Logo
শিরোনাম

চোখের কান্নায় পানি থাকে, মনের কান্নায় আগুন থাকে

প্রকাশিত:সোমবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান চৌধুরী, শিক্ষাবিদ ঃ


বাস্তবতাগুলো খুব কঠিন হয় | মানুষকে অসহায় করে, নিজের চোখের সামনে নিজের বিবেককে পুড়তে দেখে মানুষ | কিন্তু করার তো কিছুই থাকেনা | একদিন যত পথ তৈরী করেছিল সে, সে পথগুলো ক্রমাগত সংকুচিত হতে হতে মানুষকে পাথর বানিয়ে দেয়  | আত্মসমর্পণ করে মানুষ তার অসহায়ত্বের কাছে | চোখ যত কাঁদে,  মন তার থেকে অনেক বেশি কাঁদে | চোখের কান্নায় পানি থাকে, মনের কান্নায় আগুন থাকে | পরিস্থিতি মানুষকে কোনদিকে টেনে নিয়ে যাবে তা কেউ জানেনা | অনিশ্চয়তটা প্রতিনিয়ত মানুষের জীবনের সাথে ছায়ার মতো চলছে অথচ অনুকূল অবস্থার সাথে থাকতে থাকতে  মানুষ  ভুলে যায় অনিশ্চয়তাকেই | 

মানুষ বইপত্র, গবেষণা, পরীক্ষার খাতায় অনিশ্চয়তার তত্ত্বকে সীমাবদ্ধ রেখে হাফ ছেড়ে বাঁচতে চায়, সেটার বাস্তব ফলাফলকে কখনো তার জীবনের সাথে যাচাই করে দেখবার মতো সাহস দেখাতে পারেনা |  অদ্ভুত বিষয় হলো নিশ্চয়তা একটা নাটকের গল্পের মতো, অনিশ্চয়তা সেই গল্পের অসমাপ্ত উপসংহারের মতো |   

আমেরিকান লেখক ফ্রেডরিক  ব্রাউন "নক" নামের একটা ফ্ল্যাশ ফিকশন লিখেছিলেন | খুব ছোট একটা গল্প, ছোটর চেয়েও ছোট, তার চেয়েও ছোট  | অনেকটা আধুনিক গবেষণার ন্যানোপার্টিকেলের মতো | গল্পটা এমনই যার সূত্রপাত হয়তো আছে, টান টান উত্তেজনা আছে, শরীরের লোমকূপ দাঁড়িয়ে যাবার মতো শিহরণ আছে,  সমাপ্তি নেই | যার সমাপ্তি থাকেনা, তা নিয়ে মানুষের ভিতরে একধরণের রোমাঞ্চ থাকে, সে রোমাঞ্চ থেকে রহস্যের জন্ম হয় | 

যেখানে রহস্য থাকে সেখানে চিন্তার বৈচিত্র্য থাকে | তারপরও ফ্রেডরিক  ব্রাউনের শেষটা কেমন হতো তা মিলিয়ে নিতে না পারার একধরণের অনিশ্চয়তাও মানুষের মধ্যে থাকে | একটা অতৃপ্তি মানুষকে তাড়িয়ে বেড়ায় যেমন মানুষ তাড়িয়ে বেড়ায় গল্পটার শেষটা নিয়ে তার নিজের চিন্তাকে | চিন্তাও তাহলে দৌঁড়ায়, যেমন পৃথিবীটাও সূর্যের চারিদিকে দৌঁড়ায় |  

ফ্রেডরিক ব্রাউনের ক্ষুদ্রতম গল্পটি হলো এমন : “The last man on Earth sat alone in a room. There was a knock on the door…”

যার বাংলা অনুবাদ হচ্ছে : পৃথিবীর সর্বশেষ মানুষটি একাকী একটা রুমে বসে আছেন। হঠাৎ কে যেন তার দরজায় নক করল...।

অনেকভাবে এই গল্পটিকে বিশ্লেষণ করা যেতে পারে। যে কারণে জীবনের পরীক্ষায় কখনো কখনো মানুষ ধ্বংসস্তুপের মধ্যে দাঁড়িয়ে থেকেও অনেকগুলো জানালাকে খুলতে পারে। মানুষ জীবনের পরীক্ষার লড়তে গিয়ে অনেকগুলো দুর্বোধ্য আবেগকে হাতুড়ি বানিয়ে শক্তি সঞ্চয় করে। জীবনের পরীক্ষা যেখানে মানুষকে থামিয়ে দেয়, কঠিন ধাক্কা দিয়ে দাবিয়ে দেয়, সেখান থেকে জেগে উঠার অমিত শক্তিটা মানুষকে অনেকটা পথ ধরে টেনে এগিয়ে নিয়ে যায়। পরীক্ষার খাতার মতো জীবনের খাতায় কল্পনা দিয়ে গল্পটা মানুষকে তার মতো করে লিখতে শেখায়।

যদি গল্পটা এমন হয়: সারা পৃথিবী ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। মৃত্যুপুরীর মধ্যে বেঁচে আছে মাত্র একজন। দুঃসহ শুন্যতার দহন জ্বালা বুকে নিয়ে একটা অন্ধকার ঘরে দরজা জানালা বন্ধ করে বসে আছে সে। সে পুরুষ বা নারী যে কেউ হতে পারে। পৃথিবী কি তবে থেমে যাবে। জীবনের পরীক্ষাগুলো তবে কি আর কারো দেওয়া হবেনা। এমন একটা সময়ে দরজায় একটা ঠক ঠক আওয়াজ, পিনপতন নীরবতার অচলায়তন ভেঙে হতচকিত চোখ। 

ঘরের ভিতরে চোখ বন্ধ করে বসে আছে যে, হয়তো তার বিপরীত লিঙ্গের কেউ হবে। কেউ তারা কাউকের চেনা জানেনা। তবে জীবনের পরীক্ষা তাদের খুব কাছাকাছি টেনে আনে। যাদের সম্পর্কের বন্ধনে জন্ম নিবে মানুষ। মানুষের পর মানুষ। মানুষের ভিতরে মানুষ। পৃথিবী মরে যাওয়া জনপদের জীবনের পরীক্ষায় সফল হয়ে আবার গড়ে তুলবে সভ্যতা। সভ্যতার পর সভ্যতা। সভ্যতার ভিতরে সভ্যতা |

হঠাৎ হাতের কলমটা থেমে গেলো, কলমের কালিটাও শেষ হয়ে গেলো, কাগজগুলো সব নাই হয়ে গেলো | তারপরও মানুষ লিখছে......কারণ লেখা কখনো বন্ধ করা যায়না | লেখকের মৃত্যু হয়, লেখার মৃত্যু হয়না |


আরও খবর

থেমে যাওয়া মানে জীবন নয়

রবিবার ২৩ এপ্রিল 20২৩




প্রাথমিকে স্বাভাবিক রুটিনে ক্লাস

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image

সারা দেশে সব রেকর্ড ভেঙে দাবদাহের পারদ ছিল ঊর্ধ্বমুখী। পুরো এপ্রিল মাস এমন দৃশ্যই দেখেছে সারা দেশ। অসহ্য গরমে জনজীবনে নেমে এসেছে অস্বস্তি। খুব একটা বৃষ্টির দেখাও মেলেনি। ফলে বিপাকে পড়েছে মানুষ ও প্রাণীকূল।

তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় গত কয়েকদিন সারাদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন সময়সূচিতে পাঠদান চলছিল। গরম কমে আবহাওয়া স্বাভাবিক হওয়ায় বিদ্যালয়ও ফিরছে স্বাভাবিক সময়সূচিতে। মঙ্গলবার (৭ মে) থেকে শিক্ষাপঞ্জি অনুযায়ী আগের সময়সূচিতে পুরোদমে চালু হচ্ছে ক্লাস।

সোমবার (৬ মে) বিকেলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিনের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার থেকে দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর লার্নিং সেন্টারে শ্রেণি কার্যক্রমসহ সব কার্যক্রম ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী চলবে।

বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী ক্লাসের সময়সূচি

বছরের শুরুতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর যে বর্ষপঞ্জি প্রকাশ করেছিল, সে অনুযায়ী- এক শিফটের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু হবে সকাল ৯টায়, চলবে বিকেল ৪টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত। দুই শিফটের বিদ্যালয়ে প্রথম শিফট শুরু হবে সকাল ৯টায়, শেষ হবে দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে। দ্বিতীয় শিফটে ক্লাস চলবে দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৪টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত।

তবে ঢাকা মহানগরীর জন্য পরিপত্র অনুযায়ী নির্ধারিত সময়সূচি প্রযোজ্য হবে। অন্যদিকে প্রাক-প্রাথমিকের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট উপজেলার শিক্ষা কর্মকর্তা সময়সূচি নির্ধারণ করবেন।


আরও খবর

একাদশের ক্লাস শুরু ৩০ জুলাই

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




মোরেলগঞ্জে দিনমজুর পরিবারকে হত্যার উদ্যোশে গভীর রাতে বসতঘরে আগুন

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image

এম.পলাশ শরীফ, নিজস্ব প্রতিবেদক:

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে পূর্ব শত্রæতার জের ধরে দিনমজুর মো. শাহীন হাওলাদারের বসতঘরে গভীর রাতে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় মোরেলগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। নিকটস্ত ফাড়ি পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

  অভিযোগে জানাগেছে, উপজেলার খাউলিয়া ইউনিয়নের কুমারখালী গ্রামের দিনমজুর মো. শাহীন হাওলাদার প্রতিদিনের ন্যায় স্ত্রী নাজমা বেগমসহ শিশুদের নিয়ে রাতে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। শুক্রবার রাত আড়াইটার দিকে দিকে ঘরের মধ্যে ধোয়ায় শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি হইলে আমার সন্তানেরা কাশি দিতে থাকে তখন স্ত্রীর ঘুম ভেঙ্গে যায়। পিছনের দিকে আগুন জ্বলতে দেখে ডাৎকচিকার দিলে আমিসহ পিতা ও স্থানীয়রা ছুটে এসে পানি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে নেয়। কাঠের বেড়া কেটে ১ ছেলে ও ২ মেয়েকে নিয়ে রের হই।  

দিনমজুর মো. শাহীন হাওলাদার বাদি হয়ে মো. আলমগীর গাজী, মো. রবিউর খানকে আসামি করে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

দিনমজুর মো. শাহীন হাওলাদার ও স্ত্রী নাজমা বেগম বলেন, প্রতিবেশী মো. আলমঙ্গীর গাজীর সাথে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। ইতোপূর্বে ইউনিয়ন পরিষদ, থানাসহ বিভিন্ন দপ্তরে আলমঙ্গীর গাজীকে বিবাদী করে অভিযোগ দিলে এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বাড়িঘর থেকে বিতাড়িত করার পায়তারা করে আসছে। আমার স্বামীকে বিভিন্ন সময়ে মারধরও করেছে। তারই জের ধরে গভীর রাতে হত্যার উদ্যেশে এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে দিনমজুর পরিবারের দাবি।  

এ বিষয়ে আলমঙ্গীর হোসেনের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

   এ বিষয়ে ইউপি সদস্য আবুল হোসেন বলেন, শাহীন হাওলাদার ও আলমঙ্গীর গাজীর সাথে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। বসতঘরে আগুনের বিষয়টি শুনেছেন এবং সরেজমিনে গিয়েছিলেন।  

   এ বিষয়ে সন্ন্যাসী ফাঁড়ির এএসআই মাসুদুল আলম বলেন, টহলরত অবস্থায় ওই রাতেই শুনেছি বসতঘরে আগুন লাগার খবর। ঘটনাস্থলে গিয়ে একটি কেরোসিনের বোতল উদ্ধার করেছি। 


আরও খবর



নওগাঁয় পর্নোগ্রাফি সংরক্ষণ ও বিক্রয় চক্রের ৩ সদস্যকে আটক করেছে র‌্যাব

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image

তরুণ ও যুব সমাজের মূল্যবোধের অবক্ষয়ের অন্যতম প্রধান কারণ পর্নো গ্রাফি সংরক্ষণ ও বিক্রয় চক্রের ৩ জন সদস্যকে নওগাঁর আগ্রাদিগুন বাজার থেকে আটক করেছে র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩, জয়পুরহাট কাম্পের অভিযানিক দল।

গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে, সিপিসি-৩, জয়পুরহাট র‌্যাব ক্যাম্পের একটি চৌকস অপারেশনাল দল ২০ এপ্রিল নওগাঁ জেলার ধামুইরহাট থানাধীন আগ্রাদিগুন বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে পর্নো গ্রাফি ভিডিও সংরক্ষণ ও সরবরাহকারী ১। মোঃ মাসুদ রানা (২৮), পিতা-রায়হান কবীর, সাং-আওয়ালদিঘী, ২। মোঃ আতোয়ার হোসেন (৩৮), পিতা-মৃত তমিজ উদ্দিন, সাং-আওয়ালদিঘী, ৩। মোঃ নুরুজ্জামান (৩০), পিতা-নুর ইসলাম, সাং-উত্তর কাশিপুর, সকলের থানা-ধামুইরহাট, জেলা-নওগাঁ কে আটক করেন।

আটককৃতরা নওগাঁ জেলার ধামুইরহাটের আগ্রাদিগুন বাজারস্থ তাদের দোকানের নিজস্ব কম্পিউটার এর হার্ডডিস্কে অশ্লিল সিনেমা ও গানের ভিডিও ক্লিপ আপলোড ব্যবসার পাশাপাশি পর্নোগ্রাফি সংরক্ষণ করে টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন ইলেকট্রিক ডিভাইসের মাধ্যমে স্থানীয় কিশোর ও স্কুল পডুয়া ছাত্রদের কাছে পর্নোগ্রাফি ভিডিও সরবরাহ করত বলে জানিয়েছেন র‌্যাব।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩ এর গোয়েন্দা দল অশ্লিল সিনেমা ও গানের ভিডিও ক্লিপ আপলোড ব্যবসার পাশাপাশি পর্নোগ্রাফি সরবরাহের বিষয়টি তদন্ত শুরু করে এবং তদন্তে এর সত্যতা পেয়ে র‌্যাব-৫, সিপিসি-৩ এর একটি অভিযানিক দল ধামুইরহাট থানাধীন আগ্রাদিগুন বাজারস্থ পর্নোগ্রাফি ভিডিও সংরক্ষণ ও সরবরাহকারীদের দোকানে অভিযান পরিচালনা করে উক্ত পর্নোগ্রাফি ব্যবসায়ীদেরকে আটক করেন।

পরে আটককৃত আসামীদেরকে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নওগাঁ জেলার ধামুইরহাট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন র‌্যাব।


আরও খবর



দুঃখ প্রকাশ ও ক্ষমা চাইলেন রুবাইয়াত ফাতিমা তনি

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ |

Image



সদরুল আইনঃ


সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ জনপ্রিয় মুখ এবং রাজধানীর গুলশানে ‘সানভীস বাই তনি’র শোরুমের মালিক রুবাইয়াত ফাতিমা তনি। 



পাকিস্তানি বলে দেশীয় পোশাক বেশি দামে বিক্রি করায় এবং মিথ্যা বিজ্ঞাপন দিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণা করায় তাকে আড়াই লাখ টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।


মঙ্গলবার (১৪ মে) প্রতিষ্ঠানটির মালিক তনি ভোক্তা অধিদপ্তরে হাজির হয়ে অভিযোগের বিপরীতে কোনো প্রমাণ দেখাতে না পারায় তাকে জরিমানা করা হয়। দেশি থ্রিপিস পাকিস্তানি বলে বিক্রির জন্য ৫০ হাজার এবং মিথ্যা বিজ্ঞাপন দিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে তাকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।


জানা গেছে, বিষয়টি নিয়ে তনি ও ভুক্তভোগীকে নিয়ে ভোক্তা অধিদপ্তর নিজস্ব অফিসে একটি লাইভ অনুষ্ঠান করে। সেখানে তনি জানান, তিনি এসব অভিযোগের বিষয়ে অবগত নন। তার ব্যবসায়িক পেইজে অভিযোগকারী নারী অভিযোগ জানালেও মডারেটররা এটা গুরুত্ব দেন না এবং পরে গুলশানের পুলিশ প্লাজা মার্কেটে ভোক্তা অধিদপ্তরের একটি নোটিশ আসে। সেটিও তনির সেলসম্যান গুরুত্ব না দিয়ে ফেলে রাখেন। 



সোমবার (১৩ মে) গুলশান শুটিং ক্লাব এলাকায় পুলিশ প্লাজা মার্কেটে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ‘সানভীস বাই তনি’ প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।


এ বিষয়ে ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আবদুল জব্বার মণ্ডল বলেন, প্রতিষ্ঠানটি দেশি থ্রি পিস পাকিস্তানি বলে বিক্রি করতো। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা বিজ্ঞাপন দিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণা করতো। 



তনি শুনানিতে অংশ নিয়ে দুঃখ প্রকাশ ও ক্ষমা চান। এ ছাড়া ভবিষ্যতে এই বিষয়ে সর্তক থাকবেন। এই প্রতিষ্ঠান নিয়ে কিছু অভিযোগ আসার পর প্রতিষ্ঠানটিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। তারা দীর্ঘদিন ধরে অনলাইনে এবং এই দোকানে দেশি পোশাকগুলো বিদেশি বলে চড়া দামে বিক্রি করে আসছিল। তারা অনলাইনে পাকিস্তানি ড্রেস বলে বিক্রি করে। কিন্তু ডেলিভারি দেওয়ার সময় দেশি ড্রেস দেয়।



তিনি বলেন, গুলশানের শোরুমের গিয়ে সেটার প্রমাণ পেয়েছি। তারা পাকিস্তানি ড্রেসের পক্ষে কোনো কাগজপত্র, প্রমাণ দেখাতে পারেনি। তাদের শুধু ট্রেড লাইসেন্স আছে, সেটা সাধারণ পোশাক বিক্রেতা হিসেবে। আপাতত তাদের শো-রুম বন্ধ করে দিয়েছি।


আরও খবর



মার্কিন ভিসানীতির পরোয়া করে না আ.লীগ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ |

Image

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমরা দাওয়াত করে কাউকে আনি নাই, তাদের এজেন্ডা আছে; তারা সেসব নিয়ে ঢাকায় এসেছে। বিএনপির সঙ্গে তাদের কি আছে, তারাই ভালো জানে। ওপরে ওপরে বিএনপি তাদের পাত্তা দেয় না বললেও, তলে তলে বিএনপি কি করে তারাই ভালো জানে। আমরা মার্কিন স্যাংশন, ভিসানীতি পাত্তা দেই না। মঙ্গলবার (১৪ মে) সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে আলোচনাকালে এসব কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক বিএনপির আন্দোলনের ব্যর্থ চেষ্টা। আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে খড়কুটো ধরে বাজতে চায় তারা। আসলে তাদের কোনো ইস্যু নাই। তারা ভারতীয় পণ্য বর্জনকে ইস্যু বানাতে চায়। আমার প্রশ্ন হলো-ভারতীয় মসলা ছাড়া কি আমাদের চলে?

তিনি বলেন, ভারতের মসলা ছাড়া আমাদের চলে না। শুধু মসলা কেন, ভারত থেকে শাড়ি-কাপড় আসবে, এ ছাড়া আরও কিছু নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যও আসবেই।

বিএনপি ও তাদের সমমনাদের আন্দোলনের ডাকে জনগণের সাড়া নেই জানিয়ে আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, সম্প্রতি ঢাকায় বিএনপির দুটা সমাবেশই ফ্লপ হয়েছে। দলটির কর্মীরা হতাশ, তাদের আর নেতাদের ওপর আস্থা নেই। সে কারণেই বিএনপির কর্মীরা তাদের সমাবেশে যোগ দেয় না।

বিএনপির নেতারা এখন বলছে গরম কমলে আন্দোলন করবে। এভাবে তো ১৫ বছর পার হয়ে গেল, আর কত সময় নেবে বিএনপি। প্রশ্ন ওবায়দুল কাদেরের।

মেট্রোরেলের ভ্যাটের বিষয়ে কাদের বলেন, ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ বাস্তব সম্মত না, যৌক্তিক না। দুনিয়ায় কোথাও এত ভ্যাট নাই। তবে ৫ শতাংশ ভ্যাটের নজির আছে প্রতিবেশী দেশগুলোতে। এই কথাগুলো নেত্রীকে (শেখ হাসিনাকে) বলেছি। তিনি যৌক্তিক ভ্যাট আরোপের বিষয়টি ভেবে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।


আরও খবর