দোলনরত ক্ষুব্ধ শ্রমিকদের রুখতে গিয়ে একসময় পুলিশ বাহিনী শ্রমিকদের মিছিলে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। এতে পুলিশের গুলিতে ১১ জন নিরস্ত্র শ্রমিক নিহত হন, আহত ও গ্রেপ্তার হন আরো অনেক শ্রমিক। পরে প্রহসনমূলক বিচারের মাধ্যমে গ্রেপ্তার শ্রমিকদের মধ্য থেকে ছয়জনকে আন্দোলনে অংশ নেওয়ার অপরাধে ফাঁসিতে ঝুঁলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।

কারাগারে বন্দিদশায় এক শ্রমিক নেতা আহত হন। এতে বিক্ষোভ আরো প্রকট আকারে বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। মে দিবসের তাৎপর্যপূর্ণ অবদান আজকের শ্রমিক শ্রেণিকে আগলে রেখেছে। যেকোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রামী চেতনা এখন শ্রমজীবীদের ভূষণ। ১৮৮৬ সালের রক্তঝরা সেই ১ মে এখন সবার কাছে অবিচার ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে জোর সংগ্রামের শপথ গ্রহণের দিন। তাই তো সুকুমার ভট্টাচার্য লিখেছিলেন- হারাবার কিছু ভয় নেই শুধু শৃঙ্খল হবে হারা/জন কল্লোলে উত্তাল নদী মোহনায় দিশেহারা।। তুফানে তুফানে তুলেছে আওয়াজ সইবো না/আজন্ম কাঁধে শোষণের চাকা বইবো না/এবার লড়াই, এবার লড়াইয়ে অস্ত্র শানিয়ে দাঁড়া।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন।

বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, আর্থসামাজিক উন্নয়নে বিশ্বব্যাপী শ্রমজীবী মানুষের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিল্প ও শ্রমবান্ধব বর্তমান সরকার শ্রমিকের সার্বিক কল্যাণ সাধন ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে উন্নত কর্মপরিবেশ, শ্রমিক-মালিক সুসম্পর্ক, শ্রমিকের পেশাগত নিরাপত্তা ও সুস্থতাসহ সার্বিক অধিকার নিশ্চিতকরণের কোনো বিকল্প নেই।

বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে দেশের শ্রমজীবী মানুষের জীবন-মান উন্নয়ন ও কল্যাণে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। মালিক-শ্রমিকের মধ্যে সৌহার্দ ও সুসম্পর্ক বজায় রাখার মাধ্যমে নিরাপদ কর্মপরিবেশ, সামাজিক নিরাপত্তা ও শ্রমিক কল্যাণ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ শ্রম আইন যুগোপযোগী ও আধুনিকায়ন করে বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) আইন-২০১৮ প্রণয়ন করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের বিভিন্ন খাতে কর্মরত শ্রমিকদের কল্যাণ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন গঠন করা হয়েছে। এই তহবিল থেকে যেকোনো শ্রমিক কর্মরত অবস্থায় দুর্ঘটনাজনিত কারণে স্থায়ীভাবে অক্ষম হলে অথবা মৃত্যুবরণ করলে, জরুরি চিকিৎসা ব্যয় নির্বাহ ও দুরারোগ্য ব্যাধির চিকিৎসার জন্য এবং শ্রমিকদের সন্তানের উচ্চ শিক্ষার জন্যেও আর্থিক সহায়তা পাচ্ছেন। আমরা রপ্তানিমুখী গার্মেন্টস শিল্পে কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারীদের সার্বিক কল্যাণে আর্থিক সহায়তা প্রদানে একটি কেন্দ্রীয় তহবিল গঠন করেছি এবং সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছি। সব সেক্টরে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বাড়ানো হয়েছে।

মহান মে দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে শ্রমিক সমাবেশ, শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, সেমিনার ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

মহান মে দিবস উদযাপন উপলক্ষে জাতীয় পত্রিকাগুলো বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে। বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার ও বেসরকারি টিভি চ্যানেলগুলো দিনটি উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠান ও টকশো সম্প্রচার করবে। এচাড়া আজ বিকাল ৩টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশের আয়োজন করবে জাতীয় শ্রমিক লীগ।

সমাবেশে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেবেন।

 


আরও খবর



আইলার ভয়াল দিনে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image


 ডিজিটাল ডেস্ক:


চলতি মে মাসের শেষের দিকে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতের আবহাওয়া দপ্তর।


বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়টি পূর্ণ রূপ নিলে এর নাম হবে ‘রেমাল’। এই নামটি দিয়েছে ওমান।


ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, মে মাসে বঙ্গোপসাগরে দুটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে। ২০ মে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে পারে ঘূর্ণাবর্ত। এরপর সেটি ক্রমে উত্তর দিকে হয়ে শক্তি বাড়িয়ে ২৪ মে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে।



আগামী ২৫ মে সন্ধার পরে এই ঘূর্ণিঝড় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে বলে ভারতীয় আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।


এক রিপোর্টের বরাতে হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, আগামী ২০ মে থেকে এই সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ স্পষ্ট হতে পারে। তবে কোথায়, কত গতিতে এই ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে পারে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না।


 অনুমান করা হচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গ বা বাংলাদেশের মধ্যে কোথাও এটি আছড়ে পড়তে পারে।



প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এই ঘূর্ণিঝড়ের জেরে ২৪ মে রাত থেকে বৃষ্টি শুরু হতে পারে উপকূল এলাকায়। বৃষ্টি চলতে পারে ২৬ মে পর্যন্ত।


প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালের ২৫ মে সুন্দরবনে আঘাত হেনেছিল ঘূর্ণিঝড় আইলা। সেই ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের ১৫তম বর্ষের সন্ধ্যাতেই ঘূর্ণিঝড় 'রেমাল' আছড়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।



আরও খবর



২ মে পর্যন্ত সকল প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ |

Image

তীব্র গরমের কারণে দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয় আগামী বৃহস্পতিবার (২ মে) পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মাহবুবুর রহমান তুহিন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মাহবুবুর রহমান বলেন, তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে শিশু শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিবেচনায় বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের বিদ্যালয় ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর লার্নিং সেন্টার বন্ধ থাকবে।


আরও খবর



পর্দা উঠছে কান চলচ্চিত্র উৎসবের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image

প্রতি বছর ফ্রান্সের দক্ষিণ উপকূলীয় শহরে বসে চলচ্চিত্র দুনিয়ার সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ আসর কান চলচ্চিত্র উৎসব। সেই ধারাবাহিকতায় এবারের কান উৎসব ২০২৪-এর ৭৭তম আসরের পর্দা উঠছে আজ মঙ্গলবার। শোবিজ দুনিয়ার অন্যতম বড় চলচ্চিত্র উৎসব এটি।

ফ্রান্সের পালে দ্য ফেস্টিভ্যাল ভবনের গ্র্যান্ড থিয়েটার লুমিয়েরে জমকালো আয়োজনে বসবে এই আসর। এ উপলক্ষে কান শহরে জড়ো হচ্ছেন বিশ্বের বড় বড় চলচ্চিত্র তারকারা।

প্রতি বছরই বাছাই করা বেশ কিছু চলচ্চিত্র দেখানো হয় এই উৎসবে। এবারের তালিকায় কিছু ভারতীয় সিনেমাও রয়েছে। প্রদর্শিত হবে পায়েল কাপাডিয়ার অল উই ইমাজিন অ্যাজ লাইট ও শ্যাম বেনেগালের মন্থন

এছাড়া এই তালিকায় রয়েছে আরো বেশ কয়েকটি সিনেমা। সেই সিনেমাগুলোর মধ্যে রয়েছে—‘অল উই ইমাজিন অ্যাজ লাইটসিনেমার কথা। মুম্বাইয়ের একজন নার্সের জীবনের ওপর র্নিমিত হয়েছে সিনেমাটি।


আরও খবর



রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image

রাষ্ট্রধর্ম ইসলামকে চ্যালেঞ্জ করে ৩৭ বছর আগে দায়ের করা রিট আবেদন সরাসরি খারিজের রায় প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। রায়ের পর্যবেক্ষণে হাইকোর্ট বলেছেন, সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্মের স্বীকৃতি দেওয়া সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানের মৌলিক কাঠামোকেও আঘাত করে না।

বিচারপতি নাইমা হায়দারের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বৃহত্তর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। অন্য দুই বিচারপতি হলেন, কাজী রেজা-উল হক ও মো. আশরাফুল কামাল।

১৯৮৮ সালে অষ্টম সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ইসলামকে সংযুক্ত করেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। সংবিধানে ২ (ক) অনুচ্ছেদ যুক্ত করে বলা হয়, প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রধর্ম হবে ইসলাম, তবে অন্যান্য ধর্মও প্রজাতন্ত্রে শান্তিতে পালন করা যাবে।

তখন স্বৈরাচার ও সাম্প্রদায়িকতা প্রতিরোধ কমিটির পক্ষে ওই বিধানের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছিলেন ১৫ জন বরেণ্য ব্যক্তি।

২০১১ সালের ৮ জুন বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল দেন। ওই দিনই অ্যামিকাস কিউরি (আদালতের সহায়তাকারী) হিসেবে ১৪ জন জ্যেষ্ঠ আইনজীবীকে নিয়োগ দেয়া হয়।

ওই রুল জারির প্রায় পাঁচ বছর পর ২০১৬ সালের ৮ মার্চ এই রুল শুনানির জন্য আদালতে ওঠে। ওই দিন অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগের আদেশটি প্রত্যাহার করেন আদালত। পরে ২০১৬ সালের ২৮ মার্চ রিটটি সরাসরি খারিজ করে দেওয়া হয়। সেই রায় সম্প্রতি প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট।


আরও খবর



সাকিব-মাহমুদউল্লাহকে ‘একটা ভালো মেমোরিস’ দিতে চান শান্ত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image



স্পোর্টস রিপোর্টার:

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ১৯তম দল হিসেবে গত পরশু দিন নিজেদের ১৫ সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণা করে বিসিবি। এই দল নিয়েই গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন টাইগাররা।

তবে তার আগে বুধবার শান্তবাহিনী সকালে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে প্রায় ঘণ্টা দুয়েক অনুশীলন করেন। সেখান থেকে ড্রেসিং রুমে গিয়ে প্রস্তুত হয়ে বৈশ্বিক ক্রিকেট আসরে যাওয়ার আগে আনুষ্ঠানিক ফটোসেশনে অংশগ্রহণ করেন টাইগাররা।

সেখানে প্রথমে স্কোয়াডের ১৫ ক্রিকেটার পরবর্তীকালে কোচ ও বোর্ড সভাপতির সঙ্গে ফটোসেশন করা হয়। এরপর দুপুরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয় তরুণ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।

সেখানেই আসন্ন বিশ্বকাপ প্রসঙ্গে কথা বলেন। এ সময় এ বৈশ্বিক ক্রিকেট আসরে স্কোয়াডে থাকা দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে ভালো স্মৃতি দেওয়ারও প্রত্যাশা করেন শান্ত।


সবশেষ ২০২২ সালে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে টাইগার স্কোয়াডে শান্তকে যুক্ত করার পর বেশ আলোচনা-সমালোচনা হয়। কারণ সে সময় ব্যাট হাতে ধারাবাহিক ছিলেন না তিনি।

তবে পরবর্তীকালে আসরটিতে দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন। পাঁচ ম্যাচে দুই ফিফটির ইনিংসের মধ্য দিয়ে ১৮০ করেন তিনি। সেখান থেকেই শান্তর ঘুরে দাঁড়ানোর শুরু। এরপর ২০২৩ সালটা তো কাটিয়েছেন স্বপ্নের মতো। যদিও সম্প্রতি ব্যাট হাতে খুব বেশি একটা সুবিধাজনক অবস্থানে নেই শান্ত।

তবে বিশ্বকাপে দলের জন্য ভালো কিছু করতে পারবেন বলেই মনে করেন টাইগার তরুণ এ অধিনায়ক।

এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘অবশ্যই আমার শেষ বিশ্বকাপটায় ভালো স্মৃতি রয়েছে। আমার মনে হয় সেখান থেকেই ঘুরে দাঁড়িয়েছিলাম। আশা করবে... এবার আমি বলব যে ব্যাটিং নিয়ে খুব বেশি চিন্তা করছি, তা না, আমার যেই কঠোর পরিশ্রম করা কিংবা আমার যে জায়গায় উন্নতি করার দরকার, ঐ জিনিসগুলো আমি অনুশীলনে করছি, তো আমি আশা করছি এবং আমি আত্মবিশ্বাসী যে, ভালোভাবেই আবার ফিরে আসব।’

বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
বাংলাদেশের হয়ে এখন পর্যন্ত সবকটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলা খেলোয়াড় সাকিব আল হাসান। তার পরই রয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সব শেষ এই ফরম্যাটের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে সুযোগ পেলে তিনিও সাকিবের পাশেই থাকতেন।

ধারণা করা হচ্ছে এই দুই ক্রিকেটারের এটাই এই ফরম্যাটে শেষ বিশ্বকাপ। কেননা তারা তাদের ক্যারিয়ারের গোধূলিলগ্নে রয়েছেন। সাকিবের বর্তমান বয়স ৩৭ বছর এবং মাহমুদউল্লাহর ৩৮। আর এই দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটারকে এবারের আসরে বিশেষ কিছু উপহার দিতে চান তরুণ টাইগার অধিনায়ক।

এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘এখনো জানি না, এটা তাদের শেষ বিশ্বকাপ কি না, এটা একটা ধারণা। তবে তরুণ খেলোয়াড় হিসেবে আমরা যারা আছি, অবশ্যই চাইব যে ওনারা এত লম্বা সময় ধরে খেলছেন, তাদেরকে একটা ভালো মেমোরিস দেওয়ার।


যে ভালো একটা বিশ্বকাপ শেষ করে তাদের উপহার দিলাম, অবশ্যই এটা আমাদের দায়িত্ব, সবার মধ্যেই অবশ্য তা থাকে। পাশাপাশি সাকিব ভাই রিয়াদ ভাইয়ের কাছে বাড়তি অতিরিক্ত কিছু চাই না। ওনারা যেভাবে পারফর্ম করছেন, যার যে রোল, সেটা যদি ঠিকভাবে পালন করতে পারেন, তাহলে দল অবশ্যই লাভবান হবে।

যে জিনিসটা চাইব, তাদের যেই অভিজ্ঞতাটা আছে সেটা যদি প্রত্যেকটা খেলোয়াড়ের মধ্যে ছড়িয়ে দেন, তাহলে আমাদের দলে যে ছোটো ছোটো জায়গাগুলোতে উন্নতির দরকার রয়েছে, সেগুলোতে খুব ভালো অবস্থানে থাকব।’

সাধারণত বিগত বছরগুলোতে দেখা গিয়েছিল, কোনো বিশ্বকাপের স্কোয়াড ঘোষণা করার পরই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দেশের ক্রিকেটাঙ্গন। করা হয় অনেক ক্রিকেটার ও নির্বাচককে নিয়ে সমালোচনাও। তবে এবার তেমনটি দেখা না গেলেও খানিকটা আলোচনার জন্ম দিয়েছে মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে জায়গা না পাওয়া নিয়ে। দল ঘোষণার সময় প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু এ প্রসঙ্গে বলেছিলেন যে, সাইফুদ্দিন তাদের চাওয়া পূরণ করতে পারেনি, তাই প্রাথমিক স্কোয়াডে থাকলেও শেষ মুহূর্তে কাটা পড়েছে এই পেস অলরাউন্ডারের নাম।

আর সেখানেই সুযোগ পেয়েছেন তরুণ পেসার তানজিম হাসান সাকিব। তাই স্বাভাবিকভাবেই অধিনায়ককেও মুখোমুখি হতে হয় সাইফুদ্দিনের বাদ পড়া আর সাকিবের যুক্ত হওয়া প্রসঙ্গে।

এ নিয়ে শান্ত বলেন, ‘সাকিব আমার মনে হয়, এখন যে অবস্থানে আছে, ওর বলের পেসটা স্বাভাবিকভাবে সাইফুদ্দিনের থেকে একটু বেশি। এছাড়া সাইফুদ্দিনের কাছ থেকে আমরা যেই রকম আশা করছিলাম, ঐ অনুযায়ী সব মিলিয়ে একটু কমবেশি ছিল।


পুরো বিস্তারিত আমি বলতে চাই না। তবে দুই জনই খুব কাছাকাছি ছিল। তো আমাদের কাছে সাইফুদ্দিনের বিষয়টায় সাকিবের ওপর আত্মবিশ্বাস বেশি মনে হয়েছে। সব মিলিয়ে কিংবা সেখানকার (বিশ্বকাপ) কন্ডিশন যদি চিন্তা করি, আমাদের মনে হয়েছে সাকিব বেটার অপশন হবে।’

ভিন্ন আরেকটি প্রশ্নের জবাবে এ প্রসঙ্গে অধিনায়ক আরও বলেন, ‘যে জিনিসটা হয়েছে, সাইফুদ্দিন-সাকিব দুই জনই খুবই কাছাকাছি ছিল। আমরা কাকে নেব, শেষ সময়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দুই জনই সমান ম্যাচ খেলেছে, জিনিসটা এমন না যে কে আট উইকেট নিয়েছে কিংবা কে নেয়নি, সেটা চিন্তা করে এক জনকে বাদ দেওয়া হয়েছে এক জনকে নেওয়া হয়েছে।

বিষয়টা হলো সব মিলিয়ে দলের কেমন প্রয়োজন টিমের জন্য...থাকে না বিশ্বাসের একটা ব্যাপার কারো ওপর হয়তো একটু বেশি ছিল কিংবা কারো ওপর একটু কম ছিল। আমাদের সবার কাছে মনে হয়েছে সাকিব ব্যাটার কিছু ডেলিভারি করতে পারবে দলের কম্বিনেশন অনুসারে।’

বিশ্বকাপের আগে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তিনটি প্রস্তুতিমূলক টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ দল। ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে যথাক্রমে ২১, ২৩ ও ২৫ মে। এরপর বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ৮ জুন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। এর আগে প্রস্তুতি ম্যাচও খেলবে টাইগাররা।


আরও খবর