Logo
শিরোনাম
তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

বকশীগঞ্জে সাংবাদিকদের সাথে ওসি’র অশালীন আচরণ

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 |

Image

জামালপুর প্রতিনিধি  :


জামালপুরের বকশীগঞ্জে সাংবাদিকদের সাথে অশালীন আচরণ করেছেন বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ তরিকুল ইসলাম। রোববার বেলা ১২ টার দিকে বকশীগঞ্জে একটি ডাকাতির ঘটনায় বক্তব্য নিতে থানায় যাওয়া হলে সাংবাদিকদের সাথে ওসি অশালীন আচরণ করেন। এক পর্যায়ে সাংবাদিকদের থানা থেকে বের হয়ে যেতে বলেন ওসি।  হঠাৎ তার এমন অশালীন আচরনে হতভম্ব হয়ে পড়েন উপস্থিত সাংবাদিকরা। 

এ সময় সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে ওসি তরিকুল ইসলাম বলেন,সংবাদ লিখতে হলে ওসির অনুমতি নিতে হবে। আমি আপনাদের সাথে কথা বলতে রাজি না। আপানারা থানা থেকে বের হয়ে যান। আপনাদের আমি কোনও বক্তব্য দিবো না। যা পারেন করেন। এক পর্যায়ে সাংবাদিকদের দেখে নেওয়ার হুমকি দেন ওসি তরিকুল ইসলাম।  

এ সময় বকশীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি ইত্তেফাক সাংবাদিক এম শাহীন আল আমীন,সাধারণ সম্পাদক কালেরকন্ঠ সাংবাদিক আবদুল লতিফ লায়ন,যুগান্তর সাংবাদিক সরওয়ার জামান রতন,তৃতীয় মাত্রার সাংবাদিক সরকার আবদুর রাজ্জাক,সমকাল সাংবাদিক মাসুদ উল হাসান,ভোরের দর্পনের সাংবাদিক মতিন রহমান,দেশের কন্ঠের সাংবাদিক এম এ ছালাম মাহমুদ ও আজকের বসন্ধুরার সাংবাদিক মোহাম্মদ আসাদ উপস্থিত ছিলেন। 

এই ঘটনায় তাৎক্ষনিক প্রতিবাদ সভা করেছে বকশীগঞ্জে কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা। সভায় ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান সাংবাদিক এম শাহীন আল আমীন,আবদুল লতিফ লায়,সরকার আবদুর রাজ্জাক, সরওয়ার জামান রতন,আশরাফুল হায়দার,মাসুদ উল হাসান,এইচ এম মূসা আলী,গোলাম রব্বানী নাদিম,মতিন রহমান,এম এ ছালাম মাহমুদ,একে এম নুর আলম নয়ন, এমদাদুল হক লালন,আল মুজাহিদ বাবু,রাশেদুজ্জামান রনি,মোহাম্মদ আসাদ ও আলমাছ আলী প্রমূখ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন সাংবাদিকরা। 

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে দেওয়ানগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুুলিশ সুপার রাকিবুল হাসান রাসেল বলেন, একজন সরকারি কর্মকর্তা শুধু সাংবাদিক কেনো সাধারণ মানুষের সাথেও অসদাচরণ করতে পারেন না। বিষয়টি আমি দেখবো। 

উল্লেখ্য, জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শাহীনা বেগমের বাসায় শনিবার দিবাগত রাত আনুমানিক ২.৩০ মিনিটের দিকে দূর্ধষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাতদল বাসার সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ টাকা,স্বর্নালঙ্কার ও মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। 

বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব শাহীনা বেগম জানান,কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের জাতীয় সম্মেলনের জন্য আমি ঢাকায় ছিলাম। গভীর রাতে ডাকাত দল আমার মা বোনদের জিম্মি করে নগদ ২০ লাখ টাকা ও আনুমানিক ১২০ ভরি স্বর্নালঙ্কার নিয়ে যায়।


আরও খবর



ডোনাল্ড লুর পর ফখরুলের বক্তব্যের কোনো মূল্য নেই: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 |

Image

 ডিজিটাল ডেস্ক:

মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর বক্তব্যের পর বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্যের কোনো মূল্য নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। 


বাংলাদেশ প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র আগের অবস্থানে আছে- মির্জা ফখরুলের এমন বক্তব্য পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল কীভাবে জানলেন- যুক্তরাষ্ট্র তার আগের অবস্থানে রয়েছে? 


মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর বক্তব্য পরিষ্কার। তার বক্তব্যের পর ফখরুল সাহেবের এ বক্তব্যের কোনো মূল্য নেই।


আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ের রহমতে আলম ইসলাম মিশন এতিমখানায় সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।


 ১৭ মে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে এ কর্মসূচির আয়োজন করে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণবিষয়ক উপ-কমিটি।



সেতুমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনাই দেশের ভাগ্য পরিবর্তন করেছে। তার আগে যারা ক্ষমতায় ছিল, তারা নিজেদের ভাগ্য আর পকেটের উন্নয়ন করেছে। শেখ হাসিনার সততা সারা বিশ্বে আজ প্রশংসনীয়।


আওয়ামী লীগের এ শীর্ষ নেতা বলেন, শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন মূলত বাংলাদেশের গণতন্ত্রের প্রত্যাবর্তন। স্বাধীনতার আদর্শের প্রত্যাবর্তন। মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধের প্রত্যাবর্তন। 


শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন মুক্তিযুদ্ধের রণধ্বনি জয় বাংলার প্রত্যাবর্তন। তিনি ফিরে এসেছিলেন বলেই গণতন্ত্র শৃঙ্খলামুক্ত হয়েছে। যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার হয়েছে। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার সম্পন্ন হয়েছে। 


মেট্রোরেল, পদ্মা সেতু হয়েছে। পাহাড় সমতল সর্বত্রই উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। যারা এসব অস্বীকার করে তারা দিনের আলোতে অন্ধকার দেখা। দেশের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন করেছেন শেখ হাসিনা। 



আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণবিষয়ক উপ-কমিটির সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম ও এতিমখানার কিছু শিক্ষার্থীসহ মহানগরের অন্য নেতারা।


আরও খবর



দুর্দান্ত বোলিংয়ে জিতল বাংলাদেশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 |

Image

সিরিজ জয় নিশ্চিত হয়েছিল চট্টগ্রামেই। ঢাকায় ফিরে জিম্বাবুয়েকে আবারও হারিয়ে দিল বাংলাদেশ। ওপেনারদের শতরানের জুটির পর লোয়ার ও মিডল অর্ডার ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ১৪৩ রানে অল আউট হয় নাজমুল হোসেন শান্তর দল। ১০১ রানের উদ্বোধনী জুটির পর পরবর্তী ১০ উইকেট নাজমুল হোসেন শান্তর দল হারায় মাত্র ৪২ রানে। ১৪৩ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ১৩৮ রানে গুটিয়ে যায় সফরকারীরা। ৫ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ। ফলে ৫ ম্যাচের সিরিজে ৪-০ ব্যবধানে এগিয়ে বাংলাদেশ।

জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা জিম্বাবুয়েকে শুরুতেই চাপে ফেলে দেন তাসকিন আহমেদ। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা এই পেসার প্রথম ওভারে বিদায় করলেন ব্রায়ান বেনেটকে। এরপর দলের দায়িত্ব কাঁধে নিতে তিনে নামেন অধিনায়ক সিকান্দার রাজা।

সিরিজের আগের তিন ম্যাচ মিলিয়ে রাজার রান ছিল মোট চার। এ দিন তিন নম্বরে তানজিম হাসানের এক ওভারে বাউন্ডারি মারেন তিনটি। কিন্তু সম্ভাবনাময় ইনিংসকে এগোতে দেননি তাসকিন।

শর্ট অব লেংথে পিচ করে তীক্ষ্ণভাবে ভেতরে ঢোকে তাসকিনের বল। রাজা জায়গা দাঁড়িয়ে খেলার চেষ্টা করেন অন সাইডে খেলতে। বল ছোবল দেয় মাঝের স্টাম্পে। ১০ বলে ১৭ রান করে ফিরলেন রাজা। খানিক পর মারুবানি বিদায় নেন। ৩২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বসা জিম্বাবুয়ে আরও বিপদে পড়েন ক্লাইভ মান্ডান্ডের বিদায়ে।

৫৭ রানে ৪ ব্যাটার ফিরে গেলে হাল ধরেন রায়ান বার্ল ও ক্যাম্ববেল। তবে দলকে ১০০'র কাছে নিয়ে গিয়ে বার্ল বিদায় নেন মুস্তাফিজকে উইকেট দিয়ে। একই ওভারে লুক জঙ্গিয়েকেও বিদায় করেন আইপিএল থেকে ফেরা এই পেসার। এরপর ৩১ রান করা জনাথান ফিরে যান দলীয় ১০৩ রানে। শেষ ১২ বলে জিম্বাবুয়ের প্রয়োজন ছিল ২১ রানের। বোলিংয়ে এসে ১৯তম ওভারের তৃতীয় বলে ফারাজ আকরামকে বিদায় করেন মুস্তাফিজ, তুলে নেন নিজের তৃতীয় উইকেট।

শেষ পভারে জয়ের জন্য সফরকারীদের প্রয়োজন ছিল ১৩ রান। তৃতীয় বলে সাকিবকে ৬ হাঁকিয়ে পরের বলে মুজারাবানি হন স্ট্যাম্পিং। যদিও সেটিকে ওয়াইড ডেলিভারি দেন আম্পায়ার। পরের বলেই রিচার্ড এনগারাভাকে বোল্ড করে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করেন সাকিব। তুলে নেন নিজের চতুর্থ উইকেট। ৫ রানের জয় নিশ্চিত করে আরও একটি জয় তুলে নায় বাংলাদেশ।

এদিনে আগে ব্যাট করতে করতে নেমে শুরুটা ভালোই করে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে অপরাজিত ফিফটির পর পরের দুই টি-টোয়েন্টিতে ইনিংস বড় করতে পারেননি তানজিদ হাসান। ঢাকায় ফিরে শুরুটা দারুণ করেন এই তরুণ। পাওয়ার প্লের সুবিধা কাজে দ্রুত রান তুলেন তিনি। দ্বিতীয় ওভারে মুজারাবানির বলে প্রথম বাউন্ডারি অবশ্য ব্যাটের কানায় লেগে পেয়ে যান তানজিদ। তবে পরের ওভারে সিকান্দার রাজার বলে স্কুপ ও কাট করে তিনি মারেন দুটি চার।

পরে রিচার্ড এনগারাভা আক্রমণে এলে চমৎকার ড্রাইভে মারেন বাউন্ডারি। পরে বুক সমান উচ্চতার বলে দারুণ কাট শটে মারেন আরেকটি চার। সৌম্য ও তানজিদের জুটিতে পাওয়ার প্লে'তে ৫৭ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ। সৌম্যকে দর্শক বানিয়ে তানজিদ দ্রুত রান তুলে ৩৪ বলে তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। এরপর দুজনের ব্যাটে দলের রান পৌঁছে যায় ১০০'তে। এর মাঝে একবার জীবনও পান তানজিদ।জীবন পেয়ে কিছুই করতে পারেন নি তানজি। আর মাত্র ১ রান যোগ করে তিনি ফেরেন ড্রেসিং রুমে। তার বিদায়ে ভাঙে ১০১ রানের উদ্বোধনী জুটি। লুক জঙ্গুয়ের বলে বড় শটের খোঁজে শর্ট মিড উইকেটে জোনাথান ক্যাম্পবেলের হাতে ধরা পড়েন তরুণ বাঁহাতি ওপেনার। ৭ চার ও ১ ছক্কায় ৩৭ বলে তিনি করেন ৫২ রান।

একই ওভারে জঙ্গুয়ের স্লোয়ার ইয়র্কার অন সাইডে খেলার চেষ্টা এলবিডব্লিউ হন সৌম্য সরকার। ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩৪ বলে ৪১ রান করেন অভিজ্ঞ বাঁহাতি ওপেনার। ১২ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১০৮ রান। ক্রিজে তখন দুই নতুন ব্যাটসম্যান তাওহিদ হৃদয় ও নাজমুল হোসেন শান্ত।দুই ওপেনারের বিদায়ের পর বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেন নি হৃদয়। সিকান্দার রাজার বলে সুইপ করে সোজা ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে ধরা পড়লেন ৮ বলে ১২ রান করা তরুণ ব্যাটসম্যান। এর খানিক পর ক্রিজে নেমেই এক রান করে বোল্ড হন সাকিব আল হাসান। ব্রায়ান বেনেটের রাউন্ড দা উইকেট থেকে সোজা যাওয়া ডেলিভারি ভুল লাইনে ডিফেন্ড করে বোল্ড হলেন সাকিব।

দ্রুত ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। খানিক পর এই স্পিনারের ওভারেই বোল্ড হন শান্ত। ৭ বলে মাত্র ২ রান করে আউট হন শান্ত। সিরিজের চার ম্যাচে তার সংগ্রহ কেবল ৪৫ রান। এরপর এনগারাভার অফ স্টাম্পের বাইরে ফুল লেংথ ডেলিভারি দূর থেকে খেলার চেষ্টায় ডিপ থার্ড ম্যাচে ধরা পড়েন ৭ বলে ৬ রান করা জাকের। ব্যাটারদের এই আসা-যাওয়ার মিছিলে টিকতে পারেননি বাকিরাও। দ্রুত বিদায় নেন রিশাদ, তানজিদ সাকিব ও তাসকিনও।

১০১ রানে এক উইকেট হারানো বাংলাদেশ পরের ৩৭ রানে হারিয়ে বসে ৯ উইকেট। শেষের দিকে মুস্তাফিজুর রহমান ও তানভীর ইসলাম মিলে দলকে ২০ ওভার পর্যন্ত নিয়ে যান। তবে ১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে মুস্তাফিজকে বিদায় করে ১৪৩ রানে স্বাগতিকদের গুটিয়ে দেন মুজারাবানিরা।


আরও খবর



কবিগুরুর ১৬৩ তম জন্মবার্ষিকী

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 |

Image

উদয়দিগন্তে ওই শুভ্র শঙ্খ বাজে। মোর চিত্তমাঝে, চির-নূতনেরে দিল ডাক/পঁচিশে বৈশাখ। এভাবে চির নতুনের মধ্যে নিজের আবির্ভাবক্ষণকে অনুভব করেছেন কবিশ্রেষ্ঠ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। চেয়েছেন সূর্যের দীপ্তি দিয়ে ভুবনকে আলোকিত করতে, নিজেকে উন্মোচন করতে।

আমৃত্যু কর্মযজ্ঞের মধ্য দিয়ে ধাবমান রবীন্দ্রনাথ হয়ে উঠেছেন হাজার বছরের পথিকৃৎ বাঙালি। তার কাব্যছন্দ, সুরের ডালা আর সরল লেখনীর মধ্য দিয়ে আত্মপ্রকাশ ঘটেছে প্রত্যেক বাঙালির। এ দেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে তিনি প্রেরণা দিয়েছেন আমাদের। মুক্ত স্বদেশে এসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথম ভাষণেই মনে করেছিলেন তাকে, অশ্রুসিক্ত নয়নে বলেছিলেন, কবিগুরু, তুমি এসে দেখে যাও, তোমার বাঙালি আজ মানুষ হয়েছে...।

আজ পঁচিশে বৈশাখ। বাংলা সাহিত্যের অনন্য প্রতিভা বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মদিন। ১৬২ বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেল তার জন্মদিনের। তবু বাঙালি মানসে এখনো তিনি দিবাকরের মতো সমান সমুজ্জ্বল, তার কিরণ এতটুকু ম্লান হয়নি।

প্রতি বছরই এ দিনটি আসে, চলেও যায়; কিন্তু আমাদের নতুন করে দিয়ে যায় আত্মপরিচয়ের তাগিদ। আত্মশক্তির উদ্বোধনের আহ্বান, মানুষ আর প্রকৃতিকে ভালোবাসার বারতা। কালবৈশাখীর মত্ত মেখে বন্ধহীন বেগে। অম্লান নূতন হয়ে অসংখ্যের মাঝপানে এক দিন তুমি এসেছিলে এ লিখিলে নব মল্লিকার গন্ধে, সপ্তপর্ণ-পল্লবের পবন-হিল্লোল-দোল ছন্দে, খামলের বুকে। সেই যে নূতন তুমি, তোমারে ললাট চুমি, এসেছি জাগাতে বৈশাখের উদ্দীপ্ত প্রভাতে। হে নূতন, দেখা দিক্ আবার জন্মের প্রথম শুভক্ষণ।

জন্মদিনের আড়ম্বর নিয়ে কবি নিজেই ১৩৪৩ সালে প্রবাসী পত্রিকায় লিখেছেন, খ্যাতির কলরবমুখর প্রাঙ্গণে আমার জন্মদিনের যে আসন পাতা রয়েছে, সেখানে স্থান নিতে আমার মন যায় না। আজ আমার প্রয়োজন স্তব্ধতায় শান্তিতে।

রবীন্দ্রমোদীরা মনে করেন, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা ও বাঙালির অহংকার। অসাধারণ সব সাহিত্যকর্ম দিয়ে তিনি বিস্তৃত করেছেন বাংলা সাহিত্যের পরিসর। অসত্য ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে কঠিন লড়াইয়ে, জীবন-সংগ্রামের প্রতিটি ক্রান্তিকালে আমাদের পাশে থাকেন রবীন্দ্রনাথ।

রবীন্দ্রনাথ বাংলা ভাষাকে যে ঐশ্বর্য দান করেছেন, তাতে এই ভাষা জ্ঞান-বিজ্ঞানের চর্চা, সব ভাব-অনুভূতির প্রকাশ এবং নির্মল হাস্য-কৌতুকের বাহন হতে সমর্থ হয়েছে। দেড়শ বছর পেরিয়েও কবি আমাদের মাঝে চিরজাগরুক হয়ে আছেন।

রবীন্দ্রনাথ একাধারে কবি, কথাশিল্পী, প্রাবন্ধিক, নাট্যকার, সংগীত রচয়িতা, সুরস্রষ্টা, গায়ক ও চিত্রশিল্পী। সৃষ্টিশীলতার সমান্তরালে তিনি ধর্ম, দর্শন, রাজনীতি ও সমাজভাবনা সমানভাবেই চালিয়ে গেছেন। বিশ্বভারতী তার বিপুল কর্মকাণ্ডের একটি প্রধান কীর্তি। অনেকেই মনে করেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের হাতেই মূলত সার্থক বাংলা ছোটগল্পের সূত্রপাত। মাইকেল মধুসূদন দত্ত ও বিহারীলালের লেখনীর মাধ্যমে বাংলা কবিতায় আধুনিকতার সূচনা হলেও রবীন্দ্রনাথের হাতেই তা পূর্ণতা পায়। একইভাবে রাজা রামমোহন রায়, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ও বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের হাতে জন্ম নেওয়া বাংলা গদ্যকেও তিনি চূড়াস্পর্শী সাফল্য দান করেন।

গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের জন্য ১৯১৩ সালে রবীন্দ্রনাথ সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান। সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী তিনিই প্রথম এশীয় ও একমাত্র বাঙালি লেখক।

রবীন্দ্রসাহিত্য, বিশেষত রবীন্দ্রসংগীত বাঙালির কাছে আলোকবর্তিকা হয়ে দেখা দিয়েছিল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে। মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের পর তার গানই (আমার সোনার বাংলা) বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতের মর্যাদায় অভিষিক্ত হয়েছে। এ ছাড়া তার অনেক গান মুক্তিযুদ্ধের সময় অনুপ্রাণিত করেছিল বাংলাদেশের মুক্তিকামী মানুষ ও মুক্তিযোদ্ধাদের।


আরও খবর



সাহিত্য রচনার পাশাপাশি ব নার মুক্তির পথ দেখিয়েছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 |

Image

কাজী আনিছুর রহমান,রাণীনগর (নওগাঁ) :

পরিকল্পা প্রতিমন্ত্রী শহীদুজ্জামান সরকার বলেছেন,রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টিকর্ম বাঙগালীকে আলোর পথ দেখায়। বিশ্বকবি পতিসর কাচারী বাড়ির আঙ্গিনায় বসে অসংখ্য সাহিত্যকর্ম সৃষ্টি করেছেন। রবীন্দ্রনাথ জমিদার হয়েও সাধারণ মানুষের কাছে নিজেকে নিবেদন করতেন। কবি সকল গুনের অধিকারী ছিলেন। তৎকালীন সমাজের বৈষম্য ও কুসংষ্কার ‍দূর করে স্বনির্ভর সমাজ গড়ে তোলার কাজ হাতে নিয়েছিলেন। নিজস্ব জমিদারী কালীগ্রাম পরগনা থেকেই সেই কাজ তিনি শুরু করেছিলেন। সাহিত্য রচনার পাশাপাশি কবি সকল ব নার মুক্তির পথ দেখিয়েছেন। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩ তম  জন্মোৎসব

অনুষ্ঠানে নওগাঁর আত্রাই উপজেলার পতিসরে এসব কথা বলেছেন তিনি। 

প্রতি বছরের মত এবারো সংষ্কৃতি মন্ত্রনালয়ের সহযোগিতায় নওগাঁ জেলা প্রশাসন আলোচনা সভা ও সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। বুধবার বিকেলে কবির নিজস্ব জমিদারী কালীগ্রাম পরগনার কবীর কাচারি বাড়ী দেবেন্দ্র মে  এই আলোচনা সভা ও সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। 

অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন রবীন্দ্র গবেষক ড. আশরাফুল ইসলাম। এছাড়া নওগাঁ সরকারী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ শরীফুল ইসলাম খাঁন, কৃষি অর্থনীতি গবেষক অধ্যাপক মোজাফ্ফর হোসেন আলোচনায় অংশনেন।  আলোচকরা  বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কর্মময় জীবনী তুলে ধরেন।

  এদিন বিকেল সোয়া চারটায় অনুষ্ঠানের শুরুতেই জাতীয় পতাকা উত্তোলন, ফেষ্টুন ও পায়রা উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি পরিকল্পা প্রতিমন্ত্রী শহীদুজ্জামান সরকার ।

আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, নওগাঁ-৩ আসনের সংসদ সদস্য সৌরেনন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, নওগাঁ- ৪ আসনের সংসদ সদস্য ব্রহানী সুলতান, নওগাঁ- ৬ আসনের সংসদ সদস্য ওমর ফারুক সুমন,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফৌজিয়া হাবিব ও আত্রাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার সি তা বিশ্বাস,জেলা পরিষদ সদস্য চৌধুরী গোলাম মোস্তফা বাদল। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন  নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সোহেল রানা।

আলোচনা সভা শেষে দেবেন্দ্র মে  সাংষ্কৃতিক, কবীতা আবৃতি, গান ও নৃত্য পরিবেশন করা হয়।


আরও খবর



প্রচণ্ড গরমে বাড়ছে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 |

Image

রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগে মাঝারি তাপপ্রবাহ বইছে। এ কারণে আবহাওয়া অধিদপ্তর এই চার বিভাগে হিট অ্যালার্ট জারি করেছে। আগামী ৭২ ঘণ্টায় এ তাপপ্রবাহ আরও বাড়তে পারে। এ তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির বেশি হলে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি থাকে। হিট স্টোকে আক্রান্তদের সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা না দিতে পারলে মৃত্যু হয়। শিশু ও বৃদ্ধরা হিট স্ট্রোকে বেশি মারা যান। পাশাপাশি তরুণদের মৃত্যু ভয় থাকে।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং হেলথ অ্যান্ড হোপ স্পেশালাইজড হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মাথা ঘুরতে পারে, জ্ঞান হারিয়ে ফেললে সঙ্গে সঙ্গে ছায়ায় নিতে হবে। শরীর ঠান্ডা করতে বাতাস দিতে হবে। পাশাপাশি মাথায় পানি দিতে পারলে ভালো। যদি অবস্থা খারাপ থাকে তাহলে দ্রুত কাছের হাসপাতালে নিতে হবে। যত তাড়াতাড়ি চিকিৎসা হয়, তত ভালো। দেরি করলে অঙ্গহানি হতে পারে। এমনকি মৃত্যুও হতে পারে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বৃহস্পতিবার সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিএসএমএমইউয়ে ইমার্জেন্সি বিভাগে ১৫ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদের মধ্যে আটজন পুরুষ, সাতজন মহিলা। তাদের একজন স্ট্রোকের রোগী থাকলেও হিট স্ট্রোকের লক্ষণ নিয়ে কোনো রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়নি।


আরও খবর